হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে ও হোম লোন ইন্টারেস্ট

হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে? হোম লোন নেওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া, হোম লোনের নিতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়, হোম লোন সুদের হার এবং ব্যাংকের শর্তাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এবং সহজ উপায় হোম লোন নিন। আমাদের অনেকেরই বাড়ি কেনার স্বপ্ন থাকে কিন্তু বাড়ি কেনার সময় হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকার ফলে বাড়ি কেনা কঠিন হয়ে পড়ে। 
হোম-লোন-কিভাবে-পাওয়া-যাবে
আপনারা যারা বাড়ি কিনতে চাচ্ছেন কিন্তু বাড়ি কেনার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ টাকা নেই তাদের জন্য আমি আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাধান নিয়ে এসেছি সেটি হচ্ছে হোম লোন কিভাবে পাওয়া যায়। ব্যাংকের অনেক গ্রাহকরা ধারণা করে থাকেন অন্যান্য প্রয়োজনের ক্ষেত্রে লোন নেওয়া গেলেও হয়তো বাড়ি, ফ্লাট কেনার জন্য লোন নেয়ার সুযোগ নেই। তারা একদমই জানে না বাড়ি বা ফ্লাট ক্রয় করার ক্ষেত্রে হোম লোন নেওয়ার ব্যবস্থা আছে। 

তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্টটি খুবই হেল্পফুল হবে। আজকের ব্লগ পোস্টে হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা করব এবং তার পাশাপাশি আরো যে সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন সেগুলো হলো- হোম লোন কি, হোম লোন ইন্টারেস্ট, হোম লোন সুদের হার বাংলাদেশ, হাউজ লোন নিতে কি কি কাগজ লাগে, সরকারি চাকরিজীবীদের হোম লোন নেয়ার সুবিধা, ইসলামী ব্যাংক হোম লোন পদ্ধতি, হোম লোন ক্যালকুলেটর বাংলাদেশ, গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন ইত্যাদি।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার পূর্বে আপনাদের জেনে রাখা জরুরী হোম লোন কি। সহজ কথায় হোম লোন বলতে এমন এক ধরনের ঋণ বা লোনকে বুঝায় যেখন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি বা ফ্লাট কেনার জন্য লোন প্রদান করা হয়। হোম নোন নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে ব্যাংকের প্রয়োজনীয় কিছু শর্তাবলী মেনে চলতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুদসহ লোন পরিশোধ করতে হবে। হোম লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে ঋণদাতা অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাড়ির মূল্যের উপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসেবে দিয়ে থাকে। 

ঋণদাতা আবেদনকারীকে লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্রেডিট স্কোর, কর্মস্থলের স্থায়িত্ব, আবেদনকারীর জমির দলিল, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সকল ডকুমেন্ট প্রমাণপত্র হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। হোম লোনের সুদের হার বাজারের অবস্থা ও ব্যাংকের নিয়ম নীতির উপর নির্ভর করে পরিবর্তন হতে পারে। তবে এই সুদ দুটি পদ্ধতিতে পরিশোধ করা যায় সেটি হলো- স্থির সুদ, পরিবর্তনশীল সুদ। হোম লোন সাধারণত ২০ থেকে ৩০ বছরের জন্য দেওয়া হয় এবং ধাপে ধাপে গ্রাহক কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করে দিতে পারবে। 

যে সকল ব্যক্তিরা বাড়ি বা ফ্ল্যাট ক্রয় করার জন্য ভাবছেন হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে তাদের জন্য একটি বিষয়ে সতর্ক থাকা খুবই জরুরী সেটি হলো তারা যেনো ব্যাংকের সমস্ত শর্তাবলী নির্ধারিত সময়ে পূরণ করতে পারে।

