Seo করে কত টাকা আয় করা যায়
Seo করে কত টাকা আয় করা যায় এবং Seo শিখতে কি কি লাগে এই প্রশ্নগুলো আমরা ঠিক তখনই বেশি আগ্রহ সহকারে জানার চেষ্টা করি যখন আমরা এসইও (SEO) সেক্টরে নতুন অথবা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শেখার চেষ্টা করছি। বর্তমান সময়ে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজগুলোর দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন প্রায় সকল ক্ষেত্রেই এসইও বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে জুড়ে রয়েছে। বিশেষ করে আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন সে ক্ষেত্রে Seo করে কত টাকা আয় করা যায় এ বিষয়টি আপনার জেনে নেওয়া উচিত।
পাশাপাশি seo শিখে কিভাবে আয় করবো, Seo শিখতে কি কি লাগে এসকল বিষয়ে এ টু জেড জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কারণ আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে বেসিক লেভেলের ধারণা দিয়ে কোন কাজ হবে না। আপনাকে অবশ্যই একজন SEO EXPART হতে হবে যে কিনা এসইও সেক্টরের সকল কাজ সম্বন্ধে পারদর্শী। সুতরাং এসইও সম্পর্কে এবং Seo করে কত টাকা আয় করা যায় বিষয়গুলো জানার জন্য অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলের প্রত্যেকটি অংশ মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করুন।
পোস্ট সূচিপত্র
এসইও কি (SEO)
এসইও (SEO) এর পূর্ণরূপ হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization)। সার্চ ইঞ্জিনের কিছু নিয়ম কানুন অনুসরণ করার মাধ্যমে এবং কিছু বিষয় পরিলক্ষিত করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন সঠিক ওয়েবসাইটটিকে ভ্যালুয়েবল মনে করে এবং সেটিকে তালিকার শীর্ষে নিয়ে আসে। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি কোন কিছু বিষয় জানার জন্য হোক বা কেনার জন্য Google এ সার্চ দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার সামনে অনেকগুলো ওয়েবসাইট এর তালিকা চলে আসে, এর মধ্যে কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে।
যেগুলো গুগলকে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে অর্থাৎ অ্যাড ক্যাম্পেইন স্পন্সারড হিসেবে তালিকার শীর্ষে থাকে। এরপরেই যে ওয়েবসাইটগুলো আপনার নজরে আসে সেগুলোই সাধারণত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর দ্বারা তালিকার শীর্ষে নিয়ে আসা হয়েছে। গুগল সার্চ ব্রাউজারে আমরা যখন কোন কিছু লিখে সার্চ করি তখন যে রেজাল্ট পেজ আমাদের সামনে প্রদর্শন করা হয়, সেটিকে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ (Search Engine Result Page)।
সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজের উপরের দিকে নিয়ে আসার কাজগুলো একমাত্র (SEO) এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কাজ শিখে করা সম্ভব। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল হাতিয়ার হিসেবে এসইওকে (SEO) ধরা হয়। অর্থাৎ আপনি শুধুমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং নয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যে বিষয় নিয়েই কাজ করবেন কোন এক সময় এসইও এর শরণাপন্ন হতে হবে। এজন্য একজন বিগিনার ফ্রিল্যান্সারের ক্ষেত্রে Seo করে কত টাকা আয় করা যায় এ বিষয়টি জানার পূর্বে Seo শিখতে কি কি লাগে এ বিষয়টি জানার প্রয়োজন রয়েছে।
Seo শিখতে কি কি লাগে
