ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক বেকার মানুষ কর্মসংস্থানের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে। তবে অনেকের কাছে ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার না থাকার পরিপেক্ষিতে তারামোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সেটি জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যেখানে কাজ করার কোন নির্দিষ্ট ধরা বাঁধা নিয়ম নেই। সুতরাং যারা অনলাইন থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে যাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যতীত মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে জানা উচিত।
চলুন তাহলে আজকের উক্ত বিষয়টি জানার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কি, এবং ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ, ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব, নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি কেমন সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানা যাক। সুতরাং অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো বিষয়টি জানার জন্য আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত থাকুন।
পোস্ট সূচীপত্র
ফ্রিল্যান্সিং কি
ফ্রিল্যান্সিং মূলত একটি পেশা যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। বলাবাহুল্য যে এটি অনেকটা চাকরির মতোই তবে আলাদা বিষয়টি হলো এখানে চাকরির মত টাইম অনুযায়ী কোন ডিউটি করা লাগে না। নিজের ইচ্ছা স্বাধীন মত কাজের অর্ডার অনুযায়ী ক্লায়েন্টের সাথে কমিউনিকেশনের মাধ্যমে কাজ করা যায়। তবে ফ্রিল্যান্সিং থেকে ইনকাম করার জন্য অবশ্যই নিজেকে সেই লেভেলের দক্ষ করে তুলতে হয়। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এবং আউটসোর্সিং (Outsourcing) এর আওতা এর পরিধি অনেক বড়।
ফটো এডিটিং (Photo Editing) থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ক্রিয়েট করা, এডিট (Video Editing) করা সহ গ্রাফিক্স ডিজাইনের (Graphics design) সকল ধরনের কাজ ফ্রিল্যান্সিং এর আওতাভুক্ত। এছাড়াও ওয়েব ডিজাইন (Web design), কোডিং (Coding), অ্যানিমেশন ক্রিয়েটিং (Animation Making), ব্লগিং (Blogging) সহ সকল ধরনের কাজ ফ্রিল্যান্সিং এর অধীনে নিযুক্ত করা হয়েছে। আপনি এই মুহূর্তে যে আর্টিকেলটি পড়ছেন সেটি ব্লগিংয়ের অন্তর্ভুক্ত। তবে ব্লগিং করে ইনকাম করার বিষয়টি প্যাসিভ ইনকামের মধ্যে পড়ে। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং বলতে সেই বিষয়টিকে নির্দেশ করা হয়েছে যেখানে কাজ করতে কোনরকম ধরা বাঁধা বা অফিস টাইম নেই।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন নির্দিষ্ট ইমপ্লয়ার থাকে না। যখন বায়ারের কাজ নেওয়া হয় সেক্ষেত্রে সেই আপনার ইমপ্লয়ার হিসেবে গণ্য হবে। অনেকে কম্পিউটারের পাশাপাশি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো বিষয়টি জানতে চান। তবে বলে রাখা ভালো ফ্রিল্যান্সিং থেকে অর্থ উপার্জন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে একটি কম্পিউটার ক্রয় করতে হবে। তবে বেসিক লেভেলে শিখার জন্য মোবাইল দিয়ে শুরু করা যেতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এ বিষয়টিতে আমাদের সর্বপ্রথম যে ভুল হয় সেটি হল সঠিক বিষয়টি রিসার্চ না করেই কাজে নেমে পড়া। অর্থাৎ আপনার পরিচিত কেউ একজন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করছে। সেখান থেকে সে ভালো একটি অ্যামাউন্ট প্রতিমাসে আয় করে এটা শুনে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে স্টাডি শুরু করে দিলেন। কিছুদিন যাওয়ার পর সবগুলো বিষয়ে যখন আপনার মাথার উপর দিয়ে যাবে তখন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বিষয়টি আপনার আর ভালো লাগবে না। সেই ক্ষেত্রে প্রধান কৃত ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি গুলো শুধু শুধু নষ্ট হয়।
