একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি বিস্তারিত জানুন

একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা অনেকেই কমবেশি শুনেছি। বাংলাদেশ সরকার সামাজিক এবং অর্থ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে বেকার জনগোষ্ঠীকে কর্মসংস্থান যোগানোর ক্ষেত্রে প্রকল্পগুলো ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। অনেকে আছেন যারা তাদের ক্ষুদ্র ব্যবসা অথবা ক্ষুদ্র ব্যবসাকে বড় ব্যবসাকে উন্নীত করার জন্য মূলধনের যোগান করতে থাকেন। ঠিক তাদের জন্যই আজকের এই আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি। 
একটি-বাড়ি-একটি-খামার-লোন-পদ্ধতি
একটি বাড়ি একটি খামার হলো বাংলাদেশে সরকারের নেওয়া একটি সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প। উক্ত প্রকল্প থেকে কিভাবে লোনের আওতায় একজন ব্যক্তি ব্যবসায়ী টাকা বিনিয়োগ করতে পারে সে বিষয়গুলোকেই আজকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে। আলোচ্য বিষয় বাদে আরো যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন সেগুলো হল একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মেয়াদ এবং একেবারেই একটি খামার প্রকল্প ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক সম্পর্কে। তাই একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

“একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প” হল বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত সমবায় সমিতির একটি দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক পরিকল্পনা। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো গ্রামের দরিদ্র পরিবারগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করে গড়ে তোলা। তাই গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থ ও সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ সরকার একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় বিভিন্নভাবে লোন পদ্ধতি চালু করে রেখেছে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পটি ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুন মাস মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছিল। 

প্রকল্পটির আরো একটি মূল উদ্দেশ্য ছিল সেটি হল ২০২০ সালের মধ্যে দেশে দরিদ্রতার হার ১০% এর নিচে কমিয়ে আনা। বিশেষ করে সমন্বিত গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্য মাথায় রেখে প্রত্যেকটি বাড়িকে অর্থনৈতিক কার্যাবলীর কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলার সফল প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে উক্ত প্রকল্পটি। প্রাথমিক অবস্থায় তাদের প্রচার প্রচারণার জন্য বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দিয়েছিল মাননীয় সরকার। বিশেষ করে একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি সম্পর্কে সকলকে সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করাই ছিল সরকারের মূল লক্ষ্য। প্রকল্পটি ৬৪ জেলার ৪৯০ উপজেলার ৪,৫০৩ ইউনিয়নের ৪০,৯৫০ টি গ্রামে বাস্তবিত হয়েছে।

একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে লোন নেওয়ার পদ্ধতি গুলো অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যেহেতু গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে উন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে উক্ত প্রতিষ্ঠান। তাই গ্রামের সহ-সরল লোকজন যেন খুব সহজেই এ সকল লোন গ্রহণ করে তাদের জীবনধারার মান পরিবর্তন করতে পারে সকল ব্যবস্থা করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশের অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা রয়েছেন যারা মূলধনের অভাবে তাদের ব্যবসার পরিধি বিস্তার করতে পারছেন না। আবার অনেকে আছেন যারা ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন কিন্তু অর্থের অভাবে সেটি আর হয়ে উঠছে না। 

হে সকল ব্যক্তি আর কোন রকম চিন্তাভাবনা না করে প্রকল্প থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি উপজেলাতে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প চালু করা হয়েছে তাই খুব সহজেই আপনার উপজেলা থেকে লোনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ছোট পরিসরে কেউ যদি ক্ষুদ্র আকারে ব্যবসা শুরু করতে চায় সেক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা লোন নেওয়া যাবে। লোন নেওয়ার জন্য কাউকে কোনরকম ঘুষ প্রদান বা জামানতের প্রয়োজন পড়বে না। উপজেলাতে একটি করে কর্মকর্তা রয়েছেন যারা একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতির সম্পর্কে 
আপনাকে বিস্তারিত জানাবেন। তবে কেউ যদি লোন নিতে ইচ্ছুক হয় সেক্ষেত্রে উক্ত শাখায় উপস্থিত হওয়ার পর লোন কর্মকর্তার সাথে কথা বললে সে আপনাদেরকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরামর্শ প্রদান করবে। আপনাদের জ্ঞাতার্থে একটি বিষয়ে জানাচ্ছি যে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় এসব লোন কার্যক্রম রয়েছে সেগুলো শুধুমাত্র সরকারি উপজেলা পরিষদের মাধ্যমেই কেবলমাত্র গ্রহণ করা সম্ভব। অন্য কোথাও এ ব্যাপারে যোগাযোগ করে প্রতারিত হবেন না। 

