ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা জানুন

ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা এবং ডায়াবেটিস রোগীর খাবার চার্ট সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে জানা উচিত। যারা কিনা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত ডায়াবেটিস কে আমরা অনেকেই বংশগত রোগ মনে করে থাকি। কিন্তু পূর্বে কারো বংশে ডায়াবেটিস রোগ না থেকেও পরবর্তীতে এসে নতুন করে ডায়াবেটিস রোগ দেখা দিচ্ছে। তাই ডায়াবেটিস কে সম্পূর্ণ বংশগত রোগ বলার কোন সুযোগ নেই। 
ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা
তবে ডাক্তারদের মতে বংশে যদি কারো ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে তার ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। ডায়াবেটিস রোগীর চিকিৎসা করার পাশাপাশি তাকে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। তাই আজকে আমরা এই পোস্টের আরো বিস্তারিত জানবো যে সকল বিষয় তা হল, দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়, ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ফল, ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না, ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা, ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা বই, 

হার্ট ও ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা, ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সবজি, ডায়াবেটিস হলে কি কি খাবার খেতে হবে, ডায়াবেটিস রোগীরা কি টক দই খেতে পারবে ও নিম পাতা খেলে কি ব্লাড সুগার কমে এবং খালি পেটে কত পয়েন্ট হলে ডায়াবেটিস হয়এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই প্রিয় পাঠক আপনি যদি ডায়াবেটিকস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা বিষয়ে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

ডায়াবেটিস কে সাধারণত “বহুমূত্র রোগ” বলা হয়ে থাকে। তবে ডায়াবেটিস “মেলাইটাস” নামেও পরিচিত। ডায়াবেটিস রোগ সাধারণত একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দীর্ঘ সময় ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলে শরীরে অগ্নাশয় যথেষ্ট পরিমাণ ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না অথবা উৎপাদন করলেও সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে না। যার ফলে অভ্যন্তরীণ পরিপাকতন্ত্রের ক্রিয়াগুলো ব্যাহত হয়। পাশাপাশি রোগী ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং সেটি পরবর্তীতে ডায়াবেটিস রোগের রূপ ধারণ করে। 

ডায়াবেটিস রোগী যদি ঠিকমতো চিকিৎসা না করায় পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা গুলো অনুসরণ না করে। অর্থাৎ কোন খাবার গুলো ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে খাওয়া নিষেধ সেগুলো না মেনে চলে তাহলে অবশ্যই আর শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি পাবে। এমন কি মৃত্যুও ঘটতে পারে। তাই আমাদের সকলেরই ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে।

ডায়াবেটিস এর প্রকারভেদ

ডায়াবেটিস সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা টাইপ ১ ডায়াবেটিস এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস।

টাইপ ১ ডায়াবেটিস

টাইপ ১ ডায়াবেটিস মানব শরীরের একটি অঙ্গ যার নাম অগ্নাশয়। সেই অগ্নাশয় এর বিটাকোষ নষ্ট করে দেয়। যার ফলে পরিমাণ মতো ইনসুলিন উৎপাদন হয় না। টাইপ ১ ডায়াবেটিস কে পূর্বে ইনসুলিন নির্ভরশীল। ডায়াবেটিস বা মেলিটাস নামে ডাকা হতো বিটা কোষ বিনষ্ট হওয়ার কারণ হলো অটোমাইডিন বিক্রিয়া। তবে বিটাকোষ ধ্বংসের হার বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। এটি সাধারণত বয়সের প্রেক্ষিতে হয়ে থাকে। শিশু ও তরুণদের মধ্যে এই হার সবচেয়ে বেশি টাইপ ১ ডায়াবেটিস। এর চিকিৎসার জন্য ইনসুলিনের ব্যবহার আবশ্যক। 

মান শরীরের শিরাতে প্রতিদিন ইনসুলিন ইনজেকশনের মাধ্যমে পুশ করে ইনসুলিনের ঘাটতি পূরণ করা হয়। যার কারণে পরিপাকতন্ত্রের ক্রিয়াগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে থাকে এবং ডায়াবেটিস রোগী সুস্থ সবল ভাবে চলাফেরা করতে পারে।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস

টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর চিকিৎসা ও প্রতিরোধের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, সুশৃঙ্খল জীবন, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম। ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা এবং ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে যদি সঠিক ধারণা থাকে তাহলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কারণ এই ডায়াবেটিসে ইনসুলিন শরীরের পুশ করার প্রয়োজন হয় না। সঠিক ডায়েট চার্ট ফলো করলেই টাইপ ২ ডায়াবেটিস পুরোপুরি ভালো হয় না। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগী স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ

আমরা ঠিক তখনই চিকিৎসা নিতে শুরু করতে পারব যখন ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারব। কিন্তু আসলে আমরা যদি ডায়াবেটিস রোগ হয়েছে কিনা বা ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ সম্পর্কে না জানি তাহলে আমরা বুঝতে পারবো না যে আমাদের ডায়াবেটিস রোগ হয়েছে। তাই অবশ্যই লক্ষণগুলো আমাদের জানা উচিত। নিচে ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণগুলো দেওয়া হলো।
  • ডায়াবেটিস রোগীর প্রধান লক্ষণ হল ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।
  • অতিরিক্ত তৃষ্ণার্ত থাকা এবং সঙ্গে ক্ষুধা বৃদ্ধি হতে পারে।
  • শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে ও অমনোযোগী হয়ে যাওয়া।
  • দ্রুত ওজন হ্রাস পায়।
  • কেটে যাওয়া স্থান দেরিতে শুকায় বা ঘা হয়ে যায়।
  • চোখের লেন্স ও রেটিনা অতি আশ্রবিক তরলের সংস্পর্শে আসায় দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়।
  • শরীরের ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় ফোসকার মত উঠতে পারে।
  • ডায়াবেটিস আক্রান্ত মহিলাদের প্রথম দিকে ক্যানডিডা সংক্রমণ বেশি হয়।
তবে মনে রাখতে হবে যে, টাইপ ১ ডায়াবেটিস ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এরমধ্যে টাইপ ১ ডায়াবেটিসটির লক্ষণগুলো দ্রুত প্রকাশ পায়। কিন্তু টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে লক্ষণ গুলো দেরিতে প্রকাশ পায়। কারণ টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে মানবদেহে ইনসুলিন তৈরি হয়। কিন্তু সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না তাই রোগী হালকা দুর্বল অনুভব করলেও খুব একটা বুঝতে পারেন না। তাই এই ডায়াবেটিসটি খুব দেরিতে প্রকাশ পায়। টাইপ ২ ডায়াবেটিস টি ডায়াবেটিস রোগী খাবার তালিকা এবং ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে জেনে বুঝে অনুসরণ করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

খালি পেটে কত পয়েন্ট হলে ডায়াবেটিস হয়

এখন আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে খালি পেটে কত পয়েন্ট হলে ডায়াবেটিস হয়। আমরা যদি উপরে বর্ণিত ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণগুলো বুঝতে পারি তাহলে আমরা নিকটস্থ ক্লিনিক অথবা ফার্মেসির দোকানে গিয়ে ডায়াবেটিস চেকআপ করতে পারি। খালি পেটে রক্তে সুগারের মাত্রা ৫.৫ (mmol/l) এর আশেপাশে থাকা ভালো। যদি ৫.৫ থেকে ৬.৯ পয়েন্টের মধ্যে থাকে তাহলে এই অবস্থাকে প্রি-ডায়াবেটিস বলা হয়। যদি সুগারের মাত্রা ৭ পয়েন্ট এর উপরে চলে যায় তাহলে তাকে ডায়াবেটিস বলে। সাধারণত মানুষের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ থাকে ৩.৩ থেকে ৬.৯ (mmol/l)। যদি গ্লুকোজের পরিমাণ খাবার পূর্বে ৭ (mmol/l) এবং খাবার পর যদি ১১ (mmol/l) হয় তাহলে ডায়াবেটিস আছে বলে ধরে নেওয়া হবে।

