ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা-ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি চেক

ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা সম্পর্কে জানার জন্য আমরা অনেক সময় ইন্সুরেন্স কোম্পানির এজেন্টদেরকে অনুরোধ করে থাকি। কিন্তু তারা আপনাদেরকে সকল বিষয়ে ধারণা দিতে পারে না বা দেয় না। একজন ব্যক্তি ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে পলিসি গ্রহণের মাধ্যমে তার ভবিষ্যৎ যেমন উজ্জ্বল করতে পারে ঠিক তেমনি মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর একটি মোটা অংকের অর্থ প্রাপ্তি লাভ করে। বাংলাদেশের যতগুলো বীমা কোম্পানি রয়েছে তার মধ্যে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিটি শীর্ষে 
ন্যাশনাল-লাইফ-ইন্সুরেন্স-এর-সুবিধা
অবস্থান করছে। ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি এখানে আরও যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন সেগুলো হলো ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি বোনাস, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স ডিপিএস,ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি চেক ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর কাজ কি পাশাপাশি ইন্সুরেন্স হেল্পলাইন এবং ন্যাশনাল লাইসেন্স অনলাইন পেমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

“ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স” (National Life Insurance) কোম্পানি ১৩ নভেম্বর ১৮৪৮ সালের ভারমন্ট আইনসভা দ্বারা চাটার্ড প্রাপ্ত হয়েছিল। এই ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পারস্পরিক জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছিল। পরবর্তীতে ১৮৫০ সালের ১৭ই জানুয়ারি কোম্পানিটি মন্ট পিলিয়ার বাসিন্দা ড্যানিয়েল বাল্ডউইনের জীবনের উপর ভিত্তি করে “ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স” তাদের যাত্রা শুরু করে। তবে বাংলাদেশে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স ১৯৮৫ সালের ২৩ এপ্রিল তাদের বীমা এবং পলিসি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম শুরু করেছিল। 

বিবিএস এর তথ্য মতে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ২৮ লক্ষেরও বেশি গ্রাহকদের নিকট তাদের বোনাসহ মূলধন পরিষদ করেছে। আবার প্রায় ৬১ লক্ষ বিভিন্ন রকম বীমা অথবা পলিসি এর আওতায় নিয়ে এসেছে। এ সকল কৃতিত্ব অর্জনের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন সময় সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স বিভিন্ন বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে শহর এবং গ্রাম্য পর্যায়ে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা সম্পর্কে সকলকে অবগত করার চেষ্টা করে থাকে যা একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হিসেবে অবগত।

ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স ডিপিএস

আমরা বিভিন্ন সময় ব্যাংকে ডিপিএস এর মাধ্যমে টাকা সঞ্চয় করে থাকি। ঠিক তেমনি ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স ডিপিএস কার্যক্রমটি ঠিক একই ভাবে পরিচালিত হয়। বিভিন্ন ব্যাংকে ডিপিএস অনুযায়ী যে সকল সুবিধা পেয়ে থাকেন। ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স ডিপিএস ক্ষেত্রেও কোন তারতম্য ঘটে না। ডিপিএস এর মূল বিষয়টি হলো মাসিক ভিত্তিতে সেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা সঞ্চয় করা। ব্যাংকে যেমন ডিপিএস এর ক্ষেত্রে মাসিক চুক্তিতে টাকা রাখা যায় ঠিক তেমনি ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স ডিপিএস পলিসিতে মাসিকভাবে টাকা সঞ্চয় করা যায়। 

