ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল বা বিটকয়েন কি হালাল জানুন

ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল এই বিষয়টি আমাদের মাথায় ঠিক তখনই ঘুরপাক খেতে থাকে যখন আমরা শুনি আমাদের পরিচিতজনরা অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কথোপকথন শুনে থাকি। কিন্তু এই ব্যবসাটি হালাল নাকি হারাম সেই বিষয়েও আমরা কনফিউজড। তাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ক্রিপটোকারেন্সি সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো জানবো এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল নাকি হারাম সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা 
ক্রিপ্টোকারেন্সি-ব্যবসা-কি-হালাল
নিব। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য। আলোচ্য বিষয়টি জানার পাশাপাশি আমরা আরও যেগুলো বিষয় জানতে পারবো সেগুলো হলো বিটকয়েন হালাল নাকি হারাম, ক্রিপ্টো কারেন্সি এর প্রকারভেদ এবং কোন দেশ সর্বপ্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সিকে স্বীকৃতি প্রদান করেছিল এ সকল বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। সেজন্য প্রিয় পাঠক আপনি যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

“ক্রিপ্টোকারেন্সি” হল বাইনারি উপত্যের একটি সংকলন যা বিনিময়ের উৎস হিসেবে কাজ করে থাকে। “ক্রিপ্টোকারেন্সি” কে “গুপ্ত মুদ্রা” ও বলা হয়। তবে এর অস্তিত্ব শুধুমাত্র ইন্টারনেটে ই বিদ্যমান থাকে যা লেনদেনের জন্য অনলাইন মাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ২০১৭ সাল থেকে এটি একটি উচ্চমান বাজারে পরিণত হয়েছে। একজন আরেকজনের সাথে যদি এই অনলাইন মুদ্রা বিনিময় করে তাহলে অন্য কোন পক্ষ সেটি জানতে পারেনা। যেহেতু গোপনীয়তার সঙ্গে এটির লেনদেন সম্ভব তাই এটাকে গুপ্ত মুদ্রা নাম দেওয়া হয়েছে। 

আমাদের মধ্যে অনেকেই ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসাতে বিনিয়োগ করার ইচ্ছা পোষণ করে। কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল এ বিষয়টি আমাদের মাঝে সুস্পষ্ট নয়। তাই আমরা অনেকেই এই ব্যবসা থেকে পিছিয়ে পড়ি। আবার ক্রিপ্টোকারেন্সি মানের উপর কোন দেশের হস্তক্ষেপ বা সেটি থেকে ওই দেশের সরকার কোন রকম লভ্যাংশ পায় না। তাই এই ডিজিটাল মুদ্রার উপর অনেক দেশের সরকারের নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে। সেটিও একটি আমাদের বাধা হিসেবে কাজ করে। 

উদাহরণস্বরূপ আমরা যখন ব্যাংকের মাধ্যমে বা যেকোনো উপায়ে টাকা লেনদেন করি সে ক্ষেত্রে উক্ত মাধ্যমকে আমাদের কিছু টাকা দিতে হয়। আবার সেখান থেকে সরকারি কোষাগারে ট্যাক্স চলে যায়। কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সি এর ক্ষেত্রে সরকার কোন রকম ট্যাক্স পায় না। কারণ উক্ত লেনদেন অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে খুবই গোপনীয়তার সাথে সম্পন্ন হয়ে থাকে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি এর ইতিহাস

আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয়টি হচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল। আসলে একটি বিষয় জানার জন্য আমাদের সর্বপ্রথম ওই বিষয়ের আদ্যপ্রান্ত এবং প্রকৃতপক্ষে ওই বিষয়টি আসলে কিসের ভিত্তিতে চলমান রয়েছে সেটি জানা উচিত। ১৯৮৩ সালে মার্কিন নাগরিক “ডেভিড চৌম” একটি পদ্ধতি এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করার উপায় খুঁজে বের করেন এবং সেটি নিয়ে কাজ শুরু করে দেন। সেই সময় তিনি একটি নাম দিয়েছিলেন “ই-ক্যাশ” পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে ডিজি ক্যাশের মাধ্যমে একটি গুপ্ত লৈখিক ইলেকট্রনীয় মূল্য পরিশোধ ব্যবস্থার প্রাথমিক রূপ বাস্তবায়ন করেন। 
এবং সফটওয়্যারের মাধ্যমে গুপ্তায়িত চাবি গুলি প্রবেশের পর প্রাপক এবং প্রেরণকারী অর্থ লেনদেন করতে পারেন। তবে সেটি কোন দেশের মুদ্রার মত নয়। এটি একটি সম্পূর্ণ অস্তিত্বহীন পয়েন্ট মাত্র। এরপর সময়ের পরিবর্তনের সাথে “সাতোশি নাকোমাতো” সফলভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থা বিহীন ডিজিটাল নগদ অর্থ মূল্যে পরিশোধ করার ব্যবস্থা চালু করেন। যা পরবর্তীতে “বিটকয়েন” নামে পরিচিতি লাভ করে। আমরা আমাদের পরবর্তী আর্টিকেলে “বিটকয়েন” সম্পর্কে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব। “বিটকয়েন” সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ভিজিট করবেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল

ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল এই বিষয়টি হয়তো আপনাদের মাথায় এখনো ঘুরপাক খাচ্ছে। ইসলামী মতে, ব্যবসা কে একটি সবচেয়ে হালাল পন্থা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু মূল বিষয় হলো আপনি কোন পথে ব্যবসাটি পরিচালনা করছেন। যদি ব্যবসাটি অবৈধ হয়ে থাকে তাহলে ইসলাম কখনোই সেটিকে সমর্থন করেনা। মুসলিম ওলামাগণ ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসাটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তর্ক-বিতর্ক করে আসছেন। অনেক আলেমদের মতে, এটি একটি হালাল ব্যবসা। কারণ এখানে কোন সুদের কারবার নেই। আবার অনেকে মনে করে থাকেন যে এটি জুয়ার সমতুল্য এবং অবশ্যই একটি হারাম 

পন্থা। কেননা ইসলামে জুয়া এবং সুদ দুটোই হারাম বলে অভিহিত করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে অনেকেই টাকা ইনকাম করছে কিন্তু ক্রিপ্টো কারেন্সি তে ইনভেস্ট করার ক্ষেত্রে অনেকটাই দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে ভুগতে হচ্ছে। কেননা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল নাকি হারাম সে বিষয়ে বিভিন্ন রকম ফতোয়া জারি করা রয়েছে। অনেকের মতে, এই ব্যবসাটি হালাল আবার অনেকে দাবী করে থাকেন যে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা হালাল না হারাম ও না। যেহেতু এই ব্যবসাতে কোন পরিশ্রম বিনয় করতে হয় না। শুধুমাত্র টাকা ইনভেস্ট করার মাধ্যমে লভ্যাংশ গ্রহণ করা সম্ভব। 

ইসলামের রীতি অনুযায়ী কোন পরিশ্রম না করে শুধু শুধু যদি সেই টাকা থেকে লভ্যাংশ খাওয়া হয় সেক্ষেত্রে বিষয়টি হারামের দিকেই উপনীত হয়। যেহেতু ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসাতে কোনরকম শ্রম দিতে হয় না তাই অনেকে এদিকে হারাম ব্যবসার সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। আবার অনেকে এই ব্যবসাকে জুয়ার সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। ইসলামী মতে যে ব্যবসায় প্রতি মিনিটে অনিশ্চয়তার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয় সেটি মুসলিমদের জন্য নিষিদ্ধ। যেমন জুয়া বা বাজিতে প্রতি মিনিটে সে জিতবে নাকি হারবে সেটি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি যদি কোন ব্যক্তিকে টাকা ঋণ হিসেবে দিয়ে প্রতি 

