অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ-অনলাইন লোন অ্যাপ্লাই
অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে আমরা অনেকেই শুনেছি কিন্তু কিভাবে অনলাইন মোবাইল লোন আবেদন করতে হয় এ বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত নই। জরুরী প্রয়োজনে হঠাৎ কারো যদি অর্থের প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে কারো কাছ থেকে সাহায্য না পেলে অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ এর পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে খুব সহজেই লোনের আওতায় যাওয়া সম্ভব।
তাই চলুন আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা যায়। উক্ত বিষয় সম্পর্কে আপনারা আরো যে সকল বিষয়ে জানতে পারবেন সেগুলো হলো অনলাইন লোন অ্যাপ্লাই সম্পর্কে এবং জরুরি লোন বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানো হবে। সুতরাং সকল তথ্য পাওয়ার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্র
অনলাইন মোবাইল লোন কি
অনলাইন মোবাইল লোন কিভাবে পেতে হয় বিষয়টি জানার জন্য অবশ্যই সকলের অনলাইন মোবাইল লোন বিষয়টা কি এটা কিভাবে বাস্তবায়িত হয় সেগুলো জানা প্রয়োজন। ইন্টারনেটের সংযোগ আসার পর থেকে গোটা পৃথিবী যেমন একে অপরের সাথে যোগাযোগে সহজ হয়েছে ঠিক তেমনি ইন্টারনেটের বদৌলতে বর্তমানে জরুরি প্রয়োজনে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম লোন প্রদান করছে। কারো যদি জরুরি প্রয়োজনে অর্থের প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে ব্যাংকে গিয়ে বিভিন্ন প্রসেসের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করা কষ্টসাধ্য হওয়ার সাথে সাথে ঝামেলারও একটি বিষয়।
আর ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করতে হয়। সুতরাং জরুরী প্রয়োজনে যদি কেউ অর্থ সংকটে পরে সেক্ষেত্রে কিছু অনলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে তারা ইনস্ট্যান্ট জরুরী ভিত্তিতে গ্রাহকে লোন প্রদান করে থাকে আর এ বিষয়টিকেই অনলাইন মোবাইল লোন বলা হয়। ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার বিষয়টি বাস্তবায়িত হয় সহজ কিছু প্রসেস এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর মাধ্যমে। যেমন ধরুন ঋণ গ্রহীতার জাতীয় পরিচয় পত্র, ইনকাম সোর্স এর প্রমাণপত্র এবং জামিনদারের ডিটেলস প্রদানের মাধ্যমে।
কিন্তু অনলাইন মোবাইল লোন পাওয়া ক্ষেত্রে এত কিছু ডকুমেন্টসের প্রয়োজন পড়ে না। অল্প কিছু বিষয়ের ভিত্তিতে অনলাইন লোন অ্যাপ্লাই পাস হয়। তবে অনলাইন মোবাইল লোন নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী লোন গ্রহণ সম্ভব হয় না। অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ এই বিষয়টির ক্ষেত্রে কিছু লিমিট দেওয়া রয়েছে অর্থাৎ ওই লিমিটের বেশি কেউ লোনের আওতায় যেতে পারবে না।
অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ
অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকে। কিন্তু সেখানে সঠিক গাইডলাইন পাওয়ার অভাবে অনেকেই আর লোন গ্রহণ করতে পারেনা বরং বিরক্ত হয়ে যায়। তাই চলুন আজকে আপনাদেরকে স্টেপ বাই স্টেপ কিভাবে লোন গ্রহণ করতে পারবেন সে বিষয়গুলো অবশ্যই জানাবো। তাই ধৈর্য ধরে আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়ুন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের সকলের কাছে স্মার্টফোন থাকার কারণে খুব সহজেই অনলাইন মোবাইল লোন পাওয়া সম্ভব। আর এই সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের কিছু ব্যাংক এবং মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলো
অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের স্বল্প পরিমাণ তথ্যের ভিত্তিতে লোন প্রদান করে যাচ্ছে। ধরুন আপনি কোন এক বিষয়ের ভিত্তিতে বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন, জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন অল্প কিছু টাকা। সে ক্ষেত্রে কারো কাছে থেকে যদি সাহায্য না পান তাহলে অনলাইন মোবাইল লোনের মাধ্যমে ১০ থেকে ২০ হাজার এবং বিশেষ ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। আবার যারা ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন, কিন্তু অর্থের অভাবে সেটা আর হয়ে উঠছে না, তারাও খুব দ্রুততার সহিত এ লোনের আওতায় যেতে পারেন। তবে প্রতারক চক্র সব জায়গাতেই ওত পেতে থাকে।
অনলাইন মোবাইল লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে এখানেও আপনি প্রতারণার শিকার হতে পারেন। তাই সঠিক জায়গা থেকে লোনের জন্য আবেদন করা খুবই জরুরী একটি বিষয়। অনেকে মনে করতে পারেন যে আমি কোন অ্যাপস এ গিয়ে যদি লোন না পাই সে ক্ষেত্রে আমার অসুবিধাটা কি। আমি তো আর তাকে কোনরকম টাকা পয়সা দেয়নি। কিন্তু বিষয়টা হলো লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা আপনার কাছ থেকে অবশ্যই কিছু তথ্য বা ডাটা সংগ্রহ করবে। অর্থাৎ আপনার বিষয়ে অতিরিক্ত কিছু ডাটা সংগ্রহ করে
রাখবে। এমনকি সংবেদনশীল ডাটার ভিত্তিতে পরবর্তীতে আপনি ব্ল্যাকমেইলের শিকার পর্যন্ত হতে পারেন। তাই অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে ধারণা না পেলে কোনভাবেই কোন অ্যাপসের মাধ্যমে লোনের আবেদন করা উচিত নয়।
অনলাইন লোন অ্যাপ্লাই
আপনি যদি গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে অনলাইন লোন লিখে সার্চ করেন তাহলে দেখবেন কয়েকশত অ্যাপসের তালিকা আপনার সামনে চলে আসবে। এখানে বেশিরভাগ অ্যাপস দ্বারা দাবি করছে যে ইনস্ট্যান্ট লোন প্রদান করবে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা কোনো ধরনের লোন প্রদান করেই না পাশাপাশি আপনার মূল্যবান তথ্যগুলো সংগ্রহ করে। তারা আপনার কাছ থেকে এন আই ডি কার্ডের স্ক্যান কপি ছবি আত্মীয়-স্বজনের ফোন নাম্বার ইত্যাদি ব্যক্তিগত কিছু তথ্য সংগ্রহ করে নিবে। পরবর্তীতে আপনার দেওয়া তথ্যগুলো বিভিন্ন অবৈধ কাজকর্মে ব্যবহার করবে।
এমনও ঘটনা ঘটেছে অনলাইন লোন অ্যাপ্লাই করেছে ঠিকই। কিন্তু লোনের আওতায় যেতে পারেননি। কিন্তু পরবর্তীতে অ্যাপ্সে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতারক চক্রটি ব্যাংক থেকে ৫ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে নিয়েছে। আর সেই লোনের ভার চলে এসেছে ওই উক্ত ব্যক্তিটির উপর। সুতরাং এরকম ভোগান্তিতে না পড়ার জন্য অবশ্যই ট্রাস্টেড অনলাইন এপপ্স ব্যতীত লোনের জন্য আবেদন করা যাবে না। খেয়াল রাখতে হবে যেন অনলাইন এপসের রিভিউ গুলো ভাল হয় পাশাপাশি তাদের যেন একটা পার্মানেন্ট ওয়েবসাইট থাকে। সবচেয়ে বেশি ভালো হয় ব্যাংকের আওতাধীন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যে প্ল্যাটফর্ম
গুলো সেগুলোর মাধ্যমে লোন গ্রহণ করা। আমরা আজকে এখানে অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ এর জন্য একটি ট্রাস্টেড এপস এর কথা আলোচনা করব। অ্যাপসটির নাম হলো “Rapid Cash”। এই অ্যাপস এর মাধ্যমে অনেকেই জরুরী ভিত্তিতে লোন পেয়েছে। আসুন র্যাপিড ক্যাশ এই অ্যাপ থেকে লোন নেওয়ার জন্য কোন কোন স্টেপগুলো ফলো করতে হবে সে বিষয়ে জানা যাক।
