বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি জানুন

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এ বিষয়ে জানার জন্য আপনারা অনেকেই বিভিন্ন আইটি সেন্টারে গিয়ে উপস্থিত হন এবং এটি জানার মাধ্যমে আপনারা আপনাদের কাঙ্খিত ক্যারিয়ার সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন। যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটিং এর সেক্টর গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানা যায় তাহলে খুব সহজেই একটি নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে মার্কেটপ্লেস থেকে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা সম্ভব। যদিও এখনকার সময়ে মার্কেটপ্লেসগুলোতে একটু বেশি প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তারপরেও আপনাদের সুবিধার্থে আমরা 
বর্তমানে-ফ্রিল্যান্সিং-এর-সব-থেকে-ডিমান্ডেবল-সেক্টর-কোনটি
আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি বিষয় সম্পর্কে আপনাদেরকে সম্পূর্ণ ধারণা দিব। পাশাপাশি আরও যে বিষয়গুলো আপনাদেরকে জানানো হবে সেগুলো হল ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে কি কি সুবিধা পাচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি এবং কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন তাই অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের চাহিদা এবং এর পরিধি অনেক বেশি। ১৮১৯ সালে সর্বপ্রথম ফ্রিল্যান্সার শব্দটি ছাপা হয়েছিল এবং সেটি ছাপা হয়েছিল “Walter Scott” নামক একজন লেখকের বইয়ে। এই কাজটি একটু মুক্ত ভাবে করা যায় অর্থাৎ স্বাধীনভাবে করা যায় এজন্য দিন দিন বিশ্বকাপে এর জনপ্রিয়তা এবং কর্মপদ্ধতি বেড়েই চলেছে। তাই যারা ঘরে বসে আছেন বা বেকারভাবে সময় কাটাচ্ছেন সেই সফল ব্যক্তিবর্গ ফিন্যান্সিং সেক্টরে আসতে পারেন। 

তবে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের অবশ্যই কিছু বিষয় জেনে তারপর এ জগতে পা রাখা উচিত। যেমন বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সে কাজগুলো কিভাবে সম্পূর্ণ করতে হয় সেই দক্ষতা অর্জন করার জন্য কি কি পদক্ষেপ অবলম্বন করা উচিত সে সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করার পর একজন বিগিনার পরবর্তী পাঁচ বছর পর একজন এক্সপার্ট প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে উন্নত করতে পারে।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সব থেকে জনপ্রিয় এবং ভ্যালুয়েবল সেক্টর সবগুলোই। তবে সেগুলোর মধ্যে নতুনদের জন্য খুবই সহজ এবং যেই সেক্টরের মাধ্যমে একটি পুরো কোম্পানির অনলাইন মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ নির্ভর করে সেটি হল “ডিজিটাল মার্কেটিং”। এ সেক্টর এই কথা বলার একটি কারণ সেটি হল একটি কোম্পানি অনলাইনে তাদের প্রচার-প্রচারণা অথবা বিক্রির উদ্দেশ্যে যদি কোন বেস্ট ওয়েবসাইট তৈরি করে কিন্তু সেই ওয়েবসাইট থেকে বিক্রির জন্য যদি কোন ডিজিটাল মার্কেটার হায়ার না করে তাহলে সেই বেস্ট ওয়েবসাইটের আর কোন মূল্য থাকে না। এবং কখনোই অনলাইন 

