ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z এবং ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি

বর্তমান কার ইন্টারনেট এর যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z দক্ষতা অর্জন করা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি এ বিষয়ে জানাটাও অনেকটাই জরুরী। কেননা ব্যক্তিগতভাবে এই দক্ষতা ব্যবহার করে আয় করার সুযোগ তৈরি করে ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং। তাই আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z জানার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং এর ধারণা থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং এর সুযোগ সুবিধা সকল কিছুই এই পোস্টে জানতে পারবেন। 
ডিজিটাল-মার্কেটিং-A-to-Z
পাশাপাশি আরও যে সকল বিষয় আপনি এই পোস্টে জানতে পারবেন সেগুলো হলো, ফ্রিল্যান্সিং কি, ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি, ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার, মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন হয় এ সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। সেজন্য প্রিয় পাঠক আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি জানার জন্য অতি আগ্রহী হন তাহলে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র

ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z

বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z সেক্টরে অনেকগুলো বিষয় রয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে আমাদের সকলেরই ধারণা থাকা জরুরী। বর্তমান সময়ে সকল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নতুন উদ্যোক্তা সবাই তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে জড়িত। অনেক মানুষের ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই যার ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কার্যকর সুবিধা গুলি নিতে ব্যর্থ হয়। আপনি যদি একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হতে চান বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসায়ীকে আরও এগিয়ে নিতে চান তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z এই পোস্টটি নিচে বিস্তারিত পড়ুন।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

“ফ্রিল্যান্সিং কি” এ বিষয়ে আমরা অনেকেই কমবেশি পরিচিত। আমরা সাধারণত জানি অথবা না জানি কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং শব্দটা সকলের কাছে পরিচিত। আবার অনেকে হয়তো মনে করি ফ্রিল্যান্সিং কোন একটা কোর্স বা সাবজেক্ট আসলে কি তাই? ফ্রিল্যান্সিং মূলত কোন একটি দক্ষতা বা স্কিল যার মাধ্যমে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী অনলাইন থেকে বা মার্কেটপ্লেস থেকে অথবা লোকাল কোন প্লাটফর্মে ক্লাইন্ট এর সাথে সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা কে বোঝায়। এখন আবার অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন ফ্রিল্যান্সিং কেন প্রয়োজন। 

এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, আপনি হয়তো কোথাও জব করছেন, জবের ক্ষেত্রে দেখা যায় আপনাকে কোন একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসে নির্দিষ্ট টাইম অনুযায়ী জব করতে হয়। আবার সেখানে আপনার জবের জন্য আপনার উপরে একজন বস থেকে থাকে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে যেখানে কোন নির্দিষ্ট জায়গা বা নির্দিষ্ট টাইম উল্লেখ নেই। আপনি মুক্ত স্বাধীনভাবে যেকোনো জায়গায় বসে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট কানেকশন এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা উপার্জন করতে পারেন। 
ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনি আপনার বস এখানে কেউ আপনাকে বলবে না যে এটা করো বা ওইটা করো। আপনি আপনার ইচ্ছামত স্কিল বা দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে মার্কেটপ্লেস থেকে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। এটাই মূলত ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এখন আমরা ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z এর সকল বিষয় সম্পর্কে জানব।

ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি

ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি এ বিষয়ে বলতে গেলে বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ আর জনপ্রিয় সেক্টর হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এছাড়াও রয়েছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ভিডিও মার্কেটিং। সুতরাং বর্তমান সময়ে আলোচিত যে বিষয়টা ডিজিটাল মার্কেটিং এটা সম্পর্কে আমরা হয়তো অনেকেই জানি আবার হয়তো অনেকে মনে করি ডিজিটাল মার্কেটিং মূলত ফেসবুকে মার্কেটিং অথবা সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করাকে বোঝায়। আসলে ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি তাই? 

