অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট মানে কি-অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কিভাবে শিখব

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কিভাবে শিখব সম্পর্কে জানার জন্য আমরা বিভিন্ন সময় গুগলে সার্চ করে থাকি। কিন্তু মূলত এটি সঠিক গাইডলাইন বা কিভাবে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখা যায় সেই বিষয়টি নিয়ে সেরকম কোন লেখালেখি চোখে পড়ে না। তাই সে সকল ভাই এবং বোনদের উদ্দেশ্য করে আমরা আজকের এই আর্টিকেলে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কিভাবে শিখব বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করব।
অ্যাপ-ডেভেলপমেন্ট-কিভাবে-শিখব
বিষয়টি বাদেও আপনারা যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন সেগুলো হলো অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট মানে কি এবং মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে। পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ার কেমন এবং অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কিভাবে শিখব বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট মানে কি

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সেরকম একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে এক বা একের অধিক মোবাইল ডিভাইসের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়ে থাকে। যার মধ্যে ব্যক্তিগত ডিজিটাল সহকারি (PDA), এন্টারপ্রাইজ ডিজিটাল সরকারি (EDA), বা মোবাইল ফোন অন্তর্ভুক্ত থাকে। শুধুমাত্র মোবাইল ডিভাইসে চালানোর জন্য ডেভেলপমেন্টের ভিত্তিতে সে সকল সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনগুলো তৈরি করা হয়। অনেক হার্ডওয়ার সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় রেখে মোবাইল অ্যাপ ডেভলপমেন্টের মাধ্যমে অ্যাপগুলো তৈরি করা হয়। সাধারণ সীমাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছে CPU আর্কিটেকচার এবং গতি, 

উপলব্ধি মেমোরি (RAM), সীমিত ডাটা স্টোরেজ সক্ষমতা এবং ডিসপ্লে। এপ্লিকেশনগুলো তৈরি করার সময় ফোনে আগে থেকে ইন্সটল করা যেতে পারে বা ওয়েব এপ্লিকেশন এর মাধ্যমে বিতরণ করা যেতে পারে। সার্ভার সাইড বা ক্লায়েন্ট সাইড প্রসেসিং ব্যবহার করে একটি অ্যাপ্লিকেশন এর মত অভিজ্ঞতা প্রদান করতে থাকে একটি ওয়েব ব্রাউজার। মোবাইল অ্যাপ ডেভলপমেন্ট ক্রমাগতভাবে রাজস্ব এবং কর্মসংস্থানের প্রেক্ষিতে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। একটি রিসার্চে উঠে এসেছে শুধুমাত্র ইউকেতে ৫২ লক্ষেরও বেশি ব্যক্তি সরাসরি অ্যাপ অর্থনীতির চাকরির সঙ্গে যুক্ত আছে। 

যার মধ্যে ৬০ শতাংশই মোবাইল অ্যাপ ডেভলপমেন্ট বা বিকাশ কারী। যেহেতু প্রত্যেকটি দেশেই বর্তমান সময়ে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা রয়েছে, তাই কেউ যদি এটাকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয় তাহলে সেটা অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ। তবে সেক্ষেত্রে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কিভাবে শিখব বিষয়টি সম্পর্কে এ টু জেড ধারণা অর্জন করতে হবে।

মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট বলতে সে বিষয়টিকেই বোঝানো হচ্ছে যে, অ্যাপ ডিজাইন করা থেকে শুরু করে মানুষের জন্য সঠিকভাবে প্রস্তুত করার যে প্রক্রিয়া সেই বিষয়টিকেই ডেভলপমেন্ট এর অধীনে শেখানো হয়। যদিও অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর আওতায় বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী বিভিন্ন অ্যাপ ডেভেলপার রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলতে গেলে মোবাইল অ্যাপ ডেভলপিং এর ক্ষেত্রে দুটি ভাগে সিস্টেমকে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। সিস্টেম দুইটি হলো অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস। মূলত এই দুটি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। 
অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমটি সকল মোবাইলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও শুধুমাত্র আইফোনের জন্য আইওএস সিস্টেম চালু থাকে। আর এজন্যই মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে দুটি সিস্টেম ইনক্লুড করা হয়েছে। সুতরাং নিস অনুযায়ী কেউ যদি অ্যাপ ডেভলপমেন্ট এর কাজ শিখতে চায়, সেক্ষেত্রে এন্ড্রয়েড অথবা আইওএস যেকোনো একটি অপারেটিং সিস্টেম শিখতে পারে। কেউ যদি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বা এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভলপমেন্ট শিখতে চাই সে ক্ষেত্রে গুরুত্ব সহকারে Java, C++, Kotlin এর মত প্রোগ্রামিং ভাষা গুলো রপ্ত করতে হয়। 

