এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো?

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো বা এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স করে কিভাবে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করা যায় এ ধরনের প্রশ্ন সবসময়ই আমরা করে থাকি। এফিলিয়েট মার্কেটিং কে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ হিসেবেও ধরা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং অন্যান্য সকল ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মত এটিও সকলের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অনেকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন। চলুন তাহলে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো এ সকল বিষয়ে ধারণা নেওয়া যাক। 
এফিলিয়েট-মার্কেটিং-কিভাবে-শুরু-করবো
উক্ত বিষয় বাদেও আজকে যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানা যাবে সেগুলো হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার হয়ে থাকে। পাশাপাশি এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স করতে হলে কি ধরনের গাইডলাইন ফলো করতে হবে এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো এ বিষয়গুলো জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
পোস্ট সূচিপত্র

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি

এফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ের অন্যান্য মার্কেটিং প্রক্রিয়ার মতই একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এফিলিয়েট শব্দের বাংলা অর্থ হলো "অধিভুক্ত" করা। যেকোনো ধরনের কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য অথবা সার্ভিস তৃতীয় পক্ষ হিসেবে প্রমোশন করা বা বিক্রি নিশ্চিত করে সেখান থেকে কমিশন নেওয়ার পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। বিশ্বের স্বনামধন্য বড় বড় প্রতিষ্ঠান যারা এফিলিয়েট মার্কেটার দ্বারা তাদের পণ্যের প্রচার এবং প্রসারণ কার্যক্রমটি পরিচালিত করছে।
সহজ কথায় বলতে গেলে কোন প্রতিষ্ঠানের আওতায় এফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে কোন পণ্য বিক্রি করার যে প্রক্রিয়া এবং সেই অনুযায়ী কমিশন গ্রহণ করার যে পদ্ধতি উভয়কে একসঙ্গে বলা হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। অনেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কে একই সঙ্গে তুলনা করে। তবে দুইটি বিষয়ে মোটামুটি একই রকম হলেও সব জায়গায় এদের ভিন্নতা প্রকাশ পেয়েছে। একজন ডিজিটাল মার্কেট আর পণ্যগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে বিক্রি এবং প্রচার-প্রসারণা করানোর ক্ষেত্রে টাকা পেয়ে থাকেন। 

এক্ষেত্রে পণ্য বিক্রি হবে কিনা সেটির উপর তাকে নির্ভর করতে হয় না। কিন্তু একজন এফিলিয়েট মার্কেটার পণ্য বিক্রির পর নির্দিষ্ট পরিমাণ একটি কমিশন পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে একজন এফিলিয়েট মার্কেট আর কে পণ্য বিক্রির উপর নির্ভর করতে হয়। আর এজন্যই অনেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো এই বিষয়টি নিয়ে কনফিউশনে থাকেন। অনেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স করার পরেও কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছে না। 

যারা নতুন ব্যবসা বাণিজ্য অনলাইন ভিত্তিক শুরু করেছে অথবা পূর্বের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান যেমন amazon এ সবগুলো কোম্পানি তাদের পণ্যের বিক্রি নিশ্চিত অথবা প্রচারের জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার সেট করে রাখে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার

এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার হবে এটি সঠিকভাবে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। কেননা একজন মার্কেটারের মার্কেটিং পদ্ধতি গুলো বিভিন্নভাবে হতে পারে। ধরুন কারও একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে যার মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে সেখান থেকে কমিশন নিতে পারছে অর্থাৎ নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাফিলেট মার্কেটিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করা। আবার কারো ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যেখানে তার সঠিক অডিয়েন্সদের কাছে পণ্যগুলো পৌঁছানোর মাধ্যমে ও প্রোগ্রামটি পরিচালনা করা যাচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং খুব ভালোভাবে ম্যানেজ করা যায়। যারা নতুন এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখছে বা চেষ্টা করছে তারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ফ্রিতে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম পরিচালনা করে টাকা ইনকাম করতে পারে। চলুন তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রকার সংবলিত প্রশ্নটি নিয়ে নিচে আলোচনা করা যাক।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়া যেমন facebook, twitter, instagram এ অধিক অডিয়েন্স পাওয়ার পাশাপাশি সেখানে যেকোনো ধরনের প্রোডাক্টের সঠিক অডিয়েন্স পাওয়া যায়। সুতরাং কেউ যদি ফেসবুকে একটি বিজনেস পেজ খুলে সেখানে বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ করে এবং তার সঙ্গে তার এফিলের প্রোগ্রামের লিংক যুক্ত করে দেয়। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম থেকে এফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে খুব সহজে টাকা আর্নিং করতে পারবে। ফেসবুকে অনেক প্রোডাক্ট সংবলিত বিজনেস ক্যাটাগরির গ্রুপ রয়েছে। 

