ওয়ার্ডপ্রেস কি?-ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে বিস্তারিত জানুন
আমরা যারা অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং কাজ করি তারা সকলেই ওয়ার্ডপ্রেস এর নাম অবশ্যই শুনেছি। বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস হলো অন্যতম একটি মাধ্যম। তাই অনেকেই ওয়ার্ডপ্রেস শিখে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার কথা চিন্তা করে থাকে। কিন্তু অনেকেই জানেনা ওয়ার্ডপ্রেস কি এবং ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে। সেজন্যই আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা ওয়ার্ডপ্রেস কেন এত জনপ্রিয় এবং এর খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।
সুতরাং আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস শিখে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে এ বিষয়টি জানা প্রয়োজন। চলুন তাহলে আজকে ওয়ার্ডপ্রেস শিখে অনলাইন থেকে আয় করার উপায় গুলো, ওয়ার্ডপ্রেস কেন শেখা উচিত এবং ওয়ার্ডপ্রেস কেন শিখবেন এ বিষয়ে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। পাশাপাশি ওয়ার্ডপ্রেস কি এবং ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে এ বিষয়গুলো জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত বহাল থাকুন।
পোস্ট সূচীপত্র
WordPress কী?
ওয়ার্ডপ্রেস মূলত কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের একটি অন্যতম শাখা হিসেবে বিবেচিত। সাধারণত ২৩ সালে সর্বপ্রথম ওয়ার্ডপ্রেস ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে ডেভলপ হয়ে মাধ্যমটি টেক বাজারে প্রবেশ করেছিল। যারা ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে কাজ করে তাদেরকে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার বলা হয়ে থাকে। ওয়ার্ডপ্রেস মেথডটি সাধারণত পিএইচপি ( PHP) প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দ্বারা সংঘটিত করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম যেমন ইউনিক্স, মাইএসকিউএল (MySQL) এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে।
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট সাধারণত ব্লগিং এবং ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যারা ব্লগিং, কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের ভূমিকা অপরিসীম। ওয়ার্ডপ্রেস এমন একটি মাধ্যম যেটি কনটেন্টকে ম্যানেজ করা থেকে শুরু করে সকল ধরনের ফিচার ডেভলপ করে এবং কনটেন্টকে আরো মানসম্মত হিসেবে গড়ে তোলে। একজন ব্যবহারকারীর স্পোর্ট্লিং ব্লগ লেখার ক্ষেত্র এবং ওয়েবসাইটে যেকোনো ধরনের থিম তৈরি করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেসের জুড়ি নেই।
একজন গ্রাহকের চাহিদার উপর নির্ভর করে যে মানসম্মত বিভিন্ন ধরনের থিম যেমন রয়েছে এবং সেগুলো ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট এর জন্য ব্যবহার করা হয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি ওয়ার্ডপ্রেসে প্লাগিন সিস্টেম রয়েছে যা একটি ব্লগের এক্সটেনশনের সাথে সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন ফিচার অনুযায়ী, বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এতসব ফিচার এবং সিস্টেম ইনক্লুড আছে এজন্যই বর্তমান সময়ে ওয়ার্ডপ্রেস কি, ওয়ার্ডপ্রেস শিখে অনলাইন থেকে আয় করার উপায় এবং ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে এ বিষয়গুলো সকলেই জানতে চায়।
ওয়ার্ডপ্রেস কেন শেখা উচিত
যেহেতু বর্তমান সময়টি ডিজিটাল যুগে পদার্পণ করেছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনলাইন কার্যক্রম গুলো আপডেট হওয়া শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এবং সকলের কাছে বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন যে “ওয়ার্ডপ্রেস কেন শেখা উচিত”। বিশেষ করে যারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের নতুন তাদের কাছে ওয়ার্ডপ্রেস নামটি একদম নতুন এবং কেন এ বিষয়ে শেখা উচিত সেটি নিয়েও তারা কনফিউশনে থাকে। আমরা ইতিমধ্যে অবগত হতে পেরেছি যে কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম থেকে শুরু করে ওয়েব ডিজাইন সকল কিছুই ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা করা সম্ভব।
