কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়

আপনি কি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আগ্রহী। কিন্তু বুঝতে পারছেন না যে কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়? কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয় এসব জানার আগে আপনাকে জানতে হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? 
কয়টি-প্রোডাক্ট-নিয়ে-অ্যাফিলিয়েট-মার্কেটিং-করা-হয়
তাহলে আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। এই আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি, কিভাবে করতে হয়। মার্কেটিং মার্কেটিং সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। চলুন কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়? সম্পর্কিত যাবতীয় আলোচনা শুরু করা যাক।
পেজ সূচিপত্র

কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার আগে আপনার মনের প্রশ্ন জাগতে পারে যে কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়? কিন্তু মূল বিষয়টি হচ্ছে কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয় এর কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। আপনি একশো টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন আবার হাজারটি প্রোডাক্ট নিয়েও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অন্যের কোম্পানির পণ্য আপনি বিক্রি করে থাকেন। 

এই ক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোডাক্ট সংখ্যার উপর নির্ভর করে না। বর্তমানে অনলাইনে শত শত এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক রয়েছে। যারা হাজার হাজার পণ্য বিক্রি করে। যেমন: দারাজ, আলিবাবা, ফ্লিপকার্ট, আমাজন। তবে আপনার বুঝার সুবিধার্থে নিচে কিছু প্রোডাক্টের ক্যাটাগরি তুলে ধরা হলো, যে গুলোর জনপ্রিয়তা বেশি।

হেলথ ক্যাটাগরি

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সকল প্রোডাক্ট যেমন স্কিন কেয়ার, ওয়েট লস প্রোডাক্ট, বিভিন্ন রোগের ওষুধ ইত্যাদি।

ইলেকট্রনিক্স ক্যাটাগরি

বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যেমন টিভি, ফ্যান, হেডফোন, প্রেসার কুকার, রাইস কুকার, মিক্সার গ্রাইন্ডার, মোবাইল ইত্যাদি।

ফ্যাশন ক্যাটাগরি

ফ্যাশন ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে মেনস ফ্যাশন, ওম্যান ফ্যাশন, কিড ফ্যাশন। এখানে শুধু জনপ্রিয় ক্যাটাগরি গুলো তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া আরো অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে। এই বাকি ক্যাটাগরিগুলো নিয়েও আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অনলাইন অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে মার্কেটিং করা হয়। বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রসারতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি জানা প্রয়োজন। অনলাইনে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোন পণ্য বিক্রি করার প্রক্রিয়া হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। এখন এই বিজ্ঞাপনটি যাদের মাধ্যমে দেখানো হয় তারা হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটার। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়: আপনাকে একটু কোম্পানি কিছু পণ্যগুলো বিক্রি করার জন্য। আপনি বিভিন্ন মানুষের কাছে পণ্যটি নিয়ে গেলেন এবং তাদের কাছে পণ্য বিক্রি করলেন। 
এরপর উক্ত কোম্পানি তাদের পণ্য বিক্রি করতে সাহায্য করার জন্য আপনাকে কিছু কমিশন দিল। এই পুরো প্রক্রিয়াটিই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, ইউটিউব পেজ, ফেসবুক পেজ এসবের মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে প্রচার করে। এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি যদি প্রোডাক্টগুলো কিনেন তাহলে কোম্পানির লাভ হয়। লাভ হওয়ার কারণে পেজ ওনার বা চ্যানেল ওনার কে কোম্পানিগুলো কিছু কমিশন দেয়। এই কমিশনকে অনলাইনের ভাষায় অ্যাফিলিয়েট কমিশন বলে। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া থেকে শুরু করে পণ্য বিক্রি হয় সে প্রক্রিয়াকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।

মার্কেটিং কত প্রকার?