থেকে সেই কোম্পানির আন্ডারে কোনরকম সেল আসবে না। আর এজন্য কোম্পানি কর্তৃপক্ষ সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর এর ফ্রিল্যান্সারদের একটু বেশি ভ্যালু প্রোভাইড করে থাকেন। এজন্য আমরা বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এই তালিকা তে সর্বপ্রথম ডিজিটাল মার্কেটিং কে জায়গা দিয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং শুধু একটি বিষয় নয় এর ভিতরে অনেকগুলো বিষয় জড়িত রয়েছে। তবে সবচেয়ে ভালো একটি দিক হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর যেকোনো একটি কাজ যদি কোন ফ্রিল্যান্সার ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারে তাহলে মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেসের বাহিরে তার 
আর কোন কাজের ঘাটতি পরবে না। এর কারণ হচ্ছে যত দিন যাচ্ছে মানুষ অনলাইনের দিকে ততই আকৃষ্ট হচ্ছে। বাজার ঘাটে না গিয়ে এখন অনেক মানুষ আছেন যারা অনলাইনে কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন। আর সেই সকল কোম্পানিগুলো তাই চেয়ে তাদের প্রোডাক্টগুলো খুব সহজেই যেন ক্রেতার কাছে পৌঁছে যায়। এতে করে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়েরই অর্থ এবং সময় দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে। মাঝখান থেকে একজন ফ্রিল্যান্সার তার কিছু অংশ তার বেতন হিসেবে পেয়ে যাচ্ছেন। 

এতে করে সকলেই লাভবান হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বিষয় মনে হলেও এর অনেকগুলো শাখা-প্রশাখা রয়েছে তাহলে আসুন ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টরগুলো কি কি সেটা জেনে নিই।
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
  • কনটেন্ট মার্কেটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • ভিডিও মার্কেটিং
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর গুলি মার্কেটপ্লেসে ব্যাপকভাবে চাহিদা সম্পন্ন কেননা উক্ত মার্কেটিংগুলোর যেকোনো একটি বিষয়ে যদি ব্র্যান্ডের প্রচার-প্রচারণা করা হয়। সে ক্ষেত্রেও ব্যাপকভাবে সেল চলে আসে আবার কোম্পানি যদি মোটামুটি সবগুলো বিষয়েই তাদের প্রচারণা চালাতে যায়। তাহলে সে ক্ষেত্রে সেলের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে। আপনাদের মনে এখন বারবার প্রশ্ন আসতে পারে যে বারবার সেল বা বিক্রির কথা কেন বারবার আসছে এর কারণ হচ্ছে আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে কোন ক্লায়েন্টের কাজ হাতে নেন এবং পরবর্তী সময়ে দেখা যাচ্ছে বিক্রি এমন একটা 

হচ্ছে না আবার প্রথম অবস্থায় বিক্রি হলেও পরবর্তীতে কাস্টমার টার্গেট করার ক্ষেত্রে অজ্ঞ হওয়ার ফলে বিক্রি আগের মত নেই। তাহলে সেই ক্ষেত্রে সেই ক্লাইন্ট আপনাকে আর কাজ দেবে না পরিপ্রেক্ষিতে আপনার মার্কেটপ্লেসের আইডিতে খারাপ রিভিউ প্রদান করবে। যার ফলে আপনার আইডি ডাউন হয়ে যাবে পরবর্তীতে কোন ক্লাইন্ট এসে আপনাকে অর্ডার দিতে চাইবে না। তাই বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এ বিষয়টি জানার পর যদি কেউ একজন সেই উক্ত বিষয়ে দক্ষতা অর্জন না করতে পারে তাহলে কখনোই এই প্রতিযোগিতায় সে টিকে থাকতে পারবে না।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বায়ার কাকে বলা হয়

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যিনি কাজ দেন তাকে সাধারণত ক্লায়েন্ট বা বায়ার বলা হয়ে থাকে। ক্লায়েন্ট সাধারণত একজন কোম্পানির মালিক বা ব্যক্তিগতভাবে কেউ একজন উদ্যোক্তা হতে পারে। আর সেই ব্যক্তিগত উদ্যোক্তা অথবা কোন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তাদের কাজগুলো ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে করিয়ে থাকে এবং তার বিনিময়ে ফ্রিল্যান্সারদের পারিশ্রমিক প্রদান করে। শুধুমাত্র যে মার্কেটপ্লেস এই ক্লায়েন্ট বা বায়ার পাওয়া যায় ব্যাপারটি তেমন নয় সোশ্যাল মিডিয়া অথবা ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমেও বায়ার খুঁজে পাওয়া সম্ভব। আমি ব্যক্তিগতভাবে যখন লিড জেনারেশন সেক্টর নিয়ে কাজ করতাম আমার 