তখন আপনার মাথায় আসতে পারে আমি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করি তাহলে হয়তো সাকসেসফুল হতে পারব। কিন্তু এখানে আমরা প্রথম ভুলটা করি সেটি হল ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে সর্ব প্রথমে একটি নিশ পছন্দ করতে হবে। যেটাতে আপনার আগ্রহ তৈরি হবে সেটা নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন। কেননা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বিষয়টি নিয়ে আপনার আগ্রহ থাকলেও হয়তো সেখানকার বিষয়গুলো আপনার সাথে খাপ খাবে না। সুতরাং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এ বিষয়টি নিয়ে না ভেবে প্রথম কয়েকদিন ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন বিষয়টি শিখব সেটি নিয়ে রিসার্চ করুন। আরো একটি উদাহরণ সেটি হল ধরুন দুজন ব্যক্তি একজন ব্যাংকে চাকরি করে আরেকজন একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করে।
তাহলে আমরা যদি বলি দুজনেই চাকরিজীবী তাহলে বিষয়টা ভুল হবে না। সুতরাং ওই দুইজন ব্যক্তি যে ব্যাংকে চাকরি করে এবং মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করে তারা দুজনেই চাকরিজীবী হলেও পদবী ভিন্ন হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়টিও ঠিক তেমন কেউ হয়তো গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করবে আবার কেউ হয়তো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করবে। আর এজন্যই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পূর্বেই একটি নির্দিষ্ট টার্গেট সেট করা খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। তাই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবোএই প্রশ্নটি করার আগে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন এ বিষয়টি মাথায় নেওয়া প্রয়োজন।
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সবচেয়ে বেশি কনফিউশন এবং গাইড লাইনের অভাব ভোগ করেন নতুন ফ্রিল্যান্সাররা। একটি সঠিক গাইডলাইনে পারে একজন বিগিনারকে এক্সপার্ট লেভেলের ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করতে। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যে হারে আইটি সেন্টারগুলো গড়ে উঠেছে নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করাটা খুবই কষ্টদায়ক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর কারণ হলো যে সকল আইটি সেন্টারগুলো ব্যাঙের ছাতার মতো আশেপাশে গজিয়েছে সেগুলো ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর নাম করে ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ থেকে শুধু শুধু ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি এর টাকা নিয়ে কোনোভাবেই সঠিক গাইডলাইন প্রদান করছে না।
আমার ব্যক্তিগতভাবে দেখা একটি আইটি সেন্টার তারা তিন মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে থাকে বাচ্চাদের কাছ থাকে। কিন্তু বিষয় হল সেই আইটি সেন্টারটি ফ্রিল্যান্সিং এর নাম করে ছেলেমেয়েদের দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ শিখাবে বলে ফেসবুক পেজ তৈরি, ব্যানার তৈরি, প্রোফাইল পিকচার তৈরি এসব সাধারন বিষয় শেখায়। ২০২৪ সালে এসে যদি আমরা এ সকল বিষয়ে শিখতে চাই তাহলে আমাদের মতে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে না আসাই ভালো। যুগের সাথে যেমন ফ্রিল্যান্সিং এর প্রত্যেকটি বিষয় আপডেট হয়েছে সেই সাথে নিজেদের কাজের লেভেল এবং কাজের ক্যাটাগরি ও আপডেট করতে হবে।
