কন্টেন্ট মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং প্রয়োজনীয়তা

ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কন্টেন্ট মার্কেটিং বা রাইটিং করে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন এরকম লোকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হলো। এই মার্কেটিং পদ্ধতিটি অবলম্বন করে পণ্য এবং সার্ভিসের প্রচার প্রচারণার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি কার্যকর। আর এজন্য একজন ডিজিটাল মার্কেটারের কন্টেন্ট রাইটিং একটি অন্যতম পেশা হিসেবে উল্লেখিত হচ্ছে। চলুন তাহলে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কন্টেন্ট বিষয়টিতে কোন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন তা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক। 
ডিজিটাল-মার্কেটিং-নিয়ে-কন্টেন্ট
উক্ত বিষয়টি বাদে আরো যে সকল বিষয়ের সম্পর্কে জানতে পারবেন সেগুলো হল কন্টেন্ট মার্কেটিং কি এবং কন্টেন্ট মার্কেটিং কত প্রকার এই সম্পর্কে। সুতরাং কন্টেন্ট মার্কেটিং এর গুরুত্ব এবং ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কন্টেন্ট পাবলিশ করে কিভাবে একজন ডিজিটাল মার্কেটার পণ্যের সেল বৃদ্ধি করতে পারে, এ সকল বিষয়ে এ টু জেড ধারণা পেতে অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্র

কন্টেন্ট মার্কেটিং কি

কন্টেন্ট মার্কেটিং মূলত একটি মার্কেটিং পদ্ধতি যেখানে মূল্যবান, বস্তুনিষ্ঠ এবং ধারাবাহিক উন্নত মানের তথ্য সংযুক্ত করা হয়ে থাকে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ কন্টেন্ট মার্কেটিং এর জন্য করা হয়ে থাকে যেন অডিয়েন্স সকল প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারে এবং সেই অনুযায়ী আকৃষ্ট হতে পারে। এই প্রক্রিয়াটিকে ব্যবহার করে অডিয়েন্সকে লাভজনক কাস্টমারের রূপান্তর করাই হচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর একমাত্র উদ্দেশ্য। 
একজন ডিজিটাল মার্কেটরের কন্টেন মার্কেটিং সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেওয়া খুবই জরুরী একটি বিষয়। কেননা পরবর্তীতে তার প্রফেশনাল লাইফে কন্টেন মার্কেটিং বারবার সামনে চলে আসবে। আমরা গুগলে যখন কোন কিছু লিখে সার্চ করি অথবা সোশ্যাল মিডিয়ার হোমপেজে বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ সংক্রান্ত আর্টিকেল চলে আসে। উদাহরণস্বরূপ আপনি ফেসবুকে স্ক্রোল করার সময় একটি স্যামসাং মোবাইলের আর্টিকেল অথবা বিজ্ঞাপন চলে আসলো। 

সেখানে উক্ত মোবাইলটি সম্পর্কে বিভিন্ন পজেটিভ রিভিউ দেওয়া রয়েছে তা আপনার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে। আপনার সামনে যখন আর্টিকেলটি সুসজ্জিত আকারে আসে তখন কৌতূহলবশত আপনি সে বিজ্ঞাপনটিতে ক্লিক করে দেখেন ভিতরে বিষয়বস্তু কি। আর এ ধরনের কৌতুহল সৃষ্টি করাই হলো কন্টেন্ট মার্কেটিং এর একমাত্র উদ্দেশ্য। বিশ্বে যতগুলো মার্কেটিং পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে কন্টেন্ট মার্কেটিং হল সবচেয়ে স্ট্রাটেজি সম্পন্ন স্মার্ট একটি পদ্ধতি। 

ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কন্টেন্ট মার্কেটিং কি এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে একজন ডিজিটাল মার্কেটারের জানা খুবই জরুরী। সর্বপ্রথম ১৭৩২ সালে "বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন" কন্টেন মার্কেটিং চালু করেছিল। তার একটি বই প্রকাশিত হয়েছিল যার নাম ছিল "Poor Richard's Almanack"। বইটিতে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর খুব ভালো একটি ধারণা প্রদান করা হয়েছে। আর এজন্যই "বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন" কে কন্টেন মার্কেটিং এর জনক বলা হয়ে থাকে।

কন্টেন্ট মার্কেটিং কত প্রকার

আমরা সাধারণত এ ধরনের কন্টেন্ট রাইটিং করি তা মার্কেটিং এর জন্য লেখার চেয়ে কিছুটা ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। সাধারণ কন্টেন্ট এর চাইতে মার্কেটিং এর জন্য যে সকল কন্টেন্ট লিখতে হয় সেগুলোতে বিশেষ কিছু জায়গায় পরিবর্তন করতে হয়। বিশেষ করে কন্টেন্ট কোথায় ব্যবহার করা হবে, কাদের জন্য ব্যবহৃত হবে এর উপর ভিত্তি করে কন্টেন্ট লেখার ধরন গুলো পরিবর্তন করে নিতে হয়। কন্টেন মার্কেটিং কত প্রকার হবে এটি নির্ভর করে অনেকটা আপনি কোন প্লাটফর্মে মার্কেটিং স্ট্রাটেজি এপ্লাই করবেন। 

কন্টেন্ট মার্কেটিং করার জন্য যদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা হয় সেটি এক রকমের কন্টেন্ট হবে। আবার যদি কন্টেন্টটি কোন ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করে সেখান থেকে অডিয়েন্স এর কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়, সে ক্ষেত্রে কন্টেন্ট গুলো আলাদা হয়ে থাকবে। তবে মৌলিক দিক থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কন্টেন্ট সাধারণত ৪ প্রকার হয়ে থাকে। নিচে সেই ৪ ধরনের কন্টেন্ট গুলো দেয়া হলো।
  • অডিও কন্টেন্ট
  • ভিডিও কন্টেন্ট
  • টেক্সট কন্টেন্ট
  • ইনফোগ্রাফিক কন্টেন্ট

অডিও কন্টেন্ট

ভয়েস অথবা শব্দ ব্যবহার করে এ ধরনের অডিও কন্টেন্ট তৈরি করা হয়ে থাকে। সেটি হতে পারে অনলাইন রেডিও বা অনলাইন পডকাস্ট ভিত্তিক। যদি আপনি একজন স্পষ্টভাষী এবং ভাল কন্ঠের অধিকারী হন তাহলে অডিও কন্টেন্ট লিখে অথবা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমেও অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। সাধারণত অডিও কন্টেন্ট তৈরি করার জন্য স্ক্রিপ্ট প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে অডিও কন্টেন্ট  খুব একটা  কার্যকর হিসেবে উল্লেখিত নয়। কিন্তু ভাল মানের ভয়েস অভার করা হলে অডিও কন্টেন্ট  দিয়েও খুব ভাল মার্কেটিং করা সম্ভব। আপনি যদি এ ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই ভাল উপস্থাপনা জানতে হবে।

ভিডিও কন্টেন্ট

ভিডিও কন্টেন্ট মার্কেটিং কি সেটি আর বলার অপেক্ষা অবশ্যই রাখে না। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুক অথবা ইউটিউবে ঘোরাঘুরি করলে বিভিন্ন রকম ভিডিও দেখে থাকি। এ সকল ভিডিওর মাধ্যমে তৈরিকৃত কন্টেন্টকেই ভিডিও কন্টেন্ট বলা হচ্ছে। বর্তমান সময়ে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর দুনিয়ায় ভিডিও কন্টেন্ট ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ভিডিও কন্টেন্ট গুলো সাধারণত ব্যবসায়ী কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা খুবই কার্যকর। ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও তৈরি করে সুন্দর করে এডিট করে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে প্রচার করে খুব সহজেই ব্যবসায়ীরা মুনাফা লাভ করতে পারে, একমাত্র ভিডিও কন্টেন্ট এর মাধ্যমে।

