মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম সম্পর্কে জানুন

মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম সত্যিকার অর্থে কতটা কাজে দেয় এবং আসলেই কি কোমর ব্যাথার ক্ষেত্রে ব্যায়াম কার্যকর ভূমিকা পালন করে কিনা সেটি জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই সরেজমিনে এক্সারসাইজগুলো করা প্রয়োজন। আর সেজন্যই আজকের এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে কোন ব্যায়ামগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত সে বিষয়েটি নিয়ে বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হবে। 
মহিলাদের-কোমর-ব্যথার-ব্যায়াম
আজকের এই আর্টিকেলে উক্ত বিষয় বাদেও আরো যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে চলেছেন সেগুলো হল কোমরের ব্যথার ব্যায়াম এবং অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ সম্পর্কে। কোমর থেকে পা পর্যন্ত ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আরও একটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন সেটি হল কোমর ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যায়াম সম্পর্কে। সুতরাং আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে উক্ত বিষয়গুলো এবং মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র

কোমর থেকে পা পর্যন্ত ব্যথার কারণ

মানব শরীরে সায়াটিক নাক নামে একটি দীর্ঘ স্নায়ুতন্ত্র রয়েছে। মূলত স্নায়ুতন্ত্র টি স্পাইনাল কর্ড থেকে শুরু করে মেরুদন্ডের শেষ প্রান্তে উড়ুর পেছনের দিক দিয়ে অতিবাহিত হয়ে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত বিস্তৃত ভাবে অবস্থান করছে। যদি কোন কারণবশত সে সকল স্নায়ুতন্ত্রে চাপ পড়ে তাহলে কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত তীব্র ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তখন এই সমস্যাটিকে “সায়াটিকা” বলা হয়। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে স্নায়ুতন্ত্র কি চাপের মুখের পড়লেই প্রধানত ব্যথা উৎপত্তি হয় নাকি অন্য কোন কারণ রয়েছে। মূলত স্নায়ুতন্ত্র গুলোর উপর চাপ পড়ার কারণেই ব্যথা সৃষ্টি হয়ে থাকে, 

তবে গবেষণায় উঠে এসেছে শুধুমাত্র স্নায়ুতন্ত্র এর ক্ষেত্রে নয় বয়সের কারণে ও ব্যথাগুলো সৃষ্টি হয়ে থাকে। একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমার পর আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো যেমন অকেজ হতে শুরু করে ঠিক তেমনি আমাদের শরীরের পা থেকে মাথা পর্যন্ত বিভিন্ন অংশে ধীরে ধীরে ব্যথা সৃষ্টি হয়ে থাকে। অনেকে ব্যথাগুলোকে বাত ব্যথা বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। এ ধরনের সমস্যাগুলো পুরুষ এবং মহিলা উভয় পড়ে থাকেন। তাই পুরুষ এবংমহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম গুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা রাখতে পারেন তাহলে কোমর কিংবা পা ব্যথা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ

