মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং শিখতে কত দিন লাগে বিস্তারিত জানুন
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ভিডিও ফটো শুটগুলো যেমন আধুনিক হয়েছে। ঠিক তেমনি ভিডিও শুট করার পর এডিটিং কার্যক্রমগুলো পূর্বের তুলনায় এখন সম্পূর্ণ আলাদা। এজন্য যারা ভিডিও এডিটিং নিয়ে আগ্রহ রাখেন তাদের ক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে যে ভিডিও এডিটিং শিখতে কত দিন লাগে। আসলে প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটিং শিখতে অনেকটাই সময়ের প্রয়োজন। একটি ভিডিও কে সুন্দর সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ইকুপমেন্ট এর পাশাপাশি এডিটিংয়েরও প্রয়োজন পড়ে।
ভালো ক্যামেরা, লাইটিং সেটআপ এবং মাইক্রোফোনের পাশাপাশি এডিটিং ক্রিয়েটিভিটি একটি ভিডিওকে অন্য একটি লেবেলে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। সুতরাং আপনি যদি ভিডিও এডিটিং শিখতে কত দিন লাগে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আরো যে সকল বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চলেছেন সেগুলো হল ভিডিও এডিটিং ক্যারিয়ার এবং মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং কোর্স সম্পর্কে। সুতরাং প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং কোর্স এবং ভিডিও এডিটিং শিখতে কত দিন লাগে বিষয় সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্র
ভিডিও এডিটিং কি এবং ভিডিও এডিটিং কত প্রকার
ভিডিও এডিটিং সে বিষয়টিকে বলা হচ্ছে যেখানে একটি ভিডিও ফুটেজকে নিজের ইচ্ছেমতো এডিট করে একটি সুন্দর গল্প ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। অনেকে বিয়ের ওয়েডিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে স্মৃতি জড়িত হিসেবে ধরে রাখার জন্য ভিডিও শুট করে থাকে। একটি ভিডিও শুট নরমাল ভাবে করে নেওয়ার পর সেখানে বিভিন্ন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ক্রিয়েটিভিটি এবং ইফেক্ট ফুটিয়ে তোলার যে বিষয় সেটিকে মূলত ভিডিও এডিটিং বলা হয়। আমরা যখন কোনরকম দৃশ্য অথবা ফুটেজ ক্যামেরায় বন্দি করি।
তখন সেটি অগোছালো এবং প্রফেশনাল মানের হয় না। পরবর্তীতে বিভিন্ন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে শুটকৃত ভিডিওগুলো ইফেক্ট এবং জোড়াতালি লাগিয়ে এডিটিং কার্য সম্পাদন করা হয়ে থাকে। সোজা কথায় বলতে গেলে বিভিন্ন ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ক্যামেরার মাধ্যমে যে সকল ফুটেজ ধারণ করা হয় সেগুলো পরিমার্জিত করে দর্শকদের কাছে উপস্থাপন করার পদ্ধতিকেই ভিডিও এডিটিং বলে গণ্য করা হচ্ছে। ভিডিও এডিটিং কত প্রকার হবে, আসলে এটা কোন প্রকারভেদ এর উপর নির্ভর করে না।
কেননা ভিডিও এডিটিং আপনি কোন ডিভাইসে বিভিন্ন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ক্রিয়েটিভিটি ফুটিয়ে তুলতে পারেন। তবে ভিডিও এডিটিং কত প্রকার হবে এই প্রশ্নতে দুটি কথা বলা যেতে পারে। প্রথমটি হল মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং এবং ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার দিয়ে ভিডিও এডিটিং। আপনি যে পদ্ধতি অবলম্বন করুন না কেন ভিডিও এডিটিং শিখতে কত দিন লাগে এটি আসলে বলা সম্ভব নয়। পাশাপাশি আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং কোর্স করে ক্রিয়েটিভিটি ফুটিয়ে তুলতে পারেন তাহলে সেখানেও সফলতার সম্ভাবনা রয়েছে।
মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং কোর্স
অনেকের ভিডিও এডিটিং বিষয়ে আগ্রহ থাকলেও একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের অভাবে সেটি আর শেখা হয়ে ওঠেনা। কিন্তু আজকে যদি আপনি এই আর্টিকেলের সকল বিষয়গুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করেন তাহলে মোবাইল দিয়ে কিভাবে ভিডিও এডিটিং করা যায় এবং সেটি প্রফেশনাল মানের হবে সে সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা পেয়ে যাবেন। বর্তমান সময়ে ল্যাপটপের পাশাপাশি অনেক মোবাইল লঞ্চ করা হয়েছে যেগুলো কম্পিউটারের মতোই বিভিন্ন প্রফেশনাল মানের কাজ করা সম্ভব।
বিশেষ করে Iphone সিরিজের মোবাইল এবং Samsung S সিরিজের মোবাইল গুলো দিয়ে অনেক ভালো মানের ভিডিও শুট করে সেটি এডিটিং করা যায়। কিন্তু ওই ডিভাইস গুলোর দামও অনেক বেশি যার ফলে মধ্যবিত্ত ঘরের লোকজনের সেগুলো পারচেজ করার ক্ষমতা থাকে না। আপনি জেনে অবাক হবেন এখন ২৫ হাজার টাকার দামের যে মোবাইল গুলো রয়েছে যেমন oppo, vivo, realme এই মোবাইলগুলো দিয়ে আপনি ভালো মানের ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। তবে কিভাবে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হবেন সেই বিষয়গুলো আপনার জানতে হবে।
চলুন তাহলে এবার ভিডিও এডিটিং শিখতে কত দিন লাগে এই বিষয়টি জানার পূর্বে। মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং কোর্স করার জন্য এবং প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হওয়ার জন্য কোন বিষয়গুলো জানা দরকার সেটি পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা যাক।
ভিডিও এডিটিং এবং ক্রিয়েটিভিটি
আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন যারা খুব ভালো মানের ভিডিও এডিটিং করে থাকে তাদের ভিডিওগুলোতে প্রফেশনাল বিষয়টি খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয় এবং সেটি হয় একমাত্র ক্রিয়েটিভিটির কারণে। আপনার ভিতরে যদি ক্রিয়েটিভিটি থাকে তাহলে সেটি ভিডিও এডিটিং এর মধ্যে অবশ্যই নিয়ে আসতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনে যেমন একটি ক্রিয়েটিভনেস কাজ করে ঠিক তেমনি ভিডিও এডিটিং ক্ষেত্রেও একই বিষয় হয়ে থাকে।
এডিট করার সময় আপনার ভিতর থেকে যত বেশি আইডিয়া ক্রিয়েট করতে পারবেন সেটি মূলত ক্রিয়েটিভিটি। যদি মনে করেন অন্য আরেকজনের ভিডিও কপি করে হালকা কিছু এডিট করে আপনি প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটর হবেন তাহলে ধারণাটি ভুল। আপনার নিজে নিজে ক্রিয়েটিভিটির সঙ্গে কাজগুলো পরিচালনা করতে হবে। এজন্য সেই সকল এডিটরদের কাজগুলো বেশি বেশি দেখার চেষ্টা করুন যারা ভালো মানের ভিডিও এডিটিং নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে।
পরিশ্রম এবং ধৈর্যশীলতা
বাংলাতে একটি প্রবাদ আছে "পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি"। আপনি যদি ধৈর্যের সঙ্গে পরিশ্রম করে যান তাহলে সফলতা নিশ্চিত এটা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু ভিডিও এডিটিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রচুর ধৈর্যশীল হতে হবে। একটি ৩০ মিনিটের ভিডিও এডিটিং কার্য সম্বোধন করতে আপনার এক সপ্তাহ সময়ও লাগতে পারে। আপনি এখানে যত পরিশ্রম, ধৈর্য এবং সময় বিনিয়োগ করবেন আপনার এডিটিং ততটাই প্রফেশনাল মানে হবে। এডিটিং করার সময় প্রত্যেকবার যাচাই করে দেখতে হয় পূর্বে এডিটিংকৃত ভিডিও গুলো কেমন মানে হল।
