কারো নামে মামলা আছে কিনা জানার উপায় ২০২৪

কারো নামে মামলা আছে কিনা জানার উপায় সম্পর্কে ঠিক তখন আমাদের জানার আগ্রহ কিংবা প্রয়োজন হয়ে পড়ে যখন কোন ব্যক্তি হঠাৎ করে কোন মামলার মধ্যে পড়ে যায়। তখন আমরা সেই মামলা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দেই। কিন্তু সেই সময় কোনরকম বুদ্ধি বা সিদ্ধান্ত মাথার ভেতরে ঢুকে না। সেই ব্যক্তিটি বুঝতে পারেন যে কোন মামলায় পড়ে গেলে কত রকম ভোগান্তি হতে হয়। আদেও তিনি মামলার কোন আসামি হিসেবে গণ্য কিনা সেটিও না জেনেই শুধু শুধু টেনশনের ভিতরে থাকেন। 
কারো নামে মামলা আছে কিনা জানার উপায়
কিন্তু ওই ব্যক্তিটি যদি কারো নামে মামলা আছে কিনা জানার উপায় সম্পর্কে অবগত হন তাহলে তার টেনশনের কোন বিষয় আসে না। এবং তার কাছে ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ হয়ে যায়। তাই আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে মামলায় নাম আছে কিনা সে বিষয়ে জানার পাশাপাশি আরো যেগুলো বিষয়ে জানতে পারব সেগুলো হল অনলাইনে মামলা দেখার উপায়, নাম দিয়ে কিভাবে মামলা চেক করতে হয় এবং মামলা হলে কিভাবে জানতে পারব, মামলায় নাম থাকলে বিদেশ যাওয়া যায় কিনা এ সকল বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

এক বা একাধিক পক্ষের বিরুদ্ধে এক বা দিক পক্ষের দ্বারা একটি কার্যক্রম পরিচালিত হওয়াকে মামলা অথবা মোকদ্দমা বলা হয়। আদালতের কাছে থেকে আইনি প্রতিকার সংগত অধিকারের অনুরোধ করে তার দ্বারা আনা দেওয়ানী পদক্ষেপ এর ক্ষেত্রটি মামলা দায়ের করার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে হয়তোবা কোন এক সময় এরকম মামলা-মোকদ্দমায় পড়তে হয়। আর ঠিক তখন আমাদের প্রথম যে বিষয়টি মাথায় আসে সেটি হল কারো নামে মামলা আছে কিনা জানার উপায় টা কি। মামলা করার পর বিবাদীকে বাদীর অভিযোগের সঠিক জবাব দিতে হয়। 

বাদী সফল হলে বাদীর পক্ষে রায় চলে যায়। বিবাদী তখন আদালতের রায় অনুযায়ী সাজা লাভ করে। সাধারণত একটি মামলার সমস্যা জড়িত বিষয়গুলির মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি জড়িত হতে পারে। ব্যক্তি, ব্যবসায়িক সত্তা এবং সংস্থা গুলোর মধ্যে ব্যক্তিগত আইনে জড়িত থাকা ছাড়া একটি মামলায় পাবলিক আইনের বিষয়গুলিও জড়িত থাকতে পারে। নির্দিষ্ট আইন প্রয়োগের জন্য দেওয়ানি কারণ সহ বাদী হিসেবে বা ক্রিয়াকলাপে বিবাদী হিসেবে রাষ্ট্রকে দেওয়ানি মামলায় একটি প্রাইভেট পার্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

কারো নামে মামলা আছে কিনা জানার উপায়

আমাদের বর্তমান প্রেক্ষাপটে জীবদ্দশায় অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন আমরা হই। মানুষ যেহেতু সামাজিক জীব সমাজে বসবাস করতে গেলে একে অন্যের সাথে কারণবশত অথবা কারণ ছাড়া যে কোন ভাবে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এমনকি সেটা মারামারি কিংবা ঝগড়ার মাধ্যমে আদালতে মামলা পর্যন্ত গড়ায়। একপক্ষ কর্তৃপক্ষকে হেনস্থা করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বনে মামলা দায়ের করে থাকে। অনেকে সবার সামনে প্রকাশ্যে গিয়ে মামলা দায়ের করে আসে। আবার অনেকে গোপনে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। 

