স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া ৫টি অন্যতম উপায়

প্রতিটি ব্যক্তিই চায় প্রাকৃতিকভাবে তাকে দেখতে যেনো উজ্জ্বল ও ফর্সা লাগে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা প্রতিটি ব্যক্তিকে ভিন্নভাবে তৈরি করেছেন। তাই একেকজনের ত্বক, দেহের রং একেক রকমের হয়ে থাকে। অনেকেই আছেন ফর্সা হওয়ার জন্য বাজারে তৈরি পণ্য ক্রয় করার জন্য খুবই আগ্রহী। কিন্তু বাজারে তৈরিকৃত পণ্যগুলো আসল নাকি নকল এই বিষয়ে অনেকেই জ্ঞান না থাকার কারণে কিনতে পারছেন না। তাই আমি আজকে আপনাদের জন্য স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় পোস্টটি নিয়ে হাজির 
স্থায়ীভাবে-ফর্সা-হওয়ার-ঘরোয়া-উপায়
হলাম। আজকের পোস্টের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে কিভাবে আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা ও ব্রাইটনেস ফিরিয়ে আনতে পারবেন। এছাড়াও আরও যে সকল বিষয়বস্তু নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে সেগুলো হলো- প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় কি, কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় কি, ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় কি, লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়, ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় ইত্যাদি।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

প্রাকৃতিকভাবে আমাদের প্রতিটি ব্যক্তির স্কিনটোন আলাদা হয়ে থাকে। তাই অনেক ব্যক্তির স্কিনে ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপাদান স্যুট করে, অনেক ব্যক্তি আছেন যাদের স্কিনে বাজার থেকে তৈরি পণ্য স্যুট করে। তাই যার যার প্রয়োজন ও স্কিনের ধরন অনুযায়ী পন্য ব্যবহার করা উচিত। যে সকল ব্যক্তিদের স্কিনে বাজার থেকে কেনা ফেসপ্যাক বা স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টস একদমই স্যুট করে না তাদের জন্য স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরে তৈরি প্যাক উপযুক্ত বলে আমি মনে করি। স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করতে এমন কিছু পণ্য দরকার হয় যেগুলো সাধারণত আপনার ঘরেই থাকে। 

যেমন- লেবুর রস, টমেটোর রস, টক দই, অ্যালোভেরা, চিনি, মুলতানি মাটি, চন্দন গুড়া, শসা, বিট রুট, কাঁচা হলুদ, বেসন ইত্যাদি। স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করার সময় সবগুলো প্রোডাক্ট আপনার কাছে থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আপনি আপনার প্রয়োজন ও সামর্থ্য অনুযায়ী বাজার থেকে এই প্রাকৃতিক উপাদান গুলো কিনে নিতে পারেন।

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো জানার পাশাপাশি আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় অবলম্বন করেন তাহলে আপনার ত্বক দ্রুত সতেজ ও উজ্জ্বল হবে। প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো:

পানি পান করা 

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করুন। পরিমিত পরিমাণে পানি পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ গুলো বের হয়ে যায় এবং ত্বকের আদ্রতা ও উজ্জ্বলতা বজায় থাকে।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে সঠিক খাদ্যাভ্যাস একটি। প্রতিদিন তিন বেলার খাদ্য তালিকায় সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভ্যাস করুন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফলমূল, সবুজ শাকসবজি, ভিটামিন সি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়াও কমলা, লেবু, আমলা, বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

ঘুম

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। তাই প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ঘুম আমাদের ত্বককে নতুন করে পুনরুজ্জীবিত করে তোলে ফলে কোষগুলো পুনর্গঠন হয়।

সানস্ক্রিন

প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ফর্সা করার জন্য আপনার ত্বকের সাথে যেই ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন স্যুট করে সেই সানস্ক্রিনটি প্রতিদিন বাহিরে বের হওয়ার আগে ব্যবহার করুন।এটি সূর্যের আলো থেকে ত্বক রক্ষা করে ও উজ্জ্বলতা বজায় রাখে।

