ডিগ্রি পাশ করার পর কি পড়া যায় সঠিক পরামর্শ জেনে নিন
সকল শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ডিগ্রি পাশ করার পর কি পড়া যায়। অনেকেই ডিগ্রি পাস করার পর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার কথা ভেবে থাকেন। আবার অনেকেই আছেন ডিগ্রি পাশ করার পর প্রফেশনাল লাইফে জয়েন করতে চান। ডিগ্রি পাশ করার পর কি পড়া যায় এটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত চয়েসের উপর নির্ভর করে। ডিগ্রী পাস করার পর আপনি চাইলে মাস্টার্সে ভর্তি হতে পারেন। এটি আপনার ক্যারিয়ারকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
এমনকি ভবিষ্যতের জন্য কোন ধরনের ক্যারিয়ার পথ নির্ধারণ করতে চান তার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বেশ ভূমিকা রাখবে। আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে যে সকল ডিগ্রী পাস শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি পরবর্তী ধাপে কি করা যায় এই সকল বিষয় নিয়ে ভাবছেন তাদেরকে সঠিক গাইডলাইন দেওয়া যাতে করে তারা পরবর্তী জীবনে এগিয়ে যেতে পারে। এছাড়াও আরো যে সকল বিষয়াবলি আজকের পোস্টে অন্তর্ভুক্ত থাকছে সেগুলো হলো- ডিগ্রি শেষ করতে কত বছর লাগে, ডিগ্রি পড়ে কি হওয়া যায়, ডিগ্রি করে মাস্টার্স করার নিয়ম কি, কোন কোন বিষয়ে মাস্টার্স করা যায়, ডাবল মাস্টার্স করার নিয়ম ইত্যাদি।
পোস্ট সূচিপত্র
ভূমিকা
যে সকল শিক্ষার্থীরা ভাবছো ডিগ্রি পাশ করার পর কি পড়া যায় তাদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের এই আজকের পোস্টটি তোমাদের জন্য খুবই উপকারী হবে। ডিগ্রী পাস করার পর তোমরা চাইলে তোমাদের পছন্দ মত কোনো সাবজেক্টে মাস্টার বা এমবিএ তে ভর্তি হতে পারো। এটি তোমাদের শিক্ষাগত ও পেশাগত দক্ষতা তৈরি করতে সাহায্য করবে। যে সকল শিক্ষার্থীরা ব্যবসায়ী শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের স্টুডেন্ট আছো তোমরা চাইলে বিজ্ঞান বিভাগের সাবজেক্ট ব্যতীত যেকোনো সাবজেক্টে মাস্টার্স করতে পারবে। যে সকল শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বিভাগের স্টুডেন্ট তারা সাইন্স,
কমার্স, আর্টস সংক্রান্ত যতগুলো ডিপার্টমেন্ট/ সাবজেক্ট আছে পছন্দমত যে কোনো সাবজেক্টে মাস্টার্সে ভর্তি হতে পারবে। ডিগ্রী পাস করার পর কেউ যদি মাস্টার্সে ভর্তি হতে না চায় তাহলে তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের একাডেমিক কোর্স রয়েছে যেগুলোতে ভর্তি হয়ে তোমরা সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারবে। যেমন- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোর্স, কম্পিউটার কোর্স, ফ্যাশন ডিজাইন, ম্যানেজমেন্ট, ফাইন্যান্স, ফ্রিল্যান্সিং এই ধরনের কোর্স অনলাইনে বা অনলাইনে করে সার্টিফিকেট অর্জন করার সুযোগ আছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন করার জন্য অনলাইনে
কোর্স ও ডিপ্লোমা করার ব্যবস্থা আছে। যেমন coursera, udemy, edx থেকে ডিপ্লোমা নেয়ার সুযোগ আছে। এগুলো ডিগ্রী পাস করার পর নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন করতে সহায়তা করবে এবং ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরি পেতে বেশ সহায়ক হবে। ডিগ্রি পাশ করার পর কি পড়া যায় এই নিয়ে শিক্ষার্থীদের এখন চিন্তা করার একদম দরকার নেই। কারণ বর্তমান যুগে প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন ধরনের অনলাইন অফলাইন কোর্সের সুযোগ রয়েছে। প্রফেশনালি প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে যেখান থেকে তোমরা পছন্দ মত কাজের প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।
ডিগ্রি শেষ করতে কত বছর লাগে
