ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো ও এর ব্যবহারের নিয়ম

বর্তমান সময়ে আমরা সবসময় নিজেদেরকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং ফিট রাখার জন্য কত রকমের চেষ্টা করে থাকি। অনেকে তো সবসময়ই নিজেকে মেইনন্টেন করার জন্য একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সব সময় চলাফেরা করেন। ডাক্তাররা সবসময় আমাদেরকে ভিটামিন যুক্ত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে বা অন্য যে কোন উপায়ে ভিটামিনের সকল উপাদান গুলোর ঘাটতি পূরণ করার জন্য পরামর্শ প্রদান করে থাকেন। ঠিক তখনই চলে আসে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর কথা। 
ভিটামিন-ই-ক্যাপসুল-কোনটা-ভালো
তবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো এ নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক সময় কনফিউশন তৈরি হয়ে যায়। আর সেই কনফিউশনগুলোই দূর করার জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো এ বিষয়টি জানার পাশাপাশি আরও যে সকল বিষয় জানতে পারবেন সেগুলো হলো, ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম এবং উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। পাশাপাশি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয় এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল ৪০০ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্র

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কি

ভিটামিন ই সাধারণত ৮ টি ফ্যাট জাতীয় দ্রবণের যৌগের একটি গ্রুপের সমন্বয়। সেগুলোর মধ্যে প্রধান চারটি হল টোকোফেরোল এবং চারটি ট্রোকোট্রাইনল রয়েছে। এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা প্রতিক্রিয়াশীল অক্সিজেন প্রজাতি থেকে কোষের ঝিল্লির সুরক্ষা দিয়ে থাকে। আর এ সকল কারণেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি সহ অন্যান্য সমস্যা নিরসনে উপযোগী হিসেবে গণ্য করা হয়। বিশ্বব্যাপী সরকারি সংস্থাগুলো প্রতিদিন ভিটামিন ই ৭ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম পরিমাণ সকলকে খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। 

ভিটামিন ই এর অভাবে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ত্বরান্বিত হওয়ার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন রকম সমস্যার তৈরি হয়ে থাকে। মানব শরীরের অভ্যন্তরী ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি যদি কেউ তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পড়তে চায়, তাহলে অবশ্যই ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো সে সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা রাখতে হবে। তাই ত্বকের দ্রুত সমাধান পেতে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের আর কোন বিকল্প নেই। তাই যারা এই বিষয়টি নিয়ে সামনে অগ্রসর হতে ইচ্ছুক অবশ্যই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম গুলো ভালোভাবে জানতে হবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। সাধারণত ভিটামিন ই এর অভাবে আমাদের শরীর দুর্বল হওয়া থেকে শুরু করে অসারভাব এবং চলাফেরাতে সমস্যা হওয়ার মতো মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই আমরা যদি আমাদের শরীরের ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করার ক্ষেত্রে ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহণ করি, সেক্ষেত্রেও ভালো ফলাফল আশা করা যায়। আরো একটি বিষয়ে জেনে রাখা ভালো যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে আপনার শরীরের অভ্যন্তর থেকে শুরু করে পারিপার্শ্বিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। 