ব্যায়াম

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার চেষ্টা করবেন ব্যায়াম ত্বকের কোষগুলোতে পুষ্টি যোগায় এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য আপনি আরো অনেক ধরনের টিপস আপ্লাই করতে পারেন যেগুলো ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেকোনো ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থেকে ত্বককে দূরে রাখতে হবে এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে যতটা সম্ভব যত্ন নিবেন।

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

অনেকেই আছেন যাদের স্কিনটোন দেখতে অনেকটা কালো বা ডার্ক হয়ে থাকে। তাই তারা তাদের স্কিন নিয়ে অনেক সময় সংকোচ বোধ করেন। তাদের জন্য নিয়ে এলাম কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় যে উপায়গুলো অনুসরণ করলে আপনার স্কিন পুরোপুরি ফর্সা না হলেও কালো থেকে কিছুটা উজ্জ্বল হবে। কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো নিম্নে ব্যাখ্যা করা হলো:
  • যারা কালো থেকে ফর্সা হতে চান তারা স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলোও যদি অনুসরণ করেন সেটাও আপনাদের স্কিনের জন্য সুইটেবল হবে। কালো থেকো ফর্সা হওয়ার জন্য আপনাকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী ত্বকের যত্ন করতে হবে। ত্বকের যত্নে আপনি সিরাম, টোনার, ময়শ্চারাইজার ইউজ করার অভ্যাস করুন এবং ত্বক পরিষ্কার রাখার জন্য ভালো মানের ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন। প্রতিবেলায় এই ধরনের প্রোডাক্টগুলো ব্যবহার করলে আপনার ত্বক কালো থেকে অনেকটা ফর্সা হবে।
  • কালো থেকে ফর্সা হতে হলে সপ্তাহে একবার স্ক্রাব ব্যবহারের বিকল্প নেই। এমনকি স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলোতে স্ক্রাবিং প্রধান একটি অংশ। স্ক্রাবিং করার ফলে ত্বক থেকে মৃত কোষগুলো দূর হয়ে যায় এবং ত্বক উজ্জ্বল দেখায়।
  • আপনি চাইলে ঘরে বসে প্রাকৃতিক দুটো জিনিস দিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে নিতে পারেন। তার জন্য শুধু চিনি ও মধুর প্রয়োজন হতে পারে। আপনার প্রয়োজন মতো একটি পাত্রে চিনির সাথে মধু মিশ্রণ করে কয়েক ঘন্টা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। পরে গোসলের সময় এটি বডিতে ব্যবহার করতে পারেন।
কালো থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য আপনাকে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ মানসিক চাপ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অনেক সময় মানসিক চাপের কারণে চেহারা খারাপ হয়ে যায়। তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম, মেডিটেশন, যোগব্যায়াম করতে পারেন। এর পাশাপাশি আপনার যদি ধূমপান, অ্যালকোহল খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে এগুলো ছেড়ে দিতে হবে। এ সকল ধূমপান জাতীয় খাদ্য ছেড়ে দিলে ত্বক নির্জীব হয়ে উঠবে।

ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

অনেকেই জানতে চান ত্বক ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় কি। ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার এমন কিছু উপায় আছে যেগুলো অনেকে জানে না। আমি আপনাদেরকে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার প্রধান পাঁচটি উপায় শেয়ার করছি যে উপায় গুলো অনুসরণ করলে আপনার ত্বক ভিতর থেকে ফর্সা হবে।

১/ ভিতর থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য কাঁচা হলুদের বিকল্প নেই। কাঁচা হলুদের দুধকে অনেক সময় গোল্ডেন মিল্ক বলা হয়ে থাকে। কাঁচা হলুদে রয়েছে এন্টিইনফ্লামেটরি যেটি ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে দিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করে। তাই প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধের সাথে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করবেন।

২/ বিটরুটের জুস ত্বক ভিতর থেকে ফর্সা করার জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রয়েছে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বিটরুটের জুস পান করুন। এটি আপনার ত্বকের টক্সিন দূর করবে ও রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দিবে।