মার্কেটিং অর্থ হলো বিপণন বা বাজারজাতকরণ। মার্কেটিং শব্দটির সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। বর্তমান কর্পোরেট জগতে মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ মানুষের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পণ্য, পরিসেবা, ধারণা, অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করাই হচ্ছে মার্কেটিং। গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করে তাদের চাহিদা বোঝা, সেই চাহিদা অনুযায়ী পণ্য তৈরি করে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করে মুনাফা লাভের প্রক্রিয়াটি হচ্ছে মার্কেটিং। 

মার্কেটিং একটি সামাজিক এবং প্রাণীমূলক প্রক্রিয়া। যা গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবা প্রদান করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান কৃতক পরিচালিত হয়। এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে মার্কেটিং কত প্রকার? এই ডিজিটাল যুগে মার্কেটিং প্রধানত দুই প্রকার।
  • ট্রেডিশনাল বা ঐতিহ্যবাহী মার্কেটিং
  • ডিজিটাল মার্কেটিং

ট্রেডিশনাল বা ঐতিহ্যবাহী মার্কেটিং

ট্রেডিশনাল মার্কেটিং নামটি শুনে আপনি বুঝে গেছেন যে যুগ যুগ ধরে যে মার্কেটিং চলে এসেছে এটিই সে মার্কেটিং। ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এ আপনি একটি পণ্য তৈরি করে, সেটির প্রচার করে, বিক্রি করবেন। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোই তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয়। আর বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হয়। মানুষ তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী দোকান থেকে পণ্য ক্রয় করে। অর্থাৎ যুগ যুগ ধরেছে মার্কেটিং চলে আসছে। এখনো মার্কেটিং এর মধ্যে ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এগিয়ে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং

ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে মার্কেটিং করা হয় সেটি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ইন্টারনেটের কারণে পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। যার ফলে এখন মার্কেটিং ইন্টারনেটের মাধ্যমেও করা যায়।বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, youtube চ্যানেল ইত্যাদির মাধ্যমে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করে গ্রাহকের সাথে পণ্যের কানেকশন করা হয়। এরপর গ্রাহক পণ্যটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এটিই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে অফলাইনেও ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়। জন্য বিভিন্ন ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়। অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইন, অফলাইন উভয় জায়গাতেই করা সম্ভব।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি কি উপায় করা যায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অনলাইন অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে মার্কেটিং করা হয়। বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রসারতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি কি উপায়ে করা যায় সেটি জানা প্রয়োজন। লেট মার্কেটিং এ তিন ধরনের মানুষ থাকে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্চেন্ট, একজন এফিলিয়েট মার্কেটার, একটি হচ্ছে প্রতিষ্ঠান। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিভিন্ন উপায়ে করা যায়। সঠিক উপায়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারলে আপনি অনেক কমিশন পাবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক এফিলিয়েট মার্কেটিং কি কি উপায় করা যায়:

ব্লগিং এর মাধ্যমে

ব্লক পোষ্ট তৈরি করে সেখানে নির্ধারিত পণ্যটির বিজ্ঞাপন দিন। এরপর কমেন্ট বক্সে পণ্যটির লিংক দিয়ে গ্রাহকদের পণ্য কিনতে আগ্রহী করুন।

ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে

Youtube চ্যানেল খুলে সেখানে পণ্যের রিভিউ, আনবক্সিং ভিডিও, বিভিন্ন পন্য সম্পর্কিত তথ্য দিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। এরপর ভিডিওর ডেসক্রিপশনে অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, যেমন: facebook, instagram, tiktok এ অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে গ্রাহকদের পণ্য কিনতে উৎসাহিত করতে পারেন।

ইমেইল মার্কেটিং

একটি ইমেইল লিস্ট তৈরি করে। তারপর ইমেইলে পণ্যের ডেসক্রিপশন এবং অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করে ইমেইল পাঠানোর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।

পডকাস্টিং এর মাধ্যমে

পডকাস্টিং এ প্রোডাক্ট রিভিউ, প্রোডাক্ট নিয়ে আলোচনা করে। এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে গ্রাহকদের প্রোডাক্ট কিনতে উৎসাহী করতে পারেন।

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে

প্রোডাক্টের তুলনা করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। সেই ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট এর বর্ণনা এবং এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।

পেইড অ্যাডভার্টাইজমেন্ট

গুগল এডসেন্স, ফেসবুক অ্যাড ইত্যাদির মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট প্রমোট করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।

