অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করুন ১০ টি উপায়ে

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে শুনতে বিষয়টা একটু আশ্চর্যজনক লাগতে পারে কেননা আমাদের হাতে থাকা স্মার্টফোনটি হতে পারে আমাদের আয়ের উৎস। বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেকেই সেরকম ভাবে জানি না সুতরাং আপনারা যেন আর ঘরে বেকার বসে না থেকে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই আপনি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম 
অনলাইন-ইনকাম-মোবাইল-দিয়ে
করতে পারবেন। আপনারা আজকে অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আরও যে বিষয়গুলো জানতে পারবেন সেগুলো হলো মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায়, মোবাইল দিয়ে প্রতিদিন ৫০০ ডলার আয় করার উপায়, ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায় কিভাবে এবং মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি অনলাইনে ইনকাম মোবাইল দিয়ে জানতে চান তাহলে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

“অনলাইন ইনকাম” সেটাকেই বলা হয়ে থাকে যা কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পরিচালিত হয় এবং সেই অনুযায়ী ব্যক্তি কিছু টাকা ইনকাম করতে পারে। অনলাইন ইনকাম অনেক ধরনের হতে পারে তবে একজন ব্যক্তি যে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারবে কেবলমাত্র সেখান থেকেই অনলাইন ইনকাম করা সম্ভব। আমরা যখন শুনি যে আমাদের পরিচিত কোন ব্যক্তি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করছে তখন আমাদের ভিতরেও একটি প্রয়্যাস জাগে যে যদি আমরা অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো‌ কিন্তু সঠিক পদ্ধতি 

গুলো না জানার ফলে আমরা টাকা ইনকাম করতে ব্যর্থ হই। তাই আপনাদের কথা মাথায় রেখে আজকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সহজ উপায় সংক্রান্ত বিষয়গুলো ব্যাপকভাবে জানানো হবে। একটি স্মার্ট ফোন দিয়েও ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা সম্ভব সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে। যে কোন ব্যক্তি মাত্র ১০ হাজার টাকা মূল্যের স্মার্টফোন দিয়ে অনলাইন ইনকাম শুরু করেছিল যা পরবর্তীতে তার মাসিক ইনকাম ১ লক্ষ পর্যন্ত হয়েছে। তাই হতাশ না হয়ে যদি কেউ অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে কিভাবে করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে তাহলে অবশ্যই সেও অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবে।

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২৪

আপনার হাতে যদি একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থাকে এবং সেখানে যদি ইন্টারনেট সংযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই সেখান থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কেননা বাংলাদেশ এখন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে উচ্চ ধাপে পদার্পণ করেছে। কিন্তু কেউ যদি সঠিক গাইডলাইন না পায় তাহলে কোনভাবেই মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব নয়। আবার গাইডলাইন নেওয়ার পর আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে এবং পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম ব্যতীত কখনোই সঠিক ফলাফল পাওয়া সম্ভব নয়। 
এমনও অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা তাদের জরাজীর্ণ খুপরি ঘর থেকে আলিশান প্রাসাদ বানিয়েছেন অনলাইন ইনকাম করার মাধ্যমে। কিন্তু তাদের শুরুর কাহিনী শুনলে সবাই অবাক হয়ে যাবেন। একটি ছোট্ট ভাঙ্গা স্মার্টফোন দিয়ে শুরু করে এখন অনেকেই কোটিপতি বনে গেছেন। তাই অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করা যে আসলেই সম্ভব সেটা আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায়

মোবাইল দিয়ে কিভাবে ১০টি উপায়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব সে বিষয়ে আমরা আজকে বিস্তারিত জানব। বর্তমান সময়ের টেকনোলজি এত ফাস্ট এবং এডভান্স হয়েছে যে কোন কোন মোবাইল ডিভাইস একটি কম্পিউটারের চাইতেও বেশি রকমের কাজ করতে পারে। বর্তমানে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এক্সেল সকল কাজ মোবাইলে করা সম্ভব। এমনকি Google Doc, Google Excel Sheet সহ অনেক রকম কাজ মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব। আর যেহেতু এগুলো কাজ মোবাইল দিয়ে করা যাচ্ছে তাহলে অবশ্যই টাকা ইনকাম করাও কঠিন কিছু নয়। 

আজকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায় সম্পর্কে আপনি যদি ভালোভাবে জানেন এবং যেকোনো একটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন পাশাপাশি সেখানে সঠিক সময় এবং শ্রম দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি সফলতার শিখরে পৌঁছতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে পর্যায়ক্রমে কোন কোন উপায়ে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।

ব্লগিং অথবা ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ইনকাম

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে এই সম্পর্কিত বিষয়টিতে প্রথম যে উপায়ের কথা বলব সেটি হল ব্লগিং করে অনলাইন ইনকাম করা। আমরা হয়তো অনেকেই ব্লগিং শব্দের সঙ্গে কম বেশি পরিচিত কিন্তু যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে অজ্ঞ রয়েছেন তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে ব্লগিং হলো সেই বিষয়ে যেমন আপনি কোন কিছু জানার জন্য গুগলে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে সার্চ করলেন আপনার সামনে অনেকগুলো ফলাফল চলে আসে। যেগুলোকে ব্লগ ওয়েবসাইট বলা হয়ে থাকে। এখন আপনি যে বিষয়টি জানতে চাচ্ছেন সে অনুযায়ী আপনি একটি ব্লগ ওয়েবসাইটে ক্লিক করলেন তারপরে আপনার সামনে বিস্তারিত 

একটি বিষয় পরিলক্ষিত হয় সেটিকে বলা হয় আর্টিকেল। এই মুহূর্তে আপনি যদি আমাদের এই অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে পড়তে থাকেন এটাও একটি ব্লগ সাইট আর্টিকেলের নমুনা বিশেষ। কোন ব্যক্তি যদি ব্লগ থেকে ইনকাম করতে চায় তাহলে ব্লগার ডট কম ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি ফ্রি ব্লগের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে এবং ডোমেন ক্রয় করে সেখানে তার নিজস্ব অভিমত অনুযায়ী আর্টিকেল পাবলিশ করার মাধ্যমে গুগল এডসেন্সে সে অনুযায়ী ডলার জমা হবে। তবে গুগল এডসেন্স পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু শর্ত মেনে আবেদন করতে হবে। 

এডসেন্স পাওয়ার পর আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে যদি ট্রাফিক আসা শুরু হয় তখন আপনি আপনার গুগল এডসেন্সে দেখতে পারবেন যে ধীরে ধীরে ডলার আসা শুরু হয়েছে। আর এই পুরো কার্যক্রমটি আপনি মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন। আপনার মোবাইলের Google Chrome ব্রাউজারে গিয়ে blogger.com লিখে সার্চ করলে আপনার সাথে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করার সবকিছু সামনে চলে আসবে। একটি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ১০ মিনিটের মত সময় লাগতে পারে। তারপর আপনার ক্রয়াইজি তো ডোমেন অনুযায়ী আপনি আপনার ব্লগ সাইডে সাইন আপ করবেন এবং মোবাইল দিয়েই 