আমরা ইতিমধ্যে অবগত হতে পেরেছি যে মূলত বয়স বৃদ্ধির কারণে শরীরের কোমর বা অন্যান্য অংশে ব্যথা সৃষ্টি হয়। তবে শুধুমাত্র বয়স বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নয় অনেক সময় অল্প বয়সেও কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। তবে পূর্বের তুলনায় যদি এখন হিসেব করা হয় তাহলে বর্তমানে এই সমস্যার পরিধি আরো বিস্তার পাচ্ছে। সেগুলো আমাদের কিছু খারাপ অভ্যাস বা কর্মস্থলের কাজ করার ক্ষেত্রকে কারণ হিসেবে দর্শানো যায়। পরিসংখ্যান আরো একটি তথ্য আমাদের সামনে এনেছে সেটি হল প্রায় ৪০% মানুষ সায়াটিকা ব্যথায় ভুগে থাকেন। 
পুরুষ অথবা নারী যেই হোক না কেন সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর থেকে এরকম সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু অনেক সময় খুব অল্প বয়সে কোমরের সমস্যায় বা ব্যথায় ভুগতে থাকেন এরকম রোগীর অভাব নেই। অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ গুলো কি কি হতে পারে নিচে সেগুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।
  • মেরুদন্ডের কোমরের নিচের অংশের কোন ডিস্ক বা নরম হাড় গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি স্থানচ্যুত হয়ে ন্সায়ুতে চাপ সৃষ্টি করা।
  • অনেক সময় স্নায়ু চলাচলের পথ শুরু হয়ে গেলেও ব্যথা সৃষ্টি হয়ে থাকে।
  • কর্মস্থলে যদি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাজ করা হয় সেক্ষেত্রেও ব্যথা হয়।
  • কশেরুকা গুলো যদি কোন কারণবশত স্থানচ্যুত হয় সেক্ষেত্র ব্যাথার উৎপত্তি হয়ে থাকে।
  • যদি ভারী জিনিস উত্তোলন করার অভ্যাস না থাকে কিন্তু হঠাৎ করেই যদি ভারী বস্তু উঠানো হয় সেক্ষেত্রেও ব্যথা সৃষ্টি হয়।
  • দীর্ঘক্ষণ সামনে ঝুঁকে কেউ যদি কম্পিউটার বা অন্য কোন কাজ করা হয় সেক্ষেত্রেও কোমর কিংবা পা ব্যথা হয়ে থাকে।
  • দীর্ঘক্ষণ মোটরসাইকেল কিংবা সাইকেল চালালে স্নায়ুতন্ত্র গুলোর উপরে খুব বেশি চাপ পড়ে সেক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে কোমর ব্যথা হয়।
এছাড়া যদি শারীরিকভাবে স্নায়ু রোগ, স্লিপড ডিস্ক, পেশির খিচুনি, স্পন্ডিলাইটিস ইত্যাদি এর মতো রোগ দ্বারা আক্রান্ত কেউ হয় সে ক্ষেত্রেও কোমর কিংবা পুরো শরীর ব্যথা হয়ে থাকে। উক্ত কারণে যদি সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয় তাহলে অবশ্যই মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম গুলো নিয়মিত চর্চা করা প্রয়োজন যার মাধ্যমে সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম

মহিলাদের ব্যথা মুক্তি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু ব্যথা এর পরিমাণ যদি অধিকতর হয়ে থাকে তাহলে কখনোই সঠিকভাবে ব্যায়াম করাও সম্ভব নয় আর ব্যাথা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া ও খুব কঠিন হয়ে পড়ে। ডাক্তাররা সব সময় কোমর ব্যথা বা যে কোন শারীরিক ব্যথার ক্ষেত্রে ব্যায়াম কে গুরুত্ব দিয়েছেন। ব্যায়ামের পাশাপাশি যদি ব্যথা অতিরিক্ত হয় সে ক্ষেত্রে কোমরে হালকা গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে। ব্যথার পরিমাণ যদি খুব বেশি হয় সে ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৭ দিন ব্যথা কমতে সময় নিতে পারে। 

তাই বিষয়টিকে নিয়ে বেশি না ঘাবড়িয়ে সঠিক পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করার মাধ্যমেই সমস্যাটি থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। যদি কোন মহিলা বয়েসজনিত কারণে অথবা অল্প বয়সে কোমরের যে কোন সমস্যার কারণে যদি তীব্র ব্যথা অনুভব করে সে ক্ষেত্রে মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়ামগুলো অবশ্যই সঠিকভাবে এপ্লাই করা প্রয়োজন। ব্যায়ামগুলোকে কয়েকটি ধাপে বিভক্ত করা হয়েছে। অবশ্যই প্রত্যেকটি ধাপ সঠিকভাবে চর্চা করতে হবে তাহলে কেবলমাত্র ভালো ফলাফল আশা করা যায়

প্রথম ধাপ

সর্বপ্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে হাত দুটোকে শরীরের দুইপাশে রেখে পা দুটো সোজা করে তারপর শুতে হবে। এক্ষেত্রে হাডুকে ভাজ না করেই একটি পা উপরের দিকে তুলতে হবে। যতটা উপরে তুলতে পারবেন তোলার চেষ্টা করুন। ১০ সেকেন্ড এ পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করুন। অন্য পাটিও নিয়ে ঠিক একই ভাবে সেম পজিশনে রাখুন।

দ্বিতীয় ধাপ

এ পর্যায়ে এসে পা দুটিকে একসঙ্গে তুলতে হবে। এবার এক হাঁটু ভাঁজ করে দুই হাত ব্যবহার করে হাঁটু ভাঁজ করে জড়িয়ে ধরে বুকে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। বুকে লাগানোর পর ঠিক এই পজিশনে ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে। ঠিক একইভাবে অন্য হাঁটু টিও বুকে লাগানোর চেষ্টা করুন। এভাবে দুই হাঁটু একসঙ্গে এবার বুকে লাগানোর চেষ্টা করুন এবং ওই পজিশনে ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন।

