মেটলাইফ ডিপিএস ভাঙ্গার নিয়ম জানুন

মেটলাইফ ডিপিএস ভাঙ্গার নিয়ম গুলো জানার বিষয়টি ঠিক তখনই গুরুত্ব পূর্ণ হয়ে ওঠে যখন কেউ মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে পলিসি বা ডিপিএস গ্রহণ করে এবং যখন সেই পলিসির মেয়াদ পূর্ণ হয়ে যায় কিন্তু ডিপিএস ভাঙার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকে না। তাই সে সকল ব্যক্তিবর্গের কথা বিবেচনা করে আমরা আজকের আর্টিকেলে মেটলাইফ ডিপিএস ভাঙ্গার নিয়ম সংক্রান্ত সকল বিষয় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। 
মেটলাইফ-ডিপিএস-ভাঙ্গার-নিয়ম
আলোচ্য এই বিষয় জানার পাশাপাশি আপনারা আরও যে সকল বিষয় সম্বন্ধে জানতে পারবেন সেগুলো হলো মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস এবং এর পলিসি সমূহ সম্পর্কে, মেটলাইফ পলিসি চেক, মেটলাইফ শিক্ষা বীমা, মেটলাইফ হেল্পলাইন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তাই মেটলাইফ ডিপিএস ভাঙ্গার নিয়ম জানার পাশাপাশি মেটলাইফ এর সঙ্গে জড়িত সকল বিষয়াদি সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

“MetLife” হল প্রধানত “মেট্রোপলিটন লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি” (MLIC) এর হোল্ডিং কর্পোরেশন যা “মেটলাইফ” নামে বেশি পরিচিত। তথ্য অনুযায়ী ৬০ টির ও বেশি দেশের প্রায় ৯০ মিলিয়ন গ্রাহকের সাথে মেটলাইফ বীমা প্রোগ্রাম জড়িত রয়েছে। ১৯৬৮ সালের ২৪ শে মার্চ ফার্মটি তাদের যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে এসে হিসেব করে দেখা যায় যে মোট আয়ের ভিত্তিতে মেটলাইফ ৫০০ বৃহত্তম মার্কিন কর্পোরেশন এর তালিকাতে ৪৩ নম্বর পজিশনে রয়েছে। 

মেটলাইফ কোম্পানি তাদের বিভিন্ন রকম পলিসি সমূহের কারণে বেশি জনপ্রিয় তবে মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস বিষয়ে সকলে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন এবং একজন ব্যক্তি তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে যদি মেটলাইফ কোম্পানিতে ডিপিএস করে, পরবর্তীতে মেটলাইফ ডিপিএস ভাঙ্গার নিয়ম অনুসারে উক্ত ব্যক্তি সে টাকাগুলো খুব সহজেই তুলতে পারে।

মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস

মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির কার্যসম্পাদনকারী ব্যক্তিবর্গ দাবি করে থাকেন যে তাদের প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম শরিয়া মোতাবেক হয়ে থাকে। তাদের মতে শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত তাকাফুল ডিপিএস প্ল্যান বা মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস পরিকল্পনা একজন ব্যক্তির বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ দুটি বিষয়ই নিশ্চিত করে থাকে। তারা আরো বলেন যে আমাদের এই ডিপিএস প্লানটি ব্যাংকের বড় বড় কর্মকর্তা পর্যন্ত গ্রহণ করে থাকেন। যদি কোন ব্যক্তি তাকাফুল ডিপিএস এ ১০ হাজার টাকা করে ১২ বছর টাকা জমাতে থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিভিন্ন রকম সুবিধা পেয়ে থাকেন। 

