জীবন বীমা কি-জীবন বীমা করার নিয়ম জানুন

জীবন বীমা করার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের ধারণা না থাকার কারণে পাশাপাশি এ বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেকটা অনীহা পোষণ করার প্রেক্ষিতে জীবন বীমা নিয়ে আমরা অতটা আগ্রহ দেখাই না। কিন্তু জীবন বীমা একটি মানুষের জীবনের ভাল হিসেবে কাজ করে। আবার অনেকে মনে করেন যে আমি তো মরেই যাবো তাহলে জীবন বীমা করে লাভ কি। কিন্তু সব সময় সবকিছু নিজের উপর চিন্তা করলে হয় না। কোন দুর্ঘটনাবশত আপনার যদি মৃত্যু ঘটে সেক্ষেত্রে জীবন বীমা কর্পোরেশন থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে আপনার ছেলে, মেয়ে এবং স্ত্রী ভালোভাবে চলতে পারবে। 
জীবন বীমা করার নিয়ম
তাই এ বিষয়টি কে গুরুত্বতার সাথে বিচার করে আমরা আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জীবন বীমা করার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। পাশাপাশি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা আরও যে বিষয়গুলো জানতে পারবেন সেগুলো হল জীবন বীমা কি, জীবন বীমার সুবিধা এবং অসুবিধা, জীবন বীমা কর্পোরেশন সম্পর্কে এবং জীবন বীমা কত প্রকার হয়ে থাকে এ বিষয় সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত ভাবে আজকে জানতে পারবেন। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
পোস্ট সূচিপত্র

জীবন বীমা কি

“জীবন বীমা” এমন একটি বিষয় যেখানে বীমা গ্রহীতা এবং একটি বীমা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি সম্পাদিত হয়ে থাকে এবং সেখানে উল্লেখ থাকে যে বীমা গ্রহিতার যদি মৃত্যু হয় তাহলে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বীমা কর্তৃপক্ষ সেই মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারদের প্রদান করবে। আবার অনেক বীমা কর্পোরেশনের চুক্তিতে উল্লেখ থাকে যদি ওই ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সে ক্ষেত্রেও সে তার নির্দিষ্ট অর্থ পেয়ে থাকে বীমার গ্রহীতা। সাধারণত এককালীন বা নির্দিষ্ট সময় আনতে বীমা কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে সাইকোলজিস্ট রা বলেছেন যে একজন ব্যক্তি যে বীমায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন 

তারা মানসিক শান্তিতে জীবন যাপন করেন। এর কারণ হলো মৃত্যুর পর একটি নির্দিষ্ট অর্থ তার ওয়ারিশগণ পাবে এজন্য এ বিষয়ে নিয়ে সব সময় তিনি নিশ্চিন্তে জীবন যাপন করতে থাকেন। তাই আমাদের উচিত জীবন বীমা করার নিয়ম অনুসারে নিজেদের জন্য একটি জীবন বীমা করা। তবে জীবন বীমাতে কিছু শর্ত রয়েছে যেমন কেউ যদি আত্মহত্যা অথবা যুদ্ধে গিয়ে প্রাণ হারায় তাহলে কর্তৃপক্ষ কোনো রকম অর্থ প্রদান করেনা। জীবন বীমা একটি আইনগত চুক্তি ও চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এবং কর্তৃপক্ষের নিয়ম নীতি দ্বারা সীমাবদ্ধ।

জীবন বীমা কত প্রকার

আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে জানার পূর্বে আসুন আমরা সেই বিষয়ের সঙ্গে জড়িত আরো যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো জেনে নিই। আশা করি উপরের অংশে আপনারা জানতে পেরেছেন জীবন বীমা কি আসলে বিষয়টি হল একজন ব্যক্তি কোন জীবন বীমা কর্পোরেশনের আওতায় যদি নথিভুক্ত হয় এবং পরবর্তীতে সে যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সেই মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশ গনদের প্রদান করা হয়ে থাকে। তাই আমরা যদি জীবন বীমা করার নিয়ম 
অনুযায়ী কোন কর্পোরেশনের আওতায় জীবন বীমা চালু করতে চাই তাহলে অবশ্যই সেই বিষয়ে আমাদের প্রথমে জ্ঞান লাভ করা প্রয়োজন। যেমন ধরুন জীবন বীমা করার জন্য যেগুলো শর্ত রয়েছে এবং পাশাপাশি জীবন বীমা এর সুবিধা গুলো কি কি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জানলে অবশ্যই সে বিষয়টির উপর আমাদের আগ্রহ জন্মাবে। আসুন তাহলে এবার আমরা জীবন বীমা কত প্রকার এবং সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিব।

