সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক

বর্তমানে বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম যেভাবে বেড়েই চলছে তাই সকলের পক্ষে লোন ছাড়া চলা সম্ভব নয়। অনেকে আছেন যাদের বাড়ি, গাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য মোটা অংকের টাকা প্রয়োজন। কিন্তু সে পরিমাণ টাকা অ্যাভেলেবেল নেই। এই অবস্থায় তাদের ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে। যারা ব্যাংক থেকে লোন নিতে চায় তারা অনেকেই জানতে চান সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক। এমন অনেক ব্যক্তিরাই আছে যাদের একদমই কোনো ধারণা নেই সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক। আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে 
সবচেয়ে-কম-সুদে-লোন-দেয়-কোন-ব্যাংক
সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক। আপনাদের সাথে এমন কিছু তথ্য শেয়ার করব যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক। এর ফলে আপনারা সেই সকল ব্যাংক থেকে কম সুদে বা ইন্টারেস্টে লোন গ্রহণ করতে পারবেন যা আপনাদের ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক এটি ছাড়াও আমরা আজকের আলোচনায় আরো যে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সেগুলো হচ্ছে-বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক, ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়, ব্যাংক লোনের মাসিক কিস্তি হিসাব, ১০ হাজার টাকা লোন, ১ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাই, ২ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাই, প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক এই বিষয় নিয়ে আর্টিকেলটি শুরু করার পূর্বে আমাদের ব্যাংক ও লোন সম্পর্কে কিছু বেসিক ধারণা রাখা প্রয়োজন। ব্যাংক হলো এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা গ্রাহকদেরকে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সেবা প্রদান করে থাকে। ব্যাংক যে ধরনের আর্থিক সেবা প্রদান করে সেগুলো হলো- আমানত গ্রহণ, ঋণ প্রদান, আর্থিক লেনদেন, বিনিয়োগ ইত্যাদি। ব্যাংক ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে, বিভিন্ন সম্পদের ঋণ দেওয়া নেওয়ার ক্ষেত্র ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত কাজেও গ্রাহকদের সেবা দিয়ে থাকে। লোন হচ্ছে এমন একটি আর্থিক ঋণ ব্যবস্থা যখন একজন ব্যক্তির বেশি পরিমাণে 
টাকার প্রয়োজন হয় তখন নির্দিষ্ট কোনো সংস্থা, ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান থেকে লোন গ্রহণ করে থাকে এবং নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সেই লোন ব্যাংককে ফেরত দিতে হয়। একজন গ্রাহক বিভিন্ন কারণে ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে পারে যেমন- গৃহঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ, গাড়ির ঋণ, শিক্ষার ঋণ ইত্যাদি। এই লোনের উপর নির্দিষ্ট পার্সেন্টেজে সুদ আরোপ করা হয়। সেই পার্সেন্টেজ হিসাব করেই ঋণগ্রহীতাকে ব্যাংকের নিকট ঋণ পরিশোধ করতে হয়।

বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক

যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাদের কিন্তু শুধু সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক এটি জানলেই হবে না। বিনা জামানাতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক এই সম্পর্কেও ব্যাংক গ্রাহকদের ধারণা রাখা জরুরী। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বিনা জামানাতে কোন কোন ব্যাংকগুলো ঋণ দিয়ে থাকে বিনা জামানাতে ঋণ প্রদানকারী সরকারি ব্যাংকগুলোর নাম হলো-
  • অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড
  • রূপালী ব্যাংক লিমিটেড
  • জনতা ব্যাংক লিমিটেড
  • সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
  • বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
  • রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক

বিনা জামানাতে ঋণ প্রদানকারী বেসরকারি ব্যাংকগুলোর নাম হলো-

  • ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড
  • ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড
  • ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
  • ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
  • প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড
  • গ্রামীণ ব্যাংক
  • মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড
  • এসআর ব্যাংক লিমিটেড
  • মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড

বিনা জামানাতে ঋণ প্রদানকারী বিশেষায়িত ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের নাম হলো-

  • পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক
  • কৃষি ব্যাংক
  • বিডিবিএল (Bangladesh Development Bank Limited)
  • বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (BSCIC)
  • বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
  • রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক
  • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (SME Foundation)

বিনা জামানাতে ঋণ প্রদানকারী মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের নাম হলো-

  • ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স
  • আশা
  • গ্রামীণ ব্যাংক
  • ব্যুরো বাংলাদেশ
  • ড্যাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (DFED)
  • প্রশিকা
  • এসএসএস (Society for Social Service)
  • পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (PKSF)
  • জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন
বিনা জামানতে ঋণ দেয়া ব্যাংকের জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রক্রিয়া। যার কারণে অনেক ব্যাংক সরাসরি বিনা জামানতে ঋণ প্রদান করতে চায় না। উপরে উল্লেখিত ব্যাংকগুলো বিনা জামানতে কিছু শর্তের বিনিময়ে ঋণ দিয়ে থাকে। তাই আপনি যখন বিনা জামানাতে এই সকল ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে যাবেন তখন আপনাকে তাদের দেওয়া সম্পূর্ণ শর্তগুলো পূরণ করতে হবে।

ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

ইতিমধ্যে আমরা জেনে গিয়েছি সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক। এখন আমরা ব্যাংক লোন পাওয়ার জন্য কি কি বিষয় অনুসরণ করতে হবে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব। আপনাদের কারো ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে ধারণা আছে? দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের ব্যাংক লোন নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে। এই ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে ব্যাংক কর্তৃক বিশেষ কিছু শর্তাবলী মেনে চলতে হবে। তাহলেই ব্যাংক আপনাকে লোন প্রদান করবে। নিম্নে ব্যাংক লোন পাওয়ার জন্য কয়েকটি উপায় দেয়া হলো।

ক্রেডিট স্কোর উন্নত করা

ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার প্রথম উপায় হচ্ছে ক্রেডিট স্কোর উন্নত করার চেষ্টা করুন। আপনার ক্রেডিট স্কোর যত ভালো হবে ব্যাংক থেকে লোন পাওয়া তত সহজ হয়ে যাবে। ক্রেডিট স্কোর উন্নত করতে হলে নিয়মিত বিল পরিশোধ করুন এবং ধার নেওয়া কমিয়ে দিন।

স্থায়ী আয়ের উৎসের প্রমাণ

ব্যাংক থেকে যদি লোন নিতে চান তাহলে আপনাকে ব্যাংকের নিকট স্থায়ী আয়ের উৎসের প্রমাণ দেখাতে হবে। যেমন- আপনার মাসিক বেতন কত, বছরে ব্যবসায় কত টাকা লাভ হয় এরকম কিছু ডকুমেন্টস ব্যাংকের নিকট শো করতে হবে তাহলে ব্যাংক থেকে লোন পাওয়া যাবে।

ডকুমেন্টস প্রদান

ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য ব্যাংকে বেশ কয়েকটি ডকুমেন্টস এর জমা দেওয়া প্রয়োজন। যেমন- আপনার সম্পত্তির পরিমাণ, নিজের পরিচয় পত্র প্রমাণ এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস জমা দেওয়া লাগতে পারে। ডকুমেন্টগুলো জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে মনে রাখবেন কোন ডকুমেন্টস যেনো বাদ পড়ে না যায়। কোনো ডকুমেন্টস যদি বাদ পড়ে যায় তাহলে ব্যাংক থেকে লোন পেতে বেশ কষ্ট হয়ে যাবে।

ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রস্তুত

যদি আপনি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে চান তাহলে একটি সুনির্দিষ্ট ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ব্যাংকের নিকট উপস্থাপন করতে হবে এবং ব্যাংকের নিকট প্রমাণ দেখাতে হবে যে আপনি এই ব্যবসা থেকে ভালো এমাউন্ট লাভ করতে পারছেন।