এসইও শেখার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যেগুলো জানার মাধ্যমে আপনি একজন এসইও এক্সপার্ট হতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং বা এসইও শিখে সফল হওয়ার স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। তবে সফলতার বীজ বপনের পূর্বে অবশ্যই জমি চাষ করা প্রয়োজন। এখানে জমি চাষ করা বলতে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং বা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার পূর্ব মুহূর্তের প্রস্তুতির কথা বলা হচ্ছে। আপনি যেহেতু অনলাইন বা ইন্টারনেট ভিত্তিক কাজ করতে যাচ্ছেন সেজন্য অবশ্যই আপনার একটি ল্যাপটপ অথবা পিসির প্রয়োজন পড়বে। এসইও এর সকল কাজ মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব নয়।
তবে youtube ভিডিও আপলোড করে সেগুলো মোবাইল দিয়ে এসইও করা সম্ভব হয়। কিন্তু ওয়েবসাইটে যে সকল আর্টিকেল পাবলিশ করা হয় সে সকল আর্টিকেল কে এসইও করার জন্য অবশ্যই একটি পিসির প্রয়োজন পড়বে। পাশাপাশি প্রতিদিন ৬ ঘণ্টার মতো কাজ করার মন মানসিকতা তৈরি করে নিতে হবে। পিসির কনফিগারেশন এর কথা বলতে গেলে কমপক্ষে প্রসেসর হতে হবে Core i3, রেম হতে হবে কমপক্ষে ৮ জিবি। অবশ্যই বাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।
অন্য যাবতীয় সরঞ্জাম যেমন মাইক্রোফোন, মাউস, কিবোর্ড, মনিটর, হার্ডডিস্ক এগুলো প্রয়োজন পড়বে। এটা সাধারণত গেল এসইও শিখার প্রাথমিক বিষয়বস্তু। এরপরে প্র্যাকটিক্যালি আপনি যখন এসইও (SEO) শেখা শুরু করবেন তখন আসবে এসইও শেখার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে আলোকপাত করা উচিত। চলুন তাহলে এবার Seo করে কত টাকা আয় করা যায় এই বিষয়টি পর্যালোচনা করার পাশাপাশি এসইও শেখার আগে যেসব বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে সেটি আলোচনা করা যাক।
- নিজেকে একজন প্রফেশনাল এসইও এক্সপার্ট হিসেবে তৈরি করতে হলে অবশ্যই এসইও বিষয়টি কি এবং এটি কিভাবে পরিচালনা করা হয় সে সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
- যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো অনলাইন ভিত্তিক হয়ে থাকে সেজন্য অনলাইন সার্চিং বা সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। গুগলে সঠিক বিষয় সার্চ করা থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট পোস্ট, পেজ, লিঙ্ক ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা প্রয়োজন।
- ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করার জন্য এ সকল প্রয়োজনীয় ডাটা খোজার প্রয়োজন সেগুলো ব্রাউজার থেকে খোঁজার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
- মাইক্রোসফট এক্সেল মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এবং Google Docs, Google Sheet এগুলো সম্পর্কে জানতে হবে এবং ব্যবহার করার পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে অবগত হতে হবে।
- ওয়েবসাইটে টেকনোলজি এবং আর্কিটেকচার সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে যা না জানলে আপনি এসইও সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন না।
Seo করে কত টাকা আয় করা যায়
ফ্রিল্যান্সিং এর যে কোন সেক্টরেই আপনি কাজ করুন না কেন সেখান থেকে আসলে কত টাকা ইনকাম করা যায় এটা বলা মুশকিল। এর কারণ হলো এখানে কোন নির্ধারিত বেতনের উল্লেখ থাকে না। আপনার কাজের দক্ষতা এবং অর্ডারের উপর নির্ভর করে আপনি মাসে কত টাকা আয় করবেন। যদি আপনি মার্কেটপ্লেস কে লক্ষ্য রেখে এসইও (SEO) শেখেন সে ক্ষেত্রে প্রথম অবস্থায় আয় করার পরিমাণ একটু কম হবে। এজন্য টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আউট অফ মার্কেটপ্লেসে কিভাবে ক্লায়েন্ট আউট করতে হয় সে সম্বন্ধে জ্ঞান রাখা প্রয়োজন।
