ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার খরচ-ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা

বর্তমান সময়ে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অনেকেই ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়ার কথা চিন্তা করে থাকেন। কিন্তু প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্টে পড়াশোনার জন্য একটি নির্দিষ্ট যোগ্যতা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ঠিক ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা ও একটি নির্দিষ্ট কারি-কলামে চলমান রয়েছে। অনেকেই রয়েছেন যারা ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করতে চান কিন্তু সে বিষয়ে সঠিক তথ্যগুলো না জানার পরিপ্রেক্ষিতে সেটা আর হয়ে ওঠেনা। 
ফ্যাশন-ডিজাইন-পড়ার-যোগ্যতা
চলুন তাহলে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা গুলো কি কি হতে পারে সে বিষয়ে নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করা যায়। উক্ত বিষয়টি বাদেও যে সকল বিষয় সম্পর্কে আজকে জানতে পারবেন সেগুলো হল ফ্যাশন ডিজাইন কি এবং ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার খরচ সম্পর্কে। আপনাদের সুবিধার্থে আর্টিকেলের শেষের দিকে ফ্যাশন ডিজাইন ইউনিভার্সিটি কোথায় রয়েছে সেটির সুস্পষ্ট একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। সুতরাং ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র

ফ্যাশন কি

“ফ্যাশন” একটি ইংরেজী কথা। সোজা বাংলায় বিষয়টিকে বলতে গেলে সাধারণত কোন নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে বা ইতিহাসের নির্দিষ্ট কোন পর্বে সেখানকার জনসাধারণের মধ্যে বিরাজ ছিল এরকম সৌন্দর্য ও শৈলীর গৃহীত এবং প্রচলিত অভিব্যক্তি অথবা “চল” কে ফ্যাশন হিসেবে অভিহিত করা হয়। ফ্যাশন পরিভাষাটি মূলত পোশাক ও আনুষঙ্গিক বিষয় যেমন গহনা,ওড়না, বন্ধনি, জুতা ক্যাশ বিন্যাস, চেহারার প্রসাধনী, শরীরের গড়ন, ভাষা, জীবনচর্চা এবং বাচনভঙ্গি সহ সকল বিষয়ের একত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 

বৃহত্তর অর্থে যদি ফ্যাশনের সংজ্ঞা অনুরূপ করা যায় তাহলে সেই অর্থে সাংস্কৃতিক গতিধারা, সাংস্কৃতিক ধারা, সাংস্কৃতিক প্রবণতা, সাংস্কৃতিক হালচাল (Cultural Trend) পরিভাষাগুলো ও ব্যবহৃত করা যায়। প্রচলিত নিয়মগুলো যেকোনো সময় পরিবর্তনশীল, আজ যা জনপ্রিয় ও বহুল প্রচলিত হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে বা রেওয়াজ রয়েছে ভবিষ্যতে এটি নাও থাকতে পারে, আর এই বিষয়টিকে ফ্যাশন হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। 
বহূ আগে থেকে ফ্যাশন বিষয়টিকে আমলে নিয়ে ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করার রীতি-নীতিও চলে আসতেছে। সেই অনুযায়ী ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি পড়াশোনা শেষ করতে অর্থাৎ ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার খরচ অবশ্যই ব্যয়বহুল হিসেবে লোকমুখে পরিচিত।

ফ্যাশন ডিজাইন কি

আমরা ইতিমধ্যে ফ্যাশন কি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছি। আপনি যদি ফ্যাশন বিষয়টিকে উদ্ভাবন করতে পারেন তাহলে ফ্যাশন ডিজাইন সম্পর্কে বুঝতে আর কোন সমস্যা হবে না। আমরা উপরের অংশে জেনেছিলাম ফ্যাশন বিষয়টি হল পোশাক পরিচ্ছদ, জীবনচর্চা, শরীরের গরন, ব্যবহারিক প্রসাধনী সকলের উপর নির্ভরশীল। আর এই সকল ফ্যাশন বিষয়ের প্রস্তুতকারককে ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। একজন ফ্যাশন ডিজাইনার পোষাক পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে আরো আনুষাঙ্গিক বিষয়ে মূল ভূমিকা পালন করে থাকেন। 

এ ধরনের কাজ করতে হলে অবশ্যই ড্রইং সম্পর্কে দক্ষ হবার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মানুষের জীবনযাত্রা, চিন্তাভাবনা ও রুচির সাথে যে মিল রয়েছে সেটি খুঁজে বের করতে হয়। ফ্যাশন ডিজাইন কে আরো সংজ্ঞায়িত করা যায় যা একটি শিল্প যেখানে পোশাক থেকে শুরু করে জুতা, ব্যাগ, গয়না, স্কার্ফ ইত্যাদির উপর নকশা প্রয়োগ করে ভিন্ন ধাঁচের নান্দনিকতা ফুটিয়ে তোলার প্রচেষ্টা করা হয়ে থাকে। আবার চেঞ্জিং বিষয়কে ফুটিয়ে তোলে পোশাকে প্রতিকীভাব নিয়ে আসাও একজন ফ্যাশন ডিজাইনের মূল সার্থকতা হিসেবে গণ্য করা হয়। 