জীবন বীমা কত প্রকার

অনেকে আবার মনে করে থাকেন যে জীবন বীমা কেন করবেন আসলে জীবন বীমা করা হয় নিজের জন্য নয় আপনি আপনার পরিবারের লোকজনের কথা চিন্তা করেই জীবন বীমা তে অভিভুক্ত হবেন। বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে তেমন নয় তবে একথা সত্য যে মৃত্যুর পর আপনি কখনোই সেই টাকা ভোগ দখল করতে পারবেন না। আপনার পরিবার পরিজন সে টাকা ব্যবহার করবে কিন্তু জীবন বীমা কর্পোরেশন অনেক সময় ব্যক্তির অসুস্থতায় অর্থ প্রদান করে থাকে অর্থাৎ কোন দুর্ঘটনা বসত আপনি যদি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকেন তাহলে জীবন বীমা কর্পোরেশন আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ 

প্রদান করবে। তাই জীবন বীমা করা আছে শুধু পরিবারের জন্যই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে তা নয় সুতরাং একজন ব্যক্তির বিপদে পড়লে অন্য কোথাও যাওয়ার বদলে যদি তার জীবন বীমা করা থাকে তাহলে খুব সহজেই বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আর জীবন বীমা করার জন্য জীবন বীমা করার নিয়ম গুলো অবশ্যই ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে। কেননা আপনি যদি একটি বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা এবং জ্ঞান অর্জন না করতে পারেন তাহলে সেই বিষয় নিয়ে আপনি কখনোই সামনে এগোতে পারবেন না। আমরা ইতিমধ্যে জীবন বীমা কি এ বিষয়টি সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়েছি। 

আসুন তাহলে এবার জীবন বীমা কত প্রকার সে বিষয়টি জেনে নিব জীবন বীমার প্রধান দুইটি প্রকার রয়েছে। জীবন বীমার প্রধান দুইটি প্রকার হলো মেয়াদি বীমা এবং সমগ্র জীবন বীমা। তবে জীবন বীমা নীতি অনুযায়ী মেয়াদী বীমা এবং সমগ্র জীবন বীমা তাদের কার্যক্রম কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। আসুন তাহলে এবার এই জীবন বীমার প্রকারভেদ সংক্রান্ত বিষয়গুলো আলোচনা করি।

মেয়াদী বীমা

জীবন বীমা এর আওতায় যে মৌলিক বিষয়গুলো রয়েছে তার মধ্যে প্রথম এবং অন্যতম বিষয়টি হলো মেয়াদী বীমা। মেয়াদী বীমা এর পরিকল্পনা অনুসারে একটি টার্ম প্লানে পলিসি ধারক একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লাইফ সাপোর্ট পেয়ে থাকেন। আবার মৃত্যুর পর কর্তৃপক্ষ বীমা গ্রহীতাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে। মেয়াদী বীমা এর শর্ত অনুযায়ী যদি কোন পলিসি ধারি ব্যক্তি যদি নির্দিষ্ট মেয়াদে বেঁচে থাকে তাহলে পলিসি থেকে কোন সঞ্চয় অথবা লাভ হয় না। অনলাইন টার্ম ইন্সুরেন্স প্ল্যান টি সাধারণত সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে থাকে এবং এই কারণেই মেয়াদী বীমা এর টার্মের প্ল্যান 

অনুযায়ী প্রিমিয়াম সুবিধাগুলো তুলনামূলকভাবে কম পরিলক্ষিত হয়। জীবন বীমা করার নিয়ম অনুযায়ী অর্থাৎ কেউ যদি জীবন বীমায় নথিভূক্ত হতে চায় তাহলে মেয়াদী বীমার একটি সংস্করণ যা সাধারণত বার্ষিক ব্যবহারযোগ্য মেয়াদ অনুযায়ী অভিভুক্ত হয়ে থাকে। উক্ত ফর্মে এক বছরের জন্য কভারেজ প্রিমিয়াম প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে পলিসিটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এক বছর পর পর অব্যাহত রাখার কথা বলা রয়েছে। মূলত মেয়াদী বীমা এর সময়কাল ১০ বছর থেকে 30 বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং অবশ্যই সেটি পরিবর্তনশীল। মূলত যখন মেয়াদী জীবন বীমা এর মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তখন 