এখানে ডিপিএস গ্রাহক এবং ইন্সুরেন্স কোম্পানির মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যেখানে উল্লেখ থাকে যে গ্রাহক প্রতিমাসে প্রিমিয়াম অর্থাৎ যে টাকা সঞ্চয় করতে চায় সেটি জমা দিবে এবং সেই প্রেক্ষিতে একটি সময় নির্ধারণ করা থাকবে। নির্দিষ্ট সময় পূর্ণ হওয়ার পর গ্রাহক তার সম্পূর্ণ টাকা বোনাস ফেরত পাবে। যা ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি বোনাস এর অন্তর্ভুক্ত। চুক্তিতে আরও উল্লেখ থাকে যে মেয়াদ পূর্তির পূর্বে গ্রাহক কোনভাবেই টাকা উত্তোলন করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে গ্রাহক যতটুকু প্রিমিয়াম প্রদান করবে সে অনুযায়ী তাকে পলিসি বোনাসের আওতায় নিয়ে আসা হবে এবং বোনাসহ মূলধন 
ফেরত পাবে। ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা গুলোর মধ্যে বড় একটি বিষয় হলো যদি কোন ব্যক্তির ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স ডিপিএস পলিসি করা থাকে, কিন্তু দুর্ঘটনাবশত ওই ব্যক্তিটি যদি মারা যায় সে ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশগণ লাভ সহ সম্পূর্ণ মূলধন ফেরত পাবে। সুতরাং বলা যেতেই পারে একজন মধ্যবিত্ত ঘরের কর্তা যদি হঠাৎ করে মারা যায় তাহলে সেখানে স্বাভাবিকভাবেই অন্ধকারে ছায়া নেমে আসে। পরিবারের একমাত্র কর্মযজ্ঞ ব্যক্তি মারা গেলে সেখানে অর্থনৈতিকভাবে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হয়। আর এই সমস্যা সৃষ্টি নিরসনে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি তাদের ডিপিএস 

পলিসিটি চালু করে রেখেছে। পাশাপাশি তারা আরো অনেক পলিসি করে রেখেছে যার মধ্যে জীবন বীমা পলিসি অন্যতম একটি বীমা পলিসি। এই পলিসিতে যোগদান করার পর কোন ব্যক্তি যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে প্রিমিয়ামের হিসাব অনুযায়ী সম্পূর্ণ টাকা তার ওয়ারিশদের প্রদান করে থাকে। আমরা উপরে ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছি যে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি ২৮ লক্ষেরও বেশি গ্রাহকদের তাদের বোনাস সহ মূলধন ফেরত দিয়েছে, যা সত্যি প্রশংসার বিষয়।

ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি বোনাস

ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স বোনাস হিসেবে গ্রাহকদেরকে যে মূলধনের সাথে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করে থাকে সেটিকেই ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি বোনাস হিসেবে অভিহিত করা হয়। একজন ব্যক্তির জালমালের নিরাপত্তার খাতিরে ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলো দায়িত্ব গ্রহণ করে থাকে। একজন চাকুরীজীবী লোক প্রতি মাসে পলিসি গ্রহণের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রিমিয়াম উক্ত বীমা কোম্পানিতে প্রেরণ করে। হঠাৎ করে তা যদি মৃত্যু হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে বীমা কোম্পানিগুলো তার পরিবারের অর্থনৈতিক বিষয়াদি বিবেচনা করার মাধ্যমে পলিসি বোনাস প্রদান করে। তবে আপনাদের জ্ঞাতার্থে বলে রাখা 

ভালো যে বিভিন্ন কোম্পানি আলাদা আলাদা রেটে তাদের বোনাস গ্রাহকদের দিয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন বিবৃতিতে জানা গেছে অন্যান্য সকল ইন্সুরেন্স কোম্পানির থেকে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা সমূহ সবচেয়ে বেশি। আর এ কারণেই গ্রাহকদের চাহিদার শীর্ষে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিটি অবস্থান করছে। আসুন তাহলে এবার ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স গ্রাহকদেরকে কতটুকু বোনাস প্রদান করছে সে সম্পর্কে জেনে নিব। একজন গ্রাহক হিসেবে কত বছরে কতটুকু প্রিমিয়াম প্রদান করলে মেয়াদ পূর্তির পর বোনাস সহ কি পরিমান অর্থ লাভ হয় সে সম্পর্কে জানব।

ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স বোনাস

বিশ্বে যতগুলো বীমা কোম্পানি রয়েছে তাদের কার্যক্রম যেমন আলাদা ঠিক তেমনি তাদের লাইফ ইন্সুরেন্স বোনাস রেট ও আলাদা। কোম্পানিগুলো বিভিন্ন বীমা পলিসি অনুযায়ী পলিসি বোনাস প্রদান করে থাকে। ঠিক তেমনি ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি বোনাস এর ক্ষেত্রেও অন্যান্য বীমা কোম্পানির রেটের থেকে আলাদা। তবে বোনাস রেট আলাদা হলেও খুব বেশি তফাৎ থাকে না। গড় হিসাব করলে জানা যায় কোম্পানিগুলো বিভিন্ন বীমা পলিসিতে প্রতি ১০০০ টাকাতে ৬৩ থেকে ৮৫ টাকা বোনাস হার বা বোনাস রেট নির্ধারণ করে রেখেছে। 

টার্ম লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি বোনাস রেট হিসেবে ৯ বছরের প্রিমিয়ামের হিসেব অনুযায়ী প্রতি ১০০০ টাকাতে ৬৪ টাকা পলিসি বোনাস হিসেবে দিয়ে থাকে। ঠিক তেমনি ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর ক্ষেত্রেও প্রতি ১০০০ টাকাতে ৬৪ টাকা বোনাস হিসেবে ধরা হয়, আবার ১০-১৪ বছর এবং ১৫-২০ বছর এর প্রিমিয়াম অনুযায়ী প্রতি ১০০০ টাকাতে ঠিক আগের মতই ৬৪ টাকা বোনাস রেট হিসেবে নির্ধারণ করেছে। আবার ২১ থেকে ২৫ বছরের ক্ষেত্রে ১০০০ টাকাতে ৭০ টাকা বোনাস হিসেবে দেওয়া হয়েছে। 

যদি কোন ব্যক্তি তার পলিসি ২৬ বছর বা তার বেশি করার প্রয়াস জ্ঞাপন করে সেই ক্ষেত্রে প্রতি ১০০০ টাকাতে ৮৫ টাকা বোনাস হিসেবে ধরা হবে। আর এতগুলো ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা যদি থাকে তাহলে একজন মধ্যবিত্ত ব্যক্তি হিসেবে অবশ্যই একটি পলিসি গ্রহণ করা আবশ্যক।

ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি চেক

আমরা এতক্ষণ পর্যন্ত ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে জানলাম। একজন পলিসি গ্রাহকের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি বোনাস রেট কতটুকু হয়ে থাকে সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছি। ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে সব সময় এগিয়ে এ বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। তাই আমরা আশা ব্যক্ত করতে পারি যে একজন ব্যক্তি যদি ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি বা উক্ত কোম্পানির যেকোনো একটি বীমা পলিসি গ্রহণ করে সে ক্ষেত্রে তার বোনাস নিয়ে আর কোন চিন্তা থাকার কথা নয়। ধরা যাক কোন ব্যক্তি যদি পলিসি এর আওতায় 

অন্তর্ভুক্ত হয়, কিন্তু তার কৃত পলিসিটি আদেও সঠিকভাবে আছে কিনা সে বিষয়ে কিভাবে জানবে। কেননা পলিসি গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে সেই পলিসিটি সঠিকভাবে চলছে কিনা সে বিষয়ে জানা খুবই জরুরী। আবার পলিসি বোনাস চেক করার ক্ষেত্রে সব সময় সচেতন হতে হবে। অনেক সময় হিসাব জটিলতার প্রেক্ষিতে আপনার একাউন্টে যদি বোনাস এর পরিমাণ কম হয় তাহলে আপনি জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন। সেই সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে পলিসি গ্রাহকদের অবশ্যই পলিসি চেক করা জরুরী। তাহলে একজন গ্রাহক কিভাবে তার পলিসিটি চেক করবে এবং ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর 
সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারে সে বিষয়ে সম্পর্কে জেনে নিব। কোন ব্যক্তিবর্গ পলিসি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সেই সময় কোম্পানি কর্তৃক পাস বই সহ বিভিন্ন রকম কাগজপত্র প্রাপ্তি লাভ করে। আর ন্যাশনাল লাইফ পলিসি চেক করার ক্ষেত্রে অবশ্যই উক্ত নথিপত্র গুলো প্রয়োজন হবে। কেননা আপনি যদি পলিসি চেক করতে যান তাহলে আপনার কাছ থেকে সেই সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস অবশ্যই কর্তৃপক্ষ চেয়ে থাকবে। তাই ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি চেক করার উপায় হিসেবে আপনাকে প্রয়োজনীয় নথিগুলো সাথে নিয়ে যেই শাখা তে আপনি পলিসি গ্রহণ করেছিলেন সেই 

