ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন

ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন এই উক্তিটি তারাই বেশিরভাগ পর্যালোচনা করে থাকেন যারা কিনা ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন ইনকাম করার ক্ষেত্রে যুক্ত রয়েছেন। তারা বিভিন্নভাবে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন যে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজে বেশি টাকা আয় করা যায়। প্রিয় পাঠক আপনাদের কথা মাথায় রেখে আজকে আমরা যারা ফ্রিল্যান্সার আছেন তাদের ক্ষেত্রে পাশাপাশি যারা ফ্রিল্যান্সিং নতুন করে শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলের তথ্যগুলো অতি গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ফ্রিল্যান্সিং 
ফ্রিল্যান্সিং-করে-যে-কাজে-বেশি-টাকা-আয়-করতে-পারবেন
করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন এ বিষয়টি জানার পাশাপাশি আরও যেগুলো বিষয় জানতে পারবেন সেগুলো হলো ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ, ফ্রীলান্সিংয়ের টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি এবং একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় কত, freelancing এর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর কোনটি এবং ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সকল বিষয়ে আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

ফ্রিল্যান্সিংকে সাধারণত “মুক্ত পেশা” বলা হয়ে থাকে। “মুক্ত পেশা” অর্থাৎ যেখানে কোন ব্যক্তির নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বা সেটির অধীনে কাজ করতে হয় না আর এই মুক্ত পেশার সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলে অভিহিত করা হয়। ফ্রিল্যান্সারদের সকল কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয় তাই ফ্রিল্যান্সাররা ঘরে বসেই বিদেশের বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাজ করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে একজন চাকুরিজীবীর থেকে একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে বেশি টাকা আয় করে থাকেন। তবে সেটি অবশ্যই সেই ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা বা স্কিলের উপর নির্ভর করে থাকে। 

একটি তৃতীয় পক্ষ এর মাধ্যমে ক্লাইন্টরা ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে থাকে এবং সেই অনুযায়ী তাদের কাজ সম্পন্ন করতে বলে এবং সেই তৃতীয় পক্ষ এর মাধ্যমেই ফ্রিল্যান্সারদের উপযুক্ত পেমেন্ট করে থাকে। যদিও সে তৃতীয় পক্ষ কিছু টাকা কমিশন কেটে নেয় যা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি খুবই কষ্টের বিষয়। সে বিষয়টি মাথায় রেখে ফ্রিল্যান্সাররা সবসময়ই নিজেকে আপডেট রাখেন এবং খুঁজতে থাকেন যে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং সে অনুযায়ী টাকা আয় করতে পারবেন। সেই কাজগুলো সবসময় করার চেষ্টা করে থাকেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ

যারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে একদম নতুন হিসেবে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক তাদের প্রথম যে প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায় সেটি হল ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন কাজ নতুনদের জন্য সহজ এবং অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি হবে। যদিও কোন পুরাতন ফ্রিল্যান্সারকে জিজ্ঞেস করা হয় যে এখন আমরা কি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে প্রবেশ করব কিনা বা প্রবেশ করার পর ইনকাম করতে পারব কিনা তাহলে সেই অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার সব সময় তাদেরকে উপদেশ দিয়ে থাকেন যে প্রথমে তোমরা তোমাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর প্রথমেই ইনকামের কথা মাথায় নিয়ে এসোনা। পাশাপাশি এটাও বলে থাকেন যে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ এটা কোন ফ্যাক্ট না প্রত্যেকটি কাজেই সহজ এবং প্রত্যেকটি 

কাজই কঠিন। যদি একজন ব্যক্তি নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলে তাহলে কঠিন কাজটাই তার কাছে সহজ মনে হবে। আর ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যুক্ত হওয়ার মূল মন্ত্র হচ্ছে ধৈর্য এবং সাধনা। ধৈর্য ব্যতীত এই সেক্টরে কারো আশা উচিত নয় আমরা একজন পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সার কে তারপরেও বলতে বাধ্য করেছিলাম যে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি বা কোন কাজ দিয়ে একজন ফ্রিল্যান্সারের যাত্রা শুরু করা যায় এবং ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন এ বিষয়টি আমাদেরকে জানানোর জন্য। সেই ফ্রিল্যান্সার ভাই আমাদেরকে নতুনদের যে 

