৭ দিনে ১০ বা ২০ কেজি ওজন কমানোর খাবার তালিকা

ওজন কমানোর খাবার তালিকা তারাই বিভিন্নভাবে জানার চেষ্টা করে থাকেন যাদের ওজন অনেক বেশি। সাধারণ অবস্থায় যে রকম ওজন থাকার দরকার অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এর কারণে তাদের ওজন অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া অধিক ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ শারীরিক অসুস্থতাও তৈরি হয়। বিশেষ করে হার্টের চারপাশে এবং লিভার চর্বিতে ঢেকে যায়। যার ফলে মোটা মানুষদের শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া হাই প্রেসার তো সাথে আছেই। 
ওজন-কমানোর-খাবার-তালিকা
যদি একজন মোটা শরীরের অধিকারী মানুষ ওজন কমানোর খাবার তালিকা অনুসরণ করেন এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করেন তাহলে অবশ্যই তার ওজন কমানো সম্ভব। তবে খেয়াল রাখা জরুরী এটা একদিনে কখনোই সম্ভব নয়। যদি আপনি একদিন খাবার তালিকা ফলো করেন এবং তিনদিন শরীরচর্চা করে ছেড়ে দেন তাহলে কখনোই আপনার ওজন কমবে না। অর্থাৎ স্বাভাবিক ওজনে আসার জন্য আপনাকে অবশ্যই খাবার রুটিন পরিবর্তন করতে হবে। সেজন্য আজকের এই আর্টিকেলে ওজন 

কমানোর খাবার তালিকা জানার পাশাপাশি আরও যেগুলো বিষয় আলোচনা করা হবে সেগুলো হল ওজন কমানোর জন্য কোন খাবার খেতে হবে, ওজন কমানোর জন্য সকালে খালি পেটে কি খেতে হবে, ওজন কমাতে যে খাবার বাদ দিতে হবে, দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট, ওজন কমাতে দিনে কত ক্যালরি খেতে হবে ও ৭ দিনে বা ১০ কেজি বা ২০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট এবং ওজন কমানোর রুটিন এ সকল বিষয় সম্পর্কে। তাহলে চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

শরীরের ওজন কমানোর জন্য বা বাড়ানোর জন্য স্থূলতার মত রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাসকে সাধারণত ডায়েটিং বলা হয়ে থাকে। ওজন কমানোর বিষয়টা ক্যালরি গ্রহনের উপর নির্ভর করে থাকে। ঠিক তেমনি যদি বেশি খাবার অর্থাৎ বেশি ক্যালরি গ্রহণ করা হয় তাহলে অবশ্যই ওজন বৃদ্ধি পায়। কিছু নির্দেশিকা অনুসরণ করলে স্পষ্ট বোঝা যায় যে ওজন কমানোর জন্য ডায়েটিং এর তুলনা নেই। যদি কেউ মনে করেন যে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে ওজন কমাবেন তাহলে তার ধারণাটি ভুল। 

কারণ ওষধ গ্রহণের মাধ্যমে ওজন কমানো সম্ভব নয় বরং উল্টাপাল্টা ওষুধ সেবনের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম অঙ্গহানি ঘটতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে যাদের ওজন এমনিতেই কম তাদের কোন ওজন কমানোর প্রয়োজন নেই। ওজন কম থাকলে যদি কেউ ডায়েটিং করে তাহলে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ওজন কমানোর উপায়

ওজন কমানোর উপায় বলতে গেলে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি আসবে সেটি হল ওজন কমানোর খাবার তালিকা অনুসরণ করা। অর্থাৎ বিস্কুট কিংবা আইসক্রিম খেয়ে ক্ষুধা নিবারণের পরিবর্তে আপেল আঙ্গুর কমলালেবু অথবা শসা খেতে হবে। যার ফলে অতিরিক্ত ফ্যাট শরীরে জমা হবে না। আর পুষ্টি সম্পূর্ণ ফলগুলো খাওয়ার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আবার অনেকে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় খুঁজতে গিয়ে বিভিন্নভাবে ফার্মেসির দোকান থেকে অযথা ওষুধ সেবন করে থাকেন। 
যা কোন কাজে আসে না বরং কিডনির জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ওষুধ সেবন না করে প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোই বুদ্ধিমানের কাজ। সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে এবং নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি আর ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন।

