চাকরির পাশাপাশি অল্প পুঁজিতে যে ধরনের ব্যবসা করা যায়

চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় এ বিষয়টি নিয়ে তারাই বেশি ভাবতে থাকেন যারা স্বল্প বেতনে কোনরকম জীবনযাপন করে আসছেন। পাশাপাশি যারা মোটামুটি ভালো বেতনে কর্মরত রয়েছেন কিন্তু একটি বাড়তি আয়ের প্রয়োজন তারাও আলোচ্য বিষয় নিয়ে ভাবনায় পড়ে যান। সেই সকল জীবন যুদ্ধে উদীয়মান যোদ্ধা ভাইদের কথা মাথায় রেখে আমরা আজকের এই আর্টিকেলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। 
চাকরির-পাশাপাশি-কি-ব্যবসা-করা-যায়
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় এ বিষয়টি জানার পাশাপাশি আরও যে বিষয়গুলো জানতে পারবেন সেগুলো হল চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এবং ঝুঁকিমুক্ত ব্যবসা সম্পর্কে, সরকারি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা, চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় এ সকল বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় বিষয়টি জানতে আগ্রহ হন তাহলে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

“ব্যবসা সেই বিষয়টিকেই বুঝিয়ে থাকে যার মাধ্যমে সামাজিক কর্মকাণ্ড নির্দিষ্ট ও উৎপাদনীয় লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন পন্থায় কিন্তু অবশ্যই বৈধভাবে সম্পদ অর্জন বা লাভের আশায় লোকজনকে একত্রিত করা হয় ও তাদের উৎপাদনীয় কর্মকাণ্ড রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে মুনাফা পাওয়া সম্ভব হয় সেটিকে “ব্যবসা” বলে অভিহিত করা হয়েছে। আইন অনুসারে ব্যবসা সেই সংগঠনকে ইঙ্গিত করেছে যা অর্থের বিনিময়ে ভোক্তা কে পণ্য বা সেবা সব সেবাগুলোই প্রদান করে থাকে। 

পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে ব্যবসায় লক্ষণীয় ভাব বিদ্যমান ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইসলামে ব্যবসাকে সর্বোৎকৃষ্ট হালাল পন্থা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তবে ইসলামের এটাও বর্ণিত আছে যে একজন ব্যক্তি যদি নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তাহলে সর্বপ্রথম তাকে সৎ হিসেবে ভোক্তাদের কাছে বিশ্বাসী হতে হবে। বর্তমান সময়ে মূল্যস্ফীতি এর কারণে অনেক ব্যক্তি চাকরি করার পাশাপাশি ব্যবসা করার চিন্তাভাবনা করেন বা অনেকেই সেটি করে যাচ্ছেন। 

তাই চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় এটি নিয়ে অনেকেই কনফিউশনের মধ্যে পড়ে যান। কারণ সারাদিন উক্ত ব্যক্তিকে চাকরির পিছনে সময় দিতে হয় কিন্তু ব্যবসা করলে তো সেই ব্যবসার পিছনে সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই আপনাদের কথা ভেবেই কোন ব্যবসাগুলো আপনি চাকরি করার পাশাপাশি করতে পারবেন সেই বিষয়টি আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো।

চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায়

চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় খোজা অবশ্যই একজন বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ বর্তমানে একজন চাকরিজীবী যে টাকা আয় করে সে তার সংসার খরচ চালাতে হিম হিম খেয়ে যায়। সেই কথা অনুযায়ী যদি একজন ব্যক্তি চাকরির পাশাপাশি একটি ছোট পরিসরে হলেও ব্যবসা শুরু করতে পারে। তাহলে ভবিষ্যতের জন্য সে অনেক টাকা পয়সা সঞ্চয় করতে সক্ষম হবে। আপনি যদি ইউনিক আইডিয়াগুলো কাজে লাগানোর মাধ্যমে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টিকে বেছে নেন তাহলে বিষয়টি মন্দ হয় না। 

ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে আপনি চাকরির পাশাপাশি একটি বাড়তি আয়ের পথ খুঁজে পাচ্ছেন। আবার আপনার যদি ভিডিও কনটেন্ট তৈরিতে আগ্রহ থাকে তাহলে সুন্দর সুন্দর ভিডিও তৈরি করে আপনি আপনার নিজের ইউটিউব চ্যানেল এ সেগুলো আপলোড এর মাধ্যমে বাড়তি টাকা আয় করতে পারেন। চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় অর্থাৎ চাকরি করার পাশাপাশি যে শুধু ব্যবসায়ী করতে হবে বিষয়টা তেমন নয়। চাকরির পাশাপাশি আপনি বাড়তি আয়ের উপায় হিসেবে যেকোনো পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। তবে অবশ্যই এ বিষয়টি বৈধ এবং সৎ হতে হবে। 
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তাই আপনিও এই যুক্তি কাজে লাগাতে পারেন। আপনি একটি নির্দিষ্ট ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ের উপর কোর্স করে সেই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করুন তারপর সেই অভিজ্ঞতা আপনি মার্কেটপ্লেস এ কাজে লাগাতে পারেন। সে অনুযায়ী মাসে অনেক অনেক ডলার ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা ব্যাপকভাবে দেখা দিচ্ছে। তাই ডিজিটাল হিসেবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করে দিতে পারেন আর এটা হবে আপনার চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের 

উপায়। এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আপনি অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অথবা আমাদের লোকাল কোম্পানি দারাজ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম নেওয়ার মাধ্যমে তাদের প্রোডাক্টগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে সেলের মাধ্যমে একটি মোটা অংকের কমিশন পেতে পারেন। এছাড়াও ড্রপ শিপিং করে টাকা ইনকাম করা যায়। তাছাড়া অনলাইন টিউশনি করেও আজকাল অনেকে ভালো টাকা ইনকাম করছে। তাই চাকরি পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় হিসেবে আপনি অনেকগুলো অপশন পেয়ে যাচ্ছেন তবে লক্ষ্য এবং সঠিক পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনি আপনার লক্ষ্যে অবশ্যই পৌঁছাতে পারবেন।

চাকরির পাশাপাশি যে ধরনের ব্যবসা করা যায়

আসুন তাহলে আমরা এখন আমাদের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয়ে ফিরে আসি প্রত্যেকটি ব্যক্তি চায় তার একটি বাড়তি আয়ের সুযোগ থাকুক। আমি নিজেও বাড়তি আয়ের আশায় ব্লগিং করে থাকি এবং এখান থেকে আয়ের সুযোগ খোঁজার চেষ্টা করি। তাই ব্যবসার পাশাপাশি অনেকে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির মাধ্যমে সেখানে ব্লগিং অর্থাৎ আর্টিকেল পাবলিশ করে ভালো টাকা পয়সা ইনকাম করছে। তবে এখন আমরা চাকরির পাশাপাশি কোন ধরনের ব্যবসাগুলো করা সম্ভব সেই বিষয়ে আলোচনা করব। 

সর্বপ্রথম আমরা যে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছি সেটি হল ইসলামে ব্যবসাকে সর্বোচ্চ ইনকামের পন্থা বলে অভিহিত করা হয়েছে। তাই নিজেকে সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করার ঈমানেরই অঙ্গ। তবে একজন চাকরিজীবী তার চাকরিতে সময় দেওয়ার পাশাপাশি কোন ধরনের ব্যবসা গুলো আসলে করতে পারবে সে বিষয়ে জানা খুবই জরুরী। কারণ সব ধরনের ব্যবসা একজন চাকরিজীবী করতে পারবে না। এমন এমন ব্যবসা রয়েছে যেখানে সারাদিন সময় দিতে প্রয়োজন হয়‌। 

আপনাদের কাছে আজকে কিছু ইউনিক ব্যবসা তুলে ধরব যেগুলোতে আপনি মোটামুটি সময় এবং ইনভেস্ট করলেই একটি ভালো এমাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারবেন। নিচে সেই ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলো।

সিজনাল ব্যবসা

যেহেতু চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় সেটি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে আর সেই বিষয়টি নিয়ে আমাদের ব্যবসা করা উচিত। যেখানে সব সময় বা দেখাশোনা করার প্রয়োজন পড়বে না ঠিক তেমনি একটি ব্যবসার আইডিয়া হল সিজনাল বিভিন্ন আইটেমের ব্যবসা। উদাহরণস্বরূপ মে থেকে জুন এই দুই মাস বাংলাদেশ সাধারণত আমের সিজন আর আমরা অনেকেই জানি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আমের জন্য বিখ্যাত। তাহলে সেখানকার আম বাগানিদের সাথে আপনি যোগাযোগ করে একটি ডিল ফাইনাল করতে পারেন। যে গাছপতি আপনি কত টাকা তাদেরকে দিবেন তারপর সেইগুলো আপনি 

