জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক ও পলিসি বোনাস ২০২৪

জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক এ বিষয়টি জানার জন্য আপনারা অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। সেই লক্ষ্যে আজকের আর্টিকেলে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করা হবে। একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় এমনকি মৃত্যুর পরেও বীমা প্রতিষ্ঠান গুলোর দ্বারা উপকৃত হয়ে আসছে। তাই এ বিষয়গুলো জানার মাধ্যমে অনেকেই জীবন বীমাতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে আজকে এই আর্টিকেলের 
জীবন-বীমা-কর্পোরেশন-পলিসি-চেক
মাধ্যমে জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক এ বিষয়টি জানার পাশাপাশি আরো যে বিষয়ে সমন্ধে জানতে পারবেন। সেগুলো হল জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি বোনাস এবং ডিপিএস, জীবন বীমা পলিসি অনলাইন চেক এবং জীবন বীমা কর্পোরেশনের অফিস সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক সর্ম্পকে জানতে চান তাহলে পোস্টটি শেষ পযন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

জীবন বীমা কর্পোরেশন (Jiban Bima Corporation) একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে দেশের জনগণদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। দেশের সরকার বিভিন্ন বীমা পলিসির মাধ্যমে দেশে নাগরিকের ভবিষ্যৎ নিরূপণের লক্ষ্যে ১৯৭৩ সাল থেকে কাজ করে আসছে। বীমা শিল্প জাতীয়করণ করার পর বিভিন্ন কোম্পানির সম্পদ যেগুলো ব্যবসায় নিয়োজিত রয়েছে সেগুলো বিভিন্ন রকম দায়ীদানা নিয়ে প্রথমে সুরমা ও রূপসা নামে এবং পরবর্তীতে কর্পোরেশন এর সমন্বয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে জীবন বীমা কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন। 

এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের নাগরিকদের বিভিন্ন বীমা পলিসির আওতায় নিয়ে আসা। যেন একজন ব্যক্তি তার ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারে এবং জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করতে পারে। তাই একজন ব্যক্তিকে যদি জীবন বীমা করার উপকারিতা এবং সুবিধা সম্বন্ধে সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়া যায় তাহলে অবশ্যই সেই ব্যক্তি জীবন বীমা করতে উদ্বুদ্ধ হবেন। সেই লোক্ষে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সময় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাহায্য নিয়েছে। আবার একজন ব্যক্তি জীবন বীমায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর কিভাবে জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক করবে এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই চলুন বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করি।

জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি বোনাস

আমরা সাধারণত বোনাস বিষয়টিকে সহজ ভাবে যদি বলতে চাই সেটি হল মোট পরিমাণের সাথে অতিরিক্ত কিছু যোগ হওয়া বিষয়টিকে বোনাস হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি যদি জীবন বীমার পলিসি বোনাসের কথা বলা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই মূল পরিমাণের সাথে অতিরিক্ত বিষয়টি চলে আসে। যেমন ধরুন একজন ব্যক্তি প্রতি মাসে যে প্রিমিয়াম জমা করে এবং একটি সময় পর যখন প্রিমিয়ামের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে যায়। তারপর সেটি যখন তো ব্যক্তি উঠাতে যায় তখন তাকে যদি জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি বোনাস এরাও তাই নিয়ে আসে তাহলে অবশ্যই সে অতিরিক্ত কিছু অর্থ 

