ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়-সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক
সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক এ বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের জানার আগ্রহের কোন কমতি নেই। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান অনেকটাই নিম্ন শ্রেণীর হওয়ার কারণে বেশিরভাগ জনগোষ্ঠীর ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে জীবনের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত করতে হয়। সুতরাং আজকের আর্টিকেলে মূল বিষয়বস্তু হতে চলেছে সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক এবং বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক।
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিষয় দুটি বাদে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিষয় দুটি বাদে আরো যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন সেগুলো হলো ব্যাংক লোনের মাসিক সৃষ্টির হিসাব ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানো হবে। দেয় কোন ব্যাংক এ বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক এবং বিস্তারিতভাবে জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
সাধারণত মধ্যযুগ থেকে ব্যাংকের প্রচলন শুরু হয়েছে। ব্যাংকের প্রচলন শুরু হওয়ার পর থেকে জনজীবনে ও আমূল পরিবর্তন এসেছে। তখনকার সময়ে ব্যাংকের উদ্দেশ্য ছিল সংরক্ষণ এবং আমানত গ্রহণ করা। পরবর্তীতে কালের বিবর্তনে ব্যাংকের কার্যক্রম আরো ভিন্নমুখী করা হয়েছে। ব্যাংকের কার্যক্রম গুলো অত্যধিক জনপ্রিয় এবং উপকারী হওয়ার জন্য প্রত্যেকটি ব্যাংক তাদের কার্যক্রম অনুযায়ী জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গেছে। তৎকালীন সময়ে রোম সভ্যতায় ব্যবসায়ী ও জনগণদের মধ্যে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করার মাধ্যমে ব্যাংকিং ব্যবস্থার ব্যাপক বিবর্তন ঘটানো
হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে ‘ব্যাংক লোন” কথাটি এসেছে, যা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ব্যাংক শর্তসাপেক্ষে গ্রাহকদের লোন প্রদান করে যাচ্ছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন সময় কাজের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থের প্রয়োজন পড়ে। সেই সময় কারো কাছে থেকে অর্থের জোগাড় না হলে আমরা হুমড়ি খেয়ে পড়ি ব্যাংকের দিকে লোন নেওয়ার জন্য। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন ব্যাংক কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে লোন প্রদান করি অর্থাৎ সেই ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সংক্রান্ত বিষয়গুলো আমরা অনেকেই জানিনা। বিষয়টি জানার জন্য ব্যাংকের লোন সংক্রান্ত কিছু প্রাথমিক ধারণা নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
যেমন ব্যাংকের লোন সাধারণত ৩ ধরনের হয়ে থাকে। সেগুলো হলো স্বল্প মেয়াদী লোন, মধ্য মেয়াদী লোন এবং দীর্ঘমেয়াদি লোন। স্বল্প মেয়াদি লোন সাধারণত ১ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হয় এজন্য এটাকে স্বল্প মেয়াদি লোন বলা হয়ে থাকে। মধ্য মেয়াদী লোনের ক্ষেত্রে ১ বছরের বেশি ঋণের মেয়াদ হয়ে থাকে। দীর্ঘ মেয়াদী লোনের ক্ষেত্রে ৫ থেকে ১০ বছর সময় পাওয়া যায়। এ সকল লোনের মধ্যে হোম লোন, কার লোন, ব্যক্তিগত লোন, শিক্ষা লোন উল্লেখযোগ্য। লোনের বিষয়টি সামনে আসলে সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক এ বিষয়টিও আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায়।
ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু উপায় এবং করণীয় বিষয়ে রয়েছে যেগুলো করার মাধ্যমেই কেবলমাত্র লোনের আওতায় যাওয়া সম্ভব। আসুন তাহলে এবার লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ের উপর লক্ষ রাখতে হবে।
