পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে-আমের পুষ্টিগুণ উপকারিতা

পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে বিষয়টি যদি আমরা জানি তাহলে আম খাওয়ার আগ্রহটা বেড়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। এমনিতেও পাকা আম আর না পছন্দ আর যদি সেটি হয় ল্যাংড়া, গোপাল ভোগ, আম্রপালি তাহলে তো কোন কথাই নেই। আম যেহেতু একটি সিজনাল ফল তাই এর পুষ্টিগুণ রয়েছে অফুরন্ত। ডাক্তার গন সাধারণত সবাইকে সিজনাল ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই চলুন আজকে আমরা এই আর্টিকেলে আম খাওয়ার পাশাপাশি পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিই। 
পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে
আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আমরা ভিটামিন সম্পর্কে জানব এবং এর সঙ্গে আরও যে বিষয়গুলো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবো সেগুলো হলো আমের উপকারিতা ও অপকারিতা, আমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে, শিশুদের আম খাওয়ার উপকারিতা এ সকল বিষয়ে আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানবো। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক টাকা আমে কি ভিটামিন আছে।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

আম গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে জন্মানো উদ্ভিদের একটি সুস্বাদু ফল। সাধারণত কাঁচা অবস্থায় আমের রং সবুজ হয়ে থাকে পাকার পর সেটির ভিতরে হলুদ বর্ণ ধারণ করে। পূর্ববর্তী সময়ে আমগাছ বনজঙ্গলে হয়ে থাকলেও সময়ের পরিবর্তনে সেটি কলম চাষের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। আমের আদি নিবাস হিসেবে “দক্ষিণ এশিয়া” কে ধরা হয়। আমকে ফলের রাজা বলা হয়। পাশাপাশি এটি সারা বিশ্বে বহুল জনপ্রিয় একটি ফল। আমের আদি বাসস্থান দক্ষিণ এশিয়ার ভারতকে ধরা হয়ে থাকে। 

তবে এটা নিয়ে রয়েছে অনেক তর্কবিতর্ক। খ্রিষ্টপূর্ব ৩২৭ এ আলেকজান্ডার সিন্ধু উপত্যকায় আম দেখে ও খেয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তারপর সময়ের বিবর্তনে মালদ্বীপ ইন্দোনেশিয়া ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জে আমের গাছগুলো ছড়িয়ে পড়েছে। ১৩৩১ খ্রিস্টাব্দে আফ্রিকায় আমের কাজ শুরু হয়, ১৬৯০ খিষ্টাব্দে ইংল্যান্ডে, ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইতালিতে এবং ঠিক একই সময়ে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে আমের আটি পড়ে গাছ হয় এবং সেখানে আমগাছ বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে পড়ে। 

আর এভাবে আম ফল বিশ্বের সকলের কাছে পরিচিত লাভ করে একটি সুস্বাদু ফল হিসেবে। আম সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। এটি একটি সিজনাল ফল হাওয়াই ডাক্তারগণ সবসময় এটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজকে আমরা পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে এই বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে জানতে চলেছি।

আমের উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা সর্ব প্রথম যে বিষয়টি জানতে পেরেছি যে আম সাধারণত কাঁচা অবস্থায় সবুজ বর্ণ হয়ে থাকে আম শুধু পাকলে খাওয়া যায় ঠিক তা নয় আম কাঁচা অবস্থাতেও খাওয়া যায়। অনেকে লবণ, মরিচ হালকা চিনি কাঁচা আম এ টুকু টুকরো অংশের সাথে মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। কাঁচা আম খেতে যেমন মজা এর উপকারিতা ও রয়েছে। তাই আসুন আমরা কাঁচা আমের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই। প্রচন্ড গরমের সময় যদি কেউ ব্লেন্ডারে কাঁচা আমের শরবত এর সাথে কয়েক টুকরো বরফ মিশিয়ে খায় তাহলে সে একমাত্র বুঝতে পারবে যে কাঁচা আমের শরবত এর কত মজা এবং প্রশান্তি। 