তাই কনটেস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম থেকে ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কিত কেউ যদি ক্যারিয়ার গড়তে চান সেক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস অন্যতম একটি চয়েজ হতে পারে। বিশেষ করে কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হলো ওয়ার্ডপ্রেস। ব্লগিং প্লাটফর্মটির মধ্যে দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত একে অন্যের সম্পূরক হয়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্লাটফর্মটি। ব্লগিং প্লাটফর্মে ওয়ার্ডপ্রেস অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং বর্তমান ৩৪% ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
সুতরাং আপনি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যদি আপডেট কাজ শিখতে চান তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস কেন শেখা উচিত এবং ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারনা নেওয়া প্রয়োজন। চলুন তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস কেন শেখা উচিত এ বিষয়টিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ দর্শানো যাক।
ওপেন সোর্স মাধ্যম
আপনি যদি আর্টিকেলের উপরের অংশে ওয়ার্ডপ্রেস কি এ বিষয়ে কি করে থাকেন তাহলে বুঝতে পারছেন বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেসের বাহিরে ওয়ার্ডপ্রেসের চাহিদা কতটুকু। ওয়ার্ডপ্রেসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি সম্পূর্ণভাবে ফ্রি এবং ওপেন সোর্স মাধ্যম হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে যা একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের জন্য খুবই সুবিধা সংবলিত। আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে ফ্রিতে নতুন নতুন ফিচারসমূহ যেকোনো মুহূর্তে যুক্ত করতে পারবেন। পাশাপাশি ব্যবহৃত বর্তমান ওয়েবসাইটটিকে আরো ইউজার ফ্রেন্ডলি করার ক্ষেত্রেও ওয়ার্ডপ্রেসের ভূমিকা অপরিসীম।
তাই বলা বাহুল্য যে একজন বিগিনার হিসেবে, মিডিয়াম লেভেল ওয়েব প্রোগ্রামার হিসেবে ওয়ার্ডপ্রেস শেখা এখন আশীর্বাদ স্বরূপ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। কেননা আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ওয়ার্ডপ্রেস প্রোগ্রামার হন তাহলে ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরির পাশাপাশি নতুন নতুন আকর্ষণীয় ফিউচার যুক্ত করতে পারবেন যা মার্কেটপ্লেসে খুবই চাহিদা সম্পন্ন। যেহেতু কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর জন্য প্রায় ৭০ শতাংশ জায়গায় জুড়ে আছে ওয়ার্ডপ্রেস। সুতরাং এই বিশাল অ্যাডভান্স টিকে কাজে লাগিয়ে সামান্য টেকনিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড হয়ে যুক্ত হতে পারেন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপিং এ।
এসইও অপটিমাইজেশন (SEO)
আমরা যারা কনটেন্ট রাইটিং নিয়ে বা ব্লগিং নিয়ে কাজ করি তারা সকলেই জানি এসইও অপটিমাইজেশন একটি আর্টিকেলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আর SEO অপটিমাইজেশন বিষয়টি যদি খুব সহজ হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। ওয়ার্ডপ্রেস সে বিষয়টিকেই মাথায় রেখে এসইও অপটিমাইজেশন বিষয়টিকে খুব সহজেই করে দিচ্ছে। বর্তমান যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে পরিচিত এবং তার সঙ্গে এসইও। ধরা হয় একটি আরেকটি সঙ্গে সম্পূরক হিসেবে অবস্থিত।
অর্থাৎ আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই এসইও বিষয়টিকে বুঝতে হবে। ই-কমার্স বিজনেস থেকে শুরু করে যদি ইন্টারনেট ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে এই বিষয়টির পূর্বে অবশ্যই এসইও সম্পর্কে প্রথমে ধারণা নিতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেস সাধারণত টাইটেল, হেডিং, বেটা ডেসক্রিপশন অপটিমাইজেশন এ বিষয়গুলো সহজ করেছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস সাইট গুলো অপটিমাইজ করতে পারবেন।
উইডগেটস (Widgets) এবং প্লাগিন (Plugin)
আমরা অনেকে হয়তো বা মনে করে থাকি যে ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে হলে সম্ভবত কোডিং সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। কিন্তু বিষয়টি আসলে সম্পূর্ণ ভুল। ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার হওয়ার জন্য আপনার যদি কোডিং জ্ঞান শূন্য থাকে তাহলেও আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে একটি রেডিমেড ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করতে পারবেন। সাধারণত ডেভলপাররা ওয়ার্ডপ্রেস এমনভাবে তৈরি করেছে যেখানে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করে খুব সহজেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটিতে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য এড করা থেকে শুরু করে।