ওজন কমানোর খাবার তালিকা

আমরা প্রথমেই জেনেছি যে মোটা হয়ে যাওয়া কারো জন্যই শুভ কর নয় বরং সেটি অনেক কষ্টদায়ক এবং বিরক্তিকর। সাধারণত কেউ মোটা হতে চায় না কারণ মোটা শরীর নিজস্ব সৌন্দর্যকে নষ্ট করে। পাশাপাশি মোটা শরীরের অনেক রোগের স্থান হয়ে ওঠে। একটি ভালো সুস্থ জীবন গড়ে তোলার জন্য অবশ্যই একটি সুস্থ সবল শরীর প্রয়োজন। তাই অবশ্যই সবাইকে ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ওজন কমানোর খাবার তালিকা অনুসরণের পাশাপাশি নিজের ফিটনেস ঠিক করার জন্য নিয়মিত জিমে যাওয়া প্রয়োজন। 

আমরা যদি একটি সুষম খাবার চার্ট প্রতিদিন অনুসরণ করি যেখানে ভিটামিন এবং মিনারেলস এর উপস্থিতি থাকবে। পাশাপাশি সুস্থ্য সবল শরীর গড়ে তোলার জন্য যা যা প্রয়োজন সবকিছু ওই খাবারটাকে থাকবে। তাহলে আমরা অবশ্যই একটি সুস্থ সবল সুন্দর লাইফ স্টাইল পেয়ে যাব। তাই পাঠকগণ আসুন আমরা সেই সুষম খাবার তালিকা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করি।

ওজন কমানোর জন্য কোন খাবার খেতে হবে

আশা করি আপনারা এই পর্যন্ত বুঝতে পেরেছেন যে ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই আমাদেরকে ফ্যাট মুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। অবশ্যই ঘরে তৈরি কৃত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বাহিরের যেসব খাবার রয়েছে তা যদি নিয়মিত খাওয়া হয় তাহলে আমাদের ওজন কখনোই কমবে না বরং আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হব। আবার আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে আমরা যদি দুই থেকে তিন দিন সঠিক রুটিন ফলো করি আবার এক সপ্তাহের মতো জিমে যাই তারপর সবকিছু ছেড়ে দিয়ে আগের লাইফ স্টাইলে ফিরে আসি তাহলে কখনোই আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে আসবে না। নিচে পর্যায়ক্রমে সুষম খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার

আমাদের ওজন কমানোর খাবার তালিকা তে অবশ্যই কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার থাকবে। শর্করা অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীরকে শক্তি জাগাতে সাহায্য করে। তাই আমাদের খাবারের রুটিনে শর্করা জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটি, আলু, মুড়ি, চিড়া, গম, ভুট্টা ইত্যাদি রাখতে হবে।

আমিষ জাতীয় খাবার

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং অভ্যন্তরীণ শারীরিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবশ্যই আমাদের আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। আমিসের ঘাটতি পূরণ করার জন্য আমরা গরু অথবা ছাগলের মাংস, মাছ, ডিম, সিমের বীজ, বাদাম এগুলো খেতে পারি।

ভিটামিন ও খনিজ লবণ

আমাদের শরীরে স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য ভিটামিনের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের ওজন কমানোর খাবার তালিকা তে অবশ্যই ভিটামিন ও খনিজ লবণ রাখতে হবে। এছাড়াও ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। ওজন কমানোর জন্য কোন খাবার খেতে হবে আবার খনিজ লবণ দেহের কোষ ও দেহ তরলের জন্য কাজ করে থাকে। খনিজ লবণ সাধারণত ক্যালসিয়াম সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্লোরিন আয়োডিনের এসব লবণ জাতীয় দ্রব্যের সাথে শরীরে প্রবেশ করে এবং দেহ গঠনে সাহায্য করে।

পানি

আমরা সকলেই জানি পানির অপর নাম জীবন। তাই ওজন কমানোর খাবার তালিকা তে পানির উপস্থিতি অপরিহার্য। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন তিন থেকে চার লিটার পানি পান করা উচিত। তবে পানির কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমরা নিচে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানার চেষ্টা করব।

