ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন
ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যম দ্বারা জানার চেষ্টা করে থাকি। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে তখন আমাদেরকে ব্যুরো বাংলাদেশ এর যে কোন অফিস শাখায় গিয়ে যোগাযোগ করতে হয়। তবে আজকে আমাদের আর্টিকেলের সকল বিষয়বস্তু যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আর অফিস শাখায় না গিয়েই প্রয়োজনীয় সকল তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন।
আজকের আলোচ্য বিষয় ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি, আরও যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন সেগুলো হলো ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও, ব্যুরো বাংলাদেশ ডিপিএস, বুরো বাংলাদেশ শাখা কয়টি এবং বাংলাদেশ ফাইনান্স লোন সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্র
বুরো বাংলাদেশ এনজিও
বুরো বাংলাদেশ এনজিও মূলত বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান যা বাংলাদেশের বেসরকারি এনজিওগুলোর তদারকি করে থাকে। ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও টি ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সাধারণত ব্যুরো বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীনে একটি বিভাগ। দেশের যতগুলো এনজিও প্রতিষ্ঠান রয়েছে সবগুলোকে এই ব্যুরো বাংলাদেশ এর দপ্তরে এসে নিবন্ধিত হতে হয়। বাংলাদেশের ২৪৯৮ টি এনজিও আছে এদের মধ্যে ২৪০ টি বিদেশি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। দপ্তর পরিচালনার পাশাপাশি ব্যুরো বাংলাদেশের শাখা থেকে সহজ শর্তে লোন নেওয়া সম্ভব।
বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষদের ক্ষেত্রে বুরো বাংলাদেশ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। আর এ কারনেই বুরো বাংলাদেশ এনজিও এতটা জনপ্রিয়। পাশাপাশি বাংলাদেশের সকল এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোর দপ্তর হওয়ার প্রেক্ষিতে অন্যান্য এনজিওগুলো যেন ঋণ গ্রহীতাদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে সেজন্য আহ্বান করে থাকে। বুরো বাংলাদেশ সবসময়ই মাইক্রো ফাইনান্স পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে সকলে যেন সঠিকভাবে লোনের আওতায় আসতে পারে সে বিষয়ে সবসময় পদক্ষেপ গ্রহণ করার চেষ্টা করে।
মাইক্রো ফাইনান্স পদ্ধতি অনুসরণ করার প্রেক্ষিতে ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি খুব সরলভাবে ঋণগ্রহী তাদের ঋণ প্রদান করতে সার্থক হয়।
ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি
বাংলাদেশের সদর দপ্তর হওয়ার পাশাপাশি একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান হিসেবেও বুরো বাংলাদেশের ব্যাপক ডিমান্ড রয়েছে। গত ৩২ বছর যাবত ঘুরে বাংলাদেশ তাদের সেবা বাংলাদেশের আপামর জনগণের জন্য বজায় রেখেছে। বুরো বাংলাদেশ এনজিও এর অন্যতম কার্যক্রম গুলো হল যারা প্রান্তিক কৃষক রয়েছে তারা ক্ষুদ্রঋণ দিতে পারবে আবার এখান থেকে বড় ধরনের ঋণ নেওয়ার ও যথেষ্ট সুযোগ রাখা হয়েছে। ক্ষুদ্রঋণ বা বড় ধরনের ঋণ প্রদান এটাই ব্যুরো বাংলাদেশের লক্ষ্য নয়। এখান থেকে রেমিট্যান্স গ্রহণ, সঞ্চয় সেবা,