পেয়ে থাকে। তবে অর্থ প্রদানের বিষয়টি একজন বীমা গ্রহীতার মৃত্যু, সারেন্ডার অথবা পলিসির মেয়াদ পূর্তির সময় যে বিষয়টি আগে ঘটবে তার ওপর নির্ভর করে অর্থ পরিশোধ করা হয়ে থাকে। তবে অবশ্যই বোনাসের পরিমাণটি জীবন বীমা পলিসির অধীনে সুবিধাগুলোর উপর নির্ভর করেই প্রদান করা হয়। এখানে আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে সকল জীবন বীমা পলিসি বোনাসের পরিমাণ পাওয়ার অংশীদারিত্ব বহন করে না কেবলমাত্র পলিসি বোনাসের জন্য মুনাফা গত যোগ্যতা অর্জন করে থাকে আবার বীমা গ্রহিতা অর্থাৎ জীবন বীমা পলিসি ধারকরা শুধুমাত্র বোনাস প্রদানের জন্য যোগ্যতা অর্জন 
করে থাকে। সাধারণত মুনাফা ভিত্তিক পলিসি গুলো কোম্পানির বিনিয়োগ ক্ষেত্রে লভ্যাংশ নিয়ে থাকে যা বোনাস প্রদানের আকারে পলিসি ধারকদের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়া হয়। একজন গ্রহীতার তার পলিসি বোনাসের বিষয়টি জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক করার মাধ্যমে অবগত হতে পারবেন আরেকটি বিষয় জানা জরুরী সেটি হল প্রধানকৃত বোনাস এর পরিমাণ নির্দিষ্ট নয় এবং জীবন বীমা কোম্পানি গুলো থেকে অর্জিত বিনিয়োগ আয়ের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। পলিসি বোনাস বিমাকৃত অর্থের পরিমাণের শতাংশ এবং উক্ত অর্থ প্রত্যেকটি আর্থিক বছরের শেষে হিসাব করে ঘোষণা 

প্রদান করা হয়। যদি বিষয়টি ঘোষণা হয়ে যায় তাহলে সেটি গ্যারান্টিযুক্ত বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। একজন বীমা গ্রহীতার পলিসির বোনাসের হার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিচক্ষণতা এর প্রয়োজন রয়েছে। কেননা পলিসি হোল্ডার বোনাস হিসেবে যদি লক্ষ্য করা যায় সেটি ৯০% প্রফিট গ্রহণ করে এবং বাকি ১০% শেয়ারকৃত ব্যক্তিদের জন্য রাখা হয়। জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি বোনাস এ অন্তর্ভুক্ত ঐতিহ্যবাহী জীবন বীমা পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম যে পলিসিগুলো রয়েছে সেগুলো হল মেয়াদীবীমা, সঞ্চয়বী বীমা, শিশু বীমা, দেনমোহর বীমা, শিক্ষাবিমা, হজ্জ বীমা উল্লেখযোগ্য।

জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক

আমরা এতক্ষন পর্যন্ত জীবন বীমা কর্পোরেশনের পলিসি বোনাস বিষয়টি কি এবং কিসের ভিত্তিতে প্রদান করে থাকে সে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারলাম। আসুন তাহলে এবার জীবন বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক যে পলিসি গুলো রয়েছে সেগুলো কিভাবে চেক করা যায়। অনেক সময় দেখা যায় একজন ব্যক্তি জীবন বীমা কর্পোরেশন এর আওতায় একটি বিমা পলিসি করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে কোন কারণবশত সে তার নথি হারিয়ে ফেলেছে এখন কিভাবে তার জীবন বীমা কর্পোরেশন এর পলিসি চেক করবে এ বিষয়টি তখন আমাদেরকে চিন্তিত করে ফেলে। তাহলে এই বিষয়টি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় 

সম্বন্ধে জানার চেষ্টা করি। প্রথমত একজন ব্যক্তি যে কিনা বীমা পলিসি করেছে সে কিভাবে তার জীবন বীমা পলিসির বিবরণ জানতে পারে এক্ষেত্রে যখন উক্ত ব্যক্তি যেই বীমা কোম্পানির কাছ থেকে পলিসি গ্রহণ করেছিল সেই অফিসে উপস্থিত হতে হবে। এবং বীমা কোম্পানিতে কর্মরত ব্যক্তির সাথে তার পলিসি চেক করার বিষয়টি আলোচনা করতে হবে এবং নিয়োগকৃত ব্যক্তি অবশ্যই অফিসে রাখা তালিকা থেকে আপনার নাম বের করতে সক্ষম হবে। অর্থাৎ যে জেলা থেকে পলিসিটি ক্রয় করা হয়েছিল সেই বীমা গ্রহীতার তালিকা থেকে আপনার নামটি অনুসন্ধান করতে পারবেন। 

বীমা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তি জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক করার জন্য “ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ আনকেলইমড প্রপারটি এডমিনিস্ট্রেটর” এর একটি সার্চ টুলের মাধ্যমে কম্পিউটারে আপনার ডাটা খুঁজে দিতে পারবেন। পাশাপাশি জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি বোনাস সংক্রান্ত সকল বিষয় উক্ত ডাটাবেজে বিদ্যমান রয়েছে। তাই আপনার বোনাস সংক্রান্ত বিষয়ে জানার জন্য কর্মরত অফিসার কে অবগত করুন। আবার আপনার কাছে যদি জীবন বীমা কর্পোরেশন এর পলিসির নথি থেকে থাকে সেখানে অবশ্যই একটি পলিসি নম্বর রয়েছে। 