প্রত্যেকটি ছোট ছোট বিষয়ের উপর নজর দিতে হবে যেন প্রত্যেকটি পার্ট বাই পার্ট সেট হয় এবং সেখান থেকে গল্পটি ফুটে ওঠে। যেগুলো অপ্রয়োজনীয় জিনিস এবং দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ করবে না সেগুলো কাট করে দিতে হবে। ভিডিও এডিটিং এর আরো একটি বিষয় হলো প্রত্যেকটি পার্টের সঙ্গে সময় মিলিয়ে এডজাস্ট করা। যদি আপনি এ ধরনের কাজগুলো করতে পারেন তাহলে ভিডিও এডিটিং শিখতে কত দিন লাগে এই বিষয়টি নিয়ে আর কোন চিন্তা থাকে না এবং মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং পোস্ট করেও আপনি প্রফেশনাল মানে ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
আমরা আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু রেখেছিলাম মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার বিষয়টি। তবে পিসি বা ল্যাপটপে আপনি যে ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবেন মোবাইলে সে ধরনের সফটওয়্যার অবশ্যই ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু বর্তমানে অনেক সফটওয়্যার চলে এসেছে যেগুলো দিয়ে পিসির মতই প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটিং করা যাচ্ছে। বিশেষ করে পিসিতে যেমন Adobe Premiere Pro, Adobe After Effect, Wondershare Filmora, Vegas Pro, Camtasia এ সকল হাই ক্লাস সফটওয়্যার দিয়ে ভালো মানের ভিডিও এডিটিং করা যায়।
ঠিক তেমনি আজকাল মোবাইলেও বিভিন্ন সফটওয়্যার দিয়ে খুব ভালো মানের এডিটিং কার্য সম্পাদন করা সম্ভব হচ্ছে। আপনি কেমন ভিডিও এডিট করবেন সেটি নির্ভর করে আপনার ক্রিয়েটিভিটির উপর। পাশাপাশি ভালো মানের সফটওয়্যার না হলে আপনি আপনার এডিটিং করে যেমন মজা পাবেন না এবং সেটি প্রফেশনালের ধারে কাছেও যাবে না। চলুন তাহলে কিছু ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক। ইতিমধ্যে আমরা পিসিতে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার কোনগুলো লাগে সেটি জেনেছি। নিচে মোবাইলের কয়েকটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের নাম দেয়া হলো।
স্ক্রিপ্ট এবং স্পেশাল ইফেক্ট
একটি ভিডিওর মূল বিষয় হলো সম্পূর্ণ একটি স্ক্রিপ্ট। আপনি যদি ডকুমেন্টারি ভিডিও তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই একটি স্ক্রিপ্ট এর প্রয়োজন পড়বে। পাশাপাশি আপনি বিভিন্ন শর্ট ভিডিও, নাটক, ফানি ভিডিও সহ যেকোনো ধরনের ভিডিও আপনি তৈরি করতে গেলে প্রথমে স্ক্রিপ্ট এর প্রয়োজন পড়বে। তবে ভিডিও এডিটিং শিখতে কত দিন লাগে এবং একটি ভিডিও সম্পূর্ণ হতে কতদিন সময় লাগবে এটি বলা মুশকিল। সুতরাং ভিডিও তৈরি প্রথমে স্ক্রিপ্ট নির্বাচন করা খুবই জরুরী একটি বিষয়।
অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন ভিডিও এডিটিং শিখতে কতদিন লাগে। বিশেষ করে মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং কোর্স করার পর কি আসলেই প্রফেশনাল মানের ভিডিও তৈরি করা যায় কিনা। এজন্য আপনাকে স্ক্রিপ্ট এবং স্পেশাল ইফেক্ট গুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা নেওয়া জরুরী। আমরা ইতিমধ্যে ভিডিও এডিটিং করার জন্য যে সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে উপরে ধারণা দিয়েছি।
