ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার

ডিজিটাল মার্কেটিং কি এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা এবং জানার আগ্রহের শেষ নেই। কেননা বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং জগতে কেউ যদি প্রবেশ করতে চায় তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কথা অবশ্যই শুনে থাকবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অফলাইনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনলাইনে ব্যবসার পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। আর অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা বা বিক্রি নিশ্চিত করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু আপনি যদি নিজেকে একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে গড়ে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং কি এ বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অবগত হতে হবে। 
ডিজিটাল-মার্কেটিং-কি
তাই চলুন আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে উক্ত বিষয়টি বাদে আরো যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানবো সেগুলো হল ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপসমূহ পর্যালোচনা। সুতরাং ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করতে হলে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং কি বিষয়টি জানতে হবে এবং জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত সকলেই থাকবেন।
পোস্ট সূচিপত্র

ডিজিটাল মার্কেটিং কি

“ডিজিটাল মার্কেটিং” হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যেখানে ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কনজিউমারের কাছে পণ্যের বিষয়টি প্রচারণা করার একটি মাধ্যম। মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের নিকট সঠিক সময়ে এবং সঠিক পণ্যগুলো পৌঁছে দেওয়া পাশাপাশি পণ্যের গুণগত মানের তথ্য নিশ্চিত করা। একটি বিষয় লক্ষ্য করলে দেখবেন আমরা দিনের অধিক সময় সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইনে সময় ব্যয় করে থাকি। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে অডিয়েন্সের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। 
এজন্য বিশাল পরিমাণ অডিয়েন্সের সম্মুখে ব্যবসায়ীদের সকল ধরনের পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার সহজ এবং কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং কে সহজ ভাবে বলতে গেলে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর একটি দিক হিসেবে উল্লেখ করা হয় যেটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস, সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেটের সাথে সম্পূর্ণভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে। যারা ফ্রিল্যান্সিং জগতে এসে ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তাদেরকে ডিজিটাল মার্কেটিং কি এ বিষয়টি জানার গুরুত্ব অপরিসীম। 

তবে শুধুমাত্র সংজ্ঞা হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টি জানা যাবে না। ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে জ্ঞান আহরণ করতে হলে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধার সমূহ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। যারা ফ্রিল্যান্সিং জগতে একদম ফ্রেশার বা বিগিনার তাদেরকে অনুরোধ করব অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলের প্রত্যেকটি বিষয় মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আমরা আজকে এখানে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে একটি সঠিক গাইডলাইন বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব।

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার

আমরা ইতিমধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং কি এ বিষয়টি খুব ভালোভাবে জানতে পেরেছি। আমাদের আজকের টাইটেল অনুযায়ী ডিজিটাল মার্কেটিং এর সঙ্গে এর প্রকারভেদ অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার এই বিষয়ে বিভিদ আলোচনা করা হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং শুধু একটি সেক্টর নয় এর পরিধি যে কত বড় সেটি কোনোভাবেই বলা সম্ভব নয়। অনলাইনে ব্যবসার মাধ্যম এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ বিভিন্নভাবে অনুধাবন করা সম্ভব। 

তবে পাঠকগণ আপনাদের সুবিধার্থে অর্থাৎ আপনারা যেন ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার এ বিষয়টি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারেন এজন্য ডিজিটাল মার্কেটিংকে আমরা ২ ভাগে ভাগ করেছি। ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ অনলাইন মার্কেটিং (Online Marketing) এবং অফলাইন মার্কেটিং (Offline Marketing) এই দুই অর্থবিশেষে পরিচালিত হয়ে থাকে।

অনলাইন মার্কেটিং(Online Marketing)

  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)
  • পে-পার-ক্লিক অ্যাডভার্টাইজিং (PPC AD)
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
  • ই-মেইল মার্কেটিং (Email Marketing)

অফলাইন মার্কেটিং (Offline Marketing)

  • টেলিভিশন মার্কেটিং
  • রেডিও মার্কেটিং
  • ফোন মার্কেটিং
  • Enhance মার্কেটিং
আমরা উপরে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদের বিষয়টি উল্লেখ করেছি। যদিও আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর দুইটি বিষয়ে কথা বলেছি কিন্তু আজকে আর্টিকেলে আমরা শুধু অনলাইন মার্কেটিং সংক্রান্ত বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করব। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে শুধুমাত্র অনলাইন মার্কেটিং এর যেগুলো বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোই কাজে দিবে। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যদি ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার সে বিষয়টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পায় তাহলে সে বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া খুবই সহজ হয়ে পড়ে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপসমূহ

