গুগল এডসেন্স একাউন্ট কি-যেভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলবেন
কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব বিষয়টি নিয়ে আমরা বেশিরভাগ সময়েই উদ্বেগ প্রকাশ করে থাকি। অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার একটি মাধ্যম হলো গুগল এডসেন্স। মুলত যাদের ব্লগ ওয়েবসাইট রয়েছে তারা একটি নির্দিষ্ট সময় পরে গুগল এডসেন্স তৈরি করে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারে। ওয়েবসাইট সম্পর্কে ধারণা থাকলেও অনেকের কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব সেই বিষয়টি নিয়ে কনফিউশন থাকে।
কিভাবে এডসেন্স খুললে অ্যাপ্রুভ হবে সে বিষয়টি আমরা খুব ভালোভাবে জানানোর চেষ্টা করব। আলোচ্য বিষয়টি জানার পাশাপাশি আরো যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে চলেছেন সেগুলো হল গুগল এডসেন্স একাউন্ট কি এবং এর কাজ কি, গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। সুতরাং কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব বিষয়টি জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্র
গুগল এডসেন্স একাউন্ট কি
গুগল এডসেন্স মূলত গুগলের পরিচালিত একটি ওয়েব এপ্লিকেশন। সাধারণত এটি একটি অংশীদারিত্ব প্রকল্প যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার ওয়েবসাইটে প্রদত্ত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়। একটি ওয়েবসাইটের মালিক কিছু শর্ত অনুযায়ী তার সাইটে গুগল থেকে নির্ধারিত বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার মাধ্যমে এডসেন্স থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারে। বিশেষ করে যারা ব্লগিং করে তারা গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে থাকে। আবার যারা ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করে তারাও গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে পেমেন্ট পেয়ে থাকে।
এক কথায় গুগল এডসেন্স একাউন্ট কি এ বিষয়টি বলতে গেলে একটি বিজ্ঞাপন জনিত পাবলিশিং প্রোগ্রাম যা Google এর নিজস্ব প্রোডাক্ট হিসেবে উল্লেখিত। আমরা লক্ষ্য করলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এবং ইউটিউবের ভিডিও দেখার সময় কিছু সময়ের জন্য অ্যাড প্রদর্শিত হয়। আর এই অ্যাড প্রদর্শনের মাধ্যমেই গুগল এডসেন্স একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার জমা হয়। এড প্রদর্শিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কেউ যদি এড এ ক্লিক করে বা শুধুমাত্র পেজ ভিউ করে সেক্ষেত্রে Google একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যামাউন্ট ওই ওয়েবসাইটের মালিকের এডসেন্স একাউন্টে জমা করে দেয়।
তাই কেউ যদি ব্লগ অথবা ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে চায় তাহলে কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব এ বিষয়টি খুব ভালোভাবে জানা প্রয়োজন। কেননা একটি নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া ফিলাপ করার পর এডসেন্স একাউন্টের জন্য এপ্লাই করতে হয়। যারা এ বিষয়ে নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন তারা আজকে এই আর্টিকেলটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
গুগল এডসেন্স এর কাজ কি
বর্তমান সময়ে অনেকেই ব্লগিং এবং ইউটিউব কে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই ভালো একটি সিদ্ধান্ত বলে গণ্য করা যাবে। কেননা একজন ভালো মানের কনটেন্ট রাইটার এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটর তার ক্রিয়েটিভিটি প্রদর্শনের মাধ্যমে ভালো একটি অ্যামাউন্ট ইনকাম করতে সম্ভব হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা বিভিন্ন সাকসেসফুল মানুষদের গল্প শুনে থাকি। বিশেষ করে যারা ইউটিউবিং করে গরিব থেকে হঠাৎ করেই বড়লোক হয়ে গেছেন। আবার ব্লগিং করেও অনেকে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করে যাচ্ছেন।