তবে হিসেবের পরিপ্রেক্ষিতে সুযোগ-সুবিধা গুলো কম-বেশি হতে পারে। যেমন ধরুন কোন ব্যক্তি যদি ৫০০০ টাকার পলিসি করে তাহলে টাকার অংকের হিসেব অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে তিনি মাসিক হিসেবে অর্ধেক করে পেতে থাকবেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যদি কোন ব্যক্তি কোন পলিসিতে অন্তর্ভুক্ত হয় তাহলে সে তার বর্তমানের সঙ্গে ভবিষ্যৎ এর বিষয়টিও নিশ্চিত করে ফেলল। ঠিক তেমনি কেউ যদি মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস এ একটি প্ল্যান গ্রহণ করে তাহলে পরবর্তী সময়ে মেটলাইফ ডিপিএস 
ভাঙ্গার নিয়ম নীতি মেনে নির্ধারিত মাসিক প্রিমিয়াম প্রদানের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রাপ্তি লাভ করতে পারবে। আসুন তাহলে এবার মেট লাইফ ডিপিএস প্ল্যানে কি কি বিষয় থাকছে এই বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।

মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস প্ল্যান

মেটলাইফ ডিপিএস প্ল্যানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর সর্বপ্রথম ডিপিএস গ্রাহক একটি ১৪,৪০,০০০ টাকার গভার্নমেন্ট রেভিনিউ স্ট্যাম্প (এখানে মাসিক প্রিমিয়াম ১০,০০০ টাকা এর হিসেব অনুযায়ী তথ্য দেওয়া হচ্ছে) অথবা দলিল পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি ১০,০০০ টাকার জমা দেয়ার রশিদ পাস বই পেয়ে যাবেন। মেট লাইফ এর নিয়ম অনুযায়ী মেয়াদ শেষে লাভ অথবা লসের উপর নির্ভর করে ব্যক্তির মেয়াদ পূর্তির মূল্য নির্ধারণ করা হবে এবং এটি মেটলাইফ ডিপিএস ভাঙ্গার নিয়ম অনুযায়ী যতগুলো নিয়ম রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি বিষয়। বছর শেষে ডিপিএস গ্রহীতা কে একটি ট্যাক্স সার্টিফিকেট প্রদান করা 

হবে যার মাধ্যমে ১৫% (পরিবর্তনশীল) ইনকাম ট্যাক্স দেওয়া যাবে। মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস এর অন্যতম আরেকটি বিষয় হলো যদি কোন গ্রহীতা দুর্ঘটনার কারণবশত সম্পূর্ণভাবে যদি কর্ম অক্ষম হয়ে পড়ে তাহলে মেটলাইফ পলিসি গ্রহীতাকে প্রিমিয়াম মোতাবেক(১০,০০০ টাকার প্রিমিয়াম এর হিসাব অনুযায়ী ২৮,৮০,০০০ টাকা প্রদানযোগ্য) নগদ অর্থ প্রদান করে থাকে। ব্যাংকে এরকম সুযোগ না থাকার ফলে ব্যাংকের কর্মকর্তা পর্যন্ত মেটলাইফ ডিপিএস এ অংশগ্রহণ করছে। আবার দুর্ঘটনাবশত কোন ব্যক্তি যদি মৃত্যুবরণ করে, তাহলে মেটলাইফ প্রতিষ্ঠান বীমা গ্রহীতা ব্যক্তির নমিনিকে 

৪৩,২০,০০০ টাকা গ্যারান্টি হিসেবে প্রদান করে থাকে। এছাড়া বীমা গ্রহীতা ব্যক্তির যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হয় সেই ক্ষেত্রেও নমিনি ১৪,৪০,০০০ টাকা কাভারেজ হিসেবে পেয়ে থাকে। তাকাফুল ডিপিএসের যদি কোন কার্ড থাকে তাহলে সেই কার্ডের মাধ্যমে গ্রহীতা ব্যক্তি নিজে অথবা পরিজনদের নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারে পাশাপাশি যদি বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করাতে যায় সে ক্ষেত্রেও ১০ থেকে ১৫ পার্সেন্ট ক্যাশ ডিসকাউন্ট পেয়ে থাকে। মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস চালু হবার পরের ছয় মাসের মধ্যে যদি মারাত্মক রোগ দ্বারা ডিপিএস গ্রহীতা ব্যক্তিটি আক্রান্ত হয় সে ক্ষেত্রে মেটলাইফ কর্তৃপক্ষ 

ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য ১৪,৪০,০০০ টাকা পর্যন্ত প্রদান করে থাকে। আবার বীমা গ্রহীতা ব্যক্তি যদি দুর্ঘটনাবশত অক্ষম হয়ে পড়ে তাহলে পরবর্তী সকল প্রিমিয়াম অথবা কিস্তি প্রদান করতে হয় না। পাঠক বৃন্দ আমরা এখানে ১০,০০০ টাকা মাসিক প্রিমিয়াম এর হিসেব অনুযায়ী সকল তথ্যগুলো প্রদান করেছি প্রিমিয়াম প্রদানের কম বেশি হওয়ার প্রেক্ষিতে ব্যক্তির অনুদানের পরিমাণও কম বেশি হয়ে থাকবে। আমরা এতক্ষণ পর্যন্ত মেটলাইফ ডিপিএস এর প্ল্যান সংক্রান্ত বিষয়গুলো জানতে পারলাম। আসুন এবার তাহলে মেটলাইফ ডিপিএস ভাঙ্গার নিয়ম সংক্রান্ত বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করি।

মেটলাইফ ডিপিএস ভাঙ্গার নিয়ম

আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয়টি সম্পর্কে জানার পূর্বে আমরা উক্ত বিষয়টি আসলে কতটুকু হালাল পন্থা অবলম্বন করে সে বিষয়টি জেনে নিব। মেটলাইফ কর্তৃপক্ষ এর মতে ইসলামী আইন এবং শরীয়ার নির্দেশ অনুযায়ী তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। শরিয়াহ কাউন্সিলের আদেশক্রমের ভিত্তিতে পরিচালিত আর্থিক সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে মেটলাইফ তাকাফুল জীবন বীমা এবং ডিপিএস পলিসিগুলো তৈরি করা হয়েছে। প্রিমিয়ামের ভিত্তিতে ডিপিএস গুলো গোল্ড, সিলভার এবং ব্রোঞ্জ এই তিনটি ভেদে ভাগ করা হয়েছে। তবে এই সকল প্যাকেজগুলোই বীমা গ্রহীতার ব্যক্তির আর্থসামাজিক 

জীবনে সুরক্ষার প্রদান এবং সঞ্চয়ী পরিকল্পনা হিসেবে কাজ করে থাকে। এত এত সুযোগ মেটলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি প্রদান করে, যার জন্য বাংলাদেশের সাধারণ মধ্যবিত্ত নাগরিকদের অবশ্যই মেটলাইফ ডিপিএসের আওতায় যে পলিসিগুলো রয়েছে তার মধ্যে একটি পলিসি গ্রহণ করা উচিত বলে গণ্য হয়। এখানে আরেকটি প্রশ্ন চলে আসে সেটি হলো একজন ব্যক্তি মেটলাইফ ডিপিএস এর আওতায় একটি বীমা অথবা পলিসি গ্রহণ করল। কিন্তু কিভাবে সে তার মেয়াদ পূর্ণকৃত টাকাগুলো তুলবে অর্থাৎ কোন নিয়মের প্রেক্ষিতে ডিপিএসের টাকাগুলো তোলা যায়। প্রথমত মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস এর 

মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে একটি নোটিশ পাঠানো হবে এবং সেই নোটিশে উল্লেখ থাকবে যে আপনার পলিসি মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে দ্রুত অফিসে যোগাযোগ করুন। মেটলাইফ ডিপিএস ভাঙ্গার নিয়ম এর প্রথম যে বিষয়টি সামনে আসে সেটি হল নোটিশ পাঠানোর পর উক্ত ব্যক্তিকে মাসিক প্রদানকৃত চাঁদার রশিদ এবং প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদানকৃত পাসবই সমেত যেই মেটলাইফ শাখা থেকে পলিসি গ্রহণ করা হয়েছিল সেখানে উপস্থিত হওয়া। তারপর সেখানে কর্মরত অফিসার কে নোটিস সংক্রান্ত বিষয়টি অবগত করতে হবে তারপর আপনার কাছ থেকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের 
ফটোকপি এবং সঙ্গে থাকা পাস বই সহ আরো কিছু কাগজপত্র চাইতে পারে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো উক্ত কর্মকর্তাকে প্রদান করতে হবে। তারপর মেটলাইফ কর্তৃপক্ষ আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময় জানাবে। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট তারিখে আপনার টাকাগুলো পরিশোধ করা হবে এই মর্মে আপনাকে লিখিত কাগজ প্রদান করবে। এখন আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে সেই তারিখ পর্যন্ত। এরপর নির্দিষ্ট তারিখে গিয়ে আপনি আপনার মেটলাইফ ডিপিএস এর থেকে প্রাপ্ত অর্থ গুলো সংগ্রহ করুন।

মেটলাইফ পলিসি সমূহ

মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি সাধারণত জনগণের বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করার লক্ষ্যে পলিসিগুলো তৈরি করেছে। পলিসি গুলোতে পলিসিগ্রহীতার জার্মমালের নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ থাকার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ সকল রকম জালমালের ঝুঁকির দায়ভার নিয়ে থাকে। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি পলিসির আওতায় থাকে কিন্তু হঠাৎ মৃত্যুবরণ করে সেই ক্ষেত্রে মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি ব্যক্তির পরিবার পরিজনদের ব্যাপক পরিমাণ টাকা অনুদান হিসেবে প্রদান করে। ঠিক তেমনি সম্পদের উপর যদি বীমা অথবা পলিসি গ্রহণ করা থাকে সেক্ষেত্রেও কর্তৃপক্ষ নগদ অর্থ প্রদান করে। 

মেটলাইফ পলিসি সমূহ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস হলো জনপ্রিয় একটি পলিসি। এছাড়াও যে সকল পলিসিগুলো রয়েছে সেগুলো হল মেটলাইফ ব্যক্তিগত জীবন বীমা, মেটলাইফ ডেন্টাল পলিসি, মেট লাইফ টোটাল অ্যাবসেন্স ম্যানেজমেন্ট পলিসি, মেটলাইফ বার্ষিক পলিসি, অটো এবং হোম পলিসি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এখানে যতগুলো মেটলাইফ পলিসির কথা বলা হয়েছে সকল স্তরের জনগণ উক্ত পলিসিতে যোগদান করতে পারবে এবং পলিসির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর পলিসি বাতিলের নিয়ম, 

পাশাপাশি মেটলাইফ ডিপিএস ভাঙ্গার নিয়ম অনুযায়ী উক্ত শাখা থেকে ডিপিএস এর অথবা পলিসির প্রাপ্য অর্থ তুলে নিতে সক্ষম হবে। মেটলাইফ প্রতিষ্ঠানটি আরো অনেক পরিকল্পনা সাজিয়েছে। সেখানে আরো অনেক পলিসি এবং পন্য সমূহ যুক্ত করা হয়েছে। পূর্ণ সমূহ হলো ফি অনুযায়ী আর্থিক পরিকল্পনা, অবসর পরিকল্পনা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং বিনিয়োগ, বাণিজ্যিক ও আবাসিক পরিকল্পনা।

মেটলাইফ পলিসি চেক

আপনাদের মাথায় আরো একটি বিষয় ঘুরপাক খেতে পারে সেটি হল আমি তো মেট লাইফ পলিসি এর আওতায় একটি পলিসি গ্রহণ করেছি। কিন্তু সেই পলিসিটি কিভাবে চেক করব। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি পলিসির আওতায় অন্তর্ভুক্ত হলো কিনা সেই বিষয়টি কিভাবে চেক করবে। একটি মাসিক প্রিমিয়াম প্রদান করার পর উক্ত ব্যক্তি সরাসরি যে শাখা থেকে পলিসি গ্রহণ করেছিল সেখানে গিয়ে অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা বৃন্দের সাথে কথা বলে তার পলিসি সংক্রান্ত সকল বিষয়াদি জানতে পারে। আবার বর্তমান সময় যেহেতু প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে সামনে এগিয়ে গেছে। তাই অফিসে না গিয়েও বাড়িতে বসে 