প্রশিক্ষণ এমনকি বুরো বাংলাদেশের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম ডিভাইস যেমন মোবাইল, টিভি, ফ্রিজ এগুলো কেনা সম্ভব। যারা প্রবাসী রয়েছেন তারা যদি বুরো বাংলাদেশের মাধ্যমে রেমিডেন্স পাঠায় সেক্ষেত্রে ২.৫% প্রণোদনা পেয়ে থাকে। আবার যারা বুরো বাংলাদেশের আওতায় সঞ্চয় করতে চান তারাও ১০% পর্যন্ত মুনাফা পেতে পারেন। আসুন তাহলে এবার ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি জানার পূর্বে বুরো বাংলাদেশ এনজিও থেকে কি কি ধরনের ঋণ নেওয়া যায় সে বিষয়টি জেনে নিব।
বুরো বাংলাদেশ এনজিও থেকে কি কি ধরনের ঋণ নেওয়া যায়
বুরো বাংলাদেশ বাংলাদেশের জনগণের কথা মাথায় রেখে তাদের বহুমুখী ঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত করে রেখেছে। তাদের মূল লক্ষ্যই হলো জনগণের সেবার মাধ্যমে দেশকে উন্নতির দিকে অগ্রসর করা। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি ক্ষুদ্র ঋণ থেকে শুরু করে বড় ধরনের ঋণও প্রদান করে থাকে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলা পর্দায় ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও এর শাখা রয়েছে। যে কেউ বুরো বাংলাদেশ থেকে লোন নিতে আগ্রহী হলে তার নিকটস্থ শাখায় গিয়ে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রদানের মাধ্যমে লোনের আওতায় আসতে পারে। বুরো বাংলাদেশ যে ধরনের লোন প্রদান করে সেগুলো পর্যায়ক্রমে নিচে আলোচনা করা হলো।
সাধারণ ঋণ
যদি কেউ ব্যবসা বা আয় বৃদ্ধি করার জন্য লোনের চিন্তাভাবনা করে তাহলে বুরো বাংলাদেশ এনজিও থেকে খুব সহজেই সাধারণ ঋণের আওতায় ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। অনেকের ব্যবসা শুরু করার জন্য অথবা ব্যবসার পরিধি বিস্তার করার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থের প্রয়োজন হয়। সেই মূলধন অন্য কোথাও যদি ব্যবস্থা না হয়, তাহলে সাধারন ঋণের আওতায় বুরো বাংলাদেশের যে কোন শাখায় গিয়ে যোগাযোগের মাধ্যমে লোন গ্রহণ সম্ভব।
বুরো বাংলাদেশ তাদের গ্রাহকদেরকে সাধারণ দিনের আওতায় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে থাকে। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা থাকে ১ বছর। ঋণ গ্রহীতা ব্যক্তি সাপ্তাহিকভাবে অথবা মাসিক চুক্তিতে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারে। ব্যুরো বাংলাদেশ তাদের সার্ভিস চার্জ ২৪% হিসেবে উল্লেখ করেছে।
জরুরী ঋণ
আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে হঠাৎ কোনো এক সময় জরুরী ভিত্তিতে অর্থের প্রয়োজন পড়ে। হতে পারে সেটা দূর্ঘটনাবশত কোন কারণ বা আনুষ্ঠানিক কারণ। কারণ যেটাই হোক না কেন কেউ যদি জরুরী ভিত্তিতে ঋণ পেতে চায় তাহলে ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি অনুযায়ী জরুরি ঋণ হিসেবে ঋণের আবেদন করতে পারবে। আনুষ্ঠানিক বা দুর্ঘটনা কারণবশত জরুরী ঋণ দেওয়া হলেও চিকিৎসা শিক্ষা বা ব্যবসায় যদি জরুরি অর্থের প্রয়োজন পড়ে সে ক্ষেত্রেও ব্যুরো বাংলাদেশ জরুরী ঋণ পরিসেবা চালু করে রেখেছে।
মূলত জরুরী দিনের জন্য খুব বেশি এমাউন্ট গ্রাহকদের কে প্রদান করা হয় না। বুরো বাংলাদেশ এনজিও জরুরী ঋনের ভিত্তিতে গ্রাহকদেরকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে। এখানেও সার্ভিস চার্জ ধরা হয়েছে ২৪%। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ থাকবে তিন মাস পর্যন্ত। সাধারণ ঋনের মতোই মাসিক অথবা সাপ্তাহিকভাবে কিস্তি প্রদানের সুযোগ রয়েছে।
পানি ও পয় নিষ্কাশন ঋণ