হোম লোন ইন্টারেস্ট

প্রিয় পাঠক বৃন্দ ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে। এখন আমরা হোম লোন ইন্টারেস্ট কি এই বিষয়ে জানবো। হোম লোন ইন্টারেস্ট হচ্ছে সেই পরিমাণ অতিরিক্ত অর্থ যেটি লোনগ্রহীতা ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণের মূল অর্থের পাশাপাশি বাড়তি কিছু টাকা পরিশোধ করতে হয়। আমরা সকলেই জানি ব্যাংকের লাভের মূল অংশই হচ্ছে ইন্টারেস্ট। তাই লোনের ধরন ও মেয়াদের উপর ভিত্তি করে ব্যাংক নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদের হার নির্ধারণ করে দেয়। ঋণ গ্রহিতাকে সময়মতো লোনের সাথে ইন্টারেস্টসহ পরিশোধ করতে হয়। 
অনেক সময় লোন ইন্টারেস্ট বাজার পরিস্থিতি, ব্যাংকের নিয়মাবলী ও গ্রাহকের আর্থিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। হোম লোন ইন্টারেস্ট প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে স্থির সুদের হার, অপরটি হচ্ছে পরিবর্তনশীল সুদের হার। স্থির সুদের হার হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে সুদের পরিমাণ সম্পূর্ণ মেয়াদকাল জুড়ে অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকে। এই পদ্ধতিতে যদি কেউ লোন গ্রহণ করে তাহলে প্রথম দিন থেকে যে পরিমাণ সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছিল লোন পরিশোধের দিন পর্যন্ত একই অবস্থায় থাকে। 

এতে করে লোন গ্রহীতাকে নতুন করে এক্সট্রা সুদ পরিশোধ করতে হয় না। অপরদিকে পরিবর্তনশীল সুদের হার এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে বাজারের অবস্থা ও যেকোন নিয়ম নীতির উপর ভিত্তি করে সুদের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আবার কখনো কমে যেতে পারে। পরিবর্তনশীল সুদের হার প্রথমে কম থাকলেও ভবিষ্যতে বাজারে পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে আবার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেকে মনে করে থাকেন পরিবর্তনশীল সুদের হার ভালো বিকল্প ব্যবস্থা হতে পারে। কিন্তু এর মধ্যে ঝুঁকির পরিমাণ বেশি। কারণ সুদের হার বাড়লে লোনের কিস্তিও বেড়ে যাবে। 

হোম লোন ইন্টারেস্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর যা ঋণগ্রহীতার মাসিক খরচ ও আর্থিক পরিস্থিতির উপর বিরাট প্রভাব ফেলে। কারণ এখানে ইন্টারেস্ট রেটের ধরন, বাজার পরিস্থিতি যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। তাই হোম লোন নেওয়ার পূর্বে ইন্টারেস্টের প্রকারভেদ ভালোভাবে বুঝে নেওয়া জরুরি।

হোম লোন সুদের হার বাংলাদেশ

বাংলাদেশে হোম লোন জনপ্রিয় আর্থিক সেবা হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। যে সকল ব্যক্তিদের বাড়ি কেনার জন্য সম্পূর্ণ অর্থ একবারে দেওয়ার সামর্থ্য নেই তারা অনেকে জিজ্ঞেস করে থাকেন হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে।তবে ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হোম লোন গ্রহণ করে ধীরে ধীরে কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করে দিতে পারবেন। অনেকে জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক থেকে হোম লোন নিলে কত পারসেন্ট সুদের হারে ঋণ পরিশোধ করতে হয়। 

বাংলাদেশের হোম লোন সুদের হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয় যেমন- বাজারের অর্থনৈতিক অবস্থা, ব্যাংকের নিজস্ব নিয়ম নীতিমালা, লোন গ্রহীতার ক্রেডিটর স্কোর,লোনের মেয়াদ ইত্যাদি। বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে হোম লোনের সুদের হার বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে সেগুলো হলো:
  • NCC Bank: 8.99%
  • Dutch-Bangla Bank: 9.00%
  • Trust Bank: 9.00%
  • BRAC Bank: 9.50%
  • Commercial Bank: 9.50%
  • Standard Chartered Bank: 9.50%
  • United Commercial Bank: 9.50%
  • One Bank: 9.99%
  • Mutual Trust Bank: 10.00%
  • Bank Asia: 10.50%
  • Dhaka Bank:10.50%
  • Eastern Bank: 10.50%
  • HSBC Bank: 10.50%
  • Premier Bank: 10.50%
  • IFIC Bank: 10.75%
  • NRB Bank: 11.00%
  • Shahjalal Islami Bank: 11.00%
  • City Bank: 11.50%
  • Midland Bank: 11.50%
  • Prime Bank: 11.50%
  • Standard Bank: 12.00%
  • Uttara Bank: 12.00%
  • AB Bank: 12.50%
  • Mercantile Bank: 13.00%
  • Social Islami Bank: 14.00%
  • Padma Bank: 15.00%

