ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব বিস্তারিত জানুন

আপনাদের মধ্যে যারা ব্যবসায়ী অথবা পন্য বিক্রেতা আছেন তারা কি ভাবছেন ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব? আপনি কি আপনার কোনো পন্য ও ব্র্যান্ডকে সকল গ্রাহকদের নিকট সম্প্রচার করতে চান? আর এইসকল বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করার দরকার নেই। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে এলো আপনাদের এই সকল সমস্যার সমাধান। আমাদের মধ্যে এমন অনেক বিক্রেতারা আছে যারা অনেকদিন পর ভাবছে ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব। 
ডিজিটাল-মার্কেটিং-কিভাবে-শুরু-করব
কিন্তু তারা এখনো বুঝতেই পারছেনা কোন দিক থেকে বা কি কি ফলো করে ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব। আজকের আলোচনার মূল বিষয় হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব এবং ডিজিটাল মার্কেটিং করার মাধ্যমে কিভাবে আপনি আপনার পণ্য সেবা কে সঠিক উপায়ে গ্রাহকদের নিকট পৌঁছে দিতে পারবেন যাতে গ্রাহকরা আপনার পন্য দ্রব্য কিনতে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

যারা ভাবছেন ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব তাদেরকে আমি বলতে চাই ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব জানার পূর্বে আগে আপনার জানার জরুরী ডিজিটাল মার্কেটিং আসলে কি। ডিজিটাল মার্কেটিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনলাইনের সাহায্যে সকল গ্রাহকদের নিকট খুব সহজেই পন্য সম্প্রচার করা হয় যা এক ধরনের বিপণন বলাও চলে। আপনারা যারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন তারা হয়তো দেখে থাকবেন সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পেজ থেকে পন্য দ্রব্যের বিজ্ঞাপন আমাদের নিউজফিডে আসে সেগুলো এক ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করা যেতে পারে যেমন- facebook, instagram, twitter, youtube, google ads, linkedin এছাড়া আরো অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের সাইট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজটি করা যায় যা ডিজিটাল মার্কেটিংকে আরো কার্যকর করে তুলতে পারে।

মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব। আদৌ কি এটি সম্ভব? জি, অবশ্যই সম্ভব! আপনি আপনার হাতে থাকা ব্যবহৃত ইলেকট্রিক ডিভাইস বা মোবাইল ফোন দিয়ে খুব সহজেই ঘরে বসে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার জন্য যে ধরনের অ্যাপ গুলো আপনার প্রয়োজন সর্বপ্রথম সেগুলো playstore/appstore থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপর যে অ্যাপ গুলোতে আপনার একাউন্ট তৈরি করা দরকার আপনার সঠিক তথ্য দিয়ে একাউন্ট খুলে ফেলুন।
এরপর কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার করার জন্য যে ধরনের টুলস ও অ্যাপ্লিকেশন দরকার সেগুলো ডিভাইসে সেট করে নিন। মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ও টুলস ব্যবহার করতে হবে যেগুলো আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং করার কাজটিকে আরো সহজ করে দেবে। এখন আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু উপায় শেয়ার করব যে উপায়ে আপনারা মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন:

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করার প্রথম উপায় হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস আছে যেমন- facebook, instagram, twitter, linkedin এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে সহজেই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করতে পারেন। ফেসবুক পেজ ম্যানেজার অ্যাপ ব্যবহার করে পেইজে পোস্ট সিডিউল, ব্রান্ডের বিজ্ঞাপন তৈরি ও ব্রান্ডের পরিচালনার কাজটি করতে পারেন। ইনস্টাগ্রামে পন্যের পোস্ট সিডিউল ও পণ্যের বিজ্ঞাপন পরিচালনা করতে পারেন। টুইটার অ্যাপ ব্যবহার করে টুইট সিডিউল ও টুইট ট্রেন্ড ফলো করতে পারেন।

ইমেইল মার্কেটিং

ইমেইল এর মাধ্যমে মার্কেটিং করার জন্য Mailchimp এবং Constant Contact এসকল টুলস ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার পণ্যের বা ব্র্যান্ডের ক্যাম্পেইন ও সিডিউল তৈরি করতে পারবেন এছাড়াও ক্যাম্পেইন পরিচালনার কাজটিও সম্পন্ন করা যায়।