প্রকল্পটির কিছু প্রয়োজনীয় শর্ত এবং যোগ্যতা রয়েছে। সকল কিছু পর্যালোচনা করার মাধ্যমেই কর্তৃপক্ষ আপনাকে লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বীকৃতি জানাবে। আসুন তাহলে এবার জেনে নিই একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে কি কি শর্তাবলী বিদ্যমান।
  • ঋণগ্রহীতা অবশ্যই বাংলাদেশের একজন নাগরিক হতে হবে।
  • আবেদনকারী প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা লোন পাবেন।
  • আবেদনকারীকে অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড অথবা পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি দাখিল করতে হবে।
  • লোন প্রাপ্তির তিন মাস পর হতে কিস্তি নিয়মিতভাবে প্রদান করতে হবে।
  • কিস্তি পরিশোধ করার সিস্টেম হল প্রতি সপ্তাহে অথবা মাসিক।
  • ঋণ নেওয়ার পর ১৮ মাসের মধ্যে অবশ্যই সকল কিস্তি পরিশোধ করতে বাধ্য থাকিবে।
উপরে বর্ণিত সকল শর্ত এবং যোগ্যতা সংবলিত হওয়ার মাধ্যমেই কেবলমাত্র কর্তৃপক্ষ লোন প্রদানে স্বীকৃতি জানাবে। এগুলোর মধ্যে যদি কোনরকম সমস্যা লক্ষ্য করা হয় তাহলে উক্ত ব্যক্তি আর লোন পাবেনা। একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি এর আওতায় আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যদি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে পূর্বে লোন পরিশোধ করার ক্ষেত্রে গাফিলতি বা খারাপ রিপোর্ট থাকে সেক্ষেত্রে প্রকল্পটি কোনভাবেই আবেদনকারীর আবেদন গ্রহণ বলে বিবেচনা করবে না।

একটি বাড়ি একটি খামার আবেদন

আপনারা ইতিমধ্যে অবগত হতে পেরেছেন যে একটি বাড়ি একটি খামার লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো আমলে রাখতে হবে। কিছু সহজ শর্ত গুলো রয়েছে পাশাপাশি কিছু যোগ্যতার বলে যেকোনো ব্যক্তি লোন গ্রহণ করতে পারবে। সর্বপ্রথমে লোন নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিটি ঠিক করবে আসলে কোন ধরনের ব্যবসা বা খামারের জন্য ঋণটি চাচ্ছেন। এরপর নিকটস্থ উপজেলা পরিষদে গিয়ে যেখানে প্রকল্পের শাখার অফিস রয়েছে। এছাড়া পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এ গিয়েও এ ব্যাপারে কথা বলতে পারেন। আপনি যদি একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের অফিসে যান সেখানে নিয়োজিত কর্মকর্তা রয়েছে যার 

মাধ্যমে আপনি লোন পদ্ধতি এবং কিভাবে লোন পাওয়া যাবে সে সকল ডকুমেন্টস এর ব্যাপারে কথা বলতে পারেন। নিয়োগকৃত কর্মকর্তা অবশ্যই আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর সঙ্গে লোন প্রাপ্তির আবেদন করার পরামর্শ প্রদান করবেন। একটি বাড়ি একটি খামার আবেদন করার জন্য আপনাকে একটি বাড়ি একটি খামার ঋণ আবেদন ফরম প্রদান করা হবে। আপনাকে অবশ্যই ফর্মে আপনার নাম ঠিকানা এবং বিস্তারিত সঠিকভাবে লিখতে হবে। উক্ত ফরমে ঋণগ্রহীতার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা, আয়ের উৎস ইত্যাদি লিখতে হবে। 