তাদেরকে দেখার পর আমাদের মনের ভেতরেও ইউটিউবিং অথবা ব্লগিং করার বিষয়টা প্রয়াস পায়। যদি কেউ ব্লগিং করতে চায় অবশ্যই ভালো মানের কনটেন্ট রাইটার হতে হবে। আর ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে হলে ভালো মানের কোয়ালিটি ফুল ভিডিও তৈরি করার পাশাপাশি গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় এবং উপস্থাপনা ভালোভাবে জানতে হবে। কেননা এগুলোর ভিত্তিতেই সাধারণত ভিউ হয়ে থাকেই। আর ইনকাম মূলত ভিউ কমবেশি হওয়ার ভিত্তিতেই নির্ভরশীল। ভালো মানের একজন ক্রিয়েটর হওয়ার পাশাপাশি গুগল এডসেন্স একাউন্ট কি এবং এর কাজ কি বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে ধারণা রাখা উচিত।
আমরা ইতিমধ্যে গুগল এডসেন্স কি সে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারলাম। ব্লগিং অথবা ইউটিউবিং যেটাই করা হোক না কেন ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরে এবং ইউটিউব ভিডিওর অভ্যন্তরে যে অ্যাড গুলো শো হয় সেগুলোর মাধ্যমেই গুগল এডসেন্সে ডলার জমা হয়ে থাকে। তাহলে বিষয়টি এভাবে বলা যায় যে গুগল এডসেন্সের মূল কাজ হল নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্নভাবে এড প্রদর্শন করা। আর ওই সকল এড প্রদর্শিত হওয়ার মাধ্যমে গুগল একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ এমন গুগল এডসেন্স একাউন্টে জমা করে থাকে।
অনেকের ব্লগিং অথবা ইউটিউব ইন করার আগ্রহ থাকলেও কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব সে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকে না। তাই একজন কনটেন্ট টিউটরের অবশ্যই ইনকামের পথ অর্থাৎ গুগল এডসেন্স এর কাজ সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখা উচিত।
কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব
আমরা ইতিমধ্যেই অবগত হতে পেরেছি যে কেউ যদি ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব পরিচালনা করার মাধ্যমে সাকসেসফুল হতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হবে। আর এই ইনকাম পদ্ধতিটি বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এর অন্যতম কারণ হলো গুগল এডসেন্স একাউন্ট যদি সঠিকভাবে করা হয় তাহলে খুব সহজেই অ্যাপ্রুভাল পাওয়া সম্ভব। তবে বলাবাহুল্য যে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই গুগলের দেওয়া টার্ম এন্ড কন্ডিশনগুলো ভালোভাবে মেনে চলতে হয়। প্রথমত গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় গুলো খুব ভালোভাবে জানতে হবে।
কেউ যদি তার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট করতে থাকে তাহলে শুরুতেই ইনকাম আসে না। একটি নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া ফিলাপ করার পর গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করতে হয়। যদি গুগল এর কর্তৃপক্ষ রিভিউ করার মাধ্যমে উক্ত ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল এডসেন্স এপ্রুভ এর জন্য যোগ্য হয় তবেই কেবলমাত্র এপ্রুভাল দিয়ে থাকে। গুগল অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার পরে পরবর্তী সময়ে ব্লগ অথবা ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ধীরে ধীরে ইনকাম জেনারেটর হতে থাকে। তাহলে কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব বা খুলতে গেলে কি কি জিনিস প্রয়োজন পড়বে সেটি জেনে নেওয়া উচিত।
গুগল এডসেন্স পেতে প্রয়োজনীয় তথ্য
- গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি জিমেইল আইডির প্রয়োজন পড়বে। একটি প্রফেশনাল জিমেইল আইডি ক্রিয়েট করে রাখতে হবে।
- একাউন্ট ভেরিফাই করার ক্ষেত্রে একটি সচল মোবাইল নম্বর প্রয়োজন পড়বে।
- ভেরিফিকেশন চিঠি প্রেরণের জন্য একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা প্রয়োজন হবে এবং অবশ্যই ঠিকানাটি সঠিক হতে হবে।
- পরিশেষে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে দরকারি উপকরণ সেটি হলো ওয়েবসাইট অথবা youtube চ্যানেল লাগবে।
