মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বিস্তারিত জানুন-মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বাংলাদেশ

মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বিস্তারিত বিষয়াদি সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে তারাই খুব বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। যারা কিনা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন বীমা, পলিসি এবং ইনস্যুরেন্স এর আওতায় নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করতে চান। পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে বিশেষ করে যারা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি থেকে বিলং করেন তারাই বিভিন্ন রকম ইন্সুরেন্স করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। তাছাড়া বিত্তশালী ব্যক্তিরাও তাদের জীবনের এবং সম্পদের ভিত্তিতে পলিসি গ্রহণ করে থাকেন। 
মেটলাইফ-ইন্সুরেন্স-বিস্তারিত
আজকে ঠিক তেমনি একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানি মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ভালোভাবে ধারণা লাভ করতে পারবেন। এর সঙ্গে আরো যে বিষয় সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন সেগুলো হলো মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বাংলাদেশ, মেটলাইফ সুদের হার এবং কতদিন ধরে এই প্রতিষ্ঠানটি চালু আছে, পাশাপাশি কত সাল থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি শীর্ষস্থানীয় জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত এই সকল বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র

MetLife মানে কি

“MetLife” হল সাধারণত “মেট্রোপলিটন লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি” (MLIC) এর হোল্ডিং কর্পোরেশন যা “মেটলাইফ” নামে জনগণের কাছে বেশি পরিচিত। উইকিপিডিয়া তথ্য অনুযায়ী ৬০ টির ও বেশি দেশের প্রায় ৯০ মিলিয়ন গ্রাহকের সাথে মেটলাইফ বীমা প্রোগ্রাম নিবিড় ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৬৮ সালের ২৪ শে মার্চ উক্ত প্রতিষ্ঠানটি তাদের পরিচালনা কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে এসে পরিসংখ্যান হিসেব করে দেখে যে মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি তাদের আয়ের পরিপ্রেক্ষিতে মেটলাইফ কোম্পানিটি ৫০০ বৃহত্তম মার্কিন কর্পোরেশন 

এর তালিকাতে ৪৩ নম্বর পজিশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মেটলাইফ কোম্পানি তাদের বিভিন্ন রকম পলিসি সমূহের কারণে বেশি জনপ্রিয় তবে মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস বিষয়ে সকলে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন এবং একজন ব্যক্তি তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে যদি মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারেন তাহলে তার জন্য পলিসি গ্রহণ করা খুবই সহজ হয়ে যায়।

মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বাংলাদেশ

ইন্সুরেন্স ডেভেলপমেন্ট এন্ড রেগুলারিটি অথরিটি (আইডিআরএ) এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ৮১ টি অনুমোদিত বীমা কোম্পানি রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে ৩৫টি জীবন বীমা সংস্থা হিসেবে কাজ করে এবং বাকিগুলো নং লাইফ ইন্সুরেন্স সংস্থা হিসেবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। অন্য আরেকটি তথ্য বলছে সকল বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো পলিসি জুড়ে প্রায় ১৯ মিলিয়ন ব্যক্তিকে বিভিন্ন খাতে অর্থনৈতিক ভাবে তাদের গ্রাহকদেরকে কাভারেজ প্রদান করে থাকে। ঠিক তেমনি বীমা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বাংলাদেশ একটি অন্যতম ইন্সুরেন্স কোম্পানি। 

১৯৫২ সালে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হলেও তাদের কার্যক্রম ১৯৬৮ সাল থেকে শুরু হয়। মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি মূলত আমেরিকান লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি নামের একটি অনুরূপ মাত্র। মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে তাদের গ্রাহক সংখ্যা ১০ লক্ষ এর বেশি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে শ্রেষ্ঠ পর্দা তার পুরস্কার হিসেবে “বেস্ট এমপ্লয়ার” অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি। মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি বিভিন্ন পরিকল্পনা ও সেবা মূলক কাজ করে থাকে। 
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পর্যালোচনা করে দেখা গেছে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি সবসময় তাদের গ্রাহকদের বর্তমান এবং ভবিষ্যত নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় পলিসি বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তির মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কি এবং মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বিস্তারিত পরিকল্পনা সমূহ সম্পর্কে সেমিনারের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে শহর অঞ্চলের লোকের, পাশাপাশি গ্রামের লোকজনদের ও ইন্সুরেন্স করার ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করেছে। 