প্রতিদিন আর্টিকেল পাবলিশ করতে থাকবেন। একসময় আপনি দেখবেন আপনার অনলাইন টাকা ইনকাম শুরু হয়ে গেছে। শুধুমাত্র অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে কিভাবে করা যায় এ বিষয়টি সম্পর্কে না জানার জন্য অনেকেই ঘরে বসে থাকে তাহলে মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করার মাধ্যমে কি পরিমান টাকা ইনকাম করা সম্ভব তা আমরা অনেকেই ভাবতে পারিনা। তাহলে আর দেরি না করে আপনি আজ থেকেই শুরু করে দিতে পারেন ব্লগিং এবং আপনার ধৈর্য এবং পরিশ্রম যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই একদিন না একদিন আপনি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে সফলতা অর্জন করবেন।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায় গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় উপায় হল youtube থেকে টাকা ইনকাম করা। আমরা সারাদিন youtube এ নানা রকম ভিডিও দেখে থাকি কিন্তু ভিডিও দেখার সময় কিছু অ্যাড আমাদের সামনে চলে আসে। আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কেন এই এড গুলো আসে। আসলে কোম্পানিগুলো ইউটিউব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে অর্থাৎ শো করালে সেখান থেকে ইউটিউব কে কিছু টাকা প্রদান করতে হয়। আর youtube তখন ওই অ্যাড কোম্পানি গুলোর অ্যাড সমূহ বিভিন্ন ভিডিওর মাঝে প্রদান করে থাকে। তাহলে ভিডিওগুলো কে বানায় আসলে ভিডিওগুলো 

আমাদের মত সাধারন জনগণ বানিয়ে থাকে এবং ইউটিউব ওই এড কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত টাকার কিছু অংশ ভিডিও ক্রিয়েটরদের প্রদান করে। তাই আপনি অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে খুব সহজে কিভাবে করা যায় ভেবে থাকেন তাহলে আজই খুলে ফেলুন একটি ইউটিউব চ্যানেল। প্রথমে আপনি ভেবে নিন কোন বিষয়ের উপর ভিডিও বানাতে চান অর্থাৎ যে বিষয় সংক্রান্ত আপনার দক্ষতা বেশি রয়েছে সেই বিষয়ের উপরে ভিডিও তৈরি করা প্রয়োজন। আপনি আপনার মোবাইল ডিভাইসের গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে ইউটিউব ডট কম লিখে সার্চ দিলে আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস চলে 

আসবে। সেখানে ক্লিক করলে আপনাকে একটি “create account” অপশন দেখাবে তারপর আপনি আপনার একটি জিমেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করবেন। অর্থাৎ আপনার প্রধানকৃত “Gmail Account” দিয়ে লগইন করার মাধ্যমে আপনি আপনার নতুন ইউটিউব চ্যানেলে প্রবেশ করতে পারবেন। তারপর আপনি যে বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সেই বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করবেন। অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে তবে অবশ্যই ভিডিওগুলো আপনার নিজে তৈরিকৃত হতে হবে। যদি আপনি 
অন্যের ভিডিও ডাউনলোড করে আপলোড করেন তাহলে আপনার চ্যানেলে copyright claim চলে আসবে। যার ফলে আপনার চ্যানেল ডিজেবল হয়ে যাবে। তাই আপনার ভিডিওতে আপনার ফেস আপনার ভয়েস সব আপনার নিজস্ব হতে হবে। তারপর youtube কর্তৃপক্ষ আপনাকে একটি ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে বলবে, অর্থাৎ এক বছরের মধ্যে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম ফিলাপ করলে আপনি Google AdSense এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। যেটাকে Monetization বলা হয়ে থাকে এবং পরবর্তী সময়ে আপনি ভিডিও আপলোড করার পর নির্দিষ্ট ভাবে ভিউজ অনুযায়ী আপনার এডসেন্স একাউন্টে ডলার জমতে শুরু করবে।

ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করার জন্য যেমন ইউটিউব চ্যানেল খুলে করা সম্ভব ঠিক তেমনি ইউটিউবের মতোই ফেসবুক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। বাংলাদেশে এখন সকলের কমবেশি ফেসবুক একাউন্ট রয়েছে আর আপনার যদি একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে সেখানে আপনি একটি আপনার নামে বা যে কোন নামে ফেসবুক পেজ খুলতে পারবেন। আর এ ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। ট্রেন্ডিং সকল বিষয়বস্তু যেমন Couple Vlog, Cooking Related Video পাশাপাশি সাম্প্রতিক কোন কিছু নিয়ে ভিডিও তৈরি করে ফেসবুক পেজে আপলোড 