আবার মার্কেটপ্লেস এবং আউট অফ মার্কেটপ্লেস ব্যতীত টাকা ইনকাম করার কোন কোন উপায়ে রয়েছে সেগুলো জানতে হবে। একজন প্রফেশনাল এসইও এক্সপার্ট প্রতিমাসে কমপক্ষে বাংলা টাকায় ৫০০০০ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারে। তবে যদি আপনার পরিশ্রম করার মন মানসিকতা থাকে তাহলে একমাত্র এসইও সেক্টরে আসা প্রয়োজন। এখানে সময়, অর্থ, ধৈর্য সবকিছুই আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে। এসইও এর সকল বিষয় সম্বন্ধে জানতে হলে।
কমপক্ষে আপনাকে ৬ মাস হাতে সময় নিয়ে আসতে হবে এবং এই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে মাথা থেকে ইনকাম করার বিষয়টি ঝেড়ে ফেলতে হবে। যদি আপনি সঠিক গাইডলাইনের আওতায় একজন এসইও এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে দেখবেন মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেস এর বাইরে থেকে আপনি প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এসইও তে কাজের ধাপ কয়টি
বন্ধুগণ যদিও আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের টাইটেল এবং মূল বিষয়বস্তু হলো Seo করে কত টাকা আয় করা যায়। কিন্তু আমরা সবসময় আমাদের আর্টিকেলে সকল তথ্যগুলো ইনপুট করার চেষ্টা করি। আমরা উক্ত বিষয়টি জানার পূর্বে সেই বিষয়ে নিজেকে কিভাবে দক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে সেটি নির্ণয়ের চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে আমরা এসইও কি এবং seo শিখে কিভাবে আয় করবো এ বিষয়গুলো জানার সঙ্গে সঙ্গে এসইও (SEO) করার জন্য কি কি ধাপ রয়েছে বা কোন কোন বিষয় সম্পর্কে নিজেকে এক্সপার্ট করতে হবে সেগুলো জানানোর চেষ্টা করছি। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এখন এসইওতে কাজের ধাপ কয়টি রয়েছে সেগুলো জানার চেষ্টা করব।
সার্চ ইঞ্জিন এবং সার্চ ইঞ্জিনের প্রক্রিয়া (Search Engine)
একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার বা ডিজিটাল মার্কেটার যে কিনা সার্চ ইঞ্জিন বা এসইও নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছে তার ক্ষেত্রে প্রথম যে বিষয় সামনে আসবে সেটি হল সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে এ বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। আপনি যদি কোন গাইডারের আওতায় এসইও কোর্স করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সে আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করবে। চলুন তাহলে জেনে নিব একটি সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে।
- সার্চ ইঞ্জিনে প্রদত্ত BOT বা ক্রলার গুলি ওয়েবপেজ স্ক্যান করা থেকে শুরু করে সকল তথ্যগুলো সংগ্রহ করে। ক্রলিং হল সেই পদ্ধতি যেখানে সার্চ ইঞ্জিন এর BOT গুলো নতুন এবং আপডেটেড কনটেন্ট গুলো শনাক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
- ক্রল করা তথ্যগুলো সার্চ ইঞ্জিনের ডাটা বেজে সংরক্ষিত করতে হয়। এক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া সম্পাদন করে ইনডেক্সিং। আপনি কোন একটি আর্টিকেল পাবলিশ করার পর সেটা ইনডেক্স করার প্রয়োজন পড়বে। ইনডেক্সিং এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন কন্টেন্ট গুলোকে দ্রুত খুঁজে পায় এবং প্রদর্শন করে।
