কোলেস্টেরল লক্ষণ-কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা
হ্যালো বন্ধুগণ! কেমন আছেন সবাই। আজকে সকলকে আমার ওয়েবসাইটের নতুন একটি পোস্ট ভিজিট করতে স্বাগতম জানাচ্ছি। গত কয়েকদিন যাবত যারা কোলেস্টেরল সমস্যায় ভুগছেন তারা অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা কি? তাই আমি আজকে আপনাদের জন্য কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা নিয়ে হাজির হলাম।
যে খাদ্য তালিকা অনুসরণ করলে আপনারা আপনাদের দেহের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। কোলেস্টেরল কমানো সংক্রান্ত আরো যে সকল বিষয়বস্তু নিয়ে এই পোস্টে আলোচনা করব সেগুলো হচ্ছে- কোলেস্টেরল লক্ষণ, কোলেস্টেরল কমাতে কি খাব না, কোলেস্টেরল কমানোর ব্যায়াম, কোলেস্টেরল কমাতে লেবু কিভাবে কাজ করে, কোলেস্টেরল কমানোর ঘরোয়া উপায় কি, কোন কোন মাছে কোলেস্টেরল আছে সেগুলোর নাম ইত্যাদি।
পোস্ট সূচিপত্র
ভূমিকা
কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা নিয়ে আলোচনা করার পূর্বে কোলেস্টেরল কি এই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা যাক। কোলেস্টেরল হচ্ছে আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেটি কোষের গঠন, হরমোন উৎপাদন ও ভিটামিন ডি এর সঠিক কার্যক্রম বজায় রাখে। কিন্তু অতিরিক্ত কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর যার কারণে হৃদরোগসহ অন্যান্য ভয়াবহ রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। কোলেস্টেরল আমাদের দেহে যকৃতের মাধ্যমে প্রবেশ করে।
মানবদেহে কয়েকটি কারণে কোলেস্টেরল দেখা দিতে পারে যেমন- অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম না করা, বয়সের তুলনায় ওজন বেড়ে যাওয়া, ধূমপান, মদ্যপান, অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাওয়া, বংশগত কারণ ইত্যাদি। যে সকল ব্যক্তিরা অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন তারা যদি নিয়মমাফিক জীবনযাপন করেন ও কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা প্রতিদিন মেনে চলেন তাহলে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
কোলেস্টেরল লক্ষণ
কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা নিয়ে জ্ঞান অর্জন করার পূর্বে আপনাদেরকে সবার আগে জানতে হবে কোলেস্টেরল লক্ষণ গুলো কি কি। যদি আপনার কোলেস্টেরলের লক্ষণ জানা থাকে তাহলে আপনি খুব দ্রুত জানতে পারবেন আপনার দেহে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে এমন কিছু লক্ষণ দেখা দেয় যেটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কোলেস্টেরলের সাধারণ কয়েকটি লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো:
- শরীরে যখন কোলেস্টেরলের মাথা বৃদ্ধি পায় তখন হৃদপিন্ডের রক্ত সরবরাহ কমে গিয়ে বুকের মাঝখানে চাপ বা ব্যথা অনুভব হয়। অনেক সময় এটি শারীরিক পরিশ্রমের কারণে হতে পারে বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যায়।
- অনেক সময় রক্তনালীতে কোলেস্টেরল জমে গিয়ে রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি করে যার কারণে বমি ভাব ও অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়।
- রক্তে কোলেস্টেরলের মাএা বেড়ে গিয়ে হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। অনেক সময় মাথাচক্কর লাগা বা মাথা ঘুরছে এমন ভাব হতে পারে।
- অনেক সময় কোলেস্টেরল বেড়ে গিয়ে নখের উজ্জ্বলতা কমে হলুদ রং ধারণ করে এমনকি স্কিনে সাদা ফোড়া দেখা দিতে পারে।
- কোলেস্টেরলের ফলে রক্তনালীতে প্লাক জমে গিয়ে মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেন সঠিকভাবে সরবরাহ না হলে অনেক সময় মেমোরি লস হয়ে যায়।
তাই যখনই দেখবেন আপনার দেহে এই ধরনের লক্ষণ গুলো দেখা গিয়েছে যত দ্রুত সম্ভব কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা প্রতিদিন মেইনটেইন করুন ও প্রয়োজনমতো চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
কোলেস্টেরল কমাতে কি খাব না
কোলেস্টেরল সমস্যা সংক্রান্ত ব্যক্তিরা অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন কোলেস্টেরল কমাতে কি খাব না। আপনারা যদি সত্যিই সতর্ক থাকেন কোলেস্টেরল কমাতে কি খাব না তাহলে আপনাদের কাছে অনুরোধ রইলো কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা ফলো করুন। কোলেস্টেরল কমাতে যে সকল খাবার গুলো অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত সেগুলো নিচের ব্যাখ্যা করা হলো:
- কোলেস্টেরল কমাতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাদ্য বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাদ্যের মধ্যে রয়েছে- গরুর মাংস, খাসির মাংস, মিষ্টি জাতীয় খাবার, চিজ, মাখন, পেস্ট্রি কেক, ক্রিম কেক, রোল কেক, বেকারি খাবার ইত্যাদি। এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের ফাস্টফুড আইটেম রয়েছে যেগুলো আপনাকে অবশ্যই বাদ দিতে হবে সেগুলো হলো- বিস্কুট, মাফিন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, বার্গার, পিজ্জা, ডোনাট, চিকেন ফ্রাই, ফ্রাইড রাইস, বিরিয়ানি, কাবাব ইত্যাদি।
- কোলেস্টেরল কমানোর জন্য উচ্চকোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবারগুলো বাদ দিতে হবে। উচ্চকোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার দেহে এলডিএল কোলেস্টেরল বাড়তে পারে। যেমন- ডিমের চাহিদা পূরণ করতে হলে আপনাকে ডিমের সাদা অংশ খেতে হবে। ডিমের কুসুম খেতে পারবে না। কারণ ডিমের কুসুমে উচ্চ পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে। উচ্চ কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ আরো কিছু খাবার যেমন- চিংড়ি মাছ, যকৃত, কিডনি, সকালপ্স এগুলোতেও উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে।
- এছাড়াও কোলেস্টেরল কমাতে হলে মিষ্টি জাতীয় ড্রিংকস ও শরবত বাদ দিতে হবে। যেমন- মিষ্টি জাতীয় ফলের রস, সোডা, চিনি জাতীয় শরবত, কোক, পেপসি, ফান্টা, মাউন্টেন ডিউ এগুলো পরিহার করতে হবে। অনেকে ভেবে থাকেন কোলেস্টেরল যাদের বেশি আছে তারা হয়তো সাদা রুটি খেতে পারবেন। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। যাদের কোলেস্টেরল বেশি আছে তাদের সাদা রুটি এড়িয়ে চলা উচিত। সাদা রুটির পরিবর্তে আপনারা লাল আটার রুটি খেতে পারেন এবং সাদা ভাতের পরিবর্তে ব্রাউন রাইস খেতে পারেন।
- শরীর থেকে কোলেস্টেরল কমাতে হলে পাম ও কোকোনাট অয়েল জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। কারণ এই ধরনের তেলে উচ্চ পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যেটি কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করতে পারে। এই তেল গুলোর পরিবর্তে অলিভ অয়েল অথবা ক্যানোলা অয়েল খাবারে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার প্রতিদিনের কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা গুলোতে সবুজ শাকসবজি, পুষ্টিকর ফল, প্রোটিন জাতীয় খাবার বেছে নিন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
কোলেস্টেরল কমানোর ব্যায়াম
কোলেস্টেরল রোগীদের কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা অনুসরণ করার পাশাপাশি কোলেস্টেরল কমানোর ব্যায়াম করতে হবে। দৈনন্দিন জীবনে ব্যায়াম এমন একটিভিটি যেটি আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সহায়তা করে। একজন স্বাভাবিক সুস্থ মানুষকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অনুসরণ করে ব্যায়াম করতে হয়। কোলেস্টেরল রোগীদের জন্য আলাদা কিছু ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো করলে তাদের রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে সেগুলো হলো-
এ্যারোবিক ব্যায়াম
কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা অনুসরণ করার পাশাপাশি আপনি যদি প্রতিদিন ৩০ মিনিট দৌড়ানোর অভ্যাস করেন, সাঁতার কাটা, সাইকেলিং করার চেষ্টা করেন তাহলে আপনার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে বেশ উপকারী হবে এবং শরীর থেকে ফ্যাট বার্ন হবে। এটিকে এ্যারোবিক ব্যায়াম বলা যেতে পারে
ব্রিস্ক ওয়াকিং
ব্রিস্ক ওয়াকিং বলতে এমন ব্যায়ামকে বোঝায় যেখানে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট দ্রুত গতিতে হাঁটতে হবে যেটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
ওজন তোলা
কোলেস্টেরল রোগীদের সপ্তাহে দুই-তিন দিন ওজন তোলার ব্যায়াম করলে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পাবে যেটি শরীরের ফ্যাট কমাতে সহায়ক এবং পেশি গঠনে ভূমিকা রাখে। ওজন তোলার জন্য বিভিন্ন জিম সেন্টার ট্রেনিং এর সহায়তাও নিতে পারেন।