পলিসির মেয়াদ ও শেষ হয়ে যায়। তারপর পলিসি ধারক কে কোন রকম ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। জীবন বীমা কর্পোরেশন মেয়াদ পূর্ণতা লাভ করার পর একটি নোটিশ প্রেরণ করে থাকে এবং যেখানে উল্লেখ করা হয় যে সেই জীবন বীমা পলিসিটি আর কার্যকর নেই। অর্থাৎ মেয়াদ পূর্ণ হয়ে গেছে এরপর পলিসিধারী প্রিমিয়াম দেওয়া বন্ধ করে দেয় এবং সেই অনুযায়ী সেখানে আর কোন সম্ভাব্য মৃত্যু সুবিধা উল্লেখ থাকে না। অনেক মেয়াদী জীবন বীমা তার জীবন বীমার মেয়াদ বাড়াতে দেয় তবে সেই পলিসিতে একটি গ্যারান্টি যুক্ত ধারা অন্তর্ভুক্ত থাকে। সেখানে উল্লেখ থাকে আপনার কভারেজের 

মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের পরের বছর থেকে একটি হিসাব অনুযায়ী অর্থাৎ বছরের ভিত্তিতে প্রসারিত করতে দেওয়া হয়ে থাকে। আপনার মৃত্যুর বেনিফিট একই থাকবে কিন্তু আপনাকে পুনরায় আবেদন করতে হবে না বা অন্য জীবন বীমা মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে না। যেহেতু জীবন বীমা করার নিয়ম এর আওতায় মেয়াদী বীমা আপনার আকস্মিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে মনোনীত ব্যাক্তিদের মৃত্যু সংবলিত সকল সুবিধা প্রদান করে এবং আপনার পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে। 

এই সুবিধা তাদের বর্তমান জীবনধারায় বজায় রাখতে এবং ঋণ অথবা দৈনন্দিন খরচের মতো সমস্যাগুলো মেটাতে সাহায্য করে থাকে। তাই একজন সচেতন ব্যক্তি হিসেবে আমাদের অবশ্যই জীবন বীমা কি এবং সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করার পর জীবন বীমা কর্পোরেশনের আওতায় নথিভুক্ত হওয়া খুবই জরুরী।

সমগ্র জীবন বীমা

“সমগ্র জীবন বীমা” সাধারণত সারা জীবনের জন্য পরিচালিত হয়ে থাকে। বিবাহ পলিসির পলিসি ধারক সারা জীবনকাল জুড়ে এই সমগ্র জীবন বীমা এর আওতায় অভিভুক্ত হয়ে থাকেন। সাধারণত সমগ্র জীবনবিমা প্রিমিয়াম নিয়মিত ব্যবধানে প্রধান করা হয়ে থাকে এবং বিমাকৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পর পরিবারকে একটি নির্দিষ্ট অর্থ প্রদান করা হয়। সাধারণভাবেই বীমা কভার যেমন সারা জীবনের জন্য তেমনি পুরো জীবন পরিকল্পনার জন্য প্রিমিয়ামের হিসাব অনুযায়ী পরিমাণটাও বেশি হয়ে থাকে। সমগ্র জীবন বীমা পলিসি একটি চিরস্থায়ী জীবন বীমা পলিসি যা ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত অথবা সময় উল্লেখের 

ক্ষেত্রে ১০০ বছর বয়স ধরা হয়ে থাকে। এর পূর্বে যদি মৃত্যু হয় সে ক্ষেত্রে কভারেজ প্রদান করা হয়ে থাকে। যতক্ষণ না পর্যন্ত বীমা গ্রহীতা ব্যক্তি প্রিমিয়াম প্রদান করেন ততক্ষণ পর্যন্ত সমগ্র জীবন বীমা বিদ্যমান থাকে। একটি পলিসি অর্জন করার মাধ্যমে ওভারেজের পরিমাণ নির্দিষ্ট করা হয়ে থাকে। অনেকের মধ্যে সকল ধরনের জীবন বীমা এর চাইতে সমগ্র জীবন বীমা পলেসি সর্বোত্তম এবং জীবন বীমা করার নিয়ম গুলো যদি পরিলক্ষিত করা হয়। তাহলে সমগ্র জীবন বীমা এর নিয়ম নীতি অন্যান্য জীবন বীমা এর নিয়ম নীতির তুলনায় একটু বেশি কঠিন এবং প্রয়োজন অনুসারে এই বীমা প্রকল্পটি 
যেকোন রকম সিদ্ধান্তগ্রহণে অটুট। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রিমিয়াম পেমেন্ট দেওয়া হয় ততক্ষণ নগদ মূল্য প্রতিবছর বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিশ্চয়তা থাকে। বেশিরভাগ পুরো জীবনের পরিকল্পনা অর্থাৎ সমগ্র জীবন বীমা একটি নগদ মূল্য নামে বৈশিষ্ট্য সহ লোড করা হয়। নগদ মূল্য হল চুক্তি বাতিল করার পরে বীমা কোম্পানি বীমাধারীকে দেওয়া অর্থ কে বোঝানো হয়েছে। সমগ্র জীবন বীমার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হল পলিসি একটি নগদ মূল্য সংগ্রহ করার পর যদি ঋণের জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনি অবশ্যই সেই ঋনের সুবিধাটি ভোগ করতে পারবেন। কোন বীমা গ্রহীতা যদি জীবন বীমা করার 