সে সকল গ্রুপে এড হয়ে ফ্রিতে প্রোডাক্টের প্রমোশন এবং বিক্রি নিশ্চিত করা সম্ভব।তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রোডাক্টের গুণগত মান ভালো হয় এবং অডিয়েন্স এর কাছে সেটি চাহিদা থাকে।

সিপিএ মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, সিপিএ মার্কেটিং এর সবগুলোই একটু আলাদা হলেও মার্কেটিং ক্যাটাগরি মোটামুটি একই ধরনের হয়ে থাকে। সিপিএ মার্কেটিং এ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেমন দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডাউনলোড এবং ইন্সটল করার পরিপেক্ষিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো এ বিষয়টি নিয়ে ভাবতে থাকেন তাহলে সিপিএ মার্কেটিং করেও এফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলো চালানো সম্ভব। 

মূলত একজন গাইডারের আওতায় যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স করা যায় তাহলে কিভাবে একজন এফিলিয়েট  মার্কেটার,  সিপিএ মার্কেটিং করেও টাকা ইনকাম করবে সে সম্বন্ধে সম্পূর্ণ ধারণা পাওয়া যাবে।

ইমেল মার্কেটিং

যদিও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ইমেইল মার্কেটিং এর প্রচলন কম। কিন্তু বহির বিশ্বে সকলের কাছে ইমেইল একটি জনপ্রিয় বার্তা মাধ্যম। সুতরাং আপনি যদি বিভিন্ন কোম্পানির ম্যানেজার থেকে সিইও সকলের ইমেইল এড্রেস কালেক্ট করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার পণ্য অথবা সার্ভিসের বিবরণ ইমেইল করে পাঠাতে পারবেন। যদি পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তিটির পণ্য অথবা সার্ভিস গ্রহণের দরকার পরে তাহলে অবশ্যই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। বলা যাচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং করেও এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর 

আওতা যে সকল পণ্য অথবা সার্ভিস রয়েছে সেগুলো প্রচার প্রচারণা অথবা বিক্রি নিশ্চিত করা সম্ভব। তবে ইমেইল মার্কেটিং করার একমাত্র হাতিয়ার হল প্রফেশনাল মানের ইমেইল রাইটিং। যদি রাইটিং ক্যাটাগরি ভালো না হয় তাহলে আপনি ফিডব্যাক খুব একটা ভালো পাবেন না। 

ইউটিউব মার্কেটিং

বর্তমান সময়ে যাদের স্মার্টফোন রয়েছে তারা সকলেই ইউটিউবে ভিডিও দেখে থাকে। বিশেষ করে আমরা যখন youtube এ শর্ট ভিডিও দেখি তখন হঠাৎ করেই বিভিন্ন পণ্য অথবা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন চলে আসে। তাই আপনার যদি ইউটিউব চ্যানেল থাকে অথবা অন্য কারো ইউটিউব চ্যানেলে আপনার পন্যের প্রচার-প্রচারণ অথবা প্রমোশনের কাজটি সহজে সেরে ফেলতে পারবেন। আর এতে করে আপনার পণ্যের সঠিক অডিয়েন্স খুঁজে পাওয়া যাবে। 

সেখান থেকে এফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে টাকা ও আর্নিং করতে পারা যাবে। অবশ্যই সে সকল ইউটিউব ভিডিওতে আপনার অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের লিংক যুক্ত করা থাকবে যার পরিপ্রেক্ষিতে আপনি কমিশনের আওতাভুক্ত হতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবো

অনেকে প্রশ্ন করতে পারে এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো বা এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স করার পর আদেও কি আমি সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারব কিনা। সে সকল বিষয় জানার পূর্বে চলুন তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করব সে বিষয়টি সর্ব প্রথমে জেনে নেওয়া যাক। যদি আপনি এফিলিয়েটপ্রোগ্রাম বিষয়টি জানতে পারেন তাহলে সেই শিক্ষাটিকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য ক্ষেত্রেও এপ্লাই করতে পারবেন। ধরুন আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে হয়তো বা কোন কারণে আপনি পণ্য বিক্রি করতে পারছেন না।