এক কথায় যদি বলা যায় আপনার কোন পণ্য বা সেবা অনলাইনে বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিক্রয় করা হতে পারে। সেটা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হতে পারে বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে, যেমনটা আমরা দেখি টিভিতে বিজ্ঞাপন, রেডিওতে বিজ্ঞাপন ঠিক তেমনটাই। অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরটা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। ডিজিটাল মার্কেটিং কে আমরা দেখতে পাই সব জায়গাতে। আমরা ডিজিটাল কোন ডিভাইস এর মাধ্যমে যখন মার্কেটিং করা হচ্ছে সেটাকেই আমরা মূলত বলে থাকি ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং পুরো একটা নিজেই ইন্ডাস্ট্রি। 

সেজন্য ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং রয়েছে ও সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) রয়েছে এবং কন্টেন্ট মার্কেটিং সহ আরো অনেক বিষয় রয়েছে। তাই আমরা চাইলেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে এসে যে সকল বিষয়গুলো রয়েছে সেই বিষয় গুলোতে দক্ষতা অর্জন করে সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারি। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z এর মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি বিষয়টা মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। এখন আমরা আরও যে সকল বিষয় রয়েছে সে সকল বিষয় সম্পর্কে আপনাদেরকে ধারণা দিব।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কী?

মূলত মার্কেটিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং হল একই ধরনের জিনিস। আগেকার সময়ে যখন কোম্পানি নতুন কোন পণ্য বাজারে নিয়ে আসতো তখন তাদের সেলসম্যান এর দ্বারা পণ্যগুলোর প্রচার বাজারের দোকানে গিয়ে গিয়ে করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির সাহায্যে এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে এ সকল কাজ খুব সহজেই করা হচ্ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং তার পন্য সম্পর্কে সকল তথ্য ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরা হয়। ফলস্বরূপ পণ্যের প্রচার এবং বিক্রি বৃদ্ধি পায়। পণ্যের সঠিক প্রচার হলে এক পর্যায়ে কোম্পানি বা নির্দিষ্ট পণ্য একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হয়। 

মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ হল একটি ব্যবসা পণ্য প্রচারের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করার কাজকে বোঝাই। আশা করি ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z এর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি সে সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। এখন আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার এবং কি কি রয়েছে সে সম্পর্কে জানব।

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার?

ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z এর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ বলতে গেলে অনেক রয়েছে। তবে আপনাদের সামনে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয় যে সেক্টরগুলো রয়েছে সেই সেক্টর সম্পর্কে ধারণা দিব। নিচে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয় সেক্টর গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসার বিজ্ঞাপন দিলে তাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মধ্যে রয়েছে ফেসবুক মার্কেটিং, ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং, টুইটার মার্কেটিং, প্রিন্টারেস্ট মার্কেটিং, লিংকদিন মার্কেটিং, রেডিট মার্কেটিং ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়ে থাকে। 
আর এ সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা বিভিন্ন ধরনের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখে থাকি। এভাবে করে মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেখিয়ে পণ্য বিক্রয় করা হয়ে থাকে। এটাই মূলত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। আশা করি ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি সে সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO)

ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হল সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO)। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইটের ওয়েব পৃষ্ঠাকে সার্চ ইঞ্জিন অনুসন্ধান ফলাফল উচ্চতর র‍্যাঙ্ক করাতে পারেন। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, যখন মানুষজন আপনার ওয়েবসাইটের সাথে সম্পৃক্ত কোন প্রোডাক্টের অনুসন্ধান করবে তখন তারা গুগলে সার্চ দিলে যেন রেজাল্টের প্রথমদিকে আপনার ওয়েবসাইটটি দেখায়। 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর লক্ষ্য হলো অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি করা। অর্গানিক ট্রাফিক হল এমন ট্রাফিক যা কোন বিজ্ঞাপন বা অর্থ প্রদানের মাধ্যমে আসে না বরং সার্চ ইঞ্জিনের অ্যালগোরিদম দ্বারা স্বাভাবিক ভাবে আসে। আবার সার্চ ইঞ্জিনকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। একটি হলো “অন-পেজ SEO” আরেকটি হলো “অফ-পেজ SEO”।