নিয়ম গুলো এবং সমগ্র জীবন বীমা এর শর্ত অনুযায়ী পলিসিটি ভালোভাবে চালিয়ে যেতে থাকে তাহলে সমগ্র জীবন বীমা নীতি এর অধীনে যত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সবগুলো ভোগ করতে পারবে। এই পলিসিটি যদি মেয়াদ পেয়ে যায় তাহলে সেটি এন্ডডোমেন্ট হয়ে যায় আবার সমগ্র জীবন বীমাতে মৃত্যু সুবিধা অনুযায়ী করমুক্ত করা হয়েছে।

জীবন বীমা করার নিয়ম

আমরা এপর্যন্ত জীবন বীমা কি এবং জীবন বীমার প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। আলোচ্য বিষয়ের প্রেক্ষিতে এটাই পরিলক্ষিত হয় যে একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের কেন জীবন বীমা করা প্রয়োজন। বিভিন্ন ইন্সুরেন্স কোম্পানির পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার পর্যন্ত বিভিন্নভাবে জীবন বীমা করার আহবান করেছেন। আবার সেই প্রেক্ষিতে সরকার জীবন বীমা পলিসি গুলো বিস্তার করার জন্য বিভিন্ন সময় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আবার কিছু বেসরকারি সমাজসেবা কার্যক্রম পরিচালিত করে থাকে। এরকম সংস্থাগুলো বিভিন্নভাবে বিশেষ করে গ্রামের লোকজনদের জীবন বীমা 

সম্পর্কে এবং জীবন বীমা করার নিয়ম সম্পর্কে সব সময় ধারণা দিয়ে এসেছেন। তবে এই নিয়মগুলো সম্পর্কে এবং জীবন বীমা কি গ্রামের সহজ-সরল মানুষ খুব একটা জ্ঞান রাখেন না। পাশাপাশি তাদেরকে বোঝাতে অক্ষম হওয়ার কারণে তারা দ্রুতই জীবন বীমা করার ক্ষেত্রে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। তাদেরকে যদি এই বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে ধারণা দেওয়া যায় তাহলে বহু অংশে মানুষ জীবন বীমা এর আওতায় অন্তর্ভুক্ত হবে। আসুন জীবন বীমা করার জন্য কোন নিয়ম গুলো পালন করতে হয় সেই সম্পর্কে এবার জেনে নিই।
  • জীবন বীমা করার জন্য প্রথমে একটি সঠিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে অর্থাৎ সরকারের অনুমোদন রয়েছে এরকম একটি প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী সেখানে গিয়ে ইন্সুরেন্সের অর্থ জমা দিতে হবে।
  • জীবন বীমা পলিসি করার আরেকটি বিষয় হলো নমিনি কেননা আপনার মৃত্যুর পর সেই ব্যক্তি উক্ত টাকার মালিক হবে। তাই আপনার পরিবারের সঠিক নমিনি নির্বাচন করা আপনারই দায়িত্ব।
  • জীবন বীমা করতে হলে অবশ্যই আপনার বয়স স্বাস্থ্য এবং আর্থিক অবস্থা হিসাব-নিকাশ করে ইন্সুরেন্স এর নিয়ম নীতি নির্বাচন করা খুবই জরুরী।
  • উপরে বর্ণিত তথ্য অনুযায়ী জীবন বীমা দুই রকমের হয়ে থাকে আপনি কোনটাতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন অথবা কোন বীমা পলিসিটি আপনার জন্য প্রযোজ্য সেটি নির্বাচন করতে হবে।
  • জীবন বীমা তে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পূর্বে কর্তৃপক্ষকে অর্থাৎ যে প্রতিষ্ঠানে আপনি জীবন বীমা চালু করতে যাচ্ছেন সেখানে আপনার পূর্বের লোনের ইতিহাস জানাতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কোনরকম লোন নিয়ে থাকেন বা এখন পর্যন্ত লোনের আওতায় রয়েছেন তাহলে সে বিষয়টি অবশ্যই জীবন বীমা কর্পোরেশনকে জানাতে হবে।
  • জীবন বীমা করার নিয়ম এর আরেকটি মূল বিষয় হলো আপনি প্রতি মাসে ইন্সুরেন্সের যে নির্দিষ্ট টাকা জমা দিবেন অবশ্যই সেটি নিয়মিত প্রদান করতে হবে। আপনি মেয়াদ পূর্ণর পর যখন টাকা উত্তোলন করতে যাবেন আপনার জমাকৃত টাকা সঙ্গে আরো কিছু টাকা যুক্ত করে আপনাকে প্রদান করা হবে।
  • জীবন বীমা পলিসিতে শর্তসাপেক্ষে উল্লেখ থাকবে যে আপনি কত টাকা জমা রাখবেন এবং চুক্তি শেষে সেই অনুযায়ী কত টাকা লাভ পাবেন সেই বিষয়টি ভালোভাবে উল্লেখ থাকবে এবং পাশাপাশি আপনার ও বিষয়টি জেনে বুঝে তারপর কেবলমাত্র জীবন বীমা পলিসি করা উচিত।
সাধারণত জীবন বীমা করার ক্ষেত্রে উপরে বর্ণিত নিয়মগুলো অনুসরণ করলেই যথেষ্ট। তবে আপনি অবশ্যই একটি ভালো প্রতিষ্ঠান পছন্দ করবেন যেখানে গেলে আপনি কোন রকম প্রতারণা শিকার হবেন না।

