কোমরের ব্যথা কেন হয়-কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়

কোমর ব্যথায় ভুগছেন এরকম লোকের সংখ্যা অনেক বেশি। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে বর্তমানে কোমর ব্যথা রোগের সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। মূলত মানব দেহের শরীরের যে কোন অংশের ব্যথা হতে পারে। কোমরের ব্যথা সব থেকে বেশি যন্ত্রণাদায়ক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় রয়েছে অনেক। সঠিকভাবে সেগুলো রপ্ত করার মাধ্যমেই কেবলমাত্র কোমর ব্যথা সারানো সম্ভব। সে সকল ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কথা মাথায় রেখেই 
কোমর-ব্যাথা-সারানোর-সহজ-উপায়
আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের মূল বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। আলোচ্য বিষয়টি জানার পাশাপাশি আপনারা আরও যে সকল বিষয়ে জানতে পারবেন সেগুলো হলো কোমরের ব্যথা কেন হয় এবং কোমর ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। পাশাপাশি কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ এবং ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে কোন ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সেবন করতে হবে সে বিষয়েও আমরা আর্টিকেলের শেষ পর্যায়ে জানিয়ে দিব। সুতরাং কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় সংক্রান্ত সকল বিষয় জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত করুন।
পোস্ট সূচিপত্র

কোমরের ব্যথা কেন হয়

ডাক্তারদের মতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোমরের ব্যথা কেন হয়ে থাকে সেটির কারণ প্রকৃত অর্থে খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে মোটামুটি একটি ধারণা সঙ্গে নিয়ে এর প্রতিকার করা সম্ভব। কোমর ব্যথা নিরসনের ক্ষেত্রে বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ওষুধের প্রচলন। তবে আমরা সবসময় প্রাথমিক পর্যায়ের সমস্যা গুলো ওষুধ ব্যতীত নিরসনের চেষ্টা করে থাকি। বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে কোমরের ব্যথা খুব সহজেই নিরসন করা সম্ভব। যদি এরকম কেউ প্রতিজ্ঞা নিয়ে নিয়মিত শরীরচর্চা করে তাহলে তিন মাসের মধ্যেই তার কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

কোমরের ব্যথার মূল কারণ হিসেবে দীর্ঘ সময় অর্থাৎ যদি টানা বসে বসে কাজ করতে হয় সে ক্ষেত্রে কোমরের ব্যথা সৃষ্টি হয়ে থাকে। আরো অনেকগুলো কারণ রয়েছে যার ফলে কোমরের ব্যথা শুরু হয় এবং একপর্যায়ে তীব্র মাত্রা ধারণ করে। তবে ঘাবড়ানোর কোন কারণ নেই কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় এগুলো সম্পর্কে আপনাদের সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এখন প্রথমে আপনাদের সুবিধার্থে পিঠ ও কোমরের ব্যথা কেন হয় বিষয়টি পয়েন্ট আকারে নিচে তুলে ধরা হলো।
  • পরিশ্রম সম্বলিত কাজ করার অভ্যাস যদি না থাকে, কিন্তু হঠাৎ করে যদি ভারি জিনিসপত্র তোলার কাজ করা হয় সেক্ষেত্রে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে।
  • একটা না অনেকক্ষণ যদি বসে কাজ করা হয়। এক্ষেত্রে যারা অফিসিয়াল কাজ করেন তাদেরকে দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে হয় তাদের এ ধরনের সমস্যা হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।
  • অলস মস্তিষ্কের অধিকারী এবং নিয়মিত ব্যায়াম না করার ফলে শরীর ঠিক থাকে না। ফলে কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে।
  • আবার যদি ব্যায়াম করার অভ্যাস পূর্বে না থাকে, তাহলে হঠাৎ করে যদি জিমে গিয়ে ভারী ওয়েট লিফটিং করা হয় সেক্ষেত্রে পুরো শরীর এমন কি কোমর ব্যথা করে থাকে।
  • যারা খেলাধুলা করেন তারা যদি খেলা শুরু হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ওয়ার্ম আপ অর্থাৎ হালকা ব্যায়াম না করে খেলা শুরু করে সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে কোমরে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ

ঘন ঘন পিঠে এবং কোমরের ব্যথা কেন হয়। ব্যথার পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তার সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে মানসিক দুশ্চিন্তা। কেননা আমরা মনে করে থাকি যে কোমরে ব্যথা হলে সেটা কিডনি ড্যামেজ হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। তবে আমাদের জেনে রাখতে হবে যে কিডনি রোগের উপসর্গ গুলোর মধ্যে কোমরে ব্যথা হলেও আসলে সব ধরনের কোমরের ব্যথা কিডনি রোগের উপসর্গ বলে বিবেচিত হয় না। কোমরের ব্যথা বিভিন্ন কারণবশত হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শরীরের পেশী ও লিগামেন্টে হঠাৎ করে যদি টান অথবা চাপ খায় সেক্ষেত্রে কোমর ব্যথা করতে পারে। 
আমার এই মেরুদন্ডের অভ্যন্তরে কিছু বিশেষ চাকতি বা ডিস্ক রয়েছে। যদি কোন দুর্ঘটনাবশত বা যে কোন কারণবশত এ সকল ডিস্ক সরে যাই সেক্ষেত্রে কোমরে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা সৃষ্টি হয়। তবে অবশ্যই কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় গুলো রয়েছে যার মাধ্যমে এ সকল সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। তাই ঘাবড়ে না গিয়ে সঠিক রোগ নির্ণয় করার মাধ্যমে অবশ্যই রোগ মুক্তি লাভ করা সম্ভব। রোগের তারতম্য বা ভেদ অনুযায়ী কোমরের ব্যথার তীব্রতার পরিমাণ ও আলাদা হয়ে থাকে। অস্টিওপোরোসিস হাড়ের একটি বিশেষ রোগ হিসেবে পরিচিত। 

তবে এ ধরনের রোগ যদি আমরা পূর্বে চিহ্নিত করতে পারি তাহলে অবশ্যই এর প্রতিরোধ করা সম্ভব। মূলত এ ধরনের রোগে পুরুষের থেকে নারীরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এজন্য নারীদের কোমর ব্যথার বিষয়ে অনেক সচেতন থাকতে হয়। তাহলে আপনি কোমরের ব্যথা বা অস্টিওপোরোসিস রোগে আক্রান্ত কিনা সেটা যদি বুঝতে পারেন তাহলে অনেকটাই নিশ্চিন্ত হতে পারবেন যে আপাতত আপনি কিডনি রোগে আক্রান্ত নয়। তাহলে চলুন কিছু লক্ষণ দেখে বোঝার চেষ্টা করা যাক যে কোন গুলো অস্টিওপোরোসিস রোগের লক্ষণ।
  • অস্টিওপোরোসিস রোগের লক্ষণ গুলোর মধ্যে প্রথম যে লক্ষণ সেটি হল অস্থি ভঙ্গুর হতে থাকে এবং পুরুত্ব কমতে থাকে যার ফলে শরীরের পেছনের অংশ বিশেষ করে মেরুদন্ড বরাবর ব্যথা সৃষ্টি হয়।
  • শারীরিক দুর্বলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পেশির শক্তি কমতে থাকে যার ফলে ভারী কোন জিনিস উঠানো বা পরিশ্রমের কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না
  • পিঠের পিছন সাইডে ব্যাপক পরিমাণে ব্যথা আরম্ভ হয় এবং পরবর্তীতে ব্যথার পরিমাণ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে।
  • শরীরে প্রত্যেকটি হাড়ে এবং হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা শুরু হয়।
আপাতত এই লক্ষণগুলো যদি আপনি বুঝতে পারেন যে আপনার সঙ্গে ঘটছে তাহলে বুঝে নিবেন আপনি অস্টিওপোরোসিস রোগে আক্রান্ত যার ফলে আপনার কোমরে ব্যথা হচ্ছে। তবে কিডনি রোগের ক্ষেত্রে কোমরের ব্যথার উপসর্গ গুলো একটু আলাদা হয়ে থাকে। তবে সুখের কথা হল আপনি কিডনি রোগে আক্রান্ত নয় তবে অস্টিওপোরোসিস মারাত্মক একটি রোগ যা পরবর্তীতে আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে। এজন্য প্রাথমিক অবস্থাতেই কোমরের ব্যথা কেন হয় বিষয়টি পরিষ্কার ভাবে জেনে বুঝে কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় গুলো এপ্লাই করার মাধ্যমে উক্ত সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়