হাউজ লোন নিতে কি কি কাগজ লাগে

হোম লোন নিতে হলে এমন কয়েকটি কাগজপত্র জমা দিতে হয় যেগুলো জমা না দিলে আপনাকে ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান থেকে হোম লোন দেওয়া হবে না। এইসকল কাগজপত্রগুলো জমা দেওয়ার পরে ব্যাংক থেকে প্রমাণিত হবে আপনি হোম লোন নেওয়ার যোগ্য কিনা। হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে অথবা হোম লোন নিতে জন্য কি কি কাগজ লাগে সেগুলো হলো:
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল ডকুমেন্টস ড্রাইভিং লাইসেন্স কপি
  • চাকুরি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আয়ের প্রমাণপত্র
  • বেতন স্লিপ
  • কর প্রদানের সার্টিফিকেট
  • সম্পত্তির দলিল
  • জমির খাজনা রশিদ
এ সকল ডকুমেন্ট ছাড়াও যদি কোনো কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় তাহলে আপনাকে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

সরকারি চাকরিজীবীদের হোম লোন

সকল ধরনের পেশার ব্যক্তিদের জন্য হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে এ সম্পর্কে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আলোচনা করেছি। কিন্তু সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য হোম লোন কতটা সুবিধাজনক এই নিয়ে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশের সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য হোম লোন নেওয়ার ব্যবস্থা আছে যেটি দেশের বিভিন্ন ধরনের সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রদান করে থাকে। সরকারি চাকরিজীবীদের হোম লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। সরকারি চাকরিজীবীরা হোম লোন গ্রহণ করতে পারলে তাদের বাড়ি, ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা হয়। 
সরকারি চাকরিজীবীদের হোম লোন নেয়ার ক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে সেখানে পাঁচ বছর এর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং মাসিক বেতনের সমস্ত ডকুমেন্ট দেখাতে হবে। সরকারি চাকরিজীবীদের হোম লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়। যেমন- বেসরকারি ব্যাংকের সুদের হারের তুলনায় সরকারি কর্মচারীদের সুদের হার কম থাকে যার ফলে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিজীবীদের অনেকটা সুবিধা হয়। সরকারি চাকরিজীবীরা হোম লোন নিলে তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু ছাড় দেয়া হয় যা অন্যদের ক্ষেত্রে নাও থাকতে পারে।

ইসলামী ব্যাংক হোম লোন পদ্ধতি

অনেক ব্যক্তিরা আছেন যারা হোম লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক চুজ করে থাকেন। কারণ ইসলামী ব্যাংক ইসলামি শরিয়া ভিত্তিক একটি ব্যাংক যেখানে রিবা বা সুদ মুক্ত লেনদেন করা হয়। ইসলামী ব্যাংক মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে জনপ্রিয় একটি ব্যাংক। আপনি যদি ইসলামি ব্যাংক থেকে হোম লোন নিতে চান তাহলে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে সেগুলো হলো:
  • ইসলামী ব্যাংক থেকে হোম লোন নিতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। আবেদন ফরমে আপনার ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য যেমন- নাম, ঠিকানা, পেশা, আয়ের তথ্য ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে।
  • আবেদনকারীর আয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে বেতন স্লিপ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ব্যবসায়ের ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে। কারন আবেদনকারীর মাসিক আয়, মাসিক ব্যয়, এগুলো মূল্যায়ন করে ঋণ দেওয়া হবে।
  • ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে আপনার সম্পত্তির বৈধতা আছে কিনা প্রমাণ করতে হবে। যেমন- আপনার যে পরিমাণ সম্পদ আছে সেই জমির দলিল, খতিয়ান, অন্যান্য সম্পত্তির কাগজপত্র প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হবে।
  • আবেদনকারীর সমস্ত যোগ্যতা যাচাই-বাছাই করার পর ব্যাংক তাকে লোনের শর্তাবলী জানিয়ে দিবে। ইসলামী ব্যাংকের হোম লোন সাধারণত ইসলামিক নিয়ম নীতি অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এরপর আবেদনকারী ব্যাংকের শর্তাবলী মেনে নিয়ে একটি কাগজে চুক্তির স্বাক্ষর করবে। সেই চুক্তিতে লোনের পরিমাণ, মেয়াদ ও কিস্তি সংক্রান্ত সমস্ত তথ উল্লেখ করা থাকবে। সর্বশেষে লোনের অর্থ ব্যক্তিকে প্রদান করা হবে।

