যুব ঋণ কি? যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতি ও যুব ঋণ নীতিমালা

যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতি এর মাধ্যমে কিভাবে অল্প সুদে লোন নেওয়া যায় এবং যুব উন্নয়ন লোনের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন এই সম্পর্কিত তথ্যগুলো জেনে নিন। আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের জন্য যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতি গুলো এখানে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের যুবকদের ব্যবসায়ী উদ্যোগ নিতে এবং ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রে যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতি বিরাট অবদান রাখে। 
যুব-উন্নয়ন-লোন-পদ্ধতি
যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হলো যুবকদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করা যাতে করে তারা নিজেরা নিজেদের ব্যবসা তৈরি করতে পারে। আমাদের দেশে এমন অনেক যুবক রয়েছে যারা ব্যবসা করার জন্য কোথা থেকে লোন নিবে তা নির্বাচন করতে পারছে না। সে সকল যুবকদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতি ছাড়াও আরো যে সকল তথ্য আজকের পোস্টার মাধ্যমে জানতে পারবেন সেগুলো হচ্ছে যুব ঋণ কি, যুব ঋণ নীতিমালা, 

যুব ঋণ কত প্রকার ও কি কি, যুব উন্নয়ন লোন আবেদন করার নিয়ম, যুব ঋণের অনলাইন আবেদন, যুব উন্নয়ন ঋণের আবেদন ফরম, অনলাইনে লোনের জন্য আবেদন ইত্যাদি।
পোস্ট সূচীপত্র

ভূমিকা

বাংলাদেশে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য যতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে তার মধ্যে যুব উন্নয়ন লোন অন্যতম। যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতি যুবকদের জন্য এমনভাবে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করে যাতে করে যুবকরা নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থান তৈরি করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতি এর প্রথম শর্ত হচ্ছে ব্যক্তিকে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সের হতে হবে এবং আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশ নাগরিক হতে হবে। এখানে অন্য কোনো দেশের নাগরিক আবেদন করতে পারবে 

না। যুব উন্নয়ন লোনের জন্য আপনাকে আবেদন করার সমস্ত প্রসেস সঠিকভাবে অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। এরপর আপনার ডকুমেন্টগুলো যুব উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যাচাই বাছাই করে যদি দেখে সবকিছু ঠিক আছে তাহলে তারা আপনাকে লোন নেওয়ার জন্য অনুমতি দেবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সাথে সাক্ষাৎকারের জন্য আলাদা ভাবে ডাকা হতে পারে।

যুব ঋণ কি

যুব ঋণ হলো সরকার কর্তৃক একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেটি বিশেষ ধরনের ঋণ সেবা দিয়ে থাকে। যুব ঋণ এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে যুবকদের ব্যবসা, কৃষিকাজ ও অন্যান্য পেশায় বিনিয়োগ করার মাধ্যমে তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। যুব ঋণের মাধ্যমে বেকার যুবকরা কর্মসংস্থান তৈরি করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। যুব ঋণ প্রকল্পটি বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত হয়ে থাকে। এটি বিশেষভাবে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী যুবকদের জন্য প্রযোজ্য যারা নিজের উদ্যোগে অর্থনৈতিকভাবে কিছু করতে চান। 

যুব ঋণের মাধ্যমে যুবকেরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ পায়। যুব ঋণ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেটি ব্যবসার পাশাপাশি কৃষিকাজ, মৎসপালন, পশু-পাখি পালন, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতেও ঋণ প্রদান করে থাকে। ঋণ দেয়ার পর যুবকদের কাজের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং বিভিন্নভাবে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া হয় যাতে করে যুবকরা সফলভাবে প্রতিটি কাজ পরিচালনা করতে পারে। যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতি অনুযায়ী ঋণ নেওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। 
যেমন- আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে এবং তাকে সময়মতো ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা আছে কিনা তা প্রমাণ করতে হবে। সুতরাং যুব ঋণের মূল বিষয়বস্তু হলো এটি এমন এক ধরনের অর্থনৈতিক প্রণোদনা যেটি তরুণদেরকে আর্থিকভাবে স্বাধীনতা অর্জন করতে সহায়তা করে এবং দেশের অর্থনৈতিক খাতে ব্যাপক অবদান রাখে।

