ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনি যদি সম্পূর্ণ ধারণা নিতে পারেন এবং আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং জগতে একজন ফুল টাইম ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তাহলে আপনাকে আর আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো রকম চিন্তা করতে হবে না। সুতরাং আজকের এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি বিষয়টি সে সকল ফ্রিল্যান্সারদের খুব জানা খুবই জরুরী। 
ডিজিটাল-মার্কেটিং-এর-কোন-কোন-কাজের-চাহিদা-বেশি
যারা কিনা কিছুদিন যাবত ফ্রিল্যান্সিং করছেন বা করতে চাচ্ছেন। আপনি উক্ত বিষয়টি জানার পাশাপাশি এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আরও যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন সেগুলো হলো ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে কোন কোন বিষয় এ এক্সপার্ট হতে হবে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর এবং সুবিধা ডিজিটাল মার্কেটিং মাসিক আয় কত ও এই কোর্স করতে কতদিন সময় লাগে বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনারা খুব ভালোভাবে জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এ বিষয়টি জানতে চান তাহলে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

“ডিজিটাল মার্কেটিং” বলতে সাধারণত কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে কোন কোম্পানি বা কোম্পানি পক্ষ তাদের ব্র্যান্ডের প্রচার অথবা নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল লক্ষ্য থাকে কোম্পানিগুলোর নির্দিষ্ট টার্গেটকৃত কাস্টমারগুলোকে তাদের কোম্পানির সন্নিকটে নিয়ে আসা এবং সেই অনুপাতে সেল বৃদ্ধি করা। পূর্বে সময়ে এরকম ডিজিটাল পদ্ধতি না থাকার কারণে মানুষ শুধুমাত্র দোকান অথবা মার্কেটে গিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করত। কিন্তু এখন সময়ের বিবর্তনের ফলে মানুষ ঘরের বাইরে বের না হয়েও অনলাইনের মাধ্যমে তাদের 

প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করতে পারে আর এটি সফল করতে “ডিজিটাল মার্কেটিং” এর গুরুত্ব অপরিসীম। ডিজিটাল মার্কেটিং কার্যক্রমটি পরিচালনা করার জন্য ইন্টারনেটের সাহায্য গ্রহণ করা হয় এবং এর পাশাপাশি কোম্পানিগুলো ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে থাকে। যারা কিনা ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টি নিয়ে কাজ করে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি যেমন জানতে হয় ঠিক তেমনি মার্কেট রিসার্চ করার মাধ্যমে কোম্পানির টার্গেটকৃত কাস্টমারের লিস্ট তৈরি করা অথবা তাদের সামনে কোম্পানির বিজ্ঞাপন বারবার সাজেস্ট করা এগুলো বিষয়ে খুব ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে কোন কোন বিষয় এ এক্সপার্ট হতে হবে

বিশ্বে যতগুলো কোম্পানি থাকবে সবাই চায় তার ব্যান্ডের সঠিক প্রচার এবং কোম্পানির সেল বৃদ্ধি কোম্পানির মালিক অথবা মালিকপক্ষ সেই বিষয়টিকে লক্ষ্য রেখে তারা সবসময় একজন এক্সপার্ট মার্কেটারকে হায়ার করার চেষ্টা করে সুতরাং একজন ফ্রিল্যান্সার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে নিজেকে একজন এক্সপার্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে তাহলে অবশ্যই মার্কেটপ্লেস থেকে অনেকগুলো কাজের অর্ডার পাওয়া সম্ভব। আর প্রত্যেকটি কাজের শেষে একটি গুড রিভিউ অর্থাৎ ফাইভ স্টার রিভিউ পাওয়ার জন্য ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর 

কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা অতীব জরুরী। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে অনেক কাজের মান কমে যায় বা কাজে চাহিদা থাকে না তাই সময়ের সাথে নিজেকে আপডেট করতে হবে এবং জানতে হবে কোন কাজগুলো করার মাধ্যমে খুব দ্রুত সফল হওয়া সম্ভব। যদি বর্তমান সময়ে এসে কেউ পুরাতন পদ্ধতিতে ফ্রিল্যান্সিং করার চেষ্টা করে তাহলে সেটা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এর যুগে এসে নিজেকে অবশ্যই একজন আপডেটেড এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করার জন্য শুধু যে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়েই কাজ করতে হবে 
বিষয়টা তেমন নয়। আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতের যতগুলো বিষয় রয়েছে যেকোনো একটি বিষয়ে যদি সঠিকভাবে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনি সেখানে অবশ্যই সফলতা পাবেন। তবে আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি সুতরাং আজকে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর আদ্যপ্রান্ত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব এবং একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটার হওয়ার ক্ষেত্রে এই আর্টিকেলের তথ্যগুলো আপনার অনেকটাই উপকারে আসবে। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা রয়েছে ব্যাপকভাবে কিন্তু সেই 

তুলনায় মার্কেটপ্লেসগুলো রিসার্চ করলে দেখা যায় যে এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটার খুব কমই রয়েছে তাই নিজেকে একজন পরিপূর্ণ এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে কাজ করে সফলতা পাওয়া সম্ভব। তবে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং এর যতগুলো সেক্টর রয়েছে সবগুলো সম্পর্কেই আপনাকে মোটামুটি ধারণা রাখতে হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি

যদি একজন ফ্রিল্যান্সার, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং নতুনদের জন্য সর্বপ্রথম ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন কাজ শেখা উচিত বিষয়টিকে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে তাহলে অনেকগুলো বিষয় তার সামনে উদীয়মান হয়। প্রথম যে বিষয়টি পরিলক্ষিত হয় সেটি হল একজন বিগিনার বা নতুন তার মনে বারবার একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় আমি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কোন সেক্টরটিকে পছন্দ করব। আপনাদের জ্ঞাতার্থে আমরা পূর্বেও বলেছি যে ফ্রিল্যান্সিং এর যতগুলো সেক্টর রয়েছে সবগুলোর চাহিদা মার্কেট প্লেসে বিদ্যমান। সুতরাং আপনি যেই সেক্টর নিয়েই কাজ শিখেন না কেন আপনি আপনার 

দক্ষতা আগে কাজে লাগিয়ে অবশ্যই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখন আপনাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং জগতের একটি চক্র ময় পদ্ধতির সম্পর্কে ধারণা দেব। এই বিষয়টি হয়তো আপনি কোন আর্টিকেলে পাবেন না আসুন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এ বিষয়টি জানার জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর চক্রময় পদ্ধতি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের খুব ভালোভাবে জানা উচিত।সে সম্পর্কে আলোচনা করি। আমরা আমাদের পূর্বের আর্টিকেলে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ের যতগুলো সেক্টর রয়েছে তার মধ্যে যে সেক্টর গুলোতে কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি। 

আসুন তাহলে এবার জানব ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর এবং ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টরগুলো কিভাবে চক্রাকারে পরিচালিত হয়। ধরুন একজন কোম্পানি এর কর্তৃপক্ষ মহোদয় তারা তাদের কোম্পানির প্রোডাক্ট এর প্রচার প্রচারণা এবং সেল বৃদ্ধি অনলাইনে করতে চাই কিন্তু মালিকপক্ষের সময় অথবা সে সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণে তাকে একজন ফ্রিল্যান্সার হায়ার করতে হবে। সুতরাং সর্বপ্রথম তার প্রোডাক্ট মার্কেটে প্রচার অথবা বিক্রির জন্য একটি সুন্দর সাবলীল প্রোডাক্টের ছবি প্রয়োজন। পাশাপাশি তিনি যেই প্লাটফর্মে তার প্রোডাক্টটি সেল করবেন হতে পারে সেটি ফেসবুক অথবা ইউটিউব যেটাকে 

আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে থাকি। তাহলে এসব প্লাটফর্মের প্রোফাইল ফটো অথবা ব্যানার তৈরির জন্য তাকে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর শরণাপন্ন হতে হবে। ফেসবুক পেজ তৈরি হওয়ার পর তার সেই পেজটিতে তার উক্ত প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন চালাতে হবে। সেজন্য তাকে একজন এড এক্সপার্ট যে কিনা ফেসবুক এড ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট তা নির্দিষ্ট কাস্টমারের হোম পেজে নিয়ে যায় এবং সে অনুযায়ী কোম্পানির সেল বৃদ্ধি পায় আর ফেসবুকে চালনাকারী ব্যক্তি হলেন ডিজিটাল মার্কেটার। কারণ তিনি মার্কেটিং এর মাধ্যমে কোম্পানির সেল বৃদ্ধি করছেন। 

