হার্টের সুরক্ষার জন্য যেসব ক্ষতিকর খাবার খাবেন না

প্রিয় দর্শকবৃন্দ আপনাদের দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম সেটি হচ্ছে হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার কি? বর্তমান যুগে হার্টের রোগী নেই এমন কোনো পরিবার খুজে পাওয়া যাবে না। এখন ঘরে ঘরে হার্টের রোগীর সংখ্যা যেন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই অনেক হার্টের রোগীরা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার গুলো কি কি। হার্টের সমস্যা খুবই গুরুতর একটি সমস্যা। তাই হার্টের রোগীদের প্রতিটি খাবার চিন্তাভাবনা করে খুবই বাছাই করে খেতে হয়। 
হার্টের-জন্য-ক্ষতিকর-খাবার
তা না হলে যেকোনো সময় তাদের শরীরের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই আমি হার্টের রোগীদের কাছে অনুরোধ করব আপনারা আমাদের আজকের পোস্টটি খুবই মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আজকের পোস্টটি এক্সপ্লোর করার মাধ্যমে আপনারা আরো যে সকল বিষয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন সেগুলো হচ্ছে- হার্টের রোগীর জন্য দুধ উপকারি কিনা, হার্টের জন্য রসুনের উপকারিতা কি কি, হার্টের ব্লক দূর করার খাবার, হার্টের রোগীর জন্য ডিম, হার্টের জন্য উপকারী সবজি, হার্টের রোগীর জন্য দই, হার্টের জন্য উপকারী ফল, হার্ট ভালো রাখার খাবার ইত্যাদি।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

হার্ট আমাদের মানব দেহের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেটি রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে এবং সারা দেহে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে। হার্ট যদি সুস্থ না থাকে তাহলে আমাদের মানবদেহে ভয়াবহ রোগ সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমাদের সকলের হার্ট ভালো রাখার জন্য হার্টের যত্ন নেয়া জরুরী। হার্টের যত্ন নেয়ার জন্য আমাদের সকলকেই জানতে হবে হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার গুলো কি কি। তাহলে আমরা হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার গুলো বাছাই করে সেগুলো বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় খাবার 

খেয়ে হার্টকে সুস্থ রাখতে পারব। যারা হার্টের রোগী রয়েছেন তাদের যদি হার্টের সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তাহলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদপিণ্ড সমস্যা সহ দেহে আরো নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে যেটি বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে মারাত্মক বাধা সৃষ্টি করবে। এমন কয়েকটি খাবার আছে যেগুলো হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকর সেগুলো হলো- সকল ধরনের ফাস্টফুড ও জাঙ্ক ফুড আইটেম, পিজ্জা, বার্গার, টিপস, সফ্ট ড্রিঙ্ক, কোল্ড ড্রিঙ্ক, অতিরিক্ত চিনি যুক্ত শরবত, অতিরিক্ত মিষ্টি যুক্ত খাবার, বিভিন্ন ধরনের চর্বিযুক্ত মাংস, সোডা, ক্যান্ডি, ইত্যাদি।

হার্টের রোগীর জন্য দুধ

কিছু চিকিৎসকরা বলে থাকেন হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার গুলোর মধ্যে দুধ অন্যতম। যদিও দুধ একটি পুষ্টিকর খাদ্য যা আমাদের দেহে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও বিভিন্ন ভিটামিনের উৎস হিসেবে কাজ করে। কিন্তু হার্টের রোগীর জন্য দুধ সবসময় উপকারী নয়। কারণ এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। হার্টের রোগীর দেহের হাড় ও পেশির কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে দুধ খাওয়াও জরুরী। কারণ দুধে থাকা ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহায়তা করে। এছাড়াও দুধে বিদ্যমান থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কারণ পটাশিয়াম শরীরে সোডিয়ামের প্রভাব কমিয়ে দেয়। 