৩/ ত্বক ভেতর থেকে ফর্সা করতে ডার্ক চকলেটের অবদান রয়েছে। এছাড়াও স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে ডার্ক চকলেট অন্যতম। ডার্ক চকলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড নামক উপাদান আছে যেটি ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে। তাই প্রতিদিন একটি করে ডার্ক চকলেট খাওয়ার অভ্যাস করুন।

৪/ গ্রিন টি অনেকেই স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য খেয়ে থাকেন। কিন্তু অনেকেই জানেনা গ্রিন টি তে পলিফেনল নামক একটি উপাদান রয়েছে যেটি ত্বকের টক্সিন দূর করে ত্বককে ভিতর থেকে ফর্সা করতে সহায়তা করে।

৫/ ভিতর থেকে ত্বক ফর্সা করতে অনেকেই স্পিরুলিনা সাপ্লিমেন্ট খেয়ে থাকে। সেটিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। প্রতিদিন এক চামচ স্পিরুলিনা পাউডার পানিতে মিশিয়ে খেলে ত্বক ভিতর থেকে ফর্সা হয়।

লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে যতগুলো উপায় আছে তার মধ্যে লেবুকে প্রধান উপায় বলা হয়। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও এনটিঅক্সিডেন্ট যেটি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার অনেকগুলো উপায় আছে। তার মধ্যে প্রধান চারটি উপায় আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় অথবা লেবু দিয়ে তৈরি প্রধান চারটি ফেসপ্যাক সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো:

লেবুর রস ও মধু

একটি পাত্রে পরিমাণ মতো লেবুর রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরপর ভালোভাবে মিক্স করে ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে এলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন এই প্যাকটি সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করতে পারেন।

লেবুর রস ও টমেটো রস

পরিষ্কার একটি পাত্রে লেবুর রস এবং পরিমাণ মতো টমেটোর রস নিন। ভালো করে চামচ দিয়ে মিক্স করে আপনার ত্বকে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করতে পারেন।

লেবুর রস ও টক দই

একটি পাত্রে তিন থেকে চার চামচ লেবুর রস ও এক চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি বা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহ ৩বার ব্যবহার করতে পারেন।

লেবুর রস ও মুলতানি মাটি

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে যতগুলো উপাদান আছে তার মধ্যে মুলতানি মাটির অবদান অপরিসীম। মুলতানি মাটি আমাদের ত্বকে জন্য খুবই উপকারি। লেবুর রস ও মুলতানি মাটির প্যাকটি বানাতে একটি পাত্রে লেবুর রস ২ চামচ ও আড়াই চামচ মুলতানি মাটি নিতে পারেন।এরপর মিক্স করে আপনার ফেইসে এপ্লাই করুন। ৫ থেকে ১০ মিনিট রেখে শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করে ফর্সা হতে অনেকটা দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎ করে ফ্যামিলি প্রোগ্রাম/ অনুষ্ঠান/ কোনো ইভেন্ট এর ডেট চলে আসলো। কিন্তু কিভাবে রূপচর্চা করে ৩ দিনে ফর্সা হওয়া যায় এমন কোনো আইডিয়া মাথায় আসছে না। যারা এই সংক্রান্ত সমস্যায় আছেন তাদের জন্য আমি এখন নিয়ে এলাম ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার 
উপায়। তিন দিনে ফর্সা হওয়ার জন্য এমন চারটি উপায়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব যেগুলো অনুসরণ করলে আপনার ত্বকে তিন দিনে দ্বিগুন উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে। চলুন তাহলে তিন দিনে ফর্সা হওয়ার চার রকমের ফেসপ্যাক নিয়ে আলোচনা করা যাক:

কাঁচা দুধ ও লেবুর রস

প্রথমে একটি পাত্রে দুই চামচ কাঁচা দুধ ও এক চামচ লেবুর রস নিন। এরপর দুটি উপাদান ভালোভাবে মিক্স করুন। মিক্স করা হয়ে গেলে আপনার পছন্দের কোনো ব্র্যান্ডের কটন প্যাড অথবা তুলার সাহায্যে মিশ্রণটি ত্বকে আলতো করে লাগান। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন দুইবার করে ব্যবহার করলে ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল হবে।