সকল কাজ ঝামেলা ছাড়াই ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা করা সম্ভব। একইসঙ্গে ই-কমার্স শপ, ডিজিটাল এনালাইসিস, এসইও, সোশ্যাল শেয়ারিং সহ গ্রাহকদের নানা ধরনের ফিচার যুক্ত করা যায় ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে। সুতরাং আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান বা ওয়ার্ডপ্রেস কেন শেখা উচিত এই বিষয়টি নিয়ে যদি কনফিউশনে থাকেন। তাহলে আমরা বলব আপনি ক্যারিয়ার হিসেবে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার অবশ্যই চয়েস করতে পারবেন। কেননা শুধুমাত্র ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার হিসেবে থিম এবং প্লাগিন সম্পর্কে ধারণা নিয়েই মার্কেটপ্লেস থেকে কাজের অর্ডার পেয়ে যাবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটলিং
আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি ওয়ার্ডপ্রেস কি এবং এর ফিচারগুলো কতটা সহজেই অ্যাড করা সম্ভব হয়। ওয়ার্ডপ্রেসে খুব সহজেই প্লাগিনগুলো ইন্সটল করা যায় এবং প্রয়োজনীয় ফিচার যুক্ত করা যায়। বিগত সময়ে কোনরকম জটিল কোড ব্যবহার করা ছাড়া যেমন MS অফিস ব্যবহার করা যেত। ঠিক তেমনি সেরকম ভাবে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার এবং সকল ফিচারগুলো, প্লাগিনগুলো খুব সহজেই ইন্সটল করতে পারবেন পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারবেন।
তাই ওয়ার্ডপ্রেস কেন শেখা উচিত এই প্রশ্নে আরো ভালোভাবে পরিষ্কার হওয়া গেল যে খুব সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস শেখা যায় এবং মার্কেটপ্লেস থেকে কাজের সন্ধান করা যায়। যেহেতু ওয়ার্ডপ্রেস বিষয়টা অধিকতর সহজ একজন প্রোগ্রামার হিসেবে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি এই সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে চান। তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা না করে, হোস্টিংয়ে বা লোকাল হোস্টের মাধ্যমে আপনার পিসিতে ইন্সটল করে ওয়েবসাইট তৈরি করার কাজ শেখা শুরু করে দিতে পারেন।
মাল্টিমিডিয়া সাপোর্টার
ওয়ার্ডপ্রেসে খুব সহজে প্লাগিন ইন্সটল করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মাল্টিমিডিয়া যেমন ভিডিও, অডিও বা ইমেজ যুক্ত করা যায়। আপনি হাইপারলিঙ্ক ডকুমেন্ট যুক্ত করতে পারবেন ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে। ওয়ার্ডপ্রেস শুধু আপনার ওয়েবসাইটে ডাটা স্টোর করতে সাহায্য করে বিষয়টি তা নয়। সেইসঙ্গে আপনার ওয়েবসাইট কে বেশ আকর্ষণীয় এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তোলে। এই প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় নিজেকে একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার হিসেবে যদি আপনি প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পেছনে তাকাতে হবে না। তবে একজন দক্ষ ওয়ার্ডপ্রেস প্রোগ্রামার হওয়ার জন্য অবশ্যই সময়, পরিশ্রম, অর্থ সবকিছুই বিনিয়োগ করতে হবে।
ল্যাঙ্গুয়েজ সাপোর্ট
আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি যে কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো ওয়ার্ডপ্রেস। ওয়ার্ডপ্রেস এর আরো একটি বিষয় হলো এখানে ১০০ এর অধিক ভাষা সাপোর্ট করে। তাই আপনি সারা বিশ্বের যে কোন ভাষার ওয়েবসাইট আপনার নিজস্ব ভাষায় ট্রান্সলেট করতে পারবেন। যদি আপনি লোকাল ভাষায় ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস খুব কার্যকরী পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনালিও আপনি যদি দক্ষ প্রোগ্রামার হতে পারেন তাহলে সে সকল কাজও করতে পারবেন।
আরোও পড়ুনঃ ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয়-ব্লগ তৈরির নিয়ম
তাহলে ওয়ার্ড পেস্ট কেন শেখা উচিত এই প্রশ্নটিতে আরও একটি বিষয় সামনে আসলো সেটি হল ল্যাঙ্গুয়েজ সাপোর্ট। সুতরাং ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে এ বিষয়টি আমলে নিয়ে আপনি যদি একজন দক্ষ ওয়ার্ডপ্রেস প্রোগ্রামার হতে পারেন তাহলে লোকাল কাজের পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনালি বিভিন্ন ওয়েবসাইট এর কাজ করতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে
ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগবে এ বিষয়টি ডিপেন্ড করবে আপনার নিজের দক্ষতার উপর। অর্থাৎ আপনি যদি নিজেকে একজন দক্ষ ওয়ার্ডপ্রেস প্রোগ্রামার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সময়ের প্রয়োজন হবে। যেহেতু আপনাকে এখানে কোনরকম কোডিং শিখতে হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে কিছু যোগ্যতা এবং ওয়ার্ডপ্রেস কি এ বিষয়টি জানার মাধ্যমে খুব সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার হতে পারবেন। এর দুনিয়ায় আধিপত্য বিস্তার করতে হলে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপমেন্ট এর ভূমিকা অপরিসীম। যদি নিজেকে একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার হিসেবে পরিচিত করতে পারেন।
তাহলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ প্লাস মার্কেটপ্লেসের বাহিরে কাজ করতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে জানতে হবে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট গুলো কিভাবে তৈরি করতে হয় এবং এর প্লাগিন কার্যক্রম সম্পর্কে। যদি আপনি প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট নিয়েও কাজ করেন সে ক্ষেত্রে ও মার্কেটপ্লেস থেকে বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে এ সকল কাজগুলো শিখতে কতদিন লাগবে অর্থাৎ ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে এ বিষয়টি আপনি তখনই জানতে পারবেন যখন ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং ব্যবহার করে ইন্সটল করে ওয়েবসাইট তৈরির প্র্যাকটিস শুরু করবেন।
যেহেতু আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট প্রদানের মাধ্যমে নিজের কর্মক্ষেত্র করে তুলবেন সেক্ষেত্রে একটু সময় লাগাটা স্বাভাবিক। তবে ধারণা করা হয় ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগবে এটি যদিও উক্ত ব্যক্তিটির উপর নির্ভরশীল কিন্তু কমপক্ষে ৬ মাস সময় হাতে নিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস শেখা প্রয়োজন। এ ছয় মাসের ভেতরে আপনি প্লাগিন ইনস্টল করা থেকে শুরু করে ওয়ার্ডপ্রেসের ওয়েবসাইট তৈরি সকল বিষয় এ টু জেড শিখে ফেলবেন। এরপর আপনার উচিত হবে মার্কেটপ্লেসে কাজের সন্ধান করার।
ওয়ার্ডপ্রেস ক্যারিয়ারে কেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন
একজন নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপারের যেমন ওয়ার্ডপ্রেস কি এবং ওয়ার্ডপ্রেস কেন শেখা উচিত এ বিষয়টি জানা প্রয়োজন ঠিক তেমনি ওয়ার্ডপ্রেস প্রোগ্রামার হওয়ার পূর্বে অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেস ক্যারিয়ারে কেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন সেটাও জানা জরুরী। আপনি যদি একজন ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট হতে চান তাহলে এটি সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে কেবলমাত্র এই সেক্টরে সাকসেসফুল হতে পারবেন। এছাড়া প্রযুক্তিগত এবং প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ সহ টেকনিক্যাল টার্মগুলোতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা জরুরী। তাছাড়া আপনার যদি ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা বা দক্ষতা তৈরি না হয়।
সে ক্ষেত্রে এই সেক্টরে ক্যারিয়ার গঠন করা সহজ হবে না। আপনি বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল, ভিডিও টিউটোরিয়াল, কমিউনিটি ফোরাম অথবা অনলাইন কোর্স এর মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপিং সম্পূর্ণভাবে শিখতে পারবেন। এছাড়া ওয়ার্ডপ্রেসের অফিসিয়াল সাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি সব ধরনের ডকুমেন্টস পাবেন যার মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে এবং আদৌ কি খুব সহজে ওয়ার্ডপ্রেস শিখে ক্যারিয়ার করা যাবে কিনা সে সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন। আসুন বিষয়গুলোকে একটু পয়েন্ট আকারে জেনে নেওয়া যাক।
- ওয়ার্ডপ্রেস প্রোগ্রামার হওয়ার জন্য অবশ্যই কম্পিউটার চালানো সম্পর্কে সকল জ্ঞান থাকতে হবে।
- ইংলিশ কমিউনিকেশন স্কিল যদি যদি একটি দুর্বল থাকে কিন্তু রিডিং স্কিল ভালো মনে হতে হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে অবশ্যই কমপক্ষে এসএসসি পাস হওয়া প্রয়োজন।
- অবশ্যই প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ ঘন্টা কাজ করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে।