আর আপনি পলিসি নম্বর দিয়ে আপনার সকল তথ্য খুঁজে বের করতে সক্ষম হবেন। এই পলিসি নম্বর এবং বীমা পলিসির সকল কাগজপত্র আপনি পলিসি ক্রয়ের সময় বীমা প্রতিষ্ঠানের অফিসার আপনাকে অবশ্যই দিয়ে থাকবে। সাধারণত বিমা পলিসি নম্বর হলো আপনার বীমা পরিকল্পনা সাথে যুক্ত একটি কোড। যেখানে আপনার বিভাগ কোম্পানি বিভিন্ন রকম দাবি খরচ এবং প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করার জন্য পলিসি নম্বর ব্যবহার করে থাকে।

জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক অনলাইন

একজন বীমা গ্রহীতা সরাসরি অফিসে গিয়ে যেমন তার পলিসি সংক্রান্ত সকল তথ্য উপাত্ত জানতে পারেন ঠিক তেমনি অফিসে না গিয়ে অনলাইনে সকল তথ্য পাওয়া সম্ভব। অর্থাৎ পলিসি চেক করার জন্য অফিসে যাওয়ার বদলে অনলাইনে চেক করা যাবে। কেননা বর্তমান সময় প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অনেকটাই সামনে এগিয়ে গেছে। আর তাই জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক অনলাইন ভিত্তিক করা হয়েছে। অনলাইনে জীবন বীমা পলিসি খুঁজে বের করার জন্য একটি ডাটাবেজ রয়েছে তবে সেই ডাটাবেজ থেকে উক্ত ব্যক্তির পলিসি সংক্রান্ত সকল বিষয় জানার জন্য একটি নির্দিষ্ট টুল ব্যবহার করা 

হয়ে থাকে এবং সেটি NAIC কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণ হয়ে থাকে। পাশাপাশি অবশ্যই বিষয়টি নিরাপদ এবং গোপনীয় তাই বীমাতে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তির পলিসি অনলাইনে চেক করার জন্য পলিসির নথিতে অন্তর্ভুক্ত পলিসি নম্বর দিয়ে NAIC Life Policy Locator এর মাধ্যমে উক্ত বীমা সংস্থাকে রিপোর্ট করা হয়ে থাকে। এবং সেই অনুযায়ী বীমা কৃত ব্যক্তির পলিসি বিষয়ক সকল তথ্য ডাটাবেজে এসে জমা হয় এবং সেই অনুযায়ী বীমা গ্রহীতা তার পলিসি সংক্রান্ত সকল বিষয় জানতে পারেন।

জীবন বীমা কর্পোরেশন ডিপিএস

আমরা এতক্ষণ পর্যন্ত জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি বোনাস এবং পলিসি বোনাস কিভাবে অফলাইন এবং অনলাইন চেক করতে হয় সে বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম। আসুন এবার জীবন বীমা কর্পোরেশন ডিপিএস এ বিষয়টি আসলে কি সে সম্পর্কে জেনে নিই। বেসরকারি চাকরিজীবী এবং সাধারণ জনগণের বিষয়টি মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকার জীবন বীমা কর্পোরেশন ডিপিএস এর আওতায় বিভিন্ন পেনশন স্কিম চালু করেছে। সেখানে এককালীন ভিত্তিক অথবা মাসিক পেনশনের সিস্টেমে একটি নির্দিষ্ট সময় পর বীমায় অংশগ্রহণ কারী ব্যক্তি অভিভূত হবেন। অর্থাৎ বীমা গ্রহীতা 