ডাক্তাররা কাঁচা আম এবং পাকা আম দুটো খাওয়ারই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে শরীরকে চাঙ্গা করতে কাঁচা আমের শরবতের জুড়ি নেই। আপনি একবার হলেও এই কাঁচা আমের শরবতের সঙ্গে হালকা বিট লবণ এবং কিছু বড় টুকরো মিশিয়ে খেয়ে দেখবেন যে কতটা প্রশান্তি আপনি অনুভব করছেন। কাঁচা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা আপনার শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করবে। তাছাড়া শরীর কে রাখবে অনেক ঠান্ডা। ১০০ গ্রাম কাঁচা আমে থাকে ৪৪ ক্যালোরি পটাশিয়াম সাথে ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়ান। 
ভিটামিন সি শরীরের জন্য কতটা উপকারী সেটা সম্পর্কে অনেকেই ভালো জানেন। পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে সেটি জানার আগে আসুন কাঁচা আম খেলে কি কি উপকার অর্থাৎ কাঁচা আমের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই।

কাঁচা আমের উপকারিতা

  • আমের সিজন শুরু হওয়ার প্রথমে কাঁচা আম পাওয়া যায়। সেই সময় যদি নিয়মিত কাঁচা আম খাওয়া যায় তাহলে যাদের ওজন বেশি আছে তারা এ কাঁচা আমকে ওজন কমানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
  • অনেক ডাক্তারগণ মতবাদ দিয়ে থাকেন, কাঁচা আম যদি নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে কারো যদি গ্যাস অর্থাৎ এসিডিটি থেকে থাকে তাহলে সেটি ভালো হয়ে যায়।
  • কাঁচা আমের রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম যা আমাদের হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও আম উপস্থিত খনিজ লবণ ও ভিটামিন আমাদের রক্ত প্রবাহতে সাহায্য করে থাকে।
  • কোলেস্টেরল কমাতে এবং পাশাপাশি লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমের ভূমিকা অপরিসীম।
  • যেহেতু কাঁচা আমে কোনরকম চিনির উপস্থিতি নেই তাই ডায়াবেটিস রোগীরা অনায়াসে খেতে কাঁচা আম পারেন।
  • আর কাঁচা আমে ভিটামিন সি অধিক পরিমাণে থাকার কারণে আমরা ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে পারি।
  • অনেকের সকালে উঠে গা ঘিনঘিন করে এবং বমি বমি ভাব হয় তারা যদি এক টুকরো আম মুখের ভিতর রেখে দেন তাহলে তার বমি বমি ভাব দূর হয়ে যায়।
  • খাবার পরিপাক করার জন্য এবং যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তাদের কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
  • যেহেতু আমে অধিক পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে আর ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণের মাধ্যমে স্কার্ভি ও মাড়ির রক্ত পড়া রোধ হয়। এমনকি নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ ও দাঁতের ক্ষয় রোধ করতেও কাঁচা আম খাওয়া উচিত।
এছাড়াও কাঁচা আমের উপকারিতা রয়েছে অনেক যেমন রক্তের সমস্যা দূর করা, শরীরের লবণের ঘাটতি পূরণ করা, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ত্বক ও চুল উজ্জ্বল করে তোলে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ইত্যাদি। তাই আমরা পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে সেটি এখন জানবো কাঁচা আমের উপকারিতা সম্পর্কেও জানলাম। কারণ কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম। কাঁচা আমের তেমন কোন অপকারিতা নেই তবে কোন কিছু বেশি না খাওয়াই ভালো। 
তাছাড়া টক আম খাওয়ার কারণে অনেক সময় তাতে এক রকমের শিহরণ অনুভব হয়। যার কারণে অন্য খাবার গ্রহণের সময় সমস্যা হতে পারে তাই পরিমাণ মতো সবকিছু খাওয়াই ভালো।

পাকা আমের উপকারিতা

আমরা আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে এ বিষয়টি জানতে চলেছি। তবে অবশ্যই একটি বিষয় জানার পূর্বে তার আদ্যপ্রান্ত সবকিছু জানায় বুদ্ধিমানের কাজ। যেহেতু কাঁচা আমের উপকার রয়েছে অনেক তাই পাকা আম সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আমরা কাঁচা আম সম্পর্কেও একটু ধারণা নিয়ে নিলাম। এবার চলুন পাকা আমের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই। বিশ্বজোড়া আমের সুস্বাদু হওয়ার অনেক তারিফ রয়েছে। যার কারণেই আমকে “ফলের রাজা’ বলা হয়। 

সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ। ১০০ গ্রাম পাকা আমে রয়েছে ২৭৪০ মাইক্রগ্রাম ক্যারোটিন। যেহেতু আমে ক্যারোটিনের মাত্রা একটু বেশি। তাই এর মাধ্যমে আমাদের দৈনিক ভিটামিন এ এর চাহিদার ২০% পাকা আম খেয়ে পূরণ করা সম্ভব। আবার শ্বেতসারের ভালো একটি উৎস হচ্ছে পাকা আম। প্রতি ১০০ গ্রাম আমে ২০ গ্রাম শ্বেতসার পাওয়া যায়। এছাড়া পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে এ বিষয়ে নিচে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আসুন প্রথমে পাকা আমের উপকারিতা গুলো পর্যায়ক্রমে জেনে নিই

রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ

আমরা প্রথমে জেনেছি কাঁচা আমের উপকারিতা যেমন রয়েছে ঠিক তেমনি পাকা আম খাওয়ার গুরুত্ব অনেক। কাঁচা আমে ভিটামিন সি থাকার পাশাপাশি পাকা আমে ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তার সঙ্গে প্রোটিনও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ফেলে আর কোলেস্টেরল কম হওয়ার কারণে আমাদের হার্ট অনেকাংশই সুস্থ স্বাভাবিক থাকে। তাই আমাদের খাবার তালিকাতে সিজনাল ফল হিসেবে অবশ্যই পাকা আম রাখতে হবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে

আমরা মোটামুটি ধারনা পেয়েছি যে পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে। আর আপনি যদি আমাদের এই ওয়েবসাইটের আগের আর্টিকেলগুলো পড়ে থাকেন সেখানে ভিটামিন আমাদের শরীরের জন্য কি কি ভূমিকা পালন করে থাকে সে সম্পর্কে লেখা আছে। ভিটামিন আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। পাকা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ২৫ টি বিভিন্ন ধরনের ক্যারোটিন যা কিনা আমাদের শরীরের শক্তি জোগাতে অনেকাংশেই সাহায্য করে। যদি আমরা প্রতিদিন আমের সিজনে নিয়মিত আম খাই তাহলে এই গরমে শরীরকে অসুস্থ হওয়া থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে থাকবে।

হিট স্ট্রোক

আমাদের চারপাশের গাছপালা গুলো দিন দিন কমে যাওয়ার কারণে পৃথিবীতে তাপমাত্রার পরিমাণ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনকার সময়ে গ্রীষ্মকালে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মানুষের বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ে। যার কারনে অনেকে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন এমনকি মারা যান। কিন্তু এত গরমের মধ্যেও যদি কেউ পাকা আম অথবা পাকা আমের জুস কয়েক টুকরো বরফ দিয়ে খায় তাহলে তার শরীরে যেমন প্রশান্তি তৈরি হবে ঠিক তেমনি তিনি হিট স্ট্রোক থেকে বেঁচে যাবেন।

ক্যান্সার প্রতিরোধী ফল

ডাক্তাররা অনেক সময় আমকে ক্যান্সার প্রতিরোধী ফল হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন এবং রোগীদেরকে বোঝান যে পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে। কারণ পাকা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস লিউকেমিয়া, কোলন, স্তন এবং প্রস্টেড জাতীয় ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করে থাকে।

ত্বকের ও চোখের যত্নে

প্রতিদিন আম খাওয়ার কারণে আমাদের ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়। আবার গরমের সময় আমাদের ত্বকে অনেক রকম ফুসকুড়ি দেখা দেয়। যদি আমরা পাকা আম খাই তাহলে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। কারণ আম রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা ত্বকের কোলাজেন তৈরিতে বাধা দেয়। আমরা পাকা আমের কি কি ভিটামিন আছে সে সম্পর্কে হালকা ধারণা পেয়েছি এবং যা বুঝতে পেরেছি সেটি হল পাকা আমে রয়েছে অনেক ভিটামিন আর ভিটামিন এ আমাদের চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে। যদি কারো রাতকানা রোগ হয় তাহলে আম খাওয়ার মাধ্যমে সে ভিটামিন এ এর ঘাটতি পূরণ মাধ্যমে তার রোগ সারাতে পারেন।