আলুর রস ও মধু

আলুর রস ও মধু দিয়ে এই ফেসপ্যাকটি বানাতে প্রথমে দুই চামচ আলুর রস ও এক চামচ মধু মিক্স করে নিন। তারপর মুখ পরিষ্কার করে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।

টমেটো রস এবং বেসন

টমেটো রস ও বেসন আমাদের ত্বকের উজ্জ্বল ভাব আনতে খুবই উপকারী। দুই চামচ টমেটো রস ও এক চামচ বেসন ভালোভাবে মিক্স করে প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেসওয়াশ দিয়ে আরো একবার মুখ ধুয়ে নিন। একটি সপ্তাহে পাঁচ থেকে ছয় বার ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যালোভেরা জেল এবং লেবুর রস

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে যতগুলো উপাদান রয়েছে তার মধ্যে এলোভেরা জেলের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। অ্যালোভেরা জেল ও লেবুর রস দিয়ে সুন্দর ও সহজ একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে নেয়া সম্ভব। আপনি চাইলে মার্কেট থেকে কেনা এলোভেরা জেল অথবা গাছ থেকে সরাসরি আনা অ্যালোভেরা জেল যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে দুই চামচ এলোভেরা 

জেল ও এক চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিক্স করে নিন। একপর ফেইসে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। অপেক্ষা শেষে পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। চাইলে এই প্যাকটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।

১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়

অনেকে আমাদের কাছে ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে চেয়েছেন। কারণ হঠাৎ দেখা যায় এক মাস পরে নিজের বিয়ের অনুষ্ঠান বা আত্মীয় স্বজনের পক্ষ থেকে কোনো ফ্যামিলি প্রোগ্রাম থাকতে পারে। তখন নিজেকে উজ্জ্বল দেখানোর জন্য এমন কয়েকটি ফেসপ্যাক দরকার যেটি এক মাসে ফর্সা করতে পারবে। চলুন তাহলে এক মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় জেনে নেয়া যাক:

১/ ১ মাসে ফর্সা হওয়ার জন্য শসা ও টক দই দিয়ে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। প্রথমে একটি শসা ব্লেন্ড করে শসার রস আলাদা করে রাখতে হবে। এরপর শসার রসের সাথে দুই চামচ টকদই মিক্স করে মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২/ ১ চা চামচ চন্দন গুড়া ও তার সাথে প্রয়োজন মত দুধ মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। পেস্টটি ফেইসে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর চন্দন প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৩/ আপনারা ইতিমধ্যে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় জেনে গেছেন। কিন্তু বাদাম ও দুধের তৈরি প্যাক দিয়েও যে স্থায়ীভাবে ও এক মাসে ফর্সা হওয়া যায় আপনিকি জানেন? চলুন আপনাদের সাথে বাদাম ও দুধ দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরির উপায় শেয়ার করি:

যতটুকু ফেসপ্যাক বানাবেন সেই পরিমাণ বাদাম নিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে সেই বাদামগুলো ব্লেন্ডারের মাধ্যমে পেস্ট করে নিন। সেই পেস্টের সাথে দুধ মিক্স করুন। হয়ে গেল বাদাম ও দুধ দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক। প্যাকটি ফেইসে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে এরপর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকগুলো প্রতিদিন ব্যবহার করলে এক মাসে ফর্সা হয়ে উঠতে পারবেন।

শেষকথা

প্রিয় দর্শকবৃন্দ স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় নিয়ে যারা ইন্টারনেটে সার্চ করছিলেন তারা আমাদের ওয়েবসাইটে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো পেয়ে যাবেন। আমাদের পোস্টটি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন আপনার ত্বক অনুযায়ী বিভিন্ন রকমের ফেসপ্যাক তৈরি করে নিতে পারবেন এবং ঘরোয়াভাবে ফর্সা হতে পারবেন। আপনাদের পরিচিত ব্যক্তিগণ যারা ঘরোয়া উপায়ে স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে চায় তাদের সাথে আমাদের আজকের পোস্টটি শেয়ার করে দিতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url