- সাধারণত সার্চ ইঞ্জিন কন্টেন্টের গুণগত মানের উপর ভিত্তি করে সেই ওয়েব পেজটিকে রেংকিং দিয়ে থাকে। পাশাপাশি আর্টিকেল এর বিষয়বস্তু যদি পাঠকদের কাছে ভাল মনে হয় সেক্ষেত্রে পেজের অবস্থান সবসময় উপরের দিকে থাকে। রেংকিং নিয়ে আসার জন্য কিওয়ার্ড, কন্টেন্ট রাইটিং, ব্যাকলিংক এ সকল বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
কিওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword Research)
বলতে পারেন Seo করে কত টাকা আয় করা যায় এ বিষয়টি নির্ভর করে অনেকটা কিওয়ার্ড এর উপর। এর কারণ হলো আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড এর ভলিউম যদি বেশি হয় এবং লোকজন যদি সার্চ করে। পাশাপাশি আপনি যদি ওই কিওয়ার্ড টি খুঁজে পান এবং সেই বিষয়ে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার র্যাঙ্ক পোস্ট পাওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকবে। এজন্য আপনাকে জানতে হবে কোন কিওয়ার্ডগুলো আপনার দর্শক বেশি বেশি চায় বা সার্চ করে। যদি কিওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে আপনি আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে সার্চ ইঞ্জিন ভালোভাবে রেংক করতে সহায়তা প্রদান করবে।
কিওয়ার্ড টুলসঃ কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য, গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার, Ahrefs, Semrush,এবং MOZ এ জাতীয় ভালো মানের কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস ব্যবহার করতে হবে যা আপনাকে কিওয়ার্ড সার্চ ভলিউম, প্রতিযোগিতা এবং অন্যান্য ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
কিওয়ার্ড নির্বাচনঃ কিওয়ার্ড রিসার্চ করার পাশাপাশি আপনাকে কিওয়ার্ড নির্বাচন করার বিষয়টি এতেও সচেতন থাকতে হবে। আপনাকে এমন সকল কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে যা আপনার কনটেন্টের সাথে যুক্ত এবং সম্পর্কিত। পাশাপাশি যার সার্চ ভলিউম বেশি কিন্তু প্রতিযোগিতা কম। সাধারণত প্রথম অবস্থায় সার্চ ভলিউম ১০০ এর নিচে রয়েছে এ ধরনের কিওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে।
অন পেজ এসইও (On Page SEO)
seo শিখে কিভাবে আয় করবো এ বিষয়টিতে শুধুমাত্র আপনি যদি অন পেজ এসইও শিখে কাজ করতে চান সেক্ষেত্রেও মার্কেটপ্লেস এবং আউট অফ মার্কেটপ্লেসে অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে। যেহেতু অন পেজ এসইও কাজটি একটু জটিল এবং নিজের ক্রিয়েটিভিটির বিষয় রয়েছে এজন্য অনেকেই এ ধরনের কাজ করতে চান না। আর আপনি যদি এই সুযোগটাকে কাজে লাগান অর্থাৎ যেহেতু এ বিষয়ে কাজের লোকের সংখ্যা কম।
তাই আপনি যদি অন পেজ এসইও বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে শিখে ফেলতে পারেন। তাহলে আশা করা যায় আপনি মার্কেটপ্লেস থেকে প্রতি মাসে ভালো একটি এমাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারবেন। চলুন তাহলে এবার জেনে নেব ওয়ান পেজ অপটিমাইজেশন করার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো জানতে হবে।
- একটি আর্টিকেলের প্রাণ হল টাইটেল ট্যাগ। আর অন পেজ এসইও (SEO) করার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে খুব ভালো মানের একটি টাইটেল ট্যাগ যুক্ত করতে হবে যা সার্চ ইঞ্জিন এ স্পষ্ট ভাবে প্রদর্শিত হয়।
- আর্টিকেলের আরো একটি বিষয় হল মেটা ডেসক্রিপশন। এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফল পৃষ্ঠায় প্রদর্শিত হয়। তাই মেট ডেস্ক্রিপশন যেন ভাল হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
- হেডিং ট্যাগ সাধারণত কন্টেন্টের কাঠামো নির্বাচন করে। পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিন কে বিষয়বস্তু গুলো বুঝতেও সাহায্য করে। এজন্য হেডিং ট্যাগ যেমন H1, H2, H3 আকারে লেখার চেষ্টা করতে হবে।