কন্টেন্ট মার্কেটিং

কন্টেন্ট মার্কেটিং হল অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে। ধারাবাহিকভাবে উন্নত মানের কনটেন্ট তৈরি এবং প্রচার করার একটি মার্কেটিং কৌশল যা আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে দর্শকদের আকর্ষণ করতে তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং তাদেরকে লাভজনক গ্রাহকে রূপান্তর করতে সাহায্য করে। আবার কনটেন্ট মার্কেটিং বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে যেমন-
  • ব্লগ পোস্ট
  • ইনফোগ্রাফিক
  • ভিডিও
  • ই-বই
  • ওয়াইট পেপার
  • কেস স্টাডি
  • সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট
কনটেন্ট মার্কেটিং এর লক্ষ্য হল আপনার লক্ষ্য দর্শকদের কাছে বিশ্বস্ততার উৎস হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা। যখন লোকেরা আপনার কাছ থেকে মূল্যবান তথ্য এবং পরামর্শ পেতে পারে তখন তারা আপনার উপর বিশ্বাস শুরু করে এবং আপনার পণ্য বা পরিসেবা কিনতে গ্রাহকেরা উৎসই হয়। এটিও ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

এফিলেট মার্কেটিং হল কোন সুনামধন্য কিম্বা নতুন কোন কোম্পানির পণ্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে কমিশনের বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়াকে এফিলেট মার্কেটিং বলে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনি যদি কোন কোম্পানির এফলেট প্রোগ্রামে যোগদান করে তাদের পণ্য ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z এর সাহায্য নিয়ে মার্কেটিং করে বিক্রি করে নির্দিষ্ট একটা যে কমিশন প্রদান করে তাকে এফিলেট মার্কেটিং বলে। বর্তমানে অনেকেই বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্য নিয়ে বিক্রি করে অনেক টাকা ইনকাম করছে। বিশ্বের মধ্যে বেশ কিছু সুনামধন্য কোম্পানি এই এফিলেট মার্কেটিং এর মাধ্যমে টিকে রয়েছে।

ইমেইল মার্কেটিং

বর্তমানে বেশিরভাগ কোম্পানি ইমেইল মার্কেটিং করে তাদের পণ্য বা পরিষেবা প্রচলন করে থাকে। আমাদের প্রত্যেকের ফোনেই ইমেইল অ্যাপ্লিকেশনটি চালু রয়েছে। আর আমরা বেশিরভাগ অবসর টাইম এই মাঝেমধ্যে ইমেইল চেক করে থাকি। কারণ কোথা থেকে ইমেইল আসলো কিনা এটি চেক করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর বিভিন্ন কোম্পানি ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z সাহায্য নিয়ে বিভিন্নভাবে ইমেইল সংগ্রহ করে তাদের পণ্যের বিভিন্ন অফার প্রমোট করে। যাতে করে গ্রাহকেরা ইমেইলের মাধ্যমে তাদের পণ্যটি ক্রয় করে অথবা অর্ডার করে ফেলে। এভাবে বিক্রয় করাকে ইমেইল মার্কেটিং বলে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

উপরে উল্লেখিত, ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদের মধ্যে পাঁচটি জনপ্রিয় মার্কেটিং সম্পর্কে আপনাদেরকে ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে রয়েছে রেফারেল মার্কেটিং, ওয়েবসাইট বিজ্ঞাপন, মোবাইল এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন, পে-পার ক্লিক, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ইত্যাদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতাভুক্ত।

মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z এর মধ্যে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করে এটা জানা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী। আজকের এই দিনে স্মার্ট মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্যবসা-বাণিজ্যও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে আপনি সহজে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করতে পারেন এবং আপনার ব্যবসাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন। মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করতে হলে প্রথমেই আপনাকে যে বিষয়টি প্রাধান্য দিতে হবে তা হল লক্ষ্য নির্ধারণ করা। অর্থাৎ আপনি কি অর্জন করতে চাচ্ছেন তা স্পষ্টভাবে বের করুন এবং কি 

ধরনের ব্র্যান্ড বা পণ্য বিক্রয় বৃদ্ধি করতে চান তা নির্ধারণ করুন। পাশাপাশি একটি আকর্ষণীয় মোবাইল বন্ধব ওয়েবসাইট তৈরি করা প্রয়োজন। আর আপনার ওয়েবসাইট হল আপনার ব্যবসার অনলাইন প্রতিনিধিত্ব। তাই এটি অবশ্যই মোবাইল ডিভাইসের জন্য অপটিমাইজ করা উচিত। আরও যে সকল বিষয়ে রয়েছে তা হল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা। এ সকল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আপনি আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পণ্যের প্রচার করে বিক্রি বৃদ্ধি করতে পারবেন। আশা করি মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টা কি সে সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন

আপনাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন হয় এটি জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z এর মধ্যে এ বিষয়টি জানাও অনেকটা জরুরী। সেজন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর এতটাই বড় যে এর সঠিক কত টাকা আয় হবে যা বলে শেষ করা যাবে না। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর আয় কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করবেন তার উপর অনেকটাই নির্ভর করে। বলতে গেলে আপনি যদি উপরে যে সকল ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সে 
সকল বিষয়ে দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। এখানে আপনার যত বেশি অভিজ্ঞতা থাকবে তত বেশি আয়ের সম্ভাবনা ও থাকবে। তবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার বা ডিজিটাল মার্কেটার যেকোনো একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে আনুমানিক মাসে 200 ডলার থেকে শুরু করে কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে। তবে এখানে এটি শুধুমাত্র আনুমানিক ধারণা দেওয়া হয়েছে। আপনার কাজের দক্ষতা অনুযায়ী আপনি এর থেকে বেশি আয় করতে পারেন আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স

অনেকে যা রয়েছেন যারা ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z জানার পর ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে আগ্রহী হয়ে থাকে। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স শিখতে আগ্রহী হন তবে বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় কিছু ফ্রিল্যান্সিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। সেগুলোতে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে পারেন। তবে বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করার জন্য কিছু আইসিটি সেন্টার খুলে রেখেছে। 

আপনি সে সকল জায়গাতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে পারেন। তবে আপনাদের সুবিধার্থে এখানে কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করায় এমন আইটি সেন্টারের নাম তুলে ধরা হলো- অর্ডিনারি আইটি, বহুব্রীহির ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স, Inspire Academy-এর ডিজিটাল মার্কেটিং ও ফ্রিল্যান্সিং কোর্স, সুন্নাহ আইটি ইনস্টিটিউটের হালালভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং, eShikhon.com-এর ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স দিয়ে শুরু করুন ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি রয়েছে। 

আপনি এ সকল আইটি সেন্টারে যোগাযোগ করে ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী মার্কেটপ্লেসে বা মার্কেটপ্লেস এর বাইরেও কাজ শুরু করতে পারেন। প্রিয় পাঠক আশা করি ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z জানার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা ইতিমধ্যে উপরে উল্লেখিত আলোচনায় ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি এ বিষয়েও ধারণা পেয়েছেন। আশা করি উপরে দেওয়া তথ্য গুলো ফ্রিল্যান্সিং শিখার বিষয়ে আপনার অনেকটাই উৎসাহ আসবে। তাছাড়া বন্ধুরা এই পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অনুরোধ রইল এই পোস্টটি একটি শেয়ার করবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z এই পোস্টে আপনার যদি কোন মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে নিচে দেওয়া মন্তব্য বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমাদেরকে। আমরা অতিসত্বর আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url