আমরা ইতিমধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার এ বিষয়টি আলোচনা করেছি। মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ গুলোই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপসমূহ। তবে একজন ডিজিটাল মার্কেটারের সবগুলো ধাপে এক্সপার্ট না হলেও চলে। বর্ণিত ধাপগুলো বা প্রকারভেদ এর মধ্যে যেকোনো একটি বিষয়ে যদি এক্সপার্ট বা দক্ষ হওয়া যায় তাহলে সেই সেক্টরের অনেক কাজের অর্ডার পাওয়া সম্ভব। ডিজিটাল মার্কেটিং একটি পুরো বিষয় হলেও সেখানে ইনক্লুডিং যেগুলো প্রেক্ষাপট রয়েছে সেগুলোর কাজ সব আলাদা আলাদা ভাবে বিভক্ত। 

উদাহরণস্বরূপ একজন বিজনেসম্যান যদি তার প্রোডাক্ট অনলাইনে বিক্রি করতে চায় তাহলে যেমন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটরের কাছে যেতে হবে আবার পণ্যের বিক্রি নিশ্চিত করার জন্য একজন SEO এক্সপার্ট এর কাছেও যেতে হবে। একজন SEO এক্সপার্ট On Page SEO এবং Off Page SEO সম্পর্কে সঠিক ধারণা বা এক্সপার্ট হওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়। ঠিক তেমনি একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার ফেসবুক সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে এড ক্যাম্পেইন করে বিক্রি নিশ্চিত করার জন্য নিজেকে একজন “Ad Specialist” হিসেবে তৈরি করতে হয়। 

আর এ ধরনের কাজগুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার এর আওতায় যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে প্রত্যেকটির কাজ আলাদা আলাদাভাবে নিরূপণ করা হয়ে থাকে। চলুন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপসমূহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যায়।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)

সোশ্যাল মিডিয়া বিষয়টি কি আমরা সকলেই বুঝি। বর্তমানে দিনের শুরু হয় মোবাইলের স্ক্রিনে ফেসবুক স্ক্রোলিং এর মাধ্যমে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমরা সর্বপ্রথম ফেসবুকের স্ট্যাটাসগুলো চেক করি। ফেসবুকের মত আরো অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া গুলো হল টুইটার হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক উল্লেখযোগ্য। মূলত একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেট আর হতে হলে এই সকল প্লাটফর্মে এড ক্যাম্পেইন করার মাধ্যমে প্রোডাক্ট সেল করতে হয়। এড ক্যাম্পেইন রান করার জন্য অবশ্যই মার্কেটকে ক্যাম্পেইন রানিং করার জন্য “Ad Manager” সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে হয়।

একটি পারফেক্ট এড রান করার মাধ্যমে বিক্রির পরিমাণ অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। অ্যাড রানিং করার জন্য আরো যে বিষয়গুলো একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেট আর কে জানতে হয় সেগুলো হল Targeted Audience, Location, Audience Category,CPC, Bid, Budget, Tag সহ আরো অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো খুব ভালোভাবে জানলে এবং প্র্যাকটিস করলে নিজেকে একজন সেই লেভেলের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটটার হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)

ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার এই বিষয়টিতে SEO কে আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ে রেখেছি। এর কারণ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিন যেমন গুগল একটি সার্চ বার, যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ার তুলনায় অডিয়েন্স এর সংখ্যা তুলনামূলক অবশ্যই কম। আর এজন্যই বর্তমানে যারা অনলাইনে ব্যবসা করছে তারা ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে যারা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নিয়ে কাজ করে তাদেরকে বেশি বেশি হায়ার করার চেষ্টা করছে। 

তবে সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি একজন SEO এক্সপার্ট এর ডিমান্ড সব সময় বেশি থাকবে কারণ সোশ্যাল মিডিয়াতে ফেসবুক পেজ এবং কিছু ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট দিয়ে অ্যাড ক্যাম্পেইন রানিং করা হয়। মূলত সেগুলো পেইড অ্যাড হয়ে থাকে। কিন্তু কোন বিজনেসম্যান যদি তার নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সেখানে একজন SEO এক্সপার্টদের দ্বারা ভালোভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে তার ওয়েবসাইটে ইনক্লুড করতে পারে। তাহলে একসময় দেখা যাবে তার ওয়েবসাইটটি গুগলে র‍্যাঙ্ক করেছে এবং ভালো একটি পজিশনে আছে। 