- কনটেন্ট কিওয়ার্ড যুক্ত করা অর্থাৎ কনটেন্ট অপটিমাইজেশন, ইউ আর এল স্ট্রাকচার এবং ইমেজ অপটিমাইজেশন এ সকল বিষয়ে পাঠযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
অফ পেজ এসইও (Off Page SEO)
অফ পেজ Seo করে কত টাকা আয় করা যায় বা শুধুমাত্র অফ পেজ এসইও করে কি আগেও টাকা ইনকাম করা যায় কিনা এটা একটি বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন। আমার একজন পরিচিত বন্ধু রয়েছেন যিনি দীর্ঘদিন যাবত শুধুমাত্র ব্যাকলিংক বা অফ পেজ এসইও এর কাজ করে আসছেন। পাশাপাশি তিনি প্রতি মাসে ভালো একটি ইনকাম জেনারেট করতে সক্ষম।
তাই আপনি এসইও (SEO) এর কাজের ধাপ অনুসারে অবশ্যই অফ পেজ এসইও এর কাজ শিখতে পারেন। চলুন তাহলে এবার জেনে নিব অফ পেজ এসইও কিভাবে শেখা যায়।
- লিঙ্ক বিল্ডিং সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে অর্থাৎ অন্যান্য সাইট থেকে আপনার সাইটে লিংক আপ করতে হবে। যা আপনার সাইটের অথরিটি বৃদ্ধি করবে। আর এই বিষয়টি হলো লিঙ্ক বিল্ডিং বা ব্যাক লিংক।
- সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে আপনার তৈরিকৃত আর্টিকেলটি প্রচার করার চেষ্টা করুন। তবে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যে সকল ট্রাফিক আসে তার চাইতে অর্গানিক ট্রাফিক গুলো সব সময় সার্চ ইঞ্জিন কর্তৃপক্ষ বেশি প্রাধান্য দেয়।
- গেস্ট পোস্টিং সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। অন্যান্য ব্লগ বা সাইটে গেস্ট পোস্ট লেখা যায় যা আপনার সাইটের জন্য ব্যাকলিংক তৈরি করে। এ ধরনের ব্যাকলিংক করার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার সাইটে দর্শক বৃদ্ধি পাবে।
- লিঙ্ক বিল্ডিং এবং ব্যাক লিঙ্ক করার সময় অবশ্যই প্রাসঙ্গিক এবং উচ্চ অথরিটি সম্পন্ন সাইট থেকে লিঙ্ক নেওয়া উচিত।
টেকনিক্যাল এসইও (Technical SEO)
অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও এর পাশাপাশি টেকনিক্যাল এসইও সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করা প্রয়োজন। টেকনিক্যাল এসইও সাধারণত ওয়েবসাইটের প্রযুক্তিগত দিকগুলো নির্দেশন করে এবং অপটিমাইজ করে। সার্চ ইঞ্জিনের জন্য আপনার ওয়েবসাইটকে ক্রলিং এবং ইনডেক্সিং করার প্রক্রিয়াগুলো সম্পাদন করে টেকনিক্যাল এসইও।
সাইটম্যাপ তৈরিঃ সাধারণত সাইটম্যাপ হল একটি ফাইল যা সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার ওয়েবসাইটের সমস্ত পৃষ্ঠার তালিকা প্রদান করে। অর্থাৎ এই বিষয়টির মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন BOT ডেটা বেজে আপনার ওয়েবসাইটের পৃষ্ঠাটি তালিকা বদ্ধ করে ফেলবে।
ওয়েবসাইটের স্পিডঃ ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড অনেকাংশে ট্রাফিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দ্রুত লোডিং নিতে পারে এরকম ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে বেশি পছন্দ। সুতরাং ওয়েব সাইটের লোডিং স্পিড একজন ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে এবং সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চতর র্যাংক পেতে সাহায্য করে।
মোবাইল ফ্রেন্ডলি স্ট্রাকচারঃ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় একজন ব্যবহারকারী মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট পরিদর্শন করে থাকেন। এজন্য ওয়েবসাইটটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি স্ট্রাকচারে পরিণত করতে হবে।
