শেয়ার বাজার শিখতে চাই ও নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার

শেয়ার বাজার শিখতে চাই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য আমরা অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় পরামর্শ খুঁজে থাকি। কিন্তু একটি সঠিক গাইডলাইন ব্যতীত শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করলে লস ছাড়া কখনো লাভ হবে না। শেয়ার বাজারে ইনভেস্ট করে আজকে অনেকে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে। তবে আপনি প্রথম অবস্থাতেই যদি সে সকল ব্যক্তিদের লাইফস্টাইল দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক বেশি টাকা ইনভেস্ট করে ফেলেন তাহলে আপনি অবশ্যই নিঃস্ব হওয়ার পথে। 
শেয়ার-বাজার-শিখতে-চাই
আপনি কিভাবে একজন সফল শেয়ার মার্কেটার হবেন সে বিষয়টি নিয়ে আজকে আমাদের আর্টিকেলে সম্পূর্ণভাবে জানানো হবে। শেয়ার বাজার শিখতে চাই এ বিষয়টি জানার পাশাপাশি শেয়ার বাজার সম্পর্কে আরো যে বিষয়গুলো জানতে পারবেন সেগুলো হল নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার এবং শেয়ার বাজার থেকে আয়, শেয়ার বাজারে সর্বনিম্ন কত টাকা বিনিয়োগ করা যায়, পাশাপাশি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। সুতরাং আলোচ্য বিষয় শেয়ার বাজার শিখতে চাই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র

শেয়ার বাজার

“শেয়ার বাজার” মূলত এমন একটি স্থান যেখানে বিভিন্ন দায়বদ্ধ কোম্পানি স্টক এক্সচেঞ্জ এর মাধ্যমে নিবন্ধিত থাকে পাশাপাশি তাদের শেয়ার কেনা বেচা করতে থাকে। শেয়ার বাজারকে আবার “স্টক মার্কেট” হিসেবে অভিহিত করা হয়। একটি স্টক মার্কেট বা ইকুটি বাজার কোম্পানির স্টক এবং মানসম্মত মূল্যের ড্রাইভেটিস এর ট্রেনিং এর জন্য সার্বজনীন সত্তা হিসেবে কাজ করে থাকে। বিভিন্ন মাধ্যমে হিসেব রয়েছে ড্রাইভেটিস বাজার প্রায় ৭৯১ ট্রিলিয়ন ডলার। শেয়ার বাজার ১৯৮০ এর মধ্যে স্বয়ংক্রিয় রূপে প্রচার হতে থাকে। 

তবে ১৯৮০ এর আগে এটি একটি খোলা সাধারণ বিনিময় এর মাধ্যমে হিসেবে গঠিত ছিল। কয়েক দশক আগে বিশ্বব্যাপী ক্রেতা ও বিক্রেতার যেমন সাধারণ নির্দিষ্ট কর্পোরেশন ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। কিন্তু সময়ের সাথে পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে বাজারের বিভিন্ন সংস্থা গত কারণে ধীরে ধীরে বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড, ইন্ডেক্স ফান্ড, ব্যবসায়িক বিনিময় তহবিল সহ বিভিন্ন কোম্পানি গড়ে ওঠে। আর ওই সকল ফান্ডে ক্রেতাগণ শেয়ার ক্রয় করে থাকে আর শেয়ারের বাজারদর যদি বেশি হয় সেখান থেকে বিনিয়োগকারীরা প্রফিট পেয়ে যায়। 

যেহেতু শেয়ার বাজারের প্রফিটের পরিমাণ অনেকটাই বেশি তাই সকলের মধ্যে শেয়ার বাজার শিখতে চাই বিষয়টি ব্যাপকভাবে কাজ করে। বিশেষ করে নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার শেখা একটু কঠিন বিষয়। তবে সঠিক গাইডলাইন থাকলে অবশ্যই একজন প্রফেশনাল শেয়ার মার্কেটার হওয়া সম্ভব।