আর যদি গুগলের র‍্যাঙ্ক করে তাহলে বুঝতেই পারছেন ওই বিজনেসম্যানের সেল কত হারে বৃদ্ধি পাবে। আর এ সকল কাজ একজন SEO এক্সপার্ট এর দ্বারায় সম্ভব। একজন SEO এসইও এক্সপার্ট হতে হলে অবশ্যই On Page SEO, Off Page SEO এবং Technical SEO সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখতে হয়। তবে এই তিনটি বিষয়ের একটি নিয়েও যদি কেউ কাজ করে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে বিভিন্ন কাজের অর্ডার পাওয়া সম্ভব।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM) সাধারণত SEO এর অনুরূপ বলা যেতে পারে। তবে এখানে ভিন্নতা হল SEO করে ওয়েবসাইটটিকে গুগলের ভালো পজিশনে নিয়ে আসতে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন হয়। ধারণা করা হয় একটি ওয়েবসাইটকে রেংক করাতে কমপক্ষে ৭ মাস পর্যন্ত সময় লাগে। অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা অর্গানিক পদ্ধতিতে বিক্রি না করে গুগলের মাধ্যমে ইমিডিয়েট সরাসরি বিক্রি করতে চান। আর কোনরকম সময়ের অপেক্ষা না করে যদি গুগলে অ্যাড রান করে বিক্রি করা যায় তাহলে খারাপ কি। 

এজন্য সেই সকল অনলাইন ব্যবসায়ী ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে সহজ হিসেবে করা যায় এ বিষয়টি মাথায় রেখে একজন সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটার কে হায়ার করে। মূলত এ ধরনের ডিজিটাল মার্কেটাররা গুগলে এড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে। গুগলেও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মত Targeted Audience, Location, Audience Category, CPC, Bid, Budget, Tag সহ আরো অন্যান্য সকল ধরনের বিষয় সম্পর্কে জানতে হয়, তবেই কেবলমাত্র একটি পারফেক্ট অ্যাড রান করা সম্ভব। 

উদাহরণস্বরূপ আমরা যদি গুগলে কোন কিছু ক্রয় করতে বা জানতে সার্চ করি সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের নিচের অংশে ছোট্ট করে “ad” কথাটি লেখা থাকে এটি মূলত সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM) যা একজন ডিজিটাল মার্কেটার এড রানিং করার মাধ্যমে পরিচালনা করছে।

কন্টেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)

আমরা অনেকেই কনটেন্ট মার্কেটিং বিষয়টিকে ব্লগ পোস্টের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলি। তবে কনটেন্ট মার্কেটিং ব্লগ পোস্টের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে এক নয়। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ করে ফেসবুকে রিলস এবং youtube এ শর্ট ভিডিওতে বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ দেখে থাকি। আর এই রিভিউ যারা করে তাদেরকে কনটেন্ট মার্কেটার এবং এই পুরো বিষয়টিকে বলা হয় কন্টেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)। তবে কনটেন্ট মার্কেটিং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে তুলনা করা যেতে পারে। 
একজন কোম্পানির হোলসেলার যদি কনটেন্ট মার্কেটরকে তার প্রোডাক্টটি বিক্রি করতে বলে তাহলে সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন উক্ত মার্কেটারকে প্রদান করতে হয়। একজন কনটেন্ট মার্কেটার হতে হলে অবশ্যই প্রোডাক্ট এবং মার্কেট সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা রাখতে হয়। পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার এ বিষয়টি জানার মাধ্যমে ওই সংক্রান্ত পারিপার্শ্বিক সকল বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে ধারণা রাখতে হয়। 

যেমন কনটেন্ট মার্কেটারকে প্রোডাক্ট সম্পর্কে জ্ঞান রাখার পাশাপাশি প্রোডাক্টের ভিডিও শুট, ভিডিও এডিটিং, উপস্থাপন, ইউটিউব এবং ফেসবুকের ফলোয়ার সকল বিষয়ের উপর নির্ভরতা রেখেই প্রোডাক্ট সেল নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

পে-পার-ক্লিক অ্যাডভার্টাইজিং (PPC AD)

