কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা সম্পর্কে জানুন

প্রিয় দর্শকবৃন্দ আমরাতো সবাই জানি খাদ্যের ছয়টি উপাদানের মধ্যে প্রোটিন এমন একটি উপাদান যেটি আমাদের দেহের শক্তি গঠনে কতটা সহায়ক। কিন্তু বিশেষ কিছু কারণে চিকিৎসকরা কিছু রোগীদের কম প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে বলেন। তাই যাদের দেহে কম প্রোটিন যুক্ত খাবার প্রয়োজন তারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা গুলো কি কি। আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয় হচ্ছে 
কম-প্রোটিন-যুক্ত-খাবারের-তালিকা
কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা যে তালিকাটি অনুসরন করলে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কম প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে পারবেন এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় বিরাট অবদান রাখবে। কম প্রোটিনযুক্ত খাবার সম্পর্কে আলোচনা করার পাশাপাশি আমরা আজকে আরও যে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সেগুলো হচ্ছে- উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার তালিকা, কোন খাবারে কত প্রোটিন তালিকা, প্রোটিন জাতীয় ফল কি কি, প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে কি হয়, প্রোটিন বিহীন খাবার কি কি ইত্যাদি।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

বিশেষ কয়েকটি কারণে ডাক্তাররা কিছু রোগীদের কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা অনুসরণ করতে বলেন। কম প্রোটিন যুক্ত খাবার তাদের জন্য খুবই জরুরী যাদের মধ্যে কিডনির সমস্যা, হৃদরোগ, লিভারের সমস্যা, বার্ধক্য জনিত কারণে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা রয়েছে। যে সকল রোগীরা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির উপর চাপ তৈরি করে যেটি কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে আনে। এমনকি যে সকল ব্যক্তিরা লিভারের রোগে আক্রান্ত আছেন তারা যদি অতিরিক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার খায় তাহলে লিভার 

কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। বয়স্ক মানুষের শরীরে প্রোটিনের বিপাক কমে যায় যার কারণে তাদের প্রোটিন জাতীয় খাবার হজম হতে বেশ সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই বয়স্ক মানুষের জন্য কম প্রোটিনযুক্ত খাবার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে। কিছু শিশুদের নেফ্রটিক সিনড্রোম নামক একটি রোগ থাকে। এই রোগটি হলে প্রোটিন জাতীয় খাবার কম খেতে হয় কারণ এসব শিশুরা যদি প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি খায় তাহলে তাদের কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি হয়। অপারেশনের পর কিছু রোগীদের জন্য ডাক্তাররা কম প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে বলেন হজমে সমস্যা হয় না। 
যারা প্রপার ডায়েট করে থাকেন তাদের জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া খুবই জরুরী কারণ তাদেরকে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট থেকে দূরে থাকতে হয়। কিন্তু কিছু ডায়েটের ক্ষেত্রে প্রোটিন কম গ্রহণ করা উচিত তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা মধ্যে রয়েছে- ফলমূল যেমন: আপেল, কমলা, মিষ্টি আলু, ফুলকপি, গাজর, লেটুস, কুমড়ো, চিজ (যদি প্রোটিন কম থাকে), ড্রাই ফ্রুটস (যেমন: কিসমিস), ফ্রেশ ফ্রুটস স্যালাড, মাংস বিহীন স্যান্ডউইচ, ফুলকপি, রসুন, সবুজ পেঁপে, স্ট্রবেরি ইত্যাদি।

উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার তালিকা

আপনাদের কি কারো ধারণা আছে উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার তালিকা গুলো কি? উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার বলতে এমন কিছু খাবার কে বোঝায় যেসকল খাবারগুলোতে প্রোটিনের পরিমাণ অতিরিক্ত পরিমাণে আছে। যেমন-
  • মাছ
  • মাংস
  • ডিম
  • দুধ
  • বাদাম
  • ডাল ও শাকসবজি
মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকার ফলে আমাদের পেশী গঠনে সাহায্য করে। যে সকল মাংস থেকে আপনারা প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পেতে পারেন সেগুলো হলো- গরুর মাংস ও মুরগির মাংস। কারণ গরুর মাংসে রয়েছে আয়রন এবং ভিটামিন বি১২ যেটি রক্ত সঞ্চালনের জন্য খুবই কার্যকরী। আর মুরগির মাংসের লো ফ্যাট ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এমন দুইটি মাছ আছে যেই দুটো মাছ থেকে আপনারা প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পেতে পারেন। সেগুলো হলো- টুনা ও স্যামন মাছ। টুনা মাছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে এবং এতে রয়েছে লো ফ্যাট যেটি পেশী গঠনের পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণ 

করবে। স্যামন মাছে প্রোটিনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর চর্বি আছে যেটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। যে সকল ব্যক্তিরা মাছ-মাংস খেতে পছন্দ করে না তারা প্রোটিনের চাহিদা পূরণে দুধ ডিম ও বাদাম খেতে পারেন। কারণ দুধ ডিম ও বাদামেও অনেক প্রোটিন আছে। ডিমের সাদা অংশে বেশি পরিমাণে প্রোটিন থাকে ও ক্যালোরি কম থাকে যদিযা ডায়েট করা ব্যক্তিদের জন্য খুবই সহায়ক। ডাল ও শাকসবজিতেও উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। যত প্রকার ডাল আছে তার মধ্যে মসুর ডালে বেশি পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইভার থাকে যা আমাদের খাদ্য হজমে সহায়ক এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ব্যালেন্স 

করে। যারা সবজি খেতে পছন্দ করেন তারা সয়াবিন ও বরবটি থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাবেন। এমকি যেসব ব্যক্তিরা ভেজিটেরিয়ান টাইপের ডায়েট চার্ট ফলো করে থাকেন তাদের জন্য শাকসবজি খুবই উপকারী। কারণ তারা শর্করার বদলে শাকসবজি খেয়ে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারবে এতে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি যোগাবে। কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা জানার পাশাপাশি আপনারা যদি উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারের নামও জানেন এর ফলে আপনার শরীরের ধরন অনুযায়ী যখন যে খাবারটি খাওয়া দরকার তখন সেটি খেতে পারবেন।