প্রথম কাজ আমি ফেসবুক গ্রুপ থেকে পেয়েছিলাম। তাই কেউ যদি ইচ্ছে করে তার মার্কেটপ্লেস একটু বেশি কঠিন মনে হচ্ছে তাহলে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর যে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে তাহলে সেই বিষয়টি নিয়ে আউট অফ মার্কেটপ্লেসে সে ট্রাই করতে পারে। মার্কেটপ্লেসের বাইরে বায়ার খুব সহজে পাওয়া যায় না এটাও ঠিক কেননা বায়ারকে আপনার স্কিল সম্পর্কে বিশ্বাস করানো বা প্রমাণ করা অনেকটাই জটিল। পাশাপাশি আজকাল ফেসবুক গ্রুপে অনেক ফেক বায়ার দেখা যাচ্ছে তাই আউট অফ 

মার্কেটপ্লেস এ কাজ করার ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বায়ারা সাধারণত কাজ দেওয়ার পূর্বে ফ্রিল্যান্সারদের সাথে চ্যাটিং অথবা ভিডিও কলে কথা বলে থাকেন। সেই সময় তারা কাজ সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করেন এবং সে অনুযায়ী কাজের পারিশ্রমিক ঠিক হয়। পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয় যার পূর্বেই ফ্রিল্যান্সার তার কাজ বায়ারের কাছে জমা দিয়ে থাকে। যদি একজন বায়ারের কোন ফ্রিল্যান্সারের কাজ ভালো লাগে তাহলে পরবর্তীতে সেই ফ্রিল্যান্সার পার্মানেন্ট হিসেবে ওই বায়ারের নিকট হতে কাজ পেতে থাকে।

ফ্রিল্যান্সারদের এ সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি

ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে যদি হিসাব করা হয় তাহলে পূর্বে Fiverr কে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং সংখ্যার দিক থেকেও বড় মার্কেটপ্লেস হিসেবে ধরা হতো। কিন্তু ফাইবারের কিছু কঠিন নিয়ম কানুনের ফলে অনেকেই ফাইবার থেকে চলে আসছেন বা নিয়মগুলো অধিক কঠিন হওয়ার ফলে অনেকে ফাইভারে সাকসেসফুল হতে পারছেন না। বিধায় ফাইবার ত্যাগ করেছেন আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে UpWork বর্তমানে এই মার্কেটপ্লেসে ১২ মিলিয়ন এরো বেশি নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার যুক্ত রয়েছেন। 

তবে কাজের ক্ষেত্রে সকল মার্কেটপ্লেসের সিস্টেমগুলো এরকম থাকে না কিন্তু আপনি যেই কাজ সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করুন না কেন মার্কেটপ্লেতে গেলে আপনি সকল কাজগুলো সেভাবেই পেয়ে যাবেন। তাহলে এ থেকে বোঝা যায় যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস বর্তমানে Upwork।

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি

ফ্রিল্যান্সিং করে সেখান থেকে টাকা কিভাবে নিয়ে আসতে হয় সেই মাধ্যমগুলো বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্নভাবে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। যেমন একজন ফ্রিল্যান্সার যদি ফাইবারে গিয়ে কাজের অর্ডার পায় সেক্ষেত্রে বায়ার এবং সেই ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে একটি চুক্তি গৃহীত হয়। সেখানে উল্লেখ থাকে কত ডলারের বিনিময়ে ফ্রিল্যান্সার কাজটি কমপ্লিট করবে এবং কত সময়ের মধ্যে কাজটি জমা দেবে সকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পূর্বেই ফ্রিল্যান্সার সেই কাজটি ফাইবারেই জমা দিয়ে দেয়। 
কাজ জমা হওয়ার পর বায়ার তখন সেই ফ্রিল্যান্সারকে তার নির্দিষ্ট এমাউন্টটি ফাইবারেই পেমেন্ট করে দেয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে পেওনিয়ার (Payoneer), পেপাল (Paypal), নেটেলার (Neteller) বা স্ক্রিল (Skrill) এর মত অনলাইন পেমেন্ট মেথডের সাহায্যে টাকা নিয়ে আসা সম্ভব। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন পেমেন্ট মেথড হচ্ছে পেওনিয়ার।

কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এবং কোন কাজ গুলো করার মাধ্যমে বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব সেই সম্পর্কে আপডেটেড ফ্রিল্যান্সাররা সবসময় রিসার্চ করে থাকেন। একজন ফ্রিল্যান্সার নিজের দক্ষ হওয়ার পাশাপাশি সবসময় লক্ষ্য রাখেন ভবিষ্যতে কোন কাজ করে আরো বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে। বলা বাহুল্য যে প্রত্যেকটি ফ্রিল্যান্সিং কাজেই রয়েছে অনেক অনেক ডলার তবে হিসেব করলে দেখা যায় যারা “Web Development” নিয়ে কাজ করে তাদের পারিশ্রমিক সবসময়ই বেশি দেওয়া হয়ে থাকে। 

কেননা একজন ওয়েব ডেভলপার বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর ব্যবহারের মাধ্যমে একটি পারফেক্ট ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন। আর সেটি করার জন্য তার দক্ষতা এবং সময় দুটোরই প্রয়োজন রয়েছে। আর সে প্রেক্ষিতে ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টরে ওয়েব ডেভলপারদের সবচেয়ে বেশি বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে। এক একটি ভালো মানের ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ডেভলপাররা সর্বনিম্ন ৫০০ ডলার চার্জ করে থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত

আমরা এতক্ষণ পর্যন্ত বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এবং কেন সে বিষয়গুলোকে ভ্যালুয়েবল বলা হয়েছে সেই বিষয়ে জানতে পারলাম। আসুন আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর অফ টপিক সম্পর্কে কিছু ধারনা নিয়ে নিই। অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে যে ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত এই বিষয়টি নিয়ে যদি আমরা গুগলে সার্চ দেই তাহলে অনেক জন অনেক রকম মতামত পেশ করে থাকেন। অর্থাৎ আমরা বিভিন্ন রকম আর্টিকেলে বিভিন্ন রকম তথ্য পেয়ে থাকি। 

তবে আজকে “ডিজিটাল অনলাইন আইটি” আপনাদেরকে একটি সঠিক তথ্য প্রদান করছে সেটি অবশ্যই মনে রাখবেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। পরিসংখ্যান অফিস থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ছয় লাখ এর বেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। স্ট্রাগল করছে এরকম ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশ অগণিত তবে তারাও সাকসেস পাওয়ার জন্য অবিরত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। একটি গণমাধ্যম এ প্রকাশ করা হয়েছিল যে ২০২৫ সালে ফ্রিল্যান্সিং 

জগত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লব সৃষ্টি করবে। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যার দিক থেকে আরো এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এবং সেই সাথে বাংলাদেশে যুক্ত হবে আরো বেশি বেশি রেমিটেন্স।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণের শতকরা হার কত ২০২৪

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সকল সেক্টরেই নারীরা কোনভাবেই পিছিয়ে নেই। ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরেও নারীরা রয়েছেন ভালো অবস্থানে। বিশ্বে ফ্রিল্যান্সার দের মধ্যে ৫৮ ভাগ নারী হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীরা রয়েছেন ৯ শতাংশ। বাকি অংশগুলো পুরুষরা পূরণ করে রয়েছে তবে বর্তমানে নারীদের সংখ্যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটু কম হলেও ভবিষ্যতে অবশ্যই আরো বাড়বে। অনলাইনে আউটসোর্সিং এর কাজের প্রেক্ষিতে ১০ নারী কে ফ্রিল্যান্সার স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। 

এক বিবৃতিতে জুনায়েদ আহমেদ পলক স্যার বলেছেন অনলাইন চাকরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয় এবং সেখানে ৯ শতাংশ নারীরা কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি হাইটেক পার্ক থেকে বিভিন্নভাবে ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এবং কোন স্কিল গুলো ডেভেলপ করার মাধ্যমে নারীরা ভবিষ্যতে আরো সামনে এগিয়ে যেতে পারে সে নিয়ে তাদের রয়েছে অনেক চিন্তাভাবনা।

সারাবিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন

পুরো বিশ্বে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার কত জন রয়েছে এটা আমরা অনেক সময় জানতে চাই। “আইডিএলসি” এর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে সারাবিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা রয়েছে ১৭ শতাংশ। তাহলে হিসাব করলে এটা পাওয়া যাচ্ছে যে করে ১০০ জনের মধ্যে ১৬ জনই বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার যারা বিভিন্নভাবে তাদের দক্ষতা অনুযায়ী সকল মার্কেটপ্লেসগুলোতে ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এবং বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিয়েছে ফ্রিল্যান্সার দের নিয়ে। 

সরকার পরিকল্পনা করছে কিভাবে আরো বেকার জনগোষ্ঠীকে অনলাইন আউটসোর্সিং কাজে নিয়োগ করা যায়। আবার সারাবিশ্বে ফ্রান্সিংয়ের অনেক বড় একটি ডলারের বাজার রয়েছে অনেকে মনে করছেন ২০২৫ সালের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের ডলার বাজার গিয়ে দাঁড়াবে নয় বিলিয়ন ডলার যা সত্যি অনেক বড় একটি অ্যামাউন্ট। তাই অবশ্যই বেকার জনগোষ্ঠীর উচিত ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজেকে উন্নিত করা পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের জন্য রেমিটেন্স এর যোগান নিয়ে আসা।

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি

অনেকের মনে এটাও প্রশ্ন আসতে পারে যে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি। আমরা যদি পূর্বের কথা বলি তাহলে সেই সময় কোন স্মার্টফোন বা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ছিল না মানুষজন বাজার বা দোকানপাটে গিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে আনত। কিন্তু যুগের পরিবর্তনে এখন মানুষ ঘরে বসেই বিভিন্ন কেনাকাটা সেরে ফেলছে। তাহলে ভবিষ্যতে এই সেক্টরটি আরো উন্নত হবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। ফ্রিল্যান্সিং এর আরো একটি বড় সুবিধা হল এখানে রয়েছে ব্যাপকভাবে আয় করার সুযোগ। 
একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার মাসে এক লক্ষ টাকারও বেশি ইনকাম করে থাকে‌। যেখানে তার অফিসগত বা অন্যান্য কোন খরচ থাকে না বাড়িতে বসে স্বাধীনভাবে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তাই কোন ব্যক্তি যদি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে এবং পাশাপাশি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি সে বিষয়টি জেনে বুঝে একটি নির্দিষ্ট বিষয় সিলেক্ট করে এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করে তাহলে অবশ্যই তার জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। তাই আপনি যদি নিজেকে সেই পর্যায়ে দেখতে চান 

তাহলে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসুন তবে অবশ্যই নিজেকে তৈরি করার জন্য ধৈর্য এবং পরিশ্রম করার মন মানসিকতা নিয়ে আসতে হবে। আর আপনার সফলতা পেতে সেখানে দুই বছর সময়ও লেগে যেতে পারে তাই ফ্রিল্যান্সিং এর মূল চাবিকাঠি হল ধৈর্য এবং পরিশ্রম।

শেষ কথা

পাঠক বৃন্দ আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হলো। আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন যে একজন ফ্রিল্যান্সার কিভাবে তার বায়ারের কাজ সম্পন্ন করার পর কোন অনলাইন মেথড এর মাধ্যমে টাকা নিয়ে আসতে পারে এবং নতুনদের কোন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ট্রাই করা উচিত। পাশাপাশি আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে কিভাবে বায়ার পেতে পারে সে বিষয়েও আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানিয়েছি। আপনাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। 

ফ্রিল্যান্সিং অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে আপনার মনে যদি কোন প্রশ্ন থাকে সেটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আমরা সেটির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সংক্রান্ত বিষয়গুলো জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন এবং আপনার বন্ধু বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর উদ্দেশ্যে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। পরিশেষে সবাই ভালো থাকবেন এটাই ব্যক্ত করি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url