অনলাইনের মাধ্যমে মেটলাইফ পলিসি চেক করা সম্ভব হচ্ছে। সেজন্য আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটারে গুগল সার্চবারে গিয়ে টাইপ করতে হবে online.metlife.com এবং সার্চ বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনি সেখানে আপনার পলিসি নম্বর দিয়ে আপনার একাউন্টে লগইন করতে পারবেন। একাউন্টে লগইন করার পর সেখান থেকে আপনার পলিসি চেক সংক্রান্ত সকল বিষয় এবং যদি আপনি পেমেন্ট স্ট্যাটাস চেক করতে চান সবকিছুই এখান থেকে করতে পারবেন। আবার মেটলাইফ ডিপিএস ভাঙ্গার নিয়ম এর আওতায় যতগুলো বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই সার্ভার থেকে সকল তথ্য পাওয়া সম্ভব।

মেটলাইফ লোন

মেটলাইফ বীমা অথবা পলিসির সুবিধাগুলো রাখার পাশাপাশি আরো একটি বিষয় গ্রাহকদের জন্য রেখেছে সেটি হল মেটলাইফ লোন। “মেটলাইফ ইন্সুরেন্স ফর লোন”সাধারণত গ্রহিতা ও লোন দাতা উভয়ের মধ্যে আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং লেনদেনের সুযোগ সুবিধা তৈরি করে থাকে। মেটলাইফ লোনের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হলো ব্যক্তিগত লোন, গাড়ি অথবা বাড়ির জন্য লোন এবং বন্ধকীয় লোন। সাধারণত লোনের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়। যা পরবর্তীতে লোনের ক্ষতিপূরণের দায়ভার বহন করে। মেটলাইফ কর্তৃপক্ষ দাবি করে থাকেন যে লোন পাস করার জন্য 

তাদের রয়েছে দক্ষ কর্মচারীবৃন্দ। তারা আরো বলেন কোন ব্যক্তি যদি তার ব্যক্তিগত বিষয়ের উপর লোন নিতে আগ্রহী হয় তাহলে কোনরকম চিন্তাভাবনা না করেই সরাসরি নিকটস্থ মেটলাইফ শাখায় উপস্থিত হবে এবং নিয়োজিত কর্মচারীর সাথে উক্ত লোনের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করবে। মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস এ যেমন উল্লেখ থাকে সার্বিক দুর্ঘটনার কাভারেজ হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। ঠিক তেমনি মেটলাইফ এর প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ যদি লোন নিয়ে থাকে এবং সার্বিক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে সে ক্ষেত্রেও তারা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অনুদানের ব্যবস্থা রেখেছে।

মেটলাইফ শিক্ষা বীমা

শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড এ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে মেটলাইফ প্রতিষ্ঠানটি ছাত্র এবং ছাত্রীদের জন্য একটি পলিসি অথবা শিক্ষা বীমার ব্যবস্থা করে রেখেছে। এই বীমার মূল লক্ষ্য হল ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় যেন কোনরকম সমস্যা সৃষ্টি না হয়। অর্থাৎ অর্থের যোগান হিসেবে পরবর্তী সময়ে যেন কোন ছাত্র অথবা ছাত্রীর পড়াশোনা বন্ধ না হয়ে যায়, এই লক্ষ্যেই মেটলাইফ কর্তৃপক্ষ “মাই চাইল্ড এডুকেশন প্রোটেকশন প্ল্যান” নামের একটি শিক্ষা বীমা চালু করে রেখেছে। এই পলিসিটি “আদর্শ জীবন বীমা পলিসি” নামেও পরিচিত। এই পলিসিতে ছাত্র অথবা ছাত্রীর পিতা-মাতারা সন্তানের ভবিষ্যতের 
কথা চিন্তা করে বিনিয়োগ করতে পারে। পাশাপাশি যেভাবে মেটলাইফ ডিপিএস এর টাকা তুলতে হয় অর্থাৎ মেটলাইফ ডিপিএস ভাঙ্গার নিয়ম এর মতই একটি নির্দিষ্ট সময় পর পলিসি গ্রহীতা ব্যক্তি তার প্রাপ্ত টাকা তুলতে পারবে। এই বিনিয়োগের মূল উদ্দেশ্য হলো যেন ছাত্রছাত্রীরা পরবর্তী সময়ে তারা তাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারে এবং সেই শিক্ষা গ্রহণের সময় যেন কোনরকম অর্থনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি না হয়। এটাই মেটলাইফ শিক্ষা বীমা এর প্রধান উদ্দেশ্য।