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সুষম খাবার খাওয়া খুবই জরুরী। পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা তে কি কি খাবার যুক্ত রয়েছে সেগুলো বর্জন করা। আমরা উপরে আলোচনার মাধ্যমে জেনেছি যে ডায়াবেটিস কখনো সম্পূর্ণ ভালো হয় না। অর্থাৎ কি কখনো ডায়াবেটিস থেকে চির মুক্তি লাভ করতে পারে না। টাইপ ১ ডায়াবেটিসের জন্য ইনসুলিন পুশ করার পাশাপাশি খাবার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। 
আবার টাইপ ২ ডায়াবেটিস ইনসুলিন পুশ করা না লাগলেও পরিশোধিত শর্করা ও কার্বোহাইডেট খাবার খেতে সচেতন থাকতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে প্রধান যে কাজ সেটি হল ওজন নিয়ন্ত্রণ করা। যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ হয় তাহলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আর ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য অবশ্যই শরীরচর্চা ছাড়া উপায় নেই। সবসময় মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। মানসিক চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে যোগ ব্যায়াম সহ পছন্দের শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। 

যেহেতু ডায়াবেটিস রোগীর অভ্যন্তরীণ শারীরিক ক্রিয়া ব্যাহত হয় তাই ডায়াবেটিস রোগী সবসময় দুর্বলতা অনুভব করেন। আর সেজন্য রোগীকে অবশ্যই নিয়ম মাফিক বিশ্রাম গ্রহণ করতে হবে। উক্ত কাজগুলো করার পাশাপাশি অবশ্যই ডায়াবেটিস রোগীকে খাদ্য গ্রহণে সচেতন হতে হবে। কোন কোন খাবারগুলো ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে বর্জন করা আবশ্যক সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। আসুন নিচে ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা জানার সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা বিষয়ে জানাটা বেশি জরুরী। কারণ একমাত্র খাবার গ্রহণের মাধ্যমেই ডায়াবেটিস রোগী বেশি আক্রান্ত হয়ে পড়েন। যদি কেউ কার্বোহাইডেট বেশি গ্রহণ করে ফেলে তাহলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীর জন্য শরীরের অভ্যন্তরের তৈরিকৃত ইনসুলিন ভালোভাবে কাজ করতে পারে না। এমনকি খাবার হজমে ভূমিকা পালন করতে পারে না। যার ফলে ডায়াবেটিস রোগী দুর্বল হয়ে পড়েন। তাই আসুন ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা গুলো পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

চর্বি জাতীয় খাবার

চর্বি জাতীয় খাবার ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খাওয়া কোনভাবেই উচিত নয়। বিশেষ করে গরুর মাংসে প্রচুর পরিমাণে চর্বি থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে গরুর মাংস এড়িয়ে চলা উচিত। আবার একদম চর্বি বর্জন করা যাবে না কারণ চর্বিতে ভিটামিন ই এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। আর ভিটামিন ই খাবার হজমে সাহায্য করে। অল্প পরিমাণে চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে যেমন হয়তো সপ্তাহে এক টুকরো গরুর মাংস।

চিনি জাতীয় খাবার

আমরা প্রথমে জেনেছি যে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেশি হলেই সেটিকে ডায়াবেটিস হিসেবে ধরা হয়। আর চিনি জাতীয় খাবার গ্রহণের মাধ্যমে অবশ্যই রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং ডায়াবেটিস রোগীর অগ্নাশয় হতে প্রেরিত ইনসুলিন ঠিকমত কাজ করতে পারবেনা। যার ফলে খাবার হজম হবে না বা অভ্যন্তরীণ শারীরিক ক্রিয়াগুলো ত্বরান্বিত হবে। তাছাড়া চিনি জাতীয় খাবার কার্বোহাইড্রেট প্রদান করে থাকে। আর আমরা জেনেছি যে কার্বোহাইড্রেট ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই মারাত্মক।

