অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার ১০ টি সেরা উপায়

আপনি কি অনলাইন ব্যবসায় সফল হতে চান? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করব অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় সম্পর্কে। আপনাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা সঠিক দিক নির্দেশনা না পাওয়ার কারণে অনলাইন ব্যবসায় সফল হতে পারেন না। আপনি যদি অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। এই আর্টিকেলে অনলাইন ব্যবসা সাজানো থেকে শুরু 
অনলাইন-ব্যবসায়-সফল-হওয়ার-উপায়
করে অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় সম্পর্কে সঠিকভাবে বর্ণনা করা আছে। তাছাড়া এই আর্টিকেলে আপনি আরো যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন তা হল, অনলাইন বিজনেস আইডিয়া প্রোডাক্ট, অনলাইন বিজনেস টিপস, গ্রামে অনলাইন ব্যবসা, অনলাইন বিজনেস প্লান ও অনলাইন মার্কেটিং কৌশল এবং অনলাইনে ব্যবসা করে কোটিপতি, এ সকল বিষয় সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচীপত্র

অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায়

বর্তমান যুগ হলো অনলাইনের যুগ। তাই এই অনলাইনের যুগে তাল মিলিয়ে চলতে হলে অনলাইন ব্যবসার প্রয়োজন আছে। আপনারা হয়তোবা অনেকে জানেন যে অনলাইনে কিভাবে ব্যবসা শুরু করতে হয়। কিন্তু একটি ব্যবসা শুরু করলেই তো হয় না, সেই ব্যবসায় সফল হতে হয়। তাই অনলাইন ব্যবসায় সফল হতে হলে আপনার কিছু উপায় জানতে হবে। অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো।

১। সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন

যেহেতু অনলাইনে অনেক মানুষ ব্যবসা করে থাকে। তাই অনলাইন ব্যবসায় সফল হতে সর্বপ্রথম আপনার একটি ইউনিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। কারণ আপনি একটি সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারেন না। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করা যায়। কিন্তু আপনাকে সব সময় মনে রাখতে হবে যে, সকলেই যে ধরনের ব্যবসা অনলাইনে করছে সেই ধরনের ব্যবসা করা যাবে না। অর্থাৎ, সবার চাইতে ইউনিক এবং আলাদা ব্যবসা অনলাইনে করতে হবে। 

যেহেতু অনলাইনে একই বিষয়ের ওপর অনেক ব্যবসায়ী আছেন তাই আপনি যদি কোনো ইউনিক ব্যবসা শুরু করেন তাহলে খুব সহজেই আপনার ব্যবসাটি গ্রো করবে। তাই অনলাইন ব্যবসায় সফল হতে হলে সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন আছে।

২। নিজের ব্যবসা বা কোম্পানির সঠিক নাম বেছে নিতে হবে

আপনাকে একটি আকর্ষণীয় নাম নির্বাচন করতে হবে যাতে আপনার কোম্পানি বা অনলাইন ব্যবসার ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পায়। একটি ইউনিক ব্যবসার নাম ব্র্যান্ড ভ্যালুকে অত্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। সেজন্য আপনি আপনার যে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন সে ব্যবসার একটি ইউনিক নাম বেছে নিন। যাতে করে আপনার কাস্টমাররা সহজেই আপনাকে সার্চ করলে খুঁজে পাই।

৩। ব্যবসা চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান

অনলাইনে ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার একটি ওয়েবসাইট, একটি ফেসবুক পেজ এবং একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানাতে হলে মার্কেটিং এর প্রয়োজন আছে। আর এই মার্কেটিং করার জন্য আপনার একটি ওয়েবসাইট এবং একটি ফেসবুক পেজ প্রয়োজন। আপনি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনার নতুন নতুন প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করতে পারবেন। 
আর আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যেকোনো পণ্য গ্রাহক চাইলে ক্রয় করতে পারবে। তাই ব্যবসা চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে একটি ওয়েবসাইট এবং একটি ফেসবুক পেজ থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

৪। অনলাইন ব্যবসার জন্য আইনি বৈধতা

অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আইনি কোনো বৈধতা বা আইনি কোনো নিবন্ধন না থাকলেও আমাদের প্রত্যেকের উচিত একটি বৈধ নিবন্ধন করা। কারণ আপনি যদি আপনার অনলাইন ব্যবসা কে স্থায়ী করতে চান তাহলে ট্রেড লাইসেন্স এর প্রয়োজন হবে। তাই অনলাইন ব্যবসা শুরু করার সময় একটি ট্রেড লাইসেন্স করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৫। আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে নতুন ব্যাংক হিসাব খোলা