চলুন তাহলে এবার ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা এবং ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার খরচ জানার পূর্বে ফ্যাশন ডিজাইনার কি কি ধরনের কাজ করে থাকেন সেটা জেনে নিব।

ফ্যাশন ডিজাইনার এর কাজের ধরন

  • নিজস্ব ক্রিয়েটিভিটির মাধ্যমে পোশাকে নকশা করা এবং নান্দনিকতা ফুটিয়ে তোলা।
  • পোশাকের রং নির্ণয় এবং ধরন ঠিক করতে হয়।
  • একটি পোশাক তৈরি করার পর সেটি বর্তমান সময়ের ট্রেন্ডিং ফ্যাশনে পরিণত হবে কিনা সেটি ভালোভাবে রিসার্চ করতে হয়।
  • পোশাক তৈরি করার ক্ষেত্রে কি ধরনের কাপড় ব্যবহার করা হবে এবং সেটি মানসম্মত হবে কিনা সেটি নির্ধারণ করা।
  • পোশাক তৈরিতে কিরকম খরচ হতে পারে সেটি হিসাব করে প্রোডাকশন ম্যানেজারের কাছে জমা দেওয়া।
  • জলদি ফ্যাশন সম্পর্কে অবশ্যই সঠিক ধারণা রাখতে হবে।
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো সাধারণত একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের দায়িত্বে পড়ে থাকে। এগুলো বাদেও যদি সে কোন টেক্সটাইল কারখানাতে কাজ করে তাহলে সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ তার কাজের ধরন অনুযায়ী আরো অন্য কোন দায়িত্ব অর্পণ করতে পারবে। আসুন তাহলে এবার ফ্যাশন ডিজাইনাররা এসকল দায়িত্ব পালনের সাথে কোথায় কাজগুলো করে থাকেন সেগুলো জেনে নিব।

ফ্যাশন ডিজাইনারের কাজের স্থল

  • টেক্সটাইল মিল বা ফ্যাক্টরি
  • বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাপড়ের দোকান যেমন ক্যাটস আই, আড়ং, সেইলর, সারা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে থাকে।
  • বিভিন্ন গার্মেন্টস কোম্পানি অথবা ফ্যাক্টরি।
  • বুটিকের দোকান (সেটা বড় অথবা ছোট হতে পারে)।
কোম্পানিতে কাজ করার পাশাপাশি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার ব্যক্তিগতভাবে কনসালট্যান্ট হিসেবেও কাজ করতে পারবে। অর্থাৎ যেমন ডাক্তার এবং উকিল চেম্বারে তার গ্রাহকদেরকে ডেকে সেই সমস্যা নিরসন করার চেষ্টা করে থাকেন। ঠিক তেমনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার তার নির্দিষ্ট চেম্বারে প্রয়োজন অনুসারে তার গ্রাহকদের ডেকে সঠিক পরামর্শ প্রদান করতে পারে।

ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা

ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা অর্জন করে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে হয়। ভর্তি হওয়ার পর ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার খরচ অবশ্যই সেমিস্টার অথবা বাৎসরিক হিসেবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তবে কেউ যদি ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়তে চায় সেক্ষেত্রে অবশ্যই ফলাফলের ভিত্তিতে সেই সকল ফ্যাশন ডিজাইনের ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি সুযোগ পেয়ে থাকে। চলুন তাহলে এবার ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন থাকা প্রয়োজন সেটা জেনে নেওয়া যাক।


শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে যদি কেউ পড়তে চায় তাহলে অবশ্যই এসএসসি কিংবা এইচএসসি পাস করতে হয়। অর্থাৎ এসএসসি কমপ্লিট করে কেউ যদি ফ্যাশন ডিজাইনিং করতে চায় সেক্ষেত্রে সেই স্টুডেন্ট ডিপ্লোমা ফ্যাশন ডিজাইনিং (Diploma in Fashion Design) নিয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। আবার কোন স্টুডেন্ট যদি এইচএসসি পাস করে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়তে চায় সে ক্ষেত্রে বিএসসি ইন ফ্যাশন ডিজাইনিং (BSC in Fashion Design) করার সুযোগ পাবে।

বয়সঃ ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতার মধ্যে আরও একটি বিষয় সামনে আসে সেটি হল বয়স। প্রতিষ্ঠান ভেদে স্টুডেন্ট ভর্তি নেওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের একটি সীমারেখা নির্ধারণ করা থাকে। সাধারণত ভর্তি হওয়ার জন্য ১৮ বছর বয়স হতে হয়।