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে পে-পার-ক্লিক অ্যাডভার্টাইজিং (PPC AD) অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এবং কার্যকরী একটি পদ্ধতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে যে সকল বিজনেসম্যান যাদের একটি ওয়েবসাইট রয়েছে, তারা যদি ওয়েবসাইটে ট্রাফিক জেনারেট করতে চায় সেক্ষেত্রে এ ধরনের মার্কেটিং করার প্রয়োজন পড়ে। PPC AD মূলত প্রত্যেকটি ক্লিক অনুযায়ী ট্রাফিক জেনারেটর হিসেবে কাজ করে। PPC এর মূল অর্থ হলো “Pay Per Click”। 

অর্থাৎ এই পদ্ধতি অনুযায়ী যদি অ্যাড ক্যাম্পেন রানিং করে মার্কেটিং এবং ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ানোর কথা চিন্তা করা হয় তাহলে প্রত্যেকটি ক্লিকে ওই ব্যবসায়ীকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা গুনতে হবে। বিশেষ করে যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে তারাও পে-পার-ক্লিক অ্যাডভার্টাইজিং (PPC AD) এর উপর ভরসা রেখে ভালো একটি মুনাফা ক্রিয়েট করতে পারে। এ ধরনের অ্যাডভার্টাইজমেন্ট পরিচালনা করার জন্য মার্কেটারদের CPC, Bid, Budget সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা থাকার পাশাপাশি এক্সপার্ট লেভেলের হতে হয়। 

কেননা PPC AD মূলত একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। তাই একজন মার্কেটার যদি CPC, Bid, Budget সম্পর্কে না জানে তাহলে অনেক টাকা লোকশান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)

অ্যাফিলিয়েট বিষয়টি শুনলে সর্বপ্রথম আপনাদের মনে কমিশন এর প্রশ্নটা চলে আসে। হ্যাঁ বিষয়টি ঠিকই ধরেছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন একটি মার্কেটিং পদ্ধতি যেখানে নিজের কোন পণ্য না থাকলেও অন্য আরেকজনের পন্য সেল করার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন লাভ করা সম্ভব হয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত প্যাসিভ ইনকাম হিসেবে উল্লেখ করা যায়। প্যাসিভ ইনকাম হল আপনি সবসময় একটিভ থাকবেন না কিন্তু নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন পোস্ট করে রেখেছেন। 

পরবর্তীতে যে সকল ব্যক্তি আপনার প্রদত্ত বিজ্ঞাপন বা লিংক থেকে প্রোডাক্ট ক্রয় করবে সেখান থেকে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেতেই থাকবেন। ধরুন একজন লোকের যেকোনো ধরনের একটি প্রোডাক্টের ব্যবসা আছে। এখন সে চাচ্ছে তার প্রোডাক্টগুলো অন্য কেউ যেকোনো উপায়ে বিক্রি করুক এবং তার পরিবর্তে ওই লোকটি মার্কেটার কে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দেবে। আর এই কমিশনের বিষয়টি নিয়ে যারা কাজ করে থাকে তারাই মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে পরিচিত। 

আমরা amazon এর নাম কমবেশি সকলেই শুনেছি। মূলত এমাজন থেকে কেউ যদি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম গ্রহণ করে এবং সেই লিংকের মাধ্যমে কেউ যদি প্রোডাক্ট ক্রয় করে সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ হতে একটি নির্দিষ্ট কমিশন প্রাপ্ত হয়। তাই কেউ যদি ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার এই বিষয়টিতে এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চায় তাহলে অবশ্যই সেটি একটি ভালো উদ্যোগ।

ই-মেইল মার্কেটিং (Email Marketing)

আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজার মার্কেটিং এর ধাপসমূহ বিষয়টিতে সর্বশেষে ইমেইল মার্কেটিং এর কথা উল্লেখ করছি। ইমেইল মার্কেটিং মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরো একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে উল্লেখ করা যায়। ইমেইল মার্কেটিং কে যদি সহজ ভাবে বলা হয় তাহলে ই-মেইলের মাধ্যমে যেসকল মার্কেটিং প্রচার, প্রচারণা এবং পরিচালনা করা হয়ে থাকে সেটি মূলত ইমেইল মার্কেটিং। আমরা যখন বিভিন্ন সময় ওয়েবসাইটে লগইন বা সাইনআপ করার জন্য আমাদের ইমেইল প্রদান করি তখন ওয়েবসাইটের কর্তৃপক্ষ ইমেইল গুলো কালেক্ট করে রাখে। 