করলে প্রচুর পরিমাণ ভিউ জেনারেট হয়‌। আর সেখান থেকে অনেক অনেক ডলার ইনকাম করা যায়। ফেসবুক পেজ খোলা খুবই সহজ একটি কাজ আপনি আপনার ফেসবুক একাউন্টে প্রবেশ করার পর দেখবেন সেখানে create a page নামক অপশন রয়েছে। আপনি পেজটি খুলবেন এখানেও ইউটিউবের মতো কিছু ক্রাইটেরিয়া আপনাকে পূরণ করতে হবে। আপনি যদি ইউটিউবের মতো ফেসবুকে মনিটাইজেশন কমপ্লিট করতে পারেন তাহলে সেখানেও আপনি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ডলার ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও ফেসবুক থেকে অন্যান্য উপায়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয়। 

যেমন ইনস্ট্রিম অ্যাড পেজে পেইড সাবস্ক্রিপশন যোগ করার মাধ্যমে আপনার যদি প্রচুর পরিমাণে ফলোয়ার হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যান্ডের সঙ্গে কোলাবারেশন করার মাধ্যমে অনলাইন পেইড ইভেন্ট আবার আপনার যদি অনলাইন স্টোর থাকে সেখানে ফলোয়ারদের নিয়ে যান এবং সেখান থেকেও সেল আসার মাধ্যমে ইনকাম জেনারেট হবে। আর এ সকল প্রক্রিয়াগুলো অর্থাৎ অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করার জন্য এবং মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায় হিসেবে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম পদ্ধতি বেছে নেন। 

তাহলে আপনাকে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে না শুধু আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে আপনার ভিডিওগুলোতে ভিউজ এর সংখ্যা কম আসবে তাই ধৈর্যধারণ এ পর্যায়ে খুবই জরুরী।

ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা ইনকাম

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় হিসেবে ইনস্টাগ্রাম বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমান সময়ে একজন instagram account খুলে সেখান থেকে বিভিন্নভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে আপনার মোবাইলে instagram অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে তারপর সেখানে একাউন্ট খুলতে হবে। আর এই অ্যাকাউন্ট খোলা খুবই সহজ তবে কঠিন বিষয় হলো instagram এ ফলোয়ার তৈরি করা। আর এই সকল ফলোয়ারের মাধ্যমেই টাকা ইনকাম হয়ে থাকে কারণ এখানে আপনাকে একজন Social Media Influencer হিসেবে কাজ করতে হবে। 

আর এই কাজটি হল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসগুলো আপনার instagram এ শেয়ার করা আর এ শেয়ারের মাধ্যমে যদি সেখান থেকে সার্ভিস অথবা প্রোডাক্ট সেল হয়। সেখান থেকে উক্ত কোম্পানি আপনাকে কমিশন দিবে বিষয়টি অনেকটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত হয়ে থাকে। তবে উক্ত কাজগুলো করার জন্য অবশ্যই প্রোডাক্টের সুন্দর ছবি এবং সার্ভিস প্রোভাইড করার জন্য বিস্তারিত কাস্টমারকে অর্থাৎ আপনার ফলোয়ারদের জানাতে হবে এবং বোঝাতে হবে তাহলেই আপনি ইনস্টাগ্রাম থেকে অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন। আর এ সকল বিষয়গুলো করার জন্য আপনার একটি হাতের স্মার্টফোন থাকাই যথেষ্ট।

সার্ভে করে ইনকাম

কিছুদিন আগে থেকে আরো একটি অনলাইন ইনকাম করার বিশেষ একটি পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যেহেতু এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই অবগত বা বিস্তারিত জানেন না তাই আপনি চাইলে ক্ষার হয়ে করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইনে সার্ভে করে টাকা আয় করার ব্যাপক পরিমাণে ওয়েবসাইট রয়েছে তবে ওয়েবসাইট গুলোতে প্রবেশ করার জন্য আপনার কোন কম্পিউটারের প্রয়োজন হবে না। আপনি আপনার মোবাইল থেকে সেই সকল ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে অনেক ফেক ওয়েবসাইট থাকতে পারে আপনাকে সেগুলো পর্যবেক্ষণের 

মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যে উক্ত ওয়েবসাইট গুলো আপনার সাথে কোন রকম প্রতারণা করবে না। ভালো কিছু ওয়েবসাইটের মধ্যে রয়েছে Swagbucks, Inbox Dollars, Branded Survey উল্লেখযোগ্য। আপনি আপনার মোবাইল থেকে গুগলে এসব সার্ভে ওয়েবসাইটগুলোর নাম লিখে সার্চ দিবেন এবং সেখানে সাইন আপ করে নিবেন। সাইন আপ করার পর সেখানে প্রবেশ করলে আপনাকে অনেকগুলো সার্ভে করার বিষয়ে টাস্ক পূরণ করতে হবে। পেইড সার্ভে গুলোতে সাধারণত কোম্পানি অথবা প্রোডাক্ট এর উপরে আপনার থেকে পরামর্শ এবং মতামত নেয়া হবে।

বিকাশ অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম

কমবেশি আমাদের সকলেরই বিকাশ এর একাউন্ট রয়েছে। কিন্তু এই বিকাশ থেকেই যে টাকা ইনকাম করা সম্ভব সেটা আমরা অনেকেই জানিনা আর বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে পাশাপাশি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায় গুলোর মধ্যে বিকাশ থেকে ইনকাম অনেকটাই সহজ। একটি মাধ্যম আর কোন ব্যক্তি যদি শুধুমাত্র মোবাইল সম্পর্কে অল্প পরিমাণে জ্ঞান রয়েছে সেও এ কাজটি করে টাকা ইনকাম করতে পারবে। তাহলে আসুন জেনে নেই কিভাবে বিকাশ অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয়। আপনি আপনার বিকাশ একাউন্টে লগইন করুন এবং 

সেখানে ডান দিকে দেখতে পাবেন একটি লোগো রয়েছে। লোগোতে ক্লিক করুন ক্লিক করার পর আপনি “রেফার বিকাশ” নামক একটি অপশন পেয়ে যাবেন সেখানে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর আপনি দেখবেন আপনাকে একটি “রেফার লিংক’ শো করছে। এখন আপনার কাজ হবে লিংকটি কপি করা এবং অপ্রিত লিঙ্ক আপনার বন্ধু অথবা পরিচিত ব্যক্তিদের imo, whatsapp messenger, email, sms এর মাধ্যমে শেয়ার করতে হবে। তারপর শেয়ারকৃত লিংকে যদি উক্ত ব্যক্তিরা ক্লিক করে এবং ক্লিক করার পর বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে তাহলে সেখান থেকে আপনাকে কিছু টাকা কমিশন দেওয়া 

হবে। কমিশনের পরিমাণ হলো প্রতি লিংকে ক্লিক করার পর উক্ত ব্যক্তিরা ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যমে একটি বিকাশ একাউন্ট খোলার মাধ্যমে শেয়ারকৃত ব্যক্তি পাবেন ২৫ টাকা কমিশন এবং পরবর্তীতে মোবাইল রিচার্জ বা ক্যাশ আউট করলে আরো পাবেন ২৫ টাকা ক্যাশ ব্যাক। এভাবে অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব তাও আবার বিকাশ অ্যাপ থেকে। তবে আপনি যত বেশি লিংক শেয়ার করবেন এবং সেখান থেকে একাউন্ট ক্রিয়েট হবে আপনার কমিশনের পরিমাণ বাড়তে থাকবে।

ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম

ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি আমরা কমবেশি অনেকেই জানি আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক সকল তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ কৃত আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য শুধু যে কম্পিউটারের প্রয়োজন তা নয় ফ্রিল্যান্সিংয়ের সকল সেক্টর গুলো নয় কিছু সেক্টর রয়েছে যেগুলো মোবাইল দ্বারা করা সম্ভব। আপনার হাতের স্মার্ট ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং জগতের কিছু সহজ কাজ রয়েছে যা করার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম 