যুব ঋণ নীতিমালা

যুব ঋণ নীতিমালা হচ্ছে এমন একটি নীতি যেখানে যুবককে সমাজে স্বনির্ভর ও কর্মক্ষম হয়ে উঠতে আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের সরকার ও বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই ধরনের ঋণ প্রদান করে থাকে। যুব ঋণ নীতিমালার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের প্রত্যেকটি বেকার যুবককে আর্থিকভাবে সচ্ছল করে তোলা তারা যাতে স্বনির্ভর হয়ে বেঁচে থাকতে পারে। যে সকল বেকার যুবকরা যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন তাদেরকে আমি বলব যুব ঋণের দশটি নীতিমালা অবশ্যই অনুসরণ করুন যেটি আপনাকে স্বনির্ভর ও কর্মক্ষম হতে সহায়তা করবে। সেই ১৩ টি নীতিমালা গুলো হলো:
  • যুব উন্নয়ন ঋণ নিতে হলে অবশ্যই বৈধ ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
  • যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতি এর নীতি অনুযায়ী ঋণগ্রহীতার বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে।
  • এই ঋণ শুধুমাত্র বাংলাদেশের নাগরিকরা পাবে অন্য কোনো দেশের নাগরিকরা নিতে পারবে না।
  • যুব উন্নয়ন ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন উচ্চ মাধ্যমিক পাস হওয়া আবশ্যক।
  • ঋণ গ্রহণের জন্য একটি উপযুক্ত ব্যবসায়ী পরিকল্পনা থাকতে হবে।
  • যুব উন্নয়ন ঋণ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট উদ্যোক্তা বা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • ঋণ পরিশোধের জন্য নির্ধারিত কিস্তি অনুযায়ী সময়মতো সমস্ত ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
  • ঋণ গ্রহণের পূর্বে এবং পরে উদ্যোক্তাকে কাজের ধরন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। অনেক সময় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক হতে পারে।
  • ঋণ প্রাপ্তির পর ঋণ গ্রহীতার প্রতিটি কার্যক্রম নিয়মিত ভাবে পর্যালোচনা করা হবে।
  • যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতি অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যায়।
  • ঋণ পরিশোধ করার জন্য ৫ থেকে ৭ বছর সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
  • ঋণ পরিশোধ করার ক্ষেত্রে অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় সুদের হার খুব কম থাকে।
ঋণ পরিশোধ করার জন্য মাসিক কিস্তি অথবা ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবে। ঋণ গ্রহিতাকে নিয়মিতভাবে ঋণের অগ্রগতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে।

যুব ঋণ কত প্রকার ও কি কি

যুব ঋণ হচ্ছে একটি অর্থনৈতিক সহায়তা প্রকল্প যা দেশের প্রত্যেকটি যুবসমাজকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বছরের পর বছর ঋণ প্রদান করে যাচ্ছে। এই ঋণের মাধ্যমে যুবকরা উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুব ঋণের গুরুত্ব অপরিসীম। অনেক বেকার যুবকরা এই জানতে চেয়েছিলে যুব ঋণ কত প্রকার ও কি কি। যুব ঋণ বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। নিম্নে কয়েক প্রকার যুব ঋণের প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো:

ব্যবসায়ী ঋণ

যুব ঋণের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ঋণ হচ্ছে ব্যবসায়ী ঋণ। এটি মূলত ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যবসা শুরু করার জন্য যুবকদেরকে দেওয়া হয় যাতে করে যুবকরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এই ধরনের ঋণ নিয়ে যুবকরা মুদি দোকান, ফার্মেসী দোকান, ছোট গার্মেন্টস ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবে।

কৃষি ঋণ

যে সকল যুবকরা যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতি এর মাধ্যমে কৃষি কাজ করতে চাও তারা কৃষি ঋণ গ্রহণ করতে পারো। কৃষি ঋণের সহায়তায় ফসল উৎপাদন, মাছ চাষ, হাঁস মুরগি চাষ, পশুপালন, পোল্ট্রি ফার্মে বিনিয়োগ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবার সুযোগ আছে। বর্তমানে কৃষি কাজের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ব্যবসায় উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব।