শেয়ার বাজার শিখতে চাই

আমরা ইতিমধ্যে অবগত হতে পেরেছি যে শেয়ার বাজার হলো এমন এক ধরনের প্লাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির স্টক কেনাবেচা করা হয়ে থাকে। আর কেনাবেচা এর কার্যক্রম গুলো স্টক এক্সচেঞ্জ এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। ভারতের নামিদামি দুটি স্টক এক্সচেঞ্জ হলো ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (NSE) এবং আরেকটি হল বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (BSE)। উক্ত দুটি স্টক এক্সচেঞ্জ এর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে শেয়ার কেনাবেচা হয়ে থাকে। আমরা বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে অথবা টিভির পর্দায় শেয়ার বাজার এর খবরা খবর দেখে থাকি। 

শেয়ারবাজার এমন একটি জায়গা যেখানে আপনার যদি ভাগ্য সাথে না দেয় তাহলে আপনি যেমন পথের ফকির হতে পারেন আবার ঠিক তেমনি শেয়ারবাজার সম্পর্কে যদি সঠিক জ্ঞান না থাকে তাহলেও আপনি কখনোই শেয়ার বাজার থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। সুতরাং বলাই যাই ভাগ্য এবং জ্ঞান শেয়ার বাজারের ক্ষেত্রে দুটোই প্রয়োজন। ভাগ্য এর কথা বলা হচ্ছে এ কারণে ধরুন আপনি একটি কোম্পানির আওতায় তার একটি শেয়ার কিনে নিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে শেয়ার বাজার এর মূল্য কমে যাওয়ার ফলে আপনার শেয়ারের মূল্য কমে যাবে। 
অর্থাৎ আপনি যে টাকা বিনিয়োগ করেছেন সেটি নির্ভর করবে শেয়ার বাজারের মূল্য এর উপর। ধরা যাক আপনি একটি কোম্পানির নামে ১০০০ টি শেয়ারের মধ্যে একটি শেয়ার কিনে নিলেন। এর অর্থ এসে দাঁড়ায় যে উক্ত কোম্পানির ১০০০ ভাগের মধ্যে এক ভাগের মালিক আপনি। তাহলে উক্ত কোম্পানি যদি প্রফিট অর্জন করে তাহলে সেই প্রফিটের লভ্যাংশ যেমন আপনি পাবেন ঠিক তেমনি ওই কোম্পানি যদি লস করে তাহলে আপনি আপনার শেয়ার থেকে বিনিয়োগকৃত অর্থ হারাবেন। নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার শেখা বা শেয়ার বাজার শিখতে চাই এ বিষয়টি একটু জটিল হয়ে যায়।

নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার

নতুনদের ক্ষেত্রে শেয়ার বাজার শেখার ক্ষেত্রে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজন। বেসিক কিছু ধারণা নিয়ে শেয়ার বাজার কিভাবে শুরু করা যায়, কত টাকা বিনিয়োগ করতে হয় এবং শেয়ার মার্কেটে কিভাবে একাউন্ট করা উচিত সে সকল বিষয়ে স্টেপ বাই স্টেপ ধারনা নেওয়া একজন বিগিনারের প্রথম কর্তব্য। শেয়ার মার্কেট এ নতুন যারা ঢুকতে ইচ্ছুক তাদের মনে আরেকটি প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খায় সেটি হল শেয়ারের দাম বাড়ে বা কমে কেন এবং শেয়ার বাজারের লস হয় কেন। এগুলো জানার পূর্বে আসুন প্রথমে শেয়ার মার্কেট কোনগুলোকে বলা হচ্ছে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানব। 