আসুন তাহলে এবার উক্ত প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সম্বন্ধে ধারণা নিয়ে নিই। অর্থাৎ মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি গ্রাহকদের ক্ষেত্রে কোন কোন পলিসি আওতায় সেবা প্রদান করে যাচ্ছে সেগুলো সম্পর্কে জানাটা খুবই জরুরী। নিচে পয়েন্ট আকারে পরিকল্পনা এবং কোম্পানির সেবা সমূহ দেওয়া হল।
  • জীবন বিমা
  • স্বাস্থ্য বিমা
  • দুর্ঘটনা বীমা
  • অবসর বীমা
  • শিক্ষা বীমা
  • শরিয়াহভিত্তিক তাকাফুল ডিপিএস বা (তাকাফুল) বিমা
উপরে বর্ণিত মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বাংলাদেশ এর আওতায় পলিসিগুলো বিদ্যমান রয়েছে। তবে মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস সব থেকে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বিস্তারিত

আমরা ইতিমধ্যে উপলব্ধি প্রাপ্ত হয়েছি যে মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোন সেবাগুলো প্রদান করে। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি পলিসি গ্রহণ করতে চাই তাহলে উপরে বর্ণিত সেবাগুলোর মধ্যে তার জন্য প্রযোজ্য সেবাটি গ্রহণ করতে পারে। সবসময়ই প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাবৃন্দ দাবি করে থাকেন তাদের পলিসিগুলো শরিয়াহ মোতাবেক তাদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে। তারা আরো বলেন যদি কোন ব্যক্তি হালাল পন্থায় তার ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চায়, তাহলে মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বা পলিসি এর বিকল্প আর অন্য কিছু নেই। অনেক মাওলানা মুফতি দাবি করে থাকেন ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলো হালাল পর্যায়ে পড়ে না। 

এর কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন যে ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলো তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে যে টাকা গ্রহণ করে সেগুলো অবৈধ পথে বিনিয়োগ করে। আর ইসলাম কখনো অবৈধ বিষয়কে প্রশ্রয় দেয় না। তবে ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সময় তাদের ভাষ্য প্রদানের মাধ্যমে জানিয়ে থাকে তারা কোন রকম অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে লিপ্ত নয়। পাশাপাশি তারা তাদের গ্রাহকদের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সকল বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখে। একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পর যদি সে জীবন বীমা পলিসির আওতায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত যে কোন বীমা প্রতিষ্ঠানই মৃত 

ব্যক্তির ওয়ারিশদের প্রিমিয়ামের হিসাব অনুযায়ী নগদ অর্থ প্রদান করতে বাধ্য থাকে যা একটি আর্থ সামাজিক কর্মকান্ডে মূল্যবোধ সৃষ্টি করে। আর ইসলাম সবসময়ই মানুষের উপকারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। তাই বীমা কোম্পানিগুলো যদি কোন রকম সুদের কারবার অথবা অবৈধ বিষয়ে সাথে জড়িত না থাকে তাহলে একজন ব্যক্তি মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে অথবা বাংলাদেশের যেকোনো অনুমোদিত বীমা কোম্পানিতে গিয়ে তার প্রয়োজন অনুযায়ী পলিসি গ্রহণ করতে পারবে। 

তবে মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি গ্রাহক পেয়েছে জীবন বীমা পলিসিতে এবং মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস পলিসিতে। আসুন তাহলে এবার মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

মেটলাইফ ডিপিএস বা তাকাফুল পলিসি

সাধারণত কোন ব্যক্তি মেটলাইফ ডিপিএস বা তাকাফুল প্ল্যানে অন্তর্ভুক্ত হয়। তাহলে সর্বপ্রথম পলিসি গ্রাহক ব্যক্তি একটি ১৪,৪০,০০০ টাকার গভার্নমেন্ট স্ট্যাম্প (এখানে মাসিক প্রিমিয়াম ১০,০০০ টাকা এর হিসেব অনুযায়ী তথ্য দেওয়া হচ্ছে) অথবা দলিল নথি হিসেবে পাবেন। পাশাপাশি তিনি যে ১০,০০০ টাকার জমা দিয়েছেন সেটির রশিদ সহ পাস বই পেয়ে যাবেন। মেটলাইফ এর নিয়ম অনুসারে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর লাভ অথবা লসের ভিত্তিতে ব্যক্তির মেয়াদ পূর্তির মূল্য কত হবে সেটা নির্ধারণ করা হয়। বছর শেষে মেটলাইফ ডিপিএস গ্রহীতাকে আরেকটি নথি হিসেবে একটি ট্যাক্স সার্টিফিকেট প্রদান করা 