মাসিক যে প্রিমিয়াম প্রদান করবেন সেটির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর এককালীনভাবে পলিসি বোনাস সহকারে টাকা পেতে পারেন। অথবা যদি তিনি সার্বজনীন পেনশন বীমা পলিসি এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন তাহলে মাসিক ভিত্তিতে পেনশন পেতে থাকবেন। জীবন বীমা কর্পোরেশন ডিপিএস এর আওতায় বঙ্গবন্ধু সার্বজনীন পেনশন বীমা পলিসি গ্রহণের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি স্বাচ্ছন্দ ভাবে সচ্ছল অবসর জীবন অতিবাহিত করতে পারে। কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সকলের বৃদ্ধ বয়সে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য এর শিকার হয়ে থাকেন। 
তাই অবসর সময়ে যেন কোনো রকম সমস্যায় ভুগতে না হয় তাই একজন ব্যক্তির অবশ্যই সার্বজনীন পেনশন বীমা এর আওতায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া খুবই জরুরী। বিবিএস এ তথ্য অনুযায়ী দ্রুত বাংলাদেশের জনসংখ্যায় বয়স্ক লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্যই এ স্কিম চালু করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ থাকে যে একজন ব্যক্তি ৫৭ বছর বয়স পর্যন্ত যদি প্রিমিয়াম প্রদান করে তাহলে ৫৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার পর থেকে সে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট হিসেবে অনুযায়ী পেনশন পেতে থাকবে। 

পাশাপাশি তার পলিসিতে কোনরকম বোনাস যোগ হয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও অর্থাৎ জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক করার জন্য অনলাইন এবং অফলাইনে বীমা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীর সহায়তায় চেক করতে পারবে। আসুন একজন ব্যক্তি জীবন বীমা কর্পোরেশন ডিপিএস এর আওতায় যদি সার্বজনীন পেনশন বীমা পলিসি করে তাহলে ৫৭ বছর পর কি পরিমানে প্রতি মাসে পেনশন পাবে সে বিষয়টি জানবো। নিচে তালিকা আকারে বিষয়টি জানানো হলো।

গ্যারান্টি কৃত পেনশন

          ফ্যাক্টর

মাসিক প্রাপ্য পেনশন

মেয়াদের ভিত্তিতে মোট


১০ বছর

৮৭.২৩

২৩,৩৮৬ টাকা

২৮,০৬,৩২০ টাকা


১৫ বছর

১১৩.১২

১৮,০৩৪ টাকা

৩২,৪৬,১২০ টাকা

২০ বছর

১৩১.৫৮

১৫,৫০৪ টাকা

৩৭,২০,৯৬০ টাকা

জীবন বীমা কর্পোরেশন কি সরকারি

সাধারণত একজন ব্যক্তিকে জীবন বীমা তে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য প্রধান যে বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে সেটি হলো কোন বীমা কোম্পানিতে পলিসি গ্রহণ করবেন। আপনাদের অবশ্যই সচেতনতার সাথে কোন বীমা পলিসিতে টাকা প্রদান করতে হবে যদি আপনি কোন প্রতারক চক্রের কবলে পড়েন তাহলে আপনার কষ্টের টাকাগুলো শুধু শুধু নষ্ট হবে। তাই জীবন বীমা কর্পোরেশন কি সরকারি না বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সে সম্পর্কে জানা উচিত। কেননা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাইতে সরকারি প্রতিষ্ঠানে পলিসি গ্রহণ করা উত্তম। “জীবন বীমা কর্পোরেশন” মূলত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। 

১৯৭৩ সালের ১৪ই মে ইন্সুরেন্স অ্যাক্ট ১৯৩৮ এবং ইন্সুরেন্স রুলস ১৯৫৮ এর আওতায় ১৫ লক্ষ ৭০ কোটি টাকার ঘাটতি দায় নিয়ে জীবন বীমা কর্পোরেশন তাদের যাত্রা শুরু করে। ১৯৭১ সালে ৭৫টি বীমা কোম্পানি ছিল যার মধ্যে ১০ টি স্থানীয়ভাবে নিবন্ধিত হয়েছিল। তারপর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার প্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সকল জীবন ও সাধারণ বীমা কোম্পানি জাতীয়করণ করা হয়। যদিও অনেকগুলো বীমা কর্পোরেশন চালু করা হয়েছিল কিন্তু ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে সুরমা ও রুপসা জীবন বীমা কর্পোরেশনকে একত্রিত করা হয় এবং সেটির নাম দেওয়া হয় “জীবন বীমা 

কর্পোরেশন”। পরবর্তীতে বিভিন্ন বীমা পলিসি নিয়ে আসা হয় এই কর্পোরেশনের আওতায় এবং সে অনুযায়ী জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি বোনাস পর্যন্ত প্রদান করছে। অর্থাৎ মোট মূলধনের সাথে আরও অতিরিক্ত বোনাস প্রদান করার মাধ্যমে জনগণের সেবা প্রদান করাই জীবন বীমা কর্পোরেশন এর মূল লক্ষ্য।