আপনার অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে কিছু অনলাইনে লেনদেন কারী platform প্রয়োজন হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ আপনার ব্যবসার ওপর ভিত্তি করে একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকবে। যেখানে প্রত্যেকটি গ্রাহক তাদের মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে যে কোনো প্রোডাক্টের পেমেন্ট করতে পারবে। তাই একটি ব্যাংকিং হিসাব খোলা প্রয়োজন।

৬। ডেলিভারি নেটওয়ার্ক এবং পণ্য আদান-প্রদানের সুব্যবস্থা

যেহেতু আপনি অনলাইনে ব্যবসা করবেন সেহেতু আপনার একটি অনলাইন ডেলিভারি নেটওয়ার্ক প্রয়োজন হবে। সেই ডেলিভারি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আপনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পণ্য আদান-প্রদান করতে পারবেন। তাই আপনার একটি সচল ডেলিভারি নেটওয়ার্ক প্রয়োজন। ডেলিভারি নেটওয়ার্কের পাশাপাশি গ্রাহক সেবা প্রদানের জন্য আপনার নিজস্ব কাস্টমার কেয়ার থাকতে হবে। কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে একজন গ্রাহক তার অভিজ্ঞতা এবং ত্রুটি সম্পর্কে জানাতে সক্ষম হবে।

৭। কুরিয়ার সার্ভিস এবং অনলাইন ডেলিভারি

আপনি যখন আপনার একটি প্রোডাক্ট কোনো গ্রাহকের কাছে পাঠাবেন তখন আপনার একটি কুরিয়ার সার্ভিস অথবা অনলাইন ডেলিভারি সিস্টেম প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে আপনার কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবস্থাটি থাকতে হবে।

৮। সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং বা অনলাইন মার্কেটিং

অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার প্রোডাক্ট খুব সহজে সেল করতে পারবেন। অনলাইন মার্কেটিং হলো অনলাইনের মাধ্যমে মানুষদের আপনার সার্ভিস বা প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানানোর একটি ব্যবস্থা। তাই আপনি যত অনলাইন মার্কেটিং বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করবেন আপনার প্রোডাক্ট তত বেশি সেল হবে।

৯। আপনার প্রোডাক্ট সমূহ গুলোকে আপডেট করা

ক্রেতার রিভিউ গুলোর মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট গুলোকে আপডেট করতে হবে। কারণ আপনি যখন আপনার প্রোডাক্ট গুলোকে আপডেট করবেন তখন আপনার প্রোডাক্ট এর মধ্যে বেশি ত্রুটি থাকবে না। আর যখনই কম ত্রুটি থাকবে বা কোনো প্রকার ত্রুটি থাকবে না তখনই আপনার প্রোডাক্টটি মানুষ পছন্দ করবে। তাই আপনার প্রোডাক্ট গুলোকে আপডেট করা উচিত। এই দিকনির্দেশনা গুলোই হলো অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায়।

১০। অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায়

উপরের দিকনির্দেশনা গুলো যদি আপনি অনুসরণ করেন তাহলে আপনি অনলাইন ব্যবসায় সফল হতে পারবেন। আর সব সময় মনে রাখবেন কোনো কিছুতেই একদিনে সফল হওয়া যায় না। অনেক পরিশ্রম এবং নিয়মিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সফল হতে হয়। তাই ওপরে নিয়মগুলো অনুসরণ করে এবং ধৈর্যের সহিত সফলতার অপেক্ষা করুন। এ সকল উপায় সম্পর্কে আমরা তো জানলাম এখন জানা জরুরী অনলাইন বিজনেস আইডিয়া প্রোডাক্ট গুলো কি কি সে সম্পর্কে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

অনলাইন বিজনেস আইডিয়া প্রোডাক্ট

ওপরে আপনারা জানলেন যে, অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় সম্পর্কে। তো এখন আপনাদের মাথায় চিন্তা আসতেছে যে অনলাইনে তো ব্যবসা কিভাবে শুরু করব বা কিভাবে সফল হব এটা তো জানলাম। তো এখন কি বিষয়ে ব্যবসাটি শুরু করা যায়। অর্থাৎ অনলাইন ব্যবসার কিছু প্রোডাক্ট এর আইডিয়া নিচে দেওয়া হলো।