আমরা সবসময় আপনাদেরকে প্রথমেই ওষুধ সেবনের পরিবর্তে প্রাকৃতিকভাবে রোগ নির্ণয় করার মাধ্যমে রোগ নির্মূল করার আহ্বান করে থাকি। আর এখানেও বিষয়টি ঠিক তেমনি ঘটতে চলেছে। কোমর ব্যথা সারানোর সহজ কিছু উপায় আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আশা করি ম্যাজিক এর মত কাজ করবে উপায়গুলো এবং আপনারা কষ্টদায়ক কোমর ব্যাথা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেয়ে যাবেন। আপনাদের জ্ঞাতার্থে আরো একটি বিষয় উল্লেখ করছি যে কোমরের ব্যথা যদি প্রাথমিক উপায় গুলোর মাধ্যমে না ভালো হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। 

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন কোমরের প্রধান পাঁচটি হাড়ে সমস্যা বা ক্ষয় শুরু হলে হাড়ের ডিস্ক এবং মাংসপেশী নষ্ট হলে কোমরে ব্যথার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সাধারণত এ ধরনের সমস্যা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে বেশি হয়ে থাকে। আবার কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে গ্যাসের জন্য পিঠে ব্যথা হয়। গ্যাস্টিকের জন্য যদি পিঠে ব্যথা ওঠে তাহলে সেটির লক্ষণগুলো একটু আলাদা হয়। গ্যাস্টিকের সমস্যা জনিত সকল বিষয়ের আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা রয়েছে। আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আসতে পারেন। 

প্রাকৃতিক উপায়ে যদি আমরা কোমরের ব্যথা সারানোর উপায় গুলো খুঁজে তাহলে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি সামনে আসে সেটি হল খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শরীর চর্চা। একটি সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং খাদ্য তালিকা আপনার শরীরকে যেমন ফিট রাখবে ঠিক তেমনি অন্যান্য সকল সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।

কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় ব্যায়াম

কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় গুলোর মধ্যে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু ব্যথা এর পরিমাণ যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে কখনোই সঠিকভাবে ব্যায়াম করাও সম্ভব নয় আর ব্যাথা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া ও খুব কঠিন হয়ে পড়ে। ডাক্তাররা সব সময় কোমর ব্যথা বা যে কোন শারীরিক ব্যথার ক্ষেত্রে ব্যায়াম কে গুরুত্ব দিয়েছেন। ব্যায়ামের পাশাপাশি যদি ব্যথা অতিরিক্ত হয় সে ক্ষেত্রে কোমরে হালকা গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে। ব্যথার পরিমাণ যদি খুব বেশি হয় সে ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৭ দিন ব্যথা কমতে সময় নিতে পারে। তাই বিষয়টিকে নিয়ে বেশি না ঘাবড়িয়ে কোমরের ব্যথা কেন হয় সে বিষয়টি জানতে 
হবে এবং সঠিক পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করার মাধ্যমেই সমস্যাটি থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। যদি কোন মহিলা বয়েসজনিত কারণে অথবা অল্প বয়সে কোমরের যে কোন সমস্যার কারণে যদি তীব্র ব্যথা অনুভব করে সে ক্ষেত্রে মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়ামগুলো অবশ্যই সঠিকভাবে এপ্লাই করা প্রয়োজন। ব্যায়ামগুলোকে কয়েকটি ধাপে বিভক্ত করা হয়েছে। অবশ্যই প্রত্যেকটি ধাপ সঠিকভাবে চর্চা করতে হবে তাহলে কেবলমাত্র ভালো ফলাফল আশা করা যায়।