ডিগ্রি পাশ করার পর কি পড়া যায় ইতিমধ্যে আমরা এই নিয়ে কথা বলেছি। অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি শেষ করতে কত বছর লাগে। আমরা সাধারণত জানি ডিগ্রি পাশ করতে তিন বছর সময় লাগে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিতে বিএসসি অথবা বিএসএস কোর্সের মেয়াদ ৩ বছর নির্ধারণ করা থাকে। শিক্ষার্থীদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই কোর্সগুলো সম্পন্ন করতে হয়। প্রতিটি কোর্সের জন্য প্রতি বর্ষে বা সেমিস্টারে পরীক্ষা দিতে হয় এবং সকল পরীক্ষায় কাঙ্খিত নম্বর অনুযায়ী উত্তীর্ণ হতে হয়। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের ডিগ্রী সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত সময় লেগে
যায়। যেমন- কোনো কোনো শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনো সমস্যার কারণে বা ব্যক্তিগত পরিস্থিতির কারণে ডিগ্রি শেষ করতে তিন বছরের জায়গায় ৪-৫ বছর লেগে যেতে পারে। এগুলো ছাড়াও যে সকল শিক্ষার্থীরা সময়মত কোনো কোর্সে পাস করতে পারে না তাদেরকে পুনরায় সেই কোর্সটি রিটেক করতে হয় এতে করে ডিগ্রী পাস করতে সময় বেশি লাগতে পারে। অনেক সময় দেশের পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদেরকে সেশন জটে পড়তে হয় এই কারণেও ডিগ্রী পাস করতে অনেক সময় দেরি হয়ে যায়।
ডিগ্রি শেষ করতে যে সকল শিক্ষার্থীদের তিন বছরের জায়গায় অধিক সময় লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে তাদের উচিত নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে নেওয়া যাতে করে তারা সমস্যার উপর ভিত্তি করে অনুমোদন প্রদান করে। এতে করে দেরি করে ডিগ্রী কোর্স সম্পন্ন করলেও ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হবেনা।
ডিগ্রি পড়ে কি হওয়া যায়
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ ডিগ্রি পাশ করার পর কি পড়া যায় এই সংক্রান্ত তোমাদের সাথে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আজকের এই পোস্টে শেয়ার করেছি। আমাদের মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী আছে যারা মনে করে ডিগ্রী পাস করার পর হয়তো ভালো কোন প্রফেশনে যাওয়া যায় না। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। যদি তোমাদের মধ্যে সঠিক যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকে ডিগ্রী পাস করেও তোমরা যে ধরনের প্রফেশনে অ্যাপ্লাই করতে পারবে সেগুলো হলো:
- শিক্ষক
- অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট
- ব্যাংক কর্মকর্তা
- ম্যানেজার
- গ্রাফিক ডিজাইনার
- পন্য ইনফ্লুয়েন্সার
- ডাটা এন্ট্রি অপারেটর
- মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ
- কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ
- প্রশাসনিক কর্মকর্তা
- আইটি সাপোর্ট এক্সিকিউটিভ
- বিজনেস অ্যানালিস্ট
- ফিন্যান্স এক্সিকিউটিভ
- রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট
- প্রজেক্ট ম্যানেজার
- বীমা কর্মকর্তা
- লজিস্টিকস কোঅর্ডিনেটর
- মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা
- সমাজকর্মী
- মিডিয়া এক্সিকিউটিভ
এগুলো ছাড়াও তোমরা আরো বিভিন্ন ধরনের প্রাইভেট জব, সরকারি জব এমনকি বাহিরের দেশের হাই কোয়ালিটি জবের জন্য এপ্লাই করতে পারবে।
ডিগ্রি করে মাস্টার্স করার নিয়ম
যে সকল শিক্ষার্থীরা কিছুদিন যাবত কনফিউশনে ছিলে ডিগ্রি পাশ করার পর কি পড়া যায় তাদের জন্য আমি বলতে চাই ডিগ্রী পাস করার পর সরাসরি মাস্টার্সে ভর্তি হওয়া যায়। ডিগ্রি শেষে মাস্টার্স করার জন্য তোমাকে বেশি কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো:
- ডিগ্রি শেষে মাস্টার্স করার জন্য তোমাকে সর্বপ্রথম বিষয় নির্বাচন করতে হবে তুমি কোন বিষয়ে মাস্টার্স করতে চাচ্ছ।
- দ্বিতীয়ত, তোমাকে যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করতে চাও। বর্তমানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু আছে। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ, সামর্থ্য, যোগ্যতা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের জন্য অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবে।