সর্ব প্রথমে প্রয়োজন নির্ধারণ করতে হবে। যেহেতু প্রত্যেকটি ব্যাংক তাদের প্রয়োজন এবং ক্ষেত্র অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে যা আমরা একটু আগে উপরে জানলাম। সুতরাং আপনি কোন ধরনের লোন চাচ্ছেন সে বিষয়টি আগে নির্ধারণ করতে হবে।
কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে সুবিধা হবে এ বিষয়টি প্রথমে নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৬৭ টি ব্যাংক রয়েছে। যে ব্যাংক আপনাকে বেশি সুবিধা প্রদান করবে সেই ব্যাংকের আওতায় লোনের আবেদন করা জরুরী। বাংলাদেশে কিছু ব্যাংক রয়েছে যারা সহজ শর্তে বিনা জামানতে ঋণ প্রদান করে। সেই সকল ব্যাংকের নাম আপনাদের জেনে বুঝে সেখানে লোনের আবেদন করা প্রয়োজন। নিচে বিনা জামানতে ঋণ দেয় এ ধরনের ব্যাংকের নাম তুলে ধরা হলো।
বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক
- বাংলাদেশ ব্যাংক
- জনতা ব্যাংক
- অগ্রণী ব্যাংক
- ইসলামী ব্যাংক
- ব্র্যাক ব্যাংক
- আইএফআইসি ব্যাংক
- ডাচ বাংলা ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- সিটি ব্যাংক
- এবি ব্যাংক
বাংলাদেশের প্রথম সারির কয়েকটি ব্যাংকের নাম দেওয়া হলো যেগুলো ব্যাংকে মোটামুটি সহজ শর্তে এবং বিনা জামানতে লোন প্রদান করে থাকে। এগুলোর মধ্যে সুদের হার সম্পর্কে যা জেনে বুঝে তারপর সেই ব্যাংকের উক্ত শাখায় লোনের আবেদন করা যাবে। পাশাপাশি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে কোন কোন শর্তের প্রেক্ষিতে লোন প্রদান করছে সে বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। শর্তগুলো অবশ্যই জেনে বুঝে তারপরেই লোনের আবেদন করতে হবে। এরপর ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় এর ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদেরকে কিছু কাগজপত্র দাখিল করতে হবে।
ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার উপায় জানার পাশাপাশি অবশ্যই সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক এ বিষয়টিও আলোকপাত করতে হবে। লোনের জন্য শাখায় উপস্থিত হওয়ার পর নিয়োগকৃত কর্মকর্তা একটি আবেদন ফরম দেবে। আবেদন ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করার পর কিছু কাগজপত্র সাবমিট করার প্রয়োজন পড়বে। লোনের জন্য মূলত যে ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
- ব্যাংক থেকে প্রদত্ত আবেদন ফরটি যথাযথভাবে পূরণ করে, সঠিক জায়গায় স্বাক্ষর দিতে হবে।
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের রঙিন দুই কপি ছবি।
- লোন নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিটির জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস যেমন অফিস আইডি, ভিজিটিং কার্ড এর ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
- গ্যাস অথবা বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- টিআইএন সার্টিফিকেট প্রয়োজন পড়লে দাখিল করতে হবে।
- কমপক্ষে ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট শো করতে হবে।
- ব্যবসার ক্ষেত্রে লোন নিতে হলে অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স, অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের স্মারকলিপি, ভাড়া চুক্তি বা মালিকানার দলিল সহ অন্যান্য সকল প্রতিবেদন সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
এছাড়া ব্যাংকের যদি অন্যান্য চাহিদা সম্পন্ন কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্র সকল ডকুমেন্টস সাবমিট করতে হবে।
সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক
আমরা যারা নিজেদের ব্যবসা নতুন করে গড়ে তোলা অথবা নিজের পছন্দমত বাড়ি করার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় ব্যাংকের দ্বারস্থ হই এবং ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় গুলো খুঁজতে থাকি। বর্তমান সময়ে ব্যাংকগুলো তাদের সুদের হার অতিমাত্রায় বৃদ্ধি করেছে। যার ফলে লোন নেওয়া হয়ে গেলেও লোনের কিস্তি পরিশোধ করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তবে আমরা যদি জানতে পারি কোন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গুলো মোটামুটি কম সুদে লোন প্রদান করছে তাহলে লোন নেওয়ার পরবর্তী সময়কালে আমাদের অনেকটা সুবিধা হয়।