আমরা সকলেই জানি যে পানির অপর নাম জীবন। তাই খাবার পানি যেন প্রত্যেকটি অঞ্চলের লোক ভালোভাবে পাই সেজন্য বুরো বাংলাদেশ সাবমারসিবল পাম্প বোরিং করার জন্য লোন প্রদান করে। খাবার পানি ব্যবস্থা করার পাশাপাশি পয় নিষ্কাশন এর জন্যও লোনের আবেদন করা যায়। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ যেন বিশুদ্ধ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার করতে পারে এটা একমাত্র বুরো বাংলাদেশ এনজিওর মূল লক্ষ্য। পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নির্মাণের ক্ষেত্রে এলাকার ওপর ভিত্তি করে
৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রেও সাপ্তাহিক অথবা মাসিকভাবে কিস্তি পরিশোধ করতে পারবে। পানি ও পয় নিষ্কাশন। ঋণের ক্ষেত্রেও ২৪% সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হয়।
কৃষি ঋণ
বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি ব্যাংক এবং অন্যান্য ব্যাংকের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও কৃষকদেরকে কৃষি ঋণ প্রদান করে। যদি কোন কৃষক জমে জমা চাষবাস অথবা নতুন কৃষি প্রযুক্তিগত যন্ত্র বা অন্যান্য মালামাল ক্রয় করতে চায় সেক্ষেত্রে কৃষি ঋণ প্রদান করা হয়। ঋণগ্রহীতার আর্থিক অবস্থা ও সক্ষমতার উপর বিবেচনার মাধ্যমে ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি অনুযায়ী কৃষি ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে। কৃষি ঋণের ক্ষেত্রেও সার্ভিস চার্জ ২৪% প্রদান করতে হয়। সাপ্তাহিক অথবা মাসিক চুক্তিতে কৃষি ঋণের কৃষি প্রদান করা লাগে।
মৌসুমী ঋণ
মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের ক্ষেত্রে প্রান্তিক ও মাঝারি দিনের ব্যবস্থা করে রেখেছে বুরো বাংলাদেশ এনজিও। এখানে মৌসুমী ঋন বলতে বোঝানো হচ্ছে যে মৌসুমের উপর ভিত্তি করে যে সকল চাষাবাদ হয় সেই অনুযায়ী কৃষকদের ঋণের আওতায় আনা। মৌসুমী ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রেও একজন কৃষক বলে গণ্য হতে হবে পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের যথেষ্ট ক্ষমতা থাকতে হবে। কৃষকের অবস্থার উপর ভিত্তি করে গ্রাহকদেরকে ১০০০ থেকে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত মৌসুমী ঋণ প্রদান করা হয়। মৌসুমী দিনের ক্ষেত্রেও সার্ভিস চার্জ ২৪% বিদ্যমান এবং ঋণ পরিষদের সময়সীমা দেওয়া হয় ৩ মাস থেকে ৬ মাস পর্যন্ত।
দুর্যোগ ঋণ
দুর্যোগ পরবর্তী সময়কে মোকাবেলা করার জন্য বুরো বাংলাদেশ এনজিও দুর্যোগ ঋণ নামে একটি ঋণ প্রকল্প চালু রেখেছে। দুর্যোগ কারণবশত কোন এলাকার বিশেষ করে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস বন্যা এসবের পরিমাণ বেশি হয়। সে সকল এলাকাতে এবং পাশাপাশি বাংলাদেশের সকল এলাকাতে দুর্যোগ ঋনের ব্যবস্থা রয়েছে। দুর্যোগের কারণে যদি কারো ব্যবসার ক্ষয়ক্ষতি বা পুঁজির ঘাটতি দেখা দিলে দুর্যোগ ঋণ নেওয়া যাবে।
দুর্যোগ ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বুরো বাংলাদেশ এনজিও ২০ হাজার টাকা দুর্যোগ অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য প্রদান করে থাকে। এই ঋণ পরিশোধের মেয়াদ থাকে ১ বছর। তবে অন্যান্য ঋণের থেকে এ ঋনের সার্ভিস চার্জ ১৮% ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশের সকল স্তরের জনগণ ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও এর আওতায় সকল ধরনের ঋণের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে। তবে ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি অনুসারে অবশ্যই কিছু যোগ্যতা এবং শর্ত রয়েছে। পাশাপাশি কিছু কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমেই কেবলমাত্র ঋণের আওতায় আসা সম্ভব। আসুন তাহলে এবার বুরো বাংলাদেশ এনজিও থেকে লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলো আলোকপাত করা প্রয়োজন এবং সেই বিষয়গুলো নিচে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলো।