- অ্যাপ্লিকেশন করার সময় স্নাতক ডিগ্রির সমস্ত ডকুমেন্টস, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, রেফারেন্স লেটার, আবেদন ফি জমা দিতে হবে। যদি ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার শর্তাবলী দেয়া হয় তাহলে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। যদি ভর্তি পরীক্ষার প্রয়োজন না হয় তাহলে সরাসরি ভর্তি হওয়া যাবে।
- সমস্ত তথ্য যাচাই-বাছাই শেষ হলে যেই প্রতিষ্ঠান মাস্টার্স এর জন্য অনুমোদন দিবে সেখান থেকে মেসেজ পাঠানো হবে। এরপর ক্লাস শুরু হলে শিক্ষার্থীরা তাদের ডিপার্টমেন্ট ও সময় অনুযায়ী ক্লাসে এটেন্ড করবে।
- মাস্টার্সের সমস্ত নিয়মাবলী মেনে সবগুলো কোর্স ও থেসিস/প্রজেক্টে সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রির সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
কোন কোন বিষয়ে মাস্টার্স করা যায়
ডিগ্রি পাশ করার পর কি পড়া যায় অথবা ডিগ্রি পাশ করার পর কোন কোন বিষয়ে মাস্টার্স করা যায় তা নিম্নে দেওয়া হলো-
- ব্যবসায় প্রশাসন (Masters of Business Administration)
- (MSS in Economics)
- ইংরেজি সাহিত্য (MA in English)
- বাংলা সাহিত্য (MA in Bengali)
- পদার্থবিজ্ঞান (MSc in Physics)
- রসায়ন (MSc in Chemistry)
- জীববিজ্ঞান (MSc in Biology)
- কম্পিউটার বিজ্ঞান (MSc in Computer Science)
- আইন (LLM)
- সামাজিক বিজ্ঞান (MA in Social Science)
- জনস্বাস্থ্য (MPH)
- MSc in Psychology)
- পলিটিক্যাল সাইন্স (MA in Political Science)
- সমাজকর্ম (MA in Social Work)
- সমাজবিজ্ঞান MSc in Sociology
- গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা (MA in Mass Communication and Journalism)
- ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা (MSc in Geography and Environmental Science)
- ইতিহাস (MA in History)
- দর্শন (MA in Philosophy)
- পরিসংখ্যান (MSc in Statistics)
- পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (MPA)
- ইঞ্জিনিয়ারিং (MSc/MEng in Engineering)
- বোটানি (MSc in Botany)
- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (MA in International Relations)
- অ্যানথ্রোপলজি (MSc in Anthropology)
- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং (MSc in Software Engineering)
- আইটি ম্যানেজমেন্ট (MSc in IT Management)
- অ্যাগ্রিকালচার (MSc in Agriculture)
- জেনেটিক্স (MSc in Genetics)
- সমুদ্রবিজ্ঞান (MSc in Marine Science)
- পরিবেশ বিজ্ঞান (MSc in Environmental Science)
- বায়োকেমিস্ট্রি (MSc in Biochemistry)
- মাইক্রোবায়োলজি (MSc in Microbiology)
- ফার্মেসি (MPharm)
- আর্কিটেকচার (MArch)
- ডাটা সায়েন্স (Master of Science in Data Science and Analytics)
- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (MS in Civil Engineering)
- ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (MS in Electrical Engineering)
- মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (MSc/MEng in Mechanical Engineering)
- জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ (MA in Journalism and Media Studies)
- কৃষি অর্থনীতি (MSc in Agricultural Economics)
- ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট (MSc in Tourism and Hospitality Management)
- লোক প্রশাসন (MPA)
- ভূতত্ত্ব (MSc in Geology)
- গণিত (MSc in Mathematics)
- সংগীত (MA in Music)
- চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন (MA in Film and Television Studies)
- পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান (MSc in Nutrition and Food Science)
- প্রাণীবিদ্যা (MSc in Zoology)
- ভাষাতত্ত্ব (MA in Linguistics)
মাস্টার্স করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এখানে বিজ্ঞান বিষয়ক সংক্রান্ত সাবজেক্ট গুলোতে মানবিক ও ব্যবসায়ী শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা মাস্টার্স করতে পারবে না। বর্তমানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নতুন কিছু সাবজেক্ট মাস্টার্স প্রোগ্রামে যুক্ত করেছে। সেগুলো তোমরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে সরাসরি যোগাযোগ করে জেনে নিতে পারবে।