ডাক্তাররা সবসময় বিভিন্ন খাবার গ্রহণের মাধ্যমে ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য আলাদা দিয়ে থাকেন। তবে কেউ যদি খাবার গ্রহণ বাদে সরাসরি ক্যাপসুল গ্রহণের মাধ্যমে ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করতে চায় সেক্ষেত্রেও কোন সমস্যা নেই। তবে এজন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো সেটা জেনে বুঝে খাওয়া উচিত। ভিটামিন মূলত এক জাতীয় ফ্যাটের দ্রবণীয় ভিটামিন যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। ভিটামিন এ হার্টের অসুখ, অনেক ধরনের ক্যান্সার ও মস্তিষ্কে সমস্যা রোধে কাজ করে। ভিটামিন ই এর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা 
প্রদান করা। আর এত এত সমস্যার নিরসন যেহেতু ভিটামিন ই এর দ্বারা সংঘটিত হয়। তাই অবশ্যই আমাদের খাবারের মাধ্যমে হোক আর সরাসরি ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহণের মাধ্যমেই হোক না কেন ভিটামিন ই এর ঘাটতি কোনভাবেই শরীরে রাখা যাবে না। এসকল অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনের পাশাপাশি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার মাধ্যমে ত্বকে উজ্জলতা ফিরে আসে এমনকি চুলের জন্য ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। তাই নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার অভ্যাস জীবনকে অনেকটাই পরিবর্তন এনে দিতে পারে। ডাক্তাররাও সবসময়ই ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কেননা মানব শরীরের ভিটামিন ই এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে অনেক।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম সংক্রান্ত বিষয়গুলো জানার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। যেহেতু ইতিমধ্যে আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি কি উপকারে আসে সে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারলাম। ডাক্তাররা ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণের জন্য বিভিন্ন খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে অর্থাৎ যে সকল খাদ্যে ভিটামিন ই এর উৎস পাওয়া যায় সে অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করার পরাম। আবার সরাসরি ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহণ করার মাধ্যমেও ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। তবে অবশ্যই আমাদেরকে প্রথমে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহণ করার পাশাপাশি ত্বকের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ত্বকের বিভিন্ন ড্যামেজ সেলগুলো এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা জরুরী। ভিটামিন ই ক্যাপসুল শীতে যেমন প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে আবার গরমেও এর ব্যবহারের জুড়ি নেই। ভিটামিন এ ব্যবহারে ত্বক থাকে নরম যার ফলে গরমে ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা যাবে। তবে আমাদের মনে রাখা উচিত প্রত্যেকটি জিনিসের একটি নিয়ম কানুন রয়েছে। তেমনিভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে যা আমরা ফলোআপের মাধ্যমে 

পদ্ধতিগুলো এপ্লাই করতে পারি। ভিটামিন ই সাধারণত আমরা খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করে থাকি। খাবারের একটি পুষ্টিকর উপাদান হলো ভিটামিন ই আর সেটা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক কাজে সাহায্য করে। আবার অভ্যন্তরীণ বিষয় বাদেও আমাদের শরীরের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও ভিটামিন ই ব্যবহার করা যায়। তবে এক্ষেত্রে আমাদেরকে একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, বিষয়টি হল ভিটামিন ই সরাসরি আমরা ত্বকে কখনোই লাগাবো 

না। ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপায় হল ভিটামিন ই ক্যাপসুল গোলাপজলে সাথে মিশিয়ে মুখমন্ডলে লাগানো। গোলাপ জলের পাশাপাশি গ্রিন টি এর সাথে ই ক্যাপসুল মিশিয়ে মুখমন্ডলে লাগানো যায়। সবথেকে বেশি এবং ভালো ফলাফল পাওয়া যায় এলোভেরা জেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে যদি মুখমণ্ডলে ১৫ মিনিট ধরে রাখা হয় এবং তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়, তাহলে সব থেকে ভালো ফল পাওয়া যায়।

ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা আর্টিকেলের প্রথমে একটি বিষয় উল্লেখ করেছি সেটি হল ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো এ বিষয়টি জানা আমাদের খুবই জরুরী একটি বিষয়। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির নামে বেনামে ভিটামিন ই ক্যাপসুল প্রচলিত রয়েছে। সেগুলো ব্যবহার করা অথবা সরাসরি গ্রহণ করলে অবশ্যই বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এ সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। স্যার আইজ্যাক নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী “প্রতিটি ক্রিয়ার একটি সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে”। 
ঠিক তেমনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ক্ষেত্রে উপকারের সংখ্যা বেশি থাকলেও কিছু অপকারের সংখ্যাও রয়েছে। তাহলে এবার ই ক্যাপের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