অনলাইনে নিত্য প্রয়োজনীয় পোশাক ব্যবসা

অনলাইনে পোশাক ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার একটি বড় গোডাউন বা জায়গা প্রয়োজন হবে। যেখানে আপনার প্রোডাক্ট গুলো আপনি রাখবেন। এবং ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী তাদের কাছে পাঠিয়ে দিবেন। আপনি চাইলে অনলাইনে পোশাক ব্যবসা করতে পারেন।

বাড়িতে তৈরি ফুড বিজনেস

আপনি চাইলে বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। যেমন এখন বর্তমানে অনেক মহিলা বাসাতে কেক তৈরি করে বিক্রি করতেছে। আপনি চাইলে এটি করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অনলাইনে সবচাইতে জনপ্রিয় ব্যবসা হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে অন্যের প্রোডাক্ট কে প্রমোট করা। অর্থাৎ অন্যের প্রোডাক্ট কে প্রমোট করার মাধ্যমে আপনি অনলাইনে বিজনেস বা ইনকাম করতে পারবেন। এই এফিলেট মার্কেটিং করার জন্য আপনার তেমন কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়বে না তাই এটি অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় হিসেবে অন্যতম।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাব-সেক্টর হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। বিভিন্ন প্রকার ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনের সাথে অপটিমাইজ করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করা হয়। আপনি চাইলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে অনলাইন কোম্পানি বা বিজনেস গড়ে তুলতে পারেন।

বিখ্যাত ব্যক্তির ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

ভার্চুয়াল assistant হলো এক ধরনের ম্যানেজার। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সাধারণত ফেসবুক আইডি, ফেসবুক পেজ, বা ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট ম্যানেজ করে থাকে। আপনি চাইলে বিখ্যাত বড় বড় ব্যক্তিদের ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট ম্যানেজ করে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হতে পারেন। এবং অনলাইন ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন।

অনলাইন কোর্স বিক্রি

অনলাইনে বিভিন্ন প্রকার কোর্স বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। ধরুন আপনার এমন একটি স্কিল আছে যেটি আপনি অন্যদের শিখাতে পারবেন। তো সেই স্কিল টাকে কাজে লাগিয়ে আপনি অনলাইনে অনলাইন কোর্স সেল করতে পারেন।

ই-বুক রাইটিং বা ই-বুক সেল করে

আপনি যদি তুলনামূলক শিক্ষিত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বই লিখতে পারেন। এবং সেই বইগুলো অনলাইনের মাধ্যমে সেল করে ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমান সময়ে অনেকেই ব্যবসার e-book রাইটিং করে অনলাইন থেকে অনেক টাকা উপার্জন করছে। সেজন্য আপনার মধ্যে যদি সে রকম কোনো মেধা থেকে থাকে তাহলে ই-বুক রাইটিং করে অনলাইন থেকে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন।

ডেটা এন্ট্রি করে

ডাটা এন্ট্রি হলো একটি কোম্পানির জন্য বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ বা প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ ইনফরমেশন এবং নাম কালেকশন করা। আপনি বিভিন্ন প্রকার ওয়েবসাইটের যোগাযোগ ঠিকানা, ইনফরমেশন এই সকল কালেক্ট করে ব্যবসা করতে পারেন।

ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রয়

এখানে ডিজিটাল প্রোডাক্ট বলতে বোঝানো হয়েছে, অনলাইনে বিভিন্ন প্রকার টুল অথবা সফটওয়্যার বিক্রি। আপনি এই সকল বিষয়বস্তু বিক্রি করার মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং একজন সফল ব্যবসায়ী হতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন প্রকার প্রোডাক্টের ছবি তৈরি করতে পারবেন এবং গ্রাফিক্স মোশান তৈরি করতে পারবেন। গ্রাফিক্স মোশান বা গ্রাফিক্স ডিজাইন করার পর সেইগুলো আপনি অন্যদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন এবং একজন সফল উদ্যোক্তা অথবা ব্যবসায়ী হতে পারবেন।