যদি ঘটনাটি তাহলে তো আপনি জানতে পারলেন যে আপনার নামে মামলা হয়েছে। কিন্তু যদি গোপনে মামলা করা হয় তাহলে কারো নামে মামলা আছে কিনা জানার উপায় আসলে কি সে নিয়ে আমাদের চিন্তার শেষ থাকে না। যদি আপনি বুঝতে পারেন যে আপনার প্রতিপক্ষ আপনার নামে গোপনে মামলা করে এসেছে অর্থাৎ আপনি যদি সন্দেহ করে থাকেন তাহলে প্রথমে আপনি নিজেকে শান্ত রাখুন। কেননা ঠান্ডা মাথায় যদি আপনি আইনি পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করেন তাহলে আপনি সেই মামলা থেকে অবশ্যই পরিত্রান লাভ করবেন। 
বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বর্তমান সময়ে জমি জমা নিয়ে ব্যাপক পরিমাণে ঝামেলা সৃষ্টি হয় এবং সেই অনুযায়ী এক পক্ষ আরেক পক্ষ নামে মামলা করে বসে। কারো নামে মামলা আছে কিনা জানার উপায় আমরা অবশ্যই জানবো কিন্তু তার আগে মামলা সম্পর্কে একটু ধারণা নিয়ে নেই। মামলা সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। সেগুলো হলো দেওয়ানী মামলা এবং ফৌজদারি মামলা। সাধারণত কোনরকম সম্পদ বিষয়ে মামলা অথবা পদমর্যাদা অধিকারের লক্ষ্যে যে মামলা করা হয় সেটি হল দেওয়ানি মামলা বা দেওয়ানী। মোকদ্দমা ছাড়াও পারিবারিক বিষয় বিয়ে-শাদী তালাক সন্তানের অভিভাবকত্ব আর্থিক 

লেনদেন ব্যবসার চুক্তি কপিরাইট বিভিন্ন পদ পদবী এ সকল বিষয়ে যদি কেউ আদালতে গিয়ে মামলা করে তাহলে সেগুলো দেওয়ানী মোকদ্দমা এর অন্তর্ভুক্ত। তবে দেওয়ানী প্রকৃতির মামলা যদি করা হয় তাহলে জেল হাজতের খুব একটা শঙ্কা নেই। আবার চুরি ডাকাতি প্রতারণা খুন ইভটিজিং জালিয়াতি মিথ্যা সাক্ষী প্রদান মাদক ব্যবসায়ী ইত্যাদি বিভিন্ন রকম অপরাধমূলক কার্যক্রমে যুক্ত থাকলে যেসব মামলা দায়ের করা হয়। সেগুলোকে ফৌজদারি মামলা অথবা ক্রিমিনাল কেস বলা হয়ে থাকে। 

এখন আলোচ্য বিষয় যেটা ছিল আমরা কিভাবে বুঝতে পারব আমাদের নামে মামলা আছে কিনা। কারো নামে মামলা আছে কিনা জানার উপায় সাধারণত দুইটি। সেগুলো হলো থানায় গিয়ে মামলা দেখা এবং কোন আইনজীবীর মাধ্যমে।

থানায় গিয়ে মামলা দেখা

যদি আপনি বুঝতে পারেন যে হয়তো আপনার নামে মামলা হয়েছে তাহলে আপনি আপনার নিকটস্থ থানায় গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখা উচিত যদি আপনার নামে কোনরকম ওয়ারেন্ট জারি হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে পুলিশ যে কোন মুহূর্তে গ্রেফতার করতে পারে। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে যে আপনি সশরীরে কখনোই যাবেন না কারণ আপনি নিশ্চিত নন যে আপনার নামে মামলা আছে কিনা। তাই আপনি আপনার নিকটস্থ কোন আত্মীয় স্বজনকে থানায় পাঠাতে পারেন চেক করার জন্য যে আপনার নামে মামলা আছে কিনা। 

আবার যদি কোন পুলিশ কনস্টেবল অথবা এএসআই এর সঙ্গে আপনার সখ্যতা থেকে থাকে তাহলে তার মাধ্যমেও আপনি জেনে নিতে পারেন। যে আপনার নামে মামলা হয়েছে কিনা। তাই কারো নামে মামলা আছে কিনা জানার উপায় গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম পন্থা হলো প্রত্যক্ষভাবে নিজে না গিয়ে অন্যকে পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা। আপনি অথবা আপনার আত্মীয় থানায় পৌঁছানোর পর থানার কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইবেন যে ঘটনার সম্ভাব্য তারিখে কেউ তার নামে মামলা করেছে কিনা। 