অভিজ্ঞতাঃ ফ্যাশন ডিজাইন এর ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সেরকম কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়বে না। তবে কেউ যদি পূর্বে কোন ফ্যাশন ডিজাইনিং কোর্স বা সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সেটির সার্টিফিকেট প্রদান করতে পারবে।

বিশেষ শর্তঃ প্রতিষ্ঠান ফ্যাশন ডিজাইনিং কোর্স করানোর জন্য ছাত্রদেরকে উপরে বর্ণিত শর্তের পাশাপাশি আরও অন্যান্য শর্ত দিতে পারে। ভর্তি পরীক্ষায় কত নম্বর পেতে হবে সেটিও সাধারণত কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে থাকে। তবে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর শিক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম ২.৫০ সিজিপিএ নিয়ে নাটক ডিগ্রি অর্জন করতে হয়।
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো যদি কারো সাথে সঠিকভাবে মিলে যায় তাহলে ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়ার জন্য সেই সকল ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করতে পারবে। তবে আপনাদের জ্ঞাতার্থে একটি বিষয় উল্লেখ করছি যে ফ্যাশন ডিজাইন মূলত একটি আর্ট বা ক্রিয়েটিভিটির অংশ। সুতরাং কেউ যদি এ বিষয়টিকে আগ্রহ সহকারে নিয়ে পড়তে চায় তাহলেই কেবলমাত্র ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া উচিত। তা না হলে ফ্যাশন ডিজাইনিং পোস্ট করার পর ক্রিয়েটিভিটি অনুযায়ী যদি কাজ দেখাতে না পারে তাহলে ভবিষ্যতে সে বিষয়টি নিয়ে আগানো আর সম্ভব হবে না।

ফ্যাশন ডিজাইন কোর্স বাংলাদেশ

বর্তমান সময়ে ফ্যাশন ডিজাইন কোর্স বাংলাদেশ এ অফলাইন এবং অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছাত্রদেরকে অনুশীলন করাচ্ছে। এক্ষেত্রেও অবশ্যই ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার খরচ ইউনিভার্সিটি প্রায় সমান সমানই বহন করতে হয়। ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ফ্যাশন ডিজাইন কোর্স করিয়ে থাকে। অফলাইনে কেউ যদি ফ্যাশন ডিজাইন বিষয়ে কোর্স করতে চায় তাহলে যেকোনো প্রতিষ্ঠানে বা ইউনিভার্সিটি তে ৪ বছর মেয়াদী অনার্স বা ডিপ্লোমা কোর্স করতে হয়। 

শুধুমাত্র এই কোর্সটি করার মাধ্যমেই পরবর্তীতে কাজের ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিকে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে অনেকগুলো সরকারি এবং বেসরকারি ফ্যাশন ডিজাইন শেখায় এরকম প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নিচে ফ্যাশন ডিজাইন এর ইনস্টিটিউট এবং ইউনিভার্সিটি গুলো কোথায় সেটি বর্ণনা করা হলো।

ফ্যাশন ডিজাইন ইউনিভার্সিটি কোথায়

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি

  • ঠিকানাঃ বাড়ি #3 / জিএ, শ্যামলী রোড #১, ঢাকা-১২০৭
  • মোবাইলঃ ০১৬২৯-১৭১৭১৭
  • ইমেলঃ info@bifdt.com
  • ওয়েবসাইটঃ www.bifdt.com

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়

  • ঠিকানা: ৯২, শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ অ্যাভিনিউ
  • তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল,ঢাকা-১২০৮
  • ফোনঃ ০২-৫৮১৫১৭৮৮
  • ইমেলঃ info@butex.edu.bd
  • ওয়েবসাইটঃ butex.edu.bd

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি

  • ঠিকানা: ৭৪, সি / এ, ওয়্যারলেস গেট মহাখালী, ঢাকা-১২১২
  • মোবাইলঃ ০১৭৩১-২২০০৯৯
  • ইমেলঃ info@nift.edu.bd
  • ওয়েবসাইটঃ nift.edu.bd

ঢাকা ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি

  • ঠিকানাঃ প্লট -৯, ব্লক-কা, বিভাগ -৬, মেইন রোড-১, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬
  • ফোনঃ ০২-৫৮০৫২৩০৯
  • ইমেলঃ info@dift.edu.bd
  • ওয়েবসাইটঃ dift.edu.bd

বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি

  • ঠিকানা: নিশতনগর, তুরাগ, ঢাকা-১২৩০
  • ফোনঃ ৯৬০৬-৮০৮০৮০
  • ইমেলঃ info@buft.edu.bd
  • ওয়েবসাইটঃ buft.edu.bd