প্রথম কাজটি শেখার জন্য তাগিদ দিয়েছেন সেটি হল লিড জেনারেশন এবং ডাটা এন্ট্রি। তবে তিনি এটিও বলেছেন যে বর্তমানে ডাটা এন্ট্রি কাজের চাহিদা একটু কম তাই ডাটা এন্ট্রি কাজ না শিখে লিড জেনারেশন এর কাজ শেখা যায়। আর লিড জেনারেশন এর কাজ অনেকটাই সহজ একজন কোম্পানির মালিক অথবা উদ্যোক্তা সকলেই চান যে তার কোম্পানির প্রোডাক্ট এর প্রচার প্রচারণা যেন তার নির্দিষ্ট কাস্টমারের কাছে সরাসরি হয়ে থাকে। তাহলে তিনি তার ব্র্যান্ড সম্পর্কে তার কাস্টমারদের সঠিক ধারণা দিতে পারবেন পাশাপাশি তার প্রোডাক্ট বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেড়ে যায়। 

কিন্তু সেই নির্দিষ্ট কাস্টমার গুলোর তথ্য বের করা খুব একটা সহজ নয়। তখন কোম্পানিগুলো বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে যারা লিড জেনারেশন এর কাজ করে থাকে তাদেরকে খুঁজতে থাকে এবং এই লিড জেনারেশনের কাজ করে মাসে ৫০০০০ টাকা থেকে ৬০০০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ এবং ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন সেই তালিকাতে লিড জেনারেশন কে অবশ্যই রাখা উচিত। আসুন এখন আপনাদেরকে লিড জেনারেশন এর কাজ কিভাবে করতে হয় সে বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিই। 
সর্বপ্রথম লিড জেনারেশন কাজের জন্য প্রয়োজন পড়বে একটি লিংক ডিন আইডি। বিশ্বের সকল ক্যাটাগরির কাস্টমারদের আইডি লিংক ডিনে খুঁজে পাওয়া সম্ভব। তবে কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট কাস্টমারদের ইমেইল এবং যাবতীয় তথ্য হাইড করে রাখে তাই তাদের তথ্যগুলো বের করার জন্য একটি এক্সটেনশন কম্পিউটারের ইন্সটল করে নিতে হয়। অনেক ধরনের এক্সটেনশন লিড জেনারেশন এর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে KENDO, EMAIL FINDER, ROCKET REACH, EMAIL HUNTER উল্লেখযোগ্য। তবে এই সফটওয়্যার গুলো ক্রেডিট ক্রয়ের মাধ্যমে ইউজ করা সম্ভব। 

কিন্তু একটি ইমেইল লগইন করার মাধ্যমে তারা কিছু ফ্রি ক্রেডিট দিয়ে থাকে সুতরাং আপনার কাছে যদি অনেকগুলো ইমেইল এড্রেস থাকে তাহলে সেগুলো লগইনের মাধ্যমে ফ্রি ক্রেডিট গুলো ব্যবহার করতে পারেন। কারণ একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের জন্য সর্বপ্রথম ক্রেডিট কিনে অর্থাৎ টাকা বিনিয়োগ একটু কঠিন হয়ে পড়ে।

ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ এ বিষয়টি জানার পর আসুন আমরা এখন আমাদের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয়ে ফিরে আসি। সর্বপ্রথম যে বিষয়টি বলেছি সেটি হল একজন ফ্রিল্যান্সার কোন কাজে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেটি অনেকটা নির্ভর করে তার সেই কাজে কতটুকু দক্ষতা রয়েছে। আবার বিদেশী ক্লায়েন্টের সঙ্গে সঠিক কমিউনিকেশন রাখা অতি জরুরী। একজন ক্লায়েন্টকে যদি আপনি আপনার কাজ সম্পর্কে বোঝাতে অক্ষম হন তাহলে সেই ক্লায়েন্ট আপনাকে কখনোই ওই কাজের অর্ডার দেবে না। অতএব একজন ফ্রিল্যান্সারকে অবশ্যই অনলাইন থেকে টাকা 