সুতরাং কেউ যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতায় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে চায় তাহলে দোষের কিছু নেই। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার মার্কেটিং করতে হলে কোন বিষয়গুলো জানা উচিত সেই বিষয়ে নিজেদেরকে দক্ষ করে তুলতে পারলে তবেই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। সুতরাং যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে এই সেক্টরে যোগ দিতে যাচ্ছেন তারা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ অংশে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং থেকে শুরু করে যাবতীয় সকল ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ কিভাবে করতে হয় সেগুলো পর্যায়ক্রমে জানানোর চেষ্টা করব।
তবে নতুনদের ক্ষেত্রে আরও একটি কথা জানিয়ে রাখি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের পাশাপাশি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব এ বিষয়টিতে অ্যাডভান্স লেভেলের কোনরকম কাজ শেখা সম্ভব হবে না। তবে কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো মোবাইল দিয়ে করা যাবে এবং সেখান থেকে টাকাও ইনকাম করা সম্ভব। আমরা আজকের এই আর্টিকেলের কোন একটি অংশে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানাবো। তাই নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে অবশ্যই একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার প্রয়োজন হবে এবং পাশাপাশি প্রয়োজন হবে একজন গাইডার। যে কিনা সঠিক গাইডলাইন প্রদান করার মাধ্যমে একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারকে এক্সপার্ট লেভেলের ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়তে পারবে।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
আমরা এতক্ষন পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সিং কি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি প্রদান করে কিভাবে একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার প্রতারিত হয় সে বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলাম। বিশেষ করে আর্টিকেলের এই অংশটিতে একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার যে কিনা বেসিক লেভেলে কোন বিষয়টি শিখার মাধ্যমে পরবর্তীতে এক্সপার্ট লেভেলে পদার্পণ করতে পারবে সে বিষয়টি তুলে ধরা হবে। অর্থাৎ একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার যদি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত হয় তাহলে তার আগ্রহ অনুযায়ী নিশ পছন্দ করতে সুবিধা হবে। যদিও ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে, সবগুলো আজকেরে আর্টিকেলে একবারে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।
কোন আইটি সেন্টারে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি প্রদান করার পূর্বে আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসতে পারেন সেখানে আমরা ফ্রিল্যান্সিং সম্বন্ধে আরও অনেক ধরনের তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পাবলিশ করে রেখেছি। আপনি আর্টিকেল গুলো পড়লে ফ্রিল্যান্সিং সম্বন্ধে বেসিক লেভেল থেকে শুরু করে এডভান্স লেভেল পর্যন্ত সকল বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবেন। চলুন তাহলে দেরি না করে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজসমূহ কি কি হয়ে থাকে সেটি জেনে নেওয়া যাক। আজকে আমরা এখানে ৫ টি ফ্রীল্যান্সিং এর কাজের কথা আলোচনা করব।
ডিজিটাল মার্কেটিং
ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটার হায়ার করে থাকেন। সুতরাং আপনি যদি একজন এক্সপার্ট লেভেলের ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তাহলে কাজের কোন অভাব হবে না। ডিজিটাল মার্কেটিং মূলত ডিজিটাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে যেকোনো ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়ে থাকে। সহজভাবে বিষয়টি যদি বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং হল অনলাইনে প্রোডাক্টগুলোর বিজ্ঞাপন প্রচার করার মাধ্যমে বিক্রি নিশ্চিত করার পদ্ধতি।