টেক্সট কন্টেন্ট

ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কন্টেন্ট মার্কেটিং কি হবে এ বিষয়টিতে টেক্সট কন্টেন্ট বহির্বিশ্বে এমনকি বাংলাদেশেও খুব জনপ্রিয়। টেক্সট কন্টেন্ট সাধারণত লেখার মাধ্যমে তৈরি করা কন্টেনকে বুঝিয়ে থাকে। যেখানে লিখিত কন্টেন্ট কে মৌলিক আকারে প্রচার করা হয়। কিছুদিন পূর্বেও কন্টেন্ট রাইটিং শুধুমাত্র টেক্সট আকারে পাবলিশ করা হলেও। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন অনলাইন ব্লগ এবং ওয়েবসাইটে টেক্সট আকারে কন্টেন্ট পাবলিশ করা একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আর এ ধরনের টেক্সট কন্টেন্ট প্রতিদিন হাজার হাজার লোক ভিজিট করছে।

ইনফোগ্রাফিক কন্টেন্ট

ইনফোগ্রাফিক কন্টেন্ট সাধারণত কন্টেন্ট রাইটিং এর আরেকটি শাখা বলা যেতে পারে। তথ্য ও চিত্রের সমন্বয়ে কোন একটি বিষয়কে খুব সহজভাবে ভিজুয়াল ইফেক্ট এর মাধ্যমে উপস্থাপন বা তৈরি করার যে পদ্ধতি সেটিকেই বলা হচ্ছে ইনফোগ্রাফিক কন্টেন্ট। এ ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করার জন্য ছবি ও লেখার সম্মিলিত রূপ প্রয়োজন পড়ে। পাশাপাশি এ ধরনের কন্টেন্ট ক্রিয়েট করার জন্য প্রয়োজন পড়ে এডিটিং সফটওয়্যার এর। বিশেষ করে Adobe Photoshop, Adobe illustrator, Canvaএ সকল সফটওয়্যার দিয়ে ইনফোগ্রাফি কন্টেন্ট তৈরি করা হয়।

কন্টেন্ট রাইটিং কেন প্রয়োজন

যারা আমাদের মত কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে কাজ করেন অর্থাৎ ব্লগিং বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত কাজ করে থাকেন তারা জানবেন কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু। আপনি এই মুহূর্তে যদি আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি পড়ে থাকেন এটিও একটি কন্টেন্ট রাইটিং এর অংশ বিশেষ। যদি আমরা ভালো মানের ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করে আমাদের ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারি এটাই মূলত কন্টেন্ট রাইটিং এ সার্থকতা হবে। 
আর এ ধরনের সার্থকতা নিয়ে আসার জন্যই প্রয়োজন কন্টেন্ট রাইটিং। কন্টেন্ট রাইটিং যদি ভাল মানের হয় তাহলে অবশ্যই পাঠক সেটি পড়ে উপকৃত হবে এবং পরবর্তীতে পুনরায় ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করার আগ্রহ প্রকাশ করবে। একজন ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কন্টেন্ট মার্কেটিং কি এবং কন্টেন্ট রাইটিং সম্পর্কে এ টু জেড ধারণা রাখতে হয়। ডিজিটাল মার্কেটার যেকোনো ধরনের মার্কেটিং কার্য সম্পাদন করার জন্য কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রয়োজন পড়বে। 

যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করেন তারাও তাদের প্রোডাক্ট রিভিউ করার জন্য কন্টেন্ট রাইটিং এর আশ্রয় গ্রহণ করেন। আসুন তাহলে এবার কনটেন রাইটিং কেন প্রয়োজন এ বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
  • কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে সহজে কাস্টমার কে রিচ করা সম্ভব হয়।
  • সঠিকভাবে কন্টেন্ট রাইটিং এবং মার্কেটিং করলে কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পায়।
  • একটি কন্টেন্ট রাইটিং এর ওপর নির্ভর করে গ্রাহকের আস্থা ও বিশ্বাস যোগ্যতা।
  • ভালো কন্টেন্ট তৈরি এবং মার্কেটিং করার মাধ্যমে গ্রাহকের সাথে একটি সুসম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়।
  • ভালো মানের কন্টেন্ট ক্রিয়েট ব্যবসার প্রচার প্রসারে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  • বিভিন্ন সময় ইন্টারনেটে প্রকাশিত কন্টেন্ট এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন কাস্টমার পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
  • কন্টেন্ট রাইটিং এবং মার্কেটিং এর আরো একটি বিশেষ সুবিধা হল এখানে খুব বেশি টাকা বিনিয়োগ করার প্রয়োজন পড়ে না।
  • কাস্টমারগন পণ্য ক্রয় করার আগে অনলাইনে বিস্তারিত তথ্য দেখে নেওয়ার জন্য কন্টেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম।
  • কন্টেন্ট রাইটিং এর গুণগত মান এর উপর নির্ভর করে পাঠকগণ সেই কন্টেন্ট গুলো অন্যদের কাছে শেয়ার করবে কিনা। আর এজন্যই কন্টেন্ট রাইটিং কে এত প্রয়োজন হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কন্টেন্ট

ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে অবশ্যই কন্টেন্ট রাইটিং এবং কন্টেন্ট মার্কেটিং কি এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান অর্জন করতে হয়। পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কন্টেন্ট পাবলিশ করার জন্য কি কি পন্থা অবলম্বন করা যাবে সেটিও জানা প্রয়োজন। যেহেতু কন্টেন্ট মার্কেটিং একটি সৃজনশীল কাজ হিসেবে উল্লেখিত করা হয়। এজন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং করার সময় একজন ডিজিটাল মার্কেটের উপস্থাপন এবং কন্টেন্ট রাইটিং নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর মধ্যে রাখতে হয়। 

তবে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে কন্টেন্ট রাইটিং বিষয়টি এতটাও সহজ হিসেবে নেওয়া যাবে না। লেখার ক্যাটাগরি এবং মার্কেটিং করার জন্য যে ধরনের কন্টেন্ট লিখতে হয় সেটি সম্পর্কে রিসার্চ করতে হবে। কন্টেন্ট মার্কেটিং এবং রাইটিং শিখতে হলে অবশ্যই সর্ব প্রথমে বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট এর সাথে নিজেকে পরিচিত করতে হবে। আমরা উপরে উল্লেখ করেছিলাম অডিও কন্টেন্ট, ভিডিও কন্টেন্ট, টেক্সট কন্টেন্ট, ইনফোগ্রাফিক কন্টেন্ট ইত্যাদি সকল বিষয়ে পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত ভাবে জানতে হবে।

কন্টেন্ট রিসার্চ

একজন ডিজিটাল মার্কেটারের মূল হাতিয়ার হল কন্টেন্ট। ইংরেজিতে বলা হয় "Content is King"। কন্টেন্ট মার্কেটিং এর জন্য কন্টেন্ট তৈরি করতে হলে অবশ্যই মার্কেটারের, কন্টেন্ট মার্কেটিং এর যে বিষয়গুলো রয়েছে সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা অর্জন করতে হবে। আর এ ধরনের ধারণা নিতে হলে অবশ্যই অন্যদের কন্টেন্ট প্রতিনিয়ত দেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আমি যদি আমার অভিজ্ঞতার কথা বলি সে ক্ষেত্রে সর্ব প্রথমে আমি বিভিন্ন ব্লগারের ব্লগ পোস্ট দেখতাম।