পূর্ববর্তী লোন পরিষদের ইতিহাস

আপনি যদি পূর্বে কোন ব্যাংক থেকে লোন গ্রহন করে থাকেন এবং যথাযথ উপায়ে ও সঠিক সময়ে লোন পরিশোধ করে থাকেন তাহলে পূর্ববর্তী লোন পরিষদের ইতিহাস ব্যাংকের নিকট শো করুন। তাহলে ব্যাংকের আপনার প্রতি বিশ্বাস বজায় থাকবে।

ব্যাংক বাছাই করুন

আপনার পছন্দমত বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক থেকে যেকোনো ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য বেছে নিতে পারেন। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন সঠিক ব্যাংক নির্বাচন হয়। যে ব্যাংকটি নির্বাচন করবেন তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন সম্পন্ন করুন। প্রতিটি ব্যাংকের লোন প্রাপ্তির শর্ত বিভিন্ন রকমের হতে পারে। তাই যখন যে ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন তাদের প্রত্যেকটি নিয়ম নীতিমালা ফলো করার চেষ্টা করুন।

ব্যাংক লোনের মাসিক কিস্তি হিসাব

প্রিয় বন্ধুরা, এতক্ষণ যাবত আমরা আলোচনা করলাম সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক এবং ব্যাংক লোন পাওয়ার প্রসেস গুলো কি কি। ব্যাংক লোনের মাসিক কিস্তি হিসাব কিভাবে করতে হয় আপনাদের এই বিষয়ে কোনো আইডিয়া আছে? আপনি যদি ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করেন তাহলে আপনাকে মাসে কি পরিমাণ কিস্তি ব্যাংককে প্রদান করতে হবে এর জন্য নির্দিষ্ট একটি সূত্র আছে। ব্যাংক লোনের মাসিক কিস্তি হিসাব করার জন্য EMI(Equated Monthly Installment) সূত্রটি প্রয়োগ করা হয়। আমি আপনাদেরকে উদাহরণসহ একটি সূত্র শেয়ার করছি।

EMI হিসাবের সূত্র

  • EMI = P×r×(1+r)n
  • ————————————
  • (1+r)n - 1
  • এখানে:
  • ( P ) হলো লোনের পরিমাণ,
  • ( r ) হলো মাসিক সুদের হার (বা বার্ষিক সুদের হারকে ১২ দ্বারা ভাগ করে),
  • ( n ) হলো মোট কিস্তির সংখ্যা (মাসের সংখ্যা)
উদাহরণ: মনে করুন, আপনি ১০,০০০ টাকা লোন নিয়েছেন, বার্ষিক সুদের হার ১২%, এবং লোনের মেয়াদ ১ বছর (১২ মাস)।
  • ১. মাসিক সুদের হার (( r )) হবে ১২% / ১২ = ১% = ০.০১।
  • ২. মোট কিস্তির সংখ্যা ( n ) হবে ১২ মাস।
  • তাহলে, EMI হিসাব হবে:
  • EMI = 10,000×0.01×(1+0.01)12
  • ———————————————
  • (1+0.01)12 — 1
এই সূত্র অনুযায়ী হিসাব করলে EMI এর মান ৮৮৭.৭৫ টাকা হবে।আপনার ব্যাংক বা লোন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইএমআই ক্যালকুলেটর ব্যবহার করলে আরো সঠিক হিসাবটি বের হবে।

১০ হাজার টাকা লোন

প্রিয় গ্রাহক, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনারা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক গুলো । কিছু গ্রাহক জানতে চেয়েছেন ১০ হাজার টাকা লোন নেওয়ার নিয়মাবলী আছে কি? ১০ হাজার টাকা লোন নিতে হলে আপনাকে যে তিনটি প্রধান শর্ত মেনে চলতে হবে সেগুলো দেওয়া হলো।