১৯৯০ সালে যখন প্রথম সার্চ ইঞ্জিন যাত্রা শুরু করে ঠিক তখন থেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর উৎপত্তি হয়েছে। কেউ যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই বিষয়টিতে মোবাইল এর মাধ্যমে বেসিক লেভেলের ফ্রীলান্সিং শিখতে পারে তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু কাজ করা সম্ভব। ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন প্লাটফর্ম রয়েছে যেমন Facebook, Youtube, Instagram, TikTok ইত্যাদি। উদাহরণস্বরূপ একজনের একটি টি-শার্টের বিজনেস রয়েছে। সেই ব্যাক্তিটি চাচ্ছে অনলাইনে তার টি-শার্ট সেল করবে। কিন্তু সেই ব্যক্তি জানেনা কিভাবে অনলাইনে t-shirt বিক্রি করতে হয়। সেজন্য সে একজন ডিজিটাল মার্কেরার কে হায়ার করবে যে কিনা তার টি শার্ট বিক্রি করে দেবে।
এখন প্রশ্ন হল সেই ডিজিটাল মার্কেটার কিভাবে তার প্রোডাক্টটি সেল করবে। আর প্রোডাক্টটি সেল করার কাজটি হলো একজন ডিজিটাল মার্কেটরের কাজ। আমরা ইতিমধ্যে বলেছি ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্লাটফর্ম গুলো হল ফেসবুক,ইউটিউব সহ আরো অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। মূলত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর আওতায় এ ধরনের প্রোডাক্ট সেল করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি গুগলে এড ক্যাম্পিং পরিচালনা করেও প্রোডাক্ট সেল করা হয়ে থাকে। আর তাই SEO কে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ হিসেবে ধরা হয়। সুতরাং একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে চাই সে ক্ষেত্রে ইউটিউব দেখে বেসিক লেভেলের সকল কিছু শিখতে পারবে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
বর্তমানে অনলাইন টেকনোলজি এবং ইন্টারনেটের অতি ব্যবহারের ফলে ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা আয় করার বিষয়টি দিন দিন বেড়ে চলেছে। এই মুহূর্তে যদি আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে এটিও একটি ওয়েবসাইটের অংশবিশেষ যেখানে প্রবেশ করে আপনি আর্টিকেলটি পড়তে পারছেন। তাহলে আমরা অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি একজন ওয়েব ডেভেলপার এর মাধ্যমে ক্রয় করেছি যে কিনা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করে। বর্তমানে অনলাইন শপিং থেকে শুরু করে ব্লগ ওয়েবসাইট, ফোরাম ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি ওয়েবসাইট তৈরি করা হচ্ছে।
আরোও পড়ুনঃ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য কি কি শিখতে হবে
সুতরাং কেউ যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করতে চায় তাহলে অবশ্যই সেখানে একটি ভালো মানের ক্যারিয়ার অপেক্ষা করছে। তবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই বিষয়টিতে ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর কথা যদি আসে তাহলে মোবাইলের মাধ্যমে শুধুমাত্র বেসিক লেভেলের জিনিসপত্র শেখা যাবে। কিন্তু এডভান্স লেভেলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে হলে একটি ভালো মানের আইটি সেন্টারে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি প্রদান করে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হবে। আর সেজন্য অবশ্যই ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারের প্রয়োজন পড়বে।
ওয়েবসাইট সাধারণত দুইভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে একটি কোডিং করে আবার যাদের কোডিং অনেক বেশি ঝামেলা মনে হয় তারা কোডিং ছাড়াই ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবে। তবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পূর্ণভাবে শিখতে হলে অবশ্যই কোডিং আকারে শেখা উচিত। এতে করে ভবিষ্যতে সফলতার মুখ দেখার পাশাপাশি একজন এক্সপার্ট মানের ওয়েব ডেভেলপার হওয়া সম্ভব।
গ্রাফিক্স ডিজাইন