ওজন কমাতে যে খাবার বাদ দিতে হবে

আমরা এতক্ষণ ধরে আলোচনা করলাম যে কোন খাবারগুলো আমাদের ওজন কমানোর খাবার তালিকা তে রাখা উচিত। এখন আমরা জানবো যে ওজন কমাতে যে খাবার বাদ দিতে হবে অর্থাৎ কোন খাবার গুলো আমাদের শরীরের জন্য খারাপ প্রভাব ফেলে সেই খাবারগুলো আমরা পরিহার করে চলব আমরা। সর্বপ্রথমেই জেনেছি যে আমাদেরকে বাইরের খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে। কেননা বাইরের খাবার গুলো সাধারণত অস্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। তাই সে খাবারগুলো পরিহার করে চলা উচিত। 
ডাক্তারগণ বলে থাকেন যে, ওজন কমানোর জন্য সাদা খাবার বাদ দিতে। আজকে আমরা জানবো কোন কোন সাদা খাবার গুলো বাদ দেয়া উচিত।

সাদা পাউরুটি

সকালের নাস্তায় আমরা অনেকেই সাদা পাউরুটি খেয়ে থাকি। কিন্তু আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান এবং একটি সুন্দর ফিট শরীর পেতে চান তাহলে অবশ্যই সাদা পাউরুটি খাওয়া বাদ দিতে হবে। সাদা পাউরুটিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং কৃত্রিম চিনি সাথে আরো অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ যা কিনা আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে ভূমিকা পালন করে থাকে।

সাদা চিনি

চিনি এমনিতেই আমাদের ওজনকে বাড়িয়ে দেয়। তাই ওজন কমানোর খাবার তালিকা তে আমরা চিনিকে একদমই রাখবো না। যদি আমরা সঠিক নিয়মে শরীর চর্চা করি আবার সবকিছু অনুসরণ করে চলি কিন্তু নিয়মিত চিনি খাই তাহলে আমাদের এই পরিশ্রম কোন কাজে আসবে না। চিনির পরিবর্তে আমরা মধু খেতে পারি যা আমাদের শরীরের ক্ষতি করবে না বরং উপকারে আসবে।

সাদা ভাত

আমরা জেনেছি যে আমাদের সুষম খাবার তালিকা তে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা রাখতে হবে। এবার প্রশ্ন হল সাদা ভাত তো শর্করা জাতীয় খাবার তাহলে আমরা কিভাবে এটি বাদ দিব। যেহেতু আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। আমাদের খাবার তালিকাতে ভাত অবশ্যই রাখতে হবে পাশাপাশি আমাদের শরীর গঠনে কার্বোহাইড্রেট এর ভূমিকা রয়েছে। তাই আমাদের খাবার তালিকাতে আমরা অবশ্যই ভাতকে রাখবো। তবে আমরা শুধু একবেলা ভাত খাব অর্থাৎ দুপুরে এক কাপ ভাত সাথে পরিমাণ মতো সবজি খেয়ে নিব।

দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

আমরা এই আর্টিকেলের সর্বপ্রথম যে বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি যে একবারে খাবার না খেয়ে থেকে ওজন কমানো সম্ভব নয়। আমাদেরকে অবশ্যই খাবার গ্রহণ করতে হবে তবে সেটি পরিমাণ মতো খাওয়াটা অনেক জরুরী। আমাদের শরীরের জন্য প্রতিদিন ১২০০ থেকে ১৮০০ ক্যালোরির প্রয়োজন হয়। আমরা যদি একটি সুষম খাদ্য চার্ট অনুসরণ করতে চাই তাহলে বিষয়টা কেমন হবে সেটি নিচে বর্ণনা করা হলো।
  • সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারে ৩০০ থেকে ৩৫০ ক্যালোরি খাবার রাখতে হবে।
  • বাকি অন্যান্য খাবার গুলো ৪০০ ক্যালরির মধ্যে রাখতে হবে। পাশাপাশি অন্যান্য জিনিস খেতে হবে।
  • ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি চা হিসেবে পান করতে পারেন।
  • আটা বা সাদা চালের পরিবর্তে বাদামি চালের যে কোন খাবার করতে হবে।
পাঠকগণ আপনাদের সুবিধার্থে ওজন কমানোর খাবার তালিকা অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করলে কত কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো যায় সে বিষয়ে এবার পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে।