আর কেউ যদি অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর অধীনে আইওএস শিখতে চাই সেক্ষেত্রেও Swift, Objective এর মত প্রোগ্রামিং ভাষা শিখতে হয়।

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কিভাবে শিখব

আমরা ইতিমধ্যে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট মানে কি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভলপমেন্ট শিখে মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেসের বাহিরে ও বিভিন্নভাবে কাজে নিয়োগ পাওয়া সম্ভব। বর্তমানে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। যদি কোন মোবাইলে আপডেটেড অ্যাপস না থাকে সেক্ষেত্রে মোবাইল বা কোন ডিভাইস কন্ট্রোল করা সম্ভব হবে না। আবার যুগের সাথে বা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আপনাকে অবশ্যই স্মার্টফোনে উপযুক্ত অ্যাপসগুলো চালনা করতেই হবে। 

আর এ সকল কারণেই অ্যাপ ডেভেলপারদের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রোগ্রামিং ভাষা, ফ্রেম ওয়ার্ক এবং সর্বোত্তম অনুশীলন গুলি খুবই জরুরী। কোন কিছুই একদিনে আয়ত্ত করা সম্ভব নয়। যদি কেউ প্রশ্ন করে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কিভাবে শিখব, এই প্রশ্নতে সর্বপ্রথমে একটি উত্তর সামনে আসবে সেটি হল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ধৈর্য, পরিশ্রম এর সঙ্গে সময় বেঁধে মাঠে নামতে হবে। 

কমপক্ষে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে জ্ঞান অর্জন করার জন্য ১ বছর সময় নির্ধারণ করতে হবে। তাহলে অ্যাপ ডেভলপমেন্ট শেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বপ্রথমে কি কি ধরনের অ্যাপ ডেভলপিং কাজ করা যায় সে সম্বন্ধে জানতে হবে। আসুন তাহলে এবার অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর আওতায় কি কি কাজ শিখা যায় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

Android Developer

অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপাররা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ তৈরির কাজ করে থাকে। দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ এবং ঝুঁকিমুক্ত করার ক্ষেত্রে মোবাইলে বিভিন্ন অ্যাপস-এর গুরুত্ব অপরিসীম। উদাহরণস্বরূপ বিকাশ থেকে আপনি খুব সহজেই লেনদেন সম্পূর্ণ করতে পারছেন। আর এই অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপাররা এ ধরনের অ্যাপস ডেভেলপিং করে থাকে। একজন এন্ড্রয়েড ডেভেলপার হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই জাভা, কোটলিনের মত প্রোগ্রামিং ভাষা সম্বন্ধে জ্ঞান থাকতে হবে। 

যেহেতু অ্যান্ড্রয়েড ইউজার সংখ্যা বেশি তাই এই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের চাহিদা ও বেশি থাকবে। সেই হিসেব করলে যদি কোন ব্যক্তি অ্যান্ড্রয়েড ডেভলপমেন্ট শিখে কাজের জন্য এপ্লাই করে তাহলে খুব সহজেই কাজ পাওয়া সম্ভব।