শাখাতে গিয়ে উপস্থিত হবেন। সেখানে কর্মরত কর্মচারীকে আপনার পলিসি চেক সংক্রান্ত বিষয়টি জানান। তাহলে সেই ব্যক্তিটি অবশ্যই আপনার কাগজপত্র গুলো বিশ্লেষণের মাধ্যমে আপনার পলিসি সংক্রান্ত সকল তথ্য আপনাকে দিয়ে দিবে। আর এভাবেই আপনি আপনার ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি চেক এবং ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি বোনাস কত জমা হয়েছে সে বিষয়টি জানতে পারবেন। আবার এই সকল তথ্য জানার জন্য আজকাল অফিসে না গিয়েও অনলাইনের মাধ্যমে পলিসি সংক্রান্ত সকল বিষয় জানা সম্ভব। আর এটাও কিন্তু ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা গুলোর মধ্যে 

একটি। সেক্ষেত্রে আপনাকে মোবাইল অথবা কম্পিউটার এর গুগল সার্চ বারে গিয়ে টাইপ করতে হবে www.nlibd.com এবং এই ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করার পর আপনার নথিতে যে পলিসি নম্বর রয়েছে অর্থাৎ পলিসি গ্রহণ করার সময় আপনাকে যে কাগজপত্র দেওয়া হয়েছিল সেখানে পলিসি নম্বর রয়েছে। এই নম্বর দিয়ে উক্ত ওয়েবসাইটটিতে লগইন করতে হবে। সেখানে “পলিসি চেক” নামক একটি অপশন থাকবে। তারপর পর্যায়ক্রমে আপনি আপনার ডকুমেন্টস এর সকল তথ্য সেখানে প্রেরণ করবেন। সকল কাজ সম্পাদন হওয়ার পর আপনাকে পলিসি এর সকল আপডেট সম্পর্কে জানানো হবে। আর এভাবেই অনলাইনে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি চেক করা সম্ভব।

ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা

প্রত্যেকটি বীমা কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করে থাকে। কেউ যদি পলিসি বোনাস রেট বৃদ্ধি করে দেয় আবার অন্য কেউ গ্রাহকের মৃত্যুর পর অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে তাদের পরিবার পরিজনদের অর্থ প্রদান করে থাকে। ঠিক একইভাবেই ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স তাদের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে সবসময়ই সঠিক পরিকল্পনাটি গ্রহণ করার চেষ্টা করে। গ্রাহকদের চাহিদা এবং প্রয়োজন অনুসারে তারা অনেক রকম পলিসি এর ব্যবস্থা করে রেখেছে। 

গ্রাহক যেন সকল পর্যায়ে বীমা এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে এজন্য ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি বিভিন্ন সময় তাদের পলিসি এবং ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি বোনাস সংক্রান্ত সকল বিষয় সাধারণ জনগণের মাঝে প্রচার করার চেষ্টা করে। আসুন তাহলে এবার কোন কোন ক্ষেত্রে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা গুলো বিদ্যমান রয়েছে সে বিষয়ে জেনে নিব।