আর এই জমা করার উদ্দেশ্য হলো পরবর্তীতে তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে প্রচারণার জন্য ইমেইলগুলো যেন ব্যবহার করা যায়। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন আপনার যদি কোন একটি প্রফেশনাল মানের ইমেইল থাকে এবং আপনি বিভিন্ন জায়গায় সেই ইমেইল দিয়ে লগইন করেছেন। তাহলে মাঝে মাঝেই বিভিন্ন প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস বিষয়ে আপনার ইমেইলে মেইল আসতে থাকবে। আর এই বিষয়টি করে থাকে সাধারণত ইমেইল মার্কেটাররা। যদিও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইমেইল চেক করার প্রবণতা খুবই কম। তবে বাংলাদেশ ব্যতীত ফরেন কান্ট্রি গুলোতে তারা প্রতিনিয়ত ইমেইল চেক করে। 

যেমন আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠেই মেসেঞ্জার, whatsapp এর মেসেজগুলো চেক করি। ঠিক তেমনি বাইরের দেশের লোক তারা সকালে ঘুম থেকে উঠেই তাদের ইমেইল গুলো চেক করে। তাই কেউ যদি ডিজিটাল মার্কেটিং কি শিখা লাগে এই প্রশ্ন অনুযায়ী ইমেইল মার্কেটিং এর কাজ শিখে তাহলে মার্কেটপ্লেস থেকে অনেক কাজের অর্ডার পাওয়া সম্ভব।

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমান সময়ে অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেহেতু ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার প্রচার-প্রচারণা করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটার হায়ার করে থাকেন। সেহেতু কেউ যদি ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে স্কিল ডেভলপ করতে পারে তাহলে কাজের সুযোগ পাওয়ার অপরচুনিটি বেড়ে যায়। অনলাইন ব্যতীত যারা ফিজিক্যালি বিভিন্ন পণ্য ফেল করেন তাদের ক্ষেত্রে সকলের কাছে গিয়ে গিয়ে অন্যের বিজ্ঞাপন ছড়ানোর বিষয়টি জটিল এবং কষ্টকর। 
Digital-marketing
কিন্তু এই বিষয়টি অনলাইনে একজন ডিজিটাল মার্কেটার নিমিষেই করে ফেলতে পারে। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন ভালো গাইডার বা মেন্টরের শরণাপন্ন হতে হয়। চলুন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন এ বিষয়টি পয়েন্ট আকারে জেনে নেওয়া যাক।
  • যেহেতু প্রতিনিয়ত প্রত্যেকটি দেশ আপডেট হচ্ছে সে ক্ষেত্রে মার্কেটিং এর ধরন বদলানোর পাশাপাশি বিষয়গুলো ডিজিটালাইজড হয়েছে। অনলাইনে পণ্যের বিজ্ঞাপন গুলো প্রচার এবং বিক্রি নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই একজন ডিজিটাল মার্কেটরের প্রয়োজন পড়বে।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বেশি স্পেসিফিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যে সকল অডিয়েন্স শুধু ও নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট পেতে চাচ্ছেন তাদের কাছে খুব সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রোডাক্টের তথ্যগুলো পৌঁছানো সম্ভব হয়।
  • পূর্বের প্রচলিত পদ্ধতি অনুসারে প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে প্রিন্টার ফোন কমিউনিকেশন ফিজিক্যাল মার্কেটিং ব্যবহার করা হতো যা খুবই কষ্টসাধ্য এবং সময়ের ব্যাপার। কিন্তু বর্তমানে একজন ডিজিটাল মার্কেটের মাধ্যমে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারণা এবং বিক্রি নিশ্চিত করা বিষয়টি খুব সহজেই করা যাচ্ছে।
  • একজন ডিজিটাল মার্কেট আর যদি ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার এই বিষয়টি সম্বন্ধে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে পারে তাহলে খুব সহজেই অডিয়েন্স এর কাছে রিচ করতে পারে এবং ব্যবসায়ীর পণ্যের প্রচারণার পাশাপাশি বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
  • পূর্বে যে ধরনের মার্কেটিং স্ট্রাটেজি অবলোকন করা হতো সেগুলোতে বিপুল পরিমাণে অর্থ খরচ হতো। কিন্তু অনলাইন প্লাটফর্মে একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটরের দ্বারা যদি অ্যাড ক্যাম্পেইন থেকে শুরু করে SEO সহ সকল ধরনের কাজ করানো হয় তাহলে খুবই কম মূল্যে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার-প্রচারণা এবং বিক্রি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অডিয়েন্স কোন পণ্য বা সার্ভিস বিষয়ে ইন্টারেস্টেড সেটি জেনে উক্ত অডিয়েন্সের সামনে পণ্য এবং সার্ভিসের বিজ্ঞাপন গুলো প্রদর্শন করা সম্ভব হয় যা ফিজিকাল মার্কেটিং এর চাইতে অনেক বেশি কার্যকরী।
  • একজন ডিজিটাল মার্কেট আর খুব ভালোভাবে যদি মার্কেটিং স্কিল গুলো ডেভলপ করতে পারে সে ক্ষেত্রে পণ্যের সঠিক অডিয়েন্স বা টার্গেটেড অডিয়েন্স এর কাছে রিচ করে। যদি সঠিক অডিয়েন্স এর কাছে এড গুলো রিচ হয় তাহলে উক্ত পণ্যটির বিক্রি হওয়া নিশ্চিত অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়

