অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন যেভাবে নিবেন
অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা তাদের জন্যই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে। যারা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত রয়েছেন। বিশেষ কোনো প্রয়োজনে যদি লোন নিতে হয় তাহলে অবশ্যই অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন এর আওতায় সরকারি চাকরিজীবীরা খুব সহজেই লোনের আওতায় আসতে পারে।
তবে তাদের ক্ষেত্রেও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয় তাহলেই লোন গ্রান্টেড বলে বিবেচিত হয়। আলোচ্য বিষয়টি ব্যতীত আপনারা আজকের এই আর্টিকেলে যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে চলেছেন সেগুলো হল অগ্রণী ব্যাংক লোন পদ্ধতি অগ্রণী ব্যাংক হোম লোন এবং পার্সোনাল লোন পাশাপাশি সকল লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন সংক্রান্ত বিষয়গুলো এ টু জেড জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র
ভূমিকা
“অগ্রণী ব্যাংক” বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি। বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়াত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ব্যাংক হল অগ্রণী ব্যাংক। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করার পর বাংলাদেশ ভূখণ্ডে যতগুলো ব্যাংক ছিল সবগুলোকে জাতীয়করণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ সালের ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকস জাতীয়করণ আদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী পিও নং ২৬ আধ্যাদেশের ভেতর দিয়ে সাবেক হাবিব ব্যাংক লিমিটেড ও সাবেক কমার্স ব্যাংক লিমিটেড এর অবস্থিত শাখা এবং সমুদয় দায় ও
সম্পদের সমন্বয়ে অগ্রণী ব্যাংক একটি রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সময় অগ্রণী ব্যাংক ৫ কোটি টাকার অনুমোদিত মূলধন ও ১ কোটি টাকার পরিশোধ মূল নিয়ে তাদের যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীকালে ২০০৭ সালের ১৭ই মে অগ্রণী ব্যাংক পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়। বর্তমান সময়ে অগ্রণী ব্যাংক তাদের বিভিন্ন লোন পদ্ধতি অর্থাৎ অগ্রণী ব্যাংক লোন পদ্ধতি এর আওতায় অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন থেকে শুরু করে আরো অনেক ধরনের লোনের ব্যবস্থা করেছে।
অগ্রণী ব্যাংক লোন পদ্ধতি
বাংলাদেশের সরকারি চাকরিজীবীরা বিভিন্ন পর্যায়ে চাহিদা ও প্রয়োজন অনুসারে সামগ্রিক করনের সামর্থ্য অর্জন করার প্রেক্ষিতে অগ্রণী ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে পারবে। যদি কোন ব্যক্তি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আওতায় কোন দপ্তরে কর্মরত থাকে তাহলে অবশ্যই অগ্রণী ব্যাংক লোন পদ্ধতি অনুযায়ী লোনের আবেদন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে বিশেষ কোন জামানত রাখতে হয় না শুধুমাত্র কিছু কাগজপত্র এবং তার সাথে নিয়োজিত কলিগকে জামিনদার হিসেবে রাখার ভিত্তিতে লোন পাস হয়। অগ্রণী ব্যাংক সব সময় সরকারি চাকরিজীবীদের লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে এবং
আর্থিক সাহায্য করার জন্য বদ্ধপরিকর। এই লোনের আওতায় সরকারি চাকুরিজীবীরা বাসা বাড়ি তৈরি অথবা ব্যক্তিগত লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা প্রাপ্ত হয়। তবে লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু পদ্ধতি অর্থাৎ বিশেষ কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করার মাধ্যমেই কেবল মাত্র ঋণের আওতায় যাওয়া সম্ভব। অগ্রণী ব্যাংক লোন পদ্ধতি অনুযায়ী ব্যক্তিটি অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের অধীনে যে কোন দপ্তরে পার্মানেন্টভাবে নিযুক্ত হতে হয়। যদি কোন ব্যক্তি সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারী অথবা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত না থাকে সেক্ষেত্রে লোনের আবেদন করলেও সেটা বাতিল বলে গণ্য হবে।
অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ সুযোগ প্রদান করার পাশাপাশি সেখানে লোনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি রেখেছে। একজন সরকারি কর্মচারী সঠিক তথ্য হালনাগাদ করার মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন দেওয়ার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে প্রতিনিয়ত সেবা প্রদান করে আসছে। চলুন পর্যায়ক্রমে সেই সকল বিষয়ে ধারণা নেওয়া যাক।
অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন
আমরা ইতিমধ্যে অবগত হতে পেরেছি যে অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি লোন প্রদানের ক্ষেত্রেও বিশাল এমাউন্ট বরাদ্দ করেছে। কোন সরকারি কর্মকর্তা যদি অগ্রণী ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে ইচ্ছুক হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই প্রথমে তাকে তার নিকটস্থ যেকোনো অগ্রণী ব্যাংকের শাখায় উপস্থিত হতে হবে। অগ্রণী ব্যাংক পার্সোনাল লোন এর আওতায় লোন গ্রহণ করতে পারবে। সেখানে নিয়োগকৃত কর্মকর্তার সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে লোনের বিষয়ে সবকিছু জানতে পারবে।
তবে বিষয়টি একটু সময় সাপেক্ষ হওয়ার কারণে আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে ওই সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরব। নিচে অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে কি কি বিষয় সামনে আসে সেগুলো দেওয়া হল।
- সর্বপ্রথম শাখায় গিয়ে কর্মকর্তার নিকট হতে একটি আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। আবেদন ফরমটিতে যেগুলো তথ্য দিতে বলেছে সঠিকভাবে সেগুলো পূরণ করতে হবে।
- আবেদন ফরমের সাথে প্রয়োজন পড়বে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- আবেদন করার জন্য সঙ্গে দিতে হবে স্ট্যাটাস প্রুফ অর্থাৎ সরকারি চাকরির সনদ বা সরকারের আধিকারিক নোটিশ।
- যে কারণে লোন নিচ্ছেন সে বিষয়টির প্রমাণপত্র প্রয়োজন পড়বে।
- সেলারি শীট অর্থাৎ মাসিক যে বেতন পায় সেই সংক্রান্ত একটি মাসিক বেতনের প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
উপরে বর্ণিত কাগজপত্রের সহিত আবেদন পত্রটি নির্দিষ্ট কর্মকর্তার নিকট জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ বিচার বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে প্রার্থীকে লোন দেওয়া হবে কিনা সেটা জানানো হয়। সরকারি চাকরিজীবী যারা রয়েছেন তারা যদি অগ্রণী ব্যাংক লোন পদ্ধতি অনুযায়ী অগ্রণী ব্যাংক পার্সোনাল লোন এর জন্য আবেদন করে তাহলে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এই লোনের ক্ষেত্রে সময়সীমা থাকে অনেক। এই ধরনের লোনের মেয়াদ থাকে ১ থেকে ২০ বছরের মতো।
অগ্রণী ব্যাংক পার্সোনাল লোন
অগ্রণী ব্যাংক পার্সোনাল লোন বিশেষ করে সীমিত আয়ের চাকুরিজীবীদের জীবন যাত্রার মান উন্নীত করার জন্য প্রদান করা হয়। অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন দেওয়ার পাশাপাশি সাধারণ জনগণও অগ্রণী ব্যাংক পার্সোনাল লোনের আওতায় লোন গ্রহণ করতে পারবে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক সময় আমরা হঠাৎ করেই সাময়িক অর্থ সংকটে ভুগতে পারি। সে বিষয়টিকেও বাংলাদেশ অগ্রণী ব্যাংক আমলে নিয়েছে। সেই সকল সীমিত আয়ের চাকুরীজীবীদের ক্ষেত্রে এবং যোগ্যতা অনুযায়ী সাধারণ জনগণের ক্ষেত্রেও। অগ্রণী ব্যাংক পার্সোনাল লোন সিস্টেম চালু করেছে।
পরিকল্পনা ও পরিচালনা এ নিমিত্তে পরিপত্র নং ০৫/১৮ অনুযায়ী ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে পার্সোনাল লোন স্কিম সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হয়েছিল। উক্ত নীতিমালাতে বলা হয়েছে দেশের সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের স্থায়ী কর্মকর্তা বৃন্দ অগ্রণী ব্যাংক পার্সোনাল লোনের আওতায় ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। অগ্রণী ব্যাংক পার্সোনাল লোনের বিষয়টিকে বেতনের বিপরীতে অগ্রিম হিসেবে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে। এর অর্থ হল একজন চাকরিজীবী অগ্রণী ব্যাংক পার্সোনাল লোন আবেদন করলে এবং বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক
লোনের আবেদন করার প্রেক্ষিতে তাকে নির্ধারিত অর্থ প্রদান করা হবে এবং পরবর্তীতে অগ্রণী ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট অনুযায়ী সুদের পরিমাণ কত আসছে সেই অনুযায়ী প্রতিমাসের বেতন থেকে মাসিক কিস্তি কর্তন করা হবে। আর সাধারণ কোন ব্যক্তি যদি পার্সোনাল ঋন গ্রহণ করে সে ক্ষেত্রে নিজে গিয়ে মাসিক কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। উপরে বর্ণিত সকল চাকুরিজীবী এবং সাধারণ জনগণ উক্ত ঋণের আওতায় আসবে এমনকি বাংলাদেশ অগ্রণী ব্যাংকের কর্মচারীরাও যদি পার্সোনাল লোন নিতে চায় সে ক্ষেত্রেও আবেদন করতে পারবে।