SSL সার্টিফিকেটঃ আপনার ওয়েবসাইট টিকে নিরাপদ রাখার জন্য এবং একটি নিরাপদ সাইটের জন্য অবশ্যই HTTPS ব্যবহার করা উচিত।
রিডাইরেক্ট এবং ৪০৪ ERROR ত্রুটিঃ সঠিক রিডাইরেক্ট সেট করতে হবে এবং ৪০৪ ত্রুটি পৃষ্ঠা ঠিক করে নিতে হবে। পাশাপাশি এ ধরনের বিষয়গুলো সব সময় নজরদারিতে রাখা উচিত।
এসইও টুলস এর ব্যবহার
seo শিখে কিভাবে আয় করবো বা Seo করে কত টাকা আয় করা যায় এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা না করে অবশ্যই এসইও কি এবং এসইও (SEO) বিষয়টিতে কি কি কাজের ধাপ রয়েছে সে সম্পর্কে জানা উচিত। আমরা ইতিমধ্যে উপরে এসইও তে যে সকল কাজের ধাপ রয়েছে সে সম্বন্ধে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। উপরে বর্ণিত প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই টুলস এর ব্যবহার জানতে হবে। আপনি আর্টিকেল পাবলিশ করার জন্য রাইটিং করা থেকে শুরু করে সকল বিষয়গুলো সম্পাদন করার জন্য অবশ্যই এসইও টুলস এর প্রয়োজন পড়বে। নিচে কিছু এসইও টুলস এর নাম তুলে ধরা হলো।
seo শিখে কিভাবে আয় করবো
অনেকেই মনে করে থাকেন এসইও শিখে শুধুমাত্র মার্কেটপ্লেসের কাজের উপরে নির্ভরশীল থাকতে হয়। আবার অনেকে মার্কেটপ্লেসের বাহিরে সরাসরি ক্লায়েন্টকে আউট রিচ করে সেখান থেকে কাজের অর্ডার নিয়ে থাকেন। অবশ্যই আপনি এসইও শিখে মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেসের বাইরে থেকে টাকা আর্নিং করতে পারবেন। মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ করার জন্য Fiverr, Upwork, Guru, freelancer.com এ সকল মার্কেটপ্লেসে প্রফেশনাল মানের একাউন্ট ক্রিয়েট করে সেখান থেকে কাজের অর্ডার নেওয়া সম্ভব। তবে আজকে আমরা মার্কেটপ্লেস ব্যতীত আরো কি কি উপায়ে রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে অর্থাৎ সেই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করেও এসইও (SEO) শিখে ইনকাম করা সম্ভব।
গুগল অ্যাডসেন্স
যদি আপনার লেখালেখি করার দক্ষতা থাকে তাহলে ব্লগিং করে আপনি গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আসুন বিষয়টিকে একটু পরিষ্কারভাবে জানা যাক। মনে করুন আপনি এসইও সম্বন্ধে ভালো একটি জ্ঞান অর্জন করেছেন বা এসইও এ যতগুলো সেক্টর রয়েছে সবগুলো বিষয়ে আপনার দক্ষতা রয়েছে। তাহলে মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নেওয়ার পরিবর্তে আপনি গুগলের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে ব্লগ রাইটিং সম্পর্কে।
আপনি এসইও শেখার সময় অবশ্যই অন পেজ এসইও এর বিষয়টিতে দক্ষ হয়েছেন। আর আর্টিকেল লেখালেখি করার সময় আপনার অন পেজ এসইও এ বিষয়টিকে কাজে লাগাতে পারবেন। বিভিন্ন রকম বিষয় নিয়ে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে যদি এসইও করার মাধ্যমে নিয়মিতভাবে আর্টিকেল পাবলিশ করেন তাহলে দেখবেন প্রতি মাসে আপনি কয়েকশো ডলার সহজে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন একটি পারসন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর নাম শুনে। seo শিখে কিভাবে আয় করবো এই প্রশ্নে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে অন্যতম একটি উপায়। যদি এসইও (SEO) শিখতে পারেন তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাধারণত যেখানে আপনার নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট থাকবে না তবে আপনার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকবে।