সে ক্ষেত্রে উক্ত কর্মকর্তা থানায় ব্যবহৃত FIR (FIRST INFORMATION REPORT) লিস্ট থেকে অর্থাৎ মামলা তালিকা থেকে আপনার নাম চেক করে জানিয়ে দেবে। যদি থানায় মামলা তালিকা তে আপনার নাম না থাকে তাহলে খুশি হওয়ার এমন একটা কোন কারণ নেই। কারণ আপনার বিচক্ষণ প্রতিপক্ষ হয়তো বা থানায় মামলা করেছে কিন্তু সেই মামলা গিয়ে পৌঁছেছে আদালতে। তাই আপনি সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য অবশ্যই থানায় গিয়ে মামলা দেখার পাশাপাশি অবশ্যই আদালতে গিয়েও মামলা হয়েছে কিনা সেটা চেক করে দেখতে হবে। 

বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলাতে একটি করে GR (GENERAL REGISTER)এর শাখা থেকে থাকে। উক্ত শাখা থেকে থানায় যদি মামলা হয়েও থাকে সেটি 24 ঘণ্টার মধ্যে FIR ধার্য করে কোটের GR শাখায় পাঠানো হয়। আদালতের GR শাখায় যাওয়ার পর শাখায় নিযুক্ত কর্মকর্তার নিকট মামলার তালিকা চেক করার জন্য বলতে হবে। যদি আপনি মামলায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার নাম অবশ্যই জেনারেল রেজিস্টার খাতায় তালিকাভুক্ত অবস্থায় থাকবে। 

তাই অবশ্যই থানায় যদি আপনার মামলার কোন আলামত না পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই কোর্টের উত্তর শাখায় গিয়ে আপনার বিষয়ে সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হতে পারবেন। তবে কারো নামে মামলা আছে কিনা জানার উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো পদক্ষেপ হলো কোন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করে নেওয়া। অর্থাৎ আইনজীবীর সহায়তায় আপনি খুব ভালোভাবেই জেনে নিতে পারবেন যে আপনি মামলায় অন্তর্ভুক্ত আছেন কিনা।

আদালতে গিয়ে মামলা চেক

আদলাতে গিয়ে মামলা চেক করার জন্য আপনি নিজে অথবা কোন আইনজীবীর সহায়তা নিতে পারেন। আদালতের উক্ত সি আর তালিকা চেক করে জানতে পারা সম্ভব যে মামলায় আপনার নাম আছে কিনা। আদালতে কোনরকম মামলা হলে সেটি সমনজারী হয় এবং পরবর্তীতে সেটি আপনার নামে নোটিশ পাঠায়। নোটিশের মাধ্যমে জানা যায় যে আপনি মামলায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। আদালতে গিয়ে কারো নামে মামলা আছে কিনা জানার উপায় সাধারণত এই দুই পদ্ধতিতে হয়ে থাকে।
 আদালতে যাওয়ার পর আপনি উক্ত কর্মকর্তাকে সম্ভব দাড়ি অনুযায়ী রেজিস্টার চেক করতে বলবেন এবং আপনার নাম পিতার নাম ঠিকানা অনুযায়ী যদি মিলে যায় সবকিছু তাহলে বুঝে নিবেন যে আপনার নামে অবশ্যই মামলা হয়েছে। ফৌজদারী কার্যধারার ১৫৪ ১৫৫ এবং দ্বিতীয় তফসিলে সংবিধান অনুযায়ী বর্ণনা করা হয়েছে যে যদি অপরাধে ধরন গুরুতর হয় তবে হাইকোর্ট থেকে সেটি আগাম জামিন নিতে হবে। আপনি থানায় অথবা আদালতে গিয়ে যদি বুঝতে পারেন যে আপনার নামে মামলা হয়েছে তাহলে আত্মসমর্পণ করুন এবং জামির জন্য দরখাস্ত করুন।

অনলাইনে মামলা দেখার উপায়

যেহেতু আমরা বর্তমান যুগে এসে ডিজিটাল ধাপে পদার্পণ করেছি তাই এখন সরেজমিনে থানায় অথবা আদালতে না গিয়েও অনলাইনে মামলা হয়েছে কিনা সেটি দেখা যায়। অনেকে যদি আদালত অথবা থানায় যেতে ভয়-ভীতি পোষণ করে থাকেন কিন্তু অনলাইনে কিভাবে মামলা চেক করবো এ বিষয়ে জানেন না তাহলে আপনি কারো নামে মামলা আছে কিনা জানার উপায় হিসেবে সেটি অনলাইনে দেখে নিতে পারেন। তবে অনলাইনে শুধুমাত্র আদালতে যেগুলো চলমান মামলা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জানা যাবে। 