শেষ ধাপ

সর্বশেষ এ ধাপে এসে দুই পা সোজা করে পায়ের পাতার দিক করে ১০ সেকেন্ড রাখতে হবে। প্রতিটি ধাপ অবশ্যই মিনিমাম ১০ সেকেন্ড করে পজিশন ধরে রাখাটা খুবই জরুরী। মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম গুলো অবশ্যই দিনে ২ থেকে ৩ বার সকাল এবং রাতে করার চেষ্টা করুন। অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ গুলো যদি বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই উপরুক্ত ব্যায়ামগুলো করার মাধ্যমে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 
উপরে বর্ণিত ব্যায়ামগুলো অর্থাৎ পদ্ধতিগুলো যদি অবলম্বন করা হয় সেক্ষেত্রে কোমরের মাংসপেশীর ইনফ্লামেশন কমবে তো বটেই তার সঙ্গে কোমর শক্ত হবে। এতে করে আপনি কোমর থেকে ব্যথা অনুভব আর বুঝতে পারবেন না। এছাড়াও ব্যথা কমানোর জন্য পেলাটিস এবং স্ট্রেচিং এর মত কিছু ব্যায়াম করতে পারেন

মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

মহিলাদের ক্ষেত্রে কোমর ব্যথা একটি সাধারন সমস্যা হিসেবে ধরা হয়। বিভিন্ন কারণবশত মহিলাদের কোমরে ব্যথা হতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে কোন সময় কম আবার কোন সময় তীব্র ব্যথা হতে পারে এবং পাশাপাশি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী আকার ধারণ করে থাকে। ইতিমধ্যে আমরা অবগত হয়েছি একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমা পার করার পর পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই এ ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হয়ে থাকেন। তবে অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ খুবই চিন্তার একটি বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। 

সেক্ষেত্রে পুরুষদের এবং মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম গুলো অবশ্যই ভালোভাবে জানা উচিত এবং সে অনুযায়ী যদি তারা প্রতিদিন দিনে দুই থেকে তিনবার চর্চা করে তাহলে অবশ্যই এর প্রতিকার করা সম্ভব। আসুন তাহলে মহিলাদের কোমর ব্যাথার কারণ গুলো প্রথমে জেনে নেওয়া যাক। নিচে কারণগুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।
  • মহিলাদের ঋতুচক্রের সময় জরায়ু সংকোচিত হওয়ার ফলে কোমরে এমনকি তলপেটে তীব্র ব্যথা হতে থাকে। তাই ব্যথার কারণ হিসেবে মাসিক বা ঋতুচক্রকে ধরা যেতে পারে।
  • অনেক সময় মহিলারা বিশেষ করে গ্রামে যারা বসবাস করেন তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজকর্মে ব্যস্ত থাকেন। হঠাৎ করেই যদি কোন মহিলা ভারী কোন জিনিস তোলা বা ভুলভাবে উঠতে গিয়ে বা বসতে গিয়ে ব্যথা অনুভব করেন অর্থাৎ পেশিতে টান লেগে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।
  • গর্ভবতী মায়েরা যখন গর্ভাবস্থায় সময় পার করেন সে সময় তাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় এবং পাশাপাশি হরমোনের পরিবর্তনের ফলে কোমর এবং পিঠে প্রচন্ড ব্যথা হয়ে থাকে।
  • যদি কোন মহিলার স্পন্ডিলাইটিস, অস্ট্রিওআর্থাইটিস বা ডিস্ক হারনিয়েশনের মতো মেরুদন্ডের সমস্যাগুলো থেকে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে কোমরে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয়।
এছাড়াও যদি কেউ মানসিক চাপ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন ধারায় নিজেকে অতিবাহিত করে, যেমন অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, ধূমপান, শারীরিক চর্চা এর অভাব ইত্যাদি কারণে কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। উপরে বর্ণনাকৃত কারণগুলো অবশ্যই ব্যায়ামের মাধ্যমে অর্থাৎ মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম গুলো অনুসরণের মাধ্যমে ব্যথা অনেকাংশেই কমানো সম্ভব। এরপরেও আরো কিছু বিষয় রয়েছে যার মাধ্যমে মহিলাদের কোমর ব্যথার প্রতিকার করা সম্ভব। আসুন তাহলে এবার প্রতিকার সম্বন্ধে ধারণা নেওয়া যাক।