করতে পারবেন। তবে আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে ফ্রিল্যান্সিং এর যে সকল উচ্চ পর্যায়ের কাজ হয় সেগুলো করার জন্য অবশ্যই একটি কম্পিউটারের অথবা ল্যাপটপের প্রয়োজন পড়বে। তাহলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কাজগুলো মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব সেগুলো নিচে দেওয়া হল।
  • কনটেন্ট রাইটিং
  • কপিরাইটিং
  • ব্লগ কমেন্টিং
  • ফোরাম পোস্টিং
  • ট্রান্সলেশন
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন রাইটিং
  • প্রুফরিডিং
  • ট্রান্সক্রিপশন
উপরে বর্ণিত কাজ সম্পর্কে অর্থাৎ কাজগুলো কি ভাবে করতে হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি কাজগুলো করার জন্য আপনাকে কোন রকম কম্পিউটার ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে না। আপনি আপনার হাতের ফোন দিয়ে আপাতত কাজগুলো চালিয়ে নিতে পারবেন। পরবর্তীতে যদি আপনার বাজেট চলে আসে তাহলে একটি কম্পিউটার কিনে নিতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা অনেকে কমবেশি ধারণা রাখি। তবে কম্পিউটার ছাড়াও মোবাইল দিয়ে এই মার্কেটিং করা সম্ভব। সর্ব প্রথম কোন সেক্টরে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম দিতে চাচ্ছেন সেটি পছন্দ করতে হবে। তবে বেশিরভাগ সবাই অ্যামাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম নিতে পছন্দ করে আর এটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় একটি ই-কমার্স সাইট। তাই আপনি যদি অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করার পরিকল্পনা করতে চান তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায় গুলোর মধ্যে অবশ্যই রাখবেন। সেজন্য আপনার মোবাইল ব্রাউজার 
এগিয়ে লিখতে হবে amazon.com তারপর সেখানে আপনাকে একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামিং নিতে হবে। বর্তমানে প্রায় ৩০ লক্ষ এর বেশি মানুষ এই প্রোগ্রামিং এর আওতায় রয়েছে এবং তারা ঘরে বসে লক্ষ লক্ষ ডলার ইনকাম করছে। ফেসবুক অথবা ইউটিউবে ব্র্যান্ড প্রমোশনের মাধ্যমে যেভাবে টাকা ইনকাম করা যায় ঠিক এভাবে amazon প্ল্যাটফর্ম থেকেও টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয়। তবে একজন প্রফেশনাল এফিলিয়েট প্রোগ্রামার হওয়ার জন্য নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকা খুবই জরুরী। 

ঠিক যেমন facebook page অথবা instagram একাউন্ট এর মাধ্যমে ব্র্যান্ড প্রমোশন অথবা সেল করা হয়ে থাকে। ঠিক এভাবেই amazon ই-কমার্স ওয়েবসাইট আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রোডাক্ট ইনক্লুড করার মাধ্যমে যদি সেল আসে তাহলে আপনি amazon থেকে উক্ত সেল অনুযায়ী কমিশন পাবেন।

ভিডিও বা ছবি বিক্রি করে ইনকাম

আপনি আপনার স্মার্টফোনে ধারণকৃত ভিডিও অথবা ছবি বিক্রি করেও অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেহেতু এই কাজগুলো মোবাইল দিয়েই হবে অর্থাৎ আপনি ছবি অথবা ভিডিওগুলো মোবাইল দিয়েই ধারণ করবেন। সেহেতু অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে বিষয়টি আরো সহজ হয়ে গেল। আসুন তাহলে এবার জেনে নিব কিভাবে ভিডিও এবং ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আপনি আপনার স্মার্টফোনে ক্যামেরা দিয়ে ছবি অথবা ভিডিও ধারণ করবেন তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ছবি এবং ভিডিওগুলোর কোয়ালিটি খুবই ভালো মানের হতে হবে। 