মেটলাইফ বীমা বাতিল

মেটলাইফ বীমা বাতিল প্রক্রিয়াটি ঠিক তখন সংঘটিত হয়। যখন কোন ব্যাক্তি বীমা অথবা পলিসি গ্রহণ করার পর নিয়মিত প্রিমিয়াম প্রদান করে না। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি চুক্তি অনুযায়ী যে মাসিক প্রিমিয়াম প্রদান করার কথা সেই প্রিমিয়াম এক মাস দেওয়ার পর অথবা দুই মাস দেওয়ার পর আর প্রদান করেনা। সেই ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ উক্ত ব্যক্তির গ্রহণ কৃত পলিসি অর্থাৎ বীমাটি বাতিল বলে ঘোষণা করে। আবার অনেকে নিজের থেকেই চায় হে আর মেটলাইফ বীমা চালাবে না। অর্থাৎ পলিসিটি সে বাতিল বা বন্ধ করতে চায়। সে ক্ষেত্রে তার করণীয় বিষয়টি হলো তাকে দেওয়া পাস বইয়ের কার্ড এবং প্রধানকৃত 

প্রিমিয়ামের চেক রশিদ নিয়ে উক্ত শাখায় উপস্থিত হওয়া। এরপর কর্মচারীকে তার বীমা বাতিল করার বিষয়টি জানানো। সকল বিষয়াদি সামনে রেখে কর্মচারী তখন ওই ব্যক্তির বীমা অথবা পলিসিটি বাতিল করে দেন। আবার অফিসে না গিয়ে অনলাইনেও বীমা বাতিল করা যাবে। সে ক্ষেত্রে www.mymetlife.net এই অ্যাড্রেসে ঢুকে প্রথমে লগইন করতে হবে। ওয়েব সাইটটির হোমপেজে আপনি “আমি চাই” নামক একটি অপশন পেয়ে যাবেন সেখানে ক্লিক করুন। তারপর দেখতে পাবেন “নীতি পরিবর্তনের অনুরোধ” নামক একটি অপশন। এবার সেখানে ক্লিক করুন এবং “সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ অনুরোধ” নামের আরও 

একটি অপশন আপনার সামনে চলে আসবে। এই অপশনটিতে ক্লিক করলে আপনার ঠিকানা সংক্রান্ত সকল বিষয় জানতে চাইবে, আপনি আপনার ঠিকানাটি সঠিকভাবে দিয়ে দিন। পাশাপাশি আরও যেগুলো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাইবে সেগুলো উক্ত ওয়েবসাইটে আপলোড করুন। এরপরের পর্যায়ে আপনি “আমি এত দ্বারা স্বীকার করছি”নামক বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে দিন এবং “পরবর্তী” নামক অপশনে ক্লিক করুন। এই পর্যায়ে এসে আপনি “সমর্পণের কারণ” নামক অপশন পাবেন সেখানে ক্লিক করে আপনাকে দুই লাইন আত্মসমর্পণের কারণ সংক্রান্ত বিষয় লিখতে হবে। 