যোগব্যায়াম
যোগব্যায়াম দেহের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি শরীরের রক্তচাপ কমায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখে। যোগব্যায়াম প্রতিনিয়ত করার ফলে মানসিক স্ট্রেস কমে এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
এসকল ব্যায়াম করার পাশাপাশি আপনি কোলেস্টেরল কমাতে যদি প্রতিদিন ঘরের কিছু কাজ করেন তাহলে আপনার দেহের জন্য উপকারী হবে। যেমন- বাগান করা, ঘর ঝাড়ু দেওয়া, ঘরের বিভিন্ন জিনিস পরিষ্কার করার কাজ করা, রান্না করা ইত্যাদি।
কোলেস্টেরল কমাতে লেবু
কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা এর মধ্যে যতগুলো খাবার আছে তার মধ্যে লেবু অন্যতম। কোলেস্টেরল কমাতে লেবু এর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। লেবু এমন একটি পুষ্টিকর ফল যেটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ধরনের উপকার করে। বিশেষ করে কোলেস্টেরল রোগীদের ক্ষেত্রে। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ডায়েটারি ফাইবার যেটি কোলেস্টেরল কমাতে ক্ষমতা রাখে। লেবুর রস শরীরের জন্য এতটা উপকারী এটি শরীর থেকে টক্সিন ও অতিরিক্ত ফ্যাট দূর করে দিয়ে লিভারকে সুস্থ রাখতে ও সহায়তা করে। লেবুতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে
তাই এটি শরীরে এক ধরনের শক্তিশালী আন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। লেবুতে পেকটিন নামক একটি ফাইবার আছে যেটি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি এমন একটি দ্রবণীয় ফাইবার যা শরীরের এলডিএল কোলেস্টেরল শোষণ করে থাকে। এমন কি এটি শরীরের অন্ত্রে জেলির মতো পদার্থ তৈরি করে। এর ফলে শরীর থেকে কোলেস্টেরল দ্রুত অপসারণ হয়। যেহেতু লেবুতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে তাই এটি পানিতে মিশিয়ে খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ওজন কমানোর বিকল্প নেই। কারণ অতিরিক্ত ওজন শরীরে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে
দেয় এবং এইচডি এল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। কোলেস্টেরল কমাতে আপনি লেবুকে বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন- লেবু পানি, লেবু চা, সালাদে লেবুর রসের ব্যবহার এগুলো আপনার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করবে। যে সকল খাবারে লেবুর রস যুক্ত করা সম্ভব আপনি সে সকল খাবারে লেবুর রস এড করে খেয়ে নেবেন। যদিও লেবু কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক কিন্তু শুধু লেবু খাওয়ার মাধ্যমে কোলেস্টেরলের সকল সমস্যা সমাধান হবে না।
এর জন্য আপনাকে চিকিৎসকের কথামতো জীবনধারা পরিবর্তন করতে হবে। তাই কোলেস্টেরল রোগীদের কাছে আমার একটি অনুরোধ থাকবে প্রতিদিনের কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা ফলো করার সময় লেবু রাখার চেষ্টা করবেন।
কোলেস্টেরল কমানোর ঘরোয়া উপায়
যারা কোলেস্টেরল কমানোর ঘরোয়া উপায় খুঁজছেন তাদের জন্য আমি এমন ৭টি ঘরোয়া উপায় নিয়ে এসেছি যেটি আপনারা প্রতিদিন ঘরে এপ্লাই করতে পারবেন। এই ঘরোয়া উপায় গুলোর বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হলো:
- প্রতিদিনের কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা অনুসরন করার সময় হলুদ যোগ করার চেষ্টা করবেন। যে কয়েকটি খাবার রান্না করবেন প্রত্যেকটা খাবারে যাতে হলুদ মিশ্রিত থাকে। কারণ হলুদে কুরকিউমিন নামক একটি প্রাকৃতিক উপাদান থাকে যেটি লিভারে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- অনেকেই সকালের নাস্তায় ওটস খায়। ওটসে পেকটিন নামক একটি দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যেটি কোলেস্টেরলের শোষণ কমাতে সাহায্য করে। এতে শরীর থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল বের হয়ে যায়। ওটস খাওয়ার সময় আপনি চাইলে এরসাথে দুধ, ফল ও বাদাম যোগ করতে পারেন এতে পুষ্টিগুণ বেড়ে যাবে।
- প্রতিদিনের খাবারে একমুঠো বাদাম রাখার চেষ্টা করুন এটি কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