- সর্বপ্রথমে আপনার কাছে সংগ্রহে রাখতে হবে লোন গ্রহীতার ভোটার আইডি কার্ড, জব আইডি এর স্ক্যান কপি, লোন গ্রহীতার ছবি এবং ফোন নম্বর।
- এরপর “Rapid Cash” ইনস্টল হয়ে গেলে লোন আবেদন অপশনে যেতে হবে।
- এই পর্যায়ে এসে তারা পর্যায়ক্রমে সকল তথ্য আপনার কাছ থেকে নিবে। অর্থাৎ আপনার ভোটার আইডি কার্ড এবং আরো অন্যান্য সকল ডকুমেন্টস এর স্ক্যান কপি পর্যায়ক্রমে আপলোড করতে হবে।
- কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার ফোনে একটি নোটিফিকেশন আসবে এবং সেখানে লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
- এখানে ১ সপ্তাহের সময় দেওয়া থাকে লোন পরিশোধের জন্য। যদি কেউ ৩০০০ টাকা লোন নেয় সেক্ষেত্রে এক সপ্তাহের মধ্যে ৩৫০০ টাকা জমা দিতে হয়।
তবে আপনাদের জ্ঞাতার্থে আরো একবার বিষয়টি জানাচ্ছি যে গুগল প্লে স্টোর থেকে যে সকল লোনের জন্য অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে সবগুলোই প্রতারণা করার জন্য। বিশেষ কিছু অ্যাপস হয়তোবা লোন প্রদান করে। তাই এসব অ্যাপ্স এর মাধ্যমে অনলাইন লোন অ্যাপ্লাই করা ঠিক হবে না। তবে বিশ্বস্ত কিছু প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকিং সেবার আওতায় যে সকল প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান রয়েছে তাদের মাধ্যমে খুব সহজেই লোন পাওয়া সম্ভব। চলুন তাহলে এবার মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের মাধ্যমে কিভাবে জরুরি ভিত্তিতে লোন নেওয়া যায় সেই বিষয়টি সম্পর্কে জানা যাক।
মোবাইল ব্যাংকিং লোন
মোবাইল ব্যাংকিং লোন এর কথা যখনই সামনে আসে তখন আমাদের মাথায় সর্বপ্রথমে বিকাশ, রকেট, নগদ এগুলোর কথা চলে আসে। উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের সাথে সবসময়ই সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখার পাশাপাশি তাদেরকে সঠিকভাবে সেবা প্রদানের মাধ্যমে অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশে স্থান পেয়েছে। অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ এ বিষয়টিতে আমরা আজকে মোবাইল ব্যাংকিং লোন সেবার ক্ষেত্রে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং লোন পরিষেবা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
বিকাশ লোন সিস্টেমটি সাধারণত সিটি ব্যাংকের আওতায় বা তাদের সাথে কোলাবারেশনের মাধ্যমে এই সেবাটি চালু করা হয়েছে। যদি কেউ জরুরী ভিত্তিতে লোন নিতে চায় আশা করি বিকাশ মোবাইল লোন পদ্ধতি অনুযায়ী খুব সহজেই একজন ব্যক্তি লোনের আওতায় যেতে পারবে। চলুন তাহলে বিকাশ অ্যাপস এর মাধ্যমে কিভাবে মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে লোন নেওয়া যায় সে বিষয়ে জানা যাক।
- প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে বিকাশ মোবাইল অ্যাপস টি ইন্সটল করে নিতে হবে। এখানে অবশ্যই যারা পুরাতন বিকাশ অ্যাপস ব্যবহারকারী অর্থাৎ দীর্ঘদিন যাবত লেনদেনের বিষয়টি চালিয়ে আসতে তারাই এ লোনের আওতায় আসতে পারবে।
- বিকাশ অ্যাপস ইনস্টল করার পর লগইন করলে সেখানে লোগো সহকারে “লোন” নামের একটি অপশন দেখা যাবে। সেই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
- যদি আপনি লোনের জন্য যোগ্য বা ইলিজিবল হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ফরম ফিলাপের পেজটি ওপেন হবে। আমরা ইতিমধ্যে বলেছিলাম যদি কোন ব্যক্তি নতুন হয় সেক্ষেত্রে লোনের অপশন পেলেও ফরম ফিলাপের অপশন পাবে না। অর্থাৎ নতুন ব্যক্তি আপাতত লোন নিতে পারবে না।