যদি মামলা থানা থেকে GR হিসেবে আসে অর্থাৎ থানায় করা মামলার অবস্থা সম্পর্কে অনলাইনে জানা সম্ভব নয়। অনলাইনে মামলা দেখার উপায় সাধারণত দুইটি প্রথমটি হল “mycourt” মোবাইল অ্যাপ এবং আরেকটি হলো ই কার্যতালিকার ওয়েবসাইট https://causelist.judiciary.gov.bd/। মোবাইলে উক্ত অ্যাপ টি ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে হবে। ইন্সটল করে ওপেন করার পর উপরের মেন থেকে ”মামলা অনুসন্ধান” বাটন এ ক্লিক করতে হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে বিভাগ জেলা ও অধীনস্থ আদালত এর নাম সিলেক্ট করতে হবে। 

তারপর মামলা নম্বর এবং তারিখ দিয়ে “ সাবমিট” বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনি যদি উক্ত মামলার আসামি অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার নাম সেখানে চলে আসবে। ঠিক একইভাবে উপরে বর্ণিত ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করে পদক্ষেপগুলো অনুসরণের মাধ্যমে আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়ে যাবেন।

জি আর ও সি আর মামলা কি

আপনি ঠিক তখনই কারো নামে মামলা আছে কিনা জানার উপায় গুলো ভালোভাবে অনুসরণ করতে পারবেন যখন মামলা সম্পর্কে আপনার বেশ কিছু ধারণা হয়ে যাবে। যেমন ফৌজদারি আইন অনুযায়ী মামলা সাধারণত দুই ভাবে হয়ে থাকে। একটি জি আর মামলা আরেকটি সি আর মামলা। সহজভাবে যদি বলা হয় তাহলে যেসব মামলা থানায় গিয়ে করা হয় সেগুলোকে জি আর মামলা বলা হয় এবং যেগুলো আদালতে গিয়ে করা হয় সেগুলোকে সি আর মামলা বলা হয়। জি আর মামলা আমলযোগ্য অপরাধের জন্য থানায় ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী ১৫৪ ধারা মোতাবেক দায়ের করা হয়ে থাকে। 
আবার তদন্ত অফিসার ১৫৬ ধারা মোতাবেক তদন্ত সম্পন্ন করে। যদি কোন রকম অভিযোগে সত্যতা না পান তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৯ নম্বর ধারার বিধান অনুযায়ী ১৭৩ ধারায় কোর্টে রিপোর্ট পেশ করে থাকে। অপরপক্ষে সি আর মামলা সাধারণত থানায় যদি মামলা নিতে না চায় তাহলে ফৌজদারী কার্যধারার ৪(জ) অনুযায়ী সি আর মামলা বা নালিশি মামলা করা যায়। কোন ব্যক্তি যদি আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের করতে চায় তাহলে ফৌজদারি কার্যধারার ২০০ ধারা অনুযায়ী আদালত কর্তৃপক্ষ জবান বন্দী গ্রহণ করে এবং ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত ঘটনা তদন্তের জন্য পুলিশ প্রেরণ করে থাকে। 

আবার অনেকের মনে প্রশ্ন থেকে থাকে যে কোন মামলা থাকলে কি বিদেশ যাওয়া যায়। আসলে যদি আপনি জামিনে না থাকেন এবং আপনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরনা জারি হয়ে থাকে তাহলে আপনি কখনোই বিদেশে যেতে পারবেন না। তবে আদালতের অনুমতি পেলে আপনি মামলার অবস্থা অনুযায়ী বিদেশ গমন করতে পারবেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মামলায় জড়িত থাকলে বিদেশ যাওয়া সম্ভব হয় না।

লেখক এর শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা এই আর্টিকেলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করলাম আশা করি আপনাদেরকে মামলার বিষয়বস্তুগুলি এবং পাশাপাশি কারো নামে মামলা আছে কিনা জানার উপায় সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। এই আর্টিকেলে উপরে বর্ণিত তথ্য অনুযায়ী আপনি মামলার পদক্ষেপ গুলো কিভাবে গ্রহণ করতে হয় সেগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন। আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আমরা মামলা সংক্রান্ত সকল তথ্য গুলো একজন আইনজীবের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সাহায্য নিয়েছি। 

তাই আপনার কোন রকম সমস্যা যদি হয় তাহলে যে কোন রকম পদক্ষেপ গ্রহণের পূর্বে একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী পরামর্শ অবশ্যই নিবেন। আপনি যদি কোন মামলায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এবং সেই বিষয়ে আপনি কোন কিছু জানতে চাচ্ছেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলের মন্তব্য বক্সে আপনার প্রশ্নটি করতে পারেন। এবং আপনার মত আর অন্য আরেকজনের উপকারের লক্ষ্যে আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন। আর অবশ্যই যে কোন বিষয় জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আমরা সব সময় আমাদের ওয়েবসাইটে মূল্যবান তথ্যবহুল আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। পরিশেষে সকলের সুস্থতায় আমাদের কাম্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url