উপরে বর্ণিত সকল বিষয়গুলো যদি আপনার সংগ্রহে থাকে তাহলে নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া পূরণ করার প্রেক্ষিতে গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ইউটিউব চ্যানেলের ক্ষেত্রে ১ বছরের মধ্যে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম ফিলাপ করলে তবেই কেবলমাত্র গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করা যায়। আর ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে অনেক কিছু বিষয়ে যেমন গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সহ আরো অন্যান্য বিষয় সমন্ধে অবলোকন করার মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশন করা উচিত। অনেকের মতে কয়েকটি পোস্ট করেই এডসেন্সের জন্য অ্যাপ্লিকেশন করা।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এডসেন্স এপ্লাই করার জন্য অবশ্যই ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। তাই কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব এই প্রশ্নে গুগল এডসেন্স পেতে হলে কোন বিষয়গুলো পূরণ করতে হয় সেটা দেওয়া হল।
- ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইটের ক্রাইটেরিয়া
- ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইটে সব সময় ইউনিক পোস্ট পাবলিশ করতে হবে। অর্থাৎ অন্যের পোস্ট কপি করে নিজের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা যাবে না।
- ওয়েবসাইটে কমপক্ষে ৫০ টির বেশি আর্টিকেল থাকতে হবে।
- প্রত্যেকটি আর্টিকেলের মান ভালো হতে হবে অর্থাৎ কোয়ালিটি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পাবলিশ না করলে অ্যাপ্রভাল পাওয়ার চান্স কমে যায়।
- যদি ব্লগ সাইটে ৩ টি ক্যাটাগরী নিয়ে কাজ করা হয় তাহলে প্রত্যেকটি ক্যাটাগরিতে কমপক্ষে ৫ টি করে আর্টিকেল থাকতে হবে।
- ওয়েবসাইটের About us, Contact us, Privacy policy সঠিকভাবে আছে কিনা তা চেক করে নিতে হবে। যদি না থাকে সেক্ষেত্রে ক্রিয়েট করতে হবে।
উপরে বর্ণিত বিষয়গুলোও যদি মিলে যায় তাহলে youtube অথবা ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে গুগল এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করা যাবে। যদি কোন কারনে এপ্রুভাল না পাওয়া যায় তাহলে ওয়েবসাইটটি আবার সঠিকভাবে আপডেট এবং রিভিউ করার পরে পুনরায় এডসেন্স এর জন্য অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে।
গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার নিয়ম
কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব এই বিষয়টিতে আমরা সর্বপ্রথম কিছু প্রয়োজনীয় তথ্যর কথা উল্লেখ করেছি। যদি সেই তথ্য বা বিষয়গুলো কারো কাছে অ্যাভেলেবল হয় এবং ইউটিউব অথবা ওয়েবসাইটের ক্রাইটেরিয়াগুলো ফিলাপ করা হয়, তাহলে গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করা যাবে। সবকিছু সংগ্রহে আসার পর নির্দিষ্ট পদক্ষেপের ভিত্তিতে এডসেন্স একাউন্ট খোলা যাবে। যদিও ইউটিউব চ্যানেলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট যে ক্রাইটেরিয়া দেওয়া থাকে সেটা ফিলাপ না হওয়া পর্যন্ত গুগল এডসেন্স এপ্লাই বাটন শো হয় না।
আরো পড়ুনঃ ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয়-ব্লগ তৈরির নিয়ম
কিন্তু ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ সাইট থেকে গুগল এডসেন্স একাউন্ট পাওয়ার জন্য যেকোনো সময় এপ্লাই করা যায়। আর এক্ষেত্রে যারা ওয়েবসাইট থেকে গুগল এডসেন্স নিতে চাচ্ছে তাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। উপরে বর্ণিত ব্লগ সাইট এর ক্ষেত্রে যে বিষয় বা ক্রাইটেরিয়া উল্লেখ করা হলো সেগুলো ফিলাপ বা অ্যাভেলেবেল হলে তবেই মাত্র এপ্লিকেশন করতে হবে। তা না হলে Google টিম রিভিউ করার পরে অ্যাপ্লিকেশনটি বাতিল বলে গণ্য করবে। চলুন তাহলে এবার কোন পদক্ষেপ গুলো ফলো করার মাধ্যমে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলা যায় সেটি জেনে নিব।
- প্রয়োজনীয় তথ্য সেকশনে যে ইমেইলের কথা বলা হয়েছে, সেই ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড এর মাধ্যমে এডসেন্স একাউন্টে লগইন করতে হবে। লগইন করার সময় আলাদাভাবে পাসওয়ার্ড দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।