কোন খাবারে কত প্রোটিন তালিকা

কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা নামতো জেনেই গেলেন। কিন্তু কোন খাবারে কি পরিমান প্রোটিন রয়েছে এই সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। তাই আমি আপনাদের সাথে কোন খাবারে ১০০ গ্রামে কত প্রোটিন আছে তার একটি তালিকা দেওয়া হলো:
  • মুরগির মাংস (স্তন): ৩১ গ্রাম
  • গরুর মাংস: ২৬ গ্রাম
  • ভেড়ার মাংস: ২৫ গ্রাম
  • টুনা: ৩০ গ্রাম
  • স্যামন: ২০ গ্রাম
  • চিংড়ি: ২৪ গ্রাম
  • ডিম: ১৩ গ্রাম
  • গ্রীক দই: ১০ গ্রাম
  • চিজ (চেডার): ২৫ গ্রাম
  • পনির: ১৮ গ্রাম
  • কটেজ চিজ: ১১ গ্রাম
  • দুধ: ৩.৪ গ্রাম
  • ছোলা: ১৯ গ্রাম
  • মসুর ডাল: ৯ গ্রাম
  • কালো ডাল: ২৫ গ্রাম
  • সয়াবিন: ৩৬ গ্রাম
  • তাহিনি: ১৭ গ্রাম
  • বাদাম (আমন্ড): ২১ গ্রাম
  • আখরোট: ১৫ গ্রাম
  • কাজু: ১৮ গ্রাম
  • পিনাট বাটার: ২৫ গ্রাম
  • চিয়া বীজ: ১৭ গ্রাম
  • সূর্যমুখী বীজ: ২১ গ্রাম
  • তিল: ১৮ গ্রাম
  • কুমড়োর বীজ: ১৯ গ্রাম
  • ফ্ল্যাক্স সিড: ১৮ গ্রাম
  • কুইনোয়া: ১৪ গ্রাম
  • ভুট্টা: ৯ গ্রাম
  • ওটমিল: ১২ গ্রাম
  • হোল গ্রেইন পাস্তা: ১৩ গ্রাম
  • ব্রাউন রাইস: ২.৬ গ্রাম
  • স্পিনাচ: ২.৯ গ্রাম
  • ব্রকলি: ২.৮ গ্রাম
  • আলু: ২ গ্রাম
  • মিষ্টি আলু: ১.৬ গ্রাম
  • মাশরুম: ৩.১ গ্রাম
  • পেঁপে: ১ গ্রাম
  • কলা: ১.৩ গ্রাম
  • আপেল: ০.৩ গ্রাম
  • কমলা: ০.৯ গ্রাম
  • স্ট্রবেরি: ০.৮ গ্রাম
  • ব্লুবেরি: ০.৭ গ্রাম
  • পেয়ারা: ২.৬ গ্রাম
  • কাঠবাদাম: ২১ গ্রাম
  • হ্যাজেলনাট: ১৫ গ্রাম
  • পেস্তা: ২০ গ্রাম
  • চীনা বাদাম: ২৫ গ্রাম
  • তরমুজ বীজ: ২৮ গ্রাম
  • খেজুর: ২.৫ গ্রাম
  • কিসমিস: ৩.১ গ্রাম
  • অ্যাভোকাডো: ২ গ্রাম
  • আঙ্গুর: ০.৭ গ্রাম
  • আনারস: ০.৫ গ্রাম
  • মাংস (হাঁস): ২৩ গ্রাম
  • খাসি মাংস: ২৩ গ্রাম
  • কাঁকড়া: ১৯ গ্রাম
  • লবস্টার: ১৯ গ্রাম
  • কলা: ১.১ গ্রাম
  • গাজর: ০.৯ গ্রাম
  • ফুলকপি: ১.৯ গ্রাম
  • লেটুস: ১.২ গ্রাম
  • কুমড়ো: ১ গ্রাম
  • পালং শাক: ২.৯ গ্রাম
  • বরবটি: ২.৮ গ্রাম
  • সরিষা শাক: ২.৭ গ্রাম
  • পুদিনা: ৩ গ্রাম
  • ক্যাপসিকাম: ১ গ্রাম
  • ধনেপাতা: ২.১ গ্রাম
  • পেঁয়াজ: ১.১ গ্রাম
  • রসুন: ৬.৩ গ্রাম
এই তালিকাটি আপনাকে প্রতিদিন খাওয়ার পূর্বে কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা নির্বাচন করতে অনেক সাহায্য করবে। আপনি চাইলে এই তালিকাটি ডাইনিং টেবিলের সাথে অথবা কিচেন এরিয়াতে টাঙিয়ে রাখতে পারেন।