সরাসরি ঢাকাতে বিভিন্ন ফলের মোকামে সেগুলো নিয়ে বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করতে পারেন। আবার আপনি যদি মনে করেন আপনি আপনার সিজনাল প্রডাক্ট সরাসরি কাস্টমারের হাতে পৌঁছাতে চান তাহলে আপনি আপনার এলাকাতে সেই সকল পণ্য যেমন আপনার এলাকাতে ধরুন আম খুব একটা ভালো হয় না তাহলে আপনি সেই আমগুলো তাদের মাঝে বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন। আবার অনলাইনে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে মে থেকে জুন এ দুই মাস অনেকেই আম কুরিয়ার সার্ভিস করে পাঠিয়ে দিচ্ছে আর অনেক অনেক টাকা মুনাফা পাচ্ছে। তাই আমরা সিজনাল ব্যবসাকে 

চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় এ তালিকা তে অবশ্যই রাখতে পারি। আবার দিনাজপুর এবং রংপুরে প্রচুর পরিমাণে শুকনা মরিচ উৎপাদন হয়ে থাকে এবং আপনি আপনার এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখতে পারবেন সেখানকার তুলনায় দিনাজপুর এবং রংপুরে শুকনা মরিচের দাম সবসময় কম‌। তাহলে আপনি ঢাকায় বা আপনার নিজের এলাকার লোকাল মার্কেটে যারা মরিচের পাইকারি দোকানদার রয়েছেন তাদের সাথে কথা বলে নিয়ে সে অনুযায়ী আপনি আপনার প্রফিট সাইডে রেখে দিনাজপুর এবং রংপুর থেকে শুকনা মরিচ ডেলিভারি করতে পারেন। 

আর এভাবে সিজোনাল যত ভোগ্য পণ্য আইটেম রয়েছে সবগুলোর মাধ্যমেই চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় হিসেবে একটি ইউনিক ব্যবসা তৈরি করা সম্ভব। আর এই ব্যবসা করতে আপনার সবসময় সময় দিতে হবে না।

রিসাইকেলিং ব্যবসা

আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে সকল জিনিসপত্র ব্যবহার করি তা একসময় নষ্ট হয়ে যায়। তখন আমরা সেটাকে ফেলে দেই অথবা ফেরিওয়ালা এসে আমাদের কাছ থেকে কম মূল্যে কিনে নিয়ে যায়। এখানেও রয়েছে একটি বহুল মুনাফা ভিত্তিক একটি ব্যবসা আসুন বিষয়টি একটু বোঝার চেষ্টা করি। ধরুন আপনার বাড়িতে কিছু প্লাস্টিকের বোতল অথবা সামান্য পরিমাণ লোহার তৈজসপত্র রয়েছে এবং সেগুলো বিকল হয়ে পড়ে আছে। একজন ফেরিওয়ালা এসে লোহার কিছু জিনিসপত্র এর পরিবর্তে এবং প্লাস্টিকের বোতলের পরিবর্তে ৫০ টাকা দিয়ে গেল। হয়তো দেখা যাচ্ছে লোহার তৈরি জিনিসপত্র ৫ 

কেজি রয়েছে এবং ভাঙ্গা বোতল সহকারে আপনাকে ৫০ টাকা দিয়ে চলে গেল আপনি হয়তো ভাবছেন আপনার বাড়ি থেকে ঝামেলা বিদায় হলো। মাঝখান থেকে আপনি ৫০ টাকা পেয়ে গেলেন কিন্তু ওই ব্যক্তি অর্থাৎ ফেরিওয়ালা 50 টাকা দিয়ে মালগুলো কিনে পাইকারি দোকানে নিয়ে গিয়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করে দেবে। আবার পাইকারি দোকানদার সেই ফ্যাক্টরিতে যেখানে রিসাইকেলিং প্রক্রিয়া হয় অর্থাৎ নষ্ট ভাঙ্গা বোতল থেকে নতুন বোতল তৈরি অথবা পুরাতন রড থেকে নতুন রড তৈরি হয় পাইকারি দোকানদার মালগুলো পাঠিয়ে দেয়। সে যদি ৭০ টাকায় মালগুলো কিনে তাহলে সে বেচবে 
১৩০ টাকায় অর্থাৎ বসে বসে ৫০ টাকা লাভ করবে। একটি হিসেবে বলা হয়েছে একটি পাইকারি রিসাইকেলিং দোকানদার এক কেজি লোহার যদি ২০ টাকা কেজিতে কিনে তাহলে সে সেটা ফ্যাক্টরিতে ৫০ টাকা কেজি পর্যন্ত বেঁচে দেয়। প্রতি কেজিতে 20 থেকে 30 টাকা লাভ থাকে। তাহলে সারাদিন কত কেজি রড এবং প্লাস্টিকের জিনিসপত্র পাইকারি দোকান কিনে এবং সেগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ফ্যাক্টরিতে বিক্রি করে এবং সে অনুযায়ী একটি ভালো মুনাফা তৈরি করতে সম্ভব হয়। তবে চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় হিসেবে এই ব্যবসাটি করা সম্ভব। 