হার্টের রোগী যদি অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ করে থাকে তাহলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়ে হৃদরোগের ঝুকি দেখা দিবে। হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার গুলোর মধ্যে দুধকেও আখ্যায়িত করা হয়েছে কারণ দুধে স্যাচুরেটেড এর পরিমাণ এতটাই বেশি থাকে যা রোগীর দেহে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিবে সাথে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। যে সকল দুধে ১০০% চর্বি রয়েছে সেখানে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে যেটি হৃদরোগের প্রধান কারণ হয়ে থাকে। অনেক সময় হার্টের রোগীরা ল্যাকটোজ হজম করতে পারে না যার ফলে তাদের পেটে ব্যথা, পেটে গ্যাসের সমস্যা ও ডায়রিয়ার মত 
সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে তারা খাবার খেতেও অসস্তিবোধ করে এবং শরীরে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হবে। তাই হার্টের রোগীর জন্য দুধ পান করতে হলে বিকল্প কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যারা হার্টের রোগী আছেন তারা কম ফ্যাটযুক্ত অথবা লো-ফ্যাটযুক্ত দুধ খেতে পারেন। কারণ লো-ফ্যাটযুক্ত দুধে চর্বির পরিমাণ একদম কম থাকে যেটি আপনার দেহের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখবে। এটি ছাড়াও আপনি বাদাম দুধ, সয়ামিল, ওটসমিল্কের মত দুধ বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন এতে আপনার দেহে দুধের পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে।

হার্টের জন্য রসুনের উপকারিতা

রসুন হচ্ছে এমন একটি খাবার যাকে প্রাচীনকাল থেকেই হার্টের ঔষধ বলা হয়। রসুনে এমন কিছু উপাদান আছে যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। হার্টের জন্য রসুনের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। তাই রসুন দিয়ে তৈরি কোনো খাবারকে হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার বলা যাবে না। হার্টের জন্য রসুনের উপকারিতা গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো:

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ

হার্টের রোগীর জন্য রসুন এতটাই উপকারী যা দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা দিয়েছে রসুনে অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান আছে যা কোলেস্টেরলকে দ্রুত হ্রাস করতে সাহায্য করে। এমনকি রসুন হার্টের রোগীর দেহ থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল(LDL) কমিয়ে উপকারী কোলেস্টেরল(HDL) বাড়াতে সাহায্য করে যেটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারীতা বয়ে আনবে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

উচ্চ রক্তচাপ মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ উচ্চ রক্তচাপ থেকে মানবদেহে এমন কিছু রোগ দেখা দেয় যেটি নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই কষ্ট হয়ে যায়। তাই হার্টের রোগীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রসুনের বিকল্প নেই। রসুন এ থাকা অ্যালিসিন নামক উপাদানটি রক্তনালীর প্রাচীরকে শিথিল করে রক্তচাপ কমিয়ে দেয়।

রক্তে শর্করার মাএা নিয়ন্ত্রণ

হার্টের রোগীর দেহে শর্করার মাএা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরী। অনেক সময় দেখা যায় হার্টের রোগী অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করা খেয়ে ফেলেছে। যার কারণে শর্করা অনিয়ন্ত্রণ অবস্থায় থেকে যায়। তাই শর্করা নিয়ন্ত্রণে রসুনের গুরুত্ব অপরিসীম। রসুন ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে এবং গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমায়

গবেষণায় দেখা গিয়েছে অনেক চিকিৎসকরা বলে থাকেন রসুনকে হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার বলার কোনো উপায় নেই। রসুন হার্টের রোগীর দেহে রক্ত জমাট বাঁধার মত ঝুঁকি কমায়, এটি রক্তকে পাতলা করার উপাদান হিসেবে অবদান রাখে। যার ফলে রোগীর হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করবে।