১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

মানুষের পক্ষে অসম্ভব বলে কিছু নেই। যদি মানুষ চেষ্টা করে তাহলে সবকিছু করাই সম্ভব। তবে সবকিছু করার জন্য অবশ্যই ধৈর্য থাকা খুবই জরুরী। যদি আপনি ধৈর্যশীল না হোন তাহলে কখনোই আপনি আপনার কাঙ্খিত ফলাফলের পৌঁছাতে পারবেন না। উদাহরণস্বরূপ আজকে থেকে যদি কেউ সুষম খাবার খাওয়া শুরু করে পাশাপাশি নিয়মিত জিমেও যায় তাহলে এক থেকে দুই দিনে কখনোই ওজন কমানো সম্ভব নয়। 

তবে কেউ যদি মিনিমাম দুই মাস আমাদের ১০ কেজি ওজন কমানোর খাবার তালিকা অর্থাৎ ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট টি ভালোভাবে অনুসরণ করে তাহলে অবশ্যই তার ১০ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। নিচে তালিকা আকারে ডায়েট চার্ট টি দেয়া হলো।

সকালের খাবার

দুপুরের খাবার

বিকালের হালকা নাস্তা

রাতের খাবার 

সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে একগ্লাস গরম পানিতে দুই চামচ মধু ও লেবু মিশিয়ে পান করতে হবে  তারপর এক ঘন্টা এক্সারসাইজ 


বাদামী চালের ভাত এক কাপ ভাতের বদলে রুটিও খাওয়া যেতে পারে

চিনি ছাড়া এক কাপ গ্রিন টি এবং সাথে চিনিমুক্ত বিস্কুট।

গ্রিন টি ওজন কমাতে ব্যাপক সাহায্য করে থাকে 

এক থেকে দুইটি আটার রুটি খেতে হবে রাতে ভাত খাওয়া নিষেধ।

সকাল ৮ টার দিকে একটি আপেল অথবা একটি কমলা


ভাতের সঙ্গে এক বাটি ডাল অথবা পরিমাণ মত সবজি নিতে হবে।

অবশ্যই রান্নায় তেলের পরিমাণ কম দিতে হবে

ভেজানো কাঁচা ছোলা সাথে কিসমিস ও খেজুর

রুটি সঙ্গে পরিমাণ মতো সবজি এবং ডাল।

এক টুকরো মাছ অথবা ডিম

এক গ্লাস পানিতে 30 মিনিট আগে ভিজিয়ে রাখা ইসবগুলের ভুষি খেতে হবে 

 ১০ দিনের মধ্যে ৫ দিন (একদিন পরপর) গমের আটার পাতলা রুটি খেতে পারবেযদি সুপ খেতে পছন্দ করে থাকে তাহলে সুপ খেতে পারবে

যে কোন রকম সালাদ সেটা হতে পারে শসা, খিরা, মূলা ইত্যাদি।

দশ দিনের মধ্যে তিন দিন যেকোনো মাংস অল্প পরিমাণে খেতে পারবে 

ফল অথবা ফলের রস তবে অবশ্যই ফলের রস চিনিমুক্ত হতে হবে।

বিকেলে অবশ্যই এক ঘন্টা ব্যায়াম করতে হবে

এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস চিপে পান করতে হবে

 এছাড়া সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে প্রতিদিন মিনিমাম চার থেকে পাঁচ লিটার পানি পান করা উচিত 

আমরা এতক্ষণ ধরে ১০ কেজি ওজন কমানোর খাবার তালিকা অর্থাৎ সুষম খাবার গ্রহণের মাধ্যমে ডায়েট চার্ট এর নমুনাটি দেখলাম। তবে অবশ্যই সতর্ক থাকা প্রয়োজন যে আপনি কম খাবার গ্রহণের মাধ্যমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কিনা অথবা আপনার যদি কোন রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

২০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

আমরা উপরে দশ কেজি ওজন কমানোর খাবার তালিকা সম্পর্কে জেনেছি। আসুন এবার কিভাবে ডায়েট চার্ট ফলো করে ২০ কেজি ওজন কমানো সম্ভব।