হয়ে থাকে যার মাধ্যমে ১৫% পর্যন্ত (পরিবর্তনশীল) ইনকাম ট্যাক্স দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস বা পলিসির আরো অন্যতম একটি বিষয় হলো, যদি কোন গ্রহীতা যদি কোনরকম দুর্ঘটনার কারণে সম্পূর্ণভাবে যদি অক্ষম হয়ে পড়ে অর্থাৎ কোনরকম কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাহলে মেটলাইফ ডিপিএস পলিসি, গ্রহীতাকে প্রিমিয়াম এর হিসাব মোতাবেক (১০,০০০ টাকার প্রিমিয়াম এর হিসাব অনুযায়ী ২৮,৮০,০০০ টাকা প্রদানযোগ্য) নগদ ক্যাশ প্রদান করে থাকে। তাই আজকাল ব্যাংকে এরকম সুযোগ না থাকার কারণে ব্যাংকের কর্মকর্তারা ও মেটলাইফ ডিপিএস এর 
আওতায় পলিসি অংশগ্রহণ করছে। আবার দুর্ঘটনা জনিত কারণে কোন ব্যক্তি যদি মৃত্যুবরণ করে, সেই ক্ষেত্রে মেটলাইফ প্রতিষ্ঠান পলিসিগ্রহীতা ব্যক্তির নমিনিকে নগদ ৪৩,২০,০০০ টাকা গ্যারান্টি হিসেবে প্রদান করে থাকে। এছাড়া বীমা গ্রহীতা ব্যক্তির যদি স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে সেই ক্ষেত্রেও নমিনি নগদ ১৪,৪০,০০০ টাকা পলিসি কাভারেজ হিসেবে প্রাপ্ত হয়। কোন পলিসি গ্রাহকের কাছে যদি তাকাফুল ডিপিএসের কার্ড থাকে তাহলে সেই কার্ডের মাধ্যমে গ্রহীতা ব্যক্তি নিজে অথবা পরিজনদের সাথে নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারে পাশাপাশি যদি বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করার প্রয়োজন মনে হয়, 

সে ক্ষেত্রেও ডায়াগনস্টিক টেস্টের ক্ষেত্রে ১০%-১৫% ডিসকাউন্ট গৃহীত হয়ে থাকে। তাই কোন ব্যক্তি যদি মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বিস্তারিত ভাবে জানতে পারে এবং সে অনুযায়ী মেটলাইফ ডিপিএস চালু করে। কিন্তু মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস চালু হবার পরের ৬ মাসের মধ্যে গ্রহীতা যদি কোন মারাত্মক ব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত হয় সে ক্ষেত্রে মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ব্যক্তির চিকিৎসা বাবদ নগদ ১৪,৪০,০০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান দিয়ে থাকে। আবার শর্তসাপেক্ষে যদি বীমা গ্রহীতা কোন ব্যক্তি দুর্ঘটনাবশত কারণে অক্ষম হয়ে পড়ে সেই ক্ষেত্রে পরবর্তী সকল প্রিমিয়াম মওকুফ করা হয়। 

পাঠক বৃন্দ আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে আমরা এখানে বিষয়টি বুঝার জন্য ১০,০০০ টাকা মাসিক প্রিমিয়াম এর হিসেবের ভিত্তিতে সকল তথ্যগুলো প্রদান করেছি। প্রিমিয়াম প্রদান যদি কম বেশি হয় তাহলে পলিসি এর নিয়ম অনুযায়ী ব্যক্তির অনুদানের পরিমাণও কম বেশি হবে।

মেটলাইফ ইন্স্যুরেন্স কতদিন ধরে চালু আছে

আমরা এতক্ষণ পর্যন্ত মেটলাইফ ইন্সুরেন্স সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পেরেছি। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি সংক্রান্ত সকল বিষয় যেমন জানতে পেরেছি ঠিক তেমনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের আওতায় যে সেবা সমূহ রয়েছে সে সম্পর্কে ধারণা নিতে পেরেছি। মেটলাইফ ডিপিএস সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আমরা মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বিস্তারিত সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে অবগত হয়েছি। আসুন তাহলে এবার মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বাংলাদেশ সম্পর্কে অফ টপিক সংক্রান্ত কিছু ধারনা নিয়ে নিই। বিষয়গুলো আলোচনার প্রেক্ষিতে প্রথম যে প্রশ্নটি সামনে আসে সেটি হল মেটলাইফ 

ইন্সুরেন্স কতদিন ধরে চালু আছে। পাঠক বৃন্দ আপনারা লক্ষ্য যদি করে থাকেন তাহলে আমরা আমাদের আর্টিকেলের ঠিক প্রথমের অংশেই মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি কত সাল থেকে তাদের যাত্রা শুরু করে এবং কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সে বিষয়টি আপনাদেরকে অবগত করেছি। উইকিপিডিয়া এর তথ্য মতে যেহেতু মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ১৯৬৮ সাল থেকে তাদের সব ধরনের অফিশিয়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। 