- নিজের ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশ করতে হবে যার ফলে একটি ওয়েবসাইট ভালো মানের তৈরি করা যায়।
- ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন দিয়ে কি করা যায় এবং প্লাগিন ইনস্টল করার বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানা উচিত যেন সিকিউরিটি নিয়ে কোন ঝামেলায় পড়তে না হয়।
- ওয়ার্ডপ্রেসের প্রতিনিয়ত যে ধরনের নতুন নতুন আপডেট আসে সেই ফিচারগুলো যুক্ত করার বিষয়ে নিজেকে ও আপডেট করতে হবে।
- ব্লগিংয়ের জন্য সাইড অথবা থিম নির্বাচনের ক্ষেত্রে সঠিক প্লাগিন এবং থিম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
ওয়ার্ডপ্রেস শিখে অনলাইন থেকে আয় করার উপায়
যদিও ওয়ার্ডপ্রেস শিখার ক্ষেত্রে কোন কোডিং শেখার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু তারপরও ওয়ার্ডপ্রেস কেন শেখা উচিত এ প্রশ্নে যদি আপনি আপনার ক্যারিয়ারটি উজ্জ্বল হিসেবে গড়তে চান সে ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস কি এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কিভাবে কাজ করে যেমন এইচটিএমএল (HTML), সিএসএস (CSS), জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript), মাইএসকিউএল (MySQL), অপারেটিং সিস্টেম, সার্চ ইঞ্জিন, ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে বেসিক ধারণা রাখতে পারেন। সাধারণত একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার ফ্রিল্যান্সিং কাজ করেন এবং বিভিন্ন ওপেন সোর্স প্রজেক্টে কাজ করে থাকেন।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রার্থীর কোডিং স্কিল এবং থিম কাস্টমাইজেশন দক্ষ তাকে বিবেচনা করেই একমাত্র কর্মীগুলো নিয়োগ দেওয়া হয়। সুতরাং আপনি ওয়ার্ডপ্রেস শিখে খুব সহজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফ্রন্ট এন্ড ডেভলপার হিসেবে যোগদান করতে পারবেন। তাই বলা যাচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ব্যতীত আপনি বিভিন্ন কোম্পানিতে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার হিসেবে যোগদান করে টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু অনলাইনে ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় করার উপায় হিসেবে আপনাকে একমাত্র ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস লক্ষ্য রাখতে হবে। পাশাপাশি মার্কেটপ্লেস ব্যতীত আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকেও কাজ পাবেন।
আউট অফ মার্কেটপ্লেস বলতে সাধারণত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং আউট রিচ করাকে বোঝাচ্ছে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে ওয়ার্ডপ্রেস শিখে অনলাইন থেকে আয় করার উপায় হিসেবে আউট রিচ বিষয়টা কি। ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে এ বিষয়টি জানা যেমন জরুরী ঠিক তেমনি অনলাইন থেকে আয় করার জন্য মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেসের বাইরে ক্লায়েন্টকে সরাসরি ক্লাইন্টকে আউটলেট করার বিষয়গুলো জানাও জরুরী। সাধারণত আপনি যে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার হয়ে থাকেন। তাহলে যারা অলরেডি ওয়েবসাইটের মালিক।
তাদেরকে বিভিন্ন প্লাগিন সম্পর্কে ধারণা এবং তাদের ওয়েবসাইটগুলো আরো ভালো মানের করে দেওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করতে পারেন। একজন ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষকে আপনি যদি কোল্ড মেইল করে তার ওয়েবসাইট গুলোর সমস্যা ধরিয়ে দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই সে আপনাকে ওয়েবসাইট ঠিক করার বিষয়ে অর্ডার দিয়ে দিবেন। এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই পারিশ্রমিক প্রাপ্ত হবেন। এছাড়া আউট অফ মার্কেটপ্লেস ব্যতীত সরাসরি মার্কেটপ্লেস থেকে আপনি ফাইবার অথবা আপনার থেকে কাজ পেয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ফাইবার এবং up work এ প্রফেশনাল মানের পোর্টফোলিও সহকারে একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে।
কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস শিখবেন এবং ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করবেন