সেই ওয়েবসাইটটিতে আপনি উক্ত প্রোডাক্ট সম্পর্কে আর্টিকেল লিখবেন এবং আর্টিকেলের অভ্যন্তরে যে কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম গ্রহণ করেছেন সেই প্রোগ্রামের লিঙ্ক যুক্ত করে দিবেন। আর এসইও এর জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে যদি সঠিক কিওয়ার্ডের মাধ্যমে আর্টিকেল পাবলিশ করা হয় তাহলে সেখানে অর্গানিক ভিজিটর জেনারেট হয়। ভিজিটর গুলো যখন আর্টিকেলগুলোকে পড়ার পর উক্ত লিংকে ক্লিক করে প্রোডাক্ট পারচেজ করবে সেখান থেকে আপনি একটি নির্দিষ্ট কমিশন প্রাপ্ত হবেন।
লোকাল মার্কেট
শুধুমাত্র ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস নয় নিজের দেশের কিছু লোকাল মার্কেটে কাজের সুযোগ পাওয়া যায় এসইও শিখলে। যেহেতু দেশে দক্ষ এসিও ওয়ার্কার এর সংখ্যা কম। এজন্য আপনি লোকাল কিছু মার্কেট থেকেও কাজের সুযোগ পেতে পারেন। লোকাল মার্কেট বলতে সে সকল ওয়েবসাইটকে বোঝানো হচ্ছে যারা তাদের কাজগুলো সবেমাত্র অনলাইন ভিত্তিক শুরু করেছে। কিছু আইটি ফার্ম এবং এজেন্ট রয়েছে যারা এসইও এক্সপার্টদের হায়ার করে থাকে।
সুতরা Seo করে কত টাকা আয় করা যায় এ বিষয়টিতে না ঘাবড়িয়ে লোকাল কোম্পানিদের সাথে কমিউনিকেশন বিল্ড আপ করুন। পরবর্তীতে দেখা যাবে আপনি হয়তো বা সে সকল কোম্পানি এবং এজেন্ট এর আন্ডারে এসইও (SEO) এর জব পেয়ে গেছেন।
এসইও ক্যারিয়ার এবং এসইও এর ভবিষ্যৎ
আপনি যদি এসইও কি, Seo শিখতে কি কি লাগে এ বিষয়ে সম্পর্কে অবগত হয়ে থাকেন তাহলে আর বলার অপেক্ষা রাখে না এসইও ক্যারিয়ার এবং এর ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে। যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং এর যতগুলো সেক্টর রয়েছে সবগুলোই এসইও এর সাথে সংশ্লিষ্ট। সুতরাং বলা যেতেই পারে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) একটি দারুণ এবং জনপ্রিয় ক্যারিয়ার হিসেবে বিবেচিত। তাই আপনি যদি মনে করেন আপনি আপনার ক্যারিয়ার এসইও তে কনভার্ট করতে চাচ্ছেন।
তাহলে অবশ্যই সেটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত হবে বলে আমরা মনে করি। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজেকে একজন এক্সপার্ট লেভেলের এসইও এনালাইটিস হিসেবে তৈরি করা প্রয়োজন। শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট যাচাই করলে বর্তমান সময়ে এসইও এর চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রচুর কনটেন্ট উপভোগ করা থেকে শুরু করে সব রকম তথ্য খোঁজার জন্য এসইও এর গুরুত্ব অনেক বেশি। সুতরাং সন্দেহাতীতভাবে এটা বলা যাবে যে পূর্বের তুলনায়।
বর্তমান সময়ে যেমন এসইও (SEO) একটি চাহিদা সম্পন্ন পেশা এবং ভবিষ্যতেও এ পেশাটি আরো ডেভলপ হবে এবং চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। আপনি যদি লক্ষ্য করেন গত এক দশকে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ভিত্তিক বিজ্ঞাপন গুলো বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। আর বিজ্ঞাপন গুলো প্রচার করে থাকে একমাত্র ডিজিটাল মার্কেটাররা। এখানেও একজন ডিজিটাল মার্কেটর কে এসইও সম্পর্কে এ টু জেড ধারণা রাখতে হয়। তাহলে সকল ধরনের কনফিউশন বাদ দিয়ে আজ থেকেই এসইও শেখা শুরু করুন এবং নিজেকে গড়ে তুলুন একজন এসইও এক্সপার্ট হিসেবে।
কোন ধরনের seo বেআইনি
বন্ধুগণ Seo করে কত টাকা আয় করা যায় এ বিষয়টি সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি। চলুন এবার একটি অফ টপিক নিয়ে আলোচনা করা যাক। বহুল জিজ্ঞাসিত একটি প্রশ্ন হল কোন ধরনের seo বেআইনি। আমরা সাধারণত জানি এসইও ৩ প্রকার হয়ে থাকে। এগুলো হলো অন পেজ এসইও, অফ পেজ এসইও এবং টেকনিক্যাল এসইও। এগুলো সাধারণত এসইও (SEO) শেখার ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু এই প্রকারভেদ বাদেও বিধি-বিধান অনুযায়ী সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) কে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়।
অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন এর রীতি নীতির উপর নির্ভর করে পাশাপাশি এলগরিদম এর উপর বিচির বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন কে আলাদাভাবে আরো ৩ প্রকারে ভাগ করা হয়। পাঠক আপনারা অবশ্যই এসইও এর প্রকারভেদ নিয়ে কনফিউশন হবেন না। এখানে যে এসইও এর প্রকারভেদের কথা বলা হবে সেগুলো শুধুমাত্র বিধি-বিধান অনুযায়ী সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর প্রকারভেদ।
- হোয়াইট হ্যাট এসইও
- ব্ল্যাক হ্যাট এসইও
- গ্রে হ্যাট এসইও
এই ৩ টি এসইও এর মধ্যে ব্ল্যাক হ্যাট এসইও কে বেআইনি বলে আখ্যায়িত করা হয়। কেননা এ ধরনের এসইও করার ক্ষেত্রে কিছু অবৈধ উপায় অবলম্বন করা হয়। অর্থাৎ ব্ল্যাক হ্যাট এসইও করার মাধ্যমে অনেকেই দ্রুত সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট সিটে উপরে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন এর টার্ম এন্ড কন্ডিশন অনুযায়ী এ ধরনের অবৈধভাবে এসইও করার সুযোগ নেই। অনেকেই ডুবলিকেট, কপি কন্টেন্ট, আর্টিকেল রিরাইট বিভিন্ন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে লিখে পাবলিশ করে এবং সেখান থেকে ইনকাম করার চেষ্টা করে থাকে।
অনেকে URL রিডাইরেক্ট বা হিডেন লিংকের মাধ্যমে অবৈধভাবে ট্রাফিক জেনারেট করার অহেতুক চেষ্টা করে থাকে। বর্তমানে গুগল সহ যে সকল সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে সেখানে যে BOT গুলো আছে তারা খুব সহজেই এ ধরনের বেআইনি এসইও (SEO) ধরে ফেলে। পরবর্তীতে সার্চ ইঞ্জিন কর্তৃপক্ষ সেই ওয়েবসাইটটিকে পেনাল্টি করে দেয়। পেনাল্টি হল কোন ওয়েবসাইটকে চিরতরে ব্যান করে দেওয়া। সুতরাং ব্ল্যাক হ্যাট এসইও একটি বেআইনি এসইও পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। আপনারা এ ধরনের অবৈধ পথে দ্রুত সফল পাওয়ার কথা যদি চিন্তা করে থাকেন। তাহলে আজ থেকেই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে ভুলে যান।
আমাদের শেষকথা
বন্ধুগণ আমরা আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে seo শিখে কিভাবে আয় করবো এবং Seo করে কত টাকা আয় করা যায় বিষয় সম্পর্কে ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি। পাশাপাশি একজন ফ্রিল্যান্সার কে কিভাবে এসইও সেক্টরে দক্ষতা অর্জন করতে হয় সে বিষয়ে আমরা আলোকপাত করেছি। আপনি যদি নিজেকে একজন সফল এসইও এক্সপার্ট হিসেবে দেখতে চান তাহলে পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। আর সেই পরিশ্রমকে বাস্তবায়ন করার জন্য ডিজিটাল অনলাইন আইটি আপনাদের পাশে সবসময় রয়েছে। আপনি আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করলে দেখতে পাবেন।
সেখানে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পাবলিশ করেছি। যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং জার্নি সফলতার সাথে শুরু করতে পারবেন বলে আমরা আশা ব্যক্ত করছি। আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য। পাশাপাশি আজকের আর্টিকেলের বিষয়বস্তু আপনাদের কাছে কেমন লাগলো কমেন্ট বক্সে নিশ্চয়ই জানাতে ভুলবেন না। আপনার বন্ধুবান্ধবদের এসইও (SEO) সম্পর্কে জানাতে এবং Seo করে কত টাকা আয় করা যায় বিষয়টি আলোকপাত করার লক্ষ্যে পোস্টটি শেয়ার করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url