বর্তমানে অনলাইনেও আবেদন ফরম পূরণ করা যায়। পূরণকৃত তথ্যগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে আপনাকে লোন প্রদান করা হবে কিনা সে বিষয়ে আজ্ঞা দিয়ে থাকবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে যে একটি বাড়ি একটি খামার ঋণ আবেদন ফরম এর প্রত্যেকটি বিষয় সঠিকভাবে লিখতে। যদি কোন রকম ভুল হয় বা পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ মনে করে আপনি ঋণের জন্য যোগ্য নয় সে ক্ষেত্রে আবেদন পত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে।

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মেয়াদ

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পটি ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুন মাস মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্য সামনে রেখে ২০০৯ সালে নভেম্বর মাসে একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছিল। পরবর্তীতে উক্ত প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর কমিয়ে আনা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে এসে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আইন-২০১৪ অনুযায়ী সংশোধন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। যেহেতু প্রকল্পটির আওতায় যে সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করার কথা ছিল তার চেয়ে বেশি সংখ্যক ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। 
এরপর ২০২০ সাল পর্যন্ত একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। প্রকল্পের আগের মেয়াদের ব্যায়ের হিসাব জানা গিয়েছিল ১৫৩ শতাংশ বেশি। সেই সময় বিবৃতির অনুযায়ী বলা হয়েছিল ২০২০ সালের জুন মাসে মেয়াদ শেষ হলে এর মোট ব্যয় গিয়ে দাঁড়াবে ৮ হাজার ১০ কোটি টাকাতে। অর্থাৎ দ্বিতীয় সংশোধনী অনুযায়ী এই ব্যয় বৃদ্ধির পরিমাণ ১৫৩ শতাংশকেও ছারিয়ে গিয়েছিল। প্রকল্পটি আরো একটি বিষয় উল্লেখ করেছিল যে একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ২২.৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে উপনীত করা হবে। 

প্রত্যেকটি গ্রামের ৬০ জন অতি দরিদ্র ও ভিক্ষুক পরিবারের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা সংগঠন এবং ক্ষুদ্রঋণের প্রচলিত ধারার পরিবর্তন অনুযায়ী মূল সংগঠনগুলো তৈরি হবে। সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল বেকার এবং হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করা। যেহেতু ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ বাস্তবায়িত করা হয়েছিল। মেয়াদ বাড়ানোর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং সবাইকে আত্ম নির্ভরশীল করার মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নের দিকে ধাবিত করা। 

কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ বরাদ্দ না পাওয়াই সকল কার্যক্রম ব্যাহত হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রকল্পটি ভালো একটি ফলাফল তৈরি করেছিল। তাই পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আইন- ২০১৪ অনুযায়ী একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প রূপান্তরিত হয় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এ। আর প্রকল্পটি পরবর্তীতে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। তাই বর্তমানে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় সকল লোন কার্যক্রম পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এর মাধ্যমে সংঘটিত হয়ে থাকে।

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক

আমরা ইতিমধ্যে আরও একটি বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছি সেটা হল একটি বাড়ি একটি খামার পূর্বে যে প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল সেটি বর্তমানে বিলুপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এর আওতাধীন হয়ে গেছে। পূর্বে একটি বাড়ি একটি খামার নাম থাকলেও বর্তমানে সেটির নাম দেওয়া হয়েছে আমার বাড়ি আমার খামার। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক- ২০১৪ এর আইন অনুযায়ী প্রকল্পের কর্মচারীবৃন্দ পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থানান্তরিত হয়েছেন। পাশাপাশি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের একটি বাড়ি একটি খামার এর প্রকল্পে আওতায় যে পরিমাণ অর্থ রয়েছে সেগুলো স্থানান্তর করা হয়েছে। 

ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৩৮৬ উপজেলা সমন্বয়কারীর মধ্যে ৩৬২ জনকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে অফিসার পদে এবং ৭৪৩ জন ফিল্ড সুপারভাইজার পদে, ৭২৭ জনকে ব্যাংক জুনিয়র অফিসার, ৩৭৯ জন কম্পিউটার অপারেট সহ আরো বিভিন্ন পদে নতুন করে নিয়োগ এবং স্থানান্তর করা হয়েছিল। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এ চাকরি স্থায়ীকরণ বেতন বৃদ্ধি সহ আরো অনেক কিছু কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত করা হয়েছে। যেহেতু একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মধ্যে একটি সমঝোতা হওয়ার মাধ্যমে। 