সপ্তাহে বা মাসিক ভাবে একটি হিসাব অনুযায়ী সুদের টাকা গ্রহণ করা হয় তাহলে সেটি ইসলামের রীতিতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বর্তমানে ইসলামের ফতোয়া অনুযায়ী যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবস্থাপনায় শরিয়া মেনে চলার মাধ্যমে কার্যক্রমটি পরিচালনা করা হয়। পাশাপাশি জনগণ যদি এটি দ্বারা সুবিধা ভোগ করে এবং উপকৃত হয় তাহলে হয়তো মুসলমানদের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল হবে নাকি হারাম হবে সেটি স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হবে। অনেক ওলামাগণ মতবাদ পোষণ করে থাকেন যে ক্রিপটোকারেন্সি থেকে সরাসরি কোনরকম সুদ গ্রহণ করা হয় না এবং এটি প্রতি মিনিটে হারা বা 

জেতার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয় না। তা এটি কোনভাবেই জুয়া বা লটারির অন্তর্ভুক্ত নয়। কেননা আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি তে বিনিয়োগ করার পর আপনাকে অনেকদিন অপেক্ষা করতে হবে। এটি একটি দীর্ঘ প্রসেস সংবলিত একটি ব্যবসা। যদি সহজ করে বলতে হয় আপনি এক কাঠা সম্পদ কিনে রাখলেন এবং এক বছর পর সেটি লাভের অংশ সহিত বিক্রি করে দিলেন তাহলে কি এই বিষয়টি হালাল হবে নাকি হারাম হবে। ঠিক তেমনি আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি এর একটি গুপ্ত মুদ্রা কিনে রাখলেন এবং এক বছর পর বা একটি নির্দিষ্ট সময় পর সেটি বিক্রি করার মাধ্যমে কিছু লভ্যাংশ হাসিল করলেন। 

তাহলে বিষয়টি কোন ভাবেই হারাম বলে উপনীত হবে না। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল হবে নাকি হারাম হবে সে বিষয়টি নির্ভর করবে আপনি কোন ভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা করছেন। তাহলে হালাল নাকি হারাম এ বিষয়টি জানার জন্য আপনাকে জানতে হবে। ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার হয়ে থাকে এবং কত ভাবে এ ব্যবসাটি করা যায় পাশাপাশি এটাও জানতে হবে। কোন অবৈধ কাজগুলোতে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাহলে আপনি অনেকটাই স্পষ্ট ধারণা নিতে পারবেন যে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা হালাল নাকি হারাম।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার ও কি কি

আশা করি আমরা এখন জানতে পেরেছি যে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়টি আসলে কি পাশাপাশি আরও ধারণা নিতে সক্ষম হয়েছি যে উক্ত ব্যবসাটি আসলে হারাম হবে নাকি হালাল হবে। আমরা ক্রিপ্টোকারেন্সি এর কথা আসলেই সর্বপ্রথম “বিটকয়েন” এর কথা মনে করি। কিন্তু সারা বিশ্বে প্রায় হাজার খানেক এর উপরে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা এই গুপ্ত মুদ্রা চলমান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম এবং জনপ্রিয় কারেন্সিটি হচ্ছে বিটকয়েন। পাশাপাশি আরো যেগুলো রয়েছে সেগুলো হলো ইথেরিয়াম, লাইট কয়েন, রিপল, মোনেরা, ড্যাশ, বাইট কয়েন, ডোজকয়েন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। 
এ সকল কয়েনগুলো তে সকলেই বিনিয়োগ করতে পারবে। তাহলে আমরা এখন আমাদের আলোচ্য বিষয়টিতে ফিরে আসি। এই সকল সেক্টরে ইনভেস্ট করার মাধ্যমে অর্থাৎ ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল বলে উপনীত হবে কিনা আমরা প্রথমেই বলেছি যে এ সকল কিপটো কারেন্সিতে বিনিয়োগ করলে হালালের পাল্লাটাই বেশি ভারী হওয়া উচিত। তবে কিপ্টো কারেন্সি বা বিটকয়েন অনেক অবৈধ কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমরা যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সম্পর্কে জ্ঞান রাখি তারা ডার্ক ওয়েব নামে একটি ওয়েবসাইটের কথা শুনে থাকবো। 

