কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়
আপনার কি ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে গিয়েছে? তাহলে এই ব্লগপোস্টে জানুন কোন ভিটামিনের অভাবে আপনার দাঁতের মাড়ি ফুলে গিয়েছে এবং কিভাবে দাঁতের মাড়ি ফোলা প্রতিরোধ করতে পারবেন। মানবদেহের যতগুলো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রয়েছে তার মধ্যে দাঁত খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দাঁত ও মাড়ির সুস্থতার জন্য আমাদের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া প্রয়োজন। এর পাশাপাশি কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলা প্রয়োজন। আমাদের মধ্যে অনেকেরই দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়ার সমস্যা আছে।
কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় এই বিষয়ে যদি আপনি ইন্টারনেট স্ক্রল করা অবস্থায় আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন তাহলে আমি বলব আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। অনেক রোগীরা আছেন যারা দীর্ঘদিন যাবত দাঁতের মাড়ির সমস্যায় ভুগছেন। এর কোনো সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না। এমনকি তারা এটাও জানে না কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়। আমাদের আজকের পোষ্টের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আপনাদেরকে জানানো কোন ভিটামিন জাতীয় খাবার খেলে
আপনারা দাঁতের মাড়ির অসুখ থেকে রক্ষা পাবেন এবং কি কি নিয়মাবলী মেনে চললে আপনাদের দাঁত সুস্থ ও সবল থাকবে। আজকে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনারা আরো যে সকল বিষয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন সেগুলো হচ্ছে- দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় কেন, দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয় কি, দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর উপায়, দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর ওষুধ ইত্যাদি।
পোস্ট সূচিপত্র
ভূমিকা
অনেকে মনে করে থাকেন দাঁতের মাড়ি ফোলা সাধারন একটি সমস্যা। কিন্তু সকলের ক্ষেএে এটি সাধারণ সমস্যা নয়। অনেকের দাঁতের মাড়ি ফোলার সমস্যা হলে প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে যায়। আবার অনেকে আছেন যাদের প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয় না। সাধারণত দাঁতের মাড়ি ফোলার পিছনে মূল কারন হলো ভিটামিন এর অভাব। বিশেষ করে ভিটামিন সি এর অভাব যা অ্যাসকরবিক এসিড নামেও পরিচিত। শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলীর জন্য ভিটামিন সি এর গুরুত্ব অপরিসীম।
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে ভিটামিন সি এর অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের কোষগুলোকে যেমন শক্তিশালী করে তোলে তেমনি আমাদের দাঁতের সুরক্ষায় খুবই প্রয়োজনীয়। মানবদেহে যখন ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দেয় তখন কোলাজেন উৎপাদন বন্ধ হয়ে মাড়ি দুর্বল হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি অনেক সময় মাড়ি ফুলে গিয়ে রক্তপাত হতে পারে। এছাড়াও যে সকল রোগী স্কার্ভি নামক রোগে আক্রান্ত সে সকল রোগীদেরও মাড়ি ফোলার সমস্যা রয়েছে।
কিছু রোগীদের ক্ষেত্রে দাঁতের মাড়ি ফুলে গিয়ে দাঁত পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যেটি দাঁতের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যারা দীর্ঘদিন যাবত দাঁতের মাড়ি নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তাদেরকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় সেই অনুযায়ী ভিটামিন সি যুক্ত খাবার তাদের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে যেটি তাদের দাঁতের মাড়ির সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় কেন
প্রিয় দর্শকবৃন্দ আমরা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছি কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ভিটামিনের অভাব ছাড়াও দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় কেন। দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে তার মধ্যে প্রধান সাতটি কারণ নিচে আলোচনা করা হলো:
আরো পড়ুনঃ কোন কোন ভিটামিনের অভাবে এলার্জি হয়
১/ দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়ার প্রথম কারণ হচ্ছে দাঁতের উপর প্লাক জমে যাওয়া যেটি সাধারণত খাদ্যের অংশ থেকে তৈরি হয়। প্লাক জমে যাওয়ার কারণে দাঁতের উপর ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। যারা নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করে না তাদের দাঁতের উপর প্লাক জমে গিয়ে টার্টারে পরিনত হয়। এই টার্টার মাড়ির সাথে মিশে গিয়ে এমন একটি প্রদাহ সৃষ্টি করে যার ফলে মাড়ি ফুলে যায়। যদি সঠিক চিকিৎসা না নেয়া হয় তাহলে দাঁত দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