আপনি যদি আপনার লেবারদের সকল কাজ বুঝিয়ে দেন এবং একটি ম্যানেজার রাখতে পারেন তাহলে আপনি সারাদিন চাকরি করার পর সন্ধ্যায় এসে সব হিসাব-নিকাশ করতে পারবেন এবং আপনার ব্যবসা অটোমেটিক ভাবে চলতে থাকবে।

ড্রাই ফ্রুটস এর ব্যবসা

আমরা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া অর্থাৎ ফেসবুকে প্রবেশ করলে একটি বিজ্ঞাপন ব্যাপক পরিমাণে সামনে চলে আসে। সেটা হল “হানি নাটস” এর বিজ্ঞাপন। গত এক বছর যাবত এই হানি নাটস ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে এই ড্রাই ফ্রুটস এর সংমিশ্রণ খেতে যেমন সুস্বাদু সঙ্গে রয়েছে প্রোটিনে ভরপুরতা। তাই স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা অনেকেই এই হানি নাটস কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। হানি নাটস এর মধ্যে যে উপাদান গুলো রয়েছে যেমন কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, আখরোট, খেজুর, তিন ফল, আলুবোখরা, কিসমিস, সাদা তিল এবং মধু উল্লেখযোগ্য। 

আরো অনেক উপাদান থাকতে পারে এগুলো বিভিন্ন কৌটার মধ্যে সুন্দরভাবে প্যাকিং করে আপনি অনলাইনে সেল করতে পারেন। আর তাহলে আপনাকে সেটি বিক্রির জন্য বাহিরেও যেতে প্রয়োজন হচ্ছে না। সোশ্যাল মিডিয়া অর্থাৎ ফেসবুকে একটি পেজ খুলে সেখানে আপনার প্রোডাক্টের সুন্দর ছবি অথবা ভিডিও তৈরি করে সেগুলো পোস্ট করতে থাকুন। এছাড়াও ইনস্টাগ্রামে বিভিন্নভাবে আপনার প্রোডাক্টের প্রমোশন করতে থাকুন এক সময় দেখবেন অর্গানিকভাবে আপনার কাছে কাস্টমার আসা শুরু হয়ে গেছে। আর তাই চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় এই তালিকাতে ড্রাই ফ্রুটস এর 

ব্যবসা অন্যতম একটি ব্যবসা। হালাল পথে যদি কাস্টমারকে আপনি স্যাটিসফাইট করতে পারেন তাহলে ধীরে ধীরে আপনার ব্যবসার পরিধি অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে। উদাহরণস্বরূপ “ঘরের বাজার” এই পেজটি হানি নাটস এর ব্যবসা করে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় এবং সফলতা অর্জন করেছে। এখন এই পেজ ড্রাই ফ্রুটস এর ব্যবসা করার পাশাপাশি বিভিন্ন সিজনাল ব্যবসা করে আসছে। তাই আপনি যদি নিজে সৎ এবং পরিশ্রম এর সাথে ব্যবসা করতে পারেন তাহলে অবশ্যই চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় গুলো অবলম্বনের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।

জুতার ব্যবসা

বর্তমান সময়ে মানুষ পোশাকের পাশাপাশি জুতা কেনার ক্ষেত্রেও ভীষণ সজাগ। আপনার পোশাকের সাথে মিলিয়ে এবং মানসম্মত জুতা কিনতে সকলেই এখন আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। মার্কেট পরিলক্ষন করলে এটা বোঝা যায় যে প্রতিদিন মার্কেট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার জুতা বিক্রি হচ্ছে। তাই আপনার জুতা সম্পর্কে যদি ভালো একটি জ্ঞান অর্জন হয়ে যায় অর্থাৎ জুতা এর কোয়ালিটি সংক্রান্ত বিষয়াদি আপনি যদি ভালোভাবে বুঝতে পারেন তাহলে এ ব্যবসাটি করতে পারেন। তবে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে যুগের চাহিদা অনুযায়ী আপনাকে জুতা কালেকশনে রাখতে হবে। 