ফোরাম এবং কমিউনিটির মাধ্যমে

বিভিন্ন অনলাইন ফোরাম এবং কমিউনিটিতে যুক্ত হয়ে এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে পণ্য বিক্রয় করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইন নির্ভর। বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য খুব জনপ্রিয়। অনেক বছর থেকে বিশ্বস্ততার সাথে তারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আসছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট গুলোতে সাধারণত পণ্যের বিজ্ঞাপন এবং পণ্য প্রদর্শন করা হয়। এই ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে গ্রাহক পণ্য কিনতে পারেন। বিভিন্ন কোম্পানি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট গুলোতে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেন এবং গ্রাহক পণ্য অর্ডার করলে সেগুলো কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহকের নিকট পাঠিয়ে দেন। নিচে জনপ্রিয় কিছু অ্যাফিলিয়ে মার্কেটিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস

বিশ্বের বৃহত্তম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট হচ্ছে অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস। অ্যামাজনে প্রদর্শিত পণ্য গুলির বিজ্ঞাপন আপনি আপনার ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেলে প্রদর্শন করে একটি ভালো কমিশন পেতে পারেন।

ফ্লিপকার্ট

বর্তমানে flipkart এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্লিপকার্টে প্রদর্শিত পণ্য গুলির বিজ্ঞাপন আপনি আপনার ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেলে প্রদর্শন করে একটি ভালো কমিশন পেতে পারেন।

ডারাজ

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মার্কেটিং ওয়েবসাইট হচ্ছে দারাজ। হাজার হাজার পণ্য বিক্রয় করা হয়। অনেকে তাদের ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব চ্যানেলে দারাজের পণ্যের এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে ভালো এমাউন্টের কমিশন পান। এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। আপনি চাইলে নিজস্ব উদ্যোগে একটি এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট তৈরি করে মার্কেটিং করতে পারেন।

কোন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়

যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ নতুন আরো অনেকেই জানেন না যে কোন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়? বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। কারণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রসারতা যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে বেশ কয়েকটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস সৃষ্টি হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস গুলোতে পৃথিবীর যেকোনো দেশ থেকে মানুষ যোগদান করতে পারে। 
এতে বিক্রেতার বিক্রয় বেশি হয় এবং ক্রেতারা তাদের চাহিদা অনুযায়ী যে কোন পণ্য সহজে পেয়ে যান। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়।

অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস

বিশ্বের বৃহত্তম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট হচ্ছে অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস। অ্যামাজনে প্রদর্শিত পণ্য গুলির বিজ্ঞাপন আপনি আপনার ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেলে প্রদর্শন করে একটি ভালো কমিশন পেতে পারেন।

ক্লিক ব্যাংক

ক্লিক ব্যাংক একটি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্লেস। এখানে ই-বুক, সফটওয়্যার, কোর্স ইত্যাদি প্রমোট করে কমিশন অর্জন করা যায়।

ShareAsale

ShareAsale এ হাজারো ইন্টারন্যাশনাল প্রোডাক্ট রয়েছে। এই ইন্টারন্যাশনাল প্রোডাক্টগুলো প্রমোট করার মাধ্যমে আপনি ভালো এমাউন্টের কমিশন পাবেন।

Commission Junction

Commission Junction অন্যতম অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক। এখানে বিভিন্ন রকমের পণ্য প্রমোট করে কমিশন পাওয়া যায়।

Rakuten Marketing

Rakuten Marketing এ ইন্টারন্যাশনাল বিভিন্ন ব্যান্ডের প্রোডাক্ট প্রমোট করে কমিশন পাওয়া যায়।

eBay partner network

eBay partner network একটি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্লেস। বিভিন্ন পণ্যের প্রোডাক্ট রিভিউ করে কমিশন অর্জন করার অপশন রয়েছে।

Shopify Affiliate Program

যারা ই-কমার্স এর সাথে যুক্ত তাদের জন্য Shopify Affiliate Program এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট রিভিউ করে কমিশন অর্জন করা সহজ।

আশা করি আপনি কোন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় এই সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন।

লেখকের শেষ কথা

এই পোস্টটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কিত ছিল। এখানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি, কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়, এফিলিয়েট মার্কেটিং কি কি উপায় করা যায় এরকম বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অনেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট রিভিউ করে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে। আপনিও চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য সৎ উপায়ে যেকোনো পথে টাকা ইনকাম করা যায়। আজকের মতন, ভালো থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url