২/ ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমনের ফলে মাড়ি ফুলে যেতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণটি মুখের ক্ষত বা আলসারের মাধ্যমে ছড়ায়। হারপিস ভাইরাস, এটিও মাড়ি ফুলে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ যেটি ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি লক্ষ্য করা যায়।
৩/ মহিলারা যখন গর্ভাবস্থায়, পিরিয়ড অবস্থায় থাকে সে সময় শরীরে হরমোনাল কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। এই হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় কারণ এই সময় মাড়ি অনেকটা সংবেদনশীল হয়ে ওঠে।
৪/ যারা দাঁত ব্রাশ করার জন্য খুবই শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করেন এটি মাড়ির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এতে মাড়ি ফুলে যায়। তাই ব্রাশ করার সময় শক্ত ব্রাশ ব্যবহার না করে নরম টাইপের ব্রাশ ব্যবহার করা উত্তম তা নাহলে মাড়ি ফুলে গিয়ে রক্তপাত হতে পারে।
৫/ অনেক ব্যক্তিদের ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে যেটি দাঁতের মাড়ির জন্য খুবই ক্ষতিকর। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য দাঁতের মাড়ির রক্ত সঞ্চালন হ্রাস করে এবং প্রদাহের ঝুঁকি সৃষ্টি করে। যার ফলে দাঁতের মাড়ি ফুলে গিয়ে মাড়ির কার্যক্ষমতা কে দুর্বল করে দেয়।
৬/ এমন কিছু ঔষধ রয়েছে যে ওষুধের প্রতিক্রিয়ার ফলে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়। যেমন- যে সকল রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বেশ কিছু ঔষধ গ্রহণ করে থাকেন। এই ধরনের ঔষধের প্রতিক্রিয়ার ফলে দাঁতের মাড়ি অনেক সময় ফুলে যায় যেটিকে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলা যেতে পারে।
৭/ অনেক স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা জিজ্ঞেস করে থাকেন কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি যদি আপনারা পর্যাপ্ত পরিমাণে সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল না খান তাহলে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি হয়ে দাঁতের মাড়ি ফুলে যেতে পারে।
দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়ার পেছনে আরো অনেক ধরনের কারণ থাকতে পারে যেটি আপনি ডেন্টিস্টের মাধ্যমে টেস্ট করার পর জানতে পারবেন। তাই দাঁতের মাড়ি ফোলার লক্ষণ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করুন। চিকিৎসকের সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী চলতে পারলে দাঁতের মাড়ি ফোলার ঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে।
দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয়
কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় এই নিয়ে অনেক ধরনের তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। এখন দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয় কি এই বিষয়ে আলোচনা করব। দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে আপনাকে কয়েকটি নির্দেশ ফলো করে চলতে হবে তাহলে দাঁতের মাড়ি ফোলার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে সর্বপ্রথম আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো সব সময় দাঁত পরিষ্কার রাখার অভ্যাস রাখতে হবে। সাধারণত আমরা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করে থাকি। যেহেতু আপনার দাঁতের মাড়ি ফোলা সমস্যা দেখা গিয়েছে আপনি চাইলে খাওয়ার পরেও দাঁত ব্রাশ করতে পারেন। খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতে যে খাদ্যকণা লেগেছিল সেগুলো সাথে সাথে পরিষ্কার হয়ে যায় এতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
দাঁত ব্রাশ করার সময় অবশ্যই নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। শক্ত ব্রাশ ব্যবহার না করাই উত্তম এবং ব্রাশ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন মাড়িতে অতিরিক্ত চাপ না পরে। ধীরে ধীরে দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস করুন। দাঁত ব্রাশ করার পর লবণ পানি দিয়ে কুলি করুন এতে দাঁতের মাড়ির ফোলা ভাব অনেকটা কমে যাবে এবং আরাম অনুভব হবে।
বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মাউথওয়াশ কিনতে পাওয়া যায়। মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করলে মুখের ব্যাকটেরিয়া অনেকটা কমে যায় এবং দাঁতের মাড়ির ফোলা ভাব দূর হয়। মাউথওয়াশ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ডেন্টিস্ট এর পরামর্শ নেয়া উত্তম।
দাঁতের মাড়ি ফোলা দূর করার অনেক ধরনের ব্যাথা নাশক ঔষধ রয়েছে যেমন- ইমুপ্রোফেন/ প্যারাসিটামল। দাঁতের মাড়ি ফোলা ভাব দেখা দিলে ইচ্ছাকৃতভাবে ওষুধ গ্রহণ না করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া উচিত এতে করে দাঁতের মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে আপনি যদি এই নিয়মগুলো সঠিকভাবে মানার চেষ্টা করেন তাহলে দাঁতের মাড়ি ফোলা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এতে করে আপনার দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষা থাকবে।
দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর উপায়
কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় এবং ভিটামিন ছাড়াও আরো কি কি কারণে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় আশা করি এই নিয়ে আপনাদের কোনো প্রকার কনফিউশন নেই। এখন আমি আপনাদেরকে বলবো দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর প্রধান চারটি উপায় যে উপায় গুলো অনুসরণ করলে আপনার দাঁতের মাড়ি ব্যথা দ্রুত কমে যাবে।
লবণ পানি
দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর জন্য লবণ পানির কোনো বিকল্প নেই। লবণ পানি এমন একটি প্রাথমিক চিকিৎসা যা দাঁতের মাড়িতে অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। তাই দাঁত ব্রাশ করার পর এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে এক চামচ লবণ মিশিয়ে নিয়মিত কুলি করুন। এতে আপনার মাড়ির ফোলা ভাব ও ব্যথা কমে যাবে। এটি আপনি সারা দিনে দুই থেকে তিনবার করতে পারেন।
গরম সেক
দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা দূর করার জন্য গরম সেঁক দিতে পারেন। গরম সেক দেওয়ার জন্য একটি কাপড় গরম করে/ হটব্যাগ নিতে পারেন। কাপড়টি যেন বেশি গরম না হয় খেয়াল রাখতে হবে। গরম কাপড়টি এমনভাবে ফেইসে ধরে রাখুন যাতে মাড়িতে আরামদায়ক অনুভব হয়।
হাইড্রোজেন প্যারোক্সাইড
হাইড্রোজেন প্যারোক্সাইড এমন একটি শক্তিশালী অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যেটি মাড়ির প্রদাহ ও সংক্রমণ কমাতে সহায়তা করে। এক ভাগ হাইড্রোজেন প্যারোক্সাইডের সাথে দুই ভাগ পানি মিশিয়ে এই মিশ্রণটি দিয়ে যদি কুলি করতে পারেন তাহলে আপনার দাঁত যেমন পরিষ্কার হবে তেমনি দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা দূর হবে।
টি ট্রি ওয়েল
টি ট্রি অয়েল এমন একটি অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যেটি আপনার মাড়ির ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। কয়েক ফোটা টি ট্রি অয়েল মাউথ ওয়াশ অথবা কুলের পানিতে মিশিয়ে কুলি করতে পারলে মাড়ি ব্যথা কমে যাবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে সরাসরি টি ট্রি অয়েল দাঁতে ব্যবহার করা যাবে না। সরাসরি টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করলে মুখের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর ওষুধ
দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর জন্য এমন অনেক ওষুধ রয়েছে যেগুলো ফার্মেসিতে কিনতে পাওয়া যায়। দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে অথবা ব্যথা হলে আপনার উচিত সর্বপ্রথম চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা। আপনি যখন দাঁতের সমস্যা নিয়ে ডেন্টিস্ট এর কাছে চিকিৎসার জন্য যাবেন তারা আপনার দাঁতের মাড়ির ও ব্যথার ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত ওষুধ সাজেস্ট করবে। নিচে কয়েকটি ওষুধের নাম দেয়া হলো:
- অ্যামোক্সিসিলিন (Amoxicillin)
- ডক্সিসাইক্লিন (Doxycycline)
- ইবুপ্রোফেন (Ibuprofen)
- প্যারাসিটামল (Paracetamol)
- মেট্রোনিডাজল (Metronidazole)
- লিডোকেইন জেল (Lidocaine Gel)
- অ্যাজিথ্রোমাইসিন (Azithromycin)
- ডিক্লোফেনাক (Diclofenac)
শেষকথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমাদের আজকের আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু ছিলো কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়। আশা করি আপনাদের যাদের দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়ার সমস্যা আছে তারা আজকের পোস্টটি পড়ে খুবই উপকৃত হবেন। মূলত ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়। তাই আপনাদের যাদের দাঁতের মাড়ির সমস্যা আছে তারা নিয়মিত সঠিক খাদ্যাভ্যাস অভ্যাস করুন এবং ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, জাতীয় খাবার অবশ্যই গ্রহণ করবেন। এগুলো ছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখা যায় সেগুলো অনুসরণ করার চেষ্টা করবেন।
এরপরও যদি আপনার দাঁত ও মাড়ির সমস্যা সমাধান না হয় ভালো কোনো ডেন্টিস্ট এর পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করুন। ডেন্টিস্ট এর পরামর্শ ছাড়া দাঁতে কোনো ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না তা না হলে দাঁতের ও মাড়ির সমস্যা পূর্বের তুলনায় আরো বেড়ে যেতে পারে। কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় এই সংক্রান্ত আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন বা কুয়েরিস থাকে তাহলে আপনারা আমাদের কমেন্ট বক্সে শেয়ার করতে পারেন। আপনাদের পরিচিতজনদের সাথে আজকের পোস্টটি শেয়ার করে দিন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url