কারিগরি ও প্রশিক্ষণ ঋণ

বিভিন্ন কাজের কারিগরি দক্ষতা অর্জন করার জন্য প্রশিক্ষণের দরকার হয়। অনেক যুবকদের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সামর্থ্য না থাকলে তারা কারিগরি ও প্রশিক্ষণ ঋণ গ্রহণ করতে পারেন। এর ফলে কারিগরি কাজ শিখে নিজেকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে পারবেন।

নারী উদ্যোক্তা ঋণ

যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতি তে নারীদের জন্য এমন কিছু ব্যবস্থা আছে যার ফলে বেকার নারীরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারবে। এখানে নারীদের উদ্যোক্তা হওয়ার লক্ষ্যে ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়। এর ফলে নারীরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে পারে।

শিক্ষা ও দক্ষতা ঋণ

যারা উচ্চশিক্ষা বা কারিগরি শিক্ষা অর্জন করতে চায় তাদের জন্য শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন ঋণ প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে এই ঋণ গ্রহণ করা যায়। এর ফলে যুবকদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

যুব উন্নয়ন লোন আবেদন

ইতিমধ্যে আমরা যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা করেছি। এখন আমরা জানবো যুব উন্নয়ন লোন আবেদন কিভাবে করতে হয়। যুব উন্নয়ন লোন আবেদনের কয়েকটি ধাপ নিম্নে দেওয়া হলো-
  • যুব উন্নয়ন লোন আবেদন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ করতে হবে যেমন- জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, পাসপোর্ট সাইজের ছবি সকল ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।
  • যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অফিস থেকে বা ওয়েবসাইট থেকে লোন আবেদন ফরম সংগ্রহ করে ফিলাপ করে জমা দিন।
  • সকল প্রকার ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে আবেদন ফরমসহ নিকটস্থ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অফিসে সাবমিট করুন।
  • সমস্ত যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হলে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে আপনার লোনটি অনুমোদন পাবে। এরপর ব্যাংকের মাধ্যমে আপনাকে লোন প্রদান করা হবে।

যুব ঋণের অনলাইন আবেদন

যারা কর্মব্যস্ততার কারণে যুব ঋণের জন্য অফলাইনে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন না তাদের জন্য একটি বিরাট সুযোগ রয়েছে। আপনারা চাইলে ঘরে বসে যুব ঋণের অনলাইন আবেদন ওয়েব সাইটে ভিজিট করে আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারবেন। সর্বপ্রথম আপনাকে যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতি অথবা যুব উন্নয়ন ও অধিদপ্তরের সরকারি ওয়েবসাইটে https://dyd.gov.bd ভিজিট করতে হবে। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর “ঋণ প্রদান” বা “অনলাইন আবেদন” নামের একটা অপশন আছে সেখানে ক্লিক করুন। অনলাইন আবেদনের জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। 
স্ক্রিনে রেজিস্টার বা নতুন আবেদন অপশনে ক্লিক করে আপনার নাম, ইমেইল আইডি, মোবাইল নম্বর ও অন্যান্য যে সকল তথ্য চাওয়া হবে সেগুলো ফিলাপ করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। অ্যাকাউন্টটি রেডি হয়ে গেলে লগইন করার চেষ্টা করুন এবং একটি ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড সেট করুন যাতে পরবর্তীতে লগইন করতে সুবিধা হয়। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে অনলাইন আবেদন বিভাগে চলে যান। সেখানে ফর্মে দেওয়া আপনার নাম, ঠিকানা, ব্যবসার বিবরণ, পছন্দের লোনপরিমাণ এ সকল তথ্য প্রদান করুন। 

এসব কাজ শেষে জাতীয় পরিচয় পত্র, ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতা, স্ক্যান করে আপলোড করুন। আবেদনটি এক্সেপ্ট হয়েছে কিনা স্ট্যাটাস চেক করার জন্য অ্যাকাউন্ট লগইন করে দেখতে পারেন।