জীবন বীমা কিভাবে কাজ করে

জীবন বীমা কি, এর প্রকারভেদ পাশাপাশি নিয়ম সংক্রান্ত বিষয়গুলো আমরা জানতে পেরেছি। যেহেতু জীবন বীমা করার প্রয়োজনীয়তা অর্থাৎ কেন একজন মধ্যবিত্ত সাধারণ ব্যক্তির জীবন বীমা করা প্রয়োজন সেই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। আসুন তাহলে এবার আমরা জীবন বীমা কিভাবে কাজ করে। অর্থাৎ একটি জীবন বীমা কর্পোরেশনের কার্যক্রম কোন হিসেব অনুযায়ী পরিচালিত হয় সে বিষয়ে জানব। জীবন বীমা মূলত একটি চুক্তি এর মাধ্যমে নির্ধারিত হয়ে থাকে অর্থাৎ একজন বীমা গ্রহীতা এবং উক্ত বীমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদিত হয়। 

নিবন্ধিত চুক্তিতে উল্লেখ থাকে যে বীমা গ্রহীতার যদি আকস্মিক মৃত্যু ঘটে তাহলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সেই বীমা প্রতিষ্ঠান মৃত ব্যক্তির নমিনি অথবা ওয়ারিশগণদের প্রদান করবে। আর এটি সাধারণত জীবন বীমা এর মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের মানুষ জীবন বীমা এর প্রকল্পগুলোকে খুবই হালকা ভাবে নিয়ে থাকে। এর মূল কারণ হলো জীবন বীমা করার নিয়ম সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং সম্পূর্ণ ধারণা না থাকা। তবে ওই সকল ব্যক্তিবর্গ যদি লাইফ ইন্সুরেন্স সম্পর্কিত সকল তথ্যগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং জীবন বীমা কিভাবে কাজ করে সে বিষয়টি পরিলক্ষিত করে তাহলে যে কোন ব্যক্তি জীবন বীমা এর আওতায় 

একজন গ্রহিতা হিসেবে নথিভুক্ত হতে চাইবে। জীবন বীমা এর সাধারণ ধারণাটি আমরা উপরে পেয়েছি। আমাদের দেশে অনেক মানুষ রয়েছেন যারা জীবন বীমা কি এ বিষয়টিকে তোয়াক্কা না করেই শুধুমাত্র ব্যাংকের একাউন্টে টাকা জমাতে পছন্দ করেন। কিন্তু ঐ সকল ব্যক্তির যদি হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনা বসত মৃত্যু ঘটে তাহলে তার পরিজনদের ওপর নেমে আসে কঠিন বিপদ। আর এই বিপদ নিরসনের কাজ করে থাকে জীবন বীমা পলিসি। যদি কোন ব্যক্তি সমগ্র জীবন বীমা এর আওতায় একটি হিসাব খুলে থাকে তাহলে অবশ্যই তার মৃত্যুর পর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জীবন বীমা কর্পোরেশন অথবা বীমা 