আমরা তাহলে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার তারিখ থেকে হিসাব করবো কেননা মেটলাইফ ইন্সুরেন্স তাদের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ডেট থেকেই সম্পূর্ণভাবে চালু আছে। সুতরাং ২০২৪ সালে এসে যদি আমরা হিসাব করি তাহলে ৭২ বছর ধরে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি চালু রয়েছে এবং তারা তাদের সকল রকম সেবামূলক কাজগুলো নিবিড়ভাবে করে যাচ্ছে।

মেটলাইফ কত সাল থেকে বাংলাদেশে শীর্ষস্থানীয় জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান

আমাদের অফ টফিকের দ্বিতীয় বিষয়টি হলো মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি কত সাল থেকে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে শীর্ষ জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে অবস্থান করছে। আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় হলো মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা। কিন্তু একটি তথ্য জানার জন্য আমাদেরকে সেই বিষয়ের আদ্যপ্রান্ত সম্পর্কে ধারণা লাভ করা। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা আর্টিকেলের উপরের অংশেই বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করে থাকি। 

আপনারা যদি লক্ষ্য করে থাকেন তাহলে আর্টিকেলের ঠিক উপরের অংশেই মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বাংলাদেশে এর কততম শীর্ষস্থানীয় জীবন বীমা। পাশাপাশি কত সাল থেকে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে সে সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি। উইকিপিডিয়া এবং মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালে মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি তাদের আয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ৫০০ বৃহত্তম মার্কিন কর্পোরেশন এর তালিকাতে ৪৩ নম্বর পজিশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

মেটলাইফ দাবি প্রক্রিয়া করতে কতদিন সময় নেয়

মেটলাইফ দাবি প্রক্রিয়া এই বিষয়টি বলতে সাধারণত কোন ব্যক্তি যদি পলিসি গ্রহণ করে এবং সেই ব্যক্তির মৃত্যু হয়ে যায়। তাহলে পলিসি এর চুক্তি অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশরা নির্দিষ্ট প্রিমিয়াম এর হিসেব এর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত অনুদানের মালিক হিসেবে গণ্য হয়। আর সেটিকে এখানে মেটলাইফ দাবি প্রক্রিয়া হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। আবার কোন ব্যক্তি যদি পলিসি গ্রহণ করার পর সে আর পলিসি চলমান করতে চাচ্ছে না সে ক্ষেত্রে যদি ওই গ্রাহক আত্মসমর্পণ অনুরোধ করে সেটিকেও মেটলাইফ দাবি প্রক্রিয়া হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। 
তাই একজন গ্রাহক হিসেবে মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বিস্তারিত বিষয়গুলো জানার উপকারিতা যে কতটুকু আশা করি আপনারা এই আর্টিকেল করার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন। মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন তারা তাদের দাবি প্রক্রিয়াগুলো সাধারণত ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে নিষ্পন্ন করার চেষ্টা করে থাকে। তবে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সময় দাবি প্রক্রিয়াটি বিলম্ব হতে পারে। তারা এটাও বলেছেন যদি পলিসি গ্রহীতা ব্যক্তির সকল কাগজপত্র গুলো সঠিক সময় 

পাওয়া যায় পাশাপাশি ওয়ারিশগণদের সত্যতা যাচাই-বাছাই দ্রুত সম্পন্ন হয় তাহলে ৫ কর্ম দিবস এর মধ্যে দাবি নিষ্পত্তি করা সম্ভব। কিন্তু উক্ত কাগজপত্র গুলো দাখিল করতে যদি বিলম্ব হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে ১০ কর্মদিবস পর্যন্ত দাবি নিষ্পন্ন করার প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি আপনারা এই আজকের আর্টিকেলের শেষ পর্যায়ে এসে সম্পূর্ণভাবে অবগত হতে পেরেছেন যে কোন ব্যক্তি যদি মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বাংলাদেশ এর আওতায় তার প্রয়োজন অনুযায়ী পলিসি গ্রহণ করতে চায়। তাহলে সেই ক্ষেত্রে একজন পলিসি গ্রহীতার মেটলাইফ ইন্সুরেন্স বিস্তারিত বিষয়াদি সম্পর্কে জানার তাৎপর্য কতটুকু। আমরা এখানে যতগুলো তথ্য প্রদান করেছি সব তথ্যগুলো উইকিপিডিয়া এবং মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা। 

আপনারা যদি কোন পলিসি গ্রহণ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ মেটলাইফ ইন্সুরেন্স এর শাখায় গিয়ে নিয়োগকৃত কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে নিবেন। মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি নিয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের মন্তব্যবক্সে জানাতে পারেন। আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। এরকম তথ্যবহুল আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন এবং আজকের এই পোস্টটি যথাযথ মনে হলে একটি শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url