সফটওয়্যার গুলোর ভেতরে যে ফুটেজটি এডিট করবেন সেটি ইমপোর্ট করার পর সেখানে আপনি স্পেশাল ইফেক্ট যুক্ত করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে গ্রিন স্ক্রিন এবং ভিএফএক্স এর কাজ সম্পন্ন ভিডিও গুলো বেশি ডিমান্ডেবল হয়ে থাকে। সুতরাং গ্রিন স্ক্রিন রিমুভ এবং সাধারণ ইফেক্টগুলো কিভাবে যুক্ত করতে হয় সে সম্পর্কে আপনার এ টু জেড ধারণা থাকতে হবে। এখন প্রশ্ন হল উপরে বর্ণিত সকল বিষয় জানার পর আমার কি করা উচিত।
অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং কোর্স করার জন্য বিভিন্ন আইটি সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা বেসিক লেভেলের ধারণা নিয়ে আপনি youtube এবং ব্লগ ওয়েবসাইট থেকেও ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়ে যাবেন। আমাদের উপদেশ হবে ভিডিও এডিটিং করতে ভর্তি হওয়ার পূর্বে অবশ্যই ইউটিউব এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে বেসিক ধারণা গ্রহণ করা।
প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং কোর্স
মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং কার্য সম্পাদন করা গেলেও প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটিং করতে হলে অবশ্যই পিসি অথবা ল্যাপটপের প্রয়োজন পড়বে। অনেকে মনে করেন একটি পিসিতে এডোবি প্রিমিয়ার প্রো সফটওয়্যার থাকলে সেখানে ভিডিও এডিটিং করা সম্ভব। কিন্তু বিষয়টি আসলে এমন নয়। আপনাকে মাসিক অথবা বাৎসরিক চুক্তিতে এ সকল সফটওয়্যার এর সাবস্ক্রিপশন ক্রয় করতে হবে। অর্থাৎ মাসিক চুক্তিতে যদি আপনি সাবস্ক্রিপশন নেন তাহলে প্রতি মাসে সেটি আপনাকে পুনরায় ক্রয় করতে হবে।
তাহলে আরো একটি বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার হয়ে গেল প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং কোর্স করার পাশাপাশি যদি প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটর হতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই পরিশ্রম, সময় এবং অর্থ ও বিনিয়োগ করতে হবে। প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং কোর্স করার জন্য অবশ্যই ভালো মানের একটি আইটি সেন্টারে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন। ভর্তি হওয়ার পূর্বে অবশ্যই সেই আইটি সেন্টার সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা নিয়ে নেওয়া জরুরী। সেখানকার গাইডাররা আসলেই ভালো মানের এডিটর কিনা সেটি জানা প্রয়োজন।
পাশাপাশি সেই সকল আইটি সেন্টার থেকে আপনি ভিডিও এডিটিং শিখতে কত দিন লাগে বা কত দিনের মধ্যে আপনি একজন প্রফেশনাল মানের এডিটর হতে পারবেন সেটি জেনে নিতে পারেন। আমরা এখানে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং কোর্স করার জন্য সেন্টারের নাম সাজেস্ট করলাম।
- 10 Minute School
- eShikhon
- Bohubrihi
- Learning Bangla
- Mid Journey Course
- Ghoori Learning
ভিডিও এডিটিং ক্যারিয়ার এবং ভবিষ্যৎ
পূর্বে অনেকে এ ধারণা করতে পারেনি যে ভিডিও এডিটিং একটি ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। শুধুমাত্র বিয়ে বাড়ি অনুষ্ঠানসহ আরও অন্যান্য সকল ধরনের অনুষ্ঠানে ভিডিও এডিটিং বিষয়টি সীমাবদ্ধ ছিল। সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটিং একটি ক্যারিয়ার হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বিপ্লবী ভূমিকা পালন করছে। ধরুন আপনি আপনার ব্যবসার প্রোডাক্টের একটি সুন্দর ভিডিও তৈরি করতে চাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটরের প্রয়োজন পড়বে।