হার্টের ব্লক দূর করার খাবার

হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার গুলোই হার্ট ব্লকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আপনি যদি জেনে/না জেনে হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার হার্ট দ্রুত ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। হার্টের ব্লক দূর করার খাবার এর নাম নিম্নে দেওয়া হলো:
  • রসুন
  • ওটস
  • বাদাম
  • চিয়া বীজ
  • তেলবীজ
  • পেঁয়াজ
  • কায়েন মরিচ
  • হলুদ
  • মশুর ডাল
  • স্যালমন মাছ
  • পালং শাক
  • ব্লুবেরি
  • সবুজ চা
  • লেবু
  • আনারস
  • শসা
  • টমেটো
  • ব্রোকলি
  • অলিভ অয়েল
এই খাবারগুলো আপনি হার্টের ব্লক দূর করার খাবার হিসেবে যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আশা করি আপনার হার্ট ব্লকের সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং আপনি সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবেন।

হার্টের রোগীর জন্য ডিম

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে হার্টের রোগীর জন্য ডিম অনেক সময় ভালো হতে পারে, আবার মন্দও হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হার্টের রোগীর ডিম খাওয়া উচিত। হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার এই কথাটি বিবেচনা করে আপনি যদি ডিম খেতে চান তাহলে আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হচ্ছে ডিম সেদ্ধ খাওয়া এবং ডিমের কুসুমটি ফেলে দেওয়া। কারণ বিভিন্ন চিকিৎসাবিদদের মধ্যে ডিমের কোলেস্টেরল নিয়ে বিতর্ক আছে যেটি হার্টের রোগের জন্য দায়ী হতে পারে। তাই হার্টের রোগীদের ডিম ভাজা না খেয়ে ডিম সেদ্ধ খাওয়া উওম। 
অতিরিক্ত ডিম ভাজা খাওয়ার ফলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল বেড়ে যায় যা অতি ফ্যাটযুক্ত খাবারের আওতায় পড়ে। আমরা জানি অতি ফ্যাটযুক্ত খাবার হার্টের রোগীর জন্য খুবই ক্ষতিকর। কিছু চিকিৎসাবিদরা বলে থাকেন ডিমে প্রোটিন এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে যেটি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে কারণ ফ্যাটি এসিড কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই এই কারণে ডিম হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার নাও হতে পারে।

হার্টের জন্য উপকারী সবজি

আমাদের কিছু দর্শক হার্টের রোগী রয়েছেন যারা জানতে চেয়েছেন হার্টের জন্য উপকারী সবজি কি কি। এখন আমি আপনাদের এমন কিছু সবজির নাম বলব যে সবজিগুলো খেলে আপনাদের হার্টের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং দেহে প্রয়োজনমতো পুষ্টি, ভিটামিন যোগাবে। হার্টের জন্য উপকারী সবজিগুলোর নাম হলে-
  • আরুগুলা
  • বেগুন
  • ঝিঙে
  • ব্রাসেলস স্প্রাউটস
  • স্ক্যালিয়ন (সবুজ পেঁয়াজ)
  • বাঁধাকপি শাক
  • সালারি
  • সবুজ মটরশুঁটি
  • টার্নিপ (শালগম)
  • গ্রীন পেঁপে
  • চেরি টমেটো
  • গ্রীন চিলি
  • আলু
  • শালগম শাক
  • কাকরি
  • স্প্রাউটস (কলা শাকের অঙ্কুর)
  • জলকচু
  • কাচি পেঁয়াজ
  • পালংশাকের বীজ
  • মাশরুম
  • ক্যাপসিকাম
  • কলিফ্লাওয়ার
  • শসা
  • গাজর
  • টমেটো
  • বিটরুট
এ সকল সবজি থেকে হার্টের রোগীরা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান পেতে পারে যেমন- ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ক্যারোটিন, মিনারেল, প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি।

হার্টের রোগীর জন্য দই

আপনাদের কি মনে হয় হার্টের রোগীর জন্য দই উপযুক্ত হবে নাকি হবে না? দুই এমন একটি পুষ্টিকর খাদ্য যেখানে ভিটামিন, মিনারেল, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি নামক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। কিন্তু হার্টের রোগীদের জন্য মিষ্টি দই একদমই উপযুক্ত নয়। হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার গুলোর মধ্যে মিষ্টি দই অন্যতম। মিষ্টি দইয়ে মিষ্টির পরিমাণ বেশি থাকে যা হার্টের রোগীদের দেহে ফ্যাট, কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে। তাই মিষ্টি জাতীয় দই কে হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার বলে চিহ্নিত করা হয়। 