তবে সেক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে যেমন চাকুরীর মেয়াদ কমপক্ষে পি আর এল সহ ৫ বছর থাকতে হবে। আবার সকল সরকারি বেসরকারি চাকুরিজীবীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলো সে সকল ব্যক্তির যদি কোন মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জড়িত থাকে তাহলে লোনের আওতায় পড়বে না।
অগ্রণী ব্যাংক হোম লোন
প্রত্যেকটি মানুষেরই একটি স্বপ্ন থাকে যেন শেষ বয়সে হোক আর যখনই হোক না কেন তার যেন একটি সুখের নিবাস থাকে। তবে স্বপ্ন থাকলেও অর্থের অভাবে অনেক সময় সেটি আর পূরণ হয় না। সেই সকল স্বপ্নবাজ মানুষদের কথা চিন্তা করে অগ্রণী ব্যাংক লোন পদ্ধতি অনুযায়ী বাড়ি করার জন্য লোন প্রদান করে থাকে। অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন এর পদ্ধতি অনুসরণ করে চাকরিজীবীদেরও এ ধরনের লোন দিয়ে থাকে। আর এটাকে বলা হয় অগ্রণী ব্যাংক হোম লোন।
তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে হোম লোনের জন্য একমাত্র যোগ্য হলেই কেবলমাত্র লোন গ্রহণযোগ্য হবে। এক্ষেত্রে আরো একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটি হল যে জায়গায় আপনি বাড়ি করতে ইচ্ছুক সেই জায়গার পজিশন আসলে ডিমান্ডেবল কিনা। আবার হোম লোনের জন্য যদি ব্যাংকের কাছে জমি বন্ধক রাখতে চান সেক্ষেত্রে আপনার জমির কাগজপত্র সঠিক হওয়ার পাশাপাশি আপনার নিজে জমিটির মালিক হতে হবে। একটি পরিসংখ্যান বলছে গৃহঋণ প্রদানে শীর্ষে আইএফআইসি ব্যাংক রয়েছে। তবে অগ্রণী ব্যাংকও পিছিয়ে নেই।
অগ্রণী ব্যাংক গ্রামের এবং শহরের লোকজনদের হোম লোনের ব্যবস্থা করে রেখেছে। যদি সঠিক কাগজপত্র দাখিল করা হয় এবং ঋণগ্রহীতা যদি যোগ্য প্রমাণ হয় সেক্ষেত্রে অগ্রণী ব্যাংক হোম লোনের আওতায় ঋণগ্রহীতা ৫ লক্ষ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ করতে পারবে।
অগ্রণী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন
অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন প্রদান করার পাশাপাশি দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছানোর জন্য, বেকার জনগোষ্ঠী যেন তাদের ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য মূলধন পায়। আবার যারা ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনা করছে তারা যেন তাদের ব্যবসার পরিধি আরো বিস্তার লাভ করাতে পারে সে ক্ষেত্রে ও অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়িক লোন প্রদান করে থাকে। বড় বড় বিশেষজ্ঞ এবং শিল্পপতিদের মতে একমাত্র ব্যবসা-খাত একটি দেশকে উন্নতের দিকে এগিয়ে নিতে পারে। তাই বেকার জনগোষ্ঠী যেন দেশের বোঝা না হয়ে আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে পারে
সে বিষয়টিকে আমলে নিয়ে অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অগ্রণী ব্যাংক লোন পদ্ধতি অনুযায়ী ব্যবসায়িক লোন প্রদান করে আসছে। তবে অবশ্যই উদ্যোক্তা ব্যক্তিটিকে তার কিছু কাগজপত্র যেমন দোকানের ট্রেড লাইসেন্স এবং দোকানের পজিশনের প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে। দোকানে পজিশনের উপর ভিত্তি করে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবে যে কত টাকা লোন প্রদান করা যাবে। ব্যবসায়িক লোনকে অনেক সময় পার্সোনাল লোন হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। অগ্রণী ব্যাংক ছোট ব্যবসার জন্য ২ লক্ষ্য টাকা এবং বড় ব্যবসার ক্ষেত্রে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে থাকে।
ইনভেস্টমেন্টের ওপর ভিত্তি করে ১২ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন চার্জ প্রযোজ্য হয়ে থাকে। উক্ত ইনভেস্টমেন্ট অনুযায়ী অবশ্যই গ্রাহকদেরকে সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে ২ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে বলা হয়ে থাকে।
অগ্রণী ব্যাংক এসএমই লোন