ব্যাকডেটেড কোন কালেকশন এখন আর চলবে না। নতুন ট্রেন্ড অনুযায়ী মানুষজন কোন জুতা গুলো পছন্দ করছে সেটি আপনি অনলাইন থেকে বিভিন্নভাবে খোঁজখবর নিতে পারবেন। মোটামুটি ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা মূলধন নিয়ে নেমে পড়ুন জুতার ব্যবসায়। চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় অর্থাৎ চাকরি পাশাপাশি কি জুতার ব্যবসা করতে পারবেন কিনা যদি কনফিউজ থাকেন তাহলে আসুন বিষয়টি সহজ করে বলে দেই। আপনি বাজারে ছোট্ট একটি দোকান ঘর নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি সকাল থেকে যদি বিকেল পর্যন্ত অফিসে থাকেন সন্ধ্যায় এসে দোকানে বসুন। 

দেখবেন কাস্টমার আপনার কাছে অবশ্যই আসবে। আবার বর্তমানে অনলাইনে ব্যাপক পরিমাণে জুতা সেল হচ্ছে তাই ফেসবুকে নিজের নামে একটি পেজ খুলে সেখানে আপনার বিভিন্ন রকম সুন্দর সুন্দর জুতার ছবি পোস্ট করতে থাকুন। অথবা যারা ইউটিউবার রয়েছেন তাদেরকে আপনার দোকানে প্রমোশনের প্রেক্ষিতে ডেকে নিয়ে আসুন। তারা আপনার দোকান এবং দোকানের প্রোডাক্টগুলো ভিডিও করে তাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করবে এবং ঠিকানা অনুযায়ী আপনার দোকানে অনেক অনেক কাস্টমার পৌঁছে যাবে। আর চাকরির পাশাপাশি জুতার ব্যবসা করে আপনি তৈরি করতে পারেন একটি বাড়তি আয়ের সুযোগ।

জমিতে বিনিয়োগ

প্রথমেই বলে নিচ্ছি এই ব্যবসাটি করতে হলে আপনাকে কিছু বাড়তি টাকা মূলধন হিসেবে রাখতে হবে। তবে সকল ব্যবসা ক্ষেত্রে আপনার একটি সঠিক মূলধন বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে ঠিক তেমনি এই ব্যবসার ক্ষেত্রেও আপনাকে একটি মোটা টাকা বিনিয়োগ করতে হতে পারে। তবে অন্যান্য ব্যবসায়ী ঝুঁকি থাকলেও আপাতত জমি কেনা বেচার ব্যবসায় কোনরকম ঝুঁকি নেই। তাই এটাকে ঝুকিমুক্ত ব্যবসা বলা যেতে পারে কারণ বর্তমান সময়ে জমি কিনতে হলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। আর সরকার যেহেতু দলিল যার জমি তার আইন পাস করেছেন তাই জমি ক্রয় করার সময় আপনি 

অবশ্যই সঠিক মালিকের কাছ থেকে জমি কিনতে পারবেন। তাই এই বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। আসুন তাহলে এবার ব্যবসার কথায় আসি চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় এই তালিকাতে যদি সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয় তাহলে জমিতে বিনিয়োগ এ ব্যবসাটিতে দেওয়া উচিত। কেননা আপনাকে কোনরকম সময় এই ব্যবসাতে ইনভেস্ট করতে হচ্ছে না। শুধুমাত্র আপনি দেখবেন জমির পজিশান কেমন জমির কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা সেই অনুযায়ী জমিটি কিনে নিবেন। তারপর এক বছর জমিটি ফেলে রাখুন অথবা আপনি কাউকে বর্গা হিসেবে জমিটি দিতে পারেন। 

