কোন কাজ শিখে সহজে ইনকাম শুরু করা যাবে
কোন কাজ শিখে সহজে ইনকাম শুরু করা যাবে এই প্রশ্নটি আমরা সবসময়ই জিজ্ঞেস করে থাকি। বর্তমান সময়ে বাহিরে গিয়ে চাকরি করে ইনকাম করার পাশাপাশি ঘরে বসেও বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ভিত্তিক কাজ শিখার মাধ্যমে খুব সহজে টাকা ইনকাম করা যায়। তবে বিষয়টি একদম সহজ হিসেবে নেওয়া উচিত হবে না। ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করা যায় বিষয়টি শুনতে সহজ হলেও ইনকাম করার বিষয়টা একটু জটিল।
চলুন তাহলে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জটিল বিষয়টিকে অর্থাৎ কোন কাজ শিখে সহজে ইনকাম শুরু করা যাবে সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যায়। আলোচ্য বিষয়টি সম্পর্কে আপনারা জানার পাশাপাশি আরও যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন সেগুলো হলো টাকা উপার্জনের সহজ উপায়, ঘরে বসে কাজ কাজের সন্ধান এবং বাড়তি আয় করার উপায় সম্পর্কে। সুতরাং কোন কাজ শিখে সহজে ইনকাম শুরু করা যাবে বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্র
ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করা যায় ব্যাখ্যা কর
ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায় বিষয়টি আর অলৌকিক হিসেবে অভিহিত করা যাবেনা। একটি সময় ছিল যখন ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায় বিষয়টি কেউ শুনলে বিষয়টিকে হাসিঠাট্টার ছলে দেখতেন। বর্তমান দুনিয়া ইন্টারনেট কেন্দ্রিক হওয়ার প্রেক্ষিতে এখন চাইলে অনলাইনে যেমন কেনাকাটা করা যায় ঠিক তেমনি অনলাইন থেকে ব্যবসা বা কাজ করেও টাকা ইনকাম করা সম্ভব। করোনা মহামারীতে অনলাইন ভিত্তিক কাজের চাহিদা ব্যাপক হারে বিস্তার পেয়েছিল।
বর্তমান সময়েও ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। তবে কি কেউ যদি ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে চায় তাহলে অবশ্যই সঠিক আইডিয়া এবং পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা প্রয়োজন। ঘরে বসে আয় যার ইংলিশ অর্থ হলো “ওয়ার্ক ফর্ম হোম” (Work From Home)। যারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন তারা এ বিষয়টি অনেকভাবেই দেখে থাকবেন। ঘরে বসে ইনকাম করা যায় এই বিষয়টিতে সর্বপ্রথম চলে আসে ফ্রিল্যান্সিং এর কথা।
ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে কাজ করার পাশাপাশি ঘরে বসে অন্যান্য উপায়ও টাকা ইনকাম সম্ভব। চলুন তাহলে কোন কাজ শিখে সহজে ইনকাম শুরু করা যাবে এবং টাকা উপার্জনের সহজ উপায় গুলো কি কি হতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।
টাকা উপার্জনের সহজ উপায়
বাংলাতে একটি প্রবাদ আছে “অর্থই অনর্থের মূল”। অর্থ ছাড়া যেমন জীবনধারণ সম্ভব নয় ঠিক তেমনি অর্থই আবার বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে। তবে আজকে আমরা অর্থ যে সমস্যার কারণ হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করব না। অর্থ যেহেতু আমাদের জীবন ধারণের যোগান হিসেবে কাজ করে তাই অর্থ উপার্জনের কৌশল বা উপায় কোনগুলো হতে পারে সেগুলোই জানার চেষ্টা করা হবে। অর্থ জীবনের সবকিছু না হলেও, অনেক সময় অর্থের কারণে মানুষ পাগল প্রায় হয়ে যায়। তবে টাকা ইনকাম করার জন্য সহজ উপায় হিসেবে অবশ্যই একটি কাজে বা স্কিলে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
অনলাইন ভিত্তিক সকল ব্যবসা-বাণিজ্য বা ফ্রিল্যান্সিং কাজের পেশাতে খাটুনি কম মজুরি বেশি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। তবে টাকা উপার্জনের সহজ উপায় শুধুমাত্র অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। অফলাইনে ও বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে টাকা উপার্জন করা সম্ভব। তবে আমরা মুসলমান হিসেবে অবশ্যই বৈধ পথে টাকা ইনকাম করার চেষ্টা করব। বর্তমান সময়ে যেহেতু চাকরির পিছনে ছুটে সময় নষ্ট করা নেহাৎ বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।