আমরা ইতিমধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার এ বিষয়টি সহ এর ধাপগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছি। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপসমূহ অনুযায়ী যদি কেউ একটি বিষয়ে স্কিল ডেভেলপমেন্ট বা পারদর্শী হতে পারে তাহলে মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেসের বাহিরে ব্যাপক পরিমাণ অর্থ ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায় এ বিষয়টি সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। একজন ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে পরিচালনা করা হবে এবং কি পরিমানে কাজের অর্ডার আসবে সেটির উপর ডিজিটাল মার্কেটিং এর আয় নির্ভর করে। 
তবে তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের একজন ডিজিটাল মার্কেটার এর মাসিক বেতন প্রায় ৪৫০০ ডলারের কাছাকাছি হয়। যা বাংলাদেশের টাকায় কনভার্ট করলে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি আসে। এমন কি আমাদের পাশের দেশ ইন্ডিয়াতে একজন ডিজিটাল মার্কেট আর গড়ে ২০ হাজার রুপির মত মাসে ইনকাম করে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররাও ডিজিটাল মার্কেটিং করে ভালো টাকা ইনকাম করছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা অনেকে রয়েছেন যারা ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে ৩০০ থেকে ৪০০ ডলার ইজিলি ইনকাম করছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার

ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় সম্পর্কে যদি আপনি ধারণা পেয়ে থাকেন তাহলে বুঝতেই পারছেন ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার কেমন হবে। বলা বাহুল্য যে ক্যারিয়ার হিসেবে যদি ডিজিটাল মার্কেটিং পছন্দ করা হয় তাহলে নিশ্চয়ই সেটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত বলে বিবেচনা করা যায়। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা এবং প্রসার বেড়ে চলেছে। আরো একটি বিষয় সামনে এসেছে সেটি হল বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়া উচিত। 

তবে ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার এ বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। আমরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পেরেছি ডিজিটাল মার্কেটিং একটি সেক্টর হলেও এর আওতায় অনেকগুলো ধাপ বা ধরন রয়েছে। একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে অবশ্যই উক্ত ধাপগুলোর যেকোনো একটিতে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করা প্রয়োজন। ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টিকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়ার আরো একটি বিষয় হল। 

বর্তমানে সকল ব্যবসায়ীগুলো তাদের পণ্য প্রচার প্রচারণা এবং বিক্রির জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো বেছে নিচ্ছেন। যা সামনের দিনগুলোতে আরো ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং যে সকল ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে যাচ্ছেন তাদেরকে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি বা একজন ডিজিটাল মার্কেটর কে সরাসরি হায়ার করতে হয়। তাই একটি বিষয় নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে যে বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে একজন ডিজিটাল মার্কেটারের চাহিদা সবসময় বহাল থাকবে।

লেখকের শেষকথা

প্রিয় বন্ধুগণ ফ্রিল্যান্সিং এর একটি অন্যতম সেক্টর হল ডিজিটাল মার্কেটিং। সে বিষয়টিকে মাথায় রেখে আমরা আজকে এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু ডিজিটাল মার্কেটিং কি সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত ভাবে জানানোর চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার এবং এর ধাপসমূহ আমরা প্রত্যেকটি বিষয়ে বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করেছি। এরপরেও যদি আপনাদের ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে কোনরকম প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। 

আমরা সবসময় চেষ্টা করি আমাদের ওয়েবসাইটে গুরুত্ব এবং তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেলগুলো পাবলিশ করার জন্য। আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসতে পারেন। পাশাপাশি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি আপনার বন্ধুবান্ধবদের উদ্দেশ্যে শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url