ইনকাম করার উপায় এবং ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি অনুযায়ী নিজের দক্ষতাকে উন্নত করা প্রয়োজন। যেহেতু সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিযোগিতার সংখ্যাটাও বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বে কাজের চাহিদা বেশি ছিল এবং ফ্রিল্যান্সার সংখ্যা কম থাকার ফলে ফ্রিল্যান্সারেরা বেশি বেশি কাজের অর্ডার পেয়েছে। কিন্তু বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে কাজ একটু কঠিন হয়ে পড়েছে। কিন্তু যারা কাজ পাচ্ছে তারাও কিন্তু মানুষ সুতরাং চেষ্টা করলে সবকিছুই সম্ভব। Freelancing এর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর হচ্ছে Fiverr এবং Upwork তবে মার্কেটপ্লেস দুইটির কাজগুলো পাওয়ার 

সিস্টেম একটু আলাদা। ফাইবারে ক্লায়েন্ট আপনার রিভিউ এবং আপনার কাজের পোর্টফোলিও দেখে আপনাকে হায়ার করবে। কিন্তু upwork এ একজন ক্লায়েন্ট তার যে কাজের প্রয়োজন সে বিষয়ে একটি পোস্ট করবে এবং সেই পোস্টে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার বিট করার মাধ্যমে যেকোনো একজন সেই কাজ পেয়ে যাবে। এই দুই মার্কেট প্লেস ব্যতীত আরো অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা অবগত নয়। সেই সকল মার্কেটপ্লেস গুলো হল freelancer.com, people pur hour, kwork.com, seoclark, legit.com উল্লেখযোগ্য। এ মার্কেটপ্লেস গুলোতে তুলনামূলক একটু প্রতিযোগিতা 

কম। তাই অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে উক্ত মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজের সন্ধান করা যেতেই পারে। আসুন আমরা তাহলে এবার কোন কাজে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব এবং ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি থাকবে সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করব। কয়েকটি বিষয় নিয়ে নিচে পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত তথ্যগুলো দেয়া হল।

প্রোগ্রামিং এবং সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট

যারা ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ এই বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিতে চান তাহলে আপনারা সর্বপ্রথম কখনোই প্রোগ্রামিং সেক্টরের প্রবেশ করবেন না। যদি আপনার কম্পিউটার বা প্রোগ্রামিং সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা থেকে থাকে বা আপনি সেই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তাহলে আলাদা বিষয়। কিন্তু একজন ফ্রেশ এবং বিগিনারদের জন্য প্রোগ্রামিং নয়। সাধারণত প্রোগ্রামিং এর কাজগুলো সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট বেসেস হয়ে থাকে। একটা কোম্পানি যদি তার মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে কাজ করে থাকে তাহলে অবশ্যই একজন ফ্রিল্যান্সারকে হায়ার করতে চাইবে। 

যে কিনা কম্পিউটার সফটওয়্যার এবং মোবাইল অ্যাপস ডেভলপমেন্ট বিষয়ে কাজ করে থাকে। আর উক্ত কাজগুলো একজন প্রোগ্রামার এর দ্বারায় সম্পন্ন হয়। তবে এই কাজের জন্য একজন ফ্রিল্যান্সারকে অবশ্যই দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে। কারণ প্রোগ্রামিং বিষয়টি এতটাও সহজ নয় আর যেহেতু কাজটি একটু কঠিন তাই এই কাজে পারিশ্রমিক স্বভাবতই অনেক বেশি। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট বা প্রোগ্রামিং কাজের জন্য একজন ফ্রিল্যান্সারকে প্রতি ঘন্টায় ৮০ থেকে ৯০ ডলার এমনকি ১০০ ডলার পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে। তাহলে আপনারা এখন হিসাব করে নিতে পারেন 
একজন প্রোগ্রামার মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারে। তবে হ্যাঁ অবশ্যই সেই প্রোগ্রামারকেই কোম্পানি হায়ার করবে যে প্রোগ্রামিং সম্পর্কে খুবই ভালো ধারণা রাখে এবং তার পূর্বের পোর্টফোলিও অনুযায়ী তার কাজের মান খুবই ভালো ছিল। সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট কাজের জন্য নিচের কিছু প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে হয় যেটার দ্বারা ডেভেলপমেন্ট সংবলিত সকল কাজ সম্পন্ন করা হয়। ল্যাংগুয়েজ গুলো হল জাভা স্ক্রিপ্ট (JavaScript) সি প্লাস প্লাস (C++), পাইথন (Python), জাভা (Java) এবং সি (C) আর এই বিষয়গুলো একটু কঠিন হওয়ার কারণে ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা 