- লগইন করার পর যদি একক হয় সে ক্ষেত্রে individual সিলেক্ট করতে হবে। যদি কোম্পানির পক্ষ থেকে হয় তাহলে company সিলেক্ট করতে হবে ৎ
- এই পর্যায়ে এসে NID কার্ডে উল্লেখিত নাম এবং একটি সচল মোবাইল নম্বর দিয়ে ফিলাপ করতে হবে।
- ঠিকানা সেকশনে এসে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব এই প্রশ্নতে একটি বিষয় মনে রাখা জরুরী সেটা হল আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে ১০ ডলার পূরণ হওয়ার পর এডসেন্স থেকে আপনার প্রদত্ত ঠিকানায় একটি ভেরিফিকেশন চিঠি যাবে। এই চিঠিতে একটি গোপনীয় ভেরিফিকেশন কোড থাকবে যা এডসেন্স ভেরিফাই করার জন্য প্রয়োজন হবে।
- বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যম সেকশনে যদি ওয়েবসাইটের মালিক হন তাহলে ওয়েবসাইটের লিংক এবং ইউটিউব চ্যানেলের মালিক হলে ইউটিউব চ্যানেলের লিঙ্ক দিয়ে দিতে হবে।
- বাংলাদেশের টাইম যোনের ক্ষেত্রে +৬ সিলেক্ট করতে হবে।
এভাবে গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন কার্য সম্পন্ন হবে। উপরের বিষয়গুলো যদি সঠিকভাবে পূরণ করা হয় তাহলে এডসেন্স এপ্লাই করার কিছুদিনের মধ্যে গুগল টিম ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল রিভিউ করার পর অ্যাপ্রুভাল দেবে কিনা সেটা ইমেইলের মাধ্যমে জানাবে। আর এই প্রসেসটি শেষ হতে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে।
গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়
বর্তমান সময়ে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করার উপায়গুলো একটু কঠিন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে। যাদের কনটেন্ট কোয়ালিটি ভালো তারাই নিয়মিত ভিউজ পাওয়ার পাশাপাশি সেখান থেকে ভালো একটি অ্যামাউন্ট ক্রিয়েট করতে সক্ষম হচ্ছে। অনেকের মতে ফ্রিল্যান্সিং এর এই প্যাসিভ ইনকাম, এক্টিভ ইনকাম এর চেয়ে অনেকটাই ভালো। যারা একটিভ ইনকাম করে তাদেরকে ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলে খুশি করার মাধ্যমে তবে কেবলমাত্র অর্ডার পেয়ে থাকে। আর যারা ব্লগিং অথবা ইউটিউবিং করে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে তাদের ক্লায়েন্ট হান্টিং বা অর্ডার পাওয়ার কোন রকম টেনশন থাকে না।
তাই অনেকেই প্যাসিভ ইনকাম গুলোর মধ্যে ওয়েবসাইট থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ব্লগিং করে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করা স্বাচ্ছন্দ বোধ করে থাকে। গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় হিসেবে সাধারণত এডসেন্সের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে এড শো করানোকেই ধরা হয়। গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই প্রত্যেকটি আর্টিকেল ইউনিক হওয়ার পাশাপাশি কোয়ালিটি সম্পন্ন কনটেন্ট হতে হবে। বিষয়টি এমন যে একজন ক্রিয়েটর ইউনিক একটি কন্টেন্ট বানালো যা সবার থেকে আলাদা। কিন্তু দেখা গেল কন্টেন্টের কোয়ালিটি খুব একটা ভালো না।
তাই এক্ষেত্রে আলাদা হয়েও কোনরকম ভিউ আসবে না। সুতরাং গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় হিসেবে অবশ্যই ভালো মানের ইউনিক কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হবে। প্রত্যেকটি আর্টিকেলে On Page SEO এর কাজ সঠিকভাবে করতে হয়। আর্টিকেল ইউনিট এবং কোয়ালিটি ফুল হওয়ার পাশাপাশি যদি SEO সঠিকভাবে করানো হয় তাহলে Google সেটাকে র্যাঙ্ক করে না। এজন্য কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব এ বিষয়টি জানলেই হবে না। ভালো মানের আর্টিকেল লেখার পাশাপাশি একজন ভালো মানের SEO এক্সপার্ট হওয়া জরুরী।
যদি সঠিকভাবে একটি আর্টিকেল SEO করে পাবলিশ করা হয় তাহলে গুগল সার্চ কনছলে সেটি INDEX হয়ে যাবে। আর যদি গুগোলে আর্টিকেলগুলো ইনডেক্স হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই সেখানে ভিউ আসবে। আর ভিউ আসলে গুগল এডসেন্স থেকে অবশ্যই টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