অনলাইন বিজনেস টিপস

অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় এর পাশাপাশি অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে কিছু টিপস আপনার প্রয়োজন হবে। তাই এখন আমরা আপনাকে অনলাইন বিজনেস টিপস গুলো দেব। অনলাইন বিজনেসের ক্ষেত্রে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে, যাতে আপনার প্রোডাক্ট গুলো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কিছু অসাধু লোক আপনার প্রোডাক্টগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে তাই এই বিষয়টি সবসময় খেয়াল রাখতে হবে। অনলাইন বিজনেস শুরু করার আগে আপনার এইগুলো ধাপ ফলো করতে হবে।
  • সঠিক পরিকল্পনার গ্রহণ করতে হবে।
  • নিজের ব্যবসা বা কোম্পানির সঠিক নাম নির্বাচন করতে হবে।
  • ব্যবসা চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করতে হবে।
  • অনলাইন ব্যবসার জন্য আইনি বৈধতা সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
  • আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে নতুন ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে।
  • ডেলিভারি নেটওয়ার্ক এবং পণ্য আদান-প্রদানের সুব্যবস্থা নিতে হবে।
  • কুরিয়ার সার্ভিস এবং অনলাইন ডেলিভারি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
  • সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং বা অনলাইন মার্কেটিং করতে হবে।
  • আপনার প্রোডাক্ট সমূহ গুলোকে আপডেট করতে হবে।
  • অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার ক্ষেত্রে ধৈর্যশীল হতে হবে।

গ্রামে অনলাইন ব্যবসা

এখন আমরা আলোচনা করব গ্রামে অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে। গ্রামের তরুণ যুবকেরা খুবই আগ্রহ হয় অনলাইন থেকে ইনকাম করতে। তাই তারা বিভিন্ন অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে চাই। তাই গ্রামের যুবকদের জন্য গ্রামে অনলাইন ব্যবসা সমূহের তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
  • Online shopping এবং e-commerce শুরু করা।
  • ওয়েব ডিজাইন এবং নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইন ব্যবসা।
  • গ্রামে বসে থেকে হাতে থাকা ল্যাপটপ দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে।
  • গ্রামে বসে থাকে থেকে Computer programming করে অনলাইনে ব্যবসা করা।
  • Mobile application development করে অনলাইনে ব্যবসা করা।
  • Affiliate Marketing করে অনলাইনে ব্যবসা করা।

অনলাইন বিজনেস প্লান

উপরে আপনারা জানলেন অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো অনলাইন বিজনেস কিভাবে শুরু করতে হয় বা অনলাইন বিজনেস প্ল্যান সম্পর্কে। অনলাইন বিজনেস শুরু করার আগে সর্বপ্রথম একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আপনার বিজনেস অথবা কোম্পানির নাম নির্ধারণ করতে হবে। যখন একটি ইউনিক নাম নির্ধারণ করবেন তখন অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে বিজনেস টপিক সম্পর্কে। তারপর বিভিন্ন মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার বিজনেস কে গ্রো করতে পারবেন। নিচে কিছু বিজনেস প্ল্যান এর তালিকা দেওয়া হলো।
  • সঠিক পরিকল্পনার গ্রহণ।
  • নিজের ব্যবসা বা কোম্পানির সঠিক নাম নির্বাচন করা।
  • ব্যবসা চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করা।
  • অনলাইন ব্যবসার জন্য আইনি বৈধতা গ্রহণ করা।
  • আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে নতুন ব্যাংক হিসাব খোলা।
  • ডেলিভারি নেটওয়ার্ক এবং পণ্য আদান-প্রদানের সুব্যবস্থা প্রদান করা।
  • কুরিয়ার সার্ভিস এবং অনলাইন ডেলিভারি ব্যবস্থা গ্রহণ।
  • প্রোডাক্ট সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং বা অনলাইন মার্কেটিং করা।
  • নিয়মিত আপনার প্রোডাক্ট সমূহ গুলোকে আপডেট করা।
  • অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার ক্ষেত্রে ধৈর্যশীলতার পরিচয় দেওয়া।

অনলাইন মার্কেটিং কৌশল

অনলাইনে মার্কেটিং করতে হলে শুধু আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে সবাইকে জানালেই হয় না। কিছু মার্কেটিং কৌশলও আছে যেগুলো আপনি ফলো করার মাধ্যমে খুব সহজে অনলাইন মার্কেটিং করতে পারবেন এবং আপনার প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন। তাই অনলাইন মার্কেটিং কৌশল সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কিছু অনলাইন মার্কেটিং কৌশল দেওয়া হলো।