ডিটেইলস: ১০ হাজার টাকা লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ কোনো ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানে লোনের জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন পূরণ করার জন্য আপনার নিজের পরিচয় পত্রের ডিটেইলস ও আয় ব্যয়ের কিছু তথ্য ব্যাংকের নিকট জমা দিতে হবে।

বয়স: ১০ হাজার টাকা লোন নিতে হলে আপনার বয়স মিনিমাম ১৮ বছর বা তার থেকে বেশি হতে হবে। কিছু কিছু ব্যাংক ২১ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের ও শর্ত প্রদান করে থাকে।

ব্যবসা: আপনি যদি ব্যবসা করতে ১০ হাজার টাকা লোন নিতে চান তাহলে এটি কম হয়ে যাবে। সাধারণত ব্যবসা করতে ১/২ লাখ টাকা বা তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন হতে পারে। যদি আপনি ছোট কোনো ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে ব্যাংক নির্দিষ্ট কোনো নিয়মমাফিক অনুসারে আপনাকে ১০ হাজার টাকা লোন দিতেও পারে।

১ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাই

আপনি যদি ভাবেন পার্সোনাল কোনো কারণে ১ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাই তাহলে কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে সেগুলো হলো: এক লক্ষ টাকা লোন নিতে হলে আপনার বয়স সীমা ২১ বছরের উপর হতে হবে। কিন্তু ৬০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের ক্ষেত্রে ঋণ পাওয়া অনেক সময় কঠিন হয়ে যেতে পারে। যদি আপনার নির্দিষ্ট কোনো ব্যবসা চলমান থাকে তাহলে সেই ব্যবসার বার্ষিক আয় চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা হতে পারে। কিন্তু ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান এর চেয়েও কম আয়ে লোন অনুমোদন 
করতে পারে বলে ধরা হয়। তবে এক্ষেত্রে কিছু ডকুমেন্টেশন বা সিকিউরিটি লাগতে পারে। যদি আপনি চাকুরী করে এক লক্ষ টাকা লোন নিতে চান তাহলে সম্ভবত আপনার চাকরির বেতন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা হবার কথা। এই বেতনের ক্ষেত্রেও ব্যাংক আপনাকে লোন অনুমোদন করতে পারবে।

২ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাই

২ লক্ষ টাকা লোন নিতে চাইলে আপনার আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে এবং এটিও খেয়াল রাখতে হবে যেন ঋণ পরিশোধ করতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয়। ২ লক্ষ টাকা লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, আয়ের প্রমাণপত্র অথবা স্যালারি স্লিপ, আয়কর রিটার্ন, স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণ, ব্যাংকের স্টেটমেন্ট এ সকল ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ এমন একটি সরকারি ঋণ ব্যবস্থা যা সাধারনত নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উদ্যোক্তাদের জন্য সুবিধজনক স্বার্থে প্রদান করা হয়। এটি সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অথবা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন সংস্থা মাধ্যমে পরিচালিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর লোন বাংলাদেশ এর বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো—
  • যেহেতু এই লোনটি মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের প্রদান করা হয় তাই এখানে সুদের পরিমাণ অনেকটা কম থাকে।
  • এই লোনটি সাধারণত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, গরিব কৃষক, শিক্ষার্থী এবং সমাজের নিম্ন শ্রেণীর মানুষদেরকে প্রদান করা হয়।
  • কি পরিমাণ লোন দেওয়া হবে সেটি প্রকল্প ও উদ্যোক্তার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে। এটি সাধারণত ছোট ঋণ থেকে মাঝারি ঋণ হতে পারে।

শেষকথা

প্রিয় দর্শকগণ এই ছিলো আমাদের আজকের আর্টিকেলের বিষয় সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক। আশা করি আপনাদের ব্যাংক লোন সম্পর্কে যে সকল তথ্য অজানা ছিল আজকের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে তথ্য জানা হয়ে যাবে। সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক এই বিষয়ে আপনাদের যদি আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনারা সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url