কন্টেন্ট ক্রিয়েশন

গ্রাফিক ডিজাইন ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি বড় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে যার কারণে এটি কন্টেন্ট ক্রিয়েশনে বেশ অবদান রাখে। কন্টেন্ট ক্রিয়েশনে canva অ্যাপ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট ও ভিসুয়াল কনটেন্ট তৈরি করা যায়। এছাড়াও Adobe spark এ্যাপ দিয়ে প্রফেশনাল টাইপের ভিডিও ও গ্রাফিক্স তৈরি করা যায়। কন্টেন ক্রিয়েশনে ছবি ইডিট খুবই ক্রিয়েটিভ একটি কাজের মধ্যে পড়ে যা snapseed এর মাধ্যমে করা যায়।

বিজ্ঞাপন

আজকাল মোবাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য বিজ্ঞাপন বেশ ভূমিকা রাখছে। বিজ্ঞাপন প্রচারণার জন্য google ads এবং facebook ads manager টুলসগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে

যারা ভাবছেন ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব তারা অবশ্যই এটাও ভাবছেন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন সময় লাগে। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে আসলে কতদিন সময় লাগে এটি সম্পূর্ণ আপনার অভিজ্ঞতা ও অর্জিত জ্ঞানের উপর নির্ভর করে থাকে। আপনার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে পূর্ব থেকেই বেসিক ধারনা থাকে তাহলে আপনি যখন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে যাবেন তখন বেশি সময় নাও লাগতে পারে। 

যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে একদমই নতুন হন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ কিছুটা সময় নিয়ে শেখার প্রয়োজন হতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন সময় লাগতে পারে এই নিয়ে সাধারণ কিছু গাইডলাইন দেয়া হলো:

স্বল্পমেয়াদি কোর্স

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার ক্ষেত্রে যদি আপনি স্বল্পমেয়াদি কোর্সটি বেছে নেন তাহলে আপনার তিন থেকে চার মাস সময় লাগতে পারে। এই তিন থেকে চার মাস সময়ে আপনাকে হাতে কলমে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখানোর সুযোগ করে দেয়া হবে। যেখানে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বেসিক ধারণা ও প্রাথমিক জ্ঞানগুলো অর্জন করতে পারবেন।

দীর্ঘমেয়াদী কোর্স

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য আপনি যদি একটু বেশি জ্ঞান অর্জন করতে চান তাহলে দীর্ঘমেয়াদী কোর্সটি থেকে বেছে নিতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদি কোর্সটি সম্পন্ন করতে সাধারণত ৬ মাস থেকে এক বছর সময় লাগতে পারে। যেখানে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত শিক্ষা প্রদান করতে পারবে।

স্বশিক্ষা

স্বশিক্ষা বলতে নিজে নিজে শিক্ষা অর্জন করাকে বুঝায়। যারা কোনো ধরনের কোর্স করা ছাড়াই নিজে নিজে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে চান অথবা শিখতে চান তারা মোবাইলে, কম্পিউটারে ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে অনলাইনের বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়াল থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ক শিক্ষাগুলো অর্জন করতে পারেন। এগুলো ছাড়াও অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট ও আর্টিকেল রয়েছে যেখানে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখা নিয়ে ব্লগ ও আর্টিকেল লিখা হয় সেগুলো থেকেও আপনারা চাইলে শিখে নিতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স PDF

ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব এই নিয়ে ভাবতে ভাবতে যারা এখনো সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না তাদের জন্য চমৎকার একটি সমাধান নিয়ে এসেছি। সেটি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনি চাইলে পিডিএফ ফাইল ব্যবহার করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত ধারণা লাভ করার জন্য এবং ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত যত কোর্স ম্যাটেরিয়ালস ও গাইডলাইনস রয়েছে সেগুলো আজকাল পিডিএফ আকারে অনলাইনে পাওয়া যায়। এমন কিছু সোর্স আছে যেখান থেকে আপনি বিনামূল্যে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ক ম্যাটেরিয়াল গুলো সংরক্ষণ করতে পারবেন। 
আবার এমন কিছু সোর্স আছে যেখান থেকে আপনি বিনামূল্যে ম্যাটেরিয়ালস সংরক্ষণ করতে পারবেন না এজন্য আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ এমাউন্ট পেমেন্ট করে ডিজিটাল মার্কেটিং ম্যাটেরিয়ালসগুলো ক্রয় করে নিতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সের ফ্রি PDF সোর্স পাওয়ার জন্য কিছু উল্লেখযোগ্য ওয়েবসাইটের নাম দেওয়া হলো:
  • HubSpot Academy
  • Google Digital Garage
  • Moz
  • Neil Patel
  • Backlinko
  • Search Engine Journal
  • OpenLearn from Open University
  • eMarketing Institute
  • QuickSprout
  • Alison
ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সের পেইড PDF সোর্স পাওয়ার জন্য কিছু উল্লেখযোগ্য ওয়েবসাইটের নাম দেওয়া হলো:
  • Udemy
  • Coursera
  • LinkedIn Learning
  • Skillshare
  • Simplilearn
  • Digital Marketing Institute (DMI)
  • Market Motive
  • edX
  • HubSpot Academy
  • ClickMinded
এ সকল ফ্রী সোর্স ও পেইড সোর্স থেকে আপনি আপনার পছন্দ ও সামর্থ্য অনুযায়ী ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার কোর্সগুলোর পিডিএফ সংরক্ষণ করে নিতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি

প্রিয় বন্ধুরা, ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব এই নিয়ে অনেক কিছুই তো জানা হলো।আপনারা কি জানেন ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি পেশা যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা নিজের স্বাধীনমতো বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেবা দিয়ে থাকে। যখন ফ্রিল্যান্সাররা কোনো ক্লায়েন্টদের ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেবা প্রদান করে থাকে তখন তারা কোনো কোম্পানির আন্ডারে কাজ করে না শুধুমাত্র ক্লায়েন্টদের সাথে চুক্তি করে তারা তাদের সেবা প্রদান করে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে সেগুলো হলো:
  • ১/ যে সকল ফ্রিল্যান্সারদের ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করার পূর্ব থেকেই অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা নিজেদের স্বাধীন মত নিজের সময় ও কাজের পরিকল্পনা করে থাকেন।
  • ২/ যে সকল ফ্রিল্যান্সাররা ডিজিটাল মার্কেটিং কাজে অভিজ্ঞ ও দক্ষ তারা বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পে অথবা প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এতে করে তারা বিভিন্ন রকমের কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকে।
  • ৩/ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা রয়েছে। তারা প্রতি ঘন্টার উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট উপার্জন করে থাকে যার ফলে তাদের আয়ের সম্ভাবনা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং ইনকাম

ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব যারা এই নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা করছেন তারা কি এটা ভেবে দেখেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়? চলুন আমি আপনাদের সঙ্গে এমন কিছু কৌশল শেয়ার করছি যেগুলো ফলো করলে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বেশ গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ পুরোপুরিভাবে শিখতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনি বেশ লাভবান হতে পারবেন। Upwork, Freelancer, Fiverr, PeoplePerHour এই ধরনের ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে আপনি যদি প্রফেশনাল একাউন্ট তৈরি করতে পারেন তাহলে বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা প্রদান করে আর্থিকভাবে অনেকটা লাভবান হতে পারবেন। 
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে আপনি যে ধরনের সেবা দিতে পারবেন সেগুলো হলো- এসইও, এসইএম, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং, পিপিসি ইত্যাদি।

এজেন্সি

নিজস্ব একটি ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দেওয়ার এজেন্সি চালু করতে পারেন যেখানে আপনি বিভিন্ন ব্যবসা ও ব্যান্ড প্রচারণার জন্য সেবা দিতে পারেন এবং ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী ফি নির্ধারণ করে দিন।

অ্যাফিলিয়েট

ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম করার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখে রাখা ভালো। এতে আপনি বিভিন্ন ধরনের পন্য ও সার্ভিস প্রমোট করে কমিশন লাভ করতে পারেন। আপনি চাইলে বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করে তাদের পণ্য ও সার্ভিস গুলো প্রমোট করে দিতে পারেন। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া ওপেন করলে দেখা যায় অনেকে ব্লগ পোস্ট, লাইভ করার মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট প্রমোট করে দিচ্ছে ও প্রতি সেলের ভিত্তিতে কমিশন লাভ করছে।