প্রথম ধাপ

সর্বপ্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে হাত দুটোকে শরীরের দুইপাশে রেখে পা দুটো সোজা করে তারপর শুতে হবে। এক্ষেত্রে হাডুকে ভাজ না করেই একটি পা উপরের দিকে তুলতে হবে। যতটা উপরে তুলতে পারবেন তোলার চেষ্টা করুন। ১০ সেকেন্ড এ পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করুন। অন্য পাটিও নিয়ে ঠিক একই ভাবে সেম পজিশনে রাখুন।

দ্বিতীয় ধাপ

এ পর্যায়ে এসে পা দুটিকে একসঙ্গে তুলতে হবে। এবার এক হাঁটু ভাঁজ করে দুই হাত ব্যবহার করে হাঁটু ভাঁজ করে জড়িয়ে ধরে বুকে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। বুকে লাগানোর পর ঠিক এই পজিশনে ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে। ঠিক একইভাবে অন্য হাঁটু টিও বুকে লাগানোর চেষ্টা করুন। এভাবে দুই হাঁটু একসঙ্গে এবার বুকে লাগানোর চেষ্টা করুন এবং ওই পজিশনে ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন।

শেষ ধাপ

সর্বশেষ এ ধাপে এসে দুই পা সোজা করে পায়ের পাতার দিক করে ১০ সেকেন্ড রাখতে হবে। প্রতিটি ধাপ অবশ্যই মিনিমাম ১০ সেকেন্ড করে পজিশন ধরে রাখাটা খুবই জরুরী। মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়াম গুলো অবশ্যই দিনে ২ থেকে ৩ বার সকাল এবং রাতে করার চেষ্টা করুন। অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ গুলো যদি বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই উপরুক্ত ব্যায়ামগুলো করার মাধ্যমে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। উপরে বর্ণিত ব্যায়ামগুলো অর্থাৎ পদ্ধতিগুলো যদি অবলম্বন করা হয় সেক্ষেত্রে 

কোমরের মাংসপেশীর ইনফ্লামেশন কমবে তো বটেই তার সঙ্গে কোমর শক্ত হবে। এতে করে আপনি কোমর থেকে ব্যথা অনুভব আর বুঝতে পারবেন না। এছাড়াও ব্যথা কমানোর জন্য পেলাটিস এবং স্ট্রেচিং এর মত কিছু ব্যায়াম করতে পারেন

কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

আমরা যেহেতু প্রাকৃতিক উপায়ে কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় গুলো ফলোআপ করার মাধ্যমে ব্যথা নিরসন করার চেষ্টা করব। আর তাই ঘরোয়া উপায় গুলো আসবে না তা কি করে হয়। উপরে বর্ণিত ব্যায়াম করার পাশাপাশি আরো কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া না গেলেও সাময়িকভাবে আরামবোধ হতে পারে। নিচে পয়েন্ট আকারে কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করা হলো।
  • কোমরের ব্যথা নিরসনের জন্য হালকা গরম সেঁক নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে এক টুকরো সুতি কাপড় ভালোভাবে ভাঁজ করে গরম পানিতে ভিজিয়ে অথবা ইলেকট্রিক আয়রন দ্বারা হালকা গরম করে পিঠে আলতো ভাবে সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়।
  • ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে আরও একটি উপায় হলো সরিষার তেল হালকা গরম করে সেখানে রসুন এবং মেথি বেটে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর উপর হয়ে শুয়ে কাউকে দিয়ে ভালোভাবে পিঠ এবং মেরুদন্ডের প্রত্যেকটি অংশ মালিশ করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন মিশ্রণটি অবশ্যই হালকা কুসুম গরম থাকে।
  • অনেকের দাবি কোমরের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে আদার ভূমিকা অপরিসীম। এক্ষেত্রে কাঁচা আদা চিবিয়ে খাওয়া বা চায়ের সঙ্গে আদার রস খেলে মুখটি মিলবে। কেননা আদায় থাকে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম বিভিন্ন স্নায়ু তন্ত্রের জটিলতা দূরীকরণে ব্যবহার হয়।
  • যে বিছানায় শুয়ে থাকেন সেটি নরম ম্যাট্রেস বা ফোমের বিছানা হওয়া চলবে না। এতে করে ব্যথার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
আপনাদের জ্ঞাতার্থে আরো একটি বিষয় জানাচ্ছি যে উপরে বর্ণিত ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো কেবলমাত্র প্রাথমিক অবস্থায় এপ্লাই করতে হবে। যদি সমস্যার মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পায় তাহলে কখনোই ঘরে বসে থাকা উচিত হবে না। এক্ষেত্রে একজন ভালো অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা দ্বারা কোমরের ব্যথা নিরসন সম্ভব।

কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট

কোমরের ব্যথা কেন হয় সেটি যদি আমরা নির্ধারণ করতে পারি তাহলে ঘরোয়া উপায়গুলো আমরা অবশ্যই ভালোভাবে এপ্লাই করতে পারব। এক্ষেত্রে অবশ্যই সর্ব প্রথমে কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় গুলো ভালোভাবে অনুসরণ করতে হবে। এরপরেও যদি কোন উন্নতি পরিলক্ষিত না হয় সে ক্ষেত্রে ঔষধ সেবন করা যাবে। আমরা এখানে আপনাদের সুবিধার্থে কিছু কোমরের ব্যথা ভালো হওয়ার ট্যাবলেটের নাম লিখে দেব। কিন্তু ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করা প্রয়োজন। কোমরের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ৫ টি ভালো ব্যান্ডের ট্যাবলেটের নাম গুলো নিচে দেওয়া হল।

ঔষধের নাম-কোম্পানির নাম

  • Fastdol Tab 325+37.5 mg-ACME Laboratories Ltd.
  • Napadol Tab 325+37.5 mg-Beximco Pharmaceuticals Ltd
  • Pangesic Tab 325+37.5 mg-Renata Limited
  • Renova T Tab 325+37.5 mg-Opsonin Pharma Ltd
  • Acetram Tab 325+37.5 mg-Square Pharmaceuticals Ltd.

কোমরের ব্যথা কমানোর ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট

প্রকৃতপক্ষে কোমরের ব্যথা কমানোর জন্য ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কতটা উপযোগী সেটা বলা সম্ভব নয়। আসলেই কি ক্যালসিয়ামের অভাবে কোমরের ব্যথা হয় কিনা সেটা অভিজ্ঞ ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা মাধ্যমে বুঝতে পারবেন। কোমরের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়াটা কতটা উপযোগী সেটা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ একদমই উচিত হবে না। তবে কেউ যদি বুঝতে পারে যে তার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে তাহলে সেই ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সেবন করতে পারবে। বর্তমানে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। 
সেখানে গেলেও ডাক্তারগণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সাজেস্ট করবেন। আবার সরকারি কিছু ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট ফ্রিতে সেখান থেকে সরবরাহ করে থাকে। তাই পকেটের টাকা খরচ না করে ইউনিয়ন অথবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ভালো মানের সরকারি ক্যালসিয়াম ওষুধ পাওয়া সম্ভব। তারপরেও আপনাদের সুবিধার্থে কিছু ৪টি ক্যালসিয়াম ওষুধের নাম নিচে তুলে ধরা হলো।

ঔষধের নাম-কোম্পানির নাম

  • A-Cal D Tab 500+200 IU-ACME Laboratories Ltd.
  • Aristocal D Tab 500+200 IU-Beximco Pharmaceuticals Ltd
  • Caldil-Plus Tab 500+200 IU-Drug International Ltd
  • Calbo-D Tab 500+200 IU-Opsonin Pharma Ltd

লেখকের শেষকথা

আশা করি আপনারা আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হতে পেরেছেন। ভবিষ্যতে যদি কারো মনে প্রশ্ন থাকে যে কোমরের ব্যথা কেন হয় হয় এবং কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় গুলো কি কি হতে পারে তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি অবশ্যই তার উপকারে আসবে। আর্টিকেলে বর্ণনা কৃত কোন তথ্য যদি কারো উপকারে আসে তাহলেই কেবলমাত্র লেখকের আসল সার্থকতা। আপনি যদি এরকম আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়ার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। 

পাশাপাশি আজকের পোস্টটি যদি আপনার কাছে উপযুক্ত মনে হয়, তাহলে আপনার পরিচিত লোকজনদের উপকারের স্বার্থে একটি শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url