প্রতিষ্ঠান গুলো দিতে বাধ্য থাকে। পরবর্তীতে সে টাকাগুলো মৃত ব্যক্তির পরিবার পরিজনরা বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করতে পারে এবং ভালোভাবে জীবন যাপন করতে সক্ষম হয়। লাইফ ইন্সুরেন্স হল একটি দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক ভিত্তিক পরিকল্পনা যা একজন ব্যক্তির জীবদ্দশায় এমনকি মৃত্যুর পরেও ঢাল হিসেবে কাজ করে থাকে। জীবন বীমা পলিসি যেমন তার গ্রহীতাদের বেনিফিশিয়ারি আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে ঠিক তেমনি দীর্ঘ মেয়াদে যখন একজন গ্রাহক টাকা জমাতে থাকেন সেখানে তার কোনরকম কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে ওঠে না। 

কিন্তু একটি সময় পর অথবা বিপদের সময় সেই অল্প অল্প করে জমানো টাকায় বিপদ থেকে মুক্ত করে আর গ্রাহকদের পাশে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে সকল রকম সুবিধা প্রদানের কাজগুলোই জীবন বীমা করে থাকে।

জীবন বীমার সুবিধা এবং অসুবিধা

প্রত্যেকটি বিষয়ের সুবিধা এবং অসুবিধা থাকে ঠিক তেমনি জীবন বীমার সুবিধা যেমন রয়েছে অসুবিধা থাকতে পারে। তাই আসুন জীবন বীমা করার নিয়ম গুলো জানার পাশাপাশি লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসির সুবিধাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই। উদাহরণস্বরূপ একজন ব্যক্তির বয়স যদি ৩৫ হয় এবং তিনি সারাজীবন ধরে কাজ অথবা চাকরি করলেন এরপর তার বয়স যখন ৬০ পার হয়ে যাবে তখন তিনি কিভাবে তার জীবন যাপন পরিচালনা করবেন এটি একটি খুবই চিন্তার বিষয়। আর এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে আমলে নিয়ে জীবন বীমা কর্পোরেশন একটি পলিসি চালু করেছে এবং সেটির নাম দিয়েছে 

পেনশন পলিসি। কেননা পেনশন সাধারণত সেই সকল চাকুরীজীবী পেয়ে থাকেন যারা কিনা সরকারি অফিসে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এর ব্যাক্তিদের সেরকম কোন সুযোগ নেই আর এজন্যই জীবন বীমা কর্পোরেশন কর্মজীবী মানুষদের অকাল মৃত্যুতে তাদের পরিবারে যেন কোনো রকম অসুবিধা তৈরি না হয়। সেই লক্ষ্যে আমরণ পেনশনের ব্যবস্থা করেছে। পেনশন শুরু হওয়ার দশ বছরের মধ্যে যদি বীমা গ্রহিতা মৃত্যুবরণ করে তাহলে বাকি সময়ের জন্য নমিনি সেই পেনশনটি ভোগ করবেন। আবার গ্রহীতা যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হয় তাহলে প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী বেশি অর্থ পেয়ে 

থাকবেন এবং মনোনীত ব্যক্তিকে এককালীনভাবে অর্থটি প্রদান করা হয়ে থাকে। সাধারণত এই স্কিমের শর্ত অনুযায়ী পেনশন শুরু হয় একজন ব্যক্তির বয়স যখন ৫৭ বছর হয় তারপর থেকে। এক্ষেত্রে মাসিক ১০০ টাকার প্রিমিয়াম প্রদান এর নিয়ম অথবা হিসাব অনুযায়ী এক বছরে সেটি দাঁড়ায় ১৮৪ টাকা। আবার মাসিক ৫০০০ টাকার জন্য এক বছরের প্রিমিয়াম দাঁড়ায় ৯২১০ টাকা। ৫৭ বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত বার্ষিক প্রিমিয়াম দিতে হয় ৯২১০ টাকা। মেয়াদ পূর্তি অর্থাৎ ৫৭ বছর পর তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন আজীবন পাঁচ হাজার টাকা করে পেনশন পেতে থাকবেন। 
আরো পড়ুনঃ বীমা কি ও কেন প্রয়োজন-বীমা কত প্রকার ও কি কি
যা কিনা একজন সরকারি কর্মচারী তার পেনশন হিসেবে অবসর সময়ে পেয়ে থাকেন। আর এটি হল জীবন বীমার অন্যতম একটি সুবিধা। তাছাড়া তো আরেকটি সুবিধা রয়েছে যেটি হল একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পর পাশে দাঁড়ানোর মত যদি কোন লোক না থাকে সেখানে জীবন বীমা কর্তৃপক্ষ অবশ্যই থাকবেন। আর জীবন বীমার অসুবিধার কথা যদি বলতে হয় তাহলে সেরকম কোন অসুবিধা নেই। তবে একটি বিষয় সামনে আসে সেটি হল প্রতিমাসে যে প্রিমিয়াম দিতে হয় সে বিষয়টি আপনাকে জীবন বীমা করার নিয়ম এর আওতায় প্রথম যে শর্ত রয়েছে সেটি হল মাসিক প্রিমিয়াম ও প্রদান করা অনেকের 