স্টোরি টেলিং করে মার্কেটিং

বিভিন্ন প্রকার গল্পের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রোডাক্টটি মার্কেটিং করতে পারেন। গল্পের মাধ্যমে বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে আপনি একটি নির্দিষ্ট ভিডিও বানাবেন এবং সেই ভিডিওতে আপনার প্রোডাক্ট এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তুলে ধরবেন। তারপর আপনার প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করবেন। আপনি চাইলে এভাবে স্টোরি টেলিং এর মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারেন।

কন্টেন্ট রাইটিং করে মার্কেটিং

বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করে মার্কেটিং করতে পারেন। ধরুন আপনি অন্য কারো ওয়েবসাইটে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে একটি আর্টিকেল লিখলেন এবং সেই আর্টিকেলটি ওই ওয়েবসাইটে পাবলিশ করলেন। আর্টিকেল পাবলিশ করার পর যেই ভিজিটর গুলো আপনার আর্টিকেলে আসবে, তারা আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারবে। এবং আপনার প্রোডাক্টের মার্কেটিং হয়ে যাবে।

ভিডিও মেইকিং করে মার্কেটিং

আপনি চাইলে ফেসবুকের মাধ্যমে ভিডিও boosting করে মার্কেটিং করতে পারেন। সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ভিডিও বানাতে হবে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে। তারপর সেই ভিডিওর মাধ্যমে ফেসবুকে মার্কেটিং করতে পারবেন।

অডিয়েন্স টার্গেট করে মার্কেটিং

ফেসবুকে অডিয়েন্সকে টার্গেট করে আপনি চাইলে এড রান করে মার্কেটিং করতে পারেন। বর্তমান সময়ে এখন যারা অনলাইনে ব্যবসা করছে তারা অনেকেই নির্দিষ্ট কাস্টমারকে টার্গেট করে ফেসবুকে অ্যাড রান করে ব্যবসা করছে এবং অনলাইন ব্যবসায়ী সফলতা নিয়ে আসছে। তাই আপনি চাইলে ফেসবুকে অ্যাড রান করে আপনার প্রোডাক্টের মার্কেটিং করতে পারেন।

পেইড প্রমোশন বা বুস্টিং করে মার্কেটিং

আপনি চাইলে পেইড প্রমোশন অর্থাৎ বুষ্টিং করে মার্কেটিং করতে পারেন। বুস্টিং বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে বিভিন্ন অ্যাড রান করে মার্কেটিং করা। অর্থাৎ ফেসবুকের যেভাবে পেইড প্রমোশন করে অ্যাড রান করানো হয় সেটাই এখানে বলা হয়েছে।

ওয়েবসাইট দিয়ে মার্কেটিং

আপনি চাইলে অন্য ব্যক্তির ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বা অন্য ব্যক্তির ওয়েবসাইটের সাহায্য নিয়ে আপনার প্রোডাক্টের মার্কেটিং করতে পারেন।

অনলাইনে ব্যবসা করে কোটিপতি

অনলাইন ব্যবসা থেকে কোটিপতি হওয়া সম্ভব। কারণ অনলাইনে ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবেন এবং আপনার প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করতে পারবেন। যদি আপনি অফলাইনে ব্যবসা করেন তাহলে নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের সাথে ব্যবসা করতে পারবেন। আর অনলাইনে ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের মানুষের সাথে ব্যবসা করতে পারবেন। তাই বলা যায় যে অনলাইনে ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়া সম্ভব। আশা করি বুঝতে পেরেছেন অনলাইনে ব্যবসা করে কোটিপতি কিভাবে হবেন।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা বর্তমান সময়ে অনেকেই রয়েছে যারা অনলাইনে ব্যবসা করে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সেজন্য আমার মতে, আপনি যদি ছোট পরিসরে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই সফলতা নিয়ে আসতে পারবেন। আশা করি অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় এ আর্টিকেলটি আপনার অনলাইন ব্যবসা শুরু করার বিষয়ে অনেকটা সাহায্য করবে। তাছাড়া বন্ধুরা এই আর্টিকেলে আপনাদের কোন মতামত যদি থেকে থাকে তাহলে নিচে দেওয়া মন্তব্য বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমাদেরকে। 

আমরা অতি শীঘ্রই আপনার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অনুরোধ রইল একটি শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url