যেখানে বিটকয়েনের বিনিময়ে বিভিন্ন রকম অবৈধ কার্যকলাপ সম্পাদন হয়ে থাকে। যেমন আপনি যদি একটি আগ্নেয়াস্ত্র অবৈধ উপায়ে কিনতে চান এবং সেটি আরেকজনের কাছে বিক্রি করে কিছু টাকা লাভ করতে চান তাহলে বিটকয়েন এর মাধ্যমে ডার্ক ওয়েব থেকে কিনতে পারবেন। পাশাপাশি ডার্ক ওয়েব মানুষের অর্গান পর্যন্ত বিটকয়েনের মাধ্যমে বিক্রি হয়ে থাকে। তাহলে এই সকল বিষয়গুলো অবশ্যই হারাম বলে উপনীত হবে।

বিটকয়েন হালাল নাকি হারাম

যেহেতু ক্রিপ্টোকারেন্সি এর ক্ষেত্রে বিটকয়েন সবচেয়ে জনপ্রিয় তাই আমাদের এটা জানা উচিত যে বিটকয়েন হালাল নাকি হারাম। আমরা উপরে আলোচনা করলাম যে বিটকয়েন এর উপর যদি বিনিয়োগ করা হয় এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর সেটি বিক্রি করা হয় তাহলে সেটি হারাম বলে উপনীত হবে না। তবে বিটকয়েন ব্যবহার করে যদি অবৈধ পথে কোন কিছু ক্রয় বিক্রয় এবং ব্যবসা করা হয়ে থাকে তাহলে সেটি অবশ্যই হারাম বলে উপনীত হবে। যখন কোন ব্যক্তি জুয়া খেলে তখন একটি গোল চাকতি ঘুরতে থাকে এবং একটি বল যখন তার টার্গেটকৃত পয়েন্টে গিয়ে পৌঁছায় তখন সে তার প্রধানকৃত 

টাকার ডাবল টাকা পেয়ে থাকেন। এই প্রক্রিয়াটি তৎক্ষণাৎ সংগঠিত হয়ে থাকে। আর ইসলাম বলে কোন পরিশ্রম ছাড়া তৎক্ষণাৎ ভাবে জেতা বা হারা এবং সেই অনুযায়ী টাকা ইনকাম করা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পাশাপাশি বিটকয়েন এ বিনিয়োগ করার পর সেখান থেকে সাপ্তাহিক বা মাসিক কোনরকম সুদ গ্রহণ করা যায় না। তাই বিশিষ্ট লোকদের মতে বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল নাকি হারাম এ বিষয়টি নিয়ে আর কোন মতভেদ থাকার অবকাশ নেই। তবে অনেক ইসলামী জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ ক্রিপ্টোকারেন্সিি বা বিটকয়েন কে হারাম বলে থাকেন। 

কেননা এই ব্যবসা থেকে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে কোনরকম পরিশ্রম করতে হয় না। সেই বিষয়টি মাথায় রাখলে বিটকয়েন হারাম বলে আখ্যা দেওয়া যায়। আবার বাংলাদেশ একটি মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে এই দেশের সরকার বিটকয়েন কে অবৈধ বলে ঘোষণা করে রেখেছে। তাই আপনি যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিটকয়েন এ বিনিয়োগ করতে চান তাহলে অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করে সঠিক সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করবেন।