আয় করতে পারবেন সেই লিস্টে প্রোগ্রামিং কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে প্রোগ্রামিং করার জন্য আপনাকে উপরের সবগুলো ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার প্রয়োজন হবে না। আপনি যে কোন একটি ল্যাঙ্গুয়েজ ভালোভাবে শিখে এবং অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ কোন ল্যাঙ্গুয়েজ টি মার্কেটপ্লেসে বেশি প্রয়োজন সেই অনুযায়ী দক্ষতা প্রয়োগ করতে পারেন। তাহলে মার্কেটপ্লেস থেকে আপনি অনেকগুলো অর্ডার সম্পন্ন করতে পারবেন। কিন্তু পরবর্তীতে আপনি ধীরে ধীরে একটি একটি করে ল্যাঙ্গুয়েজ আয়ত্ত করতে থাকবেন এবং সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে নিজেকে আপডেট রাখার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ হচ্ছে মূলত কোন টিমকে তার প্রজেক্টগুলো সম্পূর্ণ করার জন্য সাহায্য প্রদান করা। যদি ইতিহাস পর্যালোচনা করা যায় তাহলে এটাই উঠে আসে যে পূর্বের তুলনায় বর্তমানে কি পরিমান চাহিদা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর ক্ষেত্রে বেড়েছে। ২০১৮ সালের দিকে যেখানে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর পরিমাণ মার্কেটপ্লেস ভেদে ছিল মাত্র ৭ হাজার কিন্তু পরবর্তীতে এক বছর পরেই সেটির মাত্রা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজারে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি হিসেবে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর ভালো জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা 

বেশি থাকবে হিসেবে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করা যেতে পারে। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করে যেমন খুব সহজেই টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন অর্থাৎ টাকা ইনকামের পরিমাণটাও অনেক বেশি। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রজেক্ট সম্পন্ন করার জন্য একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ফ্রিল্যান্সারকে ঘন্টায় ২০ থেকে ৩০ ডলার দিয়ে থাকে। আবার যারা কোম্পানির মালিক বা ব্যস্ত ব্যবসায়ী তারা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ করে থাকেন। তখন সেই সকল ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্টের পক্ষ হতে শপিং, 

রেস্টুরেন্ট, মেডিকেল এপয়েন্টমেন্ট, ইমেল হ্যান্ডেলিং সহ আর অন্যান্য কাজগুলো সম্পন্ন করে। আবার অনেক অফিসের সহকারি হিসেবে চাকরি করা সম্ভব এবং সেটি রিমোট জবের মাধ্যমে আপনি অফিসে না গিয়েই অফিসের কর্মকর্তার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং তার যদি ওয়েবসাইট থেকে থাকে সেখানে ব্লগ পোস্ট এবং আরো অন্যান্য কাজগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করা যায়। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ এই তালিকাতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট অবশ্যই রাখা যাবে। কারণ এই কাজটা নিজের দক্ষতা এবং স্মার্টনেস কে কাজে লাগিয়ে করা সম্ভব।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার

আমরা ফেসবুকে যখন ঢুকি তখন আমাদের হোমপেজে বিভিন্ন রকম বিজ্ঞাপন সামনে চলে আসে। আসলে সবগুলো বিজ্ঞাপন কেউ না কেউ ম্যানেজ করছে সেই অনুযায়ী উক্ত ব্যান্ডের প্রচার-প্রচারণা এবং বিক্রি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যদি কোন ফ্রিল্যান্সার মনে করে যে সে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করবে তাহলে তাকে সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে হবে। পাশাপাশি একটি বিজ্ঞাপন কার্যক্রম কিভাবে পরিচালিত হয় সেই সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। ফেসবুক এত ক্যাম্পেন কিভাবে করে এবং সেটি পরিচালনা করার জন্য কি কি 

বিষয় জানতে হয় সেগুলো নিয়ে আগে নিজেকে তৈরি করতে হবে। যদি উক্ত কাজ সম্পর্কে আপনি নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন প্রশ্নে আপনাকে এটাই বলা হবে। যে প্রতি ঘন্টায় একজন সোশ্যাল মিডিয়া এক্সপার্টকে প্রতি ঘন্টায় ৩০ থেকে ৩৫ ডলার দেওয়া হয়ে থাকে। তাই ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে এবং অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেই অনুযায়ী আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে যেকোনো কোম্পানির অথবা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন পরিচালনা করা দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। আবার 

আপনাকে এনালাইজ করতে হবে যে উক্ত কোম্পানির প্রোডাক্টগুলো কোন কোন কাস্টমার নিতে আগ্রহী সেই সকল কাস্টমারের ফেসবুক হোমপেজে যেন বিজ্ঞাপন গুলো বারবার সো হয় সে বিষয়টি সম্পর্কে আপনার ব্যাপক ধারণা থাকতে হবে। উক্ত কোম্পানির প্রোডাক্টগুলো যাদের পছন্দ নয় বা যাদের এই মুহূর্তে দরকার নয় তাদের কাছে গিয়ে যদি বিজ্ঞাপন বারবার পৌঁছায় তাহলে কোম্পানির শুধু শুধু টাকা নষ্ট হবে। কিন্তু কোন রকম ব্র্যান্ডের প্রচার অথবা সেল হবে না তাই আপনাকে একজন প্রফেশনাল সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হওয়ার জন্য অবশ্যই মার্কেটিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

SEO এক্সপার্ট

যারা ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করেন কিংবা যাদের “ব্লগ ওয়েবসাইট” রয়েছে তারা এসইও সম্পর্কে ভালো ধারণা অথবা এই নামটি হর হামেশা শুনে থাকবেন। SEO অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এই বিষয়টি হলো সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং এবং ট্রেনিং মার্কেট। কিন্তু আপনি যদি একজন এসইও এক্সপার্ট হিসেবে নিজেকে উন্নত করতে পারেন তাহলে আপনি মার্কেটপ্লেস ছাড়াও নিজে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে নিয়মিত কনটেন্ট রাইটিং এবং এসইও করার মাধ্যমে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। সুতরাং একজন এসইও এক্সপার্টকে মার্কেটে উপর ভরসা রাখতে হয় না। 

তাই একজন ফ্রিল্যান্সার যদি কন্টেন্ট রাইটিং এবং এসইও সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন তাহলে মার্কেটপ্লেস থেকে আর্টিকেল রাইটার অথবা এসইও এক্সপার্ট হিসেবে বিভিন্ন কাজের অর্ডার সম্পন্ন করতে পারবেন। আবার যদি তারা নিজেরা ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্লগ পোষ্ট করে সেখান থেকে ইনকাম করা সম্ভব। একজন এসইও এক্সপার্টকে ঘন্টায় ১৫০ ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট করা হয়ে থাকে। তাহলে বুঝতে পারছেন ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন পাশাপাশি ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই তালিকাতে এসইও এক্সপার্টকে কেন আমরা 

রেখেছি। কিন্তু একজন প্রফেশনাল এসইও এক্সপার্ট হওয়ার জন্য অবশ্যই অন পেজ এসইও, অফ পেজ এসইও, টেকনিক্যাল এসিও, ব্যাকলিংকস সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা থাকতে হবে। আপনি যদি এ সকল বিষয়ে দক্ষ হতে পারেন তাহলে মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেসের বাইরে অনেক টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ এবং পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে যে সকল সেক্টর হতে অধিক টাকা আয় করা সম্ভব সে সম্পর্কে আপনারা ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। 