তবে পাঠকগণ আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে সুদের পরিমাণ সবসময়ই পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি লোন নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে যথাসাধ্য আলোচনার মাধ্যমে জানতে হবে লোন নেওয়ার সকল বিষয়বস্তু সম্পর্কে। বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যাংক লোনের মাসিক কিস্তি হিসাব ক্ষেত্রবিশেষে আলাদা হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃ ক সুদের হার নির্ধারণের পর সকল ব্যাংক তাদের সুদের হার অনেকটাই বৃদ্ধি দেখেছে। তবে কিছু ব্যাংক রয়েছে যারা তাদের সুদের হার কিছু পরিমাণ মূল্য কমিয়ে রেখেছে।
আজকে বাংলাদেশের স্বনামধন্য ৩ টি ব্যাংক এবং তাদের ব্যাংক লোনের মাসিক কিস্তি হিসাব সম্পর্কে আলোচনা করব। ব্যাংক ৩ টি হল এবি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক এবং বেসিক ব্যাংক। নিচে ব্যাংকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
এবি ব্যাংক
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলো তাদের সুদের হার অপরিবর্তিত হারে বৃদ্ধি করে চলেছে। বাংলাদেশ সরকারের উচিত প্রত্যেকটি বেসরকারি ব্যাংকে তাদের রীতি নির্ধারিত আইন অনুযায়ী সুদের হার ঠিক রাখা। বেপরোয়াভাবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গুলো যদি তাদের সুদের হার বৃদ্ধি করে তাহলে জনগণের আর ভোগান্তির শেষ থাকে না। বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ব্যাংক হলো এবি ব্যাংক। সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক এই তালিকাতে এবি ব্যাংককে সর্ব প্রথমে রাখার কারণ হলো এই ব্যাংকের সুদের হার অত্যন্ত কম।
উক্ত ব্যাংকটি সাধারণত ৭.৪৩ শতাংশ সুদে পার্সোনাল বা ব্যক্তিগত লোন প্রদান করে থাকে। তাই কেউ যদি কম সুদে ব্যক্তিগত লোন নিতে ইচ্ছুক হয় তাহলে অবশ্যই এবি ব্যাংকের শাখায় গিয়ে যোগাযোগ করা দরকার বলে আমরা মনে করি। পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে এবি ব্যাংক গ্রাহকদেরকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন সুবিধা দিয়ে থাকছে। তবে এক্ষেত্রে গ্রাহকদেরকে একটি উপযুক্ত কারণ কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হবে যার প্রেক্ষিতে লোন গৃহীত হবে। এবি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের লোনের মেয়াদ ৫ বছর বা ৬ মাস প্রদান করে থাকে।
বেসিক ব্যাংক
বাংলাদেশের আরেকটি অন্যতম ব্যাংকের তালিকাতে বেসিক ব্যাংকের নাম অবশ্যই রয়েছে। শুধুমাত্র কম সুদে লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে নয় বেসিক ব্যাংক আরো অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করে যার ভিত্তিতে দিন দিন উক্ত ব্যাংকটির জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। যদি কেউ তার প্রয়োজনের ভিত্তিতে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সংক্রান্ত বিষয়গুলো ভালোভাবে ফলোআপ করে কম সুদে লোন গ্রহণ করতে চায়, তাহলে অবশ্যই বেসিক ব্যাংকে যোগাযোগ করা প্রয়োজন। কেননা বেসিক ব্যাংক তাদের সুদের হার মাত্র ৮% করে রেখেছে।
তাই কেউ যদি ব্যক্তিগত লোন, হোম লোন নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন তাহলে বেসিক ব্যাংকের যে কোন শাখায় গিয়ে উক্ত বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রেও অবশ্যই একটি উপযুক্ত বিষয়বস্তু বা কারণ দর্শানোর মাধ্যমে কেবলমাত্র লোনের আওতায় যাওয়া সম্ভব।
ব্র্যাক ব্যাংক