কাছে এটি একটি অসুবিধা মনে হয়ে থাকে। কেননা কিছু হোক আর না হোক আপনাকে মাসিক প্রিমিয়াম অবশ্যই প্রদান করতে হবে। তবে আপনাদের জ্ঞাতার্থে বলে রাখি যে আপনি জীবন বীমা পলিসির যেটাই করুন না কেন ভেবেচিন্তে করুন। কেননা আপনার মাসিক ইনকাম এবং আর্থিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে কেবলমাত্র জীবন বীমা পলিসিতে প্রবেশ করা প্রয়োজন।

জীবন বীমা প্রিমিয়াম কি

আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে আমরা মোটামুটি ধারণা পেয়েছি যেমন জীবন বীমা কি এবং কোন নিয়ম অনুসারে জীবন বীমা চালানো যায়। পাশাপাশি জীবন বীমা এর সুবিধা গুলো কি কি এতগুলো তথ্য জানার মধ্যে বারবার আরেকটি কথা চলে এসেছে সেটি হলো জীবন বীমা প্রিমিয়াম কি। “জীবন বীমা প্রিমিয়াম” হল মূলত বীমা গ্রহিতা এবং বীমা প্রতিষ্ঠান এর মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী বীমা কারীকে একসাথে অথবা বিভিন্ন কিস্তিতে বীমা মেয়াদের পূর্ণতার মধ্যকালীন সময়ে বীমা কারী কর্তৃক ঝুঁকি ও অন্যান্য বিষয়ের নিরাপত্তা গ্রহণের প্রেক্ষিতে বীমা গ্রহিতা অর্থ প্রদান করে থাকে। 

এবং সেটিকেই প্রিমিয়াম বলা হয়ে থাকে এবং পলিসি অনুযায়ী সেটিকে জীবন বীমা প্রিমিয়াম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আপনাদের মনে আরও একটি প্রশ্ন আসতে পারে সেটি হল জীবন বীমা কতদিন দিতে হয়। জীবন বীমা হল একটি মানুষের জীবনের সেই পলিসি এবং জীবন বীমা করার নিয়ম এর আওতাধীন একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় এবং এমনকি তার মৃত্যুর পরেও সুবিধা ভোগ করে থাকেন। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে জীবন বীমা দুই রকম হয়ে থাকে মেয়াদী জীবন বীমা এর পলিসি হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রিমিয়াম প্রদান করতে হবে। 

সাধারণত ১০ বছর থেকে ৩০ বছর মেয়াদকালীন সময়ে প্রিমিয়াম প্রদান করতে হয়। তবে এই সময়ের মধ্যে যদি বীমা কারি মারা যায় সে ক্ষেত্রে পরিবার একটি নগদ অর্থ প্রাপ্তি লাভ করে। আর যদি মারা না যায় সে ক্ষেত্রে বীমা কারি নিজে টাকা উত্তোলন করতে সক্ষম হয়। আর জীবন বীমা এর প্রকারভেদের আরেকটি বিষয় হলো সমগ্র জীবন বীমা পলিসি এক্ষেত্রে যেহেতু বলা রয়েছে। এই পলিসিতে কোন বয়স উল্লেখ থাকবে না যদিও ১০০ বছর পর্যন্ত হিসেব রাখা হয় অর্থাৎ উক্ত বয়স পর্যন্ত প্রিমিয়াম দিতে হয়। 