সেখানে এক বছরের জন্য সে আবাদ ফসল করবে এক বছর পর যদি আপনি জমিটি বিক্রি করেন তাহলে ভালো একটি এমাউন্ট মুনাফা হিসেবে পেয়ে যাবেন। জমি ক্রয় করার পর আপনাকে সেখানে আর কোন টাকা বিনিয়োগ করতে হচ্ছে না। শুধু কাগজপত্র গুলো আপনি আপনার কাছে ভালোভাবে রেখে দিবেন এবং এক বছর পর সেটি বিক্রির সময় বের করবেন। এই ব্যবসা করার উদ্দেশ্য একটাই সেটা হলো প্রতিদিন জমির দাম বেড়েই চলেছে। জমি এখন হয়ে গেছে স্বর্ণ স্বর্ণের দাম যেমন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক জমির দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জমি কেনার পাশাপাশি অনেকে স্বর্ণতেও বিনিয়োগ করতে 

পারেন কেননা পূর্বের হিসাব এবং এখনকার হিসাব মিলাতে গেলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। কারণ যেখানে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ভরি ছিল আজকের বাজারে সেটি এখন ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ভরিতে পৌঁছে গেছে। তাই জমিতে বিনিয়োগের পাশাপাশি আপনি স্বর্ণতে বিনিয়োগ করতে পারেন। চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় এ বিষয়টিতে আমরা আপনাদেরকে কয়েকটি ব্যবসার কথা তুলে ধরলাম আরো অনেক ব্যবসা রয়েছে যার মাধ্যমে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় এবং সুযোগ তৈরি করা সম্ভব। তবে আপাতত আপনি চাকরি করার পাশাপাশি উপরে বর্ণিত যেকোনো একটি ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন এবং নিজেকে সাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।

চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং

চাকরি পাশাপাশি অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব কারণ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সবসময় সময় দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তাই একজন ব্যক্তি যদি সারাদিন চাকরি করে আসে এবং রাতে তিন থেকে চার ঘন্টা সময় দেয় তাহলেও কিছু কিছু ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টর রয়েছে সেগুলোতে কাজ করা সম্ভব। তবে বলে রাখা ভালো ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সকল কাজ চাকরি পাশাপাশি করা সম্ভব নয়। যেমন কোন ব্যক্তি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করে তাহলে চাকরি পাশাপাশি অবশ্যই সে এটি করতে পারবে। আবার ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে যদি কেউ কাজ করে তাহলেও করা সম্ভব। কিন্তু একজন ওয়েব ডেভলপার, 

ওয়েব ডিজাইনার চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো করতে পারবেন না। যদি কোন ব্যক্তি সারাদিন চাকরিতে সময় দেয় কিন্তু রাতে এসে তার অর্ডার অনুযায়ী একটি ব্যানার অথবা কাভার ফটো তৈরি করতে বসে তাহলে তিন থেকে চার ঘন্টায় সে সেটি কমপ্লিট করে ফেলবে। কিন্তু একজন প্রোগ্রামার কখনোই তিন থেকে চার ঘন্টায় তার প্রোগ্রামিং কমপ্লিট করতে পারবেনা। চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অবশ্যই সফলতা অর্জন করা সম্ভব তবে সকল সেক্টরে নয়। চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় এই তালিকাতে যেমন আমরা কয়েকটি ব্যবসার কথা উল্লেখ করেছি ঠিক তেমনি 

চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কিছু কিছু কাজ বিদ্যমান করা যায়। যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, ব্লগ পোস্টিং উল্লেখযোগ্য। এই কাজগুলো চাকরি করার পাশাপাশি করা সম্ভব তবে সবকিছুই ধৈর্যের বিষয়। আপনি চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় হিসেবে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে পারেন। তবে সকল ক্ষেত্রে আপনাকে ধৈর্য এবং পরিশ্রম দুটোই করতে হবে তাহলে আপনি সফলতার শীর্ষে অবস্থান করবেন।

শিক্ষকতার পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায়

একজন শিক্ষক সমাজের মেরুদন্ড গড়ার কারিগর কেননা শিক্ষা যদি জাতির মেরুদন্ড হয় তাহলে সে জাতিকে যেহেতু একজন শিক্ষক তৈরি করছে তাহলে সেই সমাজ এবং জাতির মেরুদন্ড তৈরির কারিগর হলো একজন শিক্ষক। কিন্তু এই শিক্ষক মন্ডলি তাদের সম্মান অনুযায়ী প্রাপ্য বেতন অনেক সময় পান না। আর অনেক শিক্ষক রয়েছেন যারা এই কারণে তাদের সংসার পর্যন্ত চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। সেই সম্মানিত শিক্ষক বৃন্দের কথা মাথায় রেখে আমরা একটি ব্যবসা এর কথা আলাপ করব। 