আমরা আমাদের প্রত্যেকটি আর্টিকেলে অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় এবং ফ্রিল্যান্সিং করে কোন কোন সেক্টর থেকে বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব সে বিষয়ে ব্যাপক পোস্ট করে থাকি। আপনারা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত সকল বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নিতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি

ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে এবং ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে অনেক কথাবার্তা বলা হল আসুন এখন আমরা জানবো ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি। কেননা নিজেকে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দক্ষ করে গড়ে তোলার পর আপনি আপনার নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক অবশ্যই পাবেন। কিন্তু আপনি যদি পেমেন্ট ওয়ে সম্পর্কে ধারণা না রাখেন তাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে কোন পদ্ধতিতে টাকা দিবে সেটি নিয়ে আপনি কনফিউশনে পড়ে যেতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যতীত অন্যান্য দেশে Paypal রয়েছে। পেপাল এমন একটি পেমেন্ট ওয়ে যেখানে তার নির্দিষ্ট 

দেশের লোকাল এজেন্সি এর মাধ্যমে টাকা উইথড্র করা সম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার পেপাল ব্যান করে রেখেছেন। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক সাহেব একবার এক বিবৃতিতে বলেছিলেন যে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে Paypal চালু করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই নিয়ে আর কোন কার্যক্রম পরিচালিত হতে দেখা যায়নি। যদি কখনো পেপাল বাংলাদেশের চালু হয় তাহলে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেকটাই সুবিধা হবে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সাররা Payoneer এর মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করে থাকেন সুতরাং ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি হিসেবে Payoneer অধিক জনপ্রিয় এবং সুবিধা-মন্ডিত।

ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কত আয় করা যায়

আশা করি আপনারা ইতিমধ্যে উপলব্ধি প্রাপ্ত হয়েছেন যে ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ সেই বিষয়ে। কিন্তু আমাদের অনেকের মনে আরেকটি প্রশ্ন বারবার চলে আসে বা জানার আগ্রহ হয় সেটি হল ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কত আয় করা যায় অথবা একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত। আমরা সর্বপ্রথম আর্টিকেলে যে বিষয়টি উল্লেখ করেছি সেটি হল একজন ফ্রিল্যান্সারের ইনকাম নির্ভর করে তার নির্দিষ্ট দক্ষতার উপরে এবং ফ্রিল্যান্সার যদি অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে সে কাজগুলো শেখার চেষ্টা 

করেন তাহলে তিনি অনেকগুলো অর্ডার কমপ্লিট করতে পারবেন। নতুন অবস্থায় কেউ কখনো পারফেক্ট হয় না সুতরাং উপযুক্ত অর্থাৎ একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য তাকে ধৈর্য এবং পরিশ্রম দুটোই করতে হবে। তবে একজন ব্যক্তি যদি আগ্রহ সহকারে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসে এবং যে কোন একটি স্কিল নিয়ে কাজ শুরু করে দেয় তাহলে নতুন অবস্থায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবে। কিন্তু তাকে অবশ্যই সময়ের সাথে নিজেকে আপডেট রাখতে হবে। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি থাকবে সেই অনুপাতে 
নিজেকে তৈরি করতে হবে। আবার বর্তমান যুগ হলো AI এর যুগ তবে এই বিষয়টিকে ভয় না পেয়ে তাকে কিভাবে নিজের কাজের প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায় সেই সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা প্রয়োজন। আমার একজন পরিচিত ফ্রিল্যান্সার ভাই রয়েছেন যিনি কিনা ৫ থেকে ৬ বছর যাবত ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যুক্ত আছেন তার মাধ্যমেই আমি এই আর্টিকেলের তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছি এবং তিনি তার ইনকাম সম্পর্কে আমাকে এটাই বলেছেন যে নতুন অবস্থায় তার ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা ইনকাম ছিল। 