লবণ

আমরা অনেকেই জানিনা যে ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকাতে লবনও রয়েছে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগী যদি ভাতের সাথে কাঁচা লবণ খায় তাহলে তার জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য রান্না কৃত শাকসবজিতে কম পরিমাণে লবণ দিতে হবে।

রেড মিট

আমরা একটু আগেই জেনেছি যে চর্বি জাতীয় খাবার ডায়াবেটিস রোগীর জন্য নিষিদ্ধ। আর রেডমিট অর্থাৎ গরু ছাগলের মাংসে প্রচুর পরিমাণে চর্বি রয়েছে। যেহেতু অতিরিক্ত চর্বি ডায়াবেটিস রোগীর বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে তাই চর্বি জাতীয় খাবার অর্থাৎ রেডমিট পরিহার করতে হবে।

ময়দার তৈরি খাবার

ময়দার তৈরি কৃত খাবার বর্জন করতে হবে। তার বদলে ডায়াবেটিস রোগী খাবার তালিকা তে আটা দিয়ে তৈরি রুটি রাখা উচিত। আবার ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন একবার হলেও হালকা করে ভাত খেতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ভাতের পরিমাণ বেশি না হয়ে যায়।

চা এবং কফি

ডাক্তারদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা তে চা এবং কফি নেই। তবে চা এবং কফি চিনি ছাড়া খেতে হবে। যদি চা এবং কফিতে ডায়াবেটিস রোগী চিনি খায় তাহলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। তবে প্রতিদিন এক থেকে দুই কাপের বেশি চা এবং কফি খাওয়া যাবে না।

দুগ্ধ জাতীয় খাবার

দুধের তৈরি খাবারগুলো যেমন মিষ্টি, জিলাপি, চমচম এগুলো ডায়াবেটিস রোগীর খাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। কারণ উক্ত খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিনি ব্যবহার করা হয়। আর ডায়াবেটিস রোগীর জন্য চিনি একবারে খাওয়া নিষেধ। তবে ডায়াবেটিস রোগীকে সপ্তাহে একদিন দুগ্ধ জাতীয় খাবার বা মিষ্টি খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে সেটি খুব অল্প পরিমাণে খেতে হবে।

অ্যালকোহল কিংবা এনার্জি ড্রিঙ্ক

অ্যালকোহল অর্থাৎ মদ্যপান ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সম্পূর্ণ নিষেধ। পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীর ধূমপান করাও যাবে না। বাজারে বিক্রিত এনার্জি ড্রিংকে প্রচুর পরিমাণে কৃত্রিম চিনির উপস্থিতি পাওয়া যায়। আর আমরা আগেই বলেছি গ্লুকোজের মাত্রা রক্তে বেশি হয়ে গেলে ডায়াবেটিস রোগী অসুস্থ হয়ে পড়বে আর সেজন্য এনার্জি ড্রিংক ও বর্জন করে চলতে হবে।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

আমরা যেহেতু ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে অবগত হলাম এবং উক্ত খাবারগুলো অবশ্যই ডায়াবেটিস রোগীর বর্জন করে চলতে হবে। আর তাহলে একজন ডায়াবেটিস রোগী সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে। নিষিদ্ধ খাবার গুলো জানার পাশাপাশি আসুন এবার জেনে নেই ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে অর্থাৎ কোন খাবার গুলো আসলে ডায়াবেটিস রোগীর খাওয়ার জন্য উপযুক্ত। নিচে ডায়াবেটিস রোগীর খাবারগুলো সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো।