যদিও উপরে বর্ণিত চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় এই তালিকাতে যতগুলো ব্যবসার কথা বলা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবসা একজন শিক্ষক হিসেবে করতে পারবেন। তবে সেগুলোর পাশাপাশি আরেকটি ব্যবসার কথা শিক্ষক মন্ডলীদের জন্য বলে রাখছি সেটি হল ফার্মেসি ব্যবসা। আমি যখন ক্লাস টু থ্রি তে পড়তাম তখন আমার প্রাইমারি স্কুলের একজন শিক্ষক কে ফার্মেসি ব্যবসা করতে দেখেছি। সেখান থেকেই এই ব্যবসার আইডিয়াটা মাথায় আসলো তিনি সারাদিন স্কুলে 
সময় দিয়ে বিকাল পাঁচটার সময় তার ফার্মেসী দোকানটি খুলতেন এবং সেখানে রাত দশটা অথবা এগারোটা পর্যন্ত সময় দিতেন। তাহলে একজন শিক্ষক সারাদিন তার শিক্ষকতা কার্য সম্পাদন করার পর অবশ্যই ফার্মেসি দোকান দিতে পারবে। কিন্তু অবশ্যই সেই দোকান দেওয়ার জন্য তার ড্রাগ লাইসেন্স, আরএমপি ট্রেনিং সহ আরো যাবতীয় বিষয়গুলো থাকতে হবে। বৈধ উপায়ে ব্যবসা করলে তিনি অবশ্যই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

পার্ট টাইম এবং অবসর সময়ের ব্যবসা

অনেকেই মনে করেন পার্টটাইম হিসেবে তিনি ব্যবসা করবেন এবং ফুল টাইম হিসেবে চাকরি চালিয়ে নেবেন। কেননা তিনি চাচ্ছেন চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় হিসেবে একটি মোটামুটি অংকের যদি এমাউন্ট সাথে যোগ হয় তাহলে বিষয়টি মন্দ নয়। আর সেই প্রেক্ষিতেই তিনি পার্টটাইম চাকরির কথা ভেবে নিচ্ছেন পাশাপাশি যখন কেউ অবসর সময় পার করছেন ঠিক তখন কোন ব্যবসাগুলো আসলে করা যায় সেটা নিয়েও অনেকে ভেবে থাকেন। তাই এ বিষয়টি মাথায় রেখে এবং চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় সেগুলো নিচে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।
  • ডেস্টিনেশন ওয়েডিং প্ল্যানার
  • এক্সপোর্ট/ইমপোর্ট ব্যবসা
  • দেশীয় পণ্যের অনলাইন ব্যবসা
  • হোটেল অথবা রেস্তোরা
  • বিদেশি ভাষার স্কুল এজেন্সি
  • মেডিকেল ট্যুরিজম এজেন্সি
  • আন্তর্জাতিক কৃষি পরামর্শ সেবাকেন্দ্র
  • ইন্টারন্যাশনাল ডেলিভারি সার্ভিস এর ব্যবসা
উপরোক্ত বিষয়গুলো পার্ট টাইম এবং যারা অবসর সময় পার করছেন তারা অনায়াসে করতে পারেন এবং সেখান থেকে ভালো একটি প্রফিট তৈরি করে নিতে পারেন।

সরকারি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা

বাংলাদেশের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অনেক ডিপার্টমেন্টে বিধি-নিষেধ থাকতে পারে যে চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করা যাবে কিনা। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা বিষয়ে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করেন না। তবে সরকারি চাকরির পাশাপাশি কোন ধরনের ব্যবসা করা যায় আবার কোন কোন ডিপার্টমেন্ট সেটি আমলে নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছেন সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে কৃষি ডিপার্টমেন্টে একটি রুলস রয়েছে সেটি হল কৃষি ডিপার্টমেন্টের কোন কর্মচারী বৃন্দ সার অথবা কীটনাশকের ওষুধের দোকান দিতে পারবেন না। 

ঠিক এমনি করে অন্যান্য সরকারি ডিপার্টমেন্ট কোন বিধি নিষেধ জারি করে রেখেছেন কিনা সেটি প্রথমে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। যদি কোন রকম সমস্যা না থাকে তাহলে চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় এ বিষয়ে উপরে বর্ণিত ব্যবসাগুলোর আইডিয়া থেকে যেকোনো একটি ব্যবসা অবলম্বন করতে পারবে এবং সে অনুযায়ী সরকারি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করা সম্ভব।