আমরা আর্টিকেলের এতক্ষণ পর্যন্ত ওয়ার্ডপ্রেস কি এবং ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করেছি। আমরা শুরুতে বলেছিলাম ওয়ার্ডপ্রেস কেন শেখা উচিত এ বিষয়টিতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট গুলো কতটা ভূমিকা রাখছে। এজন্য অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেস শিখার ক্ষেত্রে এবং ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ আপনি কয়েকটি বিষয়ে যদি অবলোকন করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরীর বিষয়টি জানতে পারবেন।
আরোও পড়ুনঃ ব্লগের মূল চালিকাশক্তি কি? ব্লগ তৈরির নিয়ম
কিন্তু আপনি যদি নিজেকে একজন হাই পেড ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপিং এর খুঁটিনাটি সকল বিষয় জানতে হবে। পাশাপাশি জাভা স্ক্রিপ্ট বা পিএইচপি শেখার প্রয়োজন পড়তে পারে। চলুন তাহলে এবার জেনে নিব ওয়ার্ডপ্রেস শেখার পরে কিভাবে একটি ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করা যাবে।
- ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি সেটি হল ডোমেইন নেইম ক্রয় করা। আপনার বিজনেস এবং প্রোডাক্টের উপর ভিত্তি করে ডোমেন নেইম কিনতে হবে।
- ডোমেন কেনার পর পাশাপাশি অবশ্যই ওয়ে পোস্টিং ক্রয় করতে হবে। কেননা প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট একটি ওয়েব সার্ভারে হোস করা থাকে।
- ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করার পর বিষয় আসবে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটলিং। যদি আপনি ইতিমধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং সার্ভিস গ্রহণ করেন সেক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস ইতিমধ্যে পি ইন্সটল হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনি প্যাকেজের উপর নির্ভর করে কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস প্রোগ্রামটি ইন্সটল করার সুবিধা পাবেন।
- ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল হওয়ার পর বা তৈরি করার পর অটোমেটিক কিছু ওয়ার্ডপ্রেস থিম চলে আসবে। ফ্রি কিছু থিম রয়েছে যেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন অথবা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে পেইড থিম কিনে আপনার ওয়েবসাইট সজ্জিত করতে পারবেন।
- নির্বাচন করার পর থিম কাস্টমাইজ করার দিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। আপনি যে নিশের উপরে ওয়েবসাইট নির্মাণ করলেন সেই অনুযায়ী আপনার ওয়েবসাইটটি কাস্টমাইজ করা শুরু করে দিতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ সকল কাজ প্লাগিন বিল্ড করার মতই হবে।
- ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট কিছু মৌলিক পেজ ও পোস্ট দিয়ে সাজানো থাকে। এরপর আপনার প্রয়োজন অনুসারে পোস্ট তৈরি করে সেগুলো পাবলিশ করার চেষ্টা করুন। ধীরে ধীরে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটটি প্রফেশনাল লুক ধারন করবে।
- ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপেরিয়েন্সকে বহুবনে বৃদ্ধি করার জন্য প্লাগিন এর ভূমিকা সব সময় বেশি। সুতরাং আপনার ওয়েবসাইটের ধরন এবং কি কি ফাংশন চাচ্ছেন সেটির উপর নির্ভর করে ওয়েবসাইটে ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন তৈরি করে নিতে পারবেন।
আমাদের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা এখানে ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে এবং ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শিখে সেটি থেকে টাকা ইনকাম করা যায় সে বিষয়গুলো ইনপুট করার চেষ্টা করেছি। সুতরাং আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস কি এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হতে পারেন এবং নিজেকে একজন দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে অবশ্যই মার্কেটপ্লেস, মার্কেটপ্লেসের বাইরে থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে নিজেকে প্রফেশনাল লেভেলের ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অবশ্যই একটি কোর্স করার গুরুত্ব অনেক।
তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো মানের আইটি সেন্টার দেখে ভর্তি হতে হবে। আজকের ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপিং সংক্রান্ত পোস্টটি আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আমরা সবসময় আমাদের ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। পাশাপাশি আপনার বন্ধুবান্ধবদের ওয়ার্ডপ্রেস কি এবং ওওয়ার্ডপ্রেস কেন শেখা উচিত এই বিষয়গুলো জানানোর উদ্দেশ্যে অবশ্যই আজকের এই পোস্টটি শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url