মহিলাদের কোমর ব্যথার প্রতিকার

মহিলাদের যদি কোমরে ব্যথা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে ঔষধ সেবনের চেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে যদি ব্যথা নিরসন হয় তাহলে সেই পদ্ধতিটিকেই অবলম্বন করাই শ্রেয়। অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ গুলো যখন দেখা দেয় তখন আর চিন্তার শেষ থাকে না। ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেকেই অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করতে থাকে। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা করায় উত্তম বলে আমরা মনে করি। এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তার থেকে শুরু করে সকলেই ব্যায়াম কে ব্যথা মুক্তির ঔষধ বলে দাবি করে থাকেন। 

নিচে পর্যায়ক্রমে মহিলাদের কোমর ব্যথার প্রতিকার হিসেবে ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যায়াম ব্যতীত আরো অন্যান্য যে বিষয়গুলো রয়েছে সবগুলো দেয়া হলো।

কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যায়াম

কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যায়াম কে বেশি গুরুত্ব দেয়ার কারণ হলো, ওষুধ ব্যতীত একমাত্র ব্যায়াম করেই উক্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র মহিলা নয় পুরুষদের ক্ষেত্রেও কোমরে ব্যথা থেকে যদি মুক্তি পেতে চায় তাহলে নিয়মিত ব্যায়াম ব্যতীত অন্য কোন আর বিকল্প নেই। সুতরাং নিয়ম মেনে অবশ্যই প্রতিদিন ব্যায়াম করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সকালে জগিং থেকে শুরু করে স্টেচিং এমনকি যোগব্যায়ামও অনেক সময় ব্যথা নিরসনে কাজে দেয়। তবে যদি ব্যথার পরিমাণ তীব্র হয় এবং ব্যায়াম করতে অপারগ হয় সেক্ষেত্রে ব্যায়াম না করাই ভালো। 
প্রাথমিক অবস্থায় ব্যথা মিশনের জন্য অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করা জরুরী। মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম গুলোর মধ্যে নিয়মিত হাটা থেকে শুরু করে সকালে জগিং, স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই ওয়েট লিফটিং করা যাবে কিনা সেটা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অথবা ট্রেইনারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কেবলমাত্র করা উচিত। এছাড়াও কোমরের ব্যথা প্রতিকার করার জন্য আরো যে বিষয়গুলোতে খেয়াল রাখা জরুরী সেগুলো নিচে দেওয়া হল।
  • ব্যথা যদি তীব্র আকার ধারণ করে তাহলে অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে। বিশ্রাম নেওয়ার পর ব্যথার স্থানে হালকা গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে।
  • বর্তমানে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ফিজিওথেরাপি এর ব্যবস্থা রয়েছে। তীব্র ব্যথা হলে একজন ফিজিওথেরাপিস্টের সাথে কথা বলে থেরাপিটি গ্রহণ করা যাবে। এতে করে অনেকটাই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
  • অবশ্যই নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নিজের বয়স এবং হাইট এর তুলনায় বিএমআই যতটা রাখা প্রয়োজন ঠিক ততটাই রাখতে হবে। এতে করেও ব্যাথা নিরসন সম্ভব।
  • সঠিকভাবে বসে থাকা এবং দাঁড়ানোর সময় এমনকি ভাড়ি কিছু উত্তোলনের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনভাবেই কোমরে চাপ না পরে।
ঔষধ সেবনের ক্ষেত্রে সচেতন থাকা খুবই জরুরী। উপরে বর্ণিত ব্যায়ামগুলো অনুসরণ করার পরেও যদি কোন রকম উন্নতি পরিলক্ষিত না হয় সে ক্ষেত্রে ব্যাথার ঔষধ হিসেবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা উচিত।

লেখকের শেষকথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম। আশা করি যদি অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ গুলো কিভাবে উপলব্ধি করতে হয় সে বিষয়টি সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আবার মহিলাদের কোমর ব্যথার প্রতিকার হিসেবে, মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। আমরা এটাও আশা ব্যক্ত করছি যে, উপরে বর্ণিত তথ্যগুলো আপনাদের জীবদ্দশায় কোন না কোন সময় কাজে আসবে। আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে পড়ার জন্য। 

আজকের পোষ্ট সংক্রান্ত যদি আপনার কোন মন্তব্য থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে সেটি জানাতে পারেন। এরকম আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। পাশাপাশি আপনার বন্ধু অথবা আত্মীয়দের উপকারের লক্ষ্যে আজকের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন। পরিশেষে সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url