যারা খুব ভালো মানের লেখালেখি করে থাকে। অবশ্যই তাদের আমরা অনুকরণ করবো না। কিন্তু লেখার বাচনভঙ্গি এবং ক্যাটাগরি অবশ্যই আমরা ফলো করতে পারি। এজন্য ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কন্টেন্ট রিসার্চ করা খুবই জরুরী একটি বিষয়।

কন্টেন্ট নির্মাণ

কন্টেন্ট মার্কেটিং কি এ বিষয়টি যদি আপনি বুঝতে পারেন তাহলে সেই মার্কেটিং স্ট্রাটেজি ফলো করে খুব সহজেই কন্টেন্ট নির্মাণ করতে পারবেন। তবে কন্টেন্ট মার্কেটিং শেখার জন্য অবশ্যই সর্ব প্রথমে ছোট ছোট কন্টেন্ট তৈরি বা নির্মাণের চেষ্টা করতে হবে। হতে পারে সেটা কোন ছোট আর্টিকেল বা ভিডিও কন্টেন্ট। প্রথমেই কেউ কোয়ালিটি ফুল কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেনা এটা একটি স্বাভাবিক বিষয় এবং প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যেতে হবে। 

একসময় দেখা যাবে আপনি খুব সহজেই বড় কন্টেন্ট গুলোকোয়ালিটি সম্পন্ন ভাবে তৈরি করতে পারছেন। এক্ষেত্রে ফেসবুকে বিভিন্ন বিষয়ের লেখালেখি পোস্ট করতে পারেন এবং ফ্রিতে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে ব্লগ পোস্ট করতে পারবেন। এ বিষয়গুলো করার মাধ্যমে পরবর্তীতে কন্টেন্ট রাইটিং এ সময় আপনার অনেকটাই কাজে দেবে।

কন্টেন্ট তৈরি ও শেয়ার

নতুন অবস্থায় আপনার কন্টেন্ট গুলো হয়তো বা পড়ার লোক থাকবে না। এজন্য আপনাকে কন্টেন্ট তৈরি করার পাশাপাশি শেয়ার করতে হবে। আপনি আপনার কন্টেন্টগুলো আপনার ফেসবুক ওয়াল বা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারেন। এতে আপনার কন্টেন্টের কোথায় কমতি রয়েছে বা ভুল ভ্রান্তি রয়েছে তা পাঠকগণ খুব সহজেই ধরে সেখানে মন্তব্য করতে পারবে। আর এই মন্তব্যের ভিত্তিগুলো আপনি কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে যে কন্টেন্টগুলো তৈরি করবেন।

 সেখানে পরিবর্তন খুব সহজেই নিয়ে আসতে পারেন। এজন্য কন্টেন্ট তৈরি করার পাশাপাশি অবশ্যই সেগুলো শেয়ার করার চেষ্টা করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে কাজগুলো নিয়মিতভাবে করার। নিয়মিতভাবে কন্টেন মার্কেটিং এর কাজ এবং রাইটিং শিখে, প্র্যাকটিস করলে দেখা যাবে আপনি একটি সময় সফলতা অর্জন করেছেন।

এনগেজমেন্ট তৈরি

কন্টেন্ট তৈরি করার পাশাপাশি আরও একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটি হল কন্টেন্টের এনগেজমেন্ট তৈরি করা। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করার পর মূল বিষয়ে এসে দাঁড়ায় সেটির এনগেজমেন্ট নিয়ে। ধরুন আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি প্রোফাইল তৈরি করেছেন। তাহলে হুট করে কি সবাই আপনাকে ফলো করবে? উত্তরটি হবে অবশ্যই না। এজন্য আপনাকে কন্টেন্ট মার্কেটিং কি সম্পর্কে জানতে হবে এবং নিয়মিতভাবে ভালো মানের কন্টেন্ট তৈরি করে ফেসবুকের ওয়ালে পোস্ট করতে হবে। 