শহীদ এস এ মেমোরিয়াল টেক্সটাইল ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেক্সটাইল কলেজ

  • ঠিকানা: বাড়ি #২০, রোড #১৩, সেক্টর #১০, (কামারপাড়া বাস স্টপের কাছে), উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০
  • মোবাইলঃ ০১৯৪৯-১৫০১৫০
  • ইমেলঃ ssamft.bd.2015@gmail.com
  • ওয়েবসাইটঃ samftc.edu.bd
উপরে বর্ণিত প্রত্যেকটি ইনস্টিটিউট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট লিংক ইন করা আছে। আপনি চাইলে সে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের উপরে টাচ করে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন এবং ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা এবং ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার খরচ সম্পর্কে সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।

ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার খরচ

আমরা এই পর্যন্ত ফ্যাশন কি, ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। চলুন তাহলে এবার ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার খরচ কেমন হয়ে থাকে সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক। মূলত কোর্সের রীতিনীতি অনুযায়ী এবং প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার খরচ আলাদা হয়ে থাকে। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা শুধুমাত্র ফ্যাশন ডিজাইনিং এর উপর কোর্স করিয়ে থাকে। অর্থাৎ ছয় মাস বা এক বছরের একটি কোর্স করানো হয় এবং কোর্স শেষে একটি সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়ে থাকে।

কিন্তু যখন কোন স্টুডেন্ট ডিপ্লোমা অথবা বিএসসি করার জন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হবে সেক্ষেত্রে সেটা আর কোনরকম কোর্সের অন্তর্ভুক্ত হয় না। সেটা সাধারণত ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়াশোনার মধ্যে পড়ে যায়। যেমন অনেকে ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিকেল পাশ করে চাকরিতে যোগদান করতে পারে। ঠিক তেমনি ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়াশোনা করে অর্থাৎ উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিং এর উপর গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার মাধ্যমে যেকোন টেক্সটাইল কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে পারে।
শুধুমাত্র শিখার উদ্দেশে যদি কেউ কোর্স করতে চায় তাহলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে কোর্স করা সম্ভব। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে যদি গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে চায় তাহলে বাৎসরিক অথবা সেমিস্টার ওয়াইজ ফি প্রদান করতে হয়। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশন ডিজাইন এর পড়ার খরচ অতটা নয়। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান থেকে যদি ফ্যাশন ডিজাইনিং এর উপর গ্রাজুয়েশন করতে চাই সেক্ষেত্রে ৪ বছরে প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে।

ফ্যাশন ডিজাইনার এর বেতন

ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা অনুযায়ী কেউ যদি সরকারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে পারে পড়াশোনা শেষ করে। তাহলে বড় ধরনের মাল্টিন্যাশনাল টেক্সটাইল কোম্পানিতে ভালো একটি পদে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় একজন ফ্যাশন ডিজাইনার যদি কোন টেক্সটাইল কোম্পানিতে যোগদান করে তাহলে তার বাৎসরিক বেতন সর্বনিম্ন৪ লক্ষ টাকা থেকে শুরু হয়। পরবর্তীতে প্রমোশন অথবা কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কোম্পানি অবশ্যই বেসিক বেতন বৃদ্ধি করে। একটি হিসেব অনুযায়ী দেখা গেছে একজন এন্ট্রি লেভেলের ফ্যাশন ডিজাইনার যদি বছরে ৪ লক্ষ টাকা ইনকাম করে।

সেক্ষেত্রে একজন সিনিয়র ফ্যাশন ডিজাইনার বছরে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ইনকাম করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিতে এবং ব্যবসা ও আর্টের ভিন্নতার খাতিরে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফ্যাশান ডিজাইনাররা বছরে ৫০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত বছরে আয় করে। তাই বলা বাহুল্য যে ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার খরচ একটু বেশি হলেও কাজে যোগদান করার পর সেই খরচ নিমিষেই তুলে আনা সম্ভব। তাই কেউ যদি তার ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশ করার জন্য ফ্যাশন ডিজাইন সাবজেক্ট পছন্দ করে তাহলে অবশ্যই সেটি একটি ভালো উদ্যোগ বলে বিবেচিত হবে।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা আজকের এই আর্টিকেলে ক্যারিয়ার সম্বন্ধে যারা সচেতন তাদের জন্য ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা ফ্যাশন ডিজাইন কি এবং ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার খরচ কেমন হতে পারে সে বিষয়ে অবগত হতে পেরেছেন। আপনাদেরকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য। 

যেহেতু আজকের এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তুটি একজন স্টুডেন্টের ক্যারিয়ার পছন্দের খাতিরে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ন। তাই আপনার বন্ধুবান্ধব অথবা আত্মীয় স্বজন যারা ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করে, তাদেরকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করার জন্য একটি শেয়ার করাই যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url