এরপর ছবি এবং ভিডিও গুলো কিছু নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে তারা ছবি এবং ভিডিও ক্রয় করে থাকে। আপনার মোবাইলের ভিডিও এবং ছবিগুলো সেখানে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন নিচে পাঁচটি ওয়েবসাইটের নাম দেয়া হলো। যারা ছবি এবং ভিডিও ক্রয় করে থাকে।
  1. শাটারস্টক
  2. ফোপ
  3. আইএম
  4. ড্রিমসটাইম
  5. স্ন্যাপওয়্যার
এই ওয়েবসাইট ব্যতীত আরও অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ছবি এবং ভিডিও ক্রয় করে থাকে। আপাতত এই পাঁচটি ওয়েবসাইটে আপনি আপনার মোবাইলে তোলা ছবিগুলো বিক্রি করে টাকা ইনকাম শুরু করতে পারেন। পরবর্তীতে আপনি আরো ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানার পর সেগুলোতেও আপনার ছবি এবং ভিডিও বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যাপস থেকে টাকা ইনকাম

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে করার জন্য যে ১০ উপায়ের কথা বলেছি তার মধ্যে সর্বশেষ এই উপায়টি হলো অ্যাপস থেকে টাকা ইনকাম। যদিও অ্যাপস থেকে টাকা ইনকাম করা বর্তমান সময়ে একটু কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে যদি ভালো মানের অ্যাপস হয় তাহলে অবশ্যই টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে অবশ্যই সেই সকল অ্যাপসে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। যেই অ্যাপসগুলো খুবই নতুন অর্থাৎ মাত্র এক সপ্তাহ হয়েছে অ্যাপসগুলো বাজারে এসেছে এই অ্যাপসগুলোতে টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন এবং দুই থেকে তিন বার টাকা উইথড্র করার পর আর সেখানে বিনিয়োগ করার প্রয়োজন 

নেই। কারণ পরবর্তীতে সেই অ্যাপসগুলো ডিজেবল হয়ে যায় এবং আপনি যদি বিনিয়োগ করে ফেলেন তাহলে আপনার বিনিয়োগ কৃত টাকাগুলো আর কখনোই ফিরে আসবে না। বর্তমানে যে অ্যাপগুলো বাজারে রয়েছে তার মধ্যে Pocket money, Pol Pay, Earn Beauty বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে অবশ্যই অ্যাপস থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে নিজে সাবধান হতে হবে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকে আমরা অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার বিষয়ে জানলাম এবং সেটি কিভাবে মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব সেটিও বুঝতে পারলাম। আশা করি আপনারা অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে কিভাবে করতে হয় সেই পদ্ধতি গুলো সঠিকভাবে অবলম্বন করতে পারবেন। পাশাপাশি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায় যেগুলো রয়েছে তার মধ্যে একটি উপায় অবলম্বন করুন এবং আপনার দক্ষতা অনুযায়ী সফলতার শীর্ষে পৌঁছে যান। তবে আপনাদের জ্ঞাতার্থে এটাই জানিয়ে রাখি যে আপনি কোথাও যদি টাকা বিনিয়োগ করতে চান তাহলে অবশ্যই ভেবে চিন্তে সঠিক 

সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করবেন। আমরা শুধু আপনাদেরকে পথ প্রদর্শন করেছি বাকি পথগুলো আপনাদের নিজেই চলতে হবে। আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সংক্রান্ত বিষয়ে যদি আপনার কোন মতবাদ থেকে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে সেটি জানাতে পারেন। অনলাইন ইনকাম রিলেটেড সকল পোস্টগুলো পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। অন্যরাও যেন এ বিষয়ে সম্বন্ধে জানতে পারে সেই প্রেক্ষিতে আজকের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url