যুব উন্নয়ন ঋণের আবেদন ফরম

যুব উন্নয়ন ঋণের আবেদন ফরমে কি কি তথ্য থাকে অনেকেরই ধারণা নেই। তাই যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতি নিয়ম অনুযায়ী যদি আপনি ঋণ গ্রহণ করতে চান তাহলে পূর্বে ধারণা রাখা জরুরি আবেদন ফরমে কি কি তথ্য ফিলাপ করতে হবে। তাহলে সেই অনুযায়ী আপনি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস রেডি করতে পারবেন। সাধারণত যুব উন্নয়ন ঋণের আবেদন ফরমে যে সকল তথ্য আপনার কাছে চাইতে পারে সেগুলো হলো-
  • নিজের নাম
  • পিতার নাম
  • মাতার নাম
  • জন্মতারিখ
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর
  • মোবাইল নম্বর
  • ইমেইল ঠিকানা
  • বৈবাহিক অবস্থা
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম
  • অর্থনৈতিক অবস্থা
  • প্রয়োজনীয় লোনের পরিমাণ, লোনের মেয়াদ/পূর্বে কোন ধরনের লোন নেয়া হয়েছে কিনা সে সফল তথ্য
  • যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া হয়েছে কিনা, প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে সেই কোর্সের নাম কোর্সের সময়কাল
  • লোন প্রদানকারী সংস্থার নাম
  • আবেদনকারীর ব্যাংকের শাখা
  • ব্যাংক একাউন্ট নম্বর
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ব্যবসার লাইসেন্স

অনলাইনে লোনের জন্য আবেদন

বর্তমানে ডিজিটাল যুগে অনলাইনে লোন নেওয়ার ব্যবস্থা আছে। যারা অনলাইনে লোনের জ্ন্য আবেদন করতে চান তারা নিম্নে দেওয়া ৫টি ধাপ ফলো করুন। তাহলে আপনারা ঘরে বসেই অনলাইনে লোনের জন্য সহজে আবেদন করতে পারবেন।

ধাপ১: সর্বপ্রথম আপনাকে প্রতিষ্ঠান সিলেক্ট করতে হবে। আপনি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিতে চাচ্ছেন সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন থাকলে সেই লিংকে প্রবেশ করুন।

ধাপ২: যদি আপনার সেই ব্যাংকের বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে পূর্ব থেকে একাউন্ট তৈরি করা থাকে তাহলে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ফেলুন। যদি একাউন্ট না করা থাকে তাহলে নাম, ইমেইল আইডি, মোবাইল নম্বর, প্রদান করে নতুন একাউন্ট তৈরি করুন।

ধাপ৩: লগইন করার পর অনলাইনে লোনের আবেদন ফরম পূরণ করুন। আবেদন ফর্মে আপনার ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য, আয় সংক্রান্ত তথ্য ও লোনের উদ্দেশ্য উল্লেখ করুন।

ধাপ৪: পরবর্তী পেইজে আবেদন ফরম পূরণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সমস্ত ডকুমেন্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, আয়ের প্রমাণপত্র, স্ক্যান করে আপলোড করুন ও সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আবেদন জমা দিন।

ধাপ৫: আবেদন জমা দেওয়ার কিছুদিন পর প্রতিষ্ঠান থেকে আপনাকে জানানো হবে আপনার আবেদনটি একসেপ্ট করেছে কিনা। আপনি চাইলে অনলাইনে একাউন্ট লগইন করেও আবেদন স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন।

লেখকের শেষকথা

প্রিয় যুবক ভাইয়েরা যারা ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সার্চ করছো যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতি কিভাবে নেব তারা আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করলে পেয়ে যাবে। আমাদের আজকের পোষ্টের প্রধান বিষয়বস্তু ছিল যুব উন্নয়ন লোন পদ্ধতি কিভাবে যুবকদেরকে বেকারত্বের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। আমাদের আজকের পোস্টটি বেকার যুবকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই তোমরা যারা বেকার যুবক রয়েছো তোমাদের কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ রইল তোমরা আজকের পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বে এবং তোমাদের আশেপাশে যারা বেকার যুবক রয়েছে তাদের সাথে আমাদের আজকের পোস্টটি দ্রুত শেয়ার করে দাও।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url