অন্যান্য সকল ঋণ প্রদান করার পাশাপাশি অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এসএমই লোন এর ব্যবস্থা করেছে। বাণিজ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন অথবা রিকন্ডিশন যানবাহন কিনতে এ ধরনের ঋণ দেওয়া হয়। আমার অনেক ক্ষেত্রে মাঝারি ব্যবসা করার ক্ষেত্রে যে সকল ঋণ প্রদান করা হয় সেগুলো এসএমই লোনের আওতায় পড়ে। অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দেশকে উন্নত করার লক্ষ্যে পাশাপাশি দেশের জনগণ যেন বিভিন্ন ব্যবসায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে পারে এ বিষয়টিকে আমলে নিয়ে অগ্রণী ব্যাংক এসএমই লোন দিয়ে থাকে।
এ ধরনের লোন যারা গ্রহণ করে তারা ব্যবসার কাজে ব্যবহারের জন্য যাত্রীবাহী এবং অযাত্রীবাহী যানবাহন ক্রয় করে থাকে। বাণিজ্যিক যানবাহন ক্রয় করলে কিস্তি ভিত্তিক ঋণ প্রদান করা হয়। অর্থাৎ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে পরিমাণ অর্থ ঋণ গ্রহিতাকে প্রদান করবে সুদের হার অনুযায়ী মাসিক অথবা সাপ্তাহিক চুক্তিতে ঋনের কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। সাধারণত অগ্রণী ব্যাংক এসএমই লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদেরকে ৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে।
অগ্রণী ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর
অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন এবং অগ্রণী ব্যাংক লোন পদ্ধতি বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি আরও একটি বিষয় সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। বিষয়টি হল ঋণ গ্রহণ করার পর আমাদের কত মাসিক কিস্তি প্রদান করতে হবে। আবার ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কত পারসেন্ট সুদের হারে আমাদের কাছ থেকে কিস্তি গ্রহণ করছে সেগুলো জানতে হবে। লোনের মাসিক কিস্তি, মোট কর এবং মোট পারিশ্রমিক প্রদান করতে আমাদের হিসেব করতে হয় আর হিসেব করতে গেলে ঝামেলা তৈরি হয়।
এরকম কোন ঝামেলা ছাড়াই খুব সহজেই আমরা লোনের পরিমাণ, মেয়াদ এবং ইন্টারেস্ট রেট অতি সহজেই বের করতে। আর এ বিষয়টিকেই অগ্রণী ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর নামে উল্লেখ করেছে। অগ্রণী ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর টি ব্যবহার করার জন্য নিম নিয়ে বর্ণিত সকল ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে।
- সর্ব প্রথমে গুগলে গিয়ে সার্চ করতে হবে “অগ্রণী ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর” লিখে। সার্চ লিস্টের প্রথমেই একটি ওয়েবসাইট দেখা যাবে। ওয়েবসাইটটিতে ক্লিক করলেই আপনাকে একটি ইন্টারফেজে নিয়ে যাবে।
- এই পর্যায়ে এসে আপনি দেখতে পাবেন কত পরিমাণ লোন নেওয়া হয়েছে এমন একটি ফাঁকা ঘর।
- সেই ঘরে আপনি কত পরিমান লোন নিয়েছে সেটি ফিলাপ করুন। অর্থাৎ যদি আপনি ১ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে থাকেন তাহলে সেই ঘরে ১ লক্ষ টাকা লিখে দিন।
- পরের স্টেপে ঠিক একই রকম ভাবে ফাঁকা ঘরে লোনের মেয়াদ লিখতে হবে। যদি ১ বছর মেয়াদী হয় তাহলে ১২, ২ বছর মেয়াদী হলে ২৪ এবং ৩ বছর মেয়াদী হলে ৩৬ লিখতে হবে।
- তথ্যগুলো প্রবেশ করানোর পর নিচের দিকে “ক্যালকুলেট” বা “হিসাব করুন’ নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন অপশনটিতে ক্লিক করুন।
- ক্লিক করার পর নিচে আপনাকে আপনার কাঙ্খিত ফলাফল দেখানো হবে। সেখানে উল্লেখ থাকবে মাসিক কিস্তির পরিমাণ, মোট কর এবং মোট পারিশ্রমিক সহ লোন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে।
লেখকের শেষকথা
আশা করি আপনারা অগ্রণী ব্যাংক লোন পদ্ধতি এবং অগ্রণী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবী লোন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। শুধুমাত্র অগ্রণী ব্যাংক নয় আপনি যে কোন ব্যাংক থেকে যদি লোন গ্রহণ করে থাকেন এবং সেই লোনের হিসাব করতে চান তাহলে উপরে বর্ণিত পদক্ষেপ অনুযায়ী ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে অতি সহজে হিসাব করতে পারেন। এরপরেও যদি কোন বিষয় আপনাদের জানা থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
আমরা সব সময় আমাদের ওয়েবসাইটে তথ্যবহুল আর্টিকেল পাবলিশ করার চেষ্টা করি। আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসতে পারেন। অগ্রণী ব্যাংক থেকে যদি কেউ লোন নিতে আগ্রহী হয় সে বিষয়টিকে সামনে রেখে আজকের এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url