তাই টাকা উপার্জন করতে হলে সহজ উপায় হিসেবে ঘরে বসে অনলাইন ভিত্তিক কাজ করার পাশাপাশি অন্যান্য পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করা যাবে। যেমন কেউ যদি স্টক বিজনেস করে সেক্ষেত্রেও ভালো একটি মুনাফা আয় করা সম্ভব হবে। বর্তমানে পানির বোতল প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিশুদ্ধ পানি প্রক্রিয়াজাতকরণ, রিসাইকেলিং ব্যবসা করার মাধ্যমে অনেকে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাচ্ছে। তাহলে চলুন কোন কাজ শিখে সহজে ইনকাম শুরু করা যাবে সেই সকল কাজের বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যাক।
কোন কাজ শিখে সহজে ইনকাম শুরু করা যাবে
যেহেতু বর্তমান সময়ে সব কিছুই অনলাইন প্লাটফর্ম দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। তাই যে কেউ চাইলেই অনলাইনে প্ল্যাটফর্মটি আয়ের উৎস হিসেবে তৈরি করে নিতে পারে। একটু মাথা খাটালেই অনলাইনে কাজ করে আয় করার প্রচুর পরিমাণে সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে কাজ করার আরো একটি মজার বিষয় হল ঘরে বসেই কাজগুলো করা যায়। তবে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে ইনকাম করতে হলে যে সকল কাজ শিখে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যাবে সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হয়।
অনলাইনের কাজের বিষয়টিকে ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। কোন কাজগুলো করে টাকা ইনকাম করা যাবে এ বিষয়টি যারা যেমন জরুরী ঠিক তেমনি যেই কাজই শিখা হোক না কেন সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা আরও একটি জরুরী বিষয়। চলুন তাহলে এবার যে সকল কাজ শিখে খুব সহজে ইনকাম শুরু করা যাবে সেই কাজগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানা যাক।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
অনলাইন থেকে ইনকাম বা টাকা উপার্জনের সহজ উপায় বিষয়টি যখনই সামনে আসুক না কেন আমাদের সর্ব প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি মাথায় চলে আসে। তবে ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করার জন্য সর্বপ্রথম কোন বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে তোলা যাবে সেটি আগে নিশ্চিত করে নিতে হবে। কেননা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে সার্ভিস গুলো আপনি প্রোভাইড করতে পারবেন শুধুমাত্র সেগুলো নিয়েই দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন।
বর্তমান সময়ে Fiverr, Up work, Guru, Kwork, People Per Hour ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন সার্ভিস এবং কাজের ব্যবস্থা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এগুলো কাজের মধ্যে কেউ যেকোনো একটি কাজে যদি দক্ষ হতে পারে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে খুব সহজেই কাজের অর্ডার নিতে পারবে।
কাজের অর্ডার নেওয়ার জন্য উক্ত মার্কেটপ্লেস গুলোতে প্রথমে একটি প্রোফাইল ক্রিয়েট করতে হয়। পরবর্তীতে প্রোফাইলে গিগ দেওয়ার মাধ্যমে সেখানে ইনক্লুড করতে হয় আপনি কোন কোন সার্ভিস প্রদান করতে পারবেন। সেই অনুযায়ী বায়ার মার্কেটপ্লেস থেকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী একজন ফ্রিল্যান্সারকে হায়ার করে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করার জন্য ঘরে বসে কাজ করার পাশাপাশি খুব সহজেই অনলাইন পেমেন্ট এবং ব্যাংকের মাধ্যমে উপযুক্ত পারিশ্রমিক গুলো তুলে নেওয়া সম্ভব।
ব্লগিং করে আয়
পূর্বের তুলনায় বর্তমান সময়ে ব্লগিং করে আয় করার বিষয়টি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। খুব সহজে ঘরে বসে শুধুমাত্র কনটেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল রাইটিং এর উপর দক্ষতা অর্জন করে ব্লগিং করে ভালো একটি অ্যামাউন্ট আয় করা সম্ভব। কোন কাজ শিখে সহজে ইনকাম শুরু করা যাবে যেমন এটি একটি আর্টিকেল। আপনি যদি এই টাইটেল দেখে আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই একটি ব্লগ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। ব্লগিং করে আয় করার জন্য অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়। ডোমেন এবং হোস্টিং ক্রয় করে ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করতে হয়।
ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে গেলে সেখানে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করে প্রতিদিন ডলার আয় করা সম্ভব। ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয়-ব্লগ তৈরির নিয়ম সংক্রান্ত সকল বিষয়ে জানতে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন। ভালো মানের একটি আর্টিকেল ব্লগ সাইটে পাবলিশ করলে নিয়মিতভাবে দর্শক ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবে এবং সেই অনুসারে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি অ্যামাউন্টের টাকা আয় করা যাবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
ইতিমধ্যে আমরা ব্লগিং করে ইনকাম করার কথা বলেছি। এই বিষয়টির সাথে মিল রেখে আরো একটি টাকা উপার্জনের সহজ উপায় হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা। মূলত এই পদ্ধতিতে টাকা ইনকাম করার জন্য অবশ্যই আগের মতই একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। অনেক সময় ওয়েবসাইট বাদেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ইনকাম করা যায়। আমরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করার সাজেশন প্রদান করে থাকি।
আচ্ছা এবার তাহলে যদি আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম গ্রহণ করে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন। বিষয়টি একটু পরিষ্কারভাবে জানার চেষ্টা করা জান। প্রথম একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে নিতে হবে। এরপর ওয়েবসাইটে কোয়ালিটি ফুল কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হবে। তার আগে যে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সময় কাজ করতে পারবেন বা সেই বিষয়ে কাজ করার ধৈর্য রয়েছে সে অনুযায়ী একটি “নিশ” পছন্দ করতে হবে।
মনে করুন একজনের গার্ডেনিং নিয়ে শখ রয়েছে। তাহলে ভবিষ্যতে গার্ডেনিং করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান মূলক আর্টিকেল তার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করার ক্ষমতা রয়েছে। প্রথমে আর্টিকেলগুলো পাবলিশ করলে খুব একটা ভিজিটর পাওয়া যাবে না। ধীরে ধীরে ভিজিটর বাড়বে।এরপর গার্ডেনিং করার জন্য যে সকল প্রোডাক্ট যেমন টব, ফুলের গাছ, বীজ, মেডিসিন যদি কেউ অনলাইনে বিক্রি করে তাহলে তাদের সাথে কোলাবারেশন করে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম নেওয়া যাবে।
অর্থাৎ কেউ যদি গার্ডেনিং সংক্রান্ত কোন পরামর্শের জন্য আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এবং সেখানে গার্ডেনিং এর মেডিসিন কোম্পানির ওয়েবসাইট লিংক আপনার ওয়েবসাইটে ইনক্লুড থাকে। তাহলে সেখান থেকে মেডিসিন ক্রয় করলে আপনার অ্যাফিলিয়েট একাউন্টে একটি কমিশন যুক্ত হবে। আর এই প্রক্রিয়াটি মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নামে পরিচিত। আর এজন্যই কোন কাজ শিখে সহজে ইনকাম শুরু করা যাবে এই প্রশ্নটিতে এফিলিয়েট মার্কেটিং কে অবশ্যই যুক্ত রাখা প্রয়োজন।
ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে আয়
বর্তমান সময়ে যেহেতু প্রত্যেকটি ঘরেই স্মার্ট মোবাইল ফোন এবং স্মার্ট টিভি বিদ্যমান রয়েছে। পাশাপাশি সকলেই ইউটিউব এবং ফেসবুকের ভিডিও দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিনোদন থেকে শুরু করে সকল ধরনের নিউজ এখন ফেসবুক এবং ইউটিউব থেকে দেখা যায়। তাই কেউ যদি টাকা উপার্জনের সহজ উপায় হিসেবে ফেসবুক অথবা ইউটিউবকে বেছে নেয় তাহলে খুব একটা খারাপ হবে না। তবে এ সকল প্লাটফর্ম থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে অবশ্যই নিজের ক্রিয়েটিভিটি প্রদর্শন করতে হবে।
মূলত ইউটিউব এবং ফেসবুকের ভিউয়ের ভিত্তিতে টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে। আমরা যখন ইউটিউবে অথবা ফেসবুকে ভিডিও দেখি তখন আমাদের সামনে হঠাৎ করে একটি বিজ্ঞাপন চলে আসে। আর এ বিজ্ঞাপন কোম্পানিগুলোই তাদের বিজ্ঞাপন গুলো গ্রাহকদের সামনে প্রদর্শন করার খাতিরে ইউটিউব এবং ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ এমাউন্ট প্রদান করে থাকে। আর সে সকল কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করে তাদেরকে ভিউ অনুযায়ী Youtube এবং Facebook কর্তৃপক্ষ টাকা প্রদান করে।