বিটকয়েন সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

পাঠকগণ আপনাদের সুবিধার্থে আমরা বিটকয়েন সম্পর্কে ইসলাম কি বলে এ বিষয়টি আলাদা ভাবে আলোচনা করছি। “দ্বার আল ইফতা” এর মতে “বিটকয়েন একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার খাতিরে বিভিন্ন রকম ক্ষতিকারক বিষয় সৃষ্টি করতে পারে”। তিনি আরো বলে থাকেন বিটকয়েন জাতীয় নিরাপত্তা ও কেন্দ্রীয় আর্থিক ব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে পারেন। মিশরের গ্র্যান্ড মুফতির উপদেষ্টা বাগদী আশৌর এটা জানান যে, ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল হবে নাকি হারাম হবে। 

পূর্বে এই বিষয় নিয়ে সকলে সংখ্যার মধ্যে থাকলেও বর্তমানে বিটকয়েনে যে পরিমাণ বিনিয়োগ হয়ে থাকে তার থেকে বেশি সন্ত্রাসীরা বিটকয়েন ডার্ক ওয়েবে বিভিন্ন রকম আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় করার জন্য ব্যবহার করে থাকছে। যা একটি দেশের অর্থনীতি এবং পারিপার্শ্বিক দিক দিয়ে অনেকটাই ক্ষতিকর। অনেক ইসলামী যেসক্য এটাও বলেছেন যে বিটকয়েনের কোনরকম নিয়ম-শৃঙ্খলা নেই এবং এটি ইসলামিক চুক্তি বিনষ্ট করে। তাই অনেকাংশেই এটি হারাম বলে অভিহিত করা যায়।

ক্রিপ্টোকারেন্সি স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ

মিশর সৌদি আরব এ সকল দেশ বিটকয়েন কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর বাংলাদেশ সরকার বিটকয়েন কে এবং বিটকয়েনের লেনদেন সম্পূর্ণ অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ ছিল “এল সালভেদর”। এই দেশটি প্রথম ছিল যারা কিনা বিটকয়েন কে সরকারিভাবে একটি বৈধ মুদ্রা বা কারেন্সি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। সালভেদরের কংগ্রেসে এক ভোটাভুটিতে বিটকয়েন কে আনুষ্ঠানিক মুদ্রার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এবং পাশাপাশি ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল হবে সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে ঘোষণা দেয়া হয়। 
বিটকয়েনের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ২০১৬ সালে মার্চ মাসে ডলারের বিপরীতে একটি কয়েনের মূল্য ছিল ৪১৯ ডলার। প্রতি বছরের চার গুণ হারে বিটকয়েনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৭-২০২৮ সালে বাংলাদেশি টাকায় একটি বিটকয়েনের মূল্য ছিল ১২ লক্ষ টাকা। বর্তমানে ২০২৪ সালে এসে একটি বিটকয়েনের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮০ লক্ষ টাকা এর কাছাকাছি। অদূর ভবিষ্যতে হয়তোবা আমাদের পকেটে কোন টাকা থাকবে না। অনলাইন ট্রানজেকশন বা এই ক্রিপ্টোকারেন্সি হবে আমাদের জীবন ধারণের বা লেনদেনের প্রধান উৎস। 

তাই আমাদের আলেম-ওলামাগণদের ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়টি নিয়ে আরো ভালোভাবে গবেষণা করা উচিত। কারণ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে অবশ্যই ক্রিপ্টোকারেন্সি এর বিকল্প কোনো কিছু নেই।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে একটি হালাল এবং হারামের ব্যবসা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করলাম। আশা করি ভবিষ্যতে আপনি যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি তে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল এ বিষয়টি অবশ্যই আপনার উপকারে আসবে। তবে অবশ্যই বিনিয়োগের পূর্বে আপনি চিন্তা ভাবনা করে আপনার সঠিক সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে আপনার যদি কোন কিছু জানার থাকে তাহলে 

আমাদের মন্তব্য বক্সে সেটি জানাতে পারেন। আমরা অতিসত্বর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। অনলাইন থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এ সম্পর্কিত অনেক আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা রয়েছে তাই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল নাকি হারাম সেটি আপনার বন্ধু অথবা আত্মীয়দের জানানোর উদ্দেশ্যে এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url