ভারতের ক্ষেত্রে কিছু বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের শেয়ার বিক্রি করে থাকেন কোম্পানিগুলো হল টাটা, রিলায়েন্স, আদানি পোট, বাজাজ উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সবার মুখে প্রচলিত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (Dhaka stock exchange) এবং চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ (Chittagong stock exchange) বেশি উল্লেখযোগ্য। উক্ত কোম্পানিতে যদি একাউন্ট খোলা যায় বা রেজিস্টার করা যায় সে ক্ষেত্রে সবকিছু যদি সঠিক হয় তাহলে শেয়ার ক্রয় এবং বিক্রয় করা সম্ভব। নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার শিখতে চাই এ বিষয়টিতে সঠিক গাইডলাইন এর পাশাপাশি ধৈর্য ধরা অবশ্যই জরুরী। ধৈর্য এবং পরিশ্রমের ফলে অবশ্যই একজন ব্যক্তি স্টক মার্কেটে ব্যাপকভাবে সফল হতে পারবে।

নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার বিশ্লেষণ

নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার বিষয়টি একটু জটিল হলেও যদি পর্যায়ক্রমে সকল তথ্যগুলো সঠিকভাবে দেওয়া যায় তাহলে অনেকাংশেই সহজ হয়ে যায়। যেমন আমরা ইতিমধ্যে শেয়ার বাজার সম্পর্কে জানার জন্য কোন বিষয়গুলো জানতে হবে সেটি অবগত করেছি। একটি শেয়ার মার্কেট কিভাবে কাজ করে সে বিষয়টি আরো ভালোভাবে বিস্তারিত জেনে নিই। একজন ব্যক্তি যদি একটি ফ্যাক্টরি থাকে এবং ফ্যাক্টরি টি ভালোভাবেই চলছে। যদি সেই ব্যক্তি চায় তার ফ্যাক্টরিটি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেবে। ৫০ টি শহরে এরকম ফ্যাক্টরি তৈরি জন্য আপনার অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন পড়বে। 

কিন্তু কোম্পানির মালিকগণ তারা তাদের নিজেদের পকেট থেকে প্রথমত টাকা বিনিয়োগ করতে চায় না। নিজে বিনিয়োগ করতে না চাইলে আপনাকে প্রথমত ব্যাংক থেকে লোন নিতে হবে। আর লোন গ্রহণ করলে সেখানে সুদের কথা চলে আসে এবং আপনার ব্যবসা অনেকটা ঝুঁকি নির্ভর হয়ে যায়। আর এই বিষয়টি নিরসনের লক্ষ্যে কোম্পানিগুলো স্টক এক্সচেঞ্জ এর পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। স্টক মার্কেটটি ঠিক এভাবে কাজ করে যেমন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তাদের মালিকানা বিক্রি করে দেয় যেটাকে শেয়ার বিক্রি হিসেবে ধরা হয়। আর এই কেনাবেচার মার্কেট কে শেয়ার বাজার বলা হয়। 
এখন ওই কোম্পানি তার ব্যবসা এর পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে তার কোম্পানির মালিকানা বিক্রি করলেন। সেখানে বিভিন্ন বিনিয়োগকারী ব্যক্তিবর্গ শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে উক্ত কোম্পানি এর মালিকপক্ষকে ফ্যাক্টরিগুলো তৈরি করার লক্ষ্যে অর্থ প্রদান করে থাকলো। আমরা অনেকেই না বুঝেই শুধু শুধু শেয়ার বাজার শিখতে চাই বলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকি। কিন্তু শেয়ার মার্কেটের মূল বিষয়টি এখানেই জড়িত। যদি ওই কোম্পানিটি তার ফ্যাক্টরিগুলো তৈরি করার পর ব্যবসার ক্ষেত্রে লস খায় তাহলে যে সকল ব্যক্তি শেয়ার বাজার ক্রয়ের মাধ্যমে বিনিয়োগ করল তারা সকলেই লসের খাতায় পড়বেন। 

আর যদি কোম্পানিগুলো ভালো ব্যবসা করে তাহলে বিনিয়োগকারীরাও সেখান থেকে লভ্যাংশ এর ভাগীদার হবেন। তাই নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার সম্পর্কে জানার জন্য সর্বপ্রথম যে বিষয়টি মাথায় নিতে হবে সেটি হল বিনিয়োগকারী কেমন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করছে। যদি কোম্পানিটির রেপুর্টেশন ভালো হয় পাশাপাশি কোম্পানির প্রোডাক্ট বাজারে ব্যাপকভাবে প্রচলিত সে সকল কোম্পানিতে নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করা উচিত।