প্রোটিন জাতীয় ফল

সাস্থ্য সুরক্ষায় কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা সম্পর্কে ধারণা লাভ করার পাশাপাশি আপনাদেরকে কম প্রোটিন জাতীয় ফল এর নামও জানতে হবে। যদিও ফল আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু ফল প্রোটিনের জন্য ভালো উৎস নয়। কিন্তু কিছু কিছু ফল আছে যে ফলে অল্প পরিমাণে প্রোটিন থাকে সে ফলগুলোর নাম নেমে দেওয়া হলো:
  • গুইাভা
  • বেদানা
  • অ্যাভোকাডো
  • জাম
  • ড্রাগনফ্রুট
  • কিউই
  • নারিকেল
  • পেয়ারা
  • ডুরিয়ান
  • ম্যাংগোস্টিন
  • চেরি
  • মিষ্টি আপেল
  • তরমুজ
  • শসা
  • ব্রাসেল স্প্রাউটস
  • কেপসিকাম
  • স্ট্রবেরি
  • ব্লুবেরি
  • রসুন
  • ফুলকপি
  • পেঁপে
  • আনারস
  • কমলা
  • গ্রেপফ্রুট
  • গ্রীক আপেল
  • পাইনারী
  • কুমড়া
  • খেজুর
  • কিসমিস
  • বরবটি
এই ধরনের প্রোটিন জাতীয় ফল খাওয়ার কারণে আপনার দেহের পেশী সঠিকভাবে গঠন হবে, শরীরে শক্তি বাড়াবে যেটি আপনার দৈনন্দিন কাজকর্মে সাহায্য করবে। প্রোটিন জাতীয় ফল শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণের বেশ সহায়ক। প্রোটিন জাতীয় ফল শরীরের চামড়া মসৃণ ও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে এবং চর্মরোগ প্রতিরোধ করে। এই ফলগুলো ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতার উন্নয়ন ঘটায় ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। তাই কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা মেইনটেইন করার সময় এই ধরনের ফলগুলো রাখার চেষ্টা করবেন।

প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে কি হয়

ইতিমধ্যে আপনারা কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা সম্পর্কে অনেক ধরনের জ্ঞানলাভ করেছেন। এখন আমি আপনাদেরকে বলবো প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে কি হয় অথবা প্রোটিন জাতীয় খাবার আমাদের দেহে কি কি উপকারিতা বয়ে আনে আমাদের শরীরের পেশী গঠনে ও মাংসপেশী মেরামত করতে প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের অবদান অপরিসীম। প্রোটিন জাতীয় খাদ্য পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করলে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়াও কমায়। প্রোটিন আমাদের শরীরের শক্তির অন্যতম উৎস হিসেবে কাজ করে। 

যার ফলে শরীরে শারীরিক ও মানসিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। প্রোটিন আমাদের ত্বককে সুস্থ্য, সুন্দর ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে যার ফলে ত্বক দেখতে উজ্জ্বল দেখায়। প্রোটিন আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে এমন ভাবে শক্তিশালী করে তোলে যার ফলে দেহে শক্তিশালী এন্টিবডি তৈরি হয়। হরমোন উৎপাদনে প্রোটিনের ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের শরীরে ইনসুলিন ও গ্লুকাগন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে প্রোটিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে এর ফলে আমরা বিভিন্ন ধরনের হরমোনাল সমস্যা থেকে মুক্তি পাই। হাড়ের সুস্থ্যতা রক্ষায় প্রোটিন বিরাট ভূমিকা রাখে। 
মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা ও মনোযোগ ধরে রাখতে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজন। এছাড়াও প্রোটিন আমাদের ঘুমের মান উন্নয়ন করে। যে সকল ব্যক্তিরা সবসময় স্ট্রেসে থাকেন প্রোটিন মানসিক স্ট্রেস কমিয়ে মেজাজ স্বাভাবিক রাখতে খুবই সহায়ক। শিশুদের জন্য প্রোটিন অপরিহার্য একটি উপাদান যেটি শিশুদের দ্রুত শারীরিক বৃদ্ধি করে। তাই যে সকল ব্যক্তিদের কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা অনুসরণ করার প্রয়োজন নেই তারা প্রতিদিন তিন বেলার খাদ্য তালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখার চেষ্টা করবেন।

