সারা বিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন বিস্তারিত জানুন
প্রিয় বন্ধুগণ বর্তমানে যত প্রকার অনলাইন প্লাটফর্মের জব রয়েছে তার মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং অন্যতম। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এমন একটি পেশা যেটিকে মুক্ত পেশা বলা হয়। সারা বিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন এই নিয়ে তোমাদের অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। আজকের এই ব্লগ পোস্টে সারা বিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন এবং বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে এবং
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে এই নিয়ে আলোচনা করা হবে। বছরখানেক পূর্বে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা ছিল না বললেই চলে। কিন্তু দিন দিন বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বাংলাদেশের অনেক যুবক যুবতীরা ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছে। এতে করে বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের আলাদা একটি পরিচিতি গড়ে তুলতে পারছে।
ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত আরো যে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আজকের ব্লগপোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবে সেগুলো হলো- সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে, ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণের শতকরা হার কত, ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত তম, ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি ইত্যাদি।
পোস্ট সূচীপত্র
ভূমিকা
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সহায়তায় ফ্রিল্যান্সিং একটি লাভজনক খাতে পরিণত হয়েছে. যার কারণে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরকে মানুষ পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে পেশাগত জীবনের চাহিদা পূরণ করছে। আপনাদের মধ্যে যারা জানতে চেয়েছিলেন সারা বিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই ২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী সারা বিশ্বে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ১৬%। এতে করে বোঝা যায় সারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবদানের মধ্যে ১৬% ফ্রিল্যান্সারদের এর পক্ষ থেকে আসে।
নতুন প্রজন্মকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে ফ্রিল্যান্সিং পেশার গুরুত্ব অপরিসীম। ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা দিন দিন এতটাই বেড়ে যাচ্ছে যার কারণে অনেক যুবক যুবতীরা তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক কোর্সে অংশগ্রহণ করছে।
সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে
সারা বিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন আশা করি এ সম্পর্কে তোমরা কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছো। এখন আমরা জানবো সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি শুনলেই অনেক ব্যক্তির মনে একটি কথাই আসে সেটি হচ্ছে এটি কোনো চাকরির সঙ্গে যুক্ত না। যদিও ফ্রিল্যান্সিং কোনো চাকরির সাথে যুক্ত না তবুও যারা পার্মানেন্টলি ফিল্ম পেশার সাথে যুক্ত আছেন তাদের নিজের দক্ষতা যোগ্যতা অনুযায়ী ক্লায়েন্টের সাথে সময়মতো কাজ করতে হয় ফ্রিল্যান্সিং এর ধারণাটি শুরুতে খুব একটা ছোট মনে হলেও বর্তমানে এটি জনপ্রিয় শিল্পে পরিণত হয়ে যায়।
বিশেষ করে ডিজিটাল অর্থনৈতিক প্রসারে ফ্রিল্যান্সিং খাতের অবদান অপরিসীম। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বাজার খুবই বৈচিএপূর্ণ এবং এর বিশাল সেক্টর রয়েছে। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৫% অথবা ৫৭ মিলিয়ন মানুষ ফ্রিল্যান্সিং পেশায় কাজ করছে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা ১.৫ বিলিয়নেরও বেশি যেটি বৈশ্বিক কর্মজীবী জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। ফ্রিল্যান্সিং বাজারটি মূলত ডিজিটাল পেশাজীবীদের দ্বারা পরিচালিত হয় যাদের আইটি গ্রাফিক ডিজাইনার, কন্টেন্ট রাইটার, ভিডিও এডিটর, ডিজিটাল মার্কেটিং,
ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজের দক্ষ রয়েছে তারাই মূলত ফ্রিল্যান্সিং পেশাটিকে টিকিয়ে রাখতে পেরেছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একাউন্টিং, আইন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার মত সেক্টরেও ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিং এর আকার ও বৈচিত্র বিবেচনা করলে বুঝা যায় ফ্রিল্যান্সিং খাতে একটি বিশাল পরিবর্তন এসেছে। ডিজিটাল ইনস্টিটিউট এর তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালে সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিং বাজারে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে যেটি গত কয়েক বছরের তুলনায় খুবই বেশি। বিশ্বের বৃহত্তম দেশ যেমন- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা,
অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন উন্নত দেশগুলোতে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ব্যাপক সুবিধা রয়েছে। যেখানে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লক্ষ্য থেকে কোটি টাকা ইনকাম করা সম্ভব। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইনের মতো দেশেও ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিস এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে ৭ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার প্রতিবছর ৫০০ মার্কিন ডলার আয় করছে।
সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিং খাত দ্রুত বর্ধনশীল শিল্পে পরিণত হচ্ছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যাপক বৃদ্ধি, দক্ষ পেশাজীবীদের উদ্ভাবন এর কারণে ফ্রিল্যান্সিং খাতে আর্থিক মূল্য দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। এমন কি ধারণা করা হয় ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং বাজারে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণের শতকরা হার কত
বর্তমানে নারী ও পুরুষ উভয়েই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করছে। বিশেষ করে যে সকল নারীরা ঘরে বসে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে চায় তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং বিশাল একটি সেক্টর। ফ্রিল্যান্সিং এর অবদানে অনেক নারীরা ঘরের বাহিরে না গিয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। তবে পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারীদের তুলনায় পুরুষের সংখ্যা বেশি। ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সারা বিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন এটি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় বৈশ্বিক ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে বাংলাদেশী ৪০% নারী এবং ৬০% পুরুষ। upwork ও freelancer union এর একটি গবেষণায় দেখা
গিয়েছে যদিও ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে পুরুষের তুলনায় নারীদের উপস্থিত কম তবুও ধীরে ধীরে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েই চলছে। এতে করে ভবিষ্যতে নারীরা ঘরে বসে ইনকাম করার সুযোগ পাবে এবং যে সকল নারীদের ঘরের বাহিরে গিয়ে আয় করার সুযোগ নেই তারাও এক্ষেত্রে লাভবান হবে। ২০১৯ থেকে ২০২০ সালে যখন সারা বিশ্বে কভিড১৯ নামক মহামারী দেখা গিয়েছিল তখন ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা খুবই বেড়ে গিয়েছিলো। কারণ তখন ঘরের বাহিরে যাওয়া সকলের পক্ষে অসম্ভব ছিল যার কারণে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অংশগ্রহণ করে অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করার সুযোগ পেয়েছে।
পুরুষদের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং এ অংশগ্রহণের প্রধান কারণ হচ্ছে স্বাধীনতা। কারণ আমরা সবাই জানি ফিন্যান্সি এমন একটি পেশা যেখানে নিজের স্বাধীন মতো ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জন্য অফিসে গিয়ে কাজ করার কোন প্রয়োজন নেই। নিজের ঘরে বসেই সহজেই যে কোনো সময়ে কাজ করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে পুরুষরা সাধারণত যে ধরনের কাজ করে থাকে সেগুলো হলো- আইটি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি। এই তিনটি পেশায় পুরুষদের অংশগ্রহণের পরিমাণ খুব বেশি দেখা যায়। এগুলো ছাড়াও পুরুষ ফ্রিল্যান্সারদের আরো একটি বড় অংশ হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং,
ডেটা সাইন্সের মতো প্রযুক্তিগত ও সৃজনশীল কাজ যেগুলোতে কাজ করতে পুরুষরা খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তবে এই ধরনের কাজ করার জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা খুবই প্রয়োজন যেগুলো সাধারণত নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারীদের তুলনায় পুরুষরা গড়ে ২০ পার্সেন্ট বেশি আয় করে থাকে। এর পিছনে বিশেষ কারণ হচ্ছে পুরুষ ফ্রিল্যান্সাররা প্রযুক্তিগত ও সৃজনশীল কাজে বেশি দক্ষ হয়ে থাকে। অপরদিকে কিছু নারীরা কম আয়যোগ্য কাজের প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারীদের এগিয়ে আসতে হলে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মত প্রশিক্ষণ নিতে হবে, প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকতে হবে এতে করে নারীরা ফ্রিল্যান্সিং এ আরও এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদিও ফ্রিল্যান্সিং দ্রুত বিকশিত হচ্ছে কিন্তু নারীদের অংশগ্রহণ এখনো সীমিত। দেশের ফ্রিল্যান্সিং বাজারে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, ইন্টারনেটে সহজলভ্যতা ও সামাজিক বাধা দূর করা উচিত এবং সরকারের বিভিন্ন প্রয়োজনে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত তম
সারা বিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন ইতিমধ্যে আমরা এই সম্পর্কে অনেক গবেষনামূলক তথ্য আলোচনা করেছি। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত তম স্থানে রয়েছে এ সম্পর্কে কি আপনাদের কোনো ধারণা আছে? চলুন তাহলে এই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা যাক!
ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সারা পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যেই রয়েছে। বৈশ্বিক আয়ের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং এর অবস্থান হলো তৃতীয়। বর্তমানের তরুণ প্রজন্মরা ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি এতটাই আগ্রহী যে তারা বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যোগদান করছে এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম গুলোর সুবিধা নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং খাতে অগ্রগতি অর্জন করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত এক দশকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বাংলাদেশ উল্লেখ্যযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। প্রযুক্তিগত জ্ঞানের উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম গুলোর সুবিধার কারণে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং খাত দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা বিদেশের আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের সাথে কমিউনিকেট করে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং এর মত বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। এতে করে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা আরও সহজ হয়ে যাচ্ছে।
ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি
আপনারা কি জানেন ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি? ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস হচ্ছে upwork। upwork পূর্বে Elance-o-Desk নাম পরিচিত ছিল। ২০১৫ সালে upwork প্রতিষ্ঠার পর সারা বিশ্বে দ্রুত এর প্লাটফর্ম ছড়িয়ে পড়ে এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এটির জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। সারা বিশ্বে যতগুলো ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর রয়েছে তার মধ্যে upwork জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম। যে প্লাটফর্মে কাজ করে সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।
প্রতিনিয়ত সারা বিশ্বে upwork এ কাজ করার চাহিদা যেন বেড়েই চলছে। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটপ্লেস তৈরি হয়। এই মার্কেটপ্লেসগুলো ফ্রিল্যান্সারদের ক্লায়েন্টের সাথে সংযুক্ত হতে বিশেষভাবে সাহায্য করে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্বকে আরো বাড়িয়ে তোলে। upwork প্লাটফর্মে মিলিয়নেরও বেশি মানুষ কাজ করছে এমনকি upwork ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবেও পরিচিত। upwork এর অবদানে ফ্রিল্যান্সাররা সারা বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানি ও ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।
বর্তমানে upwork এ প্রায় ১৮ মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার নিবন্ধন পেয়েছে এবং পাঁচ মিলিয়নেরও বেশি ক্লায়েন্ট রয়েছে। প্রতিবছরে upwork এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি লেনদেন কার্যক্রম করে থাকে। upwork কে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস বলার অন্যতম কারণ হচ্ছে সুবিধাজনক পেমেন্ট সিস্টেম। upwork এ কাজ করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো কাজ করার পর ক্লায়েন্টরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পেমেন্ট পেয়ে যায়। এতে করে ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করার প্রতি আরো আগ্রহী হয়ে ওঠে। ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে অন্যান্য বড় মার্কেটপ্লেস গুলো হলো-
- Fiver
- Toptal
- Freelancer.com
উপসংহার
প্রিয় বন্ধুগণ এখন আমরা আজকের ব্লগপোস্টের শেষের দিকে চলে এসেছি। আমাদের আজকের ব্লগ পোস্টটি ছিল সারা বিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন। আশা করি তোমরা যারা বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার বিষয়ে জানতে চেয়েছিলে সেগুলো আমাদের আজকের ব্লগপোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবে এবং তোমাদের মধ্যে যারা ফ্রিল্যান্সিং পেশায় অংশগ্রহণ করতে যাও তাদের নিকট অনুরোধ রইল আমাদের আজকের ব্লগ পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার। আমাদের ওয়েব সাইটে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক আরো বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়েছে।
তোমরা চাইলে সেই ধরনের পোস্টে ভিজিট করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক যত প্রকার তথ্য জানা প্রয়োজন সেগুলো জানতে পারবে। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি কিছু শিখতে পারেন তবে অবশ্যই এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এতে করে আপনার বন্ধুরাও সারা বিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন এই সম্পর্কে জানতে পারবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url