IOS Developer

অ্যান্ড্রয়েড ইউজারের পাশাপাশি IOS অর্থাৎ আইফোনের গ্রাহক ও নেহাত কম নয়। যদি কেউ IOS অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে একজন প্রফেশনাল ডেভেলপার হতে পারে তাহলেও তার কাজের অভাব হবে না। মূলত আইওএস অপারেটিং সিস্টেম আইফোনের ক্ষেত্রে চলে। শুধুমাত্র যারা আইফোনের ক্ষেত্রে এপ্স তৈরি করে থাকে তাদেরকে আইওএস ডেভেলপার বলা হয়। এ সকল ডেভেলপারদের Swift, Objective-c এর মত প্রোগ্রামিং ভাষা গুলো জানতে হয়। 
উপরে বর্ণিত দুইটি বিষয়ের মধ্যে যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে ও যদি কেউ কাজ করে তাহলে সে একজন প্রফেশনাল ডেভেলপার হিসেবে গণ্য হবে। আবার কেউ যদি চায় এন্ড্রয়েড ডেভলপমেন্ট বা আইওএস ডেভেলপমেন্ট দুটি বিষয় নিয়েই শিখতে চাই তাহলেও হবে কিন্তু সেক্ষেত্রে অনেক বেশি সময় স্পেন্ড করতে হবে। তাছাড়া দুটি বিষয়ে মাথায় রেখে কাজ করাও অনেক কঠিন হয়ে যায়। একমাত্র এক্সপার্ট ব্যক্তিরাই এন্ড্রয়েড এবং আইওএস দুইটি অপারেটিং সিস্টেমে সফলভাবে কাজ করে থাকে। 
  • চলুন তাহলে এবার অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কিভাবে শিখব, এই ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলো থাকতে হবে বা জানা উচিত।
  • সর্বপ্রথম অবশ্যই অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখতে আগ্রহী ব্যক্তিটির কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকতে হবে।
  • কম্পিউটার সম্পর্কে বেসিক ধারণা থাকার পাশাপাশি ভালোভাবে কম্পিউটার চালনা জানতে হবে।
  • যেকোনো মুহূর্তে যদি কোন সমস্যা তৈরি হয় সেক্ষেত্রে সমাধান করার মতো দক্ষতা থাকতে হবে।
  • ম্যাথ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা রাখা উচিত।
  • বলাবাহুল্য যে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য অবশ্যই ইচ্ছুক ব্যক্তিকে HSC পাশ হতে হবে।
উপরে উল্লেখিত যোগ্যতা যদি বিদ্যমান থাকে তাহলে যে কোন আইটি ইনস্টিটিউট থেকে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কোর্স করার মাধ্যমে একজন প্রফেশনাল অ্যাপ ডেভেলপার হওয়া সম্ভব। তবে বর্তমান সময়ে যেহেতু অনেক আইটি সেন্টার গড়ে উঠেছে। তাই সঠিক মেন্টর নির্বাচন এবং আইটি প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচন করা খুবই জরুরী।

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এবং প্রোগ্রামিং ভাষা

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট মানে কি এবং ডেভেলপার এর বিষয়টি সামনে আসলেই আমাদের সর্বপ্রথম কোডিং এবং প্রোগ্রামিং ভাষার কথা চলে আসে। যারা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বিষয়টি বেসিক হিসেবেও ধরা যায়। কিন্তু যারা ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করবে তাদের ক্ষেত্রে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকলে হবে না। এক্ষেত্রে তাদেরকে খুব ভালোভাবে প্রোগ্রামিং ভাষা গুলো আয়ত্ত করতে হয়। যদি কেউ প্রোগ্রামিং ভাষা ভালোভাবে আয়ত্ত করতে না পারে তাহলে কখনোই সে একজন অ্যাপ ডেভেলপার হতে পারবেনা। 

কেননা এপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার তৈরির ক্ষেত্রে কোডিং ব্যবহার করা হয়। আর কোডিং তৈরি করার সময় প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করেই অ্যাপস তৈরি করা হয়ে থাকে। সুতরাং অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কিভাবে শিখব এবং কোন বিষয়টি শেখা জরুরি অনেকে প্রশ্ন করেন। তাহলে একটি বিষয়ে পরিষ্কারভাবে জানা গেল যে অ্যাপ ডেভেলপার হওয়ার জন্য অবশ্যই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ গুলো খুব ভালোভাবে জানতে হবে। নিচে অ্যাপ ডেভেলপার হওয়ার ক্ষেত্রে যে সকল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হয় সেগুলো দেওয়া হলো।
  • Java
  • Kotlin
  • C++
  • C#
  • Swift
  • Objective-c
HTML, CSS, PHP এগুলো মূলত ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য কার্যকর তবে যারা অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করবে তাদেরও এ বিষয়ে সমন্ধে বেসিক ধারণা রাখতে হয়।