উপকারিতা

  • ই ক্যাপ সেবন করার মাধ্যমে বার্ধক্যের প্রভাব কমে আসে। শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম গুলো সঠিকভাবে সম্মানিত হওয়ার পাশাপাশি শরীরকে সবসময় প্রফুল্ল এবং চাঙ্গা রাখে।
  • ক্যালসিয়াম যেমন হাড়কে শক্ত এবং মজবুত করে। ঠিক তেমনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহণের মাধ্যমে অথবা ভিটামিন ই এর উৎস রয়েছে এমন খাবার গ্রহণ করলে হাড়ের সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি শক্ত এবং মজবুত হয়ে ওঠে।
  • অনেকের হাতের এবং পায়ের নখ ভঙ্গুরে পরিণত হয়। এর কারণ একমাত্র ভিটামিন ই এর ঘাটতির কারণে। তাই ভিটামিন ই গ্রহণ করার মাধ্যমে নখের ক্ষতি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আবার ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে সরাসরি এক্সট্রা্ট পদার্থগুলো ভঙ্গুর নখে যদি লাগানো হয় সে ক্ষেত্রে মশ্চারাইজার হিসেবে ভালো কাজ করে।
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর অর্থাৎ ই ক্যাপের ভেতরে যে এক্সট্রাক্ট পদার্থটি রয়েছে সেগুলো বিভিন্ন উপকারী উপাদান যেমন এলোভেরার জেল, গ্রিন টি, টি ট্রি অয়েল এর সাথে মিশিয়ে মুখমন্ডলে লাগালে মুখমন্ডলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানার মাধ্যমেই কেবলমাত্র মুখমন্ডলে এপ্লাই করা শ্রেয়।
  • যদি কারো চুল পড়ার সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তরল পদার্থ গুলো সরাসরি হাতের তালুতে নিয়ে চুলে আলতো আলতো করে লাগানো যায়। চুলের গোড়া শক্ত হওয়ার পাশাপাশি চুল অনেকটা সিল্কি হয়ে ওঠে।

অপকারিতা

  • ই ক্যাপ ক্যাপসুলের অপকারিতা খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। অপকারিতার থেকে ই ক্যাপের উপকারিতার গুণের সংখ্যায় বেশি। কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো আমাদের ইগনোর করা যাবে না। তাহলে কোন অপকারিতা গুলো ই ক্যাপে রয়েছে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের জন্য ভালো তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ক্যাপসুলের এক্সট্রাট পদার্থটি কোনভাবেই সরাসরি ত্বকে অ্যাপ্লাই করা যাবে না। সঙ্গে কোন না কোন পদার্থ মিশিয়ে তারপরে কেবলমাত্র তাকে ব্যবহার করতে হবে। সরাসরি ব্যবহার করা হয় তাহলে ত্বকের চুলকানি সহ জ্বালাপোড়ার মত সমস্যা তৈরি হবে।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য যদি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয় আর যদি সেটি কারো ত্বকের সাথে শুট না করে, এক্ষেত্রেও ত্বকের চুলকানি বা জ্বালাপোড়া হতে পারে।
  • যাদের এলার্জি গত সমস্যা রয়েছে তারা যদি ই ক্যাপসুল গ্রহণ করে বা ত্বকে লাগায় সে ক্ষেত্রেও তাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
  • ই ক্যাপসুল অতিরিক্ত সেবনের ফলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়

আপনারা ইতিমধ্যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা লাভ করতে পেরেছেন। আপনারা অবগত হয়েছেন যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম অনুযায়ী যদি কেউ তাদের তকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এপ্লাই করে তাহলে অনেকটাই উপকার পেয়ে থাকে। আবার ডাক্তারদের মতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো সেই অনুযায়ী যদি নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহণ করা হয় সেক্ষেত্রেও শারীরিক সমস্যাগুলো নিরসনে ভালো উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু একটি বিষয় আমাদের মাথায় সব সময় রাখতে হবে সেটি হলো অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত যদি আমরা 

অতিরিক্ত ভাবে ই ক্যাপসুল গ্রহণ করি সেক্ষেত্রে অবশ্যই এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলোর মধ্যে রয়েছে অল্প কাজ করেই হাঁপিয়ে ওঠা, হঠাৎ করেই মাথাব্যথা শুরু হওয়া, ত্বকে ফুসকুড়ি ওঠা। মাঝে মাঝে দূরের জিনিস দেখতে না পাওয়া এবং ঘোলাটে হয়ে যাওয়া। পাশাপাশি পেটে প্রচুর পরিমাণে ব্যথার উপশম ঘটতে পারে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা এবং শ্বাসকষ্ট হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তাই অবশ্যই আমাদের ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। যদি প্রয়োজন পড়ে, তাহলে একজন অভিজ্ঞ মেডিসিন বিভাগের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করার মাধ্যমে ই ক্যাপ ক্যাপসুল গ্রহণ করা যাবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো

বাজার থেকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ক্রয় করার সময় অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের ই ক্যাপসুল ক্রয় করতে হবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো এ সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে। কেননা যদি আমরা কম দামি ব্র্যান্ডের বা খারাপ মানের ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করি সে ক্ষেত্রে নানা রকম সমস্যা তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক। খারাপ মানের ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর এক্সট্রাক্ট পদার্থগুলো যদি আমরা ত্বকে অ্যাপ্লাই করি সেক্ষেত্রে চুলকানি বা ফুসকরি ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা নিজেরাও যে ব্র্যান্ডের ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করেছি সেটাই আপনাদের ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দেব। 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল যেহেতু সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না তাই অন্যান্য উপাদান যেমন এলোভেরা, গ্রিন টি এগুলো হাতের কাছে পাওয়া গেলেও ভিটামিন ই ক্যাপসুল সাধারণত ফার্মেসির দোকানগুলোতে গিয়ে কিনতে হয়। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং খুবই ভাল মানের একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল হচ্ছে ই-ক্যাপ ক্যাপসুল (৪০০ আই ইউ)। নিচে ই ক্যাপ ক্যাপসুলের দাম সহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল দাম কত

আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, ত্বকের বিভিন্ন রকম চুলকানি বা অন্য কোন সমস্যা যদি কারো থাকে তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল অ্যাপ্লাই না করাই ভালো। আমরা উপরে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের কথা উল্লেখ করেছি যা ফার্মেসির দোকান থেকে শুরু করে আপনি অন্য কোন দোকানে অনায়াসে পেয়ে যাবেন। ভিটামিন ই-ক্যাপ ক্যাপসুল (৪০০ আই ইউ, আলফা টোকোফেরোল এসিটেট) ক্যাপসুলটি দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড থেকে তৈরি করা হয়ে থাকে। 
এর ইউনিট প্রাইস হচ্ছে ৭ টাকা, স্ট্রিপ প্রাইস ধরা হয়েছে ১০৫ টাকা। তবে নির্ধারিত দামটি যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। যেহেতু এটি একটি খুবই ভালো মানের ই ক্যাপ ক্যাপসুল। তাই আপনারা চাইলে নিশ্চিন্তে ক্যাপসুলটি ক্রয় করতে পারেন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ৪০০ খাওয়ার নিয়ম

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো বিষয়টি জানার পাশাপাশি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম অর্থাৎ ই ক্যাপসুল গুলো কোন নিয়মে খেতে হয় সে বিষয়টিও জানতে হবে। আমরা এখানে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ডোজগুলো লেখার চেষ্টা করেছি। আপনি চাইলে অবশ্যই একজন মেডিসিন বিভাগে ডাক্তারের সাথে কথা বলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া শুরু করতে পারেন। নিচে সবগুলো শ্রেণীর মানুষের ক্ষেত্রে কিভাবে ই ক্যাপসুল খাওয়া শ্রেয় সে বিষয়টি তুলে ধরা হলো।
  • প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ ভিটামিন ই-ক্যাপ ৪০০-৬০০ আইইউ প্রতিদিন ১ বার খাওয়া যাবে।
  • হৃদরোগের ক্ষেত্রেঃ ভিটামিন ই ২০০ আইইউ প্রতিদিন ৩ বার (হৃদরোগ নাইট্রেটের কার্যকারিতা উন্নত করতে) খেতে পারবে।
  • ডিমেনশিয়া রোগীর ক্ষেত্রেঃ ই-ক্যাপ ক্যাপসুল ৮০০-২০০০ আইইউ দিনে ১-২ বার (ডিমেনশিয়া/আলঝাইমার রোগ) গ্রহণ করা যাবে।
  • পুরুষ বন্ধ্যাত্বর ক্ষেত্রেঃ ভিটামিন ই-ক্যাপ ২০০-৬০০ আইইউ প্রতিদিন ১ বার পুরুষ বন্ধ্যাত্বের উন্নতি করার ক্ষেত্রে খেতে হবে।
  • ঋতুচক্রের সমস্যার ক্ষেত্রেঃ ভিটামিন ই-ক্যাপ ৪০০ আইইউ প্রতিদিন ১ বার (মাসিক সিনড্রোম যদি থাকে) গ্রহণ করা উচিত।

লেখকের শেষকথা

আশা করি আপনারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম সংক্রান্ত বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পেরেছেন। ভবিষ্যতে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের কোন তথ্য যদি আপনাদের উপকারে আসে তাহলেই কেবলমাত্র লেখক এর সার্থকতা। আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আমরা সব সময় এরকম তথ্যবহুল আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করে থাকে আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। পাশাপাশি আজকের এই পোস্টটি আপনার বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url