গুগল এডসেন্স কি বাংলা ব্লগ সাপোর্ট করে
অনেকে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় গুলো জানতে চাওয়ার পাশাপাশি গুগল এডসেন্স কি বাংলা ব্লগ সাপোর্ট করে কিনা এ বিষয়টি জানতে চেয়ে থাকেন। সহজভাবে যদি বিষয়টি উপস্থাপন করা হয় তাহলে আমরা এভাবে বলতে পারি যে আপনি এই মুহূর্তে যে ব্লগ অথবা আর্টিকেলটি পড়ছেন সেটা অবশ্যই বাংলাতে লেখা। যেহেতু আপনার সামনে একটি বাংলায় লিখা আর্টিকেল শো করা হচ্ছে তাহলে এ থেকে নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে Google বাংলা ব্লগ সাপোর্ট করে। পাশাপাশি আপনি যেমন এই ব্লগের একটি ভিজিটর হিসেবে গণ্য হলেন সেই ভিত্তিতে আমাদের গুগল এডসেন্স একাউন্টে কিছু পরিমাণ ডলার যুক্ত হবে।
আরো পড়ুনঃ ব্লগের মূল চালিকাশক্তি কি? ব্লগ তৈরির নিয়ম
আর এটি মূলত গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়। সুতরাং কেউ যদি গুগল এডসেন্স থেকে বাংলা ব্লগ লিখে ইনকাম করতে চায় তাহলে নির্দ্বিধায় বাংলা ব্লগ লেখা শুরু করতে পারে। বাংলা ব্লগ লেখার বিষয়ে যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে বা কোন বিষয় নিয়ে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা অতি সত্বর সেই বিষয়টির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
গুগল এডসেন্স পেমেন্ট
আমরা এই পর্যন্ত কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব এবং গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সংক্রান্ত বিষয়গুলো জানতে পেরেছি। ওয়েবসাইট এবং গুগল এডসেন্স একাউন্ট সবই আছে তাহলে পেমেন্ট কিভাবে পাব এই প্রশ্নটিও থেকে যায়। গুগল এডসেন্স পেমেন্ট মেথড একটি সার্কেলের মত কাজ করে। ধরুন একজন ব্যক্তি জুন মাসের ১ তারিখে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পেল। তাহলে জুনের ১ তারিখ থেকে তার একাউন্টে ডলার জমা শুরু হবে। কিন্তু এখানে বিষয় হলো জুনের ১ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত যে ইনকাম হবে সেটি মূল ব্যালেন্সে যোগ হবে না। ব্যালেন্সটি সাধারণত This Month হিসেবে থেকে যাবে।
এরপর জুলাই মাসের ১ তারিখে জমাকৃত ব্যালেন্স মূল ব্যালেন্সে এসে যোগ হবে। তারপর সেই ব্যক্তিটি আবার কাজ করতেই থাকবে এবং This Month সেকশনে টাকা পুনরায় জমা হতে থাকবে। এভাবে জুলাই মাসের ২১ তারিখে এসে গুগল এডসেন্স থেকে ওয়েবসাইটে অথবা ইউটিউব চ্যানেলের মালিকের ব্যাংকের একাউন্টে টাকা পাঠানো হবে। (বলাবাহুল্য যে এডসেন্স অ্যাপ্রুভ হওয়ার পর অবশ্যই একটি ব্যাংকের একাউন্ট সেখানে যুক্ত করে নিতে হবে)। ২১ তারিখে টাকা পাঠানোর পর ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তির একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে। তাহলে বলা যেতেই পারে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় অত্যন্ত সহজ এবং গুগল এডসেন্স পেমেন্ট মেথডটিও অনেকটাই কার্যকরী।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি আজকের এই আর্টিকেলের প্রত্যেকটি তথ্য আপনাদের অনলাইন থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে অনেকটাই কাজে দেবে। যদি কেউ ইউটিউবিং অথবা ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে চায় তাহলে কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব বা খোলা উচিত সেই নিয়ে আপাতত আর কোন কনফিউশন থাকার কথা নয়। পাশাপাশি গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় গুলোর একটি কার্যকরী টিপ আপনাদের কাছে শেয়ার করা হয়েছে সেটাও একজন ব্লগারের অনেক কাজে আসবে।
এরপরেও যদি গুগল এডসেন্স সংক্রান্ত আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা সব সময় চেষ্টা করি আমাদের ওয়েবসাইটে তথ্যবহুল আর্টিকেল পাবলিশ করার জন্য। আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসতে পারেন। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের উপকারের লক্ষ্যে একটি শেয়ার করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url