প্রোটিন বিহীন খাবার

অনেকেই মনে করে থাকেন হয়তো সব খাবারে কম বেশি প্রোটিন রয়েছে। কিন্তু এটি একদম ভুল ধারণা। আমি আপনাদেরকে এখন প্রোটিন বিহীন খাবার এর নামগুলো শেয়ার করব যে খাবারগুলোতে একদমই প্রোটিন নেই বললেই চলে। প্রোটিন বিহীন খাবার গুলো হলো:
  • চিনি
  • চকলেট
  • সাদা ব্রেড
  • মিষ্টি পানীয়
  • আইসক্রিম
  • কুকিজ
  • কেক
  • চিপস
  • পেঁপে
  • সফট ড্রিংকস
  • মধু
  • জেলি
  • জুস (প্রোটিন ছাড়া)
  • চীজবার্গার (মাংস বিহীন)
  • ডোনাটস
  • চা (মিষ্টি)
  • রুটি (সাধারণ)
  • ক্রিম
  • নুডলস
  • ফাস্টফুড (মাংস ছাড়া)
  • পাস্তা (সাধারণ)
  • চিকেন স্যুপ (মাংস ছাড়া)
  • মাশরুম
  • টোস্ট (সাধারণ)
  • ড্রাই ফ্রুটস (যেমন: কিসমিস)
  • পেটিটেনেল চিপস
  • ক্যান্ডি
  • নোনতা খাবার (যেমন: নুনযুক্ত স্ন্যাকস)
  • ফ্রুট ককটেল
  • ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস
  • অ্যাভোকাডো স্যালাড
  • জাম্বো স্যান্ডউইচ (মাংস ছাড়া)
  • পপকর্ন
  • চিজ (যদি প্রোটিন কম থাকে)
  • ভুট্টার পুডিং
  • ব্রাউন সুগার
  • ফ্রেশ ফ্রুটস স্যালাড
  • মিষ্টি কস্টার্ড
  • ওয়েফার
  • ব্রাউন বিস্কুট
কেউ যদি নিয়মিত প্রোটিন বিহীন খাবার খেতে থাকে তাহলে শরীরে বেশ কিছু ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। প্রোটিনের অভাবে পেশির ক্ষয় ও দুর্বলতা তৈরি হয়। এমনকি প্রোটিনের অভাবে শরীরে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ বেড়ে গিয়ে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পায় যেটি আমাদের দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। প্রোটিনের অভাবে শরীরে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যেতে পারে এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। প্রোটিন আমাদের ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে খুবই প্রয়োজন। তাই প্রতিনিয়ত প্রোটিন বিহীন খাবার খেলে ত্বকে শুষ্কতা, রুক্ষতা ও ফাটা ভাব দেখা দেয়। 

প্রোটিন আমাদের দেহের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের অভাবে হরমোন তার কার্যক্রমের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে পারে। এর ফলে শরীরে হরমোনাল সমস্যা দেখা দিবে। প্রোটিন এর অভাবে শরীরের মেটাবলিজম কমে যায় এর ফলে শরীরে পরিমিত পরিমাণে শক্তি উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং বিপাক প্রক্রিয়া কমে যায়। তাই যারা কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা অনুসরণ করেন তারা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে প্রোটিনের পরিমান যেনো একেবারেই শূন্য হয়ে না যায়।

শেষকথা

প্রিয় দর্শকবৃন্দ আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা গুলো কি কি। আপনারা যারা স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুবই সচেতন ব্যক্তি তারা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ওয়েবসাইট গুলোতে অথবা ওয়েবপেজে কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকা খুঁজে থাকেন। তাই তাদের উদ্দেশ্য বলব আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি খুব সহজে পেয়ে যেতে পারেন। আপনাদের পরিবারের যে সকল ব্যক্তিদের ডাক্তার কম প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে বলেছে তাদের নিকট 

আমাদের আজকের পোস্টটি শেয়ার করে দিতে পারেন তাহলে তারাও সকলের সাথে সচেতন হয়ে উঠবে। আপনাদের আরো বলতে চাই কম প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়ার আগে আপনাদের শরীরের ও রোগের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন তাহলে সুস্থ ভাবে বাঁচতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url