- প্রতিদিন এক চামচ চিয়াসীড গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন। কারণ চিয়াসীডে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যেটি কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করবে।
- লেবুর রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যেটি আপনার লিভার থেকে কোলেস্টেরল কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন এক কাপ গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন এতে শরীর সতেজ থাকে।
- যারা ঘরোয়া উপায়ে কোলেস্টেরলের মাএা নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাদের জন্য গ্রিন টি এর বিকল্প নেই। আপনি চাইলে গ্রিন টি এর সাথে লেবুর রস ও মধু মিক্স করে খেতে পারেন।
- ঘরোয়া উপায়ে কোলেস্টেরল কমাতে রসুনের ভুমিকা অপরিসীম। প্রতিদিনের খাবারে এক থেকে দুই কোয়া রসুন খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারণ রসুনে এলিসিন নামক একটি যৌগ রয়েছে যেটি কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক।
কোন কোন মাছে কোলেস্টেরল আছে
অনেকে জানতে আগ্রহী কোন কোন মাছে কোলেস্টেরল আছে।এখানে প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে কি পরিমান কোলেস্টেরল থাকতে পারে নিচে সেটি দেয়া হলো:
- রুই (Rohu) - প্রায় ৫০-৫৫ mg
- কাতলা (Catla) - প্রায় ৫০-৫৫ mg
- ইলিশ (Hilsa) - প্রায় ৭০-৮০ mg
- মৃগেল (Mrigal) - প্রায় ৪৫-৫০ mg
- পুঁটি (Puti) - প্রায় ৫০-৫৫ mg
- কই (Climbing Perch) - প্রায় ৫৫-৬০ mg
- টেংরা (Tengra) - প্রায় ৪০-৪৫ mg
- বোয়াল (Wallago) - প্রায় ৬০-৭০ mg
- পাবদা (Pabda) - প্রায় ৫০-৫৫ mg
- সিলভার কার্প (Silver Carp) - প্রায় ৫০-৫৫ mg
- গ্রাস কার্প (Grass Carp) - প্রায় ৫০-৫৫ mg
- মাগুর (Walking Catfish) - প্রায় ৪৫-৫০ mg
- শিং (Stinging Catfish) - প্রায় ৫০-৫৫ mg
- কালবাউশ (Black Rohu) - প্রায় ৫০-৫৫ mg
- কানদা (Koi) - প্রায় ৫০-৫৫ mg
- রিটা (Rita) - প্রায় ৫০-৫৫ mg
- পাংগাশ (Pangasius) - প্রায় ৫০-৫৫ mg
- চান্দা (Glass Fish) - প্রায় ৪০-৪৫ mg
- বেলে (Indian River Shad) - প্রায় ৫০-৫৫ mg
- চিংড়ি (Shrimp) - 189 mg
- লবস্টার (Lobster) - 145 mg
- স্ক্যালপ (Scallop) - 41 mg
- কাঁকড়া (Crab) - 95 mg
- স্যালমন (Salmon) - 55 mg
- টুনা (Tuna) - 38 mg
- হ্যালিবাট (Halibut) - 50 mg
- ম্যাকেরেল (Mackerel) - 70 mg
- হেরিং (Herring) - 77 mg
- স্যারডাইন (Sardine) - 142 mg
- ট্রাউট (Trout) - 63 mg
- পাইক (Pike) - 49 mg
- কড (Cod) - 43 mg
- হ্যাডক (Haddock) - 57 mg
- ফ্লাউন্ডার (Flounder) - 58 mg
- ব্ল্যাক বাস (Black Bass) - 53 mg
- রেড স্ন্যাপার (Red Snapper) - 37 mg
- ফার্ম রেইজড ক্যাটফিশ (Farm-raised Catfish) - 56 mg
- সাউদার্ন ব্লু ফিন টুনা (Southern Bluefin Tuna) - 60 mg
- ব্লুফিশ (Bluefish) - 78 mg
- গ্রুপার (Grouper) - 48 mg
- মাহি মাহি (Mahi Mahi) - 50 mg
- মাল্ট (Mullet) - 60 mg
- প্রিক (Perch) - 85 mg
- মারলিন (Marlin) - 60 mg
- স্বোর্ডফিশ (Swordfish) - 70 mg
- স্টার্জিয়ন (Sturgeon) - 56 mg
- তেলাপিয়া (Tilapia) - 50 mg
- কিং ম্যাকেরেল (King Mackerel) - 85 mg
- ওয়াহু (Wahoo) - 70 mg
এগুলো প্রতিটি মাছের আনুমানিক পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে কোলেস্টেরল নির্ণয় করা হয়েছে। পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাস, জীবনধার উপর ভিত্তি করে মাছের কোলেস্টেরলের পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।
শেষকথা
প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। তাই আমি আপনাদেরকে রিকোয়েস্ট করব আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে সার্চ অপশনে কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা লিখে সার্চ দিলেই এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন। কোলেস্টেরল সংক্রান্ত যতগুলো তথ্য এখানে শেয়ার করেছি সমস্ত তথ্য বাংলাদেশের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে।
তাই আপনারা নিশ্চিন্তে এটি ফলো করতে পারেন। আপনাদের পাড়া-প্রতিবেশী, পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে যদি কোলেস্টেরল সমস্যায় ভুগছে এমন কোনো রোগী থাকে তাহলে তাদের নিকট আমাদের আজকের পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url