এছাড়াও আম খাওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ পাকা আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা শরীর রক্তস্বল্পতা দূর করতে এবং হাড় ভালো রাখতে সাহায্য করে। আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যার কারণে তারা যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয় তাহলে সেটি দ্রুত ভালো হয়ে যায়। বড়দের আম খাওয়ার পাশাপাশি শিশুদের আম খাওয়ার উপকারিতা ও অনেক রয়েছে। তাই নিজেদের যেমন এই সিজনাল ফল খেতে হবে ঠিক তেমনি বাচ্চাদেরও পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে এর উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে হবে এবং পাশাপাশি নিয়মিত আম খাওয়ার পরামর্শ দিতে হবে।

পাকা আমের অপকারিতা

যদিও পাকা আমের এমন কোন অপকারিতা নেই তবে এটি একটি প্রাকৃতিক চিনি জাতীয় খাবারের উৎস। তাই অধিক মাত্রা গ্রহণের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীর পাকা আম খাওয়ার ব্যাপারে একটু সচেতন থাকা জরুরী। তবে ডাক্তার গণ বলে থাকেন, যেহেতু আম একটি প্রাকৃতিক নিয়ে সমৃদ্ধ ফল তাই এটা নিয়ে ঘাবড়ানোর তেমন কোন বিষয় নাই। তবে সব সময় ডায়াবেটিস রোগীদের সব বিষয়ে সচেতন থাকায় শ্রেয়।

পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে

আমরা পাকা আমের এর উপকারিতা এবং পাশাপাশি কাঁচা আমের উপকারিতা সম্পর্কে খুব ভালোভাবে ধারণা পেয়েছি। আমাদের আর্টিকেলের আলোচ্য একটি বিষয় ছিল যে পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে আমরা যদিও উপরে হালকা ধারণা পেয়েছি পাকা আমে কোন ধরনের ভিটামিনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। পাকা আমে কেরাটিন থাকার পাশাপাশি পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং উচ্চমানের শ্বেতসার যেমন রয়েছে ঠিক তেমনি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। 
আর আমরা সকলেই জানি যে ভিটামিন আমাদের শরীরের প্রতি ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। আমে সাধারণত ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি ২, থায়ামিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এই সবগুলো ভিটামিনই আমাদের শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজন। প্রত্যেকটি ভিটামিন আমাদের শারীরিক গঠনের বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আমাদের খাবার তালিকাতে সিজনাল ফল পাকা আমকে অবশ্যই রাখতে হবে।

পাকা আমের পুষ্টিগুণ

আমরা পাকা আমের পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনেছি। ফলের রাজা আমের পুষ্টিগুণের কথা বলে শেষ করা যাবেনা। এক কাপ কাটা আমের মধ্যে ২৫ শতাংশ ভিটামিন এ থাকে। যা চোখের দৃষ্টি ভালো রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া আমরা এটাও বলেছি যে যদি কারো রাতকানা রোগ দেখা দেয় এবং চোখ শুষ্ক হয়ে যায় তাহলে নিয়মিত পাকা আম খাওয়ার মাধ্যমে তার সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব। 

এছাড়া পাকা আম খাওয়ার মাধ্যমে রক্তে কোলেস্ট্রলের মাত্রা কমানো সম্ভব। সুতরাং আমের পুষ্টিগুণ এবং পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে সে বিষয়গুলো ভালোভাবে মাথায় রাখবো এবং অন্যকেও নিয়মিত পাকা আম খাওয়ার পরামর্শ দিব।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা আর্টিকেলের একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আমরা আজকে আমাদের খাবার তালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটি হল সিজনাল ফল পাকা আম সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় আলোচনার মাধ্যমে জানার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও পাকা আমের উপকারিতা, শিশুদের আম খাওয়ার উপকারিতা, পাকা আমের পুষ্টিগুণ এসব বিষয়ে আলোচনা করেছি। আপনাদেরকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। 

যেহেতু বিষয়বস্তুটি অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ তাই পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে এ বিষয়টি আপনি আপনার বন্ধু বা আত্মীয় কে জানানোর জন্য এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন। তাছাড়া স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোন প্রশ্ন আমাদের মন্তব্য বক্সে করতে পারেন আমরা অতিসত্বর সেটির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। পরিশেষে একটাই চাওয়া সকলে সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url