হার্টের রোগীদের দই এর চাহিদা পূরণে টকদই অথবা কম মিষ্টিযুক্ত দই খেতে হবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে দই যেমন উপকারী হতে পারে তেমনি অতিরিক্ত পরিমাণে দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে টক দই খেতে হবে। টক দই হার্টের রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে বিবেচিত। কারণ এখানে চর্বি ও চিনির পরিমাণ একদম কম থাকে যা ওজন নিয়ন্ত্রণে, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় বেশ সহায়ক।

হার্টের জন্য উপকারী ফল

চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের ধারণা অনুযায়ী অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় ফল হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার হিসেবে বিবেচিত। তাই হার্টের রোগীদের ফল খাওয়ার চাহিদা পূরণের জন্য এমন কিছু ফল আছে যেগুলো কম পরিমাণে মিষ্টি এবং হার্টের জন্য উপকারী ফল। এই ফলগুলোর মধ্যে রয়েছে-
  • ব্লুবেরি
  • স্ট্রবেরী
  • অ্যাভোকাডো
  • আপেল
  • কমলা
  • ডালিম
  • আঙ্গুর
  • কিউই
  • পেয়ারা
  • তরমুজ
বেরি জাতীয় ফলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যেটি আমাদের দেহে স্ট্রেসকমাতে সাহায্য করে এবং হার্টের রোগীদের হৃদরোগের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর 
পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। অ্যাভোকাডো এমন একটি ফল যেখানে বিদ্যমান থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক, এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে শরীরের সুস্থতা বজায় রাখে।হার্টের জন্য উপকারী আরো কয়েকটি ফলের নাম হলো:
  • চেরি
  • পিচ
  • কাঁচা পেঁপে
  • ন্যাশপতি
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী হার্টের রোগীদের ফল খাওয়া উচিত। যে ফলগুলো তাদের হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। বিশেষ করে তাজা ও কম মিষ্টি জাতীয় ফল হার্টের রোগীদের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত।

হার্ট ভালো রাখার খাবার

আপনি যদি হার্টের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার গুলো পরিত্যাগ করে নিয়মিত হার্ট ভালো রাখার খাবার গুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটি আপনার শরীরের সুস্থতার জন্য খুবই উপকারী। যদি হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার গুলো ত্যাগ করে চলতে পারেন তাহলে আপনি সুস্থ অনুভব করবেন এবং দেহ সুস্থ থাকলে মনও প্রফুল্ল ভালো থাকে যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য খুবই জরুরী। হার্ট ভালো রাখার খাবার গুলোর নাম নিম্নে দেওয়া হলো-
  • বীটরুট
  • মাশরুম
  • চেরি
  • আঙ্গুর
  • পেঁপে
  • জাম্বুরা (গ্রেপফ্রুট)
  • পেয়ারা
  • এভোকাডো
  • ব্রাউন রাইস
  • গ্রিন বিনস
  • (ডার্ক চকলেট)
  • সয়া পণ্য
  • আপেল
  • পেয়ারা
  • গাজর
  • আদা

শেষকথা

প্রিয় দর্শক, আশা করি আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে যারা হার্টের রোগী আছেন তারা হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার সম্পর্কে জেনে সচেতন হয়ে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন। হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার গুলো কি কি এই সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য আমরা বাংলাদেশের ভালো মানের চিকিৎসকদের কাছ থেকে ও অনলাইনের ভেরিফাইড চিকিৎসা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করেছি এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। 

আপনাদের যদি কোনো ব্যক্তিগত মন্তব্য থাকে তাহলে আমাদের ওয়েব সাইটের কমেন্ট বক্সে নির্দ্বিধায় শেয়ার করতে পারেন। পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের প্রিয়জন, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী, পরিবার, আত্মীয়স্বজন সকলের কাছে সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শেয়ার করে দিতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url