আবার পূর্বের তুলনায় বর্তমান সময়ে বিয়ের ওয়েডিং ফটোশুট থেকে শুরু করে ভিডিও এডিটিং সম্পূর্ণ সিনেমাটো গ্রাফি অনুসরণ করে তৈরি করা হচ্ছে। আর এ ধরনের হাই লেভেলের ভিডিও শুট থেকে শুরু করে এডিটিং কার্যগুলো সম্পাদন করার জন্য অবশ্যই একজন ভালো মানের এডিটরের প্রয়োজন হয়। আপনি যদি ভিডিও এডিটিং ক্যারিয়ার হিসেবে নিজেকে উপনীত করতে চান তাহলে খুব ভালো একটি সিদ্ধান্ত বলে আমরা মনে করি। পাশাপাশি বর্তমানে যেমন ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা রয়েছে।
ভবিষ্যতে এর চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে যাবে এটা বলা যেতেই পারে। তবে একজন ভালো মানের এডিটর হওয়ার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে। সেক্ষেত্রে যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং কোর্স করতে চাচ্ছেন। তাহলে অবশ্যই আপনাকে সময় ধৈর্য, অর্থ সব কিছু বিনিয়োগ করতে হবে। এডিটিং শেখার পর অবশ্যই জুনিয়র এরপর সিনিয়র এডিটর হওয়া যায়। যদি আপনার পারফরম্যান্স ভালো হয় সেক্ষেত্রে আপনার সময় অনেক কম লাগতে পারে।
ভিডিও এডিটিং শিখে বিভিন্ন কোম্পানিতে বা প্রোডাকশন হাউসে ভিডিও এডিটিং ম্যানেজার পদে চাকরি করছেন। যদি তাদের বেতনের কথা বলা হয় তাহলে আপনাদের চোখ কপালে উঠে যাবে। যদি সেরকম চাকরি নাও পান আপনি ভালো মানের ভিডিও এডিটিং করে সেগুলো যদি ইউটিউব এবং ফেসবুকে আপলোড করেন সেখান থেকেও ভালো একটি আর্নিং করা সম্ভব। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেও প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে।
আমাদের পরামর্শ হবে ভিডিও এডিটিং শিখতে কত দিন লাগে এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা না করে সেখানে সময় বিনিয়োগ করে ভালো মানের একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হওয়া। যদি পিসি অথবা ল্যাপটপ না থাকে সেক্ষেত্রে মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং কোড সম্পূর্ণ করে আজকে থেকেই কাজে লেগে পড়া উচিত।
শেষ কথা
বন্ধুগণ আমরা আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সেটি হল ভিডিও এডিটিং শিখতে কত দিন লাগে এ বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করলাম। পাশাপাশি আপনার যদি ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে আগ্রহ থাকে তাহলে কোন সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে এবং মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং কোর্স করে আসলেই কি প্রফেশনাল মানের এডিটর হওয়া যায় কিনা সে সম্পর্কেও জানতে পারলাম। এরপরেও ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের মন্তব্য বক্সে জানতে পারেন।
আমরা সব সময় চেষ্টা করি আমাদের ওয়েবসাইটে অনলাইন ইনকাম এবং ক্রিয়েটিভিটি সম্পন্ন কাজগুলো তুলে ধরার জন্য। আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। পাশাপাশি আপনার যে বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজন রয়েছে, যাদের ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে আগ্রহ আছে। তাদেরকে আজকের এই পোস্টের তথ্যগুলো জানানোর জন্য অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url