জীবন বীমা

ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি এর আওতায় কোন ব্যক্তি যদি জীবন বীমা পলিসি গ্রহণ করে থাকে তাহলে সে যেমন তার বর্তমান নিশ্চিত করল ঠিক তেমনি তার ভবিষ্যৎ নিয়ে আর কোন চিন্তা থাকে না। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স তার জীবন বীমা পলিসি এর আওতায় মৃত ব্যক্তির পরিবার পরিজনদের প্রিমিয়ামের হিসাব অনুযায়ী সকল টাকা পরিশোধ করে থাকে। তাই একজন ব্যক্তির জীবন বীমা পলিসি গ্রহণ করার প্রেক্ষিতে সে মারা গেলেও তার পরিবারের উপর ছায়া হিসেবে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স অবদান রাখবে।

চিকিৎসা বীমা

জীবন বীমা করার পাশাপাশি যদি কোন গ্রাহক চিকিৎসা বীমা এর পলিসি আওতায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে তাহলে তার আর শারীরিক কোন অসুস্থতা এর ক্ষেত্রে চিন্তা থাকে না। একজন মানুষের শারীরিক সুস্থতার গ্যারান্টি কখনোই কেউ দিতে পারবে না। হঠাৎ করে কোন ব্যক্তি যদি দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয় কিন্তু তার ন্যাশনালাইফ ইন্সুরেন্সে চিকিৎসা বীমা করা থাকে সেক্ষেত্রে উক্ত গ্রাহক চিকিৎসা ভাতা হিসেবে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত সকল খরচ কোম্পানি কর্তৃক পেয়ে থাকবে।

শিক্ষা বীমা

জাতিকে শিক্ষিত করার লক্ষ্যে ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স আরো একটি বীমা বিদ্যমান রেখেছে সেটি হল ন্যাশনাল লাইফ শিক্ষা বীমা। কোন ছাত্র অথবা ছাত্রী মেধাবী হওয়া সত্বেও যেন তার পড়াশোনা থেমে না থেকে এই উদ্দেশ্যই শিক্ষা বীমা প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা গুলোর মধ্যে শিক্ষা বীমা বা এই পলিসির আওতায় সেই সকল পিতা-মাতা যদি প্রতিমাসে তাদের সন্তানের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে মাসিক প্রিমিয়াম প্রদান করে। 

তাহলে ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা বা যেকোনো পড়াশোনার অর্থনৈতিক সমস্যা নিরসনের ক্ষেত্রে অনেক কাজে দেয়। সুতরাং শিক্ষার্থীদের পিতা-মাতা ন্যাশনাল লাইফ শিক্ষা বীমার ক্ষেত্রেও ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি বোনাস হিসেবে বোনাসহ মূলধন পেয়ে থাকে।

প্রবাস বীমা

ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি শুধুমাত্র দেশে অবস্থান করছে এরকম জনগণের কথাই চিন্তা করেনি। দেশের বাইরে যারা কর্মরত রয়েছে অর্থাৎ প্রবাসী হিসেবে বিদেশে কাজ করছে তাদের বিষয়টি মাথায় রেখে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স প্রবাস বীমা নামে একটি পলিসি খুলেছে। সেখানে দেশের বাইরে যে সকল ভাই অথবা বোনেরা কর্মরত রয়েছেন তারা এই পলিশির আওতায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। যদি হঠাৎ করে সে সকল ব্যক্তি বিদেশে মারা যায় সে ক্ষেত্রেও ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি মৃত ব্যক্তির পরিবার-পরিজনদের প্রিমিয়ামের হিসাব অনুযায়ী সম্পূর্ণ টাকা অনুদান হিসেবে বোনাস সহ প্রদান করে থাকে।

ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স অনলাইন পেমেন্ট

ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এরাও তাই যে সকল গ্রাহক রয়েছে অর্থাৎ যে সকল ব্যক্তি পলিসি গ্রহণ করেছে তাদের চুক্তি অনুসারে প্রতি মাসে প্রিমিয়াম প্রদান করতে হয়। সকল ব্যক্তি বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিমাসে অফিসে গিয়ে প্রিমিয়াম প্রদান করা একটু ঝামেলা মনে হতে পারে। আর সে বিষয়টি মাথায় রেখে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স অনলাইনের মাধ্যমে প্রিমিয়াম প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। আর বলতে গেলে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা গুলোর মধ্যে অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমটি অন্যতম একটি সুবিধা। 
গ্রাহক ঘরে বসেই নগদ অ্যাপের মাধ্যমে মাসিক প্রিমিয়াম প্রদান করতে পারবে। নগদ অ্যাপে প্রবেশ করার পর সেখান থেকে পলিসি গ্রাহক বাৎসরিক, মাসিক অথবা ত্রিমাসিক প্রিমিয়াম প্রদান করতে পারবে। আর এই ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমটি চালু করার পর থেকে গ্রাহক তাদের সময় বাঁচিয়ে ঘরে বসেই অথবা অফিসে কাজকর্ম করার পাশাপাশি তাদের মাসিক প্রিমিয়াম পেমেন্ট করছে

ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স হেড অফিস নাম্বার

আমরা এতক্ষণ পর্যন্ত ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি বোনাস এবং ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি চেক করার উপায় সংক্রান্ত সকল বিষয় সম্পর্কে অবগত হলাম আসুন তাহলে এবার ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স এর অফ টপিক বিষয় নিয়ে কিছু কথা বলা যাক। প্রথমে আমরা ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর হেড অফিস কোথায় রয়েছে সেই ঠিকানা সম্পর্কে জেনে নিব। কেননা একজন গ্রাহকের যেকোনো কাগজপত্র সংক্রান্ত জটিলতায় হেড অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে।
ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স (হেড অফিস)
  • NLI Tower, ৫৪, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা ১২১৫, বাংলাদেশ।
  • ফোন: ৫৮১৫১৪৯০, ৫৮১৫১০৮৯
  • হট লাইন নাম্বার: ০৯৬৬৬৭০৬০৫০-১৬৭৪৯(সকাল ১০ থেকে বিকেল ৫ পর্যন্ত খোলা থাকে)

ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স হেল্পলাইন

ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা গুলোর মধ্যে কর্তৃপক্ষ হেল্পলাইন এর ব্যবস্থা করে রেখেছে। কোন গ্রাহক যদি পলিসি সংক্রান্ত কোনো জটিলতায় অথবা সমস্যায় পড়ে তাহলে সরাসরি হেল্পলাইনে কল করার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পারবে। এছাড়াও গ্রাহক হেল্পলাইনে কল করার মাধ্যমে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি বোনাস এবং ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি চেক সংক্রান্ত সকল বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পারবে।
  • হেল্পলাইন নাম্বার: ০৯৬৬৬৭০৬০৫০, ৪১০১০১২৩-৮, ১৬৭৪৯
  • ফ্যাক্স: ৮৮-০২-৮১৪৪২৩৭
  • ওয়েবসাইট: www.nlibd.com

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা আজকে এই আর্টিকেলের একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আশা করি আপনারা কিভাবে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি চেক করতে হয় আবার অনলাইনে কিভাবে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি বোনাস সংক্রান্ত সকল বিষয় এর তথ্য পাওয়া যায় সে বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা পেয়েছেন। তাহলে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে অবশ্যই আমাদের উচিত ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি গ্রহণ করা এবং ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা গুলো ভোগ করা। আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলের এ তথ্যগুলো উইকিপিডিয়া এবং ন্যাশনাল লাইফ 

ইন্সুরেন্স এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করেছি। আপনি আপনার পলিসি গ্রহণ করার পূর্বে অবশ্যই উক্ত শাখার কর্মচারীবৃন্দের সাথে সব বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে নিবেন। ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স সংক্রান্ত কোনো বিষয় যদি আপনার জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে আপনার প্রশ্ন ঠিক করতে পারেন। আপনাদেরকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য। এরকম তথ্যবহুল পোস্ট পড়তে হলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আজকের এই পোস্টটি যদি তথ্যবহুল মনে হয় মনে হয় এবং ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা সংক্রান্ত সকল বিষয়াদি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর উদ্দেশ্যে একটি শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url