অনলাইন শেয়ার মার্কেট

অনলাইন শেয়ার মার্কেট পরিচালিত করার জন্য এবং শেয়ার বাজারে কাজ করতে গেলে সর্বপ্রথম শেয়ার বাজারে একাউন্ট কিভাবে করব এ বিষয়টি জানতে হবে। যেহেতু বর্তমান যুগ প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অনেকটাই এগিয়ে তাই অনলাইন শেয়ার মার্কেট কিভাবে করতে হয় সে বিষয়টি একজন নতুন অথবা পুরাতন শেয়ার মার্কেটার দুজনের জন্যই প্রয়োজনীয় বিষয়। শেয়ারবাজারে কাজ করার জন্য অবশ্যই ব্যক্তিকে প্রথমে ডিম্যাট (Demat) অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। আর উক্ত অ্যাকাউন্টটি একজন ব্রোকারের মাধ্যমে খুলতে হয়। ডিম্যাট অ্যাকাউন্টটি সাধারণত শেয়ার মার্কেট থেকে এ সকল টাকা 

ইনকাম করা যায় সেই সকল টাকা সর্বপ্রথম ডিম্যাট একাউন্টে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে ইনকামকৃত টাকা ব্যাংকে ট্রান্সফার হয়ে থাকে। ডিমাট একাউন্ট খোলার জন্য যেকোনো ব্রোকারের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। বাজারে অনেক ধরনের ব্রোকার রয়েছে তবে এঞ্জেল ব্রোকিং (Angel Broking) ব্রোকার এর আওতায় ডিমাট একাউন্ট খোলা খুবই ভালো। উক্ত ব্রোকারের আওতায় ডিম্যাট অ্যাকাউন্টটি খোলার জন্য ব্যক্তির আইডি কার্ডের স্ক্যান কপি ব্যাংক একাউন্ট নম্বর পাসপোর্ট সাইজ ফটো এবং স্ক্যান কৃত সিগনেচার প্রয়োজন পড়বে। আশা করি শেয়ার বাজার শিখতে 

চাই এ বিষয়টির আলোকে শেয়ার বাজার একাউন্ট খোলার নিয়ম টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে আপনি অনলাইন শেয়ার মার্কেটে বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান এর আওতায় তাদের শেয়ার ক্রয় করতে পারবেন। পরবর্তীতে শেয়ারগুলো বিক্রির মাধ্যমে প্রফিট এবং কোম্পানির ব্যবসার প্রফিট থেকে লভ্যাংশ পেতে থাকবেন। একাউন্ট তো খোলা হয়ে গেল এখন শেয়ার বাজারে কিভাবে বিনিয়োগ করব এ বিষয়টি নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার প্রেক্ষাপটে খুবই জরুরী আরেকটি বিষয়। আসুন তাহলে উক্ত বিষয় সম্পর্কে এবার ভালোভাবে জানবো।

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য আমাদের সর্বপ্রথম একটি অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হবে। কিভাবে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলবেন সে বিষয়ে আমরা উপরে পর্যালোচনা করেছি। স্টক মার্কেট বা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে যদি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে থাকে সেটির নাম হবে বিও (BO- Beneficiary Owners) আর ইন্ডিয়া থেকে যদি একাউন্ট খোলা হয় তাহলে সেটির নাম হবে (IO)। যে প্রকার এর আন্ডারে আমরা এখানে এঞ্জেল বোকারের (Angel Broking) কথা বলেছিলাম, 