চাকরির পর কি ব্যবসা করা যায়

অনেকে মনে করে থাকেন এখন বর্তমানে আমি চাকরি করে স্বাবলম্বী কিন্তু চাকরির শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমার কি করা উচিত। সে ক্ষেত্রে প্রথম যে বিষয়টি মাথায় আসে সেটি হল চাকরির পরে ব্যবসা করে জীবন পার করা। তাই চাকরির পর অবসর সময়ে সে সকল ব্যবসাগুলো করা উচিত‌। যেখানে সময় এবং শ্রম ইনভেস্ট করার মাধ্যমে ভালো প্রোফিট অর্জন করা সম্ভব হয়। আর সেজন্য একজন অবসরে যাওয়া ব্যক্তি ব্যবসায়ী হিসেবে কাপড়ের দোকান, জুতার দোকান, খেলনার দোকান, দিয়ে ব্যবসা কার্য পরিচালনা করতে পারেন। 

আবার ই-কমার্স ব্যবসা দিয়ে অনলাইনে সেগুলো সেল করতে পারেন। এ ব্যবসা গুলো শুধুমাত্র চাকরির পর অর্থাৎ অবসর টাইমে নয় চাকরির পাশাপাশিও করা সম্ভব। আপনি সারাদিন অফিসে আপনার অফিস কার্য শেষ করে ছুটির পরে আপনার পণ্যের অর্ডার অনুযায়ী কুরিয়ার সার্ভিস করে দিলেই আপনার কাজ শেষ। এবং মাস শেষে দেখবেন একটি ভালো অ্যামাউন্ট আপনি আপনার চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় হিসেবে অবলোকন করতে পারছেন।

চাকরি নাকি ব্যবসা ভালো

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে যে চাকরি নাকি ব্যবসা ভালো আসলে এই বিষয়টি সরাসরি বলা সম্ভব নয়। কারণ একটি চাকরি করার মাধ্যমে মাস শেষে নির্দিষ্ট একটি বেতন পাওয়া যায়। কিন্তু ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনি সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমেই কেবলমাত্র সেখান থেকে লভ্যাংশ পাওয়া সম্ভব হয়। তাই কেউ যদি মনে করেন আমার দ্বারা ব্যবসা সম্ভব নয় তাহলে তার জন্য চাকরিই শ্রেষ্ঠ। তবে চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় এ বিষয়ে কেউ মাথায় রেখে কেউ চাকরি করার পাশাপাশি তার ব্যবসা চালিয়ে নিতে পারেন। 

তবে যদি আপনি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন বিশ্বের যত ধনী ব্যাক্তিরা রয়েছেন তারা সবাই এক একজন উদ্যোক্তা ব্যবসার মাধ্যমেই তারা সেই লেভেলে পৌঁছে গেছেন। তাই চাকরি নাকি ব্যবসা ভালো এই বিষয়টিতে আপনার নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয়া খুবই জরুরী। যদি আপনি আপনার জীবন কোন রকম ভাবে চালিয়ে নিতে চান তাহলে চাকরি আপনার জন্য আর যদি মনে করেন আপনি আপনার জীবনে কিছু অর্জন করতে চান তাহলে ব্যবসা এর কোনো বিকল্প নেই।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনারা যারা চাকুরীজীবী রয়েছেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কেননা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে চাকরিজীবী ভাইয়েরা আপনারা আশা করি চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় এবং চাকরির পাশাপাশি কি ব্যবসা করা যায় এই বিষয় সংক্রান্ত সবগুলো পয়েন্ট ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তবে আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে অবশ্যই আপনি আপনার কষ্টের মূলধন বিনিয়োগ করার পূর্বে সঠিক সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করবেন। 

পাশাপাশি আপনাদেরকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। বাড়তি আয়ের উপায় সংক্রান্ত কোনো বিষয় যদি জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে সেটি জানাতে পারেন আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। চাকরি করার পাশাপাশি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার বিষয় সংক্রান্ত তথ্যগুলো জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আপনার বন্ধুবান্ধবদের উপকারের লক্ষ্যে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন পরিশেষে সকলের সুস্থতাই আমাদের কাম্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url