এখন বর্তমানে তিনি ৫০ হাজার থেকে শুরু করে থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মাসিক ইনকাম করে থাকেন। তবে ফ্রিল্যান্সারদের ইনকামের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন অংক ঠিক করা নেই। যদি কোন মাসে অর্ডার বেশি হয় সে মাসে ইনকাম বেশি হয় যদি অর্ডার কম হয় তাহলে ইনকামের পরিমাণ কমে যায়।

ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে কত টাকা খরচ হবে

নিজেকে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দরকার একজন মেন্টর অর্থাৎ সঠিক গাইডলাইন ব্যতীত কখনোই ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করা সম্ভব নয়। আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন এই ধারণাগুলো অবশ্যই একজন মেন্টর আপনাকে দিয়ে থাকবে এবং আপনাকে তৈরি করে তুলবে সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে। এখন আপনাদের মনে অনেকের প্রশ্ন আসবে যে তাহলে আমরা একজন অভিজ্ঞ মেন্টর কোথায় পাবো। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক রকম আইটি সেন্টার গড়ে উঠেছে তবে বেশিরভাগ আইটি সেন্টার গুলো শেখানোর নামে ছেলে-মেয়েদের কাছ 

থেকে শুধু শুধু টাকা আদায় করে নিচ্ছে। তারা শেখায় যে কিভাবে ফেসবুক পেজ খুলতে হয় কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয় এ সকল সম্পর্কে। যেহেতু আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পেরেছি মূল ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি কি এবং কোন কাজগুলো শেখার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সফল হওয়া যায় আবার সেই বিষয়ে আপনাদেরকে সম্পূর্ণ ধারণা দিয়েছি। তাহলে আপনি যে আইটি সেন্টারে শেখার জন্য যাবেন তাহলে তার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারবেন তারা কোন বিষয়গুলো শেখাচ্ছে। আমাদের আর্টিকেলের তথ্য অনুযায়ী তাদের কথার মিল খুঁজে পান অর্থাৎ তারা যদি 

আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি কোন কাজ গুলো একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে শেখা প্রয়োজন সেগুলো বিষয় সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেয় তাহলে ভর্তি হতে পারেন। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ হবে সে বিষয়টি যদি আইটি সেন্টার নির্ধারণ করে দিতে পারে তাহলে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে কেউ বাধা দিতে পারবে না। ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে কত টাকা খরচ হবে এই প্রশ্নের উত্তরে সঠিক কিছু বলা সম্ভব নয়। কেননা প্রত্যেকটি আইটি সেন্টারের ডিমান্ড সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে থাকে। তবে আমরা আপনাদেরকে “ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট” সাজেস্ট করতে পারি 

কোর্স শেষ করতে সেখানে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মত খরচ হবে। আবার আপনি অন্যান্য আইটি সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারেন সেখানেও ঠিক এরকমই ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। তবে আপনি এই টাকা খরচ করার পর যদি সঠিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে দক্ষতা লাভ করেন তাহলে আপনি পরবর্তীতে এক মাসেই সেই টাকা তুলে ফেলতে পারবেন।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে সব সময় অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় পাশাপাশি অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে এবং ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি থাকবে সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে ধারণা দিয়ে থাকি। ঠিক সেই অনুপাতে আজকেও আমাদের এই আর্টিকেলে ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ বিষয়গুলো সহ আরো বিস্তারিত বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। আপনি যদি সত্যিই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে অবশ্যই 

বদ্ধপরিকর ধৈর্য এবং পরিশ্রম এর সঙ্গে মেধা দিয়ে সামনে এগোতে হবে। তাহলে আপনাকে আর ঘরে বসে বেকার থাকতে হবে না। আপনাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য যেসব তথ্য প্রয়োজন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত পাবলিশ করে থাকি। তাই আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন অথবা মন্তব্যবক্সে আপনার জানতে চাওয়া প্রশ্নটি করতে পারেন। আমরা অতিসত্বর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব তথ্যগুলো যথাযথ মনে হলে আমাদের এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url