আপনি যদি উক্ত ব্রোকারের আওতায় ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন তাহলে সেই ব্রোকারের অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি আপনার নির্দিষ্ট স্টক ক্রয় এবং বিক্রয় করতে পারবেন। আশা করি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পদ্ধতি সম্পর্কে আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। সহজ কথা বলতে গেলে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য প্রথমে কোন ভালো মানের ব্রোকারের আওতায় ডিমান্ড একাউন্ট খুলতে হবে। অ্যাকাউন্ট খোলার পর ওই প্রকারের ওয়েবসাইট বা অ্যাপস এর ভিতরে ঢুকে বিনিয়োগকারী ব্যক্তি শেয়ার ক্রয় এবং বিক্রয় কার্য সম্পাদন করতে পারবে।

শেয়ার বাজারে সর্বনিম্ন কত টাকা বিনিয়োগ করা যায়

শেয়ার বাজার শিখতে চাই বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে চলে আসে সেটি হল শেয়ার বাজারে সর্বনিম্ন কত টাকা বিনিয়োগ করা যায় বিষয়টি। শেয়ার বাজার সম্পর্কে যদি কারো সম্পূর্ণ ধারণা থাকে তাহলে নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার অনেকটাই সহজ বিষয় হবে। আর শেয়ার বাজার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে প্রথম অবস্থায় মাত্র ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করার মাধ্যমে ভালো একটি প্রফিট করা সম্ভব। তবে শেয়ার মার্কেটে একজন ব্যক্তি কত টাকা বিনিয়োগ 

করবে সেটির কোন নির্দিষ্ট সীমা থাকে না। একজন ব্যক্তি ১০০ টাকাও বিনিয়োগ করতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে উক্ত বিনিয়োগের প্রফিট ০ এর সমান। একটি ভাল প্রফিট করার জন্য অবশ্যই একজন মার্কেটের ন্যূনতম ১০০০০ টাকা প্রথম অবস্থায় বিনিয়োগ করা উচিত।

শেয়ার বাজার বাংলাদেশ

শেয়ারবাজার বাংলাদেশ এর ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় বিপুল পরিমাণে লসের হিসাব। অনেক ব্যক্তি বাংলাদেশে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ইনভেস্ট করার মাধ্যমে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। আবার অনেকে কোটিপতি বনে গেছেন। শেয়ার বাজার বাংলাদেশ স্টক এক্সচেঞ্জের লস হওয়ার মূল কারণ হিসেবে ব্যক্তির শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণ হিসেবে ধরা হয়। যদি কোন ব্যক্তি শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা না নিয়ে প্রথম অবস্থাতেই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে পাশাপাশি মার্কেট রিসার্চ করে না সে ক্ষেত্রে শেয়ার বাজার থেকে লস করবে এটাই স্বাভাবিক। 

যারা বড় বড় শেয়ার মার্কেট হোল্ডার রয়েছেন তারা সবসময়ই একটি পরামর্শ প্রদান করেন সেটি হলো প্রথমে শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে জানুন অভিজ্ঞতা অর্জন করুন, কারণ আপনার অভিজ্ঞতাই আপনার লস কৃত অর্থ ফেরত দিয়ে দিবে। সুতরাং নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার এ বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম অল্প টাকা বিনিয়োগ করা খুবই জরুরী। স্বল্প সময়ের জন্য স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করলে সেটির প্রফিট কম আসে আবার দীর্ঘ সময়ের জন্য যদি স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করা হয় সেক্ষেত্রে প্রফিটের পরিমাণ অনেক বেশি হয়। আর নতুনদের এ সকল বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। 
শেয়ার বাজার শিখতে চাই সম্পর্কে জানতে হলে শেয়ারের দাম বাড়ে বা কমে কেন এ বিষয়টি জানার গুরুত্বও অনেক। শেয়ারের দাম বাড়ে বা কমে কেন এ বিষয়টি অনেকটা কোম্পানির ব্যবসার উপর নির্ভর করে। একটি শেয়ার মার্কেট বা স্টক মার্কেটের আওতায় লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারী এবং ট্রেডার থাকে। কোম্পানি সম্পর্কে তাদের প্রত্যেকের সঠিকভাবে ধারণা থাকার পাশাপাশি শেয়ারের দাম বাড়া অথবা কমার উপরে সঠিক সিদ্ধান্ত তারা গ্রহণ করে। কোম্পানিটির শেয়ার যদি অধিক মানুষ ক্রয় করে তাহলে শেয়ারের দাম বেড়ে যায়। 