- আপনি যদি লোনের আওতায় ভুক্ত পড়েন অর্থাৎ এই পর্যায়ে এসে ফরম ফিলাপের অপশন পেয়ে যান তাহলে আপনার নাম ঠিকানা জাতীয় পরিচয় পত্রের স্ক্যান কপি আপনার ছবির, স্ক্যান কপি এবং যাবতীয় বিষয় ফিলাপ করার পর “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করুন।
- “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করলে আপনার অনলাইন লোন অ্যাপ্লাই আবেদন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে যাবে। সবকিছু সঠিক হলে ২ থেকে ৩৬ ঘন্টার মধ্যে আপনার অ্যামাউন্টে অর্থাৎ বিকাশ একাউন্টেই আপনার লোনের টাকা জমা হয়ে যাবে। এরপর নোটিফিকেশন অথবা মেসেজ এর মাধ্যমে লোন পরিষদের শেষ তারিখ এবং কত পরিমাণ টাকা ইন্টারেস্ট সবকিছু জানিয়ে দেয়া হবে। আশা করি আপনারা অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ এর আওতায় বিকাশ অ্যাপ থেকে কিভাবে এবং কোন শর্তের ভিত্তিতে লোন পাওয়া সম্ভব।
জরুরী লোন বাংলাদেশ
জরুরি লোন বলতে এখানে বোঝানো হচ্ছে যে কোন ব্যক্তির যদি দুর্ঘটনাবশত অথবা যে কোন কারণে জরুরী ভিত্তিতে অর্থের প্রয়োজন হয় এবং কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি জরুরী ভিত্তিতে সেই লোন গ্রান্টেড করে সেটাকে জরুরী লোন বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সকল সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের মাধ্যমে জরুরি লোন নেওয়া সম্ভব। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় জরুরি লোন হল ক্রেডিট কার্ডের ভিত্তিতে লোন গ্রহণ করা। ইনস্ট্যান্ট ক্যাশ উত্তোলনের জন্য অর্থাৎ জরুরি লোন নেওয়ার জন্য বর্তমানে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
এর কারণ হলো দ্রুততার সঙ্গে যে কোন এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন সম্ভব। আপনার একাউন্টে যদি কোন টাকা না থাকে সে ক্ষেত্রেও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে জরুরি লোন নেওয়া সম্ভব। ক্রেডিট কার্ড দিয়ে জরুরী লোন গ্রহণ করলে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল কোন কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না পাশাপাশি কোনরকম জামানত রাখতে হয় না। বাংলাদেশের যেকোনো সুনাগরিক এ ধরনের লোন নিতে পারবে যদি তার ক্রেডিট কার্ড থাকে। বলাবাহুল্য যে এ ধরনের লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
কারণ একমাত্র ইমারজেন্সি সময় ছাড়া এ ধরনের লোন গ্রহণ করা একটু কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। এর কারণ হলো অতিরিক্ত সুদের হার। অন্যান্য লোনের ক্ষেত্রে যদি সুদের হার ১২% হয় সেখানে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে জরুরী ভিত্তিতে লোন গ্রহণ করলে সুদের হার আসবে ১৬% এর উপরে। তাই জরুরী লোন তখনই নিতে হবে যদি সেটি এমার্জেন্সি পর্যায়ে দাঁড়ায় এবং অর্থের ব্যাপক পরিমাণ প্রয়োজন হয়।
প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ
আমরা ইতিমধ্যে অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ এবং অনলাইন লোন অ্যাপ্লাই সম্পর্কে অনেকটাই অবগত হতে পেরেছি। এই টপিক্সের বাহিরে আজকে একটি লোন সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। সাধারণত যারা ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন বা ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করতে যাচ্ছেন কিন্তু মূলধনের অভাবে পেরে উঠছেন না তাদের জন্য “প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ” এর আওতায় অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই লোনের সুবিধা হল কোনরকম জামানত ছাড়াই লোন নেওয়া সম্ভব।“প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ” হলো মূলত ছোট পরিসরের ব্যবসা এবং নিয়োজিত ঋণ প্রদানের একটি প্রকল্প।