জীবন বীমা পলিসি

আমরা এতক্ষণ পর্যন্ত জীবন বীমা কর্পোরেশন সম্পর্কে এবং যদি কোন ব্যক্তি পলিসির আন্ডারে অন্তর্ভুক্ত হয় তাহলে কিভাবে জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক করতে পারবে সে বিষয়ে জানতে পেরেছি। আসুন তাহলে এবার বাংলাদেশ সরকার জীবন বীমা কর্পোরেশন এর আওতায় কোন ধরনের জীবন বীমা স্কিম চালু করে রেখেছে নিচে পয়েন্ট আকারে জীবন বীমা কর্পোরেশন এর জীবন বীমা পলিসি গুলো পয়েন্ট আকারে দেয়া হলো।
  • আমরন জীবন বীমা
  • পলিসির প্রিমিয়াম পরিশোধ এর ভিত্তিতে বীমা
  • শিশু প্রতিরক্ষা বীমা
  • শিশুদের পলিসির মূল্য পরিশোধভিত্তিক বীমা
  • পলিসির অনিয়মিত মূল্য পরিশোধভিত্তিক বীমা
  • পেনশন স্কিম বীমা
  • এক দফায় প্রিমিয়াম বীমা
  • বন্ধক প্রতিরক্ষা বীমা
  • মেয়াদি গোষ্ঠী বীমা
  • পলিসির মূল্য পরিশোধভিত্তিক গোষ্ঠী বীমা
  • দলগত পেনশন বীমা
  • গ্রামীণ বীমা
  • যুগ্ম জীবন বীমা
তবে এই সকল বীমার স্কিমগুলোর মধ্যে পেনশন স্কিম বীমা সবচেয়ে জনপ্রিয়। কেননা বয়সকালে অবসর ব্যক্তিবর্গ এই বীমার আওতায় মাসিক ভিত্তিতে পেনশন গ্রহণ করে থাকেন। কিভাবে পেনশন পান এবং কত টাকা করে পান সেই হিসেবে উপরে বর্ণনা করা হয়েছে।

জীবন বীমা কর্পোরেশন এর অফিস সমূহ

জীবন বীমা কর্পোরেশন এর অফিস সমূহ বলতে গেলে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরে বিদ্যমান রয়েছে তবে এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় হল।
  • জীবন বীমা কর্পোরেশন
  • ঠিকানা: ২৪, মতিঝিল, বা/এ ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ফোন: ৯৫৫১৪১৪, ০২-২২৩৩৮৯০৬৯
  • ফ্যাক্স: ০২-২২৩৩৮১৮২৫, ৯৫৫০৭৯৬
  • ইমেইল: info@jbc.gov.bd
এছাড়া বাংলাদেশের প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরে রিজিওনাল অফিস রয়েছে। সেগুলো হল রাজশাহী রিজিওনাল অফিস, খুলনা রিজিওনাল অফিস, বরিশাল রিজিওনাল অফিস, সিলেট রিজিওনাল অফিস, রংপুর রিজিওনাল অফিস এবং চট্টগ্রাম রিজিওনাল অফিস। এছাড়াও আপনি আপনার জেলা শহরে জীবন বীমা কর্পোরেশন অফিস এর শাখা রয়েছে কিনা সেটি খোঁজ নিতে পারেন এবং সেখানে গিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য-উপাত্ত নিতে পারেন। এমনকি জীবন বীমা পলিসি আওতায় একটি পলিসি গ্রহণ করতে পারেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি এ পর্যন্ত পড়ার জন্য। আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে জীবন বীমা কর্পোরেশনের অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্বন্ধে জানতে পারলাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক করার জন্য কি করতে হয়। পাশাপাশি সেই পলিসিতে যদি কোন রকম বোনাস আসে তাহলে জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি বোনাস সংক্রান্ত সকল বিষয় জানার জন্য কোথায় যেতে হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। 

এরপরেও জীবন বীমা পলিসি সংক্রান্ত কোনো বিষয় যদি জানতে চান তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন আমরা অতিসত্বর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনার বন্ধুবান্ধব অথবা আত্মীয়দের জীবন বীমা পলিসি আওতায় নিয়ে আসার জন্য এবং এ সম্পর্কে তাদেরকে ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যে আজকের এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। আপনি যদি এরকম গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য পেতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন পরিশেষে সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url