ফ্রিল্যান্সিং এর প্রত্যেকটি সেক্টরের একে অপরের সঙ্গে বিশেষভাবে জড়িত। আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টি আলোচনা করার সময় একটি উদাহরণ দিয়েছিলাম সেটি হল একজন ব্যক্তি অনলাইনে t-shirt বিক্রি করতে চাই সে ক্ষেত্রে সে একজন ডিজিটাল মার্কেটারকে হায়ার করেছে। কিন্তু তার টি-শার্টে বিজ্ঞাপন প্রচারণা করার জন্য ওই ডিজিটাল মার্কেটারকে অবশ্যই ওই ব্যক্তির টি-শার্টের সুন্দর একটি ছবি দিতে হবে যা কাস্টমারকে দেখালে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিক্রি নিশ্চিত সম্ভব হবে। আর এজন্য অবশ্যই সেই ব্যক্তিটিকে যেতে হবে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাছে।
এজন্য কেউ যদি গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে কাজ করে তাহলে সকল ক্ষেত্রেই তার কাজ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। মানিব্যাগে রাখা ভিজিটিং কার্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পোস্টার, ব্যানার, বার্ষিক ক্যালেন্ডার, গ্রাভিটি সকল ধরনের কাজ গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে করা হয়। তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার ক্ষেত্রে যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই প্রশ্নটি আসে তাহলে একবারে ইগনোর করা প্রয়োজন। শুধু মোবাইলে ইউটিউবের টিউটোরিয়াল দেখে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা নেওয়া সম্ভব। কিন্তু প্র্যাকটিক্যালি কাজ করার জন্য অবশ্যই একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের প্রয়োজন পড়বে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের আরও একটি বড় সুবিধা হল এই কাজটি অনলাইন এবং অফলাইনে দুটোভাবে করা সম্ভব। আমরা একটু আগে বলেছিলাম ওই টি সার্ট বিক্রেতা অবশ্যই গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাছে গিয়ে তার টি-শার্টের ডিজাইনকৃত ছবি বানিয়ে নিবে। পাশাপাশি কোন দোকানের সাইনবোর্ড অথবা অন্য কোন কাজ এর প্রয়োজনে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হায়ার করতে হয়। আর এ কারণেই একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের অনলাইনে পাশাপাশি অফলাইনও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রতি ঘন্টায় ৫০ ডলার থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ করার জন্য Adobe Photoshop and illustrator সম্পর্কে অ্যাডভান্স লেভেলের ধারণা থাকা প্রয়োজন। সুতরাং গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেসে বাড়ি থেকে ব্যাপক পরিমাণের ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে অবশ্যই ভালো মানের একটি আর্টি সেন্টার খুঁজে বের করতে হবে এবং সেখানে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি প্রদান করে ভর্তি হওয়া উচিত।
মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর কথা যদি বলতে হয় তাহলে এটি বর্তমানে স্বর্ণযুগে পদার্পণ করেছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নয় বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশে প্রত্যেকের কাছেই স্মার্টফোন রয়েছে। তাই কেউ যদি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখে মার্কেটপ্লেসে কাজের কথা ভাবে তাহলে আমরা বলব অবশ্যই মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কাজটি শেখা দরকার। মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখে মার্কেটপ্লে এসে কাজ পাওয়ার পাশাপাশি নিজের বানানো অ্যাপ থেকে Google admob এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম সম্ভব।