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কোর্স

আমরা ইতিমধ্যে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলাম। তাহলে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট মানে কি এবং অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কিভাবে শিখব বা কোন পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করা যায় বিষয়গুলো অনেকটাই পরিষ্কার। মূলত অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট একটি জটিল বিষয় হওয়ার পাশাপাশি খুবই ধৈর্যসহকারে শিখতে হয়। আর এজন্য প্রয়োজন একটি সঠিক গাইডলাইন। একজন সঠিক মেন্টর পারেন গাইডলাইনের মাধ্যমে যে কোন স্কিলে একজন ব্যক্তিকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা। 

তাই আমাদের মতে অবশ্যই অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখার ক্ষেত্রে একজন মেন্টরের সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন। সুতরাং অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কি এবং এর বিস্তারিত বিষয়ে সম্পর্কে শেখার জন্য কোর্সের প্রয়োজন হবে। বর্তমান সময়ে ব্যাঙের ছাতার মতো আনাচে-কানাচে অনেক আইটি সেন্টার গড়ে উঠেছে। ভালো মানের আইটি সেন্টারে গিয়ে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কোর্স করা উচিত। তা না হলে আপনার কষ্টের টাকা কোর্সের ফি প্রদান করতেই জলে যাবে। 

ভালো মানের আইটি সেন্টার বুঝার জন্য সেখানে কর্মরত মেইন্টরদের পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে হবে। একজন মেন্টর যদি প্রাথমিক অবস্থায় বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে শুরু করে অন্য কোন আইটি সেন্টারে জব করে থাকে তাহলে অবশ্যই সে একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মেন্টর বলে বিবেচনা করা যায়। আর এ ধরনের ভালো মানের আইটি সেন্টারে যোগাযোগ করে সেখানে ৩ মাসের কোর্স বা ৬ মাসের কোর্স করার মাধ্যমে অ্যাপ ডেভেলপার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ার

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভলপমেন্ট ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চাইলে কেমন হবে। এটা অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, সেটার উত্তর এককথায় যদি বলতে হয় সেটা হল। বর্তমান সময়ে মোবাইল ইউজার যেমনটা বাড়ছে তেমনি মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপসের ফিচার এবং বিভিন্ন ধরনের কাজের পরিধিও বাড়ছে। সুতরাং কেউ চাইলেই অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কিভাবে শিখব এ বিষয়টি আলোকপাত করার মাধ্যমে এবং সঠিকভাবে অ্যাপ ডেভেলপিং শেখার মাধ্যমে, যেকোনো রিলেটেড অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ/Android Apps বানাতে পারেন। 
একজন ভাল মানের ডিজাইনার হওয়ার পরিপেক্ষিতে মার্কেটপ্লেসগুলোতে এবং মার্কেটপ্লেস এর বাহিরে প্রতিনিয়ত কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। একজন অ্যাপ ডেভেলপারের ইনকাম দেখলে চোখ কপালে উঠে যাবে। বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়া থেকে অনেক অ্যাপ ডেভেলপার রয়েছে, যারা প্রতিমাসে 10 লক্ষ থেকে 20 লক্ষ টাকা ইনকাম করে। শুধুমাত্র অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে লক্ষ লক্ষ ডলার ইনকাম করা সম্ভব। এছাড়াও অনেকেই আবার বিভিন্ন স্পনসর এবং নিজস্ব ওয়েবসাইটে কিভাবে অ্যাপ ডেভলপমেন্ট শেখা যায় সেই বিষয়গুলো জানানোর মাধ্যমে, 

কোর্স বিক্রি করে এবং গুগল এডসেন্স ইউজ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন। তাই বলাই যায় যে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ার হিসেবে পছন্দ করলে নেহাত খারাপ নয়। বরং ভবিষ্যতে অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই কেউ যদি নিজেকে একজন প্রফেশনাল ডেভেলপার হিসেবে তৈরি করতে চায়। তাহলে এখন থেকেই অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করা উচিত।

লেখকের শেষকথা

আমরা আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। আশা করি কেউ যদি অ্যাপ ডেভলপমেন্ট নিয়ে শিখতে চাই তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট মানে কি এবং অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কিভাবে শিখব বিষয়টি নিয়ে আর কোন কনফিউশন থাকে না। এরপরেও অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এরকম তথ্যবহুল আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আপনার বন্ধুবান্ধবদের অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url