- বাংলাদেশের একজন সুনাগরিক হওয়ার পাশাপাশি কৃষি ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন কৃষক হতে হবে।
- প্রত্যেকটি ঋণ নেওয়ার জন্য অবশ্যই বুরো বাংলাদেশ এনজিওর একজন সদস্য হতে হবে। পাশাপাশি সদস্য পদের বয়স কমপক্ষে দুই সপ্তাহ হওয়া জরুরী।
- ঋণ গ্রহিতার বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলোর মধ্যে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং দুই কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
- ভর্তি ফি, পাস বই ফি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফি মিলিয়ে মোট ২৫ টাকা জমা দিতে হবে।
- নিয়োগকৃত কর্মকর্তা ঋণ গ্রহণের জন্য যে আবেদন ফরম দেবে সেটা সঠিকভাবে পূরণ করে উপযুক্ত কাগজপত্র গুলো এর সহিত কর্মকর্তার নিকট জমা দিতে হবে।
বুরো বাংলাদেশ এনজিও প্রতিষ্ঠাতা কে
ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও টি ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সাধারণত ব্যুরো বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীনে একটি বিভাগ। দেশের যতগুলো এনজিও প্রতিষ্ঠান রয়েছে সবগুলোকে এই ব্যুরো বাংলাদেশ এর দপ্তরে এসে নিবন্ধিত হতে হয়। বাংলাদেশের ২৪৯৮ টি এনজিও আছে এদের মধ্যে ২৪০ টি বিদেশি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হচ্ছে জাকির হোসেন। প্রতিষ্ঠাতা হওয়ার পাশাপাশি তিনি বুরো বাংলাদেশের একজন নির্বাহী পরিচালকও
বটে। শ্রদ্ধেয় জাকির হোসেন স্যারের তত্ত্বাবধানে বুরো বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিক পাবে তাদের কার্যধারা পরিচালনা করে যাচ্ছে। পরিচালক জাকির হোসেন ঋণ ব্যবস্থাপনাকে এবং ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি গুলো খুবই ভালোভাবে তৈরি করেছেন যার ফলে গ্রামের লোকজন বিশেষ করে কৃষি লোনের ক্ষেত্রে কৃষক ভাইয়েরা ব্যাপক সুবিধা পাচ্ছেন।
বুরো বাংলাদেশ শাখা কয়টি
আমরা এতক্ষণ পর্যন্ত বুরো বাংলাদেশ এনজিও এবং বিভিন্ন কার্যক্রম গুলো আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। ঋণের ব্যবস্থা বিষয়ে জানার পাশাপাশি অবশ্যই বুরো বাংলাদেশ শাখা কয়টি বা অফিস রয়েছে সেটাও জানা জরুরী। কেননা কেউ যদি ঋণ নিতে চায় তাহলে অবশ্যই উক্ত শাখা গুলোতে উপস্থিত হতে হবে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে অর্থাৎ যদি কোন ব্যক্তি ঋণের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে বাংলাদেশের যেসকল শাখায় গিয়ে যোগাযোগ করতে পারবে সেই শাখা গুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হল।
- চট্টগ্রাম শাখাঃ দেবব্রত দাসের বাড়ি, হোল্ডিং নং – ১০৮৫/৩ মোদ্দাম মোহরা ওয়াসা রোড, চট্টগ্রাম।
- বরিশাল শাখাঃ আসালত খান রোড, রূপাতলী, বরিশাল।
- খুলনা শাখাঃ ১৭০/২, শের-এ বাংলা রোড, খুলনা।
- ময়মনসিংহ শাখাঃ আকুয়া ওয়্যারলেস গেট মোড় (কাচাঁ বাজারের নিকটে) আকুয়া, ময়মনসিংহ।
- রাজশাহী শাখাঃ পীরসাহেব পাড়া, রাজপাড়া, রাজশাহী।
- রংপুর শাখাঃ দর্শনা মোড়, রংপুর।
- সিলেট শাখাঃ মিতালি আর/এ লেন নাম্বার-৭, হোল্ডিং নাম্বার-১৬৪, রয়াংগার রাজবাড়ি, সিলেট।