ডাবল মাস্টার্স করার নিয়ম
অনেক শিক্ষার্থীরা জিজ্ঞেস করে থাকে ডিগ্রি পাশ করার পর কি পড়া যায়। ডিগ্রী পাস করার পর কি ডাবল মাস্টার্স করার সুযোগ আছে? জি অবশ্যই তোমরা যারা ডিগ্রি পাস করেছো তাদের জন্য ডাবল মাস্টার্স করার সুযোগ আছে। ডাবল মাস্টার্স করার জন্য প্রথমেই তোমাকে দুটি আলাদা বিষয় নির্বাচন করতে হবে। কারণ একই সাথে সেইম বিষয়ের উপর ডাবল মাস্টার্স করা যাবে না। যদি তুমি ডাবল মাস্টার্স করতে চাও তাহলে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুরকমের সাবজেক্ট চুজ করতে হবে। যেমন- তুমি যদি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমবিএ করো তাহলে অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমাজকর্মে মাস্টার্স করতে
পারবে। ডাবল মাস্টার্স করার জন্য তোমাকে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের সাথে আরও যে কাজগুলো করতে হবে সেটি হচ্ছে- অবশ্যই তোমাকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে হবে। গ্রাজুয়েশনের সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট, সনদপত্র, রেফারেন্স লেটার এবং তার সাথে পাসপোর্ট সাইজের ছবি, মাস্টার্স এর আবেদন ফরম পূরণ করে প্রতিষ্ঠানের নিকট জমা দিতে হবে। কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তি পরীক্ষায় যদি পাশ করে থাকো তাহলে মাস্টার্স করতে পারবে। আর যদি ভর্তি পরীক্ষায় পাস না করো তাহলে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য এপ্লাই
করতে হবে। যারা সহজেই মাস্টার্সে ভর্তি হতে চাও তারা এমন কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চুজ করতে পারো যেখানে ভর্তি পরীক্ষা নয়া হয়না। ডাবল মাস্টার্স করার জন্য যে বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে দুটি প্রোগ্রামের সময়সীমা যাতে একই রকমের না হয় তা না হলে ক্লাস ও পরীক্ষার সময় খুবই ঝামেলার সম্মুখীন হতে হবে। ডাবল মাস্টার্স করার জন্য সবচেয়ে উত্তম উপায় হচ্ছে একই সাথে দুটো প্রোগ্রামের উপর মাস্টার্স না করে একটি বিষয়ের উপর মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করার পর আবার নতুন করে অন্য একটি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী শুরু করা।
তাহলে একই সাথে দুটো বিভাগের পড়াশোনা নিয়ে অতিরিক্ত চাপ নিতে হয় না। এতে করে সময় মত ক্লাসে ও পরীক্ষা অ্যাটেন্ড করা যায় এবং রেজাল্ট ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একসাথে ডাবল মাস্টার্স করলে একটা সুবিধা হচ্ছে সময় বেঁচে যায়। কিন্তু সকল শিক্ষার্থীদের মেন্টাল ক্যাপাসিটি একই ধরনের হয় না যার কারণে অনেক সময় একই সাথে ডাবল মাস্টার্স করলে পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এতে ফলাফল খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যার যার দক্ষতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী সঠিক ডিসিশন নেওয়া উচিত।
লেখকের শেষকথা
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আমরা আজকে তোমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে আলোচনা করেছি সেটি হচ্ছে ডিগ্রি পাশ করার পর কি পড়া যায়। তোমরা যারা ডিগ্রী পাশ শিক্ষার্থীরা আছো তারা আমাদের আজকের পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ার চেষ্টা করবে এতে করে তোমরা সঠিক গাইডলাইন পেয়ে যাবে। প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমাদের সাথে যে সকল বন্ধুরা বা সমবয়সীরা ডিগ্রী পাস করে বেকার বসে আছে তাদের সাথে আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই শেয়ার করে দিবে।
যাতে করে তারা বেকার বসে না থেকে ডিগ্রী পাস করার পর বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পায় এবং ডিগ্রী পাস করার পর আরো কি কি কোর্স করার সুযোগ আছে সেগুলো আমাদের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url