সেক্ষেত্রেও ওয়েবসাইটটি আপনাকে ইনকামের পথ দেখাতে পারে। ওয়েবসাইটে যদি আপনি মানসম্মত আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারেন সে থেকে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা আরনিং করা সম্ভব। তাই আমরা বলি এফিলিয়েট প্রোগ্রাম শিখলে কোন দিক দিয়ে লস হবে না। চলুন বিষয়টিকে অর্থাৎ এফিলিয়েট প্রোগ্রামিং কেন করব সে বিষয়টি পয়েন্ট আকারে জেনে নেওয়া যাক।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখার পর নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে সাহায্য পাওয়া যায়। পাশাপাশি সেই প্ল্যাটফর্ম থেকে টাকা ও আর্নিং করা সম্ভব, উদাহরণঃ ওয়েবসাইট।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে গেলে দেখবেন আপনার লেখালেখি বা আর্টিকেল তৈরি করার প্রতি মননিবেশ চলে আসছে। আর এই বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে আপনি ব্লগ পোস্ট বা কনটেন্ট রাইটিং করে করে সেখান থেকে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং শেখার পর আপনি দেখবেন আপনার কমিউনিকেশন স্কিল অনেকটাই উন্নত হয়েছে। পাশাপাশি কিওয়ার্ড রিসার্চ, মার্কেট এনালাইসিস সহ আরো অন্যান্য জটিল সকল বিষয় আপনি ইজিলি করতে পারবেন।
  • বর্তমানে কিওয়ার্ড রিসার্চ, কম্পিটিশন এবং সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন বিষয়ে অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো অ্যাভেলেবল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ বিদ্যমান রয়েছে। সুতরাং আপনি এগুলো শিখে ফ্রিল্যান্সিং করেও টাকা ইনকাম করতে পারছেন।
  • তাই বলা যাচ্ছে যে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম শিখলে আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন করার পাশাপাশি সেখান থেকে নতুন নতুন কিছু শিখার সুযোগ পাচ্ছেন যা পরবর্তীতে আপনি আপনার অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত সকল বিষয়ে এপ্লাই করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো

এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হলে সর্বপ্রথমে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে দিনে ৬ ঘণ্টা থেকে ৭ ঘন্টা কম্পিউটারে স্ক্রিনে কাজ করার জন্য। সঠিক পরিশ্রম এবং সময় বিনিয়োগ করলে অবশ্যই এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। তাই আমরা বলি এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো এই প্রশ্নতে অবশ্যই ডেডিকেশন সবচেয়ে জরুরী একটি বিষয়। এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে সেখান থেকে যদি ইনকাম করতে চান তাহলে কোন প্রোডাক্ট বাছাই করব। 
কেন বাছাই করব, এই প্রোডাক্টগুলো টার্গেটের কাস্টমারের কাছে কিভাবে উপস্থাপন করতে হবে এবং কিভাবে প্রমোট করতে হবে সেই সকল বিষয়ে এ টু জেড ধারণা থাকতে হবে। নিচে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম শুরু করার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় অবলোকন করা প্রয়োজন সেগুলো তুলে ধরা হলো।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স করার পূর্বেই একটি সঠিক নিশ সিলেকশন করতে হয়। যারা সফল এফিলিয়েট মার্কেট আর তারা সর্বপ্রথম একজন বিগিনার এফিলিয়েট মার্কেটার কে নিশ সিলেকশনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নিস হল আপনি যে বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন সেটি হবে আপনার নিস। যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট, ব্লগিং, ওয়েট লস এ সকল কিছু এক একটি নিশ।
  • নিশ সিলেকশন হয়ে গেলে এর পরের ধাপে এসে একটি ডোমেন হোস্টিং ক্রয় করে ওয়েবসাইট নির্মাণ করতে হবে। কেননা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রোডাক্টগুলো সেল করার বিষয়টি বেশি প্রচলিত। তবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেও বিভিন্ন এড ক্যাম্পেইন রান করে এফিলেট মার্কেটিং করা যায়।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফলতা পাওয়ার জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রোডাক্ট নির্বাচন করা। উপযুক্ত প্রোডাক্ট বাছাই করে ওয়েবসাইটে সেট আপ করতে পারলে। তবে কেবলমাত্র সেখান থেকে সঠিক কাস্টমারের নিকট পণ্য বিক্রি করা সম্ভব।
  • ওয়েবসাইট এবং পণ্য সিলেকশন সবকিছু হওয়ার পর আসবে কনটেন্ট রাইটিং এর কথা। আপনি আপনার ওয়েবসাইটটি গুগলের রং করানোর জন্য অবশ্যই ভালো মানের আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট করতে হবে। ওয়ান পেজ এসিও করে যদি ভাল কনটেন্ট পাবলিশ করা হয় তাহলে বেশি ট্রাফিক অথবা ভিজিটর আসার সম্ভাবনা থাকে।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো এই প্রশ্নতে আরো একটি বিষয় সামনে আসবে সেটি হল এফিলিয়েট প্রডাক্ট প্রমোট করার বিষয়টি। এটি মূলত এফিলিয়েট প্রোগ্রাম বিষয়টির শেষ ধাপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। 
  • এফিলিয়েট প্রোগ্রামের সকল বিষয়গুলো সম্পন্ন করার পর অবশ্যই বিভিন্ন কোম্পানি থেকে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম নিতে হয়। এজন্য এফিলিয়েট প্রোগ্রাম সম্বলিত সাইট থেকে প্রোফাইল ক্রিয়েট করে সেই লিংকগুলো আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেলে যুক্ত করে দিতে হবে।
আর এভাবেই এফিলিয়েট প্রোগ্রামিং বিষয়টি পরিচালনা করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি পরিমাণ এমাউন্ট প্রতিমাসে উইড্র করা সম্ভব। তবে এফিলিয়েটমার্কেটিং করে সফলতা পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য, সময়, অর্থ সবকিছুই বিনিয়োগ করতে হবে। বিষয়টি এমন নয় যে আপনি আজকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করলেন কিছুদিন পর থেকেই আপনি টাকা ইনকাম করতে পারছেন। 

