অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন
বর্তমান সময়ে অনলাইনে ইনকাম করার কার্যকরী উপায় হচ্ছে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন যেন বেড়েই যাচ্ছে। অনেকেই ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে যাচ্ছে। কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে সফলতা অর্জন করা যায় এই বিষয়ে অনেকেরই পর্যাপ্ত ধারণা নেই। এমন অনেক অসংখ্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা রয়েছে যারা একদমই জানে না
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য বেশ কিছু দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয় যেগুলো ছাড়া অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব না। প্রিয় পাঠক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন তোমরা যারা এই বিষয়ে ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খুঁজে বেড়াচ্ছো তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি খুবই কার্যকরী হতে পারে। কারণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য তোমাদের যে সকল দক্ষতা দরকার তোমরা আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে পেয়ে যাবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সংক্রান্ত যে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য আজকের ব্লগ পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবে সেগুলো হচ্ছে- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো, মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার উপায় কি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা কি কি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয় ইত্যাদি।
পোস্ট সূচীপত্র
ভূমিকা
মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন পণ্য প্রচার করে সেই পণ্যগুলো বিক্রির উপর কমিশন লাভ করতে পারবেন। এটি এক ধরনের পারফরম্যান্স বেসড মার্কেটিং মডেল যেখানে আপনার প্রচারের উপর ইনকাম নির্ভর করবে। যদিও মৌবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শব্দটি খুব সহজ মনে হতে পারে কিন্তু এটি তেমন সহজ নয়। যারা ভাবছো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন তাদের উদ্দেশ্যে বলছো এই সম্পর্কে তোমাকে কৌশলগত উপায় অবলম্বন করতে হবে।
সাধারণত এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ওয়েবসাইটের ট্রাফিক সোর্স, পন্য সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করা, কন্টেন্ট মার্কেটিং, কনভারসেশন অপটিমাইজেশন, এবং রিপোর্টিং সংক্রান্ত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে একটি কাজের ক্ষেত্র বেছে নিতে হবে। যে কাজের উপর আপনার পরিপূর্ণ আগ্রহ ও ধারণা রয়েছে। এতে করে আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করতে বেশ সুবিধা হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ট্রাফিক সোর্স সম্পর্কে জানতে হবে কারণ আপনার ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রাফিক না থাকলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হওয়া খুবই কঠিন হয়ে যাবে।
আপনার ওয়েবসাইটের ব্লগ পোস্টগুলোতে এসইও ফরমেট অনুযায়ী কনটেন্ট পাবলিশ করলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সফল হওয়া সম্ভব। আপনি যে পন্য সম্পর্কে সম্প্রচার করতে চাচ্ছেন সেই পনয সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা আবশ্যক। পন্যগুলো ব্যবহারের সুবিধা কি, অসুবিধা কি, পণ্যের গুণগতমান, বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে গ্রাহকদের নিকট প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরতে হবে এতে করে আপনি পন্য সম্পর্কে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফল হবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি
প্রিয় পাঠক কিছুক্ষণ পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন। এখন তোমাদের সাথে শেয়ার করব অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এমন এক ধরনের পারফরম্যান্স বেসড মার্কেটিং মডেল যেখানে একজন অ্যাফিলিয়েট নির্দিষ্ট পণ্যসেবার তথ্যগুলো গ্রাহকদের নিকট প্রচার করে থাকে। এতে করে গ্রাহকরা তাদের পছন্দমত পণ্য কেনার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং যেই প্রতিষ্ঠানের পন্য সেবার ওপর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হচ্ছে সেই প্রতিষ্ঠানও এফিলিয়েট দ্বারা লাভবান হয়।
প্রতিটি পণ্যেয় বিক্রয়ের উপর ভিত্তি করে অ্যাফিলিয়েট (ব্যক্তিগণ) কমিশন লাভ করবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ভালো একটি প্লাটফর্ম প্রয়োজন। বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেএে সোশ্যাল মিডিয়ার চেয়ে ভাল কোন প্ল্যাটফর্ম নেই। ফেসবুক, instagram, twitter, youtube, টিকটক এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