নাম পরিবর্তন এর পাশাপাশি সকল কার্যক্রম গুলো এখন থেকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক থেকে পরিচালিত করা হবে। তাই কেউ যদি লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে উপজেলা পরিষদ অফিস অথবা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি এর অনুরূপ আমার বাড়ি আমার খামার লোনের জন্য আবেদন করতে পারবে।

একটি বাড়ি একটি খামার হেল্প লাইন

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের পূর্ববর্তী হেল্পলাইন বা জরুরী সেবা হিসেবে ৩৩৩ ডায়াল করলে সকল রকম তথ্য পাওয়া যায়। অনেক সময় হেডলাইনগুলো অনেক ব্যস্ত থাকার ফলে ডায়াল করার ফলেও আর কোনরকম তথ্য পাওয়া যায় না। তাই আপনি চাইলে সরাসরি বিভাগীয় অফিসের নাম্বারে কল করে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য বা লোন সংক্রান্ত সকল বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। তবে বর্তমানে যেহেতু একটি বাড়ি একটি খামার বিলুপ্ত হয়ে সবগুলো কার্যক্রম পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থানান্তরিত হয়েছে। 
তাই আপনি লোনের জন্য আপনার নিকটস্থ পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অফিসে গিয়েও যোগাযোগ করতে পারেন। নিচে প্রত্যেকটি বিভাগের অফিসের নাম্বার পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলো।

বরিশাল

  • DCO এর মোবাইল নাম্বারঃ 01958601418
  • BRDB এর মোবাইল নাম্বারঃ 01938879245

চট্টগ্রাম

  • DCO এর মোবাইল নাম্বারঃ 01958601454
  • BRDB এর মোবাইলনাম্বারঃ 01938879518

ময়মনসিংহ

  • DCO এর মোবাইলনাম্বারঃ 01958601414
  • BRDB এর মোবাইলনাম্বারঃ 01938879289

রাজশাহী

  • DCO এর মোবাইল নাম্বারঃ 01958601434
  • BRDB এর মোবাইল নাম্বারঃ 01938879133

রংপুর

  • DCO এর মোবাইল নাম্বারঃ 01958601442
  • BRDB এর মোবাইলনাম্বারঃ 01938879062

সিলেট

  • DCO এর মোবাইল নাম্বারঃ 01958601450
  • BRDB এর ফোন নাম্বারঃ 01938879429

খুলনা

  • DCO এর মোবাইল নাম্বারঃ 01958601424
  • BRDB এর মোবাইল নাম্বারঃ 01938879212
প্রকল্পটির নাম পরিবর্তন এবং সকল কার্যক্রম পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থানান্তরিত হলেও উপরে বর্ণিত সকল কর্মকর্তা বর্তমানে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের আওতাধীন রয়েছেন। তাই কেউ যদি একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি সম্পর্কেও জানতে চাই তাহলে অবশ্যই উক্ত কর্মকর্তাবৃন্দ আপনাকে সঠিক তথ্য দিবেন। পাশাপাশি আপনাকে এই বিষয়ে সম্পর্কেও অবগত করবেন যে বর্তমানে প্রকল্পটির নাম একটি বাড়ি একটি খামার থেকে আমার বাড়ি আমার খামারে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

লেখকের শেষকথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনারা আশাকরি একটি বিষয় সম্পর্কে অবগত হয়েছেন যে বর্তমানে একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি এর কার্যক্রম গুলো সম্পন্নভাবে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের আওতাধীন হয়ে গেছে। তাই অবশ্যই সঠিক ধারণা নিয়েই কেবলমাত্র পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক অথবা উপজেলা পরিষদে উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে আপনারা লোনের আওতাভুক্ত হতে পারবেন। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সকলকে জানানোর জন্য অবশ্যই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি শেয়ার 

করবেন। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এবং এর নতুন কার্যক্রম আমার বাড়ি আমার খামার সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এরকম তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url