এজন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এই তালিকাতে একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেট আর যে অ্যাড রান করে থাকে সেই ফ্রিল্যান্সার দের চাহিদা ব্যাপক হারে রয়েছে। আবার কোন ব্যক্তি যদি ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট সেল করতে চায় না তারা তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে। সেখান থেকে সরাসরি কাস্টমার নিয়ে আসতে চায় তাহলে তাকে তার ওয়েবসাইট তৈরির জন্য একজন ওয়েব ডেভলপার এবং ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য ওয়েব ডিজাইনার হায়ার করতে হবে। তারা একটি ওয়েবসাইট প্রস্তুত করে দেওয়ার পর সেই ওয়েবসাইট গুগল 

পেইড এডস এর মাধ্যমে গুগল প্রথম রাঙ্কে নিয়ে আসা সম্ভব। সে ক্ষেত্রেও একজন ডিজিটাল মার্কেটার প্রয়োজন যে গুগল এড রান করার জন্য পারদর্শী। যদি কোম্পানির মালিক চায় তারা কোনরকম এড রান করে ট্রাফিক নিয়ে আসতে চায় না অর্থাৎ তারা অর্গানিকভাবে তাদের প্রোডাক্টের কাস্টমার চায় সেক্ষেত্রে এখন তাদেরকে একজন (SEO) এক্সপার্ট কে হায়ার করতে হবে। একজন এসইও অভিজ্ঞ সম্পন্ন ব্যক্তি ম্যানুয়ালি অন পেজ এসিও অফ পেজ এসিও এবং সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ করার মাধ্যমে উক্ত কোম্পানির ওয়েবসাইটটি গুগল রেঙ্কে নিয়ে আসতে পারবে। 

এবং টপ রেঙ্কে যদি ওয়েবসাইটটি অবস্থান করে তাহলে অবশ্যই ওই কোম্পানির প্রচার প্রচারণা অথবা সেল দুটোই বৃদ্ধি পাবে। এভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কার্যক্রম আবর্তিত হতে থাকে প্রত্যেকটি ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে আরেকটি ফিলান্সারের ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এ বিষয়টি বলতে গেলে সকল ধরনের কাজের চাহিদা বর্তমানে পরিলক্ষিত হয়। তবে উল্লেখযোগ্য কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে বিস্তারিতভাবে জানাবো।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে আমরা পূর্বেও জেনেছি যে ডিজিটাল মার্কেটিং হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার যদি পছন্দ করেন তাহলে আপনাকে সব বিষয়ে এক্সপার্ট হতে হবে না। আপনি যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে কাজ করলে অবশ্যই সফলতা পাবেন। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর সকল বিষয় সম্পর্কে আপনাকে প্রাথমিক ধারণা রাখতে হবে। তাহলে চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক ডিজিটাল মার্কেটিং কি কি ধরনের ও সেক্টর গুলো কেমন হতে পারে এবং সেক্টরগুলো সম্পর্কে পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)

আমরা আমাদের আর্টিকেলের সর্বপ্রথম যে বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছি সেটি হল ডিজিটাল মার্কেটিং অথবা ফ্রিল্যান্সিং জগতের যতগুলো ধাপ রয়েছে সবগুলোতেই একজন কোম্পানি বা কোম্পানি কর্তৃপক্ষ দায়বদ্ধ। কেননা কোম্পানিকে তার প্রোডাক্টের সেল অথবা প্রচারের জন্য প্রত্যেকটি বিষয়ের ফ্রিল্যান্সারদের শরণাপন্ন হতে হয়। আপনাদেরকে জানিয়েছি যে একজন কোম্পানি অথবা কোম্পানির কর্তৃপক্ষ যদি কাল প্রোডাক্টগুলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ব্যতীত অর্গানিকভাবে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে গুগল থেকে কাস্টমার জেনারেট করতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে একজন 
SEO এক্সপার্ট এর দ্বারা তার ওয়েবসাইটকে রান করানো সম্ভব। তাই বলাবাহুল্য যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এই তালিকা তে অবশ্যই একজন SEO এক্সপার্ট রয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ একজন ব্যক্তি তার টি-শার্টের ব্যবসা রয়েছে তিনি এই ব্যবসাটি অনলাইনে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে বিক্রি নিশ্চিত করতে চান। তাহলে একজন SEO এক্সপার্ট কিভাবে তার এই প্রোডাক্টটি সেল করবে সর্ব প্রথম ব্যক্তিটিকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে এবং ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় অবশ্যই কিছু নিজস্ব কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। 