প্রিয় ভাই বোনেরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন। তোমরা যারা ভাবছো মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব তাদের জন্য আজকে এমন কয়েকটি কৌশল নিয়ে আসলাম যে কৌশল গুলো ধাপে ধাপে অবলম্বন করলে তোমরা মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার উপায় শিখে যাবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার প্রথম ধাপ হচ্ছে নির্দিষ্ট একটি ক্ষেত্র নির্বাচন করা। যে ধরনের কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ ও জ্ঞান রয়েছে যেমন- ফিটনেস, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য, ভ্রমণ, ইত্যাদি পছন্দ মত যে কোনো একটি বিষয় নির্বাচন করতে হবে।
যে বিষয়ের উপর আপনার গভীর জ্ঞান রয়েছে আপনি যদি সেই বিষয়ে কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং এটি আপনার দীর্ঘমেয়াদি পেশায় পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য এমন কিছু প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুন যে প্লাটফর্ম গুলোতে গ্রাহক সংখ্যা খুবই বেশি। যেমন- বর্তমানে ফেসবুক, ইউটিউব, twitter, instagram, tiktok এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে কোটি কোটি মানুষের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনি যদি ইউটিউব/ ফেসবুকে চ্যানেল তৈরি করতে পারেন।
এর ফলে আপনার facebook ও youtube প্ল্যাটফর্ম গুলোতে দর্শকদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা আরো সহজ হয়ে উঠবে। বিভিন্ন ধরনের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে নতুন নতুন ধারণা লাভ করতে পারবেন। বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করার বেশ কিছু জনপ্রিয় প্রোগ্রাম রয়েছে সেগুলো হলো- (Amazon Associates, ShareASale, CJ Affiliate)। মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ টিপস হচ্ছে গুণগত মানের কন্টেন্ট তৈরি করা। সেই কন্টেন্ট ভিডিও হতে পারে/ অডিও হতে পারে।
তবে কন্টেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে গ্রাহকদের চাহিদার উপর অবশ্যই নজর রাখতে হবে। কনটেন্ট গুলো তৈরি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সত্যতা বজায় রাখতে হবে এবং এমন কিছু মূল্যবান তথ্য শেয়ার করতে হবে যাতে গ্রাহকরা আপনার প্রতিটি কন্টেন্ট এ ভিজিট করে লাভবান হতে পারে। কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কৌশল প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার ক্ষেত্রে কনটেন্ট ট্রাকিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ট্রাকিং করার জন্য বর্তমানে অনলাইনে টুলস রয়েছে যে টুলগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোন কনটেন্টটি বেশি রাঙ্ক করছে এবং
যে কনটেন্ট গুলো কম রাঙ্ক করছে সেগুলো কোন কৌশল অবলম্বন করে উচ্চ রাঙ্কে আনা যায়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জার্নি শুরু দিকে সহজ হলেও এতে সফল হওয়া খুবই কঠিন একটি বিষয়। যদি আপনি কঠোর পরিশ্রম ও কৌশলগত পরিকল্পনা অবলম্বন করতে পারেন এবং ধৈর্যের সাথে কাজ করে যেতে পারেন তাহলে অবশ্যই একদিন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফল হতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
প্রিয় পাঠকবৃন্দ এতক্ষণ যাবত পোস্টটি পড়ে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন আশা করি তোমরা কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছো। মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে সেগুলো হলো-মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ফ্লেক্সিবিলিটি। এতে আপনি যেকোনো সময় যে কোনো স্থানে মোবাইল বহন করতে পারবেন এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রচারণার কাজটিও সহজে করতে পারবেন। এর জন্য শুধু আপনার মোবাইলে ইন্টারনেট থাকাই যথেষ্ট।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কম্পিউটার বা ল্যাপটপের তেমন প্রয়োজন হয় না। যার কারণে আপনি মোবাইল দিয়ে আপনার স্বাধীন মত কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার ফলে খরচ অনেকটা কম হয়। কারণ বর্তমানে মোবাইলের চেয়ে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের মূল্য খুবই বেশি। এছাড়াও ল্যাপটপ/ কম্পিউটার কেনার সাথে বেশ কিছু আলাদা ডিভাইস কেনার প্রয়োজন হয় যেটি ছাড়া ল্যাপটপ/কম্পিউটার ব্যবহার করা যায় না। তাই তুলনা করতে গেলে কম্পিউটারের চেয়ে মোবাইলের মাধ্যমে কম খরচে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা উওম।
মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে যে কোনো সময় ভিডিও রিলেটেড কনটেন্ট দ্রুত তৈরি করা যায়। এর জন্য আপনাকে একটু ভালো মানের স্মার্টফোনের ক্যামেরা থাকতে হবে সাথে আপনি এডিটিং অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করে নিতে পারেন। এতে করে দ্রুত এবং সহজেই ভিডিও রিলেটেড কনটেন্ট তৈরি করে আপলোড করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা
বর্তমানে অনলাইনে ইনকাম করার যতগুলো পদ্ধতি আছে তার মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অন্যতম। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য সেবা গুলো গ্রাহকদের নিকট প্রচার করার মাধ্যমে কমিশন লাভ করতে পারবেন। আপনি যদি এই কাজটিতে অনেক বেশি দক্ষ হয়ে পড়েন তাহলে সময়ের পরিবর্তনের সাথে আপনার স্যালারি বেড়ে যাবে। যেটিআপনাকে আর্থিকভাবে অনেকটা স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে যে ধরনের সুবিধা গুলো ভোগ করা যায় তা নিম্নে দেওয়া হলো:
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি পেশা যেখানে আপনার কোনো ধরনের অর্থ বিনিয়োগ করার প্রয়োজন নেই। যদি আপনি ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট তৈরি করতে চান তাহলে কিছু টাকা খরচ করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে ম্যাক্সিমাম এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার ক্ষেত্রে তেমন বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি পেশা যেখানে ঝুঁকির পরিমাণ খুবই কম। কারণ আপনি যে ধরনের পণ্য বা সেবা প্রচার করবেন সেটি আপনার নিজের নয়। যেহেতু আপনি অন্য কারো কোম্পানির পণ্য প্রচার করছেন তাই পণ্য সম্পর্কিত সমস্ত দায়িত্ব ও দায়ভার কোম্পানির থাকবে।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে সারা বিশ্ববাজারে এক্সেস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ আপনি যেই পণ্যর বা সেবার প্রচার করছেন সেটি সারা বিশ্বের মানুষ দেখতে পারবে এবং ক্রয় করতে পারবে। এর ফলে আপনার কাজের জনপ্রিয়তা সকল গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাবে।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আপনি যেকোনো সময় যে কোনো স্থানে থেকে এ কাজটি করতে পারবেন। শুধুমাত্র আপনার কাজের সময় পণ্য সেবাগুলো উপস্থিত থাকা আবশ্যক।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনার অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। যেমন- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, কনটেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি। এই দক্ষতা গুলো অর্জন করার মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন এই সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য অনেক জানা হলো। কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয় এই বিষয়ে আপনাদের কোনো ধারণা আছে? চলুন আপনাদের সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কমিশন সম্পর্কে কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করা যাক!
- ডিজিটাল প্রোডাক্টস কমিশন: ২০% - ৫০%
- অফলাইন প্রোডাক্টস কমিশন: ৫% - ১০%
- ওয়েব হোস্টিং এবং সফটওয়্যার সাবস্ক্রিপশন: কমিশন: ৩০% - ৭০%।
- বিউটি এবং কসমেটিক প্রোডাক্টস কমিশন: ১০% - ১৫%।
- ফ্যাশন এবং পোশাক কমিশন: ১৪% - ১৫%।
- অনলাইন কোর্স এবং ট্রেনিং প্রোগ্রাম কমিশন: ৩০% - ৪০%
- ট্র্যাভেল এজেন্সি এবং ট্যুরিজম: কমিশন: ৫% - ২০%
বাজার মূল্যের উপর ভিত্তি করে যে কোনো সময় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কমিশন কিছুটা কম বেশি হতে পারে। তোমরা যারা যে সেক্টরে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কাজ করছো সেখানে ভিজিট করলেই কমিশন বিষয়ক বিস্তারিত তথ্যটি জানতে পারবে।
লেখকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের ব্লগ পোস্টটি তাদের জন্য খুবই উপকারী হবে যারা অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম করতে চাচ্ছ। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেকেই ঘরে বসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন এই সম্পর্কিত তোমাকে অবশ্যই পূর্ণাঙ্গ ধারণা লাভ করতে হবে। বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন এই সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ও অফলাইন কোর্সের ব্যবস্থা রয়েছে। যে কোর্সগুলো করার মাধ্যমে তোমরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সংক্রান্ত সব ধরনের কৌশল সম্পর্কে জানতে পারবে।
বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে হাজার হাজার বেকার যুবকরা বেকারত্ব থেকে বেরিয়ে এসে নিজেই নিজের কর্মসংস্থান ও ইনকাম সোর্স তৈরি করতে পারছে। এমনকি কেউ যদি মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা লাভ করে অন্যদেরকে প্রশিক্ষণ দেয় তাহলে লক্ষ লক্ষ মানুষ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখে ঘরে বসে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url