হোম লোন ক্যালকুলেটর বাংলাদেশ

আশা করি এতক্ষণে আপনারা বুঝতে পেরেছেন হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে। কিন্তু হোম লোন ক্যালকুলেটর সম্পর্কে কি আপনারা কখনো শুনেছেন? হোম লোন ক্যালকুলেটর এমন একটি ক্যালকুলেটর যেখানে আপনি ঋণের, পরিমাণ সুদ ও মাসিক কিস্তি নির্ধারণ করতে পারবেন। এই ক্যালকুলেটর অনলাইন ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। আমি আপনাদের সাথে কয়েকটি ব্যাংকের অনলাইন ক্যালকুলেটর ওয়েবসাইট লিংক শেয়ার করছি যেখানে ভিজিট করলে আপনারা লোনের পরিমাণ বের করতে পারবেন।
হোম লোন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা খুবই সহজ। প্রথমে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে হোম লোন ক্যালকুলেটর যেখানে লেখা আছে সেখানে ক্লিক করুন। এরপর আপনি কত টাকা ঋণ নিতে চান সেই টাকার অ্যামাউন্ট প্রবেশ করুন। লোনের পরিমাণের সাথে কত পারসেন্ট সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি টাইপ করুন এবং লোনের মেয়াদ কত বছর সেটি লিখুন। সব তথ্য সঠিকভাবে প্রবেশ করানোর পর ক্যালকুলেট বা গণনা করুন অপশনে ট্যাপ করুন। কিছুক্ষনের মধ্যে ক্যালকুলেশনের মূল উওরটি অটোমেটিক বেরিয়ে আসবে।

গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন

আমাদের দেশে এমন অনেক স্বনামধন্য ব্যক্তিরা আছেন যারা শহরে বাড়ি থাকার পরেও গ্রামে সময় কাটানোর বাড়ি করতে চাচ্ছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ না থাকার কারণে গ্রামে বাড়ির কাজ শুরু করতে পারছেন না। তাদের জন্য সুন্দর একটি সমাধান হলো গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন নেওয়া। যে সকল ব্যক্তিরা গ্রামের বাড়ির জন্য হোম লোন কিভাবে পাওয়া যায় ভাবছেন তাদের জন্য ব্যাংক লোনের ভূমিকা অপরিসীম। ব্যাংক লোন নেওয়ার ফলে সহজেই গ্রামের বাড়ি নির্মাণ করতে পারবেন এবং গ্রামের বাড়ির কাজ শেষ হয়ে গেলে মাসিক কিস্তিতে সুদের হারসহ লোন পরিশোধ করে 

দিতে পারবেন। গ্রামের বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেমন- গ্রামের কিছু এলাকায় কাগজপত্র সমস্যা হতে পারে যার ফলে ব্যাংক লোন নিতে অনেকটা সমস্যা সৃষ্টি হয়। গ্রামে বাড়ি নির্মাণের পর যদি আয় বৃদ্ধি না পায় তাহলে লোন পরেশোধে মাঝে মাঝে সমস্যা হতে পারে এর ফলে সুদের হারের টেনশন বেড়ে যায়। যেহেতু গ্রামীন এলাকায় আপনি বাড়ি করতে চাচ্ছেন তাই অন্যান্য আর্থিক সেবা কিছুটা সীমিত হতে পারে। যার ফলে লোন পরিশোধে সমস্যা সৃষ্টি হয়। 
তাই গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার পূর্বে সমস্ত শর্তাবলী ভালোমতো বুঝে নেয়া জরুরী যাতে করে সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রামের বাড়ি নির্মাণের কাজটি সম্পন্ন হয় ও লোন পরিশোধে কোনো প্রকার ঝামেলায় পড়তে না হয়।

উপসংহার

প্রিয় দর্শকবৃন্দ আজ আপনাদের সাথে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করেছি সেটি হচ্ছে হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে। আমাদের দেশে অনেক ব্যক্তিরা আছেন যারা বাড়ি ক্রয় করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার ফলে কোথা থেকে বা কিভাবে হোম লোন নিতে হবে সে সম্পর্কে ধারণা নেই। আশা করি তারা আমাদের আজকের পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে খুবই উপকৃত হবেন এবং সমস্ত নিয়মাবলী অনুসরণ করে হোম লোন নিতে সক্ষম হবেন। আপনাদের পরিচিত কলিগ, প্রতিবেশী, 

বন্ধুবান্ধব কেউ যদি ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকে হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে তাদের সাথে আমাদের আজকের পোস্টটি শেয়ার করে দিতে পারেন। হোম লোন সংক্রান্ত আপনাদের যদি আরো কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের মন্তব্য বক্সে জানাতে পারেন এবং বিভিন্ন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সরাসরি কথা বলতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url