সঠিকভাবে একজন এফিলিয়েট মার্কেটার হওয়ার জন্য অবশ্যই এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স করা প্রয়োজন। বিভিন্ন আইটি সেন্টার এবং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছেন যেখান থেকে কোর্স করার মাধ্যমে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম খুব ভালোভাবে শেখা সম্ভব।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা

আমরা এতক্ষণ পর্যন্ত এফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়টির আদ্যপ্রান্ত সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি। তাহলে একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে জানা গেল সেটি হল এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে অবশ্যই টাকা ইনকাম করা সম্ভব এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো এই প্রশ্নতে অবশ্যই একজন ব্যক্তিকে সঠিক গাইডলাইনের আওতায় এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স করার প্রয়োজন পড়বে। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে আমরা এফিলিয়েট প্রোগ্রামিং শেখার পর কি কি সুবিধা পেতে পারি। 

অর্থাৎ যে কোন মার্কেটিং এর অবশ্যই কিছু সুবিধা বা গুণ রয়েছে যার পরিপ্রেক্ষিতে একজন মার্কেটার সেই সকল মার্কেটিং করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। নিচে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধাগুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।
  • প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে সেরা একটি মাধ্যম হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। যেখানে একটি ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেলের সাহায্যে পরোক্ষভাবে আয়ের সুযোগ রয়েছে যা আপনি ঘরে বসে থেকেই করতে পারছেন।
  • নিজের কোন পণ্য তৈরি বা প্রোডাকশন করার প্রয়োজন পড়ছে না। সুতরাং এক্ষেত্রে একজন এফিলিয়েট মার্কেটারের পণ্য পচে যাওয়া বা নষ্ট হওয়ার কোন ভয় থাকছে না। সুতরাং পন্য যেহেতু তৈরি করার প্রয়োজন নেই সেহেতু সেখানে উৎপাদন খরচ লাগবে না তেমনি বিপণন খরচও দিতে হচ্ছে না।
  • একজন এফিলিয়েট মার্কেটার স্বাধীনচেতা হিসেবে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে তার প্রোডাক্ট নির্বাচন থেকে শুরু করে সকল কাজ মুক্তভাবে করতে পারেন।
  • এফিলিয়েট মার্কেটার যেমন পণ্য বিক্রি করে সেখান থেকে কমিশন পায়। আবার নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকলে সে সকল আর্টিকেলের মাধ্যমে গুগল এডসেন্স থেকেও টাকা ইনকাম করার সুযোগ থাকে।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে মার্কেটার এবং শেয়ারহোল্ডারদের সাথে একটি সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। যা পরবর্তী সময়ে ব্যবসায়িক সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে খুব ভালো একটি ইঙ্গিত বহন করে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট

শুধুমাত্র এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলেই এফিলেট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করা যাবে না। কেননা আপনি দক্ষতা অর্জন করার পাশাপাশি অবশ্যই সেই দক্ষতা গুলো কোন জায়গায় এপ্লাই করবেন সেটিও জানা প্রয়োজন। অর্থাৎ একজন এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে দক্ষতা অর্জন করার পাশাপাশি অবশ্যই এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইটগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। বিশ্বে অনেক অনেক জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট রয়েছে। 

তবে এফিলিয়েট প্রোগ্রামিং বা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কথা সামনে আসলে আমাদের অ্যামাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রামের কথা সর্বপ্রথম মাথায় চলে আসে। নিচে আমাজন ব্যতীত আরও যে সকল এফিলিয়েট প্রোগ্রাম বা এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইটগুলো রয়েছে সেগুলোর নাম দেয়া হলো।

ওয়েব হোস্টিং এফিলিয়েট প্রোগ্রাম সাইট

ই-কমার্স এফিলিয়েট প্রোগ্রাম

ফিনান্সিয়াল এফিলিয়েট প্রোগ্রাম সাইড

মার্কেটিং এন্ড ব্লগিং এফিলিয়েট প্রোগ্রাম

এছাড়াও ফিটনেস, ফ্যাশন, মিউজিক, গেমিং, ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক, ওয়েবসাইট সহ সকল ধরনের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম ইজিলি পাওয়া যাচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে উপরে যেসকল এফিলিয়েট প্রোগ্রামের কথা উল্লেখ করেছি। সেগুলো যদি কেউ ভালোভাবে মার্কেটিং করতে পারে তাহলে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে। আমরা উপরে বর্ণিত প্রত্যেকটি এফিলিয়েট প্রোগ্রামের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এর সাথে লিংক আপ দিয়ে রেখেছি। 

আপনি চাইলে এফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলোর নামের উপর টাচ করে সরাসরি তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন এবং সেখানে আপনাদের প্রোফাইল তৈরি করে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম গ্রহণ করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স

আমরা আর্টিকেলের শুরুতেই বলেছিলাম যে এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো এই প্রশ্নতে অবশ্যই একজন সঠিক মেন্টর অথবা গাইডারের আওতায় এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স করা প্রয়োজন। কেননা এ বিষয়টিতে অনেক জটিল জটিল কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো নিজে নিজে করা সম্ভব হবে না। এগুলো জানার জন্য অবশ্যই এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স করতে হবে। বর্তমানে অনেক আইটি ইনস্টিটিউট গড়ে উঠেছে যারা এ ধরনের কোর্স প্রোভাইড করে। কিন্তু আপনি যে ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হবেন সেই ট্রেনিং সেন্টার আগেও ভালো মানের কিনা। 
সেখান থেকে কোর্স করে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে জ্ঞান লাভ করা যাবে কিনা সেটি প্রথমে জেনে নিতে হবে। সাধারণত আইটি সেন্টার গুলো বেসিক লেভেল থেকে এডভান্স লেভেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স ৩ মাস - ৬ মাস পর্যন্ত কোরিয়া থাকে। নিচে কিছু ভালো মানের আইটি সেন্টারের নাম দেওয়া হল যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স প্রোভাইড করে।
  • Creative IT
  • 10 Minute School
  • eShikhon
  • MSB Academy
  • Bright Skills
  • Ghoori Learning
  • beSkilled

উপসংহার

বন্ধুগণ আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স এর আওতায় এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো এ বিষয়টির আদ্যপ্রান্ত সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলাম। আশা করি আপনারা এই আর্টিকেল থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার সকল বিষয়বস্তু সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত হতে পেরেছেন। আপনি যদি নিজেকে একজন সফল এফিলিয়াট মার্কেট আর হিসেবে গড়ে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই যে কোন ভালো মানের আইটি সেন্টারের আওতায় সঠিকভাবে ট্রেনিং করা প্রয়োজন। এরপরেও যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আপনাদের কোন রকম প্রশ্ন অথবা কনফিউশন থাকে। 

তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে সেটি জানাতে ভুলবেন না। ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল ইতিমধ্যে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেছি। আপনি যদি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। পাশাপাশি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় রয়েছে। তাদেরকে বিষয়গুলো জানানোর উদ্দেশ্যে অবশ্যই আজকের এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url