আবার ওই কোম্পানির শেয়ার যদি অধিক মানুষ বিক্রি করে দেয় তাহলে শেয়ারের দাম কমে যায়। ভাবে বলতে গেলে যদি মার্কেটে খুব সহজেই একটি কোম্পানির শেয়ার উপলব্ধ হয় তাহলে বুঝতে হবে শেয়ারের ভ্যালু কমে গেছে। পরবর্তীতে শেয়ারে চাহিদা কমতে থাকবে এবং সাথে সাথে শেয়ারের দাম কমে যাবে।

শেয়ার বাজার থেকে আয়

অবশ্যই শেয়ার বাজার থেকে আয় করা সম্ভব। যদি কেউ শেয়ার বাজার সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে পাশাপাশি প্রথম অবস্থাতেই অধিক টাকা বিনিয়োগ না করে অল্প বিনিয়োগে নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রফিট অর্জন করার লক্ষ্য তৈরি করে তাহলে শেয়ার বাজার থেকে আয় করা অবশ্যই সম্ভব। স্টক মার্কেট গুলিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রচুর অর্থর উপার্জন করা সম্ভব। অনেক সময় একটি শেয়ারের মান তিন গুণ অথবা চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আপনি যত টাকা বিনিয়োগ করলেন ঠিক সেই পরিমাণ তিন গুণ অথবা চার গুণ প্রফিট পেয়ে যাবেন। 

আজকের আলোচ্য বিষয় শেয়ার বাজার শিখতে চাই বিষয়টিতে অবশ্যই আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটি হল শেয়ার বাজারে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ ঝুঁকি। শেয়ার বাজার থেকে আয় করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ঝুঁকি নিতে হবে। নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার থেকে আয় করার জন্য ঝুঁকি নিতে হবে পাশাপাশি অবশ্যই মার্কেট সম্পর্কে রিসার্চ এর মাধ্যমেই বিনিয়োগ করতে হবে। স্টক মার্কেট থেকে আর্থিক লাভের পরিমাণ যদি বলতে হয় তাহলে এটির কোন সীমা নেই। সঠিক বিনিয়োগকারী ব্যক্তিরা হাজার থেকে লক্ষাধিক পর্যন্ত টাকা মুনাফা হিসেবে সংগ্রহ করে থাকে। 

তবে স্টক মার্কেট থেকে আয় করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন দক্ষ শেয়ার মার্কেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। পরবর্তীতে আপনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি অবশ্যই নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করবেন এবং সেই অনুযায়ী ব্যাপক আকারে প্রোফিট তুলে নিতে পারবেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি আজকের এই আর্টিকেল এর বিষয়বস্তু শেয়ার বাজার শিখতে চাই বিষয়টি আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্য অনুযায়ী পৌঁছাতে সাহায্য করবে। আপনি যদি সত্যি সত্যি স্টক মার্কেট থেকে আয় করতে চান তাহলে মার্কেট সম্পর্কে ভালোভাবে রিসার্চ করুন, প্রথমে অল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে সীমিত আকারে প্রফিট গ্রহণ করুন। তাহলে দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার মার্কেট সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন হবে এবং পরবর্তীতে বড় পরিসরে বিনিয়োগের মাধ্যমে অধিক মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। আমাদের আজকের এই পোষ্টের তথ্যগুলি বিভিন্ন স্টক মার্কেটার দের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে 

সংগ্রহ করা হয়েছে। আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। শেয়ার বাজার সম্বন্ধে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে সেটি জানাতে পারেন। অনলাইন থেকে ইনকাম অথবা দৈনন্দিন জীবনের সকল বিষয় এর তথ্য সমূহ জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার সম্পর্কে জানানোর লক্ষ্যে আজকের এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url