সকালের খাবার

দুপুরের খাবার

বিকালের হালকা নাস্তা

রাতের খাবার 

সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ ফুড মিলের সাথে হালকা কুসুম গরম পানি তারপর এক ঘন্টা এক্সারসাইজ 


বাদামী চালের ভাত হাফ কাপ ভাত , ভাতের বদলে রুটিও খাওয়া যেতে পারে

সামান্য পরিমাণে মুড়ি সাথে গ্রিন টি

এক থেকে দুইটি আটার রুটি খেতে হবে রাতে ভাত খাওয়া নিষেধ।

চার থেকে পাঁচটা কাঠবাদাম


ভাতের সঙ্গে হাফ বাটি ডাল অথবা পরিমাণ মত সবজি নিতে হবে।

এক টুকরো মাছ 

অবশ্যই রান্নায় তেলের পরিমাণ কম দিতে হবে

ভেজানো কাঁচা ছোলা সাথে কিসমিস ও খেজুর অল্প পরিমাণে 

রুটি সঙ্গে অল্প পরিমাণে সবজি এবং 

এক গ্লাস পানিতে 30 মিনিট আগে ভিজিয়ে রাখা ইসবগুলের ভুষি খেতে হবে 

 সিজিনাল ফল এক থেকে দুইটি 

যে কোন রকম সালাদ সেটা হতে পারে শসা, খিরা, মূলা ইত্যাদি।

দশ দিনের মধ্যে দুই দিন যেকোনো মাংস অল্প পরিমাণে খেতে পারবে 

ফল অথবা ফলের রস তবে অবশ্যই ফলের রস চিনিমুক্ত হতে হবে।

বিকেলে অবশ্যই এক ঘন্টা ব্যায়াম করতে হবে

এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস চিপে পান করতে হবে

 এছাড়া সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে প্রতিদিন মিনিমাম চার থেকে পাঁচ লিটার পানি পান করা উচিত 

১০ কেজি ওজন কমানোর চার্ট এবং ২০কেজি ওজন কমানোর চার্ট খাবার গুলো মোটামুটি একই রকম। তবে নিচের ডায়েট চার্ট টি তে একটু খাবারের সংখ্যা কম রয়েছে। আপনাদের সতর্কতার জন্য আবারও বিষয়টি জানিয়ে দেই যে যদি তালিকাটি অনুসরণ করার পর আপনাদের কোন রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে তাহলে অবশ্যই সর্বপ্রথম ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং সে অনুযায়ী আবার তালিকাটি অনুসরণ করতে পারেন।

৭ দিনে ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

আমাদের উপরে বর্ণিত ওজন কমানোর খাবার তালিকা অর্থাৎ ডায়েট চার্টটি যদি কেউ খুব ভালোভাবে অনুসরণ করে তাহলে সাত দিনে অবশ্যই তার একটু হলেও ওজন কমবে। তবে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য সহকারে নিয়মমাফিক খাবার তালিকা অনুসরণ করতে হবে। পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে সকালে এবং বিকালে শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। যদি আপনি শুধু ওজন কমানোর জন্য কম খাবার খান কিন্তু শরীরচর্চা না করেন তাহলে কখনোই আপনার ওজন কমবে না।

লেখক এর শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা ওজন কমানোর খাবার তালিকা এবং কিভাবে ১০ কেজি ২০ কেজি ওজন সহজে কমানো যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আপনাদের সতর্কতার জন্য বিষয়টি আবার জানিয়ে দেই যদি ডায়েট কন্ট্রোল করার সময় কোনরকম অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে দেরি না করে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। আমরা এই আর্টিকেলের সব রকম তথ্য বিভিন্ন রকম চিকিৎসা বিষয়ক ওয়েবসাইট এবং উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করেছি। 

তাই কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করার আগে অবশ্যই সঠিক সিদ্ধান্তটি নিবেন। আমরা সবসময়ই এরকম তথ্যবহুল আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে দিয়ে থাকি। তাই গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য জানার জন্য আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আর আপনার যদি কোন মোটাসোটা বন্ধু থাকে তাহলে তাকে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন। ডায়েট সম্পর্কে আপনি যদি আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের মন্তব্য বক্সে সেটি লিখতে পারেন। পরিশেষে সকলের সুস্থতা কামনা করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url