আমরা অনেক সময় বিশেষ করে গ্রামের লোকজন ব্র্যাক ব্যাংক এবং ব্র্যাক এনজিওকে গুলিয়ে ফেলে। বিষয়টি হলো ব্র্যাক এনজিও এবং ব্র্যাক ব্যাংক তাদের কার্যক্রম পুরোটাই আলাদা। এখানে যে ব্র্যাক ব্যাংকের কথা বলা হয়েছে সেটি মূলত বাংলাদেশের যে সকল বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি ব্যাংক। কম সুদে লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংক ও অনেকটাই এগিয়ে। যেখানে অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংকগুলো তাদের সুদের হার ১২% করে রেখেছে। সেখানে ব্র্যাক ব্যাংক ৯% হারে গ্রাহকদেরকে ঋণের সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে।
তবে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এর কাছ থেকে উক্ত কাগজপত্র সম্বন্ধে জেনে বুঝে তবেই আবেদন করা প্রয়োজন। কেননা কাগজপত্র বা অন্যান্য ত্রুটি কারণে যদি লোন ব্যাহত হয় তাহলে অবশ্যই লোন গ্রহীতাই ক্ষতির সম্মুখীন হবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়।
ব্যাংক লোনের মাসিক কিস্তি হিসাব
আমরা এই পর্যন্ত সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক এবং ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সে সম্পর্কে মোটামুটি অবগত হতে পারলাম। কোন ব্যাংকগুলো সহজ শর্তে লোন প্রদান করছে এবং সুদের পরিমাণ কম রাখছে এ বিষয়টি যেমন জানা জরুরি ঠিক তেমনি ব্যাংক লোনের মাসিক কিস্তি হিসাব বিষয়টিও গুরুত্ব আকারে জানা উচিত। এর কারণ হলো কেউ যদি ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করে, তারপরে যে বিষয়টি তার সামনে আসে সেটি হল প্রতিনিয়ত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা। আর এজন্য ঋণ গ্রহিতাকে অবশ্যই সঠিকভাবে লোনের ভিত্তি অনুযায়ী কি পরিমান মাসিক অথবা সাপ্তাহিক কিস্তির
পরিমাণ আসে সেটা কর্মচারীর সাথে আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেওয়া উচিত। বলাবাহুল্য যে প্রত্যেকটি ব্যাংক তাদের সুদের পরিবর্তন করার অধিকার রাখে। আবার বাজেট অনুযায়ী যদি বাংলাদেশ সরকার কোন সময় সুদের হারের পরিবর্তন আনে সে ক্ষেত্রেও মাসিক কিস্তির পরিমাণ কম বেশি হবে। বাজেট অনুযায়ী যদি সুদের পরিবর্তন ঘটে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক একটি নির্দেশনা জারি করা হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলো তাদের সুদের পরিমাণ বাজেট অনুযায়ী নির্ধারণ করবে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গুলো মাসিক কিস্তির পরিমাণ সাধারণত কতদিন ঋণের মেয়াদ রয়েছে এবং
সুদের পরিমাণ কত আছে সে অনুযায়ী হিসেব করে মাসিক কিস্তির পরিমাণ দিয়ে থাকে। আসুন পুরো বিষয়টিকে অর্থাৎ ব্যাংকের লোনের ভিত্তি অনুযায়ী মাসিক কিস্তির হিসাব কেমন হতে পারে সে বিষয়টি ছকের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক। আমরা এখানে উপরে উল্লেখিত ৩ টি ব্যাংকের সুদের হারের উপর নির্ভর করে, লোনের পরিমাণ এবং লোনের মেয়াদ একই রেখে মাসিক কিস্তির পরিমাণ হিসাব করব।
১০ হাজার টাকা লোন
আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে হঠাৎ করেই অল্প কিছু টাকার পরিমান প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু সেই সময় কারো কাছ থেকে যদি টাকাটি ধার হিসেবে না পাওয়া যায় তাহলে পড়তে হয় মহা মুসিবতে। তবে একটু বুদ্ধি খাটালেই মুহূর্তের মধ্যেই ১০০০০ টাকা লোন পাওয়া সম্ভব। ১০ হাজার টাকা লোন নিতে হলে দিতে হবে না কোনো রকম জামানত। তাই জরুরী প্রয়োজনে যেকোনো সময় উক্ত টাকাটি লোন নিতে হলে দুইটি পদ্ধতি ফলো করা যাবে। প্রথম পদ্ধতি হলো অনলাইন লোন অ্যাপস থেকে লোন গ্রহণ করা।
যেহেতু ঘরে বসেই অনলাইনে অ্যাপসটির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় লোন গ্রহণ করা সম্ভব সেক্ষেত্রে আর ব্যাংকে গিয়ে ঝামেলা করার প্রয়োজন পড়বে না। আবার সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক, পাশাপাশি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় এগুলো ভেবে কনফিউশনেও পড়তে হয় না। ইনস্ট্যান্ট লোন নেওয়ার জন্য গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে হিরোফিনকপ ইনস্ট্যান্ট লোন অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। তারপর মোবাইল নম্বর দিয়ে রেকশান করে ওটিপি ভেরিফাই করলে একটি আইডি ক্রিয়েট হয়ে যাবে।