এই ঋনের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের বেকার যুব সমাজকে উৎপাদনমুখী এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত করা। অনেক বেকার যুবক আছেন যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ঋণের খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। তাদের কথা মাথায় রেখে আমাদের সরকার “প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ” এর আওতায় অনেক ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রকল্পটি হল “প্রধানমন্ত্রী ব্যবসা লোন বাংলাদেশ”। “প্রধানমন্ত্রী ব্যবসা লোন বাংলাদেশ” প্রধানমন্ত্রীর লোন প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। উক্ত ঋণের মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং উৎসাহিত করার
ক্ষেত্রে সুবিধা গ্রহণ করা যায়। প্রধানমন্ত্রী ব্যবসা লোন বাংলাদেশ একটি প্রাসঙ্গিক ঋণ হিসেবে প্রদান করা হয় যা পরবর্তীতে উৎপাদন মুখী নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত করা হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসা লোন বাংলাদেশ এর আওতায় উদ্যোক্তা লোন কিভাবে পাওয়া যায় প্রশ্নে অবশ্যই কিছু শর্ত এবং যোগ্যতার কথা উঠে আসে। নিচে সেই সকল যোগ্যতা গুলো তুলে ধরা হলো।
- ঋণগ্রহীতাকে অবশ্যই একজন বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- যে কাজের জন্য লোন গ্রহণ করা হচ্ছে সেই কাজে যদি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না হয় সে ক্ষেত্রে লোন প্রদান করা হবে না।
- প্রার্থীকে অবশ্যই বেকার হতে হবে। কোন কর্মে নিয়োজিত থাকলে ঋণ গ্রহণযোগ্য হবে না।
- আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৩৪ এর মধ্যে হতে হবে।
- যে প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে যাচ্ছেন সেটি পরিচালনা করার মত যোগ্যতা থাকতে হবে।
- আবেদনকারী যদি অন্য কোথাও থেকে লোন গ্রহণ করে থাকে এবং সেটি যদি ঠিকমতো পরিশোধ না করে। তাহলে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসা লোন গ্রান্টেড বলে গণ্য হবে না।
- অবশ্যই একজন জামানতদার যার জমি জমা রয়েছে এরকম ব্যক্তি প্রয়োজন পড়বে। পাশাপাশি জামানতদারের অবশ্যই ঋণ পরিশোধ করার মতো ক্ষমতা থাকতে হবে। তাই অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি কেউ নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে “প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ” এর আওতায় লোনের আবেদন করতে পারেন।
লেখক শেষকথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা আজকের এই আর্টিকেলের একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আশা করি এ পর্যন্ত পড়ার পরে আপনাদের অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে খুব ভালো একটি ধারণা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি নিজেদেরকে সচেতন করতে পেরেছেন। এরপরেও অনলাইন লোন অ্যাপ্লাই সম্পর্কে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা সবসময় আমাদের আর্টিকেলে সঠিক তথ্য সরবরাহ করার চেষ্টা করে থাকি।
আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আজকের এই বিষয়বস্তু যেহেতু অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ সুতরাং আপনি আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের সচেতন করার পরিপ্রেক্ষিতে এই পোস্টটি একটি শেয়ার করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url