এভাবে দীর্ঘদিন পোস্ট করার পর এংগেজমেন্ট বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ফলোয়ারও বেড়ে যাবে। ভালো কন্টেন্ট যদি তৈরি করতে পারেন এবং সেটি পাঠকদের মাঝে পোস্ট করেন তাহলে অবশ্যই আপনার পোষ্টের এংগেজমেন্ট তৈরি হয়ে যাবে। ভালো একটি কন্টেন্ট অবশ্যই এনগেজিং হয়ে থাকে এবং মানুষ সেখানে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করে।

কন্টেন্ট মার্কেটিং এর গুরুত্ব

আপনি যদি একটি বিষয় লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখতে পাবেন বর্তমান সময়ে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজের ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। সব সময় নতুন কিছু উপায় খুঁজে বের করতে হয়। অতীতের বিজ্ঞাপন প্রচারে পদ্ধতি গুলো বর্তমান সময়ে যদি এপ্লাই করেন তাহলে খুব একটা কাজে দেবে না। কারণ অডিওটা এখন কোম্পানির সাথে সংযোগ স্থাপন করতে চাই এবং তারা তাদের প্রাপ্য মূল্য প্রদান করে ভালো পণ্য অথবা সার্ভিস গ্রহণ করতে চায়। 
আর এজন্যই কন্টেন্ট মার্কেটিং কি এবং এর প্রয়োজনীয়তা বারবার সামনে চলে আসে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং করার বিষয়টি এজন্যই প্রয়োজন, সেটি হল মার্কেটিং কৌশল একটি ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক ভূমিকা রাখে। এছাড়াও ব্যবসার ক্ষেত্রে টার্গেটেড অডিয়েন্স এর সাথে সম্পর্ক এবং সংযোগ স্থাপন করার দিকে ফোকাস করার লক্ষ্যে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। নিচে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর গুরুত্বগুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং কন্টেন্ট রাইটিং Return On Investment বৃদ্ধি করে। কন্টেন্ট মার্কেটিং বিনিয়োগের উপর রিটার্ন বৃদ্ধি করা থেকে শুরু করে ব্যবসার প্রসার বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার ক্ষেত্রে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের টার্গেটেড অডিয়েন্সের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং এর জুড়ি নেই।
  • হিসেব অনুযায়ী প্রতিযোগিতামূলক বাজারে একমাত্র কন্টেন্ট মার্কেটিং এই পদ্ধতি অবলম্বন করে পণ্যের বিক্রি করা সম্ভব হয়। সঠিক নিয়ম মেনে যদি কন্টেন্ট মার্কেটিং করা হয় তাহলে পূর্বের তুলনায় পণ্য অথবা সার্ভিসের বিক্রি অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে।
  • লিভ জেনারেশন করার ক্ষেত্রেও কন্টেন্ট মার্কেটিং সবচেয়ে এগিয়ে। লিড জেনারেশন এমন একটি প্রক্রিয়া যেখান থেকে আপনার প্রোডাক্টের সঠিক অডিয়েন্স আপনি সহজেই খুঁজে পান। আর এ ধরনের লীড তৈরি করার ক্ষেত্রে কন্টেন্ট মার্কেটিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • বর্তমান সময়ে সকলেই ব্র্যান্ড সচেতন। কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে উক্ত পণ্য সম্পর্কে সকলের কাছে একটি সঠিক মেসেজ যায় এবং একটি ব্র্যান্ড তৈরি হয়ে যায় যা ব্যবসার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আমাদের শেষ কথা

বন্ধুগণ আমরা আজকে অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত একটি আর্টিকেল যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে কন্টেন্ট মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করার জন্য কোন কোন বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে হয়। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সর্বোচ্চ তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করেছি। যদি আপনাদের কন্টেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। 

আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পাবলিশ করি। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন কাজ সম্বন্ধে আগ্রহ প্রকাশ করেন তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েব সাইটটি ভিজিট করবেন। পাশাপাশি আজকের এই পোস্ট কন্টেন্ট মার্কেটিং কি এ সম্পর্কে আপনার বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url