পরিশেষে সকল কাজ সম্পাদন করার পর নোটিশ পাওয়ার ক্ষেত্রে “প্রদানের পদ্ধতি” অপশনটির মাধ্যমে আপনি কোন পদ্ধতিতে নোটিশ গ্রহণ করতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করুন। এরপর “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করুন। পরবর্তীতে এসএমএস অথবা হোম নোটিশের মাধ্যমে আপনাকে বীমা বাতিল করার বিষয়টি জানানো হবে। ঠিক একই ভাবে কেউ যদি মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস এর ডিপিএসটি বাতিল করতে চায়, তাহলে সরাসরি অফিসে গিয়ে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে বাতিল করতে পারবেন।

মেটলাইফ পলিসিতে সমর্পণ মূল্য কত

আমরা এতক্ষণ পর্যন্ত মেটলাইফ ডিপিএস ভাঙ্গার নিয়ম এবং মেটলাইফ এর আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারলাম। আসুন এবার তাহলে বীমা বাতিল করার ক্ষেত্রে অর্থাৎ মেটলাইফ পলিসিতে সমর্পণ মূল্য কত হয়ে থাকে এ বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। বীমার সমর্পণ মূল্য হিসেবে কোম্পানি পলিসিধারক যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করে অথবা মেয়াদ পূর্তির পূর্বেই পলিসির পরিকল্পনাটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে অর্থাৎ কত পারসেন্ট প্রিমিয়াম প্রদান করা হয়েছে সেই অনুযায়ী উক্ত পলিসি গ্রহীতা তার অর্থ প্রাপ্তি লাভ করে। 

যদি কোন পলিসি ধারক মধ্যবর্তী সময়ে সমর্পণের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে উপার্জন এবং সঞ্চয়ের উপর নির্ভর করে বিতরণকৃত সমষ্টি পলিসিধারকে প্রদান করা হয়ে থাকে। যদি কোন ব্যক্তি ৩ বছর পর্যন্ত প্রিমিয়াম প্রদান করতে থাকে কিন্তু তারপর সে কাছে বীমা অথবা পলিসিটি বাতিল করতে। সেই ক্ষেত্রে আত্মসমর্পণ মূল্য হিসেবে ওই ব্যক্তি মোট প্রিমিয়ামের ৩০% পেয়ে থাকবে। আবার প্রথম বছরের জন্য প্রধান কৃত প্রিমিয়াম এবং দুর্ঘটনারজনিত প্রফিট কাভারেজ হিসেবে প্রিমিয়াম গুলি থেকে পলিসিধারকদের জন্য কিছু অংশ বাদ দেয়া হয়েছে। 

এখানে তিন বছরের প্রিমিয়াম এর হিসেব অনুযায়ী ৩০% দেখানো হয়েছে। প্রিমিয়াম প্রদানের হিসেব অনুযায়ী আত্মসমর্পণ মূল্য কততে দাঁড়াবে সেটি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে পলিসি গ্রহীতার মোট প্রিমিয়াম প্রদানের উপর।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি সম্পর্কে এবং মেটলাইফ ডিপিএস ভাঙ্গার নিয়ম সংক্রান্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছি। পাশাপাশি মেটলাইফ তাকাফুল ডিপিএস চেক করার পদ্ধতি গুলো এবং ডিপিএস এর পরিকল্পনা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা লাভ করেছি। আপনাদেরকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। যদি মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি সংক্রান্ত বিষয়ে আপনাদের আরো জানার আগ্রহ থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে সেটি জানাতে পারেন। 

আমরা সবসময় আমাদের ওয়েবসাইটে তথ্যবহুল আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি, আপনি যদি তথ্য সংক্রান্ত বিষয়াদি জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। মেটলাইফ ডিপিএস ভাঙ্গার নিয়ম সম্পর্কে আপনার বন্ধুবান্ধব অথবা আত্মীয়দের অবগত করার লক্ষ্যে আজকের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন। পরিশেষে সকলের সুস্থতাই আমাদের কাম্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url