তবে জীবন বীমা কর্পোরেশন এর আওতায় যে পেনশন স্কিম চালু করা হয়েছে সে অনুযায়ী ৫৭ বছর পর্যন্ত প্রিমিয়াম দিতে হবে এবং সেই বয়স পার হওয়ার পর থেকে আজীবন সে পেনশান লাভ করবে।

জীবন বীমা কর্পোরেশন

জীবন বীমা কি মূল্যে একজন গ্রাহকে তার মৃত্যুর পর নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোধ করবে সেটি নির্ভর করবে কত পারসেন্ট প্রিমিয়াম প্রতিমাসে সেই গ্রাহক জমা করছে। পাশাপাশি জীবন বীমা করার নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিত প্রিমিয়াম প্রদান করছে কিনা আর প্রিমিয়াম প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে আরো একটি বিষয় গ্রাহকে অবলোকন করতে হয় সেটি হল কোন বীমা প্রতিষ্ঠানের আওতায় তার বীমা কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত। বাংলাদেশে সরকার অনুমোদিত এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে জীবন বীমা কর্পোরেশন উল্লেখিত রয়েছে। জীবন বীমা কর্পোরেশন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান ১৯৭৩ সালের ১৪ মে ইন্সুরেন্স 

অ্যাক্ট ১৯৩৮ ও ইন্সুরেন্স রুলস ১৯৫৮ বাংলাদেশ কর্পোরেশন অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর অধীনে ১৫ লক্ষ ৭০ কোটি টাকার ঘাটতি দায় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। জীবন বীমা কর্পোরেশন বিভিন্ন রকম পলিসি অর্থাৎ স্কিম চালু করে আসছে সেগুলো হল আমৃত্যু জীবন বীমা শিশু, প্রতিরক্ষা বীমা, এক দফায় প্রিমিয়াম বীমা, বন্ধক প্রতিরক্ষা বীমা, মেয়াদী গোষ্ঠী বীমা, গ্রামীণ বীমা, যুগ্ম জীবন বীমা, দলগত পেনশন বীমা এবং পেনশন স্কিম বীমা বেশি ভাবে উল্লেখযোগ্য। বঙ্গবন্ধু পেনশন বীমা নামেও একটি স্কিম জীবন বীমা কর্পোরেশন চালু করে রেখেছে। এটি কিনা “বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা” নামেও পরিচিত। 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার রাষ্ট্রীয় জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান “জীবন বীমা কর্পোরেশনে” এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সার্বজনীন পেনশন পলিসি চালু করেছে। সেখানে উল্লেখ থাকে একজন ব্যক্তি অবসর জীবন যেন সুরক্ষা থাকে। সেই লোককে স্কিমটি চালু করা হয়েছে আর এজন্য এটাকে সুরক্ষা স্কিম বলা হয়ে থাকে। ২০ থেকে ৬০ বছরের ব্যক্তির সংখ্যা বিবিএস এর তথ্য অনুযায়ী প্রাপ্ত হয়েছে। আর এই বয়স্ক লোকদের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকার এই স্কিমটি চালু করেছে। যেখানে একজন ব্যক্তি তার চাকরি জীবনে যদি বঙ্গবন্ধু পেনশন বীমা এর আওতায় নথিভুক্ত হয় তাহলে বীমা মেয়াদ শেষে মাসিক ভাবে পেনশন পেতে থাকবেন। পেনশন প্রাপ্তির বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৬৫ বছর।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা আশা করছি যে আপনারা আজকের এই আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। আমাদের পারিবারিক বিষয়ের ভিত্তিতে অবশ্যই একটি জীবন বীমা করা অতীব জরুরী। কেননা একটি বীমা পলিসি আমাদেরকে জীবদ্দশায় এমনকি মৃত্যুর পরেও অর্থ প্রদানের মাধ্যমে সাহায্য করছে। তাই জীবন বীমা করার নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য একটি বীমা প্রতিষ্ঠানে আমাদের নথিভুক্ত হওয়ার খুবই প্রয়োজন। তবে আপনাদের কাছে 

অনুরোধ থাকবে অবশ্যই আপনারা স্বীকৃতি নেই এমন কোন বীমা কোম্পানির আওতায় জীবন বীমা পলিসি চালু করবেন না। অবশ্যই জেনে বুঝে সঠিক সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করবেন। আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। জীবন বীমা কি এই সম্পর্কে যদি আপনাদের মনে আর কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের মন্তব্য বক্সে সেটি জানাতে পারেন। পোস্টটি তথ্যবহুল মনে হলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url