বাড়তি আয় করার উপায়
বিশ্ব বাজারে মূল্যস্ফীতির কারণে সকলের সংসার চালানোই একটি কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অনেকেই বিভিন্ন চাকরি করার পাশাপাশি বাড়তি আয় করার উপায় জানতে চেয়ে থাকেন। চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার একমাত্র উপায় হিসেবে প্রথমে আসবে অনলাইনে বিজনেস অথবা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করা। আমরা ইতিমধ্যে ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে ইনকাম করতে হয় সে বিষয়ে জেনেছি। বর্তমানে বাড়তি আয় করার উপায় হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ভালো একটি অ্যামাউন্ট কালেক্ট করা সম্ভব।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় যেভাবে করবেন বিষয়টি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে লেখাটিতে ক্লিক করুন। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে সাধারণত ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম সহ আরো অন্যান্য যে সকল প্লাটফর্ম রয়েছে সেই মাধ্যমগুলো অবলম্বন করে বিভিন্ন বিজনেস পলিসি গুলো চালনা করা। কেউ যদি ফেসবুকে বিজ্ঞাপন স্পেশালিস্ট হতে পারে তাহলে তার আর কাজের অভাব হবে না। কেননা বর্তমান সময়ে ফেসবুক ভিত্তিক অনলাইন বিজনেস গড়ে ওঠার প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং একটি অন্যতম ক্যারিয়ার হিসেবে অভিহিত করা যেতেই পারে।
আমরা ফেসবুকে স্ক্রোলিং করার সময় আমাদের সামনে “Sponsored” লেখা জাতীয় বিভিন্ন প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন চলে আসে। আর এটি মূলত করে থাকে একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেট আর। কারো যদি একটি টি-শার্টের বিজনেস থাকে এবং সে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে টি-শার্টগুলো বিক্রি করতে চাচ্ছে তাহলে অবশ্যই একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারকে হায়ার করতে হয়। তাই কোন কাজ শিখে সহজে ইনকাম শুরু করা যাবে এ বিষয়টি নিয়ে যারা চিন্তিত থাকেন তাদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং একটি অন্যতম উপায় হিসেবে গণ্য করা যায়।
ঘরে বসে কাজের সন্ধান
অনেকে বেকার জীবনযাপন পার করতে গিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন। সেক্ষেত্রে তারা বলে বসেন যে কোনো কাজ চাই এবং জীবনটি ভালোভাবে পরিচালনা করতে চাই। ঘরে বসে কেউ যদি কাজের সন্ধান করতে চায় তাহলে অবশ্যই সর্ব প্রথমে তাকে অনলাইন ভিত্তিক কাজের বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইনে কাজের বিষয়গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে পাবলিশ করার চেষ্টা করেছি।
তাই আপনি যদি ঘরে বসে কাজের সন্ধান খুঁজছেন এরকম হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আমাদের ওয়েবসাইটে ঘরে বসে কাজের সন্ধান হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত সকল বিষয়বস্তু পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করা হয়েছে। আবার কেউ যদি অবসর সময়ে বাড়িতে বসে কাজ যেগুলো করবেন সেগুলো জানতে লেখাটিতে ক্লিক করুন।
শেষের কথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ কোন কাজ শিখে সহজে ইনকাম শুরু করা যাবে এ বিষয়টিতে আমরা অনলাইন সম্পর্কিত কাজগুলোকেই বেশি সাপোর্ট করেছি। কেননা অনলাইনে কেউ যদি একটি স্কিল ভালোভাবে অর্জন করতে পারে তাহলে টাকা উপার্জনের সহজ উপায় গুলোর মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনের কাজগুলোই বেশি উল্লেখিত হবে। যারা বাড়তি আয় করার উপায় খুঁজছেন তাদেরকে অনুরোধ করব আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য।
আমরা ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইনে কাজ করার জন্য কিভাবে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করেছি। তাই বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার জন্য নিজে ভিজিট করুন এবং অন্যদেরকে ভিজিট করার সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে অবশ্যই পোস্টগুলো শেয়ার করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url