ই-কমার্স স্টোর

ডিজিটাল মার্কেটিং এর দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি নিজস্ব ই-কমার্স স্টোর চালু করতে পারেন যেখানে আপনার নিজস্ব পণ্য বিক্রি হবে। আপনার নিজের প্রতিষ্ঠা করা ই কমার্স স্টোরে যে সকল সেবা দিতে পারেন সেগুলো হলো- ওয়েবসাইট ডিজাইন, কন্টেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এসইও ইত্যাদি।

অনলাইন কোর্স বা ট্রেনিং

ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনি যদি পুরোপুরি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিজেই একটি অনলাইন কোর্স ও ট্রেনিং সেন্টার চালু করতে পারবেন। যেখানে দর্শকরা আপনার কাছ থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে অনলাইন কোর্স করবে, শিখবে এবং আপনিও নির্দিষ্ট ফি ধার্য করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি

ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব জানার পাশাপাশি আপনাকে এটিও জানতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান কাজ গুলো কি কি। ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান কাজ হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে প্রোডাক্ট ও সার্ভিস প্রমোট করা যাতে করে বিক্রয় বৃদ্ধি পায়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান কাজ গুলো হলো:

সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)

গুগলে কোন বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য যখন সার্চ করি google তখন আমাদেরকে সেটির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করে। যেই উত্তরটি সবার উপরে শো করে সেটিকে উচ্চ র্যাংকিং পোস্ট হিসেবে ধরা হয়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এমন একটি বিষয় যেটির মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে উচ্চ র্যাংকিং নিয়ে যাওয়ার কাজ করা হয়।

সার্চ ইন্জিন মার্কেটিং(SEM)

এসইএম অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে পেইড রিসার্চ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়. এ কাজটির সাথে google এডওয়ার্ডস এবং বিং এডস অন্তর্ভুক্ত থাকে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং(SMM)

সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যেমন- facebook, instagram, twitter, linkedin, wechat এগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের প্রোডাক্ট ও সার্ভিস প্রমোট করানো হয়ে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর প্রধান কাজ হচ্ছে কনটেন্ট ক্রিয়েশন, বিজ্ঞাপনের ক্যাম্পেইন করা ও অডিয়েন্সদের সাথে সঠিক এনগেজমেন্ট করা।

কনটেন্ট মার্কেটিং(Content Marketing)

যেকোনো প্রডাক্ট আকর্ষণীয় ভাবে গ্রাহকদের নিকট উপস্থাপন করার জন্য কনটেন্ট মার্কেটিং করা হয়। যেমন- বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পোস্ট, ভিডিও, ছবি, ইনসোগ্রাফিক কনটেন্ট তৈরি করে সেখানে প্রোডাক্ট এর সকল ডিটেলস আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো থাকবে।

ইমেইল মার্কেটিং(Email Marketing)

যদি আপনি ইমেইল মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনার সাবস্ক্রাইবারদের কাছে ইমেইল পাঠিয়ে আপনার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস গুলো প্রমোট করতে হবে। ইমেইল মার্কেটিং এর মূল কাজ হচ্ছে- ইমেইল লিস্ট বিল্ডিং, ইমেইল ক্যাম্পেইন তৈরি ও নিউজ লেটার পাঠানো।

পে পার ক্লিক(PPC)

পিপিসি হচ্ছে এমন একটি বিজ্ঞাপন মাধ্যম যেখানে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন প্রচারণা করা হয়। সেখানে ক্লিকের ভিত্তিতে অর্থ উপার্জন করা যায়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান একটি অংশ যেখানে একজন অন্যজনের প্রোডাক্ট সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করে গ্রাহকদের নিকট অন্যের প্রোডাক্টগুলো প্রমোট করে থাকে এবং প্রতি ঘন্টার কাজের উপর ভিত্তি করে কমিশন লাভ করেন।

শেষকথা

তো বন্ধুরা! এটাই হলো আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব। আশা করি আমার আজকের লেখা পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকলে তোমরা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা লাভ করতে পারবে এবং ভবিষ্যতে নিজেরাও ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে পারবে এবং আর্থিকভাবেও অনেকটা লাভবান হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url