আশা করি আপনারা বুরো বাংলাদেশ শাখা কয়টি এ বিষয়ে মোটামুটি অবগত হতে পেরেছেন। এছাড়াও বাংলাদেশের কিছু উপজেলা পর্যায়ে বুরো বাংলাদেশ এনজিও শাখা চালু আছে। তাই লোন নিতে আগ্রহী হলে অবশ্যই আপনার উপজেলাতে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন যে সেখানে বুরো বাংলাদেশ এনজিও শাখা রয়েছে কিনা।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লোন
বাংলাদেশের সরকারি, বেসরকারি এবং এনজিও যেমন ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি বাদেও ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট বিভিন্নভাবে গ্রাহকদেরকে লোনসেবা প্রদান করে থাকে। এক্ষেত্রে বিনা জামানতের ভিত্তিতে পুরুষ এবং নারী উদ্যোক্তারা ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট থেকে। উদ্যোক্তাদের এই ঋণ প্রদানের প্যাকেজ টির নাম দেওয়া হয়েছে “বিজয় প্যাকেজ”। যদি আবেদনকারী সকল কিছু সঠিক এবং যোগ্য বলে বিবেচিত হয় তাহলে বিজয় প্যাকেজের আওতায় মাত্র চার দিনের মধ্যেই ৪ শতাংশ সুদের হারে ঋণ প্রদান করা হয়।
যারা সমাজে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চান বিশেষ করে নারীরা তাদের জামানত দেওয়ার মতো বা সিকিউরিটি দেওয়ার মত কোন সামর্থ্য থাকে না বা বিষয়টিকে ঝামেলার চোখে দেখা হয়। আর এই ইসুগুলো ঠিক করার ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ফাইন্যান্স এ ধরনের প্যাকেজের বিষয়টি চালু করেছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লোনের আওতায় যদি কেউ বিজয় প্যাকেজ গ্রহণ করে সে ক্ষেত্রে কোন রকম জামানত ছাড়াই ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। যারা নারীর উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে চান পাশাপাশি তাদের ছেলেমেয়েদেরকে সঠিকভাবে শিক্ষিত করার জন্যেও ঋণ প্রদান
করা হয়ে থাকে। আবার বাংলাদেশের কৃষকদেরকে আরো উন্নত করার জন্য কৃষকদেরকেও বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট লোন প্রদান করে থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে সরাসরি অর্থ প্রদান না করে কৃষকদেরকে গরু কিনে দেওয়া হয়। আবার গরুগুলোর ইন্সুরেন্স পর্যন্ত করা থাকে। বাংলাদেশ ফাইনান্স ডিপার্টমেন্ট দাবি করেছে তারা ২০৪১ সালের মধ্যে গ্রামীণ অর্থনীতিকে পুঁজি করে বাংলাদেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেবে।
শেষকথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি আপনারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে বুরো বাংলাদেশ এনজিও এবং ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অবগত হতে পেরেছেন। যেকোনো লোন গ্রহনের পূর্বে প্রতারক চক্রের পাল্লায় না পড়ে, অবশ্যই উপরে বর্ণিত ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও শাখা গুলোতে উপস্থিত হয়ে লোনের বিষয়ে আলোচনা করবেন। আপনাদেরকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য। আজকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আপনার যদি কোন মন্তব্য থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি পেশ করুন।
এরকম তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। পাশাপাশি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের বুরো বাংলাদেশ এনজিও সম্পর্কে জানানোর লক্ষ্যে একটি শেয়ার করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url