তারপর সেখানে যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য পূরণ করার পর ব্যক্তির আয়ের প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা লোন নেওয়া সম্ভব। এই অ্যাপস বাদে বিকাশ থেকেও মুহূর্তে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নেওয়া যাবে। অবশ্যই লোন নেওয়ার জন্য একজন নিয়মিত বিকাশের গ্রাহক হতে হবে। পাশাপাশি স্মার্টফোনে বিকাশের অ্যাপস ইনস্টল থাকতে হবে এবং নিয়মিত লেনদেন করছে এরকম অ্যাকাউন্ট হতে হবে। বিকাশ অ্যাপ এ প্রবেশ করার পর “বিকাশ লোন” নামের একটি আইকন দেখা
যাবে। তারপর লোন নেওয়ার জন্য গ্রাহককে তার ই কেওয়াইসি ফর্মে বিকাশে দেওয়া তথ্যগুলো সিটি ব্যাংকে দেওয়ার সম্মতি প্রদান করতে হবে। পরের ধাপে ঋণের পরিমাণ এবং নিজের পিন দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে নিজে বিকাশ একাউন্টে ১০ হাজার টাকা ইন্সট্যান্ট লোন নেওয়া সম্ভব।
১ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাই
আমারা অনেক সময় জরুরী ভিত্তিতে ১ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাই। আবার দেখা যায় কোন কারণবশত সেটা বড় কোন ধরনের অসুখ-বিসুখ বা অন্যান্য কারণ হতে পারে, সে ক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাই। কিন্তু বিষয় হল এ সকল লোন নেওয়ার জন্য কোথায় গিয়ে অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে বা কারা লোন গুলো দ্রুত গ্রহণ করবে সে বিষয়ে সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। মূলত ১ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাই এবং ২ লক্ষ টাকা আলো নিতে চাই বিষয়টি পার্সোনাল লোন বা ব্যক্তিগত লোনের আওতায় পড়ে।
আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে পড়ে আসেন তাহলে অবশ্যই দেখেছেন যে কোন কোন ব্যাংক সহজ শর্তে এবং কোনরকম জামানত ছাড়াই কম সুদে লোন প্রদান করে থাকে তার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। উপরে বর্ণিত সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক গুলোর যে তালিকা রয়েছে সেখান থেকে যেকোনো একটি ব্যাংকের শাখায় উপস্থিত হয়ে নিয়োগকৃত কর্মচারীর সাথে কথা বলে আপনার যে চাহিদা অর্থাৎ ১ লক্ষ টাকা লোন চাই বিষয়টি আলাপ করতে পারেন।
তবে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্টস লাগবে যা আমরা ইতিমধ্যে আর্টিকেলে আলোচনা করেছি। সুতরাং কেউ যদি ২ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাই তাহলে উপরে বর্ণিত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের সহিত আবেদন দাখিল এর মাধ্যমে খুব সহজেই ব্যক্তিগত লোনের আওতায় লোন গ্রহণ করতে পারবে।
লেখকের শেষকথা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা আশা ব্যক্ত করতে পারি যে আপনারা ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সংক্রান্ত বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। এখন থেকে সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক এ তালিকা অনুযায়ী যদি আপনারা সেই সকল ব্যাংকের শাখায় গিয়ে নিজেদের চাহিদার কথা তুলে ধরেন তাহলে খুব সহজেই লোনের আওতায় যেতে পারবেন। তবে লোন নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই সুদের হার সম্পর্কে জেনে বুঝে আপনার ক্ষমতার মধ্যে হলে তবেই সেই সকল শাখায় আবেদন করবেন।
আজকের এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে যদি আপনার কোন মন্তব্য থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে আপনার মন্তব্যটি পেশ করুন। আপনার নিজস্ব আত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধবদের লোন সংক্রান্ত সকল বিষয়গুলো জানানোর জন্য আজকের এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। এরকম তথ্য ও সম্মিলিত আর্টিকেলগুলো পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url