যাতে গুগল রেঙ্ক করতে সহায়তার প্রদান করে পরবর্তীতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিটি SEO অর্থাৎ Search Engine Optimise করার মাধ্যমে কিছু নিজস্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ম্যানুয়ালি কিওয়ার্ড রিসার্চ করে গুগল টপ লিস্টে উক্ত ওয়েবসাইটটি নিয়ে আসা সম্ভব।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর গুলোর মধ্যে আরেকটি সেক্টর হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। বর্তমানে বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা অনেক। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই রয়েছে প্রায় সাত কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারী তাহলে এই হিউজ একটি সোশ্যাল মিডিয়া পার্সনদের ব্যবসায়িক টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করা সম্ভব। যদি একজন ডিজিটাল মার্কেট আর যে কিনা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নিয়ে কাজ করে সে কোম্পানির নামে ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে ফেসবুক এড ক্যাম্পেইন চালু করে প্রতিদিন ব্যাপক পরিমাণে সেল নিয়ে আসতে পারবে। 

সুতরাং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি হিসেবে বিদ্যমান তবে এই কাজটি যতটা সহজ ঠিক ততটা নয়। আপনাকে সেই সকল কাস্টমারের সামনে বিজ্ঞাপনটি নিয়ে যেতে হবে যারা কিনা উক্ত প্রোডাক্টটি কিনতে আগ্রহী। তাহলে একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার আর কি করে বুঝে যে এ প্রোডাক্ট উক্ত ব্যক্তি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। আসলে এড ক্যাম্পেন সেটাপ করার সময় কিছু বিষয় সিলেক্ট করে দিতে হয় উক্ত বিষয়গুলো অনুসরণের মাধ্যমে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সেই সকল কাস্টমারের কাছে উক্ত প্রোডাক্টের 

বিজ্ঞাপন নিয়ে যায়। যারা কিনা ওই প্রোডাক্ট সম্পর্কে অনেকটা আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। যেমন আপনি যদি কোন কোম্পানির হয়ে জন্মদিন বেলুন বিক্রি করতে চান তাহলে আপনি যদি জন্ম তারিখ অনুযায়ী জন্মদিনের বেলুন সেল করার জন্য এড ক্যাম্পেইন সেট আপ করেন তাহলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ওই দিনে যাদের জন্মদিন ঠিক তাদের কাছেই ওই বেলুনের বিজ্ঞাপনটি নিয়ে যাবে। আর এটাই একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে সফলতা।

কন্টেন্ট মার্কেটিং

কন্টেন্ট মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর এমন একটি সেক্টর যে টেকনিকের সাহায্যে প্রডাক্ট সংবলিত তথ্য এবং প্রোডাক্টের চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কাস্টমার এর কাছে বিভিন্ন রকম কনটেন্ট তৈরি করে কাস্টমারের সামনে নিয়ে যাওয়া এবং কাস্টমার আকৃষ্ট হওয়ার ফলে কোম্পানির প্রচার-প্রচারণা এবং পাশাপাশি সেল বৃদ্ধি হওয়া কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মূল লক্ষ্য। কন্টেন্ট মার্কেটিং বিভিন্ন পর্যায়ে হয়ে থাকে। ফেসবুকে শর্ট স্টোরি অথবা ব্লগ পোষ্ট করে কনটেন্ট মার্কেটিং করা সম্ভব। সকল ক্ষেত্রেই ভ্যালুয়েবল তথ্য এবং আকৃষ্ট করার ক্ষমতা যদি কন্টেন্ট মার্কেটে প্রয়োগ করা হয় তাহলে অবশ্যই সেখান থেকে ব্যাপক হারে সেল আনা সম্ভব।

ইমেইল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয় হলো ইমেইল মার্কেটিং। ইমেইল মার্কেটিং করে মার্কেটপ্লেস এবং আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ ডলার ইনকাম করা সম্ভব। অনেক কোম্পানি তাদের প্রোডাক্টের বিষয়টি কাস্টমারকে সরাসরি জানাতে পছন্দ করেন কিন্তু তাদের প্রোডাক্ট কোন কাস্টমার গুলোর প্রয়োজন অথবা তার প্রোডাক্ট সম্পর্কে কোন কাস্টমার গুলো আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন সেটি কোম্পানি কর্তৃপক্ষের বের করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। আর তখন কর্তৃপক্ষ একজন ইমেইল মার্কেটার হায়ার করে। 

একজন ইমেইল মার্কেটার আর বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এবং কিছু ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন উপযুক্ত কাস্টমারদের ইমেইল তালিকা তৈরি করে থাকেন। প্রোডাক্ট অনুযায়ী সেসকল কাস্টমারদের নাম, ইমেইল এড্রেস, ফোন নম্বর একটি গুগল এক্সেল সিটে তৈরি করে কোম্পানিকে প্রদান করে। আর এই কাজের জন্য কোম্পানি ফ্রিল্যান্সারদের টাকা দিয়ে থাকে। আজকে আমরা এই তিনটি বিষয় অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিনটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরো অনেকগুলো বিষয় রয়েছে 

সেগুলো হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং, কনটেন্ট অটোমেশন ই-কমার্স মার্কেটিং উল্লেখযোগ্য। আপনি এ সকল সেক্টরের যে বিষয় নিয়ে তা শিখতে চান শিখতে পারবেন। কিন্তু অবশ্যই সে বিষয়ে আপনাকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সেই সঙ্গে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে বিষয়গুলো জানার মাধ্যমেই কেবলমাত্র আপনি মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেসের বাইরে থেকেও বিভিন্ন রকম কাজের অর্ডার পেয়ে যাবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা কি

আমরা এতক্ষণ ধরে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে জানতে পারলাম। কিন্তু আরেকটি প্রশ্ন থেকে যায় সেটি হল একজন কোম্পানি অথবা কোম্পানি এর কর্তৃপক্ষ বৃন্দ কেনই বা ডিজিটাল মার্কেটিং তার কোম্পানির প্রচার অথবা বিক্রির জন্য ব্যবহার করবেন। অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা কি সুলভ মূল্যে কোনরকম পরিশ্রম ছাড়াই যেমন কোম্পানি তার প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারছেন ঠিক তেমনি ক্রেতাগণও কোনরকম ঝামেলা 

ছাড়াই ঘরে বসে তার প্রোডাক্ট কিনতে পারছেন এক্ষেত্রে ক্রেতা এবং বিক্রেতার উভয়ই সাশ্রয়ী ভাবে কেনা বেচা করতে পারছে। নিচে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধাগুলো দেয়া হলো।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি অবলম্বনে মাধ্যমে ক্রেতা এবং বিক্রেতার উভয়েরই অর্থ সঞ্চয় হচ্ছে
  • গ্লোবাল মার্কেটপ্লেসে পৌঁছানোর জন্য।
  • খুব সহজেই মার্কেটিং করার লক্ষ্যে কাস্টমারদের প্রতিক্রিয়া ট্র্যাক করা সম্ভব হয়।
  • যোগাযোগ ক্ষেত্রে অতি সহজ যার ফলে কাস্টমাররা খুবই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন অনলাইন মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে।
  • নির্দিষ্ট গ্রাহকরা যা খুঁজছেন এটা খুব সহজেই হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছেন।
  • প্রচলিত মার্কেটিং এর চেয়ে খরচ প্রদান করে থাকে।
  • ভবিষ্যতের সম্ভাব্য গ্রাহক গুলো সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যায় এবং তাদের তালিকা তৈরি করা সম্ভব হয়।
  • কোম্পানির মালিকপক্ষের তাদের কে তাদের সম্পর্কে আরও জানার সুযোগ হয়।
  • গ্রাহককে ব্যক্তিগতভাবে উক্ত কোম্পানির প্রোডাক্ট নির্ভর করে তোলা অথবা ব্র্যান্ডের আনুগত্য তৈরি করতে ব্যাপক সহায়তা করে।
আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর সমূহের দ্বারা উক্ত বিষয়গুলো পরিচালিত হওয়ার মাধ্যম দিয়েই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা গুলো ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে প্রতিফলন ঘটিয়ে থাকে। তাই একজন উদ্যোক্তা অবশ্যই তার প্রোডাক্ট এর চাহিদার কথা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধাসমূহ গ্রহণ করবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং মাসিক আয় কত

যারা ডিজিটাল মার্কেটিং করতে ইচ্ছুক অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে প্রশ্ন করে থাকেন পাশাপাশি আরেকটি বিষয় তাদের প্রশ্ন হিসেবে থেকে যায় সেটি হল ডিজিটাল মার্কেটিং মাসিক আয় কত। সঠিকভাবে কোন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় কত সেটি বলা সম্ভব নয়। কেননা ফ্রিল্যান্সারদের মাসিক আয় অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটারদের মাসিক আয় কত হবে সেটি নির্ভর করবে তার কাজের অর্ডারের ওপর। কিন্তু তাকে কাজ পেতে হলে অবশ্যই সর্বপ্রথম নির্দিষ্ট অর্জন করতে হবে। 
নতুন অবস্থায় একজন ডিজিটাল মার্কেট আর ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারে। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে নিজেকে আপডেট করার মাধ্যমে অবশ্যই সেই পরিমাণ বৃদ্ধি পায় পরবর্তীতে একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডিজিটাল মার্কেটার মাসে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে কত দিন লাগে

ডিজিটাল মার্কেটিং শুধু নয় সকল ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় বলার অপেক্ষা রাখেনা। ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে কত দিন লাগে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি বলা উচিত সেটি হল দেশে গড়ে ওঠা আইটি সেন্টারগুলো ছেলে-মেয়েদের ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। মূলত সে আইটি সেন্টার গুলো তিন মাস ব্যাপি ট্রেনিং কার্য সম্পাদন করে থাকে। কিন্তু তিন মাস পর একজন ফ্রিল্যান্সার কখনোই তার ইনকাম শুরু করতে পারে না। কোর্স গ্রহণ করার পর অবশ্যই তাকে উক্ত বিষয়ের উপর সর্বনিম্ন এক বছর সময় দিতে হবে 

এবং সে যদি ফ্রিল্যান্সিং এর ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টি নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাই তাহলে তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি বিষয়ে সব সময় নিজেকে আপডেট রাখতে হবে। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কোন কাজগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি সে সম্পর্কে আমরা উপরে আলোচনা করেছি। সুতরাং বলা বাহুল্য যে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে কত দিন লাগে এই বিষয়টিতে বলাই যায় তিন মাসে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্স করা সম্ভব। কিন্তু একজন পরিপূর্ণ এক্সপার্ট হওয়ার জন্য উক্ত বিষয়ে অবশ্যই এক বছর সময় দিতে হবে।

শেষ কথা

পাঠক বৃন্দ আমরা আজকে ফ্রিল্যান্সিং এর ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আলোচনা করলাম এবং জানতে পারলাম যে একজন ফ্রিল্যান্সার যদি তার ক্যারিয়ার এর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টি পছন্দ করে তাহলে কিভাবে সে এই বিষয়ে পারদর্শী হতে পারবে এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে সেই কাজগুলোর মাধ্যমে মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেট প্লেসের বাইরে বিভিন্ন রকম টাস্ক কমপ্লিট করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবে। 

আশা করি একজন নতুন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের তথ্যগুলো অনেকেরই কাজে আসবে। সুতরাং আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ যারা শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়েছেন। ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আপনার যদি কোন কিছু জানার প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে সেটি জানাতে পারেন অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সংক্রান্ত বিষয় এবং ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করতে হয় এই বিষয় সংক্রান্ত আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে সব সময় পেয়ে যাবেন। 

তাই আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন পাশাপাশি আপনার বন্ধুদের ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর লক্ষ্যে আজকের এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url