পরবর্তীতে অ্যাপসটি সেল করেও ভালো একটি আর্নিং করা যায়। যেহেতু বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহারকারী সংখ্যা বেড়েই চলেছে সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে অ্যাপ ডেভলপারের চাহিদাও বেড়ে চলেছে। আর কেউ যদি এ ধরনের কাজ এক্সপার্ট লেভেল এ শিখতে পারে তাহলে বাংলাদেশের পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট থেকে প্রচুর পরিমাণ কাজ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের সুযোগ-সুবিধা কাস্টমারদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য অ্যাপের সাহায্য গ্রহণ করে।
তাই কেউ যদি একবার ভোকেশনাল অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপার হতে পারে তাহলে সেই ব্যক্তিটিকে আর পেছনে ফিরতে হবে না। ডেভেলপমেন্ট এর কাজের বিষয়ে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই বিষয়টিতে কম্পিউটার ছাড়া কোন ভাবেই অ্যাপ ডেভলপমেন্ট কাজ শিখা সম্ভব নয়।
কার্টুন অ্যানিমেশন
সকল বাচ্চাদের এমনকি বড়দেরও কার্টুন এনিমেশন পছন্দের তালিকায় থাকে। যারা আমরা ৯০ এর দশকে জন্মগ্রহণ করেছি কার্টুন এনিমেশনের কথা শুনলে সর্ব প্রথমে মিনা কাটুন এর কথা মনে পড়ে। মিনা কার্টুন থেকে শুরু করে টিভি চ্যানেলের কোন বিজ্ঞাপন যেগুলো কাটুন অ্যানিমেসন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেগুলোর বাস্তবে কোন অস্তিত্ব না থাকলেও আমাদের স্মৃতির সাথে গেঁথে থাকে চরিত্রগুলি। আর এই সকল অ্যানিমেশন কম্পিউটার দিয়ে তৈরি করা হয়। যদি কেউ কার্টুন অ্যানিমেশন নিয়ে কাজ করে সে ক্ষেত্রে মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার পাশাপাশি ইউটিউবে চ্যানেল খুলে নিয়মিত যদি ভিডিও আপলোড করে তাহলে গুগল এডসেন্স থেকে ভালো একটি আরনিং করা সম্ভব।
তবে এ সকল বিষয়গুলো সহজ ভাবে উপস্থাপন করলেও প্র্যাকটিক্যালি বিষয়গুলো অনেক কঠিন। একটি ভালো মানের অ্যানিমেশন ভিডিও তৈরি করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। আর এজন্য এ ধরনের কাজের পারিশ্রমিক ও অনেক বেশি। অ্যানিমেশন নিয়ে কাজ করতে হলে Adobe animate, After effect, Animated cc সহ আরো বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস চালনা করার দক্ষতা অর্জন করতে হয়। আবার যারা আঁকাআঁকি ভালো করতে পারেন তাদের ক্ষেত্রে কার্টুন এনিমেশন ভালো একটি সেক্টর হিসেবে গণ্য করা যায়। মূলত কার্টুন অ্যানিমেশন তৈরি করার জন্য সর্বপ্রথম ক্যারেক্টারের স্কেস পাট বাই পার্ট তৈরি করে নিতে হয়। চরিত্রগুলোর পাট তৈরি করা হয় ড্রয়িং প্যাডে।
অংশগুলো তৈরি হয়ে গেলে পরবর্তীতে সেগুলো Animated CC এবং After effect সফটওয়্যার এর মাধ্যমে অ্যানিমেশন তৈরি করা হয়। কার্টুন অ্যানিমেশন তৈরিতে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এ বিষয়টি প্রশ্ন করলে এটির একমাত্র উত্তর হবে ভালো মানের ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার ছাড়া কখনোই কার্টুন অ্যানিমেশন তৈরি করা সম্ভব নয়।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে একমাত্র ভরসা youtube। ইউটিউব এ বিভিন্ন ধরনের টিউটোরিয়াল দেওয়া থাকে যেগুলো দেখার মাধ্যমে বেসিক লেভেলের ধারণা নেওয়া সম্ভব। তবে কেউ যদি অ্যাডভান্স লেভেলের কাজ শিখতে চাই তাহলে অবশ্যই একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার প্রয়োজন হবে। আবার ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো মোবাইল দ্বারা করা সম্ভব। যেমন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, আর্টিকেল রাইটিং, সিপিএ মার্কেটিং, instagram মার্কেটিং, লিড জেনারেশন সহ আরো অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো মোবাইল দিয়ে করা যায়। ইউটিউবে অনেক ফ্রিল্যান্সার ভাইয়েরা রয়েছেন যারা ফ্রিতে অনেক কিছু শেয়ার করেন।
তাই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই প্রশ্নটিতে আপাতত বেসিক লেভেলের জ্ঞান অর্জনের জন্য ইউটিউব দেখে শেখা যেতে পারে। অনেকে আছে যারা কোর্স বিক্রি করে সেই কোর্সগুলোতে ইনরোল করেও সেটা সম্ভব। তবে ভালো মানের কোর্স ক্রয় করতে হবে যেগুলো দেখে ভবিষ্যতে একজন এক্সপার্ট লেভেলের প্লেয়ার হওয়া সম্ভব। পরিশেষে একটি কথাই সামনে আসে সেটি হল নিজেকে একজন এক্সপার্ট বা দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে অবশ্যই একটি ল্যাপটপ এবং কম্পিউটারের প্রয়োজন পড়বে এটাই স্বাভাবিক বিষয়।
ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো এবং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি
আমাদের সকলের মনে বিশেষ করে যারা বিগিনার ফ্রিল্যান্সার তাদের ক্ষেত্রে প্রথম প্রশ্ন আসে সেটি হল ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো এবং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি কত। ফ্রিল্যান্সিং বেসিক লেভেলে ধারণা নেওয়ার জন্য প্রথম উপায় হিসেবে আমরা উল্লেখ করেছিলাম ইউটিউব। সুতরাং আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিজের ক্যারিয়ার উজ্জ্বল করতে চাচ্ছেন তাহলে বেসিক ধারণা নেওয়ার জন্য অবশ্যই ইউটিউবের টিউটরিয়ালগুলো দেখতে পারেন। তবে বলে রাখা ভালো ইউটিউব থেকে শুধুমাত্র বেসিক ধারণা নেওয়ায় সম্ভব। নিজেকে অ্যাডভান্স লেভেলের প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই একটি গাইডলাইন প্রয়োজন।
একজন অভিজ্ঞ মেনটর পাড়ে একজন বিগিনারকে স্কীল সম্পন্ন করতে। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক আইটি সেন্টার রয়েছে যেগুলো ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর নাম করে শুধু শুধু ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি আদায় করে। এজন্য ভালো মানের আইটি সেন্টার দেখে শুনে বুঝে তারপর ভর্তি হওয়া প্রয়োজন। যেই গাইডার বা মেন্টর আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করাবে তার পূর্বের অভিজ্ঞতা বা ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে ধারণা নেওয়া প্রয়োজন। পূর্বে যদি তার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সফলতা থাকে তাহলেই কেবলমাত্র তার আন্ডারে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করা উচিত। অনেকের বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন হল ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি কত।
ফ্রিল্যান্সিং কোর্স এর ফি মূলত বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করতে পারে। আইটি সেন্টারের ডিমান্ড এবং আপনি কোন ধরনের কোর্স করতে চাচ্ছেন সেটির উপর নির্ভর করবে ফি কত আসবে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় আইটি সেন্টারগুলো ৩ মাসের কোর্সে ১৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা এমনকি স্থানভেদে ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করে।
শেষের কথা
বন্ধুগণ পরিশেষে একটি বিষয় উল্লেখ করব সেটি হল মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই প্রশ্নটিতে অবশ্যই আপনারা ধারণা পেয়েছেন যে মোবাইল দিয়ে বেসিক লেভেলের ধারণা গ্রহণ করা গেলেও অ্যাডভান্স লেভেলের শেখা এবং প্র্যাকটিস করার জন্য অবশ্যই একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারের প্রয়োজন পড়বে। পাশাপাশি ভালো মানের আইটি সেন্টার দেখে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি প্রদান করা প্রয়োজন। কেননা ভালো মানের মেন্টর ব্যতীত কখনোই একজন এক্সপার্ট লেভেলের ফ্রিল্যান্সার হওয়া সম্ভব নয়।
আপনাদেরকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আজকের আর্টিকেলটির বিষয়বস্তু আপনাদের কেমন লাগলো সেটি কমেন্ট বক্সে জানাতে অবশ্যই ভুলবেন না। আমরা সব সময় চেষ্টা করি আমাদের ওয়েবসাইটটিতে ভালো মানের আর্টিকেল পাবলিশ করার জন্য। তাই ফ্রিল্যান্সিং সম্বন্ধে সকল তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। পাশাপাশি আজকের বিষয়বস্তুটি সকলের সাথে শেয়ার করবেন যেন ফ্রিল্যান্সিং সম্বন্ধে তাদের সঠিক ধারণাটি আসে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url