পরিপূর্ণ সেদ্ধ করা শাকসবজি

আমরা অনেকে মনে করে থাকি যে ডায়াবেটিস রোগী পেট ভরে খেতে পারবে না আসলে ধারণাটি ভুল।তবে আপনি কি খাচ্ছেন সে বিষয়টি আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন শর্করা জাতীয় খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এতে কার্বোহাইড্রেট এর মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। শর্করা জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে আলু। তাই আলুর পরিবর্তে টমেটো, শসা, বেগুন, মাশরুম এগুলো সবজি হিসেবে খাওয়া যাবে। সবজিগুলো যেগুলো কাঁচা খাওয়া যায় সেগুলো কাঁচা খেতে হবে। আর যেগুলো সেদ্ধ করে খেতে হবে সেগুলো অবশ্যই সম্পূর্ণ সেদ্ধ করে খাওয়া উচিত। 
যেমন বেগুন পুড়িয়ে ভর্তা করে খাওয়া যায়। মাশরুমের সবজি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই ভালো একটি খাবার। তবে সব খাবারগুলোতে রান্না করার সময় অবশ্যই তেল খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে। কারণ তেল অথবা চর্বি জাতীয় খাবার ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা এর অন্তর্ভুক্ত।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা তে অবশ্যই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো রাখতে হবে। যে খাবার গুলোতে ফাইবার রয়েছে সেগুলো খুব ভালোভাবে হজম হয়। আর ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে হজম হওয়ার বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকাতে বিভিন্ন রকমের মৌসুমী ফল রাখতে হবে। যেমন বাঙ্গি, তরমুজ, আম, জাম, কাঁঠাল এগুলো। এছাড়াও বাদাম মটর ডানা বা শিং জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। ভুট্টাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পরিলক্ষিত হয় তাই ডায়াবেটিস রোগীর খাবারে ভুট্টা রাখা উচিত।

চিনি ছাড়া চা

আমরা পূর্বেই বলেছি ডায়াবেটিস রোগী চা এবং কফি খেতে পারবে। তবে সেটি দিনে এক থেকে দুই কাপের বেশি নয়। এবং অবশ্যই চা অথবা কফিতে চিনি খাওয়া যাবে না। কারণ ডায়াবেটিস রোগীর চিনি জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ।

অল্প পরিমাণে চর্বি জাতীয় খাবার

আমরা ইতিপূর্বেই বলেছি যে ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে একেবারে চর্বি জাতীয় খাবার বর্জন করা যাবে না। কারণ চর্বিতে ভিটামিন ই এর উপস্থিতি পাওয়া যায় যেটা হজমে সাহায্য করে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে অধিক পরিমাণে চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। তাই সপ্তাহে ১-২ বার এক থেকে দুই পিস গরুর মাংস অথবা ছাগলের মাংস খেতে পারবে।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা তে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখা যাবে। তবে প্রোটিনের উৎস খুঁজতে শুধু গরুর মাংস এর উপর ভরসা রাখার দরকার নেই। কারণ মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায় এবং সেটি চর্বি মুক্ত খাবার। এছাড়া প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় কবুতরের মাংস রয়েছে। এমনকি ডায়াবেটিস রোগীরা বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীরা চিনি ছাড়া শরবত খেতে পারবে। বিশেষ করে বিট রুট এর জুস লেবুর শরবত খাওয়া যাবে। তবে খেয়াল রাখা উচিত যেন শরবতে চিনি মেশানো না থাকে।

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার চার্ট

পাঠকগণ আমরা এতক্ষণ ধরে ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা, ডায়াবেটিস রোগীর লক্ষণ পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে অবগত হলাম। আশা করি আপনাদের কে ডায়াবেটিস রোগীর খাবার সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দিতে পেরেছি। আপনাদের সুবিধার্থে নিচে ডায়াবেটিস রোগীর খাবার চার্ট টেবিল আকারে দেয়া হল।

সকালের খাবার

দুপুরের খাবার

বিকালের হালকা নাস্তা

রাতের খাবার 

সকালে ঘুম থেকে উঠে এক চামচ মেথি গুড়া সাথে পানি মিশিয়ে খেতে হবে। 


১ থেকে ২ টা আটার রুটি অথবা রুটির পরিবর্তে এক বাটি ভাত খেতে হবে।

চিনি ছাড়া এক কাপ চা এবং সাথে চিনিমুক্ত বিস্কুট।

এক থেকে দুইটি আটার রুটি খেতে হবে রাতে ভাত খাওয়া নিষেধ।

চিনি ছাড়া এক কাপ চা সাথে ডাইসল্ট বিস্কুট। 


ভাতের সঙ্গে এক বাটি ডাল অথবা পরিমাণ মত সবজি নিতে হবে।

এক কাপ স্যুপ ভেজিটেবল স্যুপ হলে বেশি ভালো হয়।

রুটি সঙ্গে পরিমাণ মতো সবজি এবং ডাল।

একটি আটার রুটির সাথে ক্রিম মুক্ত চিনি ছাড়া দুধ খেতে পারবে

সিজনাল একটি ফল খাবার তালিকাতে রাখা উচিত।

যে কোন রকম সালাদ সেটা হতে পারে শসা, খিরা, মূলা ইত্যাদি।

ফল অথবা ফলের রস তবে অবশ্যই ফলের রস চিনিমুক্ত হতে হবে।

রাতে শোয়ার পূর্বে চিনি ছাড়া এক কাপ কুসুম গরম দুধ।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

আমরা উপরে ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা তে সবজিকে অবশ্যই প্রাধান্য দিয়েছি। কারণ শাক-সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কিনা ডায়াবেটিস রোগীর হজমে অনেক সাহায্য করে। তবে ডাক্তারদের মতে, অনেক সবজি রয়েছে যেগুলো অধিক হারে শর্করা অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেট উৎপাদন করে। যেহেতু ডায়াবেটিস রোগীর কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার গুলো পরিহার করা উচিত। তাই উক্ত সবজিগুলো ও পরিহার করে চলতে হবে। সাধারণত মাটির নিচের সবজিগুলোতে বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। 

যেমন আলু কিংবা মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা পাওয়া যায়। তাই ডায়াবেটিস রোগীর মিষ্টি আলু কিংবা আলু কম খাওয়া ভালো। এছাড়া ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না এ তালিকা তে রয়েছে ভুট্টা, মিষ্টি কর্ন, বাটার স্ক্যোয়াশ ইত্যাদি। এই সবজিগুলো ডায়াবেটিস রোগীর পরিহার করে চলাই ভালো।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সবজি

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সবজি এর গুরুত্ব অপরিহার্য। আমরা প্রথমে সে বিষয়টি আলোচনা করে ফেলেছি যেহেতু শাকসবজি খাওয়া সকলের জন্যই উপকার। তাই ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রেও খাদ্য তালিকাতে অবশ্যই সবজি রাখতে হবে। আমরা উপরে বর্ণনা করেছি যে মাটির নিচের কোন সবজিগুলো ডায়াবেটিস রোগীর খাওয়া নিষেধ অথবা খেলেও খুব কম পরিমাণে খেতে হবে। তবে মাটির নিচের আরও যেগুলো সবজি যেমন পেঁয়াজ, রসুন, আদা, শালগম, মুলা, এগুলো সবজি নিশ্চিন্তে একজন ডায়াবেটিস রোগী খেতে পারবে। 
এছাড়াও সিজনাল রঙিন সবজি গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং লাইকোপেন এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তাই একজন ডায়াবেটিস রোগীর হার্ট, ত্বক এবং চোখ ভালো রাখার জন্য অবশ্যই লেটুস পাতা, পালং শাক, বাঁধাকপি, মটর শুটি ইত্যাদি সবজিগুলো খাওয়া উচিত। আর উক্ত সবজি গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। ম্যাগনেসিয়াম সাধারণত ইনসুলিন এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ফল

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ফল এর গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা যেকোনো রোগী অথবা সুস্থ মানুষের জন্য ফল খাওয়া খুবই উপকারী। বিশেষ করে সিজোনাল রঙিন ফল গুলো অবশ্যই সবার খাওয়া উচিত। একজন ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন তার খাবার তালিকাতে এক ফালি বাঙ্গি অথবা জাম্বুরা রাখতে পারেন। এছাড়াও আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, খেজুর, আলু বোখরা, আপেল, কমলা, আঙ্গুর, বেদানা, তরমুজ এই সব ফলগুলোই খেতে পারবে। আবার অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন ডায়াবেটিস রোগীরা কি টক দই খেতে পারবে। 

একজন ডায়াবেটিস রোগী বাঙ্গির সাথে অথবা জাম্বুরার সাথে একটু টক দই মিশিয়ে অথবা সরাসরি একটু খেতে পারবেন। এতে কোন সমস্যা নেই তবে খেয়াল রাখতে হবে খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া না হয়।

নিম পাতা খেলে কি ব্লাড সুগার কমে

আমাদের সকলের মধ্যেই একটি প্রশ্ন বারবার চলে আসে সেটি হল নিম পাতা খেলে কি ব্লাড সুগার কমে। আমরা সকলেই কমবেশি জানি যে নিম পাতার গুরুত্বটা কতখানি। ঠিক তেমনি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ও নিমপাতা অনেক উপকারী। নিমের পাতা রক্তের সুগার লেভেল কমাতে ব্যাপক সাহায্য করে। এছাড়াও নিম পাতা রক্ত সংবহন উন্নত করে সাথে রক্তনালিকের প্রসারিত করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে প্রতিদিন নিমপাতার রস খাওয়া উচিত। সবসময় কচি নিমপাতা পাওয়া যায় না। 

তাই সিজনে নিম পাতাগুলো রৌদ্রে শুকিয়ে পাউডার করে বৈয়মে সংরক্ষণ করে রেখে দিতে হবে। প্রতিদিন সকালে উঠে এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ নিমপাতার পাউডার মিশিয়ে খালি পেটে খেয়ে নিতে হবে। আর যদি কোচি নিমপাতা পাওয়া যায় তাহলে দশটি কচি নিম পাতা বেটে সেটির রস করে খেতে হবে।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা বই

পাঠকগণ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা এবং পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা গুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তারপরেও কোন ব্যক্তি যদি সবসময়ই ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা গুলোর বিষয়টি কাছে রাখতে চান তাহলে তিনি একটি ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা বই ক্রয় করতে পারেন। আর এই বইটি ক্রয় করার জন্য আপনি বাজারের যে কোন লাইব্রেরীতে খোঁজ করলেই পেয়ে যাবেন। আমরা যে তথ্যগুলো এই আর্টিকেলে দিয়েছি উক্ত বইয়ের সাথে আপনি সবকিছুই আশা করি মিল পেয়ে যাবেন।

লেখক এর শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা এই আর্টিকেলের একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আশা করি এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদেরকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে একজন ডায়াবেটিস রোগীর কি কি সমস্যা হয়, ডায়াবেটিস রোগীর লক্ষণ, ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা এবং ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা বিষয়গুলো সঠিকভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আপনাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আমরা উক্ত তথ্যগুলো এবং ডায়াবেটিস রোগীর নিয়ম-কানুন সংক্রান্ত বিষয়গুলো বিভিন্ন চিকিৎসা বিষয়ক অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করেছি। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

ডায়াবেটিস রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয় না এটি সব সময় নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়। তাই একজন ডায়াবেটিস রোগীর সব সময় সচেতন থাকা জরুরী। ডায়াবেটিস রোগ বিষয়ে আপনার যদি আরো কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদের এই পোষ্টের মন্তব্য বক্সে আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি পেশ করুন। পাশাপাশি অন্য আরেকজন ভাই অথবা বোন যিনি কিনা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত তার উপকারের জন্য পোস্টটি শেয়ার করুন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকম মূল্যবান তথ্য দিয়ে আর্টিকেল